ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম
আমরা যারা ব্লগার ওয়েবসাইট ইউজ করি তারা অনেকেই গুগল অ্যানালিটিকস এর নাম শুনেছি। কিন্তু ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম অনেকেই জানি না। যারা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে তারা অনেকেই এই গুগোল অ্যানালিটিক্স এর সাথে পরিচিত।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানবো গুগোল অ্যানালিটিকস কী, কীভাবে গুগোল অ্যানালিটিকস কাজ করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে কীভাবে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করবেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম গুলো কি কি।
পেইজ সূচীপত্রঃ ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম
গুগোল অ্যানালিটিকস কি
ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে গুগল অ্যানালিটিকস কি সে সম্পর্কে। গুগোল অ্যানালিটিকস হলো বিনামূল্যে ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং টুল ও প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীরা কীভাবে ওয়েবসাইটের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে তার ডেটা সংগ্রহ করে।
একবার ডেটা সংগ্রহ করা হলে, গুগল অ্যানালিটিকস ডেটাকে সহজে ইন্টারএক্টিভ রিপোর্টে সাজায়, যা আমরা প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাই। বর্তমানে গুগোল মর্কেটিং প্লাটফর্ম ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম এবং এটি ওয়েবসাইট পরিমাপের জন্য সবচেয়ে গৃহীত টুল হিসাবে অব্যাহত রয়েছে।
আমরা যদি গুগোল অ্যানালিটিকস শব্দ দুটিকে বাংলায় রুপান্তর করি তাহলে শব্দ দুটির অর্থ দাঁড়ায় গুগোল বিশ্লেষণ। আমরা যারা ওয়েবসাইট ব্যবহার করি সেই ওয়েবসাইটে যে ট্রাফিকগুলো আসে অর্থাৎ যে ভিজিটর গুলো আসে ও আপনার ওয়েবসাইট কতজন ব্যাক্তি ব্যবহার করছে, কোন কোন আর্টিকেলটি তারা পড়ছে বা কোন পেজে তারা অস্থান করছে, সারাদিনে কতজন ভিজিটর আসলো সব কিছু আপনি এই গুগোল অ্যানালিটিক্স দ্বারা ট্র্যাক করতে পারবেন।
সহজ কথায় আপনার ওয়েবসাইট বিশেষভাবে বিচার বিশ্লেষণ করাই হলো গুগোল অ্যানালিটিক্স এর কাজ। আমরা যারা ব্লগারে বা যে কোন ধরণের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখালিখি করি তারা এই গুগোল অ্যানাটিকস ওয়েবসাইটে এ্যাড করে থাকি। এছাড়া যারা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে তারা মূলত গুগোলে অ্যানালিটিক্স বেশি ব্যবহার করে থাকে। তাহলে গুগোল অ্যানালিটিকস কি সে সম্পর্কে িনশ্চই ভালো ভাবে জানতে বা বুঝতে পেরেছেন।
গুগোল অ্যানালিটিকস কিভাবে কাজ করে
গুগল অ্যানালিটিকস আপনার ওয়েবসাইট পরিদর্শনকারী লোকেদের সংখ্যা পরিমাপ করতে এবং রিপোর্ট করতে কুকিজের উপর নির্ভর করে। কুকিজ হল ব্রাউজারে সংরক্ষিত ছোট তথ্যের অংশ। Google Analytics কুকিতে থাকা তথ্য সংগ্রহ করে, এটিকে অন্যান্য বিশদ বিবরণের সাথে একত্রিত করে এবং তারপর Google এর সার্ভারে পাঠায়, যেখানে ডেটা প্রসেস করে রিপোর্ট করা হয়।
গুগল অ্যানালিটিকস এর নতুন সংস্করণ, Google Analytics 4 বা GA4 নামে পরিচিত, এখনও কুকিজের উপর নির্ভর করে, কিন্তু Google বলেছে যে তারা এটিকে কুকি ছাড়া কাজ করার জন্য ডিজাইন করেছে। এটি কীভাবে কাজ করবে তার বিশদ বিবরণ এখনও দুর্লভ, তবে এটি সম্ভবত গুগল অ্যানালিটিকস ট্যাগ মৌলিক বিবরণ সংগ্রহ করবে বলে মনে হচ্ছে। তাই আজ, অনন্য ব্যক্তিদের এবং তাদের আচরণ সম্পর্কে শনাক্ত করতে ও রিপোর্ট করতে গুগল অ্যানালিটিক্স প্রধানত জাভাস্ক্রিপ্ট ট্র্যাকিং কোড এবং কুকিজের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে ।
আপনার ওয়েবসাইট থেকে গুগল অ্যানালিটিকস-এ যেকোনো ডেটা পেতে, আপনাকে প্রথমে আপনার সাইটে ট্যাগটি স্থাপন করতে হবে। যখন সেই ট্যাগ সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়, গুগল অ্যানালিটিকস তখন ডেটা সংগ্রহ করা শুরু করবে। ডেটা তারপর ম্যাট্রিক্স ও মাত্রা (metrics & dimensions) নিয়ে গঠিত রিপোর্টে রাখা হয়।
আপনি প্লাটফর্মে যে সংখ্যাগুলি পাবেন ম্যাট্রিক্স তা তৈরি করে । একটি সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা যেতে পারে যে কোনো একটি মেট্রিক. ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ক্রয়ের সংখ্যা, রূপান্তরের মান, সাইটে গড় সময় ইত্যাদি।
গুগোল অ্যানালিটিকস অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
আমরা আনেকেই সঠিক উপায়ে কীভাবে ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় তা জানি না। এই গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। খুব অল্প সময়ে অপনি এই গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করতে পারবেন। তবে আরেকটি কথা গুগোল অ্যানালিটিক্স সেট করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগোল সার্চ কনসোলে সাবমিট করতে হবে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনি গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করবেন।
ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জেনে নিন-
ধাপ-১ঃ প্রথমত আপনাকে গুগোল ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সার্চ বক্সে গুগল অ্যানালিটিকস অথবা analytics.google.com, লিখে সার্চ করতে হবে। এরপর আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন আসবে। এরপর আপনাকে একটু নিচের দিকে স্ক্রল করে Google Analytics for Beginers লিখাতে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে।
ধাপ-২ঃ এরপর আপনার সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস আসবে। এখান থেকে Start measuring এ ক্লিক করুন।
ধাপ-৩ঃ এরপর অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য my new account name এ ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম দিতে হবে, আথবা আপনি যে ওয়েবসাইটের ডেটা ট্রাক করতে চাচ্ছেন সেই ওয়েবসাইটের নাম। আপনি চাইলে আপনার নামও দিতে পারেন। প্রথম অক্ষরটা বড় হাতের দিয়ে শুরু করবেন।
ধাপ-৫ঃ এর পরের অপশনে গিয়ে Property details এ Property name এর জায়গায় আপনি পূর্বে যে নাম দিয়েছেন তা আবারো লিখুন। এরপর Reporting time zone এ বাংলাদেশ লিখে সার্চ করলেই বাংলাদেশ টাইম জোন চলে আসবে। এরপর কারেন্সি এর জায়গায় US Dollar সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন।
ধাপ-৬ঃ পরবর্তী অপশনে গিয়ে আপনি কোন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করছেন তা সিলেক্ট করুন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট কোন ইন্ড্রাস্টি অনুযায়ী পরিচালনা করছেন তা সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার ব্যবসার কর্মচারী কয়জন তা সিলেক্ট করুন। যেহেতু আপনি নিজেই আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন সেহেতু আপনি Small সিলেক্ট করুন। এরপর একটু নীচের দিকে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন সবগুলাতে টিকমার্ক দিয়ে Create বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৭ঃ এরপর নতুন একটা ইন্টারফেস সামনে আসবে, সেখানে Bangladesh সিলেক্ট করে, একেবারে স্ক্রল করে নীচের দিকে আসতে হবে। আসার পরে Accept বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আবারো Accept বাটন আসবে, ২ টাতেই টিক মার্ক দিতে হবে তাছাড়া কাজ হবেনা। এরপর I Accept বাটনে ক্লিক করলে দেখবেন আপনার সামনে Success লিখা ভেসে উঠেছে। তাহলে বুঝবেন আপনার গুগোল অ্যানালিটিকস একাউন্ট তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
ধাপ-৮ঃ এরপর আপনার ই-মেইলে কি কি ইনফরমেশন পেতে চান গুগোল থেকে তা সিলেক্ট করুন। আপনি চাইলে সবগুলাই সিলেক্ট করতে পারেন। দিয়ে Save করে দিন।
ধাপ-৯ঃ এরপর Choose platformএ এসে Web সিলেক্ট করুন।
ধাপ-১০ঃ তারপর আপনার Website URL এ https:// সিলেক্ট করে আপনার ওয়েবসাইটের Url নেম টা সিলেক্ট করে কপি করে বসিয়ে দিন। এরপর পাশের বক্সে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটা বসিয়ে দিন। এরপর Create Streem এ ক্লিক করলে দেখবেন ID তৈরী হয়ে গেছে।
এরপর আপনি যখন আপনার হোমপেজে প্রবেশ করবেন তখন দেখতে পারবেন No data received লিখা থাকবে। আপনি কয়েকবার স্ক্রীন কে রিফ্রেশ করে নিবেন তাহলে সেখানে Data received লিখা আসবে। যদি না আসে তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন এরপর আবারো রিফ্রেশ করুন তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। এরপর আপনাকে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে লাগবে। ২৪ ঘন্টা পর থেকে আপনার ওয়েবসাইটের কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।
ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিকস এ্যাড করার নিয়ম
আমরা এতোক্ষণ শিখলাম কীভাবে গুগোল অ্যানালিটিকস অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। এখন জেনে নিন কীভাবে ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে শিখে নেওয়া যাক ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করার নিয়ম-
ধাপ-১ঃ প্রথমে Create Streem এ ক্লিক করার কিছুক্ষণ পর অটোমেটিক একটি বক্স আসবে। কোথাও কোন প্রকার ক্লিক করার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন আপনি দেখতে পারবেন বেশ কয়েক লাইনের কিছু কোড প্রদান করা হবে সেখান থেকে কোডটি কপি করুন। এরপর নিচের দিকে খেয়াল করুন Test নামে একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর যদি সেখানে সবুজ টিক চিহ্নের মতো আসে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট ঠিকঠাক ভাবে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ সেট হয়েছে। আর যদি টেস্ট অপশন না থাকে তাহলে কী করবেন তা পরে আলোচনা করছি সেক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র কোডটি কপি করে নিন।
ধাপ-২ঃ তারপর আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের থিমে প্রবেশ করে কাস্টমাইজ এ ক্লিক করে Edit HTML এ ক্লিক করুন এরপর আপনাকে আপবার থিমের HTML এ নিয়ে আসবে। এখন ওপরের দিকে খেয়াল করে দেখবেন <head> ট্যাগ কোথায় আছে। এরপর <head> ট্যাগ এর শেষে মাউসের কার্সর রেখে কী-বোর্ডের Enter এ চাপ দিন এরপর ctrl+v অথবা মাউস থেকে paste করে দিন এরপর আপডেট করুন।
ধাপ-৩ঃ এরপর আপনি আবারো আপনার গুগোল অ্যানালিটিক্সে ফিরে আসুন। এখন আপনার সামনে যেই কোডের ইন্টারফেস ছিল তা খকটে দিন এবং আপনার সামনর আরো একটি ইন্টারফেস থাকবে যেখানে Stream details নামক একটি বক্স থেকবে। সেখান থেকে আপনাকে MEASUREMENT ID থাকবে তা কপি করে নিন। এরপর আবারো ব্লগারে ফিরে যান। ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটিংসে প্রবেশ করুন। এরপর দেখানে প্রথমের দিকেই Google Analytics Measurement ID নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে আপনি যে আইডিটি কপি করেছেন তা বসিয়ে সেভ করে দিন। তাহলেই আপনার ব্লগারের সাথে আপনার গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করা সম্পন্ন হয়ে যাবে।
গুগোল অ্যানালিটিকস কেন ব্যবহার করবেন
গুগোল অ্যানালিটিকস সম্পর্কে সম্ভবত সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট থাকলেই যে কেউ এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারে। যার ফলে ব্যবহারকারীদের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায় তৈরি হয়েছে যারা তথ্য ও নির্দেশিকা শেয়ার করে।এটি সমস্ত স্তরের ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহার করা সহজ করে তোলে।
এটির আরেকটি সুবিধা হল গুগোল অ্যানালিটিকস যেকোনো দক্ষতার বিশ্লেষকদের জন্য সহায়ক। গুগল অ্যানালিটিক্সের সাহায্যে, আপনি আপনার সাইটের পারফরম্যান্সে আরও মৌলিক স্তরের বিশ্লেষণ অর্জন করতে পারেন, তবে উন্নত বিশ্লেষণের সুযোগও রয়েছে। কোন মার্কেটিং চ্যানেলগুলি আপনার সাইটে ট্রাফিক চালায় সে সম্পর্কে আপনি শুধু তথ্যই পাবেন না, তার সাথে আপনি এটিও দেখতে পারেন যে ব্যবহারকারীরা দিনের বিভিন্ন সময়ে কোন সাইট থেকে এসেছেন, তারা কোন ল্যান্ডিং পৃষ্ঠায় এসেছেন এবং তাদের জন্য পৃষ্ঠাটি লোড হতে কত সময় লেগেছে৷
এছাড়াও, Google আমাদের সাইটে যে তথ্য ট্র্যাক করছে তা কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত উপকারী। গুগল অ্যানালিটিক্সের সংখ্যাগুলি ব্যবহার করে, আপনি কেবলমাত্র অন্তর্দৃষ্টির উপর নির্ভর করার বিপরীতে ডেটা-চালিত কৌশল সহ আপনার সাইটে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন।
গুগল অ্যানালিটিকস এর সুবিধাগুলো
গুগল অ্যানালিটিকস আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে রিসার্চ করে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ এসইওতে সাহায্য করে। গুগল অ্যানালিটিকস পে-পার-ক্লিক-নেটওয়ার্ক, ডিসপ্লে অ্যাডভারটাইজিং, ইমেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি সব ধরনের মাধ্যম থেকে আসা ভিসিটরদের পর্যবেক্ষণ করে থাকে। গুগল অ্যাডওয়ার্ডের সাথে গুগল অ্যানালিটিক্স Integrate করে।
ব্যবহারকারীরা তাদের ল্যান্ডিং পেজের মান এবং ভিসিটরদের কনভারসেশন পর্যালোচনা করতে পারে। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের অনলাইন টুলসের মধ্যে কেন আপনি গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার করবেন, সেই সুবিধাগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাকঃ-
- এটি গুগলের নিজস্ব টুলস, এই টুলসটি ব্যবহার করতে আপনাকে কোন প্রকার অর্থ প্রয়োজন হবে না।
- একটি ওয়েবসাইটে এই মুহূর্তে কতজন ভিজিটর রয়েছেন, কোন আর্টিকেলটি পড়ছেন, ভিজিটরদের মনিটরিং এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত টুলস হল গুগল অ্যানালিটিকস।
- একজন ভিজিটর কোন ডিভাইস দিয়ে ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, যেমন: কম্পিউটার, মোবাইল নাকি ট্যাব সে সম্পর্কে জানা যাবে।
- ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং কোড ইউজার এর ব্রাউজার, ভাষা, তার ডিভাইস, অপারেটিং সিস্টেম প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
- এই টুলস এর সাথে অন্যান্য টুলসগুলোকে(Google Adsense, Google Search Console) খুব সহজেই যুক্ত করতে পারবেন।
- গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স নিজের পছন্দমত দেখতে পারেন এবং ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট সম্পর্কে জানা যাবে।
গুগল অ্যানালিটিকস এর কাজের পরিধি কেমন
অ্যানালিটিকস শব্দের অর্থ হল পরিসংখ্যান বা পর্যবেক্ষন করা। আর গুগল অ্যানালিটিকস হচ্ছে গুগল এর নিজস্ব একটি টুলস এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের মনিটরিং করতে পারবেন। গুগলের এই টুলসটিকে ট্রাফিক ট্র্যাকিং সিস্টেমও বলা হয়ে থাকে। গুগল অ্যানালিটিকস দ্বারা কিভাবে একটি ওয়েবসাইট এর একটি নির্দিষ্ট ডাইমেনশন বা মেট্রিক্স কে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় এবং এর কাজের পরিধি কেমন সে সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো -
ডাইমেনশনঃ একটি ওয়েবসাইট এর পৃষ্ঠা, ল্যান্ডিং পৃষ্ঠা, শহর, ডিভাইস বিভাগ, উত্স এবং কোন মাধ্যম থেকে ডেটাগুলো আসছে এই সব ধরনের ডেটা এর যে বর্ণনামূলক দিক আছে তাই হচ্ছে ডাইমেনশন।
মেট্রিক্সঃ একটি ওয়েবসাইট এর সব সেশন, পেজ-ভিউ, এবং বাউন্স রেট সবই মেট্রিক্স। ডাইমেনশন এর বিপরীতে করা সবগুলো পরিমাপই হচ্ছে মেট্রিক্স।
গুগল অ্যানালিটিকস একটি নির্দিষ্ট উপায়ে ডেটা সংগ্রহ করে এবং উপস্থাপন করে। এই মেট্রিক্স এবং মাত্রাগুলি একটি সুযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ইউজারঃ গুগল অ্যানালিটিকস আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী-স্তরের ডেটা সংগ্রহ করতে ক্লায়েন্ট আইডি ব্যবহার করে।
সেশনঃ সেশন ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর (ইভেন্ট, পেজভিউ, লেনদেন) একটি একক পরিদর্শনের সাথে সম্পর্কিত।
হিটঃ হিটগুলি পেজ-ভিউ এবং ইভেন্টের মতো অ্যাকশন দিয়ে তৈরি।
প্রোডাক্টঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং এর তথ্য উল্লেখ করে।
গুগল অ্যানালিটিকস কিভাবে শিখবেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই গুগল অ্যানালিটিকস সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে আগ্রহী। বর্তমান সময়ে যারা অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করে তাদের সবার গুগলের এই টুলস টি সম্পর্কে জানা উচিত এবং ব্যবহার করা উচিত। আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই এর মাধ্যমে ভালো কিছু করতে পারবেন।
গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার শুরু করতে, আপনাকে প্রাথমিক সেটআপ দিয়ে শুরু করতে হবে।
- প্রথমত, আপনাকে একটি গুগল অ্যানালিটিকস একাউন্ট খুলতে হবে।
- কনফিগারেশন স্ক্রিনে কিছু প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অ্যাকাউন্ট সেটআপ শুরু করতে হবে।
- ওয়েবসাইটের নাম, URL, এবং স্ট্যান্ডার্ড ওয়েবসাইটের তথ্যের মতো অন্যান্য বিষয়গুলির উত্তর দিতে হবে৷
- অ্যানালিটিক্স ব্যবহারকারীরা একটি নিয়ম অনুসারে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে পারেন।
- ট্র্যাকিং কোড ইন্সটল করতে হবে।
- কাস্টম ল্যান্ডিং পৃষ্ঠার URL লিখে দিতে হবে৷
- সাইটের অনুসন্ধান ফলাফল URL থেকে ক্যোয়ারী প্যারামিটার প্রবেশ করাতে হবে।
- সব ডেটা কালেক্ট করে ড্যাশবোর্ড উইজেটগুলি একটি গ্রুপিং করতে হবে
- রিপোর্ট টুল প্যানেলে ডেটা সংগঠিত করার জন্য ডিজাইন করা সফ্টওয়্যারের ব্যবহার করতে হবে।
- গুগল অ্যানালিটিকসে চার ধরনের ডিফল্ট রিপোর্ট ব্যবহার করতে হবে।
বর্তমানে এই টুলসের তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিসিটর আরও বৃদ্ধি করতে পারি।
শেষকথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানিয়েছি কীভাবে গুগোল অ্যানালিটিক্স অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়, ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করার নিয়ম, গুগোল অ্যানালিটকস কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করছি বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url