তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


তোকমা হলো Ocimum Sanctum ঘরানার উদ্ভিজ্জ উপাদান। যা বিভিন্ন ধরণের পানীয় ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেখতে একেবারেই সাদামাটা এই উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, আঁশ এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি।

তোকমা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
সুস্বাস্থ্যের জন্য ও বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে তোকমা বীজ খুব ভালো কার্যকরী একটি উপাদান। অনেকেই নিয়মিত তোকমার শরবত পান করে থাকেন। তবে যারা এখনও তোকমা গ্রহণ করা শুরু করেননি, তারাও দ্রুত কিনে ফেলুন তোকমা বীজ। কারণ, এই একটি মাত্র উপাদানের অসংখ্য গুণাগুণ যা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয়।

 পেইজ সূচিপত্রঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তোকমা খাওয়ার উপকারিতা

তোকমা বীজে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালরি রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তোকমা শরীরের নানা রকম সমস্যা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।যেমন-

আরও পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ তোকমা বীজে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্ল্যাভনয়েড এবং ফেনোলিক উপাদান সমূহ। একইসাথে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ থাকার ফলে তোকমা গ্রহণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। একইসাথে, ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতেও বেশ উপকারী তোকমা। 

পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করেঃ তোকমার বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখা হলে সেটা ফুলে, বড় হয়ে তার শরীরের বাইরের আবরণে জেলী জাতীয় পদার্থ তৈরি করে। এটাই খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও, তোকমাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, খাদ্যকে দ্রুত পরিপাক হতে সাহায্য করে থাকে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, ডায়রিয়া অথবা আমাশয়ের মতো পেটের সমস্যাতে তোকমার বীজ খুবই উপকারী। এছাড়াও তোকমা বীজের তেল গ্যাস্টিক আলসার সমস্যার জন্যে উপকারী একটি উপাদান।

ওমেগা-৩ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। উদ্ভিদ ভিত্তিক ওমেগা অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো একটি উৎস হচ্ছে তোকমা দানা। তাই তোকমা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ দেহের ওজন কমাতে এ বীজের জুড়ি নেই। তোকমার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া এর নানা উপাদান দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা বাড়তি ক্ষুধা দূর করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়।

এসিডিটি দূর করেঃ তোকমা এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর খেতে হবে। এছাড়াও তোকমার বীজ পানিতে পরিপূর্ণ থাকে, যা দেহের ক্ষতিকর পদার্থও দূর করতে সহায়ক।

হজম ক্রিয়াঃ তোকমা বীজে রয়েছে মিউসিলেজ। এটি একধরনের জেলজাতীয় পদার্থ, যা পানিতে ভেজালে ফুলে ওঠে। এই জেলজাতীয় পদার্থ অন্ত্রের কার্যক্রম নিয়মিত করে খাবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর তোকমা। মূলত দেহের বিপাকক্রিয়া ধীর করে দেয় তোকমা। ফলে কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুুকোজে রূপান্তরের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এ কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে, তারা এটি নিয়মিত খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ তোকমা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। সামান্য তোকমা অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর তা দুধে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়াও এটি হজমের সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে।

সুস্থ ত্বক ও চুলের সমস্যায়ঃ তোকমার তেলে অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ত্বক ভালো রাখে ও চর্মরোগ নিরাময় করে।ত্বকের নানা সমস্যায় তোকমা ব্যবহার করা যায়। এ জন্য কিছু তোকমা বীজ গুঁড়ো করে তা নারিকেল তেলের সঙ্গে মাখিয়ে ত্বকে লাগাতে হয়। এটি নানা চর্মরোগ নিরাময়ে কাজ করে। এটি একজিমা ও সোরিয়াসিস নিরাময়ে কার্যকর। সুস্থ চুলের জন্য এটি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেঃ তোকমা বীজে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান সমূহ যেকোন ধরণের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। শরীর কোন আংশ ফুলে যাওয়া অথবা ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এটা কাজ করে থাকে। আয়ুর্বেদ থেকে জানা যায় যে, আর্থ্রাইটিসের সমস্যার জন্য শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেলে সেটা কমিয়ে আনতেও তোকমা দারুণ কার্যকরী।

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং দুশ্চিন্তা কমাতে কাজ করেঃ তোকমাতে থাকা অ্যান্টি-হাইপারলিপিডেমিক  কার্যক্রম কোলেস্টেরল এর সমস্যা কমিয়ে থাকে। তোকমা বীজের তেল লক্ষণীয়ভাবে হাই লিপিড প্রোফাইল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। এছাড়াও আয়ুর্বেদে দুশ্চিন্তা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তোকমা।

ঠান্ডার সমস্যায়ঃ তোকমা বীজে রয়েছে ঠান্ডা প্রতিরোধী উপাদান। এটি আপনার দেহকে ঠান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়তে সহায়তা করবে। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে চাইলে তাই নিয়মিত তোকমা খাওয়া যেতে পারে।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ প্রদাহ-বিরোধী উপাদান সমূহ থাকার ফলে মুখের ভেতরের প্রদাহ, ইনফেকশন, আলসারসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় তোকমা দারুণ কাজ করে থাকে। তোকমাতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান সমূহ থাকার ফলে মুখের ভেতর একদম ফ্রশ থাকে। বিশেষ করে মুখের ভেতর কোন ইনফেকশন, দাঁতের ক্ষয় রোগ (ক্যাভিটিজ) এবং মুখের দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে না।

তোকমা খাওয়ার নিয়ম

 অনেকেই আছেন যারা তোকমা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ভালো করে জানেন না।

তোকমা সাধারণত বীজ বা দানা জাতীয় খাদ্য হয়ে থাকে। এই তোকমা দানাগুলোকে আপনারা পানির সাথে মিশিয়ে সুন্দরভাবে খেতে পারেন।এছাড়াও তোকমা দানা গুলোকে পানিতে ভিজিয়ে তারপর যখন এগুলো ফুলে উঠবে বা এগুলোর মধ্যে পানি ঢুকে যাবে তখনও খাওয়া যাবে।

তোকমা-বীজ-খাওয়ার-নিয়ম

এক গ্লাস পানি অথবা একগ্লাস কুসুম দুধের সাথে তোকমা ভিজিয়ে রেখে ১০-১৫মিঃ অপেক্ষা করার পর এটি সেবন করতে পারেন। 

তোকমা দানা গুলো বাদামের সাথে ব্লেন্ডার করে ও খাওয়া যায় এতে শরীরের অনেক উপকার হয়।তোকমা দানা ভালোমতো পিষে নেওয়ার পরে পানির সাথে মিশিয়ে সেখানে দুধ এবং মধু দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।এগুলো ছাড়াও যদি আপনারা শুধুমাত্র পানির সাথে মিশিয়ে খেতে চান তাও খেতে পারবেন এবং সাথে চিনি দিতে চাইলে সেটাও দিতে পারবেন।উপরে বর্ণিত পদ্ধতি গুলো বাদেও আপনারা ইসবগুলের ভুষি এবং পানির সাথে মিক্সার করে তোকমা বীজ সেবন করতে পারবেন।

তোকমার শরবত বানিয়েও খেতে পারেন 
দেহের তাপ কমিয়ে কমিয়ে প্রশান্তি দিতে দুধ দিয়ে বানানো তোকমার শরবত বিশেষ সহায়ক হতে পারে। তোকমায় থাকা প্রচুর আঁশ অতিরিক্ত ক্ষুধা দূর করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ রাখে। দেহের ওজন কমাতে তোকমার জুড়ি নেই।এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃদরোগ, বিষন্নতা, ক্যান্সার, ডিমেনসিয়া ও আর্থাইটিস থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া এর নানা উপাদান দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এই দানা দেহের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল উৎপাদন করে থাকে।

উপকরণঃ তোকমার দানা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, বরফকুচি ২ টেবিল চামচ, খেজুর ১-২ টি, রুহ-আফজা ১/২ চা চামচ।

প্রণালীঃ প্রথমে আধা গ্লাস পানিতে কিছু তোকমার দানা ভিজিয়ে রাখুন। এবার চুলায় জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করা দুধে তোকমার এই দানা মিশিয়ে নিন। এবার বিচি ছাড়ানো খেজুর ও রুহ-আফজা তাতে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার অল্প বরফকুচি মিশিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। এটা সাহরিতেও খাওয়া যেতে পারে।

তোকমা দানার পুষ্টিগুণ

পুষ্টিগুণে ভরা তোকমায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পাশাপাশি ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিডের অন্যতম একটি ভালো উৎস এটি। এছাড়াও তোকমা বীজে আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ম্যাগনেসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন সি।

গর্ভাবস্থায় তোকমা খাওয়া যাবে কি

তোকমা দানা কখনোই গর্ভবতী নারীর উপযোগী খাবার নয়। অনেকেই হয়তো ভেবে বসে আছেন যে, যেহেতু তোকমা দানা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেহেতু এটি বুঝি গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজেও আসবে। যারা এমনটা ভাবছেন তারা পুরোপুরি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ক্ষতি ডেকে আনছেন।

মনে রাখবেন, যেসব গর্ভবতী নারীর শরীর উচ্চ-মানের ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না, সেসব নারী কোনোভাবেই তোকমা দানার পুষ্টিমান বজায় রাখতে পারবে না বা এটি তাদের কোনো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার কাজে আসবে না। উল্টো ক্ষতি সাধন করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কি করতে হবে!

আর হ্যাঁ! যারা নিজের শরীর সম্পর্কে আঁচ করতে পারছেন না মানে উচ্চ-মানের ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত কিনা বুঝতে পারছেন না, তারা তোকমা দানা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। নতুবা এটি পুরোপুরি এড়িয়ে যাবে।

তোকমা খাওয়ার সময়

তোকমা বীজ প্রতিদিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো। ১-২ চামচ তোকমা ২৫০গ্রাম পানি বা ১ গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে খাবেন। চিনি ছাড়া খাবেন। এটি চাইলে প্রতিদিন খেতে পারেন শরীরের জন্য উপকার কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে তোকমা খেলে কি হয়

তোকমা বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে সে পানি পান করুন। ভালো ফলাফলের জন্য নিয়মিত খান। এতে গ্যাস্ট্রিক ও পেটের যেকোনো সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যাবে। তবে তোকমা পানিতে ভেজানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই তা খাওয়া যায়। চাইলে জুস ও প্রিয় যেকোনো পানীয়তে ব্যবহার করতে পারেন নানা গুণের অধিকারী এ ভেষজ উপাদানটি।

তোকমা খাওয়ার অপকারিতা

যেহেতু প্রায় প্রতিটা বিষয়ের খারাপ দিক এবং ভালো দিক রয়েছে তাই তোকমা খাওয়ার উপকারিতা থাকার পাশাপাশি তোকমা খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে।

তোকমা-খাওয়ার-অপকারিতা

তোকমা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। এর কারণ এই বিজটির ক্ষতিকর দিক খুবই কম। এরপরও যদি কোন গর্ভবতী মহিলাকে বেশি তোকমা প্রদান করা হয় তাহলে তার অনেক সমস্যা হতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে থাকা ইস্ট্রোজেন হরমোনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি তাকে খুব বেশি পরিমাণ তোকমা বীজ খাইয়ে দেওয়া হয় তখন এই ইস্ট্রোজেন হরমোনটির মাত্রা অনেকটা কমিয়ে আসতে পারে।

যদি এই হরমনের মাত্রা খুব বেশি কমে আসে তাহলে তার অনেক সমস্যা হতে পারে এবং তার পেটের বাচ্চার ও বেশ ক্ষতি হতে পারে। এই কারণে গর্ভবতী মহিলাদেরকে তোকমা দানা খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

যদি আমরা খুব ছোট শিশুদেরকে তোকমা বীজ খাওয়াই তাহলেও তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। যেহেতু ছোট শিশুর পেটে খুব বেশি পরিমাণে বিপাকীয় ক্ষমতা থাকে না তাই এটি থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়াও শিশুদের পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে এই তোকমা। এমনকি এই তোকমা দানর মারাত্মক একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে শিশুদের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে শিশুদের দম ও বন্ধ হয়ে আসতে পারে।

এই কারণে শিশুদেরকে এটি কখনোই প্রদান করা যাবেনা। সব সময় পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা এটি সেবন করবেন।

উপরে বারবার বলেছি আপনাদেরকে যে তোকমা দানা সবসময় পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তো যদি আপনারা এই কাজটি ভালোভাবে করতে না পারেন তাহলেও তোকমা দানার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার উপর পরিলক্ষিত হতে পারে।

অর্থাৎ এই দানা খাওয়ার সময় ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে এবং সাথে পারলে কিছু স্বাদ যুক্ত করতে পারেন। যদি পানির সাথে খুব ভালোভাবে মিক্সার করে না খাওয়া হয়। তাহলে এটি পেটে গেলে পেটের জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে এমনকি পেট ফুলেও যেতে পারে।

শেষ কথা

মনে রাখবেন যেকোনো রোগ প্রতিরোধ এমনকি যেকোনো রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন প্রকৃতি হতে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎসগুলিকে কাজে লাগানো। এক্ষেত্রে তোকমা দানাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করে পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিনই তোকমা দানা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আশা করি বেশ কয়েকমাস পর থেকেই এর ফলাফল ভোগ করা শুরু করবেন। তাছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই দানা বাংলাদেশে বেশ প্রচলিত একটি খাবার। ফলস্বরূপ এটি খুব একটা ব্যয়বহুলও নয়।

আসুন আমরা নিজেদের দেহে বাড়তি শক্তি উৎপন্ন করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে এই তোকমা দানার সাহায্য নিই। প্রাকৃতিক এই ঔষধকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের নিরাপদভাবে সুস্থ রাখার ব্যবস্থা গড়ে তুলি।

ডিসক্লেইমারঃ এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url