নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন


নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন তা অনকেই জানতে চেয়েছেন। চুল আমাদের প্রত্যেকের সৌন্দর্যের একটি বিশেষ অংশ। প্রতিটা ছেলে ও মেয়ে চায় নিজের চুলকে সুন্দর ও মসৃন রাখতে। কিন্তু বিভিন্ন কারনে আমাদের এই চুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা সম্ভব হয় না।
নতুন-চুল-গজাতে-কীভাবে-মাথায়-পেঁয়াজের-রস-ব্যবহার-করবেন
বিভিন্ন অনিয়ম,অযত্ন, টেনশন ও দুশ্চিন্তার কারনে আমাদের চুলের অনেক সমস্যা দেখা দেয়, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্য হলো চুল ঝরে যাওয়া। তখন এই বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিভাবে এর সমাধান করা যায়।
 
তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন, চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা ও পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। তাহলে জেনে নিন নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেনঃ-

পেইজ সুচিপত্রঃ নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন

নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন

চুলের জন্য ভীষণ উপকারী পেঁয়াজের রস। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার সালফার, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে এই রস। সেই সাথে ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং চুল পড়া কমাতেও সহায়তা করে। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন তা জেনে নিনঃ-

আরও পড়ুনঃ-
 
১। পেঁয়াজ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। তার পর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিরে ধুয়ে ফেলুন।

২। পেঁয়াজ কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল এবং কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু দিরে ধুয়ে ফেলুন।

৪। এছাড়া দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। তার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিরে ধুয়ে ফেলুন।

৫। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। গোসলের পর সেই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। পরের দিন পর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসলেও চুলের জন্য বেশ উপকারী।

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা

অনেকেই হয়তো জানেন চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে। পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বিশেষত কিছু এনজাইমের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যা চুল পড়া রোধে সহযোগিতা করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করতে পারে, পাশাপাশি চুলের পুনর্গঠনকে উৎসাহিত করে। পেঁয়াজের তেল নিয়মিত প্রয়োগে টাক পড়া আটকানো সম্ভব হয়।
 
নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে জানার পর, এবার  চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ-

চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়ঃ পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে। নতুন চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস এক ধরনের প্রোটিন। কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। চুলে পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি হয়।

খুশকি কমায়ঃ পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে খুশকি কমে। এ ছাড়াও, মাথার ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়ঃ পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়। চুলকে অকালে পাকা হওয়া থেকে রোধ করে।

চুল মজবুত করেঃ সালফার থাকায় পেঁয়াজের রস চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে। ফলে চুল হয় মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর ।

রক্ত সঞ্চালন উন্নত করেঃ পেঁয়াজের রস ব্যবহারে মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে মাথায় অক্সিজেন সরবরাহ হয়। যা চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের সাথে যা যা মিশাবেন

চুল পড়া সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। যাদের চুল পড়ার মাত্রা বেশি তাদের অনেক ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায়। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। আমাদের হাতের কাছেই থাকা পেঁয়াজ চুল পড়া বন্ধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটির রস ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়। চলুক জেনে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার।

পেঁয়াজের রস ও মধুঃ খুশকি এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং মধু নিন। মাথায় হাল্কা মালিশ করে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস ও আমন্ড অয়েলঃ
আমন্ড তেল রুক্ষ চুলের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশালে চুল পড়া বন্ধ করতেও এটি সাহায্য করে। এক্ষেত্রেও এই দুইটি সমপরিমাণে নিয়ে মাথায় লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রাখার পর হাল্কা গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেলঃ
চুলের চর্চার ক্ষেত্রে নারকেল তেল বহুকাল ধরে ব্যবহূত হয়ে আসছে। এটি চুল পড়া বন্ধেরও সাহায্য করে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ রস মেশালে কার্যকারিতা আরো বেশি বেড়ে যায়। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ করবে।

পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েলঃ
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল হল পারফেক্ট কম্বিনেশন। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই মিশ্রণটি হাল্কা গরম করে চুলে লাগান। এক-দেড় ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও গরম পানিঃ এক মগ গরম পানিতে পাঁচটি পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটির দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর পাঁচ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এক মাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

চুলের বৃদ্ধির জন্য কীভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন

চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার অবাক লাগতে পারে, কিন্তু এটি কাজ করে। চুলের বৃদ্ধি এমন একটি প্রক্রিয়া যা অনেক সময় নেয়। যখন আপনার চুল বাড়তে এত বেশি সময় লাগে তখন হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতাচলে আসে এবং আপনি এটি কাটা এড়াতে পারবেন না। আপনার চুল বাড়ানোর জন্য অনেক ধৈর্য লাগে, তবে এটি খুব ধীরগতির হতে হবে না।
 
আপনার চুলের রুটিনে পেঁয়াজ যোগ করলে ভলিউম যোগ করার সাথে সাথে এটি দ্রুত বাড়তে সাহায্য করতে পারে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতাঃ পেঁয়াজের রস একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম ক্যাটালেসের মাত্রা বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই এনজাইম হাইড্রোজেন পারক্সাইড পচতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধি চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সালফার সমৃদ্ধ উপাদানের সাথে আপনার চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করতে সহায়তা করে। সালফার আপনার চুলের ফলিকলগুলির পুনর্জন্মের জন্য প্রয়োজনীয়।
 
প্রচুর সালফার উপাদান চুল পাতলা হওয়া এবং ভাঙ্গা কমাতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি চুলকে অকাল ধূসর হওয়া থেকে রোধ করে। পেঁয়াজের সমৃদ্ধ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আপনার মাথার ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং সংক্রমণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । এই একই বৈশিষ্ট্য খুশকি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস আপনার মাথার ত্বককে উদ্দীপিত করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে, ফলিকলগুলি ভালভাবে পুষ্ট হয়।

চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহারের নিয়মঃ-

১। চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস আপনার মাথার ত্বককে পুষ্ট করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকের যে কোনও সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে এবং আপনার চুল দ্রুত এবং ঘন হওয়া নিশ্চিত করবে।

যা যা লাগবেঃ
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস,
তুলার প্যাড

প্রক্রিয়াঃ
  • পেঁয়াজের রস দিয়ে একটি তুলার প্যাড ভিজিয়ে রাখুন।
  • পেঁয়াজের রস দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ড্যাব করতে স্যাচুরেটেড কটন প্যাড ব্যবহার করুন।
  • একবার আপনার পুরো মাথার ত্বক ঢেকে গেলে, কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় ১৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টার জন্য রস মাথায় রাখতে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ একদিন পর পর ।

২। চুলের বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেল এবং পেঁয়াজের রসঃ নারকেল তেলের আশ্চর্যজনক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি একটি অত্যন্ত অনুপ্রবেশকারী তেল যা আপনার মাথার ত্বকে পুষ্টির জন্য পেঁয়াজের রসের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

যা যা লাগবেঃ

২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল (খুশকি থাকলে)

প্রক্রিয়াঃ

  • আপনি একটি মসৃণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত সমস্ত উপাদান একত্রিত করুন।
  • এই পেঁয়াজ এবং তেলের মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • একবার আপনার পুরো মাথার ত্বক ঢেকে গেলে, মিশ্রণটি প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ একদিন পর পর ।

৩। চুলের বৃদ্ধির জন্য অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রসঃ অলিভ অয়েল হল আরেকটি উপাদান যার চমৎকার খুশকি-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে, চুলকে রেশমি চকচকে রেখে চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।

যা যা লাগবেঃ
৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
১ ১/২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়াঃ
  • অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস মেশান যতক্ষণ না আপনি একটি ভালভাবে মিশ্রিত মিশ্রণ পান।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় ২ ঘন্টা তেল মাথায় থাকতে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ একদিন পর পর ।

৪। চুলের বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েল এবং পেঁয়াজের রসঃ চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য ক্যাস্টর অয়েল অন্যতম জনপ্রিয় উপাদান । এটি আপনার চুল ঘন করতে সাহায্য করে এবং এটি চমৎকার স্বাস্থ্য বজায় রাখে । পেঁয়াজের রসের সংমিশ্রণে, এটি চুল পড়া হ্রাস এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

যা যা লাগবেঃ

২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়াঃ
  • ক্যাস্টর অয়েল এবং পেঁয়াজের রস মেশান যতক্ষণ না আপনি একটি ভালভাবে একত্রিত মিশ্রণ পান।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় এক ঘণ্টা তেল মাখিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ একদিন পর পর ।

৫। চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিম এবং পেঁয়াজের রসঃ এই হেয়ার মাস্কে ডিমের পুষ্টিগুণ এবং পেঁয়াজের রসের বৃদ্ধি বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিমের উচ্চ প্রোটিন উপাদান আপনার চুলকে পুষ্টি জোগায় এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে এবং পেঁয়াজের রস আপনার মাথার ত্বককে চুলের বৃদ্ধির জন্য তৈরী করে। মিশ্রণে থাকা অপরিহার্য তেল গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

যা যা লাগবেঃ
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
১ আস্ত ডিম
২-৩ ফোঁটা রোজমেরি/ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
শাওয়ার ক্যাপ

প্রক্রিয়াঃ

  • একটি মসৃণ মিশ্রণ পেতে ডিমের সাথে পেঁয়াজের রস ফেটান।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং এটি আপনার চুলের দৈর্ঘ্যের মধ্য দিয়ে প্রয়োগ করুন।
  • একবার আপনার চুল এবং মাথার ত্বক সম্পূর্ণরূপে মিশ্রণে ঢেকে গেলে, বিশৃঙ্খলা এড়াতে একটি শাওয়ার ক্যাপ পরুন।
  • প্রায় ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • ঠান্ডা পানি এবং একটি হালকা সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা পানি আপনার চুলে ডিমকে সেদ্ধ হয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে এবং গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করবে।
কতবার করা উচিতঃ সপ্তাহে ১-২ বার।

৬। চুলের বৃদ্ধির জন্য আদা ও পেঁয়াজের রসঃ
আদা তার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং হোমিওপ্যাথি এবং চীনা ওষুধে এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি চুল পড়া কমিয়ে এবং চুলের গুণমান উন্নত করার সময় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও সাহায্য করে।

যা যা লাগবেঃ
১ টেবিল চামচ আদার রস
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়াঃ
  • আদা ও পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় আধা ঘণ্টা তেল মাখিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ একদিন পর পর ।

৭। চুলের বৃদ্ধির জন্য রসুন এবং পেঁয়াজের রসঃ
রসুন হল ক্যালসিয়াম, সালফার এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থের প্রচুর উৎস, যার সবকটিই চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় । পেঁয়াজের রসের সংমিশ্রণে, এটি আপনার চুলের বৃদ্ধির হারকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আপনার চুল ঘন করে।

যা যা লাগবেঃ
১ চা চামচ রসুনের রস
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়াঃ
  • তিনটি উপাদান ভালভাবে একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত মিশ্রিত করুন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় এক ঘণ্টা তেল মাখিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
রসুন হল ক্যালসিয়াম, সালফার এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থের প্রচুর উৎস, যার সবকটিই চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় । পেঁয়াজের রসের সংমিশ্রণে, এটি আপনার চুলের বৃদ্ধির হারকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আপনার চুল ঘন করে।

কতবার করা উচিতঃ
একদিন পর পর ।

৮। চুলের বৃদ্ধির জন্য মধু এবং পেঁয়াজের রসঃ মধু হল একটি ইমোলিয়েন্ট যা আপনার চুল এবং ত্বকে আর্দ্রতা আবদ্ধ করতে সাহায্য করে । পেঁয়াজের রসের সংমিশ্রণে, এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার চুল হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর থাকে তা নিশ্চিত করে।

যা যা লাগবেঃ

২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
১/২ টেবিল চামচ কাঁচা মধু

প্রক্রিয়াঃ
  • আপনি একটি মসৃণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত উপাদানগুলি একত্রিত করুন।এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় আধা ঘণ্টা তেল মাখিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃ সপ্তাহে ২-৩ বার।

৯। চুলের বৃদ্ধির জন্য লেবু ও পেঁয়াজের রসঃ
লেবুতে ভিটামিন সি থাকে যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে । খুশকি এবং মাথার ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণের মতো সমস্যাগুলি থেকে রক্ষা করার সময় জুসটি আপনার চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এটি আপনার মাথার ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে, যাতে চুলের বৃদ্ধি বাধাহীন হয় তা নিশ্চিত করে।

যা যা লাগবেঃ
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়াঃ
  • আপনি একটি মসৃণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত উপাদানগুলি একত্রিত করুন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • প্রায় আধা ঘণ্টা তেল লাগিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিত : একদিন পর পর ।

১০। চুলের বৃদ্ধির জন্য আলু এবং পেঁয়াজের রসঃ
আলুর রস আরেকটি উপাদান যা এর বৃদ্ধি-বর্ধক বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। এটি ভিটামিন বি এবং সি, এবং খনিজ লৌহ, জিঙ্ক এবং নিয়াসিন এর মতো পুষ্টির একটি প্রচুর উৎস। এটি আপনার follicles পুষ্ট করতে সাহায্য করে, নিশ্চিত করে যে আপনার চুল সুস্থভাবে বৃদ্ধি পায়।

যা যা লাগবেঃ
২ টেবিল চামচ আলুর রস
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়াঃ
  • আপনি একটি মসৃণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত উপাদানগুলি একত্রিত করুন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
  • আপনার মাথার ত্বকে প্রায় ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার করা উচিতঃএকদিন পর পর ।

১১। পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল ধোয়াঃ যতক্ষণ আপনি গন্ধে কিছু মনে করবেন না, এই চুল ধোয়া চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং আপনার মাথার ত্বক এবং চুলকে অক্সিডেটিভ ক্ষতিমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। এখন আপনি চুল বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে জানেন। পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, চুলের ফলিকলগুলিকে পূর্ণ করে, চুল পাতলা হওয়া এবং ভাঙ্গা কমায়, অকাল ধূসর হওয়াকে রোধ করে, সংক্রমণ থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে এবং এটিকে সুস্থ রাখে এবং আপনার মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে অন্যান্য উপকারী উপাদান যেমন আদা, রসুন বা আলু সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ব্যবহার কুরুন ।

যা যা লাগবেঃ
৪-৫ টি সূক্ষ্মভাবে কাটা পেঁয়াজ
১ লিটার পানি

প্রক্রিয়াঃ
  • কাটা পেঁয়াজ সিদ্ধ করুন এবং তারপর ১-২ ঘন্টা ঠান্ডা করার জন্য আলাদা করে রাখুন।
  • ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি জগে দ্রবণটি ঢেলে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু এবং অবস্থা দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • চুলে পেঁয়াজের দ্রবণ ঢেলে দিন।
  • আপনার চুল আর ধুয়ে ফেলবেন না।
কতবার করা উচিতঃ সপ্তাহে ২-৩ বার।

চুলে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম

আমরা সবাই জানি পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার পরখ করে দেখতে পারেন।
চুলে-পেঁয়াজের-রস-দেওয়ার-নিয়ম
নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন, এবার আসুন জেনে নিই চুলে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কেঃ-

 আরও পড়ুনঃ-
 
১। পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২। পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের জন্য এই পানি বেশ উপকারী।

৩। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৪। দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।

৫। পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয়

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয় সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ছেন। অধিকাংশ লোকেরাই চুল পড়া নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন, কিভাবে চুল পড়া সমস্যা সমাধান করা যায়। পেঁয়াজের রস চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় । চুলে পেঁয়াজের রস দিলে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচা যায় এবং এর জন্য অনেক উপকারী। মাথায় খুশকি থাকলে চুল হয়ে যায় প্রাণহীন পেঁয়াজের রসে রয়েছে এমন উপাদান, যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয় তা আলোচনা করা হলো:-
  • চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।
  • চুল পড়া কমায়।
  • চুল উজ্জ্বল ও ঝলমলে করে।
  • চুলে খুশকির সমস্যা দূর করে।
  • নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • চুলের ঘনত্ব ফিরিয়ে দেয়।
  • মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
এর মাধ্যমে চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয় সে সম্পর্কে জেনে নিলাম।

চুলে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন

নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন, একটি পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি ভালো করে ছেঁকে নিন। এই রসটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় লাগান। চুল ঘন করতে পেঁয়াজের রসের মতো কার্যকরী উপাদান আর একটিও নেই। খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে সপ্তাহে এক দিন পেঁয়াজের রস মাথায় ম্যাসাজ করুন ২০ মিনিটের মতো।
 
পেঁয়াজের রস মাথায় শুকিয়ে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। তা না হলে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ বের হবে। পেঁয়াজের রস ব্যবহারের আগে অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে নিন। এ জন্য আপনি প্রথমে আপনার মাথার ত্বকের অল্প জায়গায় এটি লাগিয়ে রাখুন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এটি ব্যবহার না করাই ভাল।

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি নতুন চুল গজায়

চুলে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার চুলের জন্য বেশ ভালো। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার, অ্যালিসিন, কুইনাইন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং আয়রন। এই উপাদানগুলো চুলের জন্য বিভিন্ন উপকার করে থাকে। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের কার্যকারিতা জেনে নিনঃ-

চুলের বৃদ্ধিঃ পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সালফার কেরাটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেরাটিন চুলের প্রধান উপাদান। এছাড়াও, পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যালিসিন রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির সরবরাহ ভালো হয়, ফলে চুলের বৃদ্ধি বাড়ে।

চুল পড়া কমানোঃ
পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার এবং অ্যালিসিন চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। সালফার কেরাটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুলের গোড়া শক্ত করে। ফলে চুল পড়া কমে। এছাড়াও, পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যালিসিন চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির সরবরাহ ভালো হয়, ফলে চুল পড়া কমে।

চুলের খুশকি দূর করাঃ
পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যালিসিন চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়, ফলে খুশকি দূর হয়।

চুলের কালোভাব ধরে রাখাঃ
পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের কালোভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়ায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মাত্রা কমায়। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড চুলের কালোভাব কমাতে সাহায্য করে।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোঃ পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। ফলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলের স্বাস্থ্য বাড়ানোঃ পেঁয়াজের রসে থাকা ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্যান্য উপাদান চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো চুলের কোষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য বাড়ে।

চুলের ব্যবহারঃ চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের জন্য প্রথমে পেঁয়াজ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ কুচি করে ব্লেন্ডারে দিয়ে রস বের করে নিতে হবে। পেঁয়াজের রস বের করার পর তা পাতলা করে নিতে হবে। তারপর চুলে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যা
 
সতর্কতাঃ 
চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন:-
  • পেঁয়াজের রস চোখে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • পেঁয়াজের রস লাগানোর পর চুলের গন্ধ দূর করতে চাইলে লেবুর রস বা অ্যারোমাথেরাপির তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • পেঁয়াজের রস লাগানোর পর রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

পেঁয়াজের রস কি আসলেই চুল পড়া বন্ধ করতে পারে

পেঁয়াজ আসলেই কি চুল পড়া বন্ধ করতে পারে? প্রশ্নটা অনেকেরই মনে ঘুরপাক খায়। চুলের যত্নে পেঁয়াজের বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ চুলের বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ অনেকটাই সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের ব্যবহার আপনার চুলের গোড়া কে যেমন মজবুত করে ঠিক আপনার চুলকে বৃদ্ধি ও ঘন করতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আপনার মাথার স্ক্যাল্পে নান ধরণের সংক্রমণ সহজেই সারিয়ে তোলে।

এছাড়াও পেঁয়াজের রসে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে ফলিকলগুলোকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এতে আপনার মাথার স্কিনে নতুন চুল গজাতে বা চুল বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে তুলে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় যে উপাদানটি বেশি ভূমিকা রাখে তা হলো সালফার। আর এই সালফার পেঁয়াজে ভরপুর রয়েছে। আপনার মাথার স্কিনে যত সালফারের পরিমাণ বেশি হবে ততই আপনার চুল গজাবে ও বৃদ্ধি পাবে।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের তেলের উপকারিতা

চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ব্যবহার তো অনেক শুনেছেন, তবে পেয়াজের তেলের ব্যবহার শুনেছেন কি? মূলত, চুলের পরিচর্যায় পেঁয়াজের তেলকে একটি অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়। পেঁয়াজে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়া এটি কেরোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক, তাই চুলের গোড়া শক্ত ও দ্রুত বৃদ্ধি করতে, চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে চুলকে সিল্কি করতে, অকালে চুল পাকা বন্ধ করতে, নতুন চুল গজাতে, চুলের খুশকি কমাতে, চুলের আগা ফাটা রোধ করতে পেঁয়াজ বিশেষভাবে কার্যকরী।
 
আরও পড়ুনঃ-

নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন, এবার আসুন জেনে নিই চুলের যত্নে পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের উপকারিতা গুলোঃ-

চুল লম্বা করেঃ পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে অনেকগুলো উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে মাথার ত্বকের পিএইচ লেভেল স্বাভাবিক থাকে। ফলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, সেইসঙ্গে সক্রিয় হয় চুল বৃদ্ধির গতিও। পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করলে তা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। ফলে চুলের গোড়াও হয় মজবুত।

চুল উজ্জ্বল করেঃ উজ্জ্বল ও ঝলমলে চুল কে না পেতে চায়, কিন্তু নানা কারণে চুল তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। আপনি যদি পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করেন তবে তা আপনার চুলে উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি চুল ও মাথার ত্বক কন্ডিশনড করতেও সাহায্য করে।

খুশকি দূর করেঃ খুশকির সমস্যা সমাধানে একটি সহজ উপায় হলো পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করা। এতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে কাজ করে। ফলে পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করলে তা খুশকি প্রতিরোধে কাজ করে।

কন্ডিশনিং হিসাবে কাজ করেঃ নিয়মিত পেঁয়াজের তেল দিয়ে মাসাজ করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। সেইসঙ্গে চুলের গভীরে পুষ্টির জোগান দেয় এই তেল। শুষ্ক ও নিস্তেজ চুলের সমস্যা দূর করে পেঁয়াজের তেল। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধিও হয় চোখে পড়ার মতো।

পাকা চুল কালো করেঃ
অনেকের অল্প বয়সেই চুল পেকে যায়। এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে পেঁয়াজের তেল। এতে আছে ভিটামিন, খনিজ ও শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যে কারণে পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে পাকা চুল ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করে। তাই যাদের অল্প বয়সে পাকা চুলের সমস্যা রয়েছে তারা ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের তেল।

চুলের বৃদ্ধিচক্র উন্নত করেঃ পেঁয়াজের তেল মাথার ত্বকের নির্দিষ্ট এনজাইমকে সক্রিয় করে যা চুলের বৃদ্ধিচক্রকে গতিশীল করে। চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া হ্রাস ও চুলের সুস্থতা রক্ষায় পেঁয়াজ তেল উপকারী।

চুল পাতলা হওয়া ও ফাটা কমেঃ পেঁয়াজের তেল উচ্চ সালফার সমৃদ্ধ হওয়াতে চুল পড়া, ফাটা এবং পাতলা হওয়ার সমস্যা কমায়। সালফার চুলের প্রোটিন তৈরি করে ও শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।

অকালপক্কতা কমায়ঃ পেঁয়াজের নির্দিষ্ট কিছু এনজাইম চুলকে উন্মুক্ত রেডিকেলের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে।

পিএইচ এর ভারসাম্য রক্ষাঃ সুস্থ চুলের মূল চাবিকাঠি হল সুস্থ মাথার ত্বক। পেঁয়াজের তেল মাথার ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করেঃ পেঁয়াজ তেল ব্যবহার মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, খুশকি ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে।

চুলের স্বাস্থ্য ভালো করেঃ নিয়মিত ব্যবহারে পেঁয়াজের তেল চুল সুস্থ, মজবুত, জটমুক্ত ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। পেঁয়াজ ও মধুর মিশ্রণ চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত দুয়েক সপ্তাহ এই মিশ্রণ ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

পেঁয়াজের তেল মাথার ত্বককে উদ্দিপিত করে এবং সারা রাত চুলে তেল রেখে গোসলের সময় শ্যাম্পু করলে ভালো কাজে দেয়। সপ্তাহে দু-তিনবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

চুলে অনিয়ন অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা

পেঁয়াজের তেলে থাকা সালফার চুল ভেঙে যাওয়া, বিভক্ত হওয়া এবং পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের অন্যান্য পুষ্টিগুণ চুলের অক্সিডাইজিং বন্ধ করে। চুলের পিএইচকে স্বাভাবিক স্তরে রাখে এবং তাড়াতাড়ি ধূসর হওয়া আটকায় পেঁয়াজের তেল। এছাড়াও পেঁয়াজের রস চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয় এবং এতে থাকা সালফার চুলের ফলিকলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। 
 
পেঁয়াজের তেল মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, রক্তের প্রবাহ বাড়ায় এবং ঘন ও শক্তিশালী চুলের বিকাশকে উৎসাহিত করে। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন এবার জেনে নিন চুলে অনিয়ন অয়েল ব্যবহারের উপকারিতাঃ-
  • পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি কার্যকরভাবে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, ফলে চুল পড়া কমে।
  • নতুন চুল গজানোর জন্য এটি অন্যতম কার্যকর তেল। প্রতিদিন অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করে টাক পড়া রোধ এবং এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।
  • অনিয়ন অয়েলে থাকা সালফার চুল সহজে ছিঁড়ে যাওয়া, ফেটে যাওয়া বা পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজে এমন পুষ্টি উপাদানও রয়েছে যা চুলে অক্সিডাইজ হওয়া আটকায়। চুলের পিএইচ বজায় রেখে অকালে পেকে যাওয়া রোধ করা হয়।
  • পেঁয়াজের রস এজন্য ভাল কারণ এতে উপস্থিত সালফার ,চুলের ফলিকলের অবস্থাকে আরও ভাল করে তোলে।
  • আপনার স্ক্যাল্পকে খাবার জোগানো এবং তাতে রক্ত চলাচল বাড়ানোর জন্য এই প্রোডাক্টটি আপনার চুলকে ঘন এবং আরও মজবুত করে তুলতে পারে। চুল বাড়িয়ে এবং ঘন করে তোলার জন্য এটি শ্রেষ্ট তেল।
  • মাথার ক্রাউন এরিয়াতে চুলের বৃদ্ধির জন্য অনিয়ন অয়েল নিয়মিত লাগালে চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি খুশকি এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
  • যারা তাদের চুল লম্বা করতে চান, তাদের জন্য অনিয়ন অয়েল হল একটি সাশ্রয়ী উপায় যা চুলকে মজবুত ও সুপুষ্ট করে তুলবে, সেইসাথে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হবে। তাই এটিকে চুল বাড়িয়ে এবং ঘন করে তোলার জন্য সেরা হেয়ার অয়েল বলা হয়।
  • আপনি যদি অনিয়ন অয়েল থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে চান তবে আপনি এটিকে অন্য কোনও কেরিয়ার অয়েল যেমন অলিভ বা কোকোনাট অয়েলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। উজ্জ্বল এবং সুপুষ্ট চুলও অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করে উপকার পেতে পারে।
  • শ্যাম্পু করার আগে, আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পকে পুষ্টি দিতে এতে কিছুটা অনিয়ন অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে শুষ্কতা এবং জট লেগে যাওয়া রোধ করে।
চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য অনিয়ন অয়েল
 
পেঁয়াজের পুরো গুণাগুণ পেতে, বাড়িতে ছোট ছোট পেঁয়াজ থেকে তেল বের করতে বলা হয়। টাক নিরাময়ের জন্য, প্রায় 15-20 মিনিট ধরে স্ক্যাল্পে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ঘন্টা রাখার পরে কোনো ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুলে থাকা তেল ধুয়ে বের করে দিন। দ্রুত ফলাফল পেতে, দু'দিন পরপর এই পদ্ধতিটি করুন।

গরম অনিয়ন অয়েল এবং কোকোনাট অয়েল দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প এবং পুরো চুল ম্যাসাজ করুন। অনিয়ন অয়েল এবং বিশুদ্ধ কোকোনাট অয়েল উভয়ের উপকার পেতে দুটিকে একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। এটিকে কয়েক ঘন্টা রেখে একটি অর্গানিক শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হবে, চুল কন্ডিশনড্ হবে এবং মজবুত হবে।

ঘরে বসে এই সহজ উপায়গুলি মেনে চলে চুলের বৃদ্ধির জন্য সেরা হেয়ার অয়েল উপকার নিন।

পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম

চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের তেল বেশ কার্যকর। এটি অকালে চুল পাকা রোধ করতে পারে। পেঁয়াজের তেল তৈরি করে ফেলতে পারেন বাসাতেই। এক বছর পর্যন্ত বয়ামে সংরক্ষণ করা যাবে এই তেল। পেঁয়াজের তেল তৈরির সময় আরও কিছু উপাদান যোগ করলে পাবেন বাড়তি পুষ্টি। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন এবার জেনে নিন পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে-

আপনি যদি চুল লম্বা করতে চান, পেঁয়াজের তেল সাহায্য করতে পারে। যেকোনো ক্যারিয়ার তেল যেমন নারকেল বা জলপাই তেল, পেঁয়াজ তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে মাথার ত্বকের পুষ্টির জন্য কন্ডিশনার হিসেবে পেঁয়াজ তেল ব্যবহার করুন। এটি চুলকে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।

পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম-১
 
যা যা লাগবেঃ
  • নারকেল তেল- ১ কাপ
  • মেথি দানা- ১ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ- মিডিয়াম সাইজের ২টি
  • রসুন- ১/৪ কাপ
  • সরিষার তেল- ১/৪ কাপ ও ২/৩ কাপ
  • কারি পাতা- আধা কাপ
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল- ৫টি (ছোট আকারের)
তৈরি পদ্ধতিঃ

মেথি দানা ২ টেবিল চামচ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। পেঁয়াজ বড় টুকরো করে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। রসুনের কোয়া ও ১/৪ কাপ সরিষার তেল দিয়ে দিন। মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণে কারি পাতা ও ভিজিয়ে রাখা মেথি দানা দিয়ে আবারও ব্লেন্ড করুন।
  • মোটা তলানিযুক্ত আয়রনের কড়াইয়ে নারকেল তেল ও ২/৩ কাপ সরিষার তেল দিন।ভালো করে মিশিয়ে দিন।
  • চুলার আঁচ একদম মৃদু থাকবে।
  • ব্লেন্ডারে তৈরি করা মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
  • ৪০ থেকে ৪৫ চুলায় রেখে নাড়ুন অনবরত।
  • নামিয়ে একটি ছাঁকনির উপর পাতলা কাপড় বিছিয়ে আলাদা করে নিন তেল।
  • এই তেল কাচের বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করতে পারবেন এক বছর পর্যন্ত। পেঁয়াজের মিশ্রণটিও ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন হেয়ার প্যাক হিসেবে।
পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম-২
একটা বড় পেঁয়াজ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা পেঁয়াজে ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ আমন্ড অয়েল, ২ চামচ জোজোবা অয়েল, ১০ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল, ১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল, ১০ ফোঁটা রোসমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল এবং ১০ ফোঁটা লেমন এসেন্সিয়াল অয়েল মেশান। মেশানো হলে ভালোমতো ফুটিয়ে নিন। বেশি আঁচে ফোটাবেন না। ফুটানো হলে ছাঁকনিতে ছেকে পরিষ্কার বোতলে ঢেলে রাখুন। ঠান্ড হওয়ার পর মাথায় ম্যাসাজ করুন।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসের মাস্ক

চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক’য়ের প্রচলন রয়েছে। নানান রকম প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা মিশ্রণ যা ‘মাস্ক’ হিসেবে পরিচিত। এই ধরনের মাস্ক যেমন উপকারী তেমনি রাসায়নিক উপাদান থাকে না বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও কম। লম্বা সুন্দর চুলের জন্য নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের মাস্ক। নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন এবার জেনে নিন চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসের মাস্কের উপকারিতা কথাঃ-
উপকরণঃ দুই থেকে তিন টেবিল-চামচ পেঁয়াজের রস। দুই টেবিল-চামচ ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল। একটা তুলার প্যাড।
পেঁয়াজ ছাড়াও ক্যাস্টর অয়েল মাথার ত্বক মসৃণ রাখে। এতে আছে রাইসিনোলিয়েক অ্যাসিড এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মাথায় ঠিক মতো মালিশ করা হলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে বৃদ্ধি ঘটায়।

পদ্ধতিঃ একটা পেঁয়াজ ছোট টুকরা করে কেটে নিন। টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তা মিহি কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের গন্ধ অনেকের অপছন্দ হতে পারে। তবে তা ঘন চুলের জন্য উপকারী।
  • পেঁয়াজের রস বের করে তাতে সম-পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল মেশান।
  • একটা তুলার প্যাড এই মিশ্রণে ডুবিয়ে তা মাথার ত্বকে মালিশ করুণ এবং বাকি রস সম্পূর্ণ চুলে মেখে নিন।
  • মিশ্রণটি চুলে মেখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
ব্যবহারঃ এই মাস্ক চুল ঘন ও মজবুত করতে সহায়তা করে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে। পেঁয়াজের গন্ধ দূর করতে সুগন্ধিযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়

প্রতিদিনের রূপচর্চায় বাড়িতে আমরা কতকিছুই-না ব্যবহার করি। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কখনো ভিড় করি পার্লারে। তবুও যেন ত্বকের মলিন ভাব একদমই কাটতে চায় না। অতিরিক্ত কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে যেন চুলও নির্জীব হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তালিকার প্রথমেই রাখুন পেঁয়াজকে।ত্বকের নানান সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি এটি চুলের যত্নেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
 
নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ও চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন, কিন্ত পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয় তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব উপাদান আমাদের ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু পেঁয়াজের রস লাগিয়েই ত্বকের নানান সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
 
আসুন জেনে নিই পেঁয়াজের কিছু কার্যকরী গুণের কথাঃ-

কিন্তু তার আগে জানা প্রয়োজন, কেন এমনটা হয়, মুখের লাল দাগের আসল কারণ হল ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। যদি আপনার শরীরে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যায়, তখনই এমনটা হবে।

১। অল্প বয়সেই যদি আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে, তবে অযথা দুশ্চিন্তা করে ত্বকের আরও ক্ষতি করবেন-না যেন। কাজে লাগিয়ে দিন পেঁয়াজের রসকে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পেঁয়াজের রস মুখে লাগান। নিয়মিত এটি রাতে শোবার আগে ব্যবহার করলে বলিরেখা অনেকটাই কমে যায়।

২। রোদে পুড়ে ত্বকের জেল্লা হারিয়ে গেলে তা ফেরাতে দারুণ কাজ করে পেঁয়াজের রস। এর জন্য ১/২টি পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ চা-চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। অল্প মধুও দিতে পারেন। ফেসপ্যাকের মতো এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৩। ব্রণ দূর করতেও দারুণ কাজ করে পেঁয়াজের রস। এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে ১/২টি পেঁয়াজের রসের মধ্যে মিশিয়ে নিন ২ চামচ টকদই ও সামান্য পরিমাণে মধু। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুদিন এটি ব্যবহার করুন।

৪। অনেকেই হাতের চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা সমাধানে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পেঁয়াজের রস হাতের তালুতে লাগিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে হাত ধুয়ে ফেলুন।

তবে অনেকেই পেঁয়াজের তীব্র গন্ধের কারণে এটি ব্যবহার করতে চান না। তাই পেঁয়াজের গন্ধ দূর করতে এর সঙ্গে লেবুর রস, দই, নারকেল তেল কিংবা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
 
৫। দাগ দূর করতে নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-পিগমেন্টেশন বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে।

এর জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ পেঁয়াজের রস তুলোর সাহায্যে লাল হয়ে যাওয়া জায়গায় লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। প্রায় ১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এটি করলে আপনি শীঘ্রই ফ্রেকলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

৬। মুখের দাগ দূর করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মুখের দাগ কমাতে পারে। মুখে ব্যবহার করতে ১ চা চামচ পেঁয়াজের রসে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ত্বকের যত্নে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন, এবার জেনে নিন ত্বকের যত্নে পেঁয়াজের রসের ব্যবহারপেয়াজের রস ও পেস্ট ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাসে যদি দুবার ত্বকে পেঁয়াজের রস লাগানো যায় তাহলে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে আপনি চাইলে অন্য উপাদানও মিশিয়ে নিতে পারেন; যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কোন কোন উপাদান মেশাবেন এবং পেঁয়াজের রস ত্বকে কী কী উপকার করে সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো

পেঁয়াজের রস ও গোলাপজলঃ
প্রথমে মুখে পেঁয়াজের রস লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর পেঁয়াজের পেস্ট লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার একটি তুলার বলে গোলাপজল লাগিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। গোলাপজল থাকা অবস্থায় মুখ শুকিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। পেঁয়াজের রসের কারণে ত্বকের কোষের মুখ খুলে যায় এবং গোলাপজল কোষের ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।

পেঁয়াজের রস ও নারিকেলের পানিঃ মুখে পাতলা করে পেঁয়াজের পেস্ট লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার নারিকেলের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।

পেঁয়াজের রস ও দুধঃ
প্রথমে ঠান্ডা দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজের পেস্ট মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পেঁয়াজের রস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা ঘণ্টা পর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের খসখসে ও কালচে ভাব দূর করবে।

পেঁয়াজের রস ও আমন্ড অয়েলঃ
পেঁয়াজের রস দিয়ে মুখ হালকা ম্যাসাজ করে পেঁয়াজের পেস্ট লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর আমন্ড অয়েল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করে নিন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এটি খুবই উপকারী। আর আমন্ড অয়েলে ভিটামিন ই থাকে যা ত্বকে নরম ও মসৃণ করে।

পেঁয়াজের রস ও তেলঃ
যাদের শুষ্ক ত্বক তারা পেঁয়াজের রস ব্যবহারের পর নারিকেল তেল, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এক সপ্তাহ প্রতিদিন দিনে অন্তত দুবার মুখে পেঁয়াজের রস লাগান। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে মুখে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি শীতের সময় ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলবে।

দাড়ি গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার

মুখভর্তি দাড়ি রাখার ইচ্ছা থাকলেও অনেক পুরুষ তা রাখতে পারেন না। কাঙ্ক্ষিত দাড়ি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না অনেক যুবকেরই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল ও লোশন কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো দাড়ি গজাতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়। তবে সেসব খরচসাপেক্ষ বিষয় এবং সেইসঙ্গে থাকতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।
দাড়ি-গজাতে-পেঁয়াজের-রসের-ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানলেন, তাহলে আপনার যদি মুখভর্তি দাড়ি পাওয়ার প্রত্যাশা থাকে তবে বেছে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে দাড়ি গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহারঃ-
 
আরও পড়ুনঃ-

নির্দিষ্ট বিরতিতে দাড়ি ছাঁটুনঃ চুল বা দাড়ি ঘন ঘন কাটলেই লম্বা হয় এমন একটি ধারণা থাকে বেশিরভাগ মানুষের। আসলে এটি ঠিক নয়। এর বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তাই ঘন ঘন না কেটে নির্দিষ্ট বিরতি নিন। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বিরতিতে দাড়ি ছাঁটুন। এত ঘন দাড়ি পাওয়া সহজ হবে।

পেঁয়াজের রস ব্যবহারঃ পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে ঘন চুল কিংবা দাড়ি পাওয়া সম্ভব। কারণ পেঁয়াজের রসে থাকে সালফার। নিয়মিত মুখে এবং দাড়ির গোড়ায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে তা দাড়ির ঘনত্ব ও বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়।

হালকা গরম পানির ব্যবহারঃ
দাড়ির সঠিক বৃদ্ধির জন্য মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। সেজন্য হালকা গরম পানি দিয়ে দিনে ২-৩ বার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে নতুন দাড়ি গজানো সহজ হবে। ফলে দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।

ম্যাসাজ করুনঃ আপনার মুখে যদি কোঁকড়ানো দাড়ি বিক্ষিপ্তভাবে থাকে তবে সেগুলো ছেঁটে ফেলতে পারেন। কারণ এরকম দাড়ি থাকলে তা অন্য দাড়ির বৃদ্ধিতে বাঁধা দিতে পারে। এছাড়া দিনে অন্তত ২ বার ১০ মিনিট করে মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে মুখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে দাড়ি বাড়বে দ্রুতই।

স্ক্রাব করুনঃ স্ক্রাব করা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি নতুন দাড়ি গজানোর পক্ষেও সহায়ক। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে স্ক্রাব করুন। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে গজাবে নতুন দাড়ি। 

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন, চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা, চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের সাথে যা যা মিশাবেন, চুলের বৃদ্ধির জন্য কীভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন, চুলে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম, চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয়, চুলে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি পেঁয়াজের রস চুলের জন্য কতোটা উপকারী সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

পেঁয়াজের রস বা তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের বৃদ্ধিতে বা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এই পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজে আছে সালফার, যা আপনার চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এমনকী চুল পড়া কমা ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই পেঁয়াজের রস কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আপনার ত্বক ভালো রাখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায়তা করে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url