বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, তথ্য হালনাগাদ করে লুফে নিন ৳৫০০ পর্যন্ত বোনাস
বিকাশ
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন
ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক হিসাববিহীন ব্যক্তিদের
আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিকাশ চালু করা হয়। গ্রাহকরা *২৪৭# ডায়াল করে এবং
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নগদ অর্থ জমা করা, নগদ অর্থ উত্তোলন, টাকা পাঠানো,
রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, মূল্য প্রদান ও বিল দেয়া সহ বিভিন্ন সেবা নিতে
পারেন।
বিকাশ
হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে ও
দ্রুত টাকা পাঠানোর অন্যতম একটি পদ্ধতি। বিকাশ একাউন্ট খুলতে একজন
গ্রাহককে পুর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে
হয়।
পেইজ সূচিপত্রঃ বিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- এন আই ডি, ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
- একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়
- এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ একাউন্ট খোলার পর বোনাস পাওয়ার নিয়ম
- বিকাশ একাউন্টের তথ্য আপডেট করবেন যেভাবে
- বিকাশে সর্বোচ্চ কতো টাকা পেমেন্ট করা যায়
- বিকাশ থেকে একদিনে কতো টাকা ক্যাশআউট করা যায়
- বিকাশ লেন-দেন, নিরাপত্তা ও পরামর্শ
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সহজ, বর্তমানে সকল এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক,
গ্রামীণফোন এবং রবি গ্রাহকগণ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ফোনের বিকাশ
অ্যাপ থেকেই।
১. বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য, প্রথমেই প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে
নিন। অ্যাপটি ওপেন করলে প্রথমেই লগইন এবং রেজিষ্ট্রেশন মেনু দেখতে পাবেন।
২. এবার আপনি রেজিষ্টেশন মেনুতে ক্লিক করুন।
৩. এরপর একটি ফর্ম ওপেন হবে, প্রদর্শিত ফর্মটিতে আপনি যে মোবাইল
নম্বর দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেই মোবাইল নম্বরটি বসিয়ে পরবর্তী ধাপে
ক্লিক করুণ।
৪. বিকাশ থেকে আপনার মোবাইল ফোনে একটি OTP প্রেরণ করা
হবে। উক্ত OTP টি OTP যাচাইকরণ ঘরে বসিয়ে সাবমিট করুণ।
৫. এরপর আপনার সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস প্রদর্শিত হবে। এখানে
লক্ষ্য করুণ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম ও শেষ পাতা চাওয়া হয়েছে।
৬. এবার আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম এবং শেষ পাতাটি সুন্দর করে
মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করে ছবি তুলে দিন।
৭. জাতীয় পরিচয়পত্র
ভেরিফাই করার পর এবার আপনার নিজের ছবি অর্থাৎ আপনার ফেসের ছবি চাওয়া হবে।
৮. এবার আপনি আপনার নিজের ফেসের ছবি দিন মোবাইল এর সেলফি ক্যাম
অথবা ফন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করে।
৯. তথ্য সাবমিট করে ভেরিফিকেশন কনফার্মেশন এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করুন। এই
তথ্য যাচাই করতে বিকাশের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
১০. কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিন সেট করতে হবে। পিন সেট করতে অ্যাপে এসে পিন সেট করুন ট্যাপ করে ৫ সংখ্যার পিন দিয়ে নিশ্চিত করুন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার পরবর্তী ধাপঃ
বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম শেষে পরবর্তী ধাপ হলো
পিন কোড এবং ইউজার নেম সেট করা। প্রতিটি বিকাশ একাউন্টে নিরাপত্তার জন্য
একটি ৫ সংখ্যার পাসওয়ার্ড বা পিনকোড সেট করতে হয়।
অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন হওয়ার পর, আপনি যখন পুনরায় এই অ্যাপসে সাইন ইন
করতে যাবেন তখন নতুন পিন সেট করতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনি যে
নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন, সেই নাম্বার টি লিখে ‘পরবর্তী’
বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার নাম্বারে একটি ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন
কোড আসবে। এই কোডটি লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। তারপর পিন সেট করার
জন্য একটি পেজ আসবে। এখানে নতুন বিকাশ পিন অপশনে একটি ৫ সংখ্যার পিন
লিখুন।
আপনার পিন নাম্বারটি সবসময় গোপন রাখবেন। কাউকে জানাবেন না।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
বিকাশ একাউন্ট খুলতে খুব বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। এর জন্য
শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন কারীর ভোটার আইডি কার্ড থাকলেই হবে। অনলাইনে
মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার সময় রেজিস্ট্রেশনকারীকে
তার ভোটার আইডি কার্ডের দুই পাশের ছবি আপলোড করতে হয়। তারপর যিনি
রেজিস্ট্রেশন করবেন তার নিজেকে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য উপস্থিত থাকতে
হবে।
আরও পড়ুনঃ দেশি মৌসুমি ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
এতো দিন ১৮ বছর বয়স না হলে কিংবা এনআইডি কার্ড না থাকলে
বিকাশ একাউন্ট খোলা না। অবশেষে বিকাশ নিয়ে এলো স্টুডেন্ট
একাউন্ট, যার কল্যাণে এন আই ডি কার্ড ছাড়া শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন
সার্টিফিকেট এবং মা অথবা বাবার বিকাশ একাউন্ট দ্বারা একাউন্ট খুলতে
পারবে শিক্ষার্থীগণ। শুধু তা-ই নয়, নতুন স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে পাওয়া
যাবে বোনাস।
জন্ম সনদ ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলে পাওয়া যাবে ১৩০ টাকা পর্যন্ত
ওয়েলকাম অফার। এন আই ডি ছাড়া স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে শিক্ষার্থীরা
রিচার্জ বা সেন্ড মানি করতে পারবে সাধারণ বিকাশ একাউন্টের মতই।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার সময় যে ৫টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল
রাখবেন
১. জন্ম সনদের ছবি স্পষ্ট হতে হবে।
২. জন্ম সনদের ছবি থেকে
নাম, জন্ম তারিখ এবং জন্ম সনদ নাম্বার সংগ্রহ করবে, তা বিকাশ
অ্যাপে ভালোভাবে মিলিয়ে নিতে হবে, প্রয়োজনে জন্ম সনদ অনুযায়ী পরিবর্তন
করতে হবে।
৩. অভিভাবক হিসেবে মা অথবা বাবা যাকে বেছে নেয়া হবে, তার
নাম জন্ম সনদের সাথে মিলিয়ে নিতে হবে, প্রয়োজনে জন্ম সনদ অনুযায়ী
পরিবর্তন করতে হবে।
৪. অভিভাবক হিসেবে মা অথবা বাবা যাকে বেছে
নেয়া হবে, বিকাশ নাম্বারটি অবশ্যই তার নামে হতে হবে।
৫. নিজের
চেহারার ছবি পর্যাপ্ত আলোর সামনে দাঁড়িয়ে এবং মানানসই ও শালীন পোশাক
পরিহিত অবস্থায় তুলতে হবে।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যা যা প্রয়োজন
- গ্রাহকের বয়স অবশ্যই ১৪ এর বেশি এবং ১৮ এর কম হতে হবে।
- ডিজিটাল জন্মসনদ থাকতে হবে।
- মা, বাবার সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
১. বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ
স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
২. এরপর বিকাশ
অ্যাপে প্রবেশ করে লগইন,রেজিস্ট্রেশন অপশনে ট্যাপ করুন।
৩.
এবার দেশের কোডে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন।
৪. এরপর মোবাইল নাম্বারে পাঠানো ৬ ডিজিট এর ভেরিফিকেশন
কোডটি প্রদান করুন।
৫. স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে আইডির ধরন হিসেবে
জন্ম সনদ বেছে নিন।
৬. ডিজিটাল জন্ম সনদের ছবি তুলে আপলোড
করুন।
৭. জন্ম সনদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য সঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা
যাচাই করুন, প্রয়োজনে পরিবর্তন করে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। আরো
কিছু ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন: লিঙ্গ, আয়ের উৎস, মাসিক আয়, পেশা, প্রদান
করুন।
৮. বিকাশ একাউন্টের নমিনি হিসেবে মা অথবা বাবাকে বেছে নিন
এবং উক্ত নমিনির সচল বিকাশ একাউন্ট নাম্বার প্রদান করুন।
৯.
এবার পর্যাপ্ত আলোর সামনে থেকে নির্দেশনা অনুসরণ করে নিজের ছবি তুলুন। ছবি
তুলে সাবমিট করার পর তথ্য গ্রহণ করা হবে।
১০. মা, বাবার বিকাশ
নাম্বারে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোড প্রদান করে সম্মতি নিশ্চিত করুন। ৫
সংখ্যার বিকাশ পিন সেট করুন, ব্যাস এভাবে বেশ সহজে বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট
খুলতে পারবেন।
এন আই ডি, ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বর্তমান
সময়ে যাদের এনআইডি কার্ড এখনো হাতে পাননি তারা অবশ্যই বিকাশ অ্যাকাউন্ট
খুলতে পারবেন।এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যে
পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে, আপনারা আইডি কার্ড ছাড়াই বিকাশ একাউন্ট খুলে
নিতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাদের অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
তারপর ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে, আপনারা বিকাশ অ্যাপস এর মধ্যে প্রবেশ করে, লগ ইন রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখন আপনারা যে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খুলতে
চাচ্ছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি যুক্ত করতে হবে। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য
অবশ্যই মোবাইল নাম্বারটি একটিভ থাকতে হবে।
মোবাইল নাম্বার যুক্ত করার পরে, আপনার নম্বরটির অপারেটর সিলেক্ট করতে হবে।
এবং পরবর্তী ঘরে গিয়ে আপনার মোবাইলে আসা ভেরিফিকেশন কোড বসাতে হবে।
ভেরিফিকেশন কোড যুক্ত করার পরে, আপনাকে পরবর্তী অপশনে গিয়ে আপনার আইডি কার্ডের ছবি তুলে দেওয়ার জন্য বলা হবে।
আইডি কার্ড ছাড়া কখনোই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন না। তবে যাদের সরকারি
খাতায় এনআইডি কার্ডের জন্য তথ্য আছে কিন্তু আইডি কার্ড এখনো হাতে পাইনি।
তাদের জন্য আইডি কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনারা সঠিক তথ্য
প্রদান করে আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তারপর সেই আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করে, সেটি প্রিন্ট আউট করে
লেমিনেটিং করে নিতে হবে। এরকমভাবে লেমেনেটিং করতে হবে সেই প্রিন্ট কপি
দেখতে, যাতে অরজিনাল আইডি কার্ডের মত মনে হয়।
তারপরে আপনারা সেই এন আইডি কার্ডের অনলাইন কপি দিয়ে বিকাশ একাউন্টের জন্য ছবি তুলে প্রদান করতে পারবেন।
এরপরে পরবর্তী অপশনে গিয়ে আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্য যুক্ত করতে হবে।
তারপরের অপশনে গিয়ে আপনারা নিজের ছবি সোজা হয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে সেলফি
আকারে, পরিষ্কারভাবে ছবি তুলতে হবে।
এছাড়া ছবি তোলার জন্য আপনি অন্য কারো সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারেন।
বিকাশ একাউন্টের জন্য ছবি তোলার সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার ব্যক্তিগত
তথ্যগুলো পূরণ করবেন। তারপর পরবর্তী অপশনে গিয়ে আপনাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট
লগইন/রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করতে হবে।
রেজিস্টার অপশনে গিয়ে আবার মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন এবং সিম অপারেটর নির্বাচন করবেন।
তারপর আপনার মোবাইলে আবার একটি ভেরিফিকেশন কোড চলে আসবে। সেই কোড ভেরিফিকেশন করে, পরবর্তী অপশনে বিকাশ পিন যুক্ত করতে হবে।
আপনাকে যখন বিকাশ পিন সেট করার জন্য বলা হবে তখন পাঁচ ডিজিটের পিন নাম্বার যুক্ত করতে হবে।
বিকাশ পিন নাম্বার যুক্ত করা হয়ে গেলে আপনাদের বিকাশ একাউন্টের জন্য আপনার নাম এবং প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করতে হবে।
বিকাশ পিন নাম্বার যুক্ত করা হয়ে গেলে আপনাদের বিকাশ একাউন্টের জন্য আপনার নাম এবং প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করতে হবে।
তারপর
বিকাশ একাউন্টটি সফলভাবে ব্যবহার করা শুরু করতে পারবেন। নতুন বিকাশ
একাউন্ট খোলার ২৪ ঘন্টা পর আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে সকল বিকাশ একাউন্টে
লেনদেন কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
আমাদের প্রায় সকলেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি। বিকাশ একাউন্ট হঠাৎ কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আমারা অনেক অসুবিধায় পড়ে যাব। তাই জেনে নিন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি এবং কিভাবে ঘরে বসেই বন্ধ হওয়া একাউন্ট পুনরায় চালু করবেন।
মোবাইলে সহজ ও দ্রুত লেনদেনের জন্য (bKash) বিকাশই
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম। দৈনন্দিন অনেক ছোট-বড় লেনদেনেই
আমরা বিকাশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কোন কারণে বা ভুলবশত আমাদের বিকাশ
একাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণঃ
বেশিরভাগক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট সাধারণত সাময়িকভাবে বন্ধ বা স্থগিত হয়ে থাকে।
বিকাশ একাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার কারণগুলো হলো
১. পর পর ৩ বার ভুল পিন ব্যবহার করলে বিকাশ পিন লক হয়ে যাবে।
২. একই মোবাইল নম্বরে খুব কম সময়ে বার বার রিচার্জ বা সেন্ড মানি করলে।
মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে বিকাশের সময়সীমা হচ্ছে ১৫ মিনিট। তাই ১৫ মিনিটের
মধ্যে একই নম্বরে ২ বার রিচার্জ করলে এটি অস্বাভাবিক লেনদেন বলে গণ্য হবে।
৩. অস্বাভাবিক লেনদেন করলে।
৪. একই জাতীয় পরিচয় পত্র দ্বারা পূর্বে কোন বিকাশ একাউন্ট করে থাকলে।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে যা করবেনঃ
সাময়িকভাবে
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে, বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট নম্বরে বা Live Chat এ
যোগাযোগ করে আপনার বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে
দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে আপনিই বিকাশ একাউন্টের প্রকৃত মালিক। বিকাশ
প্রতিনিধি বিকাশ একাউন্টের প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর আপনার একাউন্ট
চালু করে দিবে।
স্থায়ীভাবে কোন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে আপনি তা আর সচল করতে পারবেন না।
বিকাশ সাধারণত প্রথমবারেই কোন একাউন্ট পারমানেন্টলি বন্ধ করে না। বিকাশ
একাউন্ট বন্ধ হলে আপনাকে যা করতে হবে।
- বিকাশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
- বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট বা লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করুন
বিকাশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
বিকাশ
কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করা হলে, তারা আপনার পরিচয় ও বিকাশ একাউন্টের
মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার কাছে কিছু তথ্য জানতে চাইবে। তাছাড়া
সরাসরি বিকাশ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে গেলেই আপনাকে আপনার আইডি কার্ড নিয়ে
যেতে হবে। তাই আগে তথ্যগুলো আপনাকে হাতের কাছে রাখতে হবে। তথ্যগুলো হতে
পারে,
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর যা দিয়ে আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন।
- আপনার জন্ম তারিখ
- বিকাশ একাউন্টের নাম বা আপনার নাম
- শেষ কয়েকটি লেনদেনের মধ্যে যে কোন একটি লেনদেন
- সর্বশেষ ব্যালেন্স
- পিতার ও মাতার নাম ইত্যাদি।
বিকাশ হেল্পলাইনে কল করুন বা লাইভ চ্যাটে মেসেজ দিন
প্রয়োজনীয় তথ্য যোগাড় করার পর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট নম্বর- 16247 এ বিকাশ নম্বর থেকে কল করুন। অথবা বিকাশ লাইভ চ্যাট এ মেসেজ দিন
আপনার বিকাশ একাউন্টের সমস্যার কথা বলুন।
একাউন্ট
পুনরায় চালু করার মত হলে, বিকাশ একাউন্ট টি যে আইডি দিয়ে খুলেছেন তার নম্বর,
জন্ম তারিখ, বিকাশ একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স, সর্বশেষ লেনদেন বা আরে
তথ্য জানতে চাইবে।
সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে দিন।
আপনিই বিকাশ একাউন্টের প্রকৃত মালিক তা নিশ্চিত হলে, আপনার একাউন্ট পুনরায় চালু করে দিবে।
বিকাশ লাইভ চ্যাটে হলে, আপনার আবেদনটি জমা হবে এবং ১২ ঘন্টার মধ্যেই বিকাশ থেকে আপনাকে সমস্যার ব্যাপারে কল করে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
বিকাশ লাইভ চ্যাটে হলে, আপনার আবেদনটি জমা হবে এবং ১২ ঘন্টার মধ্যেই বিকাশ থেকে আপনাকে সমস্যার ব্যাপারে কল করে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়
একটি আইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বৈধ বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
সাধারণত বিকাশ একাউন্ট অত্যান্ত নিরাপত্তার সাথে পরিচালনা করা হয়। একজন
বাংলাদেশী নাগরিক একাধিক বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে না। কারণ প্রত্যেকের
ভোটার আইডি কার্ডের আইডি নম্বর এবং পরিচয়বাচক তথ্য ইউনিক। কেউ যদি
জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক বিকাশ একাউন্ট খুলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
সাধারণত গ্রাম কিংবা শহরের বৃদ্ধ মানুষদের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে না। কিংবা
এমন অনেক নিরক্ষর মানুষজন রয়েছেন যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেনা।
তারা চাইলে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারবে।
তবে বিকাশ এজেন্টের কাছে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে
ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
রেজিস্ট্রেশন কারীর পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি।
একটি সচল মোবাইল ফোন।
আপনি যেই সিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই সিমের প্রয়োজন হবে।
রেজিস্ট্রেশন কারীর পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি।
একটি সচল মোবাইল ফোন।
আপনি যেই সিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই সিমের প্রয়োজন হবে।
এজেন্ট এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে, যিনি বিকাশ একাউন্ট
খুলতে চাচ্ছেন তাকে স্থানীয় কোন বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। তারপর
এজেন্ট এর কাছে আপনার একটি বাটন মোবাইল এবং ভোটার আইডি কার্ডের কপি ও
পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। বিকাশ এজেন্ট এ সকল ডকুমেন্টের তথ্যাবলী
অনুযায়ী আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে দিবে। একাউন্টটি আপনি বাটন
ফোনের মাধ্যমেও ব্যবহার করতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার পর বোনাস পাওয়ার নিয়ম
যারা নতুন বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করেন তাদের জন্য বিকাশের
পক্ষ থেকে ১০০ টাকা কিংবা ১২৫ টাকা বোনাস দেওয়া হয়। তবে বিকাশ
একাউন্ট খোলার পরপরই ১০০ টাকা বিকাশ রেজিস্ট্রেশন বোনাস দেওয়া হয়
না।
সর্বপ্রথম বিকাশ অ্যাপে সাইন ইন করার পর, ব্যালেন্স অপশনে ২৫ টাকা
দেখতে পাবেন। আপনাকে এই ২৫ টাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে কোনো
নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করতে হবে। তাহলে ইনস্ট্যান্ট আরো ৫০ - ১০০
টাকা বোনাস পাবেন। মূলত প্রথমবার লেনদেনের পর বিকাশ তার নতুন
গ্রাহককে শুভেচ্ছা জানাতে এই ১২৫ টাকা বোনাস দিয়ে থাকে।
বিকাশ একাউন্টের তথ্য আপডেট করবেন যেভাবে
আপনার বিকাশ একাউন্টের তথ্য আপডেট বা হালনাগাদ করলে পেতে পারেন
৫০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। বিকাশ একাউন্টের তথ্য হালনাগাদ
করতে আপনার নিকটস্থ বিকাশ সেন্টার অথবা বিকাশ কেয়ারে আপনার এক কপি
পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি নিয়ে আসুন। আপনি
বোনাস পাবেন কিনা সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিকাশ হেল্পলাইন
16247-এ কল করুন।
বিকাশে তথ্য আপডেট বা হালনাগাদ করা যাবে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
এজেন্টের কাছ থেকে পুরাতন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আই ডি
কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকলে বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ
একাউন্টের তথ্য আপডেট করা যাবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিকাশ একাউন্টের তথ্য আপডেট করতে
হয়।
- প্রথমে বিকাশ একাউন্টের তথ্য আপডেট করতে বিকাশ অ্যাপের ডান দিক থেকে মেন্যুতে ট্যাপ করুন।
- এবার তথ্য হালনাগাদ Information Update সিলেক্ট করুন।
- এরপর শুরু করুন Start বাটনে ট্যাপ করে পরের ধাপে এগিয়ে যান।
- প্রদর্শিত শর্তাবলী পড়ে সম্মতি থাকলে আমার সম্মতি আছে I Agree অপশনে ট্যাপ করুন।
- এরপর এনআইডি কার্ডের ছবি তুলতে এনআইডি এর ছবি তুলুন Take picture of NID বাটনে ট্যাপ করুন।
- প্রথমে এনআইডি কার্ডের সামনের দিকের ছবি তুলে সাবমিট করুন।
- এরপর একইভাবে এনআইডি কার্ডের ব্যাক পার্টের ছবি তুলে সাবমিট করুন।
- স্ক্রিনে প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা তা মিলিয়ে নিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- এরপর লিঙ্গ, আয়ের উৎস, আনুমানিক মাসিক আয়, পেশা, ইত্যাদি তথ্য প্রদান করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- এরপর ভেরিফিকেশনের জন্য নিজের সেল্ফি তুলতে ছবি তুলুন Take Photo অপশনে ট্যাপ করুন।
- ছবি তোলা হয়ে গেলে নিশ্চিত করুন Confirm বাটনে ট্যাপ করুন।
বিকাশ এর কাছ থেকে কমফার্মেশন এসএমএস পেলে বুঝতে পারবেন আপনার
বিকাশ একাউন্টের তথ্য সফলভাবে হালনাগাদ হয়ে গেছে।
বিকাশ একাউন্ট যদি এনআইডি ছাড়া অন্য কোনো ডকুমেন্ট, যেমন
পাসপোর্ট বা ড্রাইভার লাইসেন্স দ্বারা খোলা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে
তথ্য হালনাগাদ করতে নিকটস্থ বিকাশ গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ
করুন।
শুধুমাত্র এনআইডি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্টার করা
গ্রাহকগণ একাউন্টের তথ্য আপডেট করার ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।
অনেকে বিকাশ একাউন্টে থাকা লোন ও সেভিং এর ফিচার ব্যবহার করতে
পারেন না। যদি ইতিমধ্যে এই ফিচারটি দুইটি ব্যবহার করতে না পারেন,
তবে একাউন্ট ইনফরমেশন আপডেট করে নিন।
বিকাশে সর্বোচ্চ কতো টাকা পেমেন্ট করা যায়
প্রতি লেনদেনে সর্বনিম্ন পেমেন্টের পরিমাণ ১টাকা। অন্যান্য ক্ষেত্রে,
মার্চেন্টের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ লিমিট ভিন্ন হতে পারে।
একজন বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫,০০০
টাকা এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা তুলতে
পারবেন।
একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যে কোন মুহূর্তে তার একাউন্টে-এ
সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকা রাখতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট থেকে যেকোনো প্রিপেইড নাম্বারে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা
এবং পোস্টপেইড নাম্বারে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ করতে
পারবেন। তবে, যেকোনো প্রিপেইড নাম্বারে ১,০০১ থেকে ৩,৫০০ টাকার
মধ্যে কোনো প্যাক অথবা অফার থাকলে বিকাশ থেকে রিচার্জ করে তা নেয়া
যাবে।
রেমিটেন্স-এর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশে এক
লেনদেনে সর্বোচ্চ ২৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন। প্রেরিত
অর্থের সাথে প্রতিবার ২.৫% সরকারি প্রণোদনা যুক্ত হবে এবং প্রযোজ্য
ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা যুক্ত হবে।
রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্টে সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকা রাখার
শর্তটি প্রযোজ্য নয়। তবে বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স ৩০০,০০০ টাকার
নিচে না নামা পর্যন্ত ক্যাশ ইন, অ্যাড মানি, মানি রিসিভ সহ কোনো
ধরনের টাকা গ্রহণ বা আনতে পারবেন না।
অপারেটরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও
বাংলালিংক নাম্বারে সরাসরি মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন
লিমিট ২০ টাকা। তবে, ২০ টাকার নিচে অপারেটরের কোনো ধরনের প্যাক
অথবা অফার থাকা সাপেক্ষে গ্রাহকেরা বিকাশ এর মাধ্যমে রিচার্জ করে
প্যাক বা অফারটি নিতে পারবেন।
বিকাশ থেকে একদিনে কতো টাকা ক্যাশআউট করা যায়
দেশের যেকোনো প্রান্তে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যায়
নিশ্চিন্তে। গ্রাহকেরা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা *২৪৭# ডায়াল
করে বাড়ির পাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন যখনই
প্রয়োজন। আর প্রিয় এজেন্ট সেট করে, ডাবল সুবিধায় প্রতি মাসে ৫০,০০০
টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করুন হাজারে মাত্র ১৪.৯০ টাকায়। আর অন্য
এজেন্টে ক্যাশ আউট করুন হাজারে ১৮.৫০ টাকায়।
এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট
আপনার বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকলে আপনি সারাদেশে বিস্তৃত যেকোনো বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের মাধ্যমে টাকা তুলতে
পারবেন। এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট এর জন্য
১. যেকোনো বিকাশ এজেন্টের কাছে যান
২.
এজেন্টকে আপনার টাকা তোলার পরিমাণ বলুন (টাকার পরিমাণ ৫,০০০ বা তার বেশি
হলে ছবি যুক্ত পরিচয়পত্র বা পরিচয়পত্রের নাম্বার উল্লেখ করতে হবে)
৩. আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং টাকার পরিমাণ এজেন্ট রেজিস্টারে লিখুন
৪. বিকাশ মোবাইল মেন্যুর জন্য আপনার মোবাইলে *২৪৭# ডায়াল করুন
৫. ক্যাশ আউট সিলেক্ট করুন
৬. ফ্রম এজেন্ট সিলেক্ট করুন
৭. এজেন্টের বিকাশ একাউন্ট নাম্বারটি দিন (প্রয়োজনে এজেন্টকে জিজ্ঞাসা করুন)
৮. টাকার পরিমাণ লিখুন
৯. আপনার বিকাশ মোবাইল মেন্যু পিন দিয়ে ক্যাশ আউট সম্পন্ন করুন
প্রিয় এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট
হাজারে ১৪.৯০ টাকায়, ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করুন ২টি প্রিয়
এজেন্ট নাম্বার থেকে!
বিকাশ-এ এখন কম খরচে ক্যাশ আউটের সুবিধা ডাবল! এখন একটি
ক্যালেন্ডার মাসে একজন গ্রাহক যেকোনো ২টি এজেন্ট নাম্বারকে প্রিয়
এজেন্ট নাম্বার হিসেবে সেট করতে পারবেন আর ক্যাশ আউট করতে পারবেন
১.৪৯% চার্জে প্রতি মাসে, ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
একজন গ্রাহক এক ক্যালেন্ডার মাসে ক্যাশ আউটের জন্য প্রিয় এজেন্ট
নাম্বার হিসেবে যেকোনো ২টি বিকাশ এজেন্ট নাম্বার বেছে নিতে পারবেন
এবং একজন গ্রাহকের যেকোনো মুহূর্তে সর্বোচ্চ ২টি প্রিয় এজেন্ট
নাম্বার থাকতে পারে।
গ্রাহক প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে ১.৪৯% চার্জে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।১.৪৯% ক্যাশ আউট চার্জ একটি ক্যালেন্ডার মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রযোজ্য।
২টি প্রিয় এজেন্ট নাম্বারই যদি প্রথমবার যোগ করা হয়, সেক্ষেত্রে
গ্রাহকরা উক্ত ক্যালেন্ডার মাসের মধ্যে কোনো প্রিয় এজেন্ট নাম্বার
পরিবর্তন করতে পারবেন না। পরবর্তী ক্যালেন্ডার মাস থেকে, গ্রাহক
প্রথমে সেভ করা প্রিয় এজেন্ট নাম্বার বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ২টি
প্রিয় এজেন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন।তবে, যদি ইতোমধ্যে ১টি
প্রিয় এজেন্ট নাম্বার যোগ করা থাকে, তবে গ্রাহক যেকোন ক্যালেন্ডার
মাসে আরও একটি যোগ করতে এবং পূর্বেরটি পরিবর্তন করতে পারবেন।
গ্রাহক *247# এবং বিকাশ অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে প্রিয় এজেন্ট
নাম্বার যোগ/বাদ দিতে পারবেন
গ্রাহক *247# এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রিয় এজেন্ট
নাম্বার চেক করতে পারবেন
গ্রাহক *247# এবং বিকাশ অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে ১.৪৯% ক্যাশ
আউট চার্জের জন্য প্রযোজ্য লিমিট বা অবশিষ্ট পরিমাণ দেখতে পারবেন
যদি কোনো ক্যাশ আউট লেনদেন ৫০,০০০ টাকার লিমিট অতিক্রম করে, তাহলে
সেই লেনদেনের পরিমাণের জন্য ১.৮৫% ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য হবে
এবং প্রিয় এজেন্ট ক্যাশ আউট লিমিট ব্যবহার হয়ে যাবে।
কম খরচে ক্যাশ আউট করার সহজ নিয়ম প্রিয় এজেন্ট নাম্বার সেট করুন;
ক্যাশ আউট করার আগে প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে লিমিটের কত বাকি আছে তা
দেখে নিন,
প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে লিমিটের বাকি অংশ আগে ক্যাশ আউট করে নিন।
প্রিয় নাম্বার ছাড়া অন্য যেকোনো এজেন্ট নাম্বার থেকে
ক্যাশ আউট:প্রিয় এজেন্ট নাম্বার ছাড়া যেকোনো এজেন্ট নাম্বার থেকে
অ্যাপ এবং *247# ডায়াল করে উভয় মাধ্যমে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে
১.৮৫% চার্জ প্রযোজ্য হবে।
অ্যাপ এবং *247# ডায়াল করে উভয় চ্যানেলের জন্য প্রযোজ্য।
এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
বিকাশ একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করুন সারাদেশের নির্দিষ্ট এটিএম বুথ
থেকে, হাজারে ১৪.৯০ টাকা হারে! সারাদেশের যেকোনো ব্র্যাক ব্যাংক,
সিটি ব্যাংক এবং Q-Cash এটিএম থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন সহজে।
- সিটি ব্যাংক এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
- ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
- Q-Cash এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
এটিএম ক্যাশ আউট রিকোয়েস্ট
এটিএম থেকে ক্যাশ আউট করার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টের জন্য একটি
সিকিউরিটি কোড প্রয়োজন হবে। সিকিউরিটি কোডের জন্য নিচের ধাপগুলো
অনুসরণ করুন
- *247# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান অথবা বিকাশ অ্যাপে যান
- Cash Out অপশনটি বেছে নিন
- From ATM অপশনটি বেছে নিন
- আপনার বিকাশ পিন (PIN) নাম্বারটি দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে আপনি একটি সিকিউরিটি কোড (OTP) পাবেন যা পরবর্তী ৫ মিনিট সক্রিয় থাকবে এবং ১ বারই ব্যবহার করা যাবে
ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
বিকাশ একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা যায় এমন যেকোনো
ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম থেকে টাকা তুলতে প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্টের
জন্য একটি সিকিউরিটি কোড প্রয়োজন হবে। সিকিউরিটি কোডের জন্য নিচের
ধাপগুলো অনুসরণ করুন-*247# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান অথবা
বিকাশ অ্যাপে যান
- Cash Out অপশনটি বেছে নিন
- From ATM অপশনটি বেছে নিন
- আপনার বিকাশ পিন (PIN) নাম্বারটি দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে আপনি একটি সিকিউরিটি কোড (OTP) পাবেন যা পরবর্তী ৫ মিনিট সক্রিয় থাকবে এবং ১ বারই ব্যবহার করা যাবে
এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- এটিএম স্ক্রিনের নিচের দিকে বাম কোনায় থাকা bKash Cash Out বাটনে চাপ দিন
- আপনার পছন্দের ভাষা বেছে নিন বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিন
- ক্যাশ আউটের পরিমাণ দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া সিকিউরিটি কোডটি দিন
- আপনার দেয়া তথ্যাদি যাচাই করে নিশ্চিত করুন
- টাকা এবং রিসিট গ্রহণ করুন
- আপনি বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন
সিটি ব্যাংক এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
বিকাশ একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা যায় এমন যেকোনো সিটি ব্যাংক
এটিএম থেকে টাকা তুলতে প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্টের জন্য একটি
সিকিউরিটি কোড প্রয়োজন হবে। সিকিউরিটি কোডের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- *247# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান অথবা বিকাশ অ্যাপে যান
- Cash Out অপশনটি বেছে নিন
- From ATM অপশনটি বেছে নিন
- আপনার বিকাশ পিন (PIN) নাম্বারটি দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে আপনি একটি সিকিউরিটি কোড (OTP) পাবেন যা পরবর্তী ৫ মিনিট সক্রিয় থাকবে এবং ১ বারই ব্যবহার করা যাবে
এটিএম বুথ ক্যাশ আউট করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- এটিএম স্ক্রিনের নিচের দিকে বাম কোনায় থাকা bKash Cash Out বাটনে চাপ দিন
- বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিন
- ক্যাশ আউটের পরিমাণ দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া সিকিউরিটি কোডটি দিন
- আপনার দেয়া তথ্যাদি যাচাই করে নিশ্চিত করুন
- টাকা এবং রিসিট গ্রহণ করুন
- আপনি বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন
Q-Cash এটিএম থেকে ক্যাশ
আউট
Q-Cash এটিএম থেকে ক্যাশ আউট করার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টের
জন্য একটি সিকিউরিটি কোড প্রয়োজন হবে। সিকিউরিটি কোডের জন্য নিচের
ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- *247# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান অথবা বিকাশ অ্যাপে যান
- Cash Out অপশনটি বেছে নিন
- From ATM অপশনটি বেছে নিন
- আপনার বিকাশ পিন (PIN) নাম্বারটি দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে আপনি একটি সিকিউরিটি কোড (OTP) পাবেন যা পরবর্তী ৫ মিনিট সক্রিয় থাকবে এবং ১ বারই ব্যবহার করা যাবে
এটিএম বুথ ক্যাশ আউট করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- এটিএম স্ক্রিনের যে বাটনের পাশে bKash Cash Out লেখা থাকবে, সেই বাটনটি চাপ দিন
- বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিন
- ক্যাশ আউটের পরিমাণ দিন
- এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া সিকিউরিটি কোডটি দিন
- আপনার দেয়া তথ্যাদি যাচাই করে নিশ্চিত করুন
- টাকা এবং রিসিট গ্রহণ করুন
- আপনি বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন
বিকাশ লেন-দেন, নিরাপত্তা ও পরামর্শ
একটু সচেতনতা আমাদের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা করে।
আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং লেন-দেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে
কিছু পরামর্শ নিম্নরুপ
যা যা করবেনঃ
সত্য, সঠিক, এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরমটি পূরন
করুন। পরবর্তীতে, পিন ভুলে গেলে, মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে,
অথবা, অন্য কোনো প্রয়োজনে, আপনার দেয়া এই তথ্যের মাধ্যমেই
আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা যাচাই করা হবে।
আপনার পিন নম্বর, সিক্রেট কোড এবং সিকিউরিটি কোড
সবসময় গোপন রাখুন।
আপনার বিকাশ লেনদেনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে
এবং লেনদেন সম্পর্কে যথাযথভাবে অবগত থাকতে সবসময় আপনার নিজের
“বিকাশ একাউন্ট” ব্যবহার করুন।
প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে এর বৈধতা এবং যথার্থতা নিশ্চিত
করুন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট নম্বর, টাকার পরিমাণ,
সিকিউরিটি কোড, সিক্রেট কোড, পিন, আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং
লেনদেন সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ব্যবহার/ইনপুট দেয়ার সময় সতর্ক
থাকুন।
এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট এর সময় আপনার বিকাশ মোবাইল
মেন্যু এর শুধুমাত্র Cash Out from Agent অপশনের মাধ্যমেই ক্যাশ
আউট করুন।
প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে এবং পরে আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স
চেক করুন।
*247# ডায়াল করে প্রতিটি লেনদেনের পর “বিকাশ”
থেকে প্রেরিত মেসেজের প্রাপ্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন এবং মেসেজের
মাধ্যমে পাওয়া ব্যালেন্স ইনফরমেশন এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত
ব্যালেন্সের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে নিন।
বিকাশ থেকে প্রেরিত কনফারমেশন মেসেজ পাওয়ার জন্যে আপনার
মেসেজ ইনবক্স এ পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন। ইনবক্স ফুল থাকলে আপনি এই
কনফারমেশন মেসেজগুলো যথাসময়ে পাবেন না।
মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বিকাশ হেল্পলাইন
১৬২৪৭-এ জানান।
যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে এবং তথ্যের যথার্থতা বা
নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার জন্যে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-ই
একমাত্র সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস।
যা যা করবেন নাঃ
পিন নম্বর, সিকিউরিটি কোড এবং সিক্রেট কোড কখনই লিখে রাখবেন না
এবং অন্য কাউকে জানতে দিবেন না। বিকাশ কর্তৃপক্ষ কখনো আপনার
পিন নম্বর, সিক্রেট কোড, অথবা সিকিউরিটি কোড জানতে চাইবে না।
লটারী জেতা, পুরষ্কার বা প্রতিযোগিতা, এই ধরনের কোনো মেসেজ বা
ফোন কল এ সাড়া দিবেন না। এ ধরনের ফোন কল বা মেসেজের সত্যতা
যাচাই করার জন্যে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ যোগাযোগ করুন।
পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য ব্যাক্তি ছাড়া আপনার মোবাইল ফোন করো
হাতে দিবেন না।
নিজের লেনদেনের জন্য অন্য কারো বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার
করবেন না। বিকাশ রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি, তাই নিজের মোবাইল
নম্বরটিই রেজিস্টার করে নিন এবং নিজেই ব্যবহার করুন।
কখনই Send Money অপশনের মাধ্যমে এজেন্টের ব্যাক্তিগত
একাউন্ট নম্বরে ক্যাশ আউট করবেন না।
শেষ কথা
এনআইডি কার্ড ছাড়া কোনভাবেই বিকাশ একাউন্ট বা অন্যান্য ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা
সম্ভব নয়। তাই যেকোন ধরনে একাউন্ট খুলতে হলে আপনার এনআইডি কার্ডের ১ টি ফটৌ কপি,পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি ও একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন।
মনে রাখবেন, একটি NID CARD বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে শুধুমাত্র একটা বৈধ বিকাশ
একাউন্ট খোলা যায়।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url