গুগল সার্চ কনসোল কি কেনো ব্যবহার করবেন


গুগল সার্চ কনসোল হলো Google দ্বারা প্রদত্ত একটি বিনামূল্যের ওয়েব পরিষেবা যার সাহায্যে আপনি Google সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের কর্মক্ষমতা এবং ট্রাফিক পরিমাপ করতে পারবেন। গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েব পারফরম্যান্স সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।

গুগল-সার্চ-কনসোল-কি-কেনো-ব্যবহার-করবেন-২০২৪

এছাড়াও আপনার সাইটের মোট ক্লিক, ইম্প্রেশন, গড় CTR এবং অবস্থান ইত্যাদি জানতে পারবেন। তাছাড়া, আপনি দেখতে পাবেন কোন প্রশ্নগুলি ব্যবহারকারীদের আপনার সাইটে নিয়ে যায়, আপনার সমস্ত পৃষ্ঠার জনপ্রিয়তা র‌্যাঙ্কিং তালিকা এবং প্রতিটি পৃষ্ঠায় ব্যবহারকারীর আচরণ।কিভাবে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে যুক্ত করবেন সে বিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

পেইজ সূচিপত্রঃ গুগল সার্চ কনসোল কি, কেনো ব্যবহার করবেন

গুগল সার্চ কনসোল কি

গুগল সার্চ কনসোল কি গুগল সার্চ কনসোল হলো ওয়েবসাইট বা ব্লগিং ভিত্তিক গুগলের একটি ফ্রী সার্ভিস, যা ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ করতে এবং সার্চ রেজাল্ট ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এর মাধ্যমে গুগল আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করে।

গুগল সার্চ কনসোল মূলত ওয়েবসাইট মালিদের গুগলের সাথে যোগাযোগের অন্যতম একটি অফিসিয়াল মাধ্যম, শুধু তাই নয় গুগল ও প্রত্যেক ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে সার্চ কনসোলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। গুগল সার্চ কনসোল এ আপনার ওয়েবসাইট ভেরিফাইড করা থাকে, গুগল আপনার সাইটের বিভিন্ন ধরনের কভারেজ ইস্যু, ইন্ডেক্সিং এরর এবং পেনাল্টি বিষয়ক তথ্য দিয়ে থাকে।

গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যুক্ত করার নিয়ম

আমরা অনেকেই গুগল সার্চ কনসোলে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট যুক্ত করতে হয় সে নিয়ম হয়তো সঠিকভাবে জানি না। গুগল সার্চ কনসোল এ ব্লগার সাইট যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ। গুগল সার্চ কনসোল এ ওয়েবসাইট যুক্ত না করলে আপনার সাইটটি গুগলে লাইভ হবে না। অর্থাৎ গুগলে সার্চ করে আপনার সাইটটি কখনই পাওয়া যাবে না।

গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যুক্ত করার নিয়ম

১। আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে যুক্ত করতে ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে ভিজিট করুন https://search.console.google.com/। এখন আপনার কাঙ্ক্ষিত জিমেইলে লগইন করুন।

২। গুগল সার্চ কনসোল এ লগইন করার পর একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। উপরে বাম পাশের Search Property অপশন থেকে Add Property তে ক্লিক করুন।

৩। Add property তে ক্লিক করার পর একটি পেজ প্রদর্শিত হবে। এখানে আপনি দুইভাবে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে যুক্ত করতে পারবেন। প্রথমটি হচ্ছে Domain এবং দ্বিতীয় টি URL prefix। আমরা URL prefix এর মাধ্যমে আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট Search Console এর সাথে যুক্ত করব। সুতরাং URL prefix সিলেক্ট করে সেখানে আপনার ডোমেইন বা সাবডোমেইন টাইপ করুন। অতঃপর Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৪। এখন উপরোক্ত পেজ প্রদর্শিত হবে। এখানে আপনি যে উক্ত ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক সেটা ভেরিফাই করতে হবে। ভেরিফাই করার জন্য এখানে অনেকগুলো অপশন রয়েছে যেমন HTML file, HTML tag, Google Analytics, Google tag manager। কিন্তু আমরা এখানে HTML tag এর মাধ্যমে আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভেরিফাই করব। সুতরাং HTML tag এ ক্লিক করুন।

৫। এখানে Google একটি HTML tag প্রদান করবে যেটি কপি করে আপনার ব্লগারের এইচটিএমএল কোড এর মধ্যে সেভ করতে হবে। Copy বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ কোডটি কপি করুন। অতঃপর অন্য একটি উইন্ডোতে আপনার ব্লগারে লগইন করুন।

৬। এখন আপনার ব্লগারে লগইন করে, বামপাশের সাইডবার থেকে Theme অপশনে গিয়ে Edit HTML এ ক্লিক করুন।

৭। এখানে আপনার ব্লগারের এইচটিএমএল পেজটি ওপেন হবে। তবে কোড গুলো দেখে ভয় পাবার কোন কারন নেই। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। এখানে আপনি <head> সেকশনটি খুজে বের করুন। যদি অপশনটি খুজে বের করতে অসুবিধা হয় তাহলে কি বোর্ডের Ctrl+F প্রেস করুন এবং সার্চ বক্সে <head> টাইপ করুন। সার্চ বক্সে টাইপ করার সাথে সাথে <head> অপশনটি মার্ক হয়ে যাবে। এখানে গুগল সার্চ কনসোল এর উক্ত কোড টি পেস্ট করে সেভ করতে হবে।

৮। এরপর <head> এর শেষে মাউসের Right button এ ক্লিক করে Enter প্রেস করুন। তাহলে পরবর্তি লাইনে <head> এর পর একটি blank বা ফাকা line হয়ে যাবে, এখানে HTML tag টি Pest করতে হবে।

৯। <head> সেকশনে কোডটি পেস্ট করার পর উপরের ডান পাশের Save আইকনটিতে ক্লিক করুন এবং ফাইল টি সেভ করুন। যথাযথভাবে ফাইলটি সেভ হয়ে গেলে Update successful লেখা আসবে। এখন পুনরায় গুগল সার্চ কনসোল এ ফিরে যান।
Search console verify ownership

১০। এখন HTML tag এর Verify অপশনটিতে ক্লিক করুন এবং Ownership Verify করুন।

১১। ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করার পর Ownership Verified নামক একটি মেসেজ শো করবে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট যথাযথভাবে গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে যুক্ত হয়েছে।

১২। এখন Sitemap Submit করতে হবে। Sitemap Submit করতে নিচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

গুগল সার্চ কনসোলে সাইটম্যাপ সাবমিট করার নিয়ম

সার্চ কনসোলে ব্লগ বা ওয়েবসাইট Add করার পর আপনাকে এখানে Sitemap Submit করতে হবে।Sitemap Submit করতে Search console এ বাম পাশের সাইড বারে Sitemaps অপশনে ক্লিক করুন। অতঃপর লক্ষ্য করুন Add a New Sitemap অপশনে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ডোমেইন এর পাশে একটি বক্স রয়েছে। উক্ত বক্সে sitemap.xml টাইপ করুন এবং SUBMIT বাটনে ক্লিক করুন।

Sitemap যথাযথ ভাবে Submit করা হলে Sitemap Submitted Successfully দেখাবে। এবং Submitted Sitemaps এর Status এ Success লেখা দেখাবে।

এখন আপনার ব্লগ এর পোস্টগুলো কে Search console এ ইনডেক্স করতে নিচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

গুগল সার্চ কনসোলে ইউ আর এল ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করার নিয়ম

Search console এ আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট যুক্ত করার পর, পরবর্তী কাজ হলো আপনার ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেলগুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা। আপনি যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলগুলো ইন্ডেক্স না করেন তাহলে সেগুলো গুগোল এর সার্চ রেজাল্টে শো করবে না। আর সেটা করতে হয় গুগল সার্চ কনসোল থেকে।

তবে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কোনো একটি আর্টিকেল পোস্ট করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলে ইনডেক্স হয়ে যাবে। কিন্তু যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনডেক্স না হয় তাহলে নিচের প্রক্রিয়া অনুসরন করে ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে পারবেন-

১। আপনার পোষ্টটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইনডেক্স হয়েছে কিনা সেটা দেখতে আপনার Search console Dashboard এ লগ ইন করুন। অতঃপর বামপাশের সাইডবারে URL Inspection এ ক্লিক করুন। এবং সার্চ বক্সে উক্ত আর্টিকেলটির URL বা Permalink প্রদান করুন এবং কীবোর্ড এর Enter বাটনে ক্লিক করুন।

২। আর্টিকেল বা পোস্ট স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইনডেক্স না হয় তাহলে উপরের ছবির ন্যায় একটি মেসেজ দেখাবে। এখন আপনার উক্ত আর্টিকেল বা পোস্টটি ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে হবে। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। তার জন্য আপনাকে শুধু Request Indexing এ ক্লিক করতে হবে। এবং ৫-৮ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।

৩। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষার পর Indexing Requested নামক একটি মেসেজ আসবে। অর্থাৎ আপনার URL টি ইনডেক্স এর জন্য Request রাখা হয়েছে। এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার আর্টিকেল বা পোস্টটি Google এ ইনডেক্স হয়ে যাবে।

৪। আপনার আর্টিকেল বা পোস্টটি যদি স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইনডেক্স হয়ে যায় তাহলে একটি মেসেজ দেখাবে।

গুগল সার্চ কনসোল কেন ব্যবহার করবেন

সকল ওয়েবসাইট মালিকের কাছে ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার জন্য গুগল সার্চ কনসোল একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি গুগল সার্চ কনসোলের প্রয়োজনীয়তা কখনোই অস্বীকার করতে পারবেন না। আমরা সকলেই জানি একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে সবার আগে নিয়ে আসতে এসইও অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

গুগল সার্চ কনসোল আপনাকে সাহায্য করে এটি বুঝতে যে, আপনার এসইও সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না। গুগল সার্চ কনসোল বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয়। গুগল সার্চ কনসোল কেন ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু কারণ নিচে বর্ণনা করা হলো।

  • গুগলে ঠিকমতো সাইট ইনডেক্স হয়েছে কিনা তা জানার জন্য এই টুল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।
  • কোনো পেজ ইনডেক্স না হলে বা ইনডেক্স রিলেটেড কোনো সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান করার জন্য সার্চ কনসোল প্রয়োজন।
  • গুগল থেকে আসা সার্চ ট্র্যাফিক সম্পর্কে ধারণা পেতে এই টুল প্রয়োজন।
  • গুগলে কি কি কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করা হয়েছে সে সকল ডেটা পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে এসইও এবং কনটেন্ট অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে।
  • যে কোন ধরনের ইনডেক্স, স্প্যাম সহ অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে অ্যালার্ট পেতে গুগল সার্চ কনসোল সহায়তা করে।

গুগল সার্চ কনসোলের গুরুত্বপূর্ণ ৭ কাজ 

গুগল সার্চ কনসোলের কাজের ক্ষেত্র ব্যাপক। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর থেকে এর কাজ শুরু হয় যা ওয়েবসাইট পার্মানেন্ট বন্ধ হওয়ার পর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। গুগল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের উন্নতি এবং অবনতি খুঁজে বের করতে পারবেন। নিচে সার্চ কনসোলের কাজ কি কি তা বর্ণনা করা হলো।

ইউআরএল ইন্সপেকশনঃ আপনি যখন সার্চ কনসোলে আপনার ওয়েবসাইট দিয়ে ভেরিফাই করবেন তখন সেটি অটোমেটিক ইন্সপেক্ট হয়ে ডেটা শো করবে। কিন্তু আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট পেজের ডেটা লাগে তখন কি করবেন?

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য গুগল সার্চ কনসোলে URL Inspection নামক একটি অপশন পাবেন। এখানে কাঙ্ক্ষিত URL দিয়ে Inspect বাটুনে ক্লিক করলে উক্ত লিংক সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। এখানে আপনার HTTP রিকোয়েস্ট সেন্ড হয়েছে কিনা বা কোনো ইরর আছে কিনা তা চিহ্নিত করা যায়।

গুগল ফেচ  ফিচারঃ গুগলে কোনো ওয়েবসাইট সাবমিট করা হলে তাদের সিস্টেম থেকে একটি বট এসে পুরো সাইট ক্রল করে। বট পুরো ওয়েবসাইট ক্রল করে সেখান থেকে ডেটা নিয়ে গুগলকে দেয় যা পরবর্তীতে আমরা সার্চ পেজে দেখতে পাই।

কোন কারণে যদি কোন ওয়েব পেজ ইনডেক্স না হয় অথবা ইনডেক্স হওয়ার পর সার্চ পেজে শো না করে তবে এই ফিচার কাজে লাগে। প্রধানত গুগলের ফেচ ফিচার ব্রোকেন ইনডেক্স পেজ ঠিক করতে এবং গুগল ওয়েব পেজকে কীভাবে দেখে তা জানতে ব্যবহার করা হয়।

এতে আপনি ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিটি সমস্যাযুক্ত পেজ ঠিক করতে পারবেন যা র‍্যাঙ্কিং সহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক সাহায্য করে। অন্যদিকে আপনার কাঙ্ক্ষিত পেজ কেন ইনডেক্স হচ্ছে না এবং হলেও কত সময়ের মাঝে ইনডেক্স হবে সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন।

সার্চ রিপোর্টঃ সার্চ রিপোর্ট হচ্ছে আপনার পুরো ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ ডেটা। এখানে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করার পর কি কি পরিবর্তন হয়েছে বা ভিজিটর আসার কারণে আপনার ওয়েবসাইট ভ্যালু যোগ হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন।

সাধারণত সার্চ রিপোর্টে অন্যান্য তথ্যের সাথে সাথে Impression, CTR, Clicks এবং Position থাকে। অর্থাৎ আপনার সাইট সার্চ পেজে কোথায় আছে, কেমন ভিজিটর পাচ্ছে, কোথায় ভিজিটর বেশি সময় দিচ্ছে ইত্যাদি বিষয় সার্চ রিপোর্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন।

অ্যাপেয়ারেন্সঃ স্ট্রাকচারড ডেটা সার্চ ইঞ্জিন পেজে টপে থাকার জন্য অনেক কার্যকরী অপশন। তাছাড়া গুগলের সম্প্রতি চালু করা Highlight ফিচার সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য অ্যাপেয়ারেন্স সেটিং ব্যবহার করতে হয়।

তো সার্চ কনসোলের Data Highlighter অপশন ব্যবহার করে আর্টিকেল, ইভেন্টস, লোকাল বিজনেস, রেস্টুরেন্ট, বুকস, প্রোডাক্টস ইত্যাদি পেজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করা যায়। এই ফিচার একই সাথে ইউজারদের সহজে প্রয়োজনীয় ডেটা খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং সার্চে র‍্যাংক করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

মোবাইল ইউজাবিলিটিঃ আমরা ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। মোবাইলে আমাদের ওয়েবসাইট কেমন দেখা যায় এবং মোবাইল রিলেটেড সকল সমস্যা মনিটর করার জন্য এই ফিচার কার্যকরী।

তাছাড়া সাইট রেস্পন্সিভ কিনা বা আলাদা AMP পেজ আছে কিনা এবং থাকলে সেই সম্পর্কিত সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য মোবাইল ইউজাবিলিটি অপশন ব্যবহার করা হয়।

রিমুভ ইউআরএলঃ প্রায় সময় ওয়েবসাইটে 404 Not Found ইরর সম্বলিত পেজ চোখে পরে। একজন ইউজার যখন দেখে ওয়েবসাইটে এই সমস্যা আছে তখন তারা পুরো ওয়েবসাইট স্কিপ করে চলে যায়। এতে একাধারে বাউন্স রেট বারে, র‍্যাঙ্কিং কমে, ভিজিটর বিরক্ত হয়, বিশ্বাস কমে, ওয়েবসাইটের অথরিটি কমে যায়।

এগুলো যে কোনো ওয়েবসাইটের জন্য খারাপ সংকেত। তাছাড়া গুগল ইনফরমেশন ছাড়া খালি পেজ পছন্দ করে না। যদি আপনি সার্চ কনসোলে এরকম কোন সমস্যা দেখেন তখন রিমুভ ইউআরএল ফিচার ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে সেই পেজ সরিয়ে দিতে পারবেন।

অন্যদিকে কোনো পেজ যদি সার্চ ইঞ্জিনে ভুলে ইনডেক্স হয়ে যায় যেমন ক্যাটাগরি, তখন এই ফিচার ব্যবহার করে উক্ত পেজ বা লিংক সার্চ পেজ থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন।

সাইটম্যাপঃ একটি ওয়েবসাইটে কতগুলো এবং কি কি লিংক আছে তাদের সমন্বয়ে তৈরি হয় সাইটম্যাপ। সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যোগ করার পর সাইটম্যাপ যোগ করতে হয়। এতে সার্চ কনসোল এবং গুগল বুঝতে পারে সাইটে কি কি লিংক আছে।

এতে গুগল যে ক্রল বট পাঠায় তা খুব দ্রুত ওয়েবসাইট ক্রল করে ডেটা সংগ্রহ করতে পারে। কারণ ক্রলারকে নতুন করে প্রতিটি লিংক ডাউনলোড করতে হয় না। সাইটম্যাপ সাবমিট করার কারণে তা আগে থেকেই প্রসেস হয়ে থাকে।

গুগল সার্চ কনসোলের বৈশিষ্ট্য

পারফরম্যান্স ট্যাবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার ওয়েবসাইটটি Google-এ কোন পৃষ্ঠা এবং কোন কীওয়ার্ডের জন্য র‌্যাঙ্ক করে। আপনি গুগল ডিসকভার এবং গুগল নিউজে আপনার কন্টেন্টের পারফরম্যান্সের রিপোর্টও পাবেন যদি আপনি এটির জন্য যোগ্য হন। এতদিন শুধুমাত্র ৯০ দিন পর্যন্ত ডেটা দেখতে পেতেন, কিন্তু এখন ১৬ মাস পর্যন্ত ডেটা দেখা সম্ভব। গুগল সার্চ কনসোলের বৈশিষ্ট্যগুলো জেনে নিন-

পারফরম্যান্স ট্যাবঃ পারফরমেন্স ট্যাবে, আপনি গুগলে কোন পৃষ্ঠা এবং কীওয়ার্ডগুলি র ranking্যাঙ্ক করছে তা পরীক্ষা করতে পারেন। আপনি ১৬ মাস পর্যন্ত ডেটা চেক করতে পারেন। আপনি একটি অ্যাকাউন্ট সেট আপ করার মুহূর্ত থেকে ডেটা পাওয়া যায়। আপনি ক্লিক, ছাপ, গড় CTR, এবং গড় অবস্থান দ্বারা বিভাগগুলি বাছাই করতে পারেন।

ক্লিকসঃ ক্লিকের সংখ্যা বলে যে কতজন ব্যবহারকারী গুগলে আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করেন। এই ডেটা মেটা শিরোনাম এবং বর্ণনাগুলির কর্মক্ষমতা সম্পর্কে কথা বলে। যদি আপনি শুধুমাত্র কয়েকটি ক্লিক পান, তাহলে আপনি অনুসন্ধানের ফলাফলে আলাদা নাও হতে পারেন। আপনি প্রদর্শিত অন্যান্য ফলাফল দেখতে পারেন।

আপনার স্নিপেট অনুসন্ধান ফলাফলের অবস্থান আপনার প্রাপ্ত ক্লিকের সংখ্যাকেও প্রভাবিত করে। যদি আপনার পৃষ্ঠাটি প্রথম পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়, বিশেষত গুগল অনুসন্ধান ফলাফলের শীর্ষ ৩ এ, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য পৃষ্ঠার তুলনায় উচ্চতর ক্লিক পাবে।

ইমপ্রেশনঃ সার্চ ফলাফলে আপনার পৃষ্ঠা কতবার দেখানো হয় তা হল ছাপ। উদাহরণস্বরূপ, আপনি জুতা বিক্রি করেন এবং আপনার ওয়েবসাইট 'স্নোবোর্ড জুতা' শব্দটির জন্য স্থান পেয়েছে। এই কীওয়ার্ডের জন্য ইম্প্রেশনের সংখ্যা দেখাবে গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইট এই কিওয়ার্ডের বিপরীতে কতবার দেখানো হয়। যাইহোক, আপনি জানেন না কীওয়ার্ডের জন্য কোন পৃষ্ঠাটি স্থান পায়।

গড় সিটিআরঃ ক্লিক-থ্রু-রেট-CTR হল সেই ব্যবহারকারীদের শতাংশ যা সার্চ রেজাল্টে দেখার পর আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছে। উচ্চতর র্যাঙ্কিং উচ্চতর CTR বাড়ে। সিটিআর বাড়ানোর জন্য আপনি যে জিনিসগুলি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে মেটা বর্ণনা এবং পৃষ্ঠার শিরোনাম পুনর্লিখন।

গড় অবস্থানঃ গড় অবস্থান হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি পৃষ্ঠা বা কীওয়ার্ডের গড় র ranking্যাঙ্কিং। যদিও গড় অবস্থান সবসময় নির্ভরযোগ্য নয় যেহেতু গুগল বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ফলাফল দেয় যা তাদের জন্য উপযুক্ত। যাইহোক, এই সূচকটি এখনও ক্লিক, ছাপ এবং সিটিআর সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।

সূচক কভারেজঃ গুগল সার্চ কনসোলে ইনডেক্স কভারেজ কিছুটা টেকনিক্যাল কিন্তু মূল্যবান। এই বিভাগটি সর্বশেষ আপডেট থেকে গুগলে সূচীকৃত পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা সম্পর্কে কথা বলে। এটি সূচীকৃত পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা এবং কোন ত্রুটি এবং সতর্কতাগুলি তাদের সূচী হতে বাধা দিচ্ছে সে সম্পর্কেও বলে।

আপনার ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠাগুলিকে গুগলে প্রদর্শিত হতে বাধা দিচ্ছে এমন ত্রুটি এবং সতর্কতা দেখতে নিয়মিত এই ট্যাবটি চেক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাইহোক, গুগল সার্চ কনসোল নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি দেয় যখন এটি কোন ত্রুটি খুঁজে পায়। ত্রুটিটি সঠিকভাবে কাজ না করা, পৃষ্ঠার থিমগুলিতে ত্রুটি বা গুগল একটি ভাঙা কোড খুঁজে পেতে পারে।

ইউআর এল পরিদর্শনঃ ইউআরএল পরিদর্শন সরঞ্জাম দিয়ে, আপনি ইউআরএল বিশ্লেষণ করতে পারেন। আপনি গুগলের সূচী থেকে উদ্ধারকৃত পৃষ্ঠাগুলিকে তুলনা করতে পারেন যেগুলি সবেমাত্র লাইভ হয়েছে। আপনি প্রযুক্তিগত তথ্যেও অ্যাক্সেস পাবেন যেমন Google কখন এবং কীভাবে পৃষ্ঠাটি সূচী করেছে এবং পৃষ্ঠাটি যখন সূচী করা হয়েছিল তখন কেমন ছিল।

গুগল সার্চ কনসোল সেটিংসের কাজ

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সংক্রান্ত বহুবিধ কাজ সম্পাদন করা যায়। গুগল সার্চ কনসলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং গুগল সার্চ কনসোল সেটিংসের কাজ কি তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

  • ওয়েবসাইটের যেকোনো পেজ ইনডেক্স করা যায়
  • ওয়েবসাইটের পেজ ইনডেক্স আছে কিনা চেক করা যায়
  • ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজের ইন্ডেক্সিং সমস্যা দেখা যায়
  • কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া গেছে চেক করা যায়
  • ওয়েবসাইট কোন কোন কুয়েরিতে র‍্যাঙ্ক করছে তা চেক করা যায়
  • ৭ দিন, ২৮ দিন, ৩ মাস, ৬ মাস, ১২ মাস এবং ১৬ মাস সহ যেকোনো সময়ের রিপোর্ট দেখা যায়
উপরে উল্লেখ করে দেয়া কাজগুলো ছাড়াও আরও অনেক কাজ করা যায় গুগল সার্চ কনসোল এর সাহায্যে। গুগল সার্চ কনসোল হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর জন্য ফ্রি টুল যা দিয়ে ওয়েবমাস্টাররা তাদের ওয়েবসাইট ইনডেক্স করা সহ ওয়েবসাইট ভিজিটরদের সামনে প্রদর্শন করার সকল কাজ করতে পারে।

একটি ওয়েবসাইট ইনডেক্স রিকুয়েস্ট করার পর ওয়েবসাইটটি ইনডেক্স হয়েছে কিনা সেটিও চেক করা সম্ভব Google Search Console দিয়ে। এছাড়া, যেকোনো পেজ ইনডেক্স না হলে, ইনডেক্স কেন হয়নি সেটিও দেখা যায় গুগল সার্চ কনসোল থেকে। এক্ষেত্রে, URL Inspection এবং Live Testing ফিচারটি অনেক কাজে এসে থাকে।

গুগল সার্চ কনসলের বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে তো জানা হলো। এখন আমরা গুগল সার্চ কনসোলে থাকা বিভিন্ন অপশন নিয়ে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। যারা নতুন ব্লগিং করছেন বা এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তারা এগুলো জানার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।

ওভার ভিউঃ গুগল সার্চ কনসোল এর Overview অপশন থেকে আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে সকল তথ্যের একটি সামারি দেখতে পাবো। (তার আগে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, একটি সার্চ কনসোল অ্যাকাউন্টে আমরা একের অধিক Domain property বা URL Prefix প্রোপার্টি হিসেবে যুক্ত করতে পারবো।) Overview অপশন থেকে বিগত তিন মাসে আমাদের ওয়েবসাইট গুগল থেকে কতটি ক্লিক পেয়েছে সেটি দেখতে পারবো।

এছাড়াও, আমাদের ওয়েবসাইটের মোট কতটি পেজ গুগলে ইনডেক্স হয়েছে এবং কতটি পেজ ইনডেক্স হয়নি সেটিও দেখতে পারবো। এগুলো ছাড়াও, Core Web Vital, HTTPS সহ আরও অনেক Experience এবং Enhancements অপশন দেখতে পারবো।

পারফরমেন্সঃ Overview অপশনের একদম নিচেই রয়েছে Performance ট্যাব। এখানে ক্লিক করলে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সময়ের রিপোর্ট দেখা যায়। Sort করে যেকোনো সময়ের বা যেকোনো দিনের রিপোর্ট দেখতে পারবেন এই অপশন থেকে। Most Recent Date, Last 7 Days, Last 28 Days, Last 3 months, Last 6 months, Last 12 months, Last 16 months সহ কাস্টম ডেট সিলেক্ট করেও রিপোর্ট দেখা যায় এই অপশন থেকেই।

এছাড়াও, আমাদের ওয়েবসাইটের কোন কোন পেজে ভিজিটররা গুগল থেকে সার্চ করে ক্লিক করেছে এবং কোন কোন কীওয়ার্ড বা কুয়েরি লিখে সার্চ করার পর আমাদের ওয়েসাইটে ক্লিক করেছে সেটিও দেখতে পারবো এখানে থেকে। পাশাপাশি, ভিজিটররা কোন দেশ থেকে, কোন ডিভাইস ব্যবহার করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছে সেটিও দেখতে পারবো আমরা এই অপশন থেকেই।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর কাজের ফলাফল আমরা গুগল সার্চ কনসোলের পারফরম্যান্স অপশন থেকেই দেখতে পারবো। এখানে ইম্প্রেশন, ক্লিক, এভারেজ পজিশন এবং ক্লিক থ্রু রেট দেখা যায়।

ইউ আর এল ইন্সপেকশনঃ Performance অপশনের ঠিক নিচেই URL Inspection অপশনটি দেখতে পারবো। এখানে ক্লিক করলে একটি সার্চ বার ওপেন হয় যেটি সার্চ কনসলের ঠিক উপরের দিকে মাঝখানে অবস্থিত। এখানে আমাদের ওয়েবসাইটের যেকোনো পেজের URL লিখে এন্টার প্রেস করলে উক্ত পেজটি গুগলে ইনডেক্স হয়েছে কিনা সেটি জানতে পারবো। এছাড়াও, ইনডেক্স না হয়ে থাকলে Live Testing এর মাধ্যমে পেজটি গুগলে ইনডেক্স হতে পারে কিনা সেটিও জানতে পারবো।

ইনডেক্সিংঃ গুগল সার্চ কনসলের Indexing অপশনে আমরা কয়েকটি অপশন দেখতে পারবো। Pages, Sitemaps এবং Removals । Pages অপশনে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইটের মোট কতটি পেজ গুগলে ইনডেক্স হয়েছে এবং কতটি পেজ ইনডেক্স হয়নি সেটি দেখতে পারবো। এছাড়াও, যেসব পেজ ইনডেক্স হয়নি, সেসব পেজ ইনডেক্স না হওয়ার কারণও আমরা এখানেই দেখতে পারবো।

বিভিন্ন কারণে আমাদের ওয়েবসাইটের পেজ ইনডেক্স না হতে পারে, সেগুলোর কারণ এখানে থেকে দেখা যায়। পাশাপাশি, সেসব সমস্যা সমাধান করে validation করে দেয়া যায় এই অপশন থেকেই। ফলে, গুগলের ক্রোলার বট আবারও সেসব পেজ ক্রোল করে দেখে সমস্যাগুলো আছে কিনা। সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে সেগুলো Pass করে দেয়।

Sitemaps অপশনে আমাদের ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপের লিংক যুক্ত করে দিতে পারবো। এতে করে, গুগল ক্রোলার বট এর ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটের পেজগুলো ক্রোল করতে সুবিধা হবে। ফলে, আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য যে ক্রোল বাজেট আছে, সেটি অপচয় হবেনা। Sitemaps অপশনের নিচে থাকা Removals অপশনে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইটের যেকোনো পেজ আমরা গুগল থেকে রিমুভ করে দেয়ার জন্য সেই পেজের ইউআরএল দিয়ে রিকুয়েস্ট করতে পারি। এতে করে, গুগল থেকে আমাদের ওয়েবসাইটের সেসব ইউআরএল রিমুভ করে দেয়া হবে।

এক্সপেরিয়েন্সঃ গুগল সার্চ কনসোলের Indexing ট্যাব এর নিচেই রয়েছে experience ট্যাব। এখানে, Page Experience, Core Web Vitals, HTTPS অপশন রয়েছে। Page Experience এবং Core Web Vitals অপশন থেকে পেজ স্পিড এবং ওয়েবসাইটের স্পিড সম্পর্কে জানা যায়। Core Web Vitals হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের পেজ স্পিড চেক করার মেট্রিক্স যা গুগল থেকে দেয়া হয়।

এগুলো ছাড়াও, HTTPS অপশনে ওয়েবসাইটের কতটি পেজ HTTPS ভার্সনে আছে এবং HTTPS সংক্রান্ত কোনো SSL প্রবলেম আছে কিনা তা এখানে থেকে দেখা যায়। ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের Experience ভালো করার জন্য এই ট্যাবে থাকা অপশনগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি।

ইনহেন্সমেন্টসঃ গুগল সার্চ কনসলের Enhancements অপশন থেকে Breadcrumbs, Discussion Forum, FAQ, Sitelinks Searchbox, Videos সহ আরও অনেক অপশন রয়েছে। ওয়েবসাইটের উপর ভিত্তি করে এই অপশনগুলো আরও কম হতে পারে বা বেশি হতে পারে। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অপশন সম্পর্কে এখানে রিপোর্ট দেয়া থাকে। উপরেও যে অপশনগুলো উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে, এগুলো Valid কিনা এবং কোনো Error আছে কিনা তা এখানে থেকে জানতে পারবেন।

লিংকসঃ গুগল সার্চ কনসোলের Links অপশন থেকে আমাদের ওয়েবসাইট কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক বা ব্যাকলিংক পেয়েছে তা জানতে পারবো। এছাড়াও, আমাদের ওয়েবসাইটের Internal Links এবং External Links এর রিপোর্ট এখানে দেখতে পারবো। আমরা কোন কোন অ্যাংকর টেক্সট এ লিংক পেয়েছি সেগুলো জানতে পারবো এই অপশন থেকেই। একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল লিংক সম্পর্কে সার্চ কনসোলের এই অপশনে রিপোর্ট পাওয়া যায়।

ব্লগার বা ওয়েবসাইট গুগলে Rank না করার কারন

আজকে আমরা এমন ১৫ টি বিষয়ের ওপরে কথা বলবো, যেগুলোর কারণে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স বা র্যাংক হচ্ছেনা। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর আর্টিকেল গুগল সার্চে র্যাংক (rank) বা ইনডেক্স (index) না হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতেই পারে। হয়তো আপনি সঠিক ভাবে Search Engine Optimization (SEO) করছেননা ? তাছাড়া, হতে পারে বিভিন্ন অন্যান্য কারণের ফলে, গুগল আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক বা ইনডেক্স করছেনা।
ব্লগার-বা-ওয়েবসাইট-গুগলে-Rank-না-করার-কারন
এই প্রত্যেক কারণ গুলোর বিষয়েই আজকে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো।

বর্তমান সময়ে, blogging নিয়ে অনেকের মনে একটি আকাংক্ষ্যার সৃষ্টি হয়েছে। এবং, blogging এর প্রতি থাকা এই আকাংক্ষ্যার কারণ হলো, ব্লগ থেকে ইনকাম করার সুযোগ। কিন্তু, blogging কে বর্তমানে একটি processional business বা career হিসেবে লোকেরা নিচ্ছেন। আর তাই, এই ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা প্রত্যেকেই জানি, একটি ব্লগ থেকে income করার জন্য সেই ব্লগে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার unique visitors দের প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে গুগল সার্চ (Google search) আমাদের ব্লগে প্রত্যেকদিন অসংখ্য organic traffic দিতে পারে। আর তাই, একজন blogger হিসেবে আমাদের ব্লগে Google Search Engine ফ্রীতে visitors বা traffic আনার চেষ্টা আমাদের সবসময় থাকছে।

তবে মনে রাখবেন, গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনার blog বা ব্লগের আর্টিকলে যদি কোনো রকমের আপত্তি জনক তথ্য বা কার্যকলাপ গুগল দেখতে পায়,তাহলে, আপনার article, blog বা content গুগল কখনোই তার সার্চ রেজাল্টে index বা rank করবেনা।

চলুন নিচে আমরা প্রত্যেকটি কারণের বিষয়ে জেনেনেই, যেগুলোর জন্যই হয়তো গুগল আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট র্যাংক (rank) করছেনা।

১. New website or blog
যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ নতুন, তাহলে Google Bots সেই নতুন ওয়েবসাইট crawl করতে সময় অবশই নিবে। একটি নতুন ওয়েবসাইট গুগল সার্চে ইনডেক্স ও র্যাংক (rank) হতে হতে প্রায় ১ মাস খানিক সময় লাগতেই পারে। তাই, যদি আপনার blog site নতুন করে গুগলে জমা করা হয়েছে, তাহলে সম্পূর্ণ ব্লগ গুগলে index ও rank হতে সময় লাগবে। আপনি, Google search এর মধ্যে গিয়ে, “site:banglatech.info” লিখে সার্চ দিন। মনে করে, banglatech.info জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে দিন।

এবার, যদি গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সম্পূর্ণ ভাবে ইনডেক্স (index) করেছে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ পেজ গুলো গুগলের search result page এর মধ্যে দেখতে পাবেন। আর, যদি গুগল আপনার ওয়েবসাইটের page বা article এখনো index করেনি, তাহলে result page এর মধ্যে কিছুই দেখানো হবেনা। তাহলে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনারা জেনেনিতে পারবেন যে, গুগল আপনার website pages গুলোকে index করেছে কি করেনি।

এখন, যদি আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পেজ গুলো গুগল index করেছে, তাহলেও কিন্তু একটি নতুন ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গুগলের প্রথম পাতায় র্যাংকিং (ranking) পাওয়াটা সোজা নয়। কেননা, যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ নতুন, যখন সেই ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি (DA) প্রচুর কম থাকবে।এবং, একটি নতুন ও কম ডোমেইন অথরিটি (DA) থাকা ওয়েবসাইটের কন্টেট / আর্টিকেল এর ওপর গুগলের ভরসা থাকেনা।

তাই, আপনি যতটাই ভালো ও হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখছেন না কেন, একটি নতুন ওয়েবসাইটের জন্য প্রথম ২ থেকে ৩ মাস গুগলের প্রথম পাতায় ranking পাওয়ার সুযোগ প্রচুর কম।হে, যখন আপনি regular নিজের ব্লগে article publish করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার ব্লগ সাইট এর DA (domain authority) বৃদ্ধি পাবে।

ফলে, যদি আপনি ভালো ভালো, high quality এবং SEO optimized article লিখছেন,তাহলে সেগুলোকে গুগলের প্রথম সার্চ রেজাল্ট পেজে র্যাংক (rank) হতে কেও বাধা দিতে পারবেনা। তবে, এই পরামর্শ ছিল নতুন blog বা website এর জন্য।

যদি আপনার website বা blog অনেক পুরোনো তবে তাও আপনারা গুগলে ranking পাচ্ছেননা, তাহলে নিচে দেওয়া কারণ গুলো দেখুন।

২. High competitive keywords
আমি আগেই বলেছি, বর্তমানে blogging এর industry তে প্রচুর competition এর সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক দিন একি বিষয়ে হাজার হাজার blog post publish করা হচ্ছে এবং সেগুলো গুগলে index করানো হচ্ছে।এখন, যদি আপনি এমন একটি বিষয় (topic) নিয়ে ব্লগ তৈরি করছে বা এমন একটি keyword target করে আর্টিকেল লিখছেন,যেই, বিষয়ে বা keyword নিয়ে আগের থেকেই গুগলে হাজার হাজার তথ্য / ওয়েবসাইট রয়েছে,

তাহলে আপনার জন্য সেই বিষয় বা কীওয়ার্ড নিয়ে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় রাংকিং (ranking) পেতে প্রচুর প্রতিযোগী ওয়েবসাইটের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে, যদি আপনার প্রতিযোগী ওয়েবসাইট গুলোর content quality, SEO এবং domain authority সবটাই উচ্চমানের,তাহলে আপনার জন্য সেই keyword বা বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইটি টি গুগলে র্যাংক করানোটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

তবে, সম্ভব হলেও এরকম একটি competitive keyword এর জন্য ওয়েবসাইট rank করানোর জন্য আপনার প্রচুর কাজ করতে হবে।

  • যেমন,ব্যাকলিংক তৈরি করা
  • সঠিক Off-page SEO
  • সঠিক On-page SEO
  • সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং
তাই, হতে পারে আপনার ব্লগে লিখা আর্টিকেল বা কনটেন্ট গুলোতে high competitive keywords ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং যার জন্যে, আপনার ব্লগের আর্টিকেল গুলো গুগলের প্রথম পাতায় rank করতে পারছেনা। এর জন্য, আমার কেবল একটি পরামর্শ থাকছে।

আপনি আর্টিকেল লেখার আগে, “Keyword research” অবশই করবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে, আপি গুগল সার্চ হওয়া যেকোনো keyword এর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। Google search engine এ, একটি কীওয়ার্ড প্রত্যেক মাসে কতবার search করা হচ্ছে, keyword গুলোকে টার্গেট করে আগের থেকে লেখা কতটি আর্টিকেল গুগল রয়েছে মানে, keyword এর competition, সম্পূর্ণটা আপনারা keyword research এর মাধ্যমে জেনেনিতে পারবেন।

ফ্রীতে, কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আমি “keyword planner tool” ব্যবহার করি।

৩. Quality content এর অভাব
যদি আপনারা quality content লিখছেননা, তাহলে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় ranking পেতে সমস্যা অবশই হবে। এখন প্রশ্ন হলো এই quality content বা quality article মানে কি, এর উত্তর অনেক সোজা। কোয়ালিটি আর্টিকেল মানে হলো, আর্টিকেল গুলোকে এমন ভাবে লিখা যেগুলোর মাধ্যমে আপনার visitors রা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা সমাধান খুঁজে পেতে পারে।

আমি বর্তমানে প্রায় অনেক ব্লগার দের দেখেছি, যারা স্পষ্ট ভাবে আর্টিকেল লিখেননা। কোনোভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের ভেতরে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে দেন। তাছাড়া, আর্টিকেল লিখার কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা তাদের মধ্যে থাকেনা। যার ফলে, visitors রা তাদের আর্টিকেল গুলো পছন্দ করেননা এবং গুগলেও আর্টিকেল পেজ গুলো র্যাংক হয়না।

তাই, যদি আপনিও যেকোনো ভাবে কেবল ৩০০ থেকে ৬০০ বা ৭০০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করছেন,তাহলে অবশই গুগল সার্চে র্যাংকিং (ranking) পেতে সমস্যা হবে। তাই সব সময় যেকোনো বিষয়ে detailed article লিখার চেষ্টা করবেন। ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন এবং কমেও ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে একটি তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টায় থাকবেন।

মনে রাখবেন, যেকোনো বিষয়ে কেবল আপনি ব্লগ লিখছেননা।গুগল সার্চে যেকোনো বিষয় বা কীওয়ার্ড নিয়ে আগের থেকেই প্রচুর ওয়েব পেজ রয়েছে। তাই, low quality কনটেন্ট লিখলে Google আপনার ওয়েবসাইট কেন র্যাংক করবে যখন তার কাছে আগের থেকেই প্রচুর ভালো ভালো কনটেন্ট রয়েছে।

৪. Manual actions check করুন
যদি কোনোভাবেই আপনার ব্লগ সাইট এর ওপরে manual actions এর প্রভাব পড়েছে, তাহলে গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইট দেখানো হয়না। এবং, ওয়েবসাইট গুগল সার্চে দেখানো না হলে ranking কিভাবে পাবেন ও traffic বা কিভাবে পাবেন। Manual actions হলো সেই প্রক্রিয়া, যেখানে গুগলের কর্মচারীরা (officials) আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ধরণের illegal activities, spamming এবং fraudulent বা fishy activities দেখেন।

ফলে, গুগলের কর্মচারীরা manually আপনার ওয়েবসাইট এর ডোমেইন টিকে block বা penalize করে।আপনার ওয়েবসাইট এর ওপরে manual actions এর প্রভাব পড়েছে কি না, সেটা যাচাই করার জন্য, আপনারা যেতে হলে “Google search Console” এর মধ্যে। Google search console এর “security & manual action” ট্যাব এর মধ্যে click করুন এবং তার পর “manual action” ট্যাবে ক্লিক করুন। আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগল দ্বারা penalize করা হয়েছে, তাহলে আপনারা এখানে দেখতে পারবেন। তাছাড়া, গুগলের দ্বারা আপনার registered email address এর মধ্যে email পাঠিয়েও জানানো হয়।

৫. Google আপনার ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করছে তো 
অনেক সময় বিভিন্ন crawling errors এবং issues এর জন্য গুগল আমাদের ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ বা কনটেন্ট crawl করতে পারেনা। আর, যখন Google bots আমাদের ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করবেনা, তখন ওয়েবসাইটের pages গুলো index হবেনা আর ফলে সেই page গুলো গুগল সার্চে rank হবেনা। তাই, নিজের website এর সাথে সংযুক্ত Google search console account এর মধ্যে গিয়ে “Index >> Coverage” ট্যাবে click করুন।

যদি কোনো সমস্যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা ক্রল করা হচ্ছেনা, তাহলে লাল রঙের “error” দেখানো হবে। তাছাড়া, কেন গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেজ গুলোকে crawl করতে পারছেনা, সেই বিষয়েও সেখানে বলা হবে।Robots.txt file এর ওপর নজর দিন।
আমাদের প্রত্যেকের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি robots.txt ফাইল রয়েছে। নিজের ওয়েবসাইটের এই রোবট ফাইল চেক করার জন্য ব্রাউজারে “banglatech.info/robots.txt” টাইপ করুন।

এই রোবট ফাইল এর কাজ হলো Google বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশ দেওয়া বা বলা যে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের কোন page গুলোকে crawl করতে হবে এবং কোন গুলোকে করতে হবেনা। যদি যেকোনো ভুলের কারণে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের robots.txt ফাইল টিকে উল্টো পাল্টো করে এডিট করে দিয়েছেন, তাহলেও কিন্তু গুগল আপনার সাইট crawl ও index করতে পারবেনা। সুনিশ্চিত করুন যে আপনার robots.txt ফাইল গুগল বোট (google bots) গুলোকে ব্লক করছেনা।

৬. আপনার ওয়েবসাইটে “no-index” tag ব্যবহার করছে নাতো 
একটি ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ লিংক (link) বা কিছু কিছু লিংক (link) গুলোকে search engine গুলোতে index হওয়ার থেকে বাধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় “No-index” ট্যাগ। তাই যদি আপনি ভুলে কোনো ওয়েব পেজ এর মধ্যে এই ট্যাগ ব্যবহার করেছেন,তাহলে, সার্চ ইঞ্জিনে no-index করা সেই ওয়েব পেজ টি দেখানো হবেনা বা র্যাংক করা হবেনা।

তাছাড়া, যদি আপনি একজন WordPress user এবং নিজের ওয়েবসাইটে Yoast SEO plugin ব্যবহার করছেন,তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে, আমি নিজের Yoast SEO plugin এর setting সঠিক ভাবে করেননি।
যার ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের কিছু কিছু অংশ (page) বা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট no-index হয়ে রয়েছে।

৭. Low quality backlink
গুগল যখনি একটি ওয়েবসাইটের যেকোনো পেজ crawl, index এবং rank করে। তখন, backlinks কে কিন্তু সেই পেজ এর একটি ranking factor হিসেবে নিয়ে সেটাকে rank করে। আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের পেজ গুলোতে low quality backlinks রয়েছে না high quality backlink, সেটা কিন্তু Google search ranking এর একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তাই, যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য low quality backlinks তৈরি করছেন,

যেমন,Spam website থেকে,
Low quality directory থেকে,
Low quality backlinks কিনছেন,

যদি আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের জন্য এই ধরণের নিম্ন মান থাকা (low quality) ব্যাকলিংক তৈরি করছেন বা কিনছেন,তাহলে সেই খারাপ ব্যাকলিংক গুলো আপনার গুগল র্যাংকিং (Google ranking) এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব অবশই ফেলবে।

তাছাড়া, খারাপ আর লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এর ফলে, গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে “penalize” করতে পারে।এবং এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের গুগল র্যাংকিং মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাবে।

Domain authority, Google website ranking এবং website traffic বাড়ানোর জন্য, “backlinks” অবশই অনেক জরুরি। তবে, high-quality backlinks বানানোর চেষ্টা করবেন।

মনে রাখবেন, ১০ টি উচ্চ মানের ভালো ব্যাকলিংক এর value ১০০ টি নিম্ন মানের লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এর তুলনায় অনেক বেশি।

তাই, backlink কম বানালেও ক্ষতি নেই, তবে ভালো high authority ওয়েবসাইট গুলোর থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করার চেষ্টা রাখবেন।

High-quality backlink তৈরি করার কিছু টিপস নিজের ব্লগে উচ্চ মানের ও high quality content লিখুন ও পাবলিশ করুন। ফলে, লোকেরা নিজে নিজেই আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে বাধ্য হবেন। High authority blog গুলোতে guest post করুন। নিজের blog / website এর বিষয়ের সাথে জড়িত অন্যান্য do-follow ব্লগ গুলোতে comment করুন। Top high quality blog directory গুলোতে নিজের blog যোগ করুন।Social bookmarking sites গুলোতে নিজের ব্লগ পোস্ট শেয়ার / জমা করুন।

৮. Website penalized by Google
অনেক সময় হয়ে থাকে যে, আমাদের ওয়েবসাইট এর গুগল সার্চ র্যাংকিং (Google search ranking) হঠাৎ নিজে নিজেই কমে যায়। ওয়েবসাইটে হঠাৎ গুগল সার্চ ট্রাফিক কমে আশা মানেই হতে পারে “আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা প্যানেলাইজ” করা হয়েছে। আসলে গুগল যেকোনো ওয়েবসাইট কেবল তখন penalize করে যখন গুগলের Google’s quality guidelines গুলোর উলঙ্ঘন করা হয়।

আর এক্ষেত্রে, গুগল সম্পূর্ণ ভাবে বা কিছু পরিমানের ওয়েব পেজ গুলোকে নিজের search result page থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে দিতে পারে।

চলুন জেনেনেই, কোন কোন মূল কারণে গুগল যেকোনো website কে penalize করতে পারে।“Over keyword optimization” মানে, যেকোনো আর্টিকেলে একটি keyword এর অত্যাধিক ব্যবহার করলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজটি penalize করতে পারে।

Black hat SEO techniques মানে, গুগল সার্চে অবৈধ ভাবে website এর ranking বৃদ্ধি করার জন্য যেগুলো খারাপ SEO optimization গুলো করা হয় সেগুলো করে থাকলেও Google থেকে penalty ১০০% পাবেন। যদি ওয়েবসাইটে thin content publish করছেন এবং quality content লিখছেননা, তাহলে penalty পাওয়ার সুযোগ থাকছে। আপনার ওয়েবসাইটে low quality spam backlinks বা paid backlinks থাকলে।
আপনার web page গুলোর bounce rate অনেক বেশি হলে।

যদি আপনার ব্লগ Google penalty’র ফাঁদে পড়েছে, তাহলে আপনার ranking অবশই কমে আসবে।

৯. ওয়েবসাইটের bounce rate কম থাকলে
দেখুন, যখন আমাদের আর্টিকেল গুলো ভিসিটর্স রা পড়েন, তখন যদি সেটা কাজের আর্টিকেল হয়ে থাকে, তাহলে ভিসিটর্সরা অনেক সময় নিয়ে সেই আর্টিকেল পড়বেন। কিন্তু, যদি আমাদের আর্টিকেল ভিসিটর্স দেড় প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা সমাধান দিতে পারছেনা বা ইউসার এর প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিকতা (relevancy) নেই। তাহলে ভিসিটর্স রা অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।

এবং, ইউসার বা ভিসিটর এর এই ব্যবহারের ওপর নজর রেখেই গুগল যেকোনো keyword, key term বা search quarry সাথে আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিকতার (relevancy) অনুমান করে। ফলে, যদি আপনার ব্লগে আসা user বা visitors অনেক সময় নিয়ে আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্ট পড়ছেন।তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে উচ্চমানের এবং high quality.

আর তাই, আপনার article page টিকে গুগল তার search result page এর মধ্যে প্রথমেই র্যাংক (rank) করবে।এর বিপরীতেই,যদি আপনার ব্লগের article page বা web page এ আসা visitors রা কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়ে return চলে যাচ্ছেন,

তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে low quality বা irrelevant content.যখন visitors রা অনেক সময় লাগিয়ে আমাদের কনটেন্ট পড়েন, তখন সেই পেজের bounce rate কমে আসে।
যখন visitors রা কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়েই return চলে যায়, তখন সেই আর্টিকেল পেজের bounce rate বৃদ্ধি পায়।

এক্ষেত্রে গুগল থেকে নিজের টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুলোর থেকে ট্রাফিক পাওয়ার জন্যে নিজের আর্টিকেল পেজ গুলোর bounce rate কমেও ৬০% রাখার চেষ্টা করবেন। আপনারা, Google analytics এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট এবং web page গুলোর bounce rate দেখে নিতে পারবেন।

১০. Google algorithm update
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল পেজ না দেখানোর কারণ হতে পারে “Google এর algorithm updates“.তারজন্যে প্রথমেই আপনার বুঝতে হবে “গুগল এলগরিদম টা কি। গুগল এই এলগোরিদম গুলোর মাধ্যমেই index করা প্রত্যেক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ গুলোর ওপরে নজর রাখে। কোন ওয়েবসাইট কিরকম backlink তৈরি করছে, কোন ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করা হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটে SEO over optimization বা keyword stuffing করা হচ্ছে।

তাই, যখন গুগল এই এলগোরিদম আপডেট গুলো নিয়ে আসে, তখন অবশই low quality এবং irrelevant web page গুলোর ওপর খারাপ প্রভাব পরে। এই এলগোরিদম আপডেট এর ফলে কিছু কিছু ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ র্যাংকিং আরো ভালো হয়ে যায়। এবং, কিছু কিছু ওয়েবসাইটের ranking নিচে নেমে আসে বা একেবারেই নাই হয়ে যায়।

প্রায় ২০১২ বা তার আগের সময়ে গুগল কেবল বছরে বছরে কিছু আপডেট নিয়ে আসতো। তবে এখনের সময়ে, প্রত্যেক মাসে মাসে গুগলের এলগোরিদম আপডেট গুলো নিয়ে আসা হয়। তাই, low quality এবং thin content থাকা web page গুলোর ranking সময়ে সময়ে কমতে থাকে।

১১. Poor Page loading Speed
Google অফিসিয়ালি announce করেছে যে, web page গুলোর loading speed কিন্তু ranking factor হিসেবে ধরা হবে। তাই, যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ গুলো প্রচুর slow loading হচ্ছে। তাহলে গুগলে ranking না পাওয়ার এটাও একটি বড় কারণ হতে পারে। বর্তমান সময়ে, slow loading website কিন্তু গুগলের নজরে একটি low quality website এর সমান। তাই, নিজের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ভালো রাখার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইট কমেও ৫ সেকেন্ড এর ভেতরে সম্পূর্ণ লোড হলে সেটা ভালো।তাছাড়া, একটি ভালো lightweight WordPress theme এবং cloud hosting ব্যবহার করে আপনারা নিজের ওয়েব পেজের লোডিং এর দ্রুততা প্রায় ৬০% বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

১২. Mobile friendly website
বর্তমান সময়ে প্রায় ৮০% ওয়েব সার্চ একটি smartphone এর মাধ্যমে করা হয়। আর তাই, গুগল mobile-friendly search results গুলোকে আরো উন্নত করার উদ্দেশ্যে এটাকে একটি ranking factor হিসেবে নেওয়া আরম্ভ করেছে। মানে, website এর mobile-friendly হওয়াটা একটি ranking factor হিসেবে ধরা হয়।এক্ষেত্রে, যদি আপনার ওয়েবসাইটের theme বা structure, মোবাইল ডিভাইস গুলোতে website এর mobile version দেখাচ্ছেনা। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট mobile friendly না।

আর সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই কারণেই আপনার ওয়েবসাইটের Google ranking কমে এসেছে বা ranking একেবারেই নেই। তাই, যেকোনো website এর জন্য theme select করার আগেই দেখে নিবেন সেটা mobile responsive theme কি না। একটি responsive theme যেকোনো device এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট adjust হয়ে যাবে।আপনি Google এর mobile friendly testing tool ব্যবহার করে দেখতে পারবেন যে, আপনার ওয়েবসাইট mobile-friendly কি না।

১৩. Keyword stuffing করা
আমি আগেও আপনাদের অনেক বার বলেছি যে, নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখার সময় keyword stuffing করবেন না। Keyword stuffing হলো এমন এক black hat SEO over optimization technique.এই প্রক্রিয়াতে, একটি আর্টিকেল লিখার সময় কেবল ১ টি বা একাধিক keyword target করে আর্টিকেলের মধ্যে বার বার ব্যবহার করা হয়।

ফলে, সেই টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর জন্য গুগল সার্চে আপনার আর্টিকেল ২ দিনের মধ্যেই ভালো ranking পেয়ে যায়। এই keyword stuffing এর প্রক্রিয়া ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলোকে গুগল সহজেই কিছু দিনের মধ্যে খুঁজে ফেলে। এবং তার পর, সেই article page বা কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ website টিকে penalize করে দেওয়া হয়।

ফলে, হঠাৎ আপনার ওয়েব পেজ গুলোর google ranking নাই হয়ে যায়। তাই, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় এই ধরণের keyword stuffing যদি আপনি করেছেন। আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় জোর করে প্রয়োজন ছাড়া একি কীওয়ার্ড অত্যাধিক ব্যবহার করছেন,

তাহলে নিশ্চই এটাই কারণ যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চে rank হচ্ছেনা। Keyword stuffing থেকে বাঁচার জন্যে, সঠিক keyword density বজায় রেখে আর্টিকেল লিখবেন।

১৪. Duplicate content এর ব্যবহার
যদি আপনি অন্যের ব্লগ থেকে কনটেন্ট চুরি করে বা কপি করে নিজের ব্লগে পাবলিশ করছেন,তাহলে এক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুগল সার্চে কোনো ভাবেই rank বা index করা হবেনা। মনে রাখবেন, গুগল অনেক সহজেই বুঝতে পারে যে, আপনি যেকোনো কনটেন্ট নিজেই তৈরি করেছেন নাকি অন্যান্ন ওয়েবসাইট থেকে কপি করেছেন।

তাছাড়া, কোন ওয়েবসাইটে চুরি করা বা কপি করা কনটেন্ট টি আগেই পাবলিশ করা হয়েছে, সেটাও গুগল জানে। তাই, যদি আপনার ব্লগে মূলত অন্যান্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে কপি করা বা চুরি করা কনটেন্ট রয়েছে, তাহলে গুগল সার্চে ranking পাওয়ার আপনার স্বপ্ন কেবল স্বপ্ন থেকে যাবে।

১৫. Poor SEO optimization
যদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট search engine এর জন্য সঠিক ভাবে optimize করা নেই, তাহলে কিন্তু Google search ইঞ্জিনে ranking পেতে আপনার সমস্যা অবশই হবে। যদি আপনারা নিজের article page গুলোকে Google search result page এর প্রথম পাতায় দেখতে চান, তাহলে, নিজের আর্টিকেল গুলোকে সঠিক ভাবে SEO optimize করতেই হবে। সঠিক SEO techniques ছাড়া বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট র্যাংক করানোটা অসম্ভব ব্যাপার।

কেননা, আপনার লেখা আর্টিকেলের বিষয় নিয়ে গুগলের কাছে আগের থেকেই প্রচুর ওয়েবসাইট এর তালিকা রয়েছে। তাই, গুগল সেগুলোকে ছেড়ে কেন আপনার ওয়েব পেজটি প্রথম পাতায় দেখতে যাবে। SEO techniques এর ব্যবহার করে আমরা গুগল কে বুঝিয়ে দিতে পারি যে,

“আমাদের লিখা কনটেন্ট বা আর্টিকেলটি, গুগলে সার্চ করা কীওয়ার্ড বা প্রশ্নের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই, ভালো করে SEO optimized article লিখলে, গুগলের প্রথম search result পেজে আপনার কনটেন্ট দেখানোর সুযোগ প্রচুর থাকছে। যদি আপনার লিখা কনটেন্ট বা আর্টিকেল SEO friendly না হয় তাহলে অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায় আপনার কনটেন্ট এর ranking কমে আসবে।

গুগল সার্চ কনসোল ইন্টিগ্রেশন কি

সার্চ কনসোলের সাথে ইন্টিগ্রেশন আপনাকে আপনার সাইটের সাথে সম্পর্কিত জৈব অনুসন্ধান বিশ্লেষণ করতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, সার্চের ফলাফলে আপনার সাইটটি কোথায় র‍্যাঙ্ক করা হয়েছে, কোন কোয়েরিগুলি ক্লিকের দিকে নিয়ে যায় এবং সেই ক্লিকগুলি কীভাবে ব্যবহারকারীর আচরণে অনুবাদ করে, যেমন কোন ল্যান্ডিং পৃষ্ঠাগুলি ব্যবহারকারীদের বেশি করে এবং কতজন ব্যবহারকারী একটি মূল ইভেন্টের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে তা দেখতে পারেন।
গুগল-সার্চ-কনসোল-ইন্টিগ্রেশন-কি
অ্যানালিটিক্স-এ, আপনি ওয়েব ডেটা স্ট্রিম এবং একটি Search Console ওয়েবসাইট প্রপার্টি লিঙ্ক করে ইন্টিগ্রেশন তৈরি করেন। আপনি Search Console-এও লিঙ্ক তৈরি করতে পারেন।

রিপোর্টঃ ইন্টিগ্রেশন আপনার Google Analytics 4 সম্পত্তিতে দুটি প্রতিবেদন উপলব্ধ করে:

Google অর্গানিক সার্চ ক্যোয়ারীঃ লিঙ্ক করা সার্চ কনসোল প্রপার্টির জন্য সার্চ কোয়েরি এবং সংশ্লিষ্ট সার্চ কনসোল মেট্রিক্স প্রদর্শন করে। আপনি অনুসন্ধান কনসোলের মাত্রা (কিন্তু অ্যানালিটিক্সের মাত্রা দ্বারা নয়) দ্বারা ডেটার গভীরে ড্রিল করতে পারেন। ডেটা সার্চ কনসোলেও পাওয়া যাবে।

Google অর্গানিক সার্চ ট্রাফিকঃ সংশ্লিষ্ট সার্চ কনসোল এবং অ্যানালিটিক্স মেট্রিক্স সহ ল্যান্ডিং পৃষ্ঠাগুলি প্রদর্শন করে৷ আপনি দেশ এবং ডিভাইসের মাত্রা দ্বারা ডেটা ড্রিল করতে পারেন।

এই রিপোর্টগুলিতে আপনি যে ডেটা দেখতে পাবেন সে সম্পর্কে আরও জানুন।
সার্চ কনসোল গত 16 মাসের ডেটা রাখে। ফলস্বরূপ, অ্যানালিটিক্সের রিপোর্টে সর্বাধিক 16 মাসের ডেটা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
Search Console ডেটা Search Console-এ সংগ্রহ করার ৪৮ ঘণ্টা পরে Search Console এবং Analytics-এ পাওয়া যায়।

সতর্কতা রিপোর্টিংঃ সার্চ কনসোলে রিপোর্টের সংগ্রহ ডিফল্টভাবে অপ্রকাশিত থাকে। আপনি বাঁদিকের নেভিগেশনে লাইব্রেরির অধীনে সংগ্রহটি খুঁজে পেতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রকাশ করতে পারেন।

সার্চ কনসোল মেট্রিক্স শুধুমাত্র সার্চ কনসোলের মাত্রা এবং নিম্নলিখিত অ্যানালিটিক্স মাত্রাগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ:
  • ল্যান্ডিং পৃষ্ঠা
  • ডিভাইস
  • দেশ
আপনি যখন Search Console এবং Analytics-এর মধ্যে লিঙ্ক তৈরি করেন তখন Search Console রিপোর্টগুলি আপনার বেছে নেওয়া ওয়েব ডেটা স্ট্রিম থেকে ডেটা প্রদর্শন করে। আপনি যদি লিঙ্কটি মুছে ফেলেন এবং একটি নতুন তৈরি করেন যা একটি ভিন্ন ওয়েব ডেটা স্ট্রীম ব্যবহার করে, তাহলে রিপোর্টের জন্য সমস্ত তারিখ ব্যাপ্তি নতুন লিঙ্কের জন্য আপনার নির্বাচিত ওয়েব স্ট্রীম ব্যবহার করবে৷
সার্চ কনসোল রিপোর্ট বর্তমানে টাইম-সিরিজ চার্ট সমর্থন করে না।

সীমাঃ আপনি একটি ওয়েব ডেটা স্ট্রীমকে শুধুমাত্র একটি সার্চ কনসোল সম্পত্তিতে লিঙ্ক করতে পারেন।

আপনি একটি অনুসন্ধান কনসোল সম্পত্তি শুধুমাত্র একটি ওয়েব ডেটা স্ট্রিমে লিঙ্ক করতে পারেন। (আপনি একই সার্চ কনসোল প্রপার্টি একটি ইউনিভার্সাল অ্যানালিটিক্স প্রপার্টির সাথে লিঙ্ক করতে পারেন।)

একটি Google Analytics 4 প্রপার্টিতে শুধুমাত্র একটি ডেটা স্ট্রিম একটি সার্চ কনসোল প্রপার্টির সাথে লিঙ্ক করা থাকতে পারে।

ডেটা প্রাপ্যতাঃ আপনি কখন ওয়েব ডেটা স্ট্রীম তৈরি করেন এবং আপনি কখন Search Console-এ সাইট যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করেন তার উপর নির্ভর করে আপনার Search Console ডেটা Analytics-এ উপলব্ধ হয়::

আপনি যদি ওয়েব ডেটা স্ট্রীম তৈরি করেন এবং তারপরে সাইট যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করেন, তাহলে সাইট যাচাইকরণের সময় থেকে ডেটা পাওয়া যায়।

আপনি যদি সাইট যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করেন এবং তারপরে ওয়েব ডেটা স্ট্রীম তৈরি করেন, আপনি ডেটা স্ট্রীম তৈরি করার তারিখ থেকে ডেটা উপলব্ধ।আপনার Google Analytics 4 প্রপার্টি এবং আপনার Search Console প্রপার্টি একই ওয়েব পৃষ্ঠাগুলির জন্য ডেটা সংগ্রহ করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

অনুমতিঃ একটি লিঙ্ক তৈরি করতে, আপনাকে Google Analytics 4 প্রপার্টিতে এডিটরের ভূমিকা রাখতে হবে এবং আপনাকে Search Console প্রপার্টির একজন যাচাইকৃত মালিক হতে হবে।  লিঙ্কিং প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনি মালিকানা যাচাই করতে পারেন।  Search Console-এ সাইটের মালিকানা যাচাই করার বিষয়ে আরও জানুন।

একটি লিঙ্ক মুছে ফেলার জন্য, আপনাকে Google Analytics 4 প্রপার্টিতে এডিটরের ভূমিকা নিতে হবে।

  • লিঙ্ক তৈরি করুন
  • অ্যাডমিনে, প্রোডাক্ট লিঙ্কের অধীনে, সার্চ কনসোল লিঙ্কে ক্লিক করুন।
  • লিঙ্ক টেবিলে, লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আপনি যদি এক বা একাধিক Search Console প্রপার্টির একজন যাচাইকৃত মালিক হন, আমি ম্যানেজ করি সেই Search Console প্রপার্টির লিঙ্কের সারিতে, অ্যাকাউন্ট বেছে নিন-এ ক্লিক করুন, তারপর আপনি যে অ্যাকাউন্টের সাথে আপনার সম্পত্তি লিঙ্ক করতে চান সেটি বেছে নিন।

  • নিশ্চিত করুন ক্লিক করুন।
  • পরবর্তী ক্লিক করুন।
  • আপনার সাইটের জন্য ওয়েব ডেটা স্ট্রিম নির্বাচন করুন।
  • পরবর্তী ক্লিক করুন, তারপর আপনার কনফিগারেশন পর্যালোচনা করুন এবং জমা দিন

শেষ কথা

এতক্ষণ যাবত আমি আপনাদের সাথে গুগল সার্চ কনসোল কি, গুগল সার্চ কনসোলের কাজ কি, কেনো ব্যবহার করবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি গুগল সার্চ কনসোলের বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং গুগল সার্চ কনসোলে থাকা বিভিন্ন অপশন নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নিজের জন্য সার্ভিস সাইট বা ব্লগিং করলে কিংবা এসইও নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করলে গুগল সার্চ কনসোল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবমাস্টার টুল আমাদের জন্য। এটি ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন চিন্তা করা সম্ভব নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url