এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
আপনি যদি বিনা খরচে ঘরে বসে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিয়ে আয় করতে পারেন তাহলে অন্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এড দেখে টাকা ইনকাম করা।
আমরা জানি বর্তমান সময়ে অনেক লোক আছে যারা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদিতে অযথা সময় নষ্ট করছে দিনের পর দিন। আপনি যদি চান অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবো, তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিবেন।
পেইজ সূচিপত্রঃ এড দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
- এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
- বিজ্ঞাপন বা এড কাকে বলে
- এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট
- অনলাইনে এড দেখে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- অনলাইনে এড দেখে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন
- মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে কি সত্যি টাকা আয় করা যায়
- ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায়
- এড দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কি হালাল
- অনলাইনে হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায়
- উপসংহার
এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
আজকের দিনে ঘরে বসে এড দেখে টাকা ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করছে। এর মধ্যে একটি হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখা। আপনি যদি এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। সেই পয়েন্ট পরবর্তীতে টাকায় রূপান্তর করে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আজকে আমি এই আর্টিকেলে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট কিভাবে নিবেন সে বিষয়ে আপনাদেরকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আমি এখানে এড দেখে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরবো যেগুলো জানলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার জন্য আপনাকে যা করতে হবে
অ্যাকাউন্ট তৈরি করাঃ আপনি যদি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন করে নিতে হবে। নিবন্ধন করার সময় অবশ্যই আপনি সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ আপনি যদি সঠিক তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করেন তাহলে সেই সঠিক তথ্যর উপর নির্ভর করবে আপনার পেমেন্ট। তাহলে বুঝতেই পারছেন সঠিক তথ্য দেওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন দেখাঃ নিবন্ধন করা শেষ হলে আপনাকে সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। বকিছু বিজ্ঞাপন ভিডিও আকারে হতে পারে, আবার কিছু ছবির আকারে।
পয়েন্ট অর্জন করাঃ ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হবে সেগুলো দেখে আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পাররবেন। আপনি যত বেশি বিজ্ঞাপন দেখবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন। কিছু কিছু বিজ্ঞাপন রয়েছে যেগুলো অন্য বিজ্ঞাপনের চেয়ে একটু বেশি অর্থ দিয়ে থাকে।
পয়েন্ট টাকায় রূপান্তর করাঃ আপনার যখন পর্যাপ্ত পয়েন্ট জমা হয়ে যাবে, তখন আপনি সেগুলো টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন।
বিকাশে টাকা তুলুনঃ অবশেষে, এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার জন্য আপনি যে পয়েন্টগুলো টাকায় রূপান্তর করছেন বিকাশের মাধ্যমে আয় করা সেই টাকা তুলতে পারবেন।
মনে রাখবেনঃ সকল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন একই রকম নয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন পরিমাণে পয়েন্ট প্রদান করে এবং পেমেন্টের পরিমাণও আলাদা হতে পারে। কিছু ওয়েবসাইট আপনাকে রেফারেল করার জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট প্রদান করে। তাই আপনার বন্ধুদের সাথে এই ওয়েবসাইটগুলি শেয়ার করে আপনি আরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। দ্রুত টাকা ইনকাম করার আশায় প্রতারণামূলক ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখে আপনি আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন বা এড কাকে বলে
আপনারা সকলেই কমবেশি টেলিভিশন বা ইউটিউব ভিডিও দেখে থাকেন। আমরা যখন টেলিভিশনে মুভি, নাটক, গান ইত্যাদি দেখার সময় উপরিউক্ত প্রোগ্রামে মাঝে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির পন্য/দ্রব্য ইত্যাদি প্রচারের জন্য যেমন: স্নো, চা, বিস্কুট, সাবান, শ্যাম্পুর ইত্যাদি তথ্য মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য যে সকল প্রচার দেখান তাকেই বিজ্ঞাপন বলে আবার এই বিজ্ঞাপনকে সহজ করে বলতে গেলে বলা হয় এড।
আরও পড়ুনঃ আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে উপার্জন করতে চান তাহলে সত্যিই টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক লোক যারা নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এড দেখে হাজার হাজার টাকা আয় করে আসছেন। আরো মজার বিষয় হলো আয়ের টাকা আপনি বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এ কারণে এড দেখে টাকা আয় করা ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার জন্য আপনার কোনো প্রকার দক্ষতার প্রয়োজন নেই। কারণ এর জন্য আপনাকে কোনো কাজ করতে হবে না শুধু বিজ্ঞাপন দেখবেন।
এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট
আপনি যদি ২০২৪ সালে এড দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ, এডস (ads) দেখার মাধ্যমে কিভাবে online থেকে income করা যায় সে বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে।
আরও পড়নঃ
ইন্টারনেট থেকে অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে লাভজনক এবং নিশ্চিত উপায় হিসেবে Blogging, Content Writing, Freelancing, YouTube Channel এই উপায়গুলো সর্বাধিক পরিচিত।কিন্তু এসব মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে প্রতিদিন প্রচুর সময় এবং শ্রম দিতে হবে৷ এর বিপরীতে আপনি যদি সহজে এবং খুব কম সময়ে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম, গেম খেলে টাকা আয় অথবা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করার উপায়গুলো আপনাকে বেছে নিতে পারেন।
আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজে প্রচুর সময় নষ্ট করে থাকি। কিন্তু আপনি চাইলে সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারে অ্যাড দেখে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন, যেটা দিয়ে অনায়াসেই আপনার পকেট খরচ চালাতে পারবেন।
ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনি প্রচুর website বা android apps পেয়ে যাবেন, যেগুলোতে এড দেখে ইনকাম করা যাবে এরকমটা বলা হয়। কিন্তু খুব কম সংখ্যাক apps বা website রয়েছে, যেগুলো সত্যিই এড দেখে টাকা আয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন বা এডস গুলো দেখবেন কিন্তু এর বিনিময়ে আপনাকে কোনো টাকা দেওয়া হয় না।
এই আর্টিকেলে আমি বিশ্বস্ত বা real এবং সেরা কিছু Ad দেখে টাকা ইনকাম করার apps বা website গুলোর বিষয়ে আপনাদের বলবো। এগুলোতে আপনারা ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এইসব বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধারণ দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে চলুন ভিডিওএড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এর ব্যাপারে নিচে এক এক করে জেনে নেওয়া যাকঃ-
ইনবক্সডলার্সঃ InboxDollars হলো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেখানে আপনি অনেক ছোটো ছোটো কাজগুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেমন – সার্ভে পূরণ করা, গেম খেলা, অনলাইনে কেনাকাটা করা ইত্যাদি। আপনি ইতোমধ্যেই হয়তো ভেবেছেন যে এখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করারও দারুণ সুযোগ রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেট আবিষ্কারের প্রথম দিকে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এ পর্যন্ত তাদের users-দের কয়েক মিলিয়ন অর্থ প্রদান করেছে। এই ওয়েবসাইটটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখানে প্রথম register করলে আপনি ৫ ডলার বোনাস পেয়ে যাবেন।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জন করার একটি অসুবিধা হলো, payment বা withdraw নেওয়ার জন্য আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ৩০ ডলার জমা করতে হবে। এখান থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি bank account, VISA অথবা PayPal এর মাধ্যমে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে এখান থেকে ইলেকট্রনিক গিফট কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন।
এখান থেকে বেশি টাকা ইনকামের আরেকটি দুর্দান্ত উপায় হলো, আপনি যখন বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করা শুরু করবেন, তখন আপনি বিভিন্ন লটারি কার্ডগুলো পেতে পারবেন। এই কার্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি $0.05 থেকে $30 অথবা এর বেশি অর্থ জিতে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে Google Play Store অথবা Apple Store থেকে InboxDollars এর android app ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোনো সময় এখানকার যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন অথবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার জন্য InboxDollars হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা এন্ড্রয়েড অ্যাপ। এখানে যদি আপনার খুব বেশি সময় ধরে বিজ্ঞাপন দেখতে ভালো না লাগে, তাহলে অন্যান্য কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন।
জাম্পটাস্কঃ বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার একটি দারুণ ওয়েবসাইট হলো JumpTask। এটি বিশ্বজুড়ে খুবই জনিপ্রিয় একটি মাইক্রো-টাস্কিং প্ল্যাটফর্ম যা মাইক্রো-ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন business এবং advertisers বা বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে connect করে।
JumpTask এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ছোটো ছোটো কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ৪ মিলিয়নেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
এখানে ফ্রিতেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি ad দেখা সহ সাধারণ মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পাদন করে অর্থ উপার্জন করা শুরু করতে পারেন। এড দেখে ইনকামের পাশাপাশি আপনি গেম খেলা, survey সম্পূর্ণ করা, অনুবাদ করা এবং আরও অন্যান্য কাজগুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এখানে কাজ করে আপনি তাদের নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল কারেন্সি “JumpToken ($JMPT)” এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা পরবর্তীতে আপনি cash-এ রূপান্তরিত করতে পারেন। আপনার যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তাহলেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। কারণ, JumpTask তাদের users-দের যেকোনো সমস্যা সমাধানে অথবা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সবসময় সাহায্য করে থাকে।
ইরাজুঃ iRazoo হলো এড দেখে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। যদি আপনি সিনেমার প্রতি আপনার অধিক টান থাকে তাহলে এই এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত ইনকামের রাস্তা হতে পারে। কেননা এই ওয়েবসাইটে আপনি সিনেমার ট্রেলার এবং অ্যাপ ট্রেলারের মতো প্রচুর ভিডিওগুলো দেখতে পারবেন।
এখানে প্রতিটি কাজ সম্পাদন করার বিনিময়ে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমা হবে। এক এক ধরনের ভিডিও এডস দেখার জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা points দেওয়া হবে। তবে প্রতিটি ভিডিও দেখার জন্য আপনি 0.08 থেকে 1 পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে যখন ৩০০০ পয়েন্টস জমা হয়ে যাবে তখন আপনি সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে redeem করতে পারবেন এবং reward income করতে পারবেন। আপনি গিফট কার্ড এবং পেপাল এর মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট থেকে উপার্জিত টাকা তুলতে পারবেন।
এখান থেকে অনেকগুলো মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে একটি হলো ad দেখে ইনকাম করা। এছাড়াও আপনি গেম খেলতে পারেন, অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড এবং পরীক্ষা করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটিতে রেফারেল সিস্টেমও রয়েছে। এখানে আপনি আপনার বন্ধু, পরিবার, সহকর্মীদের রেফার করতে পারবেন এবং প্রতিটি রেফারের জন্য আপনি ৫০০ iRazoo পয়েন্টস পেতে পারবেন।
তাহলে এই ওয়েবসাইটে আপনি account তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের ছোটো ছোটো কাজগুলো করে পয়েন্টস জমাতে পারবেন এবং সেগুলো cash এ পরিণত করতে পারবেন। এছাড়া এখানে রয়েছে রেফার করে আয় করার সুযোগ। Better user experience পাওয়ার জন্য আপনি Google play store থেকে iRazoo এর android app এবং Apple app store থেকে iOS app ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এডওয়ালেটঃ যদি কথা আসে অনলাইনে এড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট কোনটি, তাহলে AdWallet এর কথা অবশ্যই বলতে হয়। এই ওয়েবসাইটের নাম দেখেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে এটি ভিডিও এডসগুলো দেখার বিনিময়ে ইউজারদের অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে, উপরে বলা ওয়েবসাইটগুলোর থেকে এর পার্থক্য হলো, এখানে শুধুমাত্র এড দেখা ছাড়া অন্যান্য মাইক্রো-টাস্কগুলো আপনারা পাবেন না।
AdWallet থেকে ইনকামের জন্য অবশ্যই আপনাকে এই প্ল্যাটফর্মে video ads গুলো দেখতে হবে এবং সেগুলোর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সার্ভে সম্পূর্ণ করতে হবে৷ সার্ভেসমূহ সাধারণত একটি বা দুইটি প্রশ্নের হয়ে থাকে, এজন্য আপনাকে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। আপনি প্রতিটি ভিডিও দেখে মোটামুটি ০.৫০ ডলার থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে ১০ ডলার জমা হয়ে গেলে আপনি এখান থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার উপার্জিত অর্থের দ্বারা এখান থেকে বিভিন্ন Gift cards সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিওবাক্সঃ Neobux হলো বিজ্ঞাপন দেখে এবং ক্লিক করে টাকা ইনকাম করার সেরা একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ইউজার রয়েছে এবং এটি একটি সেরা পিটিসি সাইট হিসেবে পরিচিত। প্রথমে আপনাকে Neobux.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একাউন্ট খুলতে পারবেন। এরপর আপনার dashboard থেকে বিভিন্ন প্রকারের বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারবেন।
প্রতিটি বিজ্ঞাপন সাধারণত ৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো লম্বা হয়ে থাকে। একটি এড দেখা শেষ হয়ে গেলে close এ ক্লিক করে অন্য এড দেখা শুরু করতে পারবেন।এখানে বিজ্ঞাপন দেখার পাশাপাশি আপনি অন্যান্য মাইক্রোজব গুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো ব্যক্তিকে refer করলে referral bonus অর্জন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা টাকা আপনি সরাসরি Bank transfer কিংবা Paypal এর মাধ্যমে redeem করতে পারবেন।
মাইপয়েন্টসঃ MyPoints হলো এড দেখে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এট ১৯৯৬ সালে চালু হয় এবং ইতোমধ্যেই ইউজারদের প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে শুধুমাত্র সাধারণগুলো করার বিনিময়ে।এখান থেকে আপনি গেম খেলে, অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করে এবং ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো সম্পাদন করে reward points ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি প্রচুর বিনোদনমূলক video content পেয়ে যাবেন, যেগুলো দেখে আপনি বিনোদনের পাশাপাশি বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।
কিন্তু শুধুমাত্র ভিডিও এডস দেখে আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অধিক টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এই সাইটে উপলব্ধ অন্যান্য অনলাইন কাজগুলো করতে হবে৷
এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে online shopping website গুলো থেকে কেনাকাটা করলেও আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ reward points যুক্ত হবে। এছাড়াও, এখানে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের রেফার করার মাধ্যমে বোনাস পেতে পারবেন।
প্রতিটি রেফারের বিনিময়ে আপনাকে ২৫ পয়েন্ট প্রদান করা হবে। যে ব্যক্তিকে আপনি রেফার করবেন, সে এই ওয়েবসাইটে কাজ করে যতগুলো পয়েন্টস ইনকাম করবে তার ১০ শতাংশ আপনার একাউন্টে জমা হবে।
MyPoints এ একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করলে আপনি ১০ ডলার sign up bonus পেয়ে যাবেন। আপনার একাউন্টের পয়েন্টসগুলো ব্যবহার করে amazon এবং walmart gift cards সংগ্রহ করতে পারবেন। গিফট কার্ড পেতে না চাইলে PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন এবং এজন্য আপনার একাউন্টে ৪০০০ পয়েন্ট (২৫ ডলার) জমা করতে হবে।
আপনি যদি ঘরে বসে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।
কুইকরিওয়ার্ডসঃ আপনি যদি অনলাইনে এড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য সেরা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই ওয়েবসাইটে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক ভিডিও যেমন – রান্নার টিউটোরিয়াল বা সিনেমার ট্রেলার ইত্যাদি ভিডিও দেখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও এখানে রয়েছে অন্যান্য কাজগুলো যেমন সার্ভে সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটটি আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ঘরে বসে ছোটোখাটো অনলাইন কাজগুলো করে আরামে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
QuickRewards এ নতুন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কোনো সাইন আপ বোনাস দেওয়া হবে না এবং এখানে কোনো referral program নেই। পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনার একাউন্টে অবশ্যই ১০০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। আপনার একাউন্টে থাকা পয়েন্টগুলো আপনি গিফট কার্ডের মাধ্যেম রিডিম করতে পারেন বা আপনার পেপাল অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেন।
PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ০.০১ ডলার থাকতে হবে এবং একটি gift card এর জন্য ৫ ডলার দরকার হবে। আপনি যত বেশি ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
পেইডভার্টস আপনি যদি কোনো ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন থেকে শুধুমাত্র এডস দেখে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাহলে Paidverts.com ওয়েবসাইট আপনার জন্য একটি দারুণ সমাধান।
এটি এক ধরনের পিটিসি (PTC) ওয়েবসাইট, যেখানে বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
এখান থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে registration করতে হবে। এরপর দুই ধরনের এডস (ads) আপনাকে দেখানো হবে। যেমন – Paid ads এবং BAP ads. Paid ads গুলো দেখলে আপনার একাউন্টে balance add হবে। আর BAP ads গুলো দেখলে আপনার একাউন্টে points add হবে।
শুরুর দিকে আপনাকে ১ থেকে ২ সেন্ট এর পেইড এডসগুলো দেখানো হবে। কিন্তু যত বেশি পয়েন্টস আপনার একাউন্টে জমা হবে তত high paying paid ads সমূহ আপনাকে দেখানো হবে। তাই এই ওয়েবসাইট থেকে এড দেখে তুলনামূলক বেশি টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে BAP ads গুলো বেশি দেখতে হবে এবং প্রচুর points অর্জন করতে হবে।
এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি Paypal এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
প্রাইজরিবেলঃ PrizeRebel হলো অনলাইনে ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার আরেকটি চমৎকার ওয়েবসাইট। ২০০৭ সাল থেকে এটি ইন্টারনেটে রয়েছে, এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ মিলিয়ন এবং এটি এ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ২০ মিলিয়ন ডলারেরও অধিক অর্থ প্রদান করেছে।
এখানে আপনি নানান ধরনের videos বা ads দেখে এবং online survey complete করে আয় করতে পারবেন৷ এছাড়াও এই সাইটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো আপনাকে দেওয়া হয়, যেগুলো সমাধানের মাধ্যমে আপনি অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটটি online shopping এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন discount দিয়ে থাকে। আপনি খুব সহজেই আপনার Facebook account ব্যবহার করে PrizeRebel ওয়েবসাইটে registration করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইট থেকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনার ২ ডলার একাউন্ট ব্যালেন্স থাকতে হবে। আপনার ইনকাম করা টাকা পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে earn করা points গুলো gift cards এর দ্বারা redeem করতে পারবেন।
ফ্রিক্যাশঃ বিজ্ঞাপন বা এড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে আয় করার জন্য Freecash হলো একটি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখান থেকে আয় করার একাধিক অনেক উপায় রয়েছে যেমন: survey সম্পূর্ণ করে, ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দেখে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, ভিডিও গেম খেলে, ব্লগ লেখে ইত্যাদি।
এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা টাকা আপনি সরাসরি bank account অথবা paypal account এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার পেপাল একাউন্ট না থাকে, তাহলে অন্য কারও পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
অনলাইনে এড দেখে কত টাকা ইনকাম করা যায়
অনলাইনে এড দেখার মাধ্যমে আপনি খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। বিজ্ঞাপন দেখার ওয়েবসাইট বা অ্যাপসগুলোতে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে, যার বিনিময়ে আপনি সামান্য পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনার প্রতিদিন প্রচুর অবসর সময় রয়েছে এবং আপনি দৈনিক ১ থেকে ২ ডলার উপার্জন করার কথা ভাবছেন, তাহলে উপরে বলা ওয়েবসাইট / অ্যাপসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ করতে পারেন।
কিন্তু আপনি যদি পার্ট টাইম কাজ করে অনলাইন থেকে অধিক পরিমাণে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনাকে অনলাইনে আয়ের আসল দীর্ঘস্থায়ী উপায়গুলোর দিকে যেতে হবে, যেগুলোর মাধ্যমে লোকেরা ইনকাম করছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল, এফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি৷ এই কাজগুলো করে আপনি দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা বেশি সময় ও শ্রম দিতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা এই সব উপায়ে বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন।
অনলাইনে এড দেখে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন
অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে পার্ট-টাইম উপার্জন করার ক্ষেত্রে এ ধরণের সুযোগ দেয় এমন একটি বা একাধিক অনলাইন প্লাটফর্ম গুলির সাথে যুক্ত হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কেবল কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত অ্যাপস বা ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের জন্য একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, আপনাকে এমন বৈধ প্ল্যাটফর্মগুলির সন্ধান করতে হবে যেগুলি সত্যি বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে থাকে।
এক্ষেত্রে আপনি, ওয়েবসাইট গুলির সাথে জড়িত অনলাইন রিভিউ গুলি পড়তে পারেন এবং অনলাইনে নানান রিসার্চ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি কতটা সম্মানজনক এবং বিশ্বস্ত সেটা বুঝে নিতে পারবেন। যখন আপনি ইনকামের একটি বিশ্বস্ত এবং সম্মানজনক ওয়েবসাইট খুঁজে পাবেন, তখন আপনাকে নিজের কিছু বেসিক ব্যক্তিগত তথ্য গুলি দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি একাউন্ট signup করে নিতে হবে।
একবার একাউন্ট তৈরি করে আপনার প্রোফাইল সেটআপ করা হয়ে গেলে, উপলব্ধ বিজ্ঞাপন বা ভিডিওগুলির একটি তালিকা দেখে অ্যাক্সেস করতে হবে। এরপর আপনি, আপনার জন্য উপলব্ধ থাকা বিজ্ঞাপন গুলি দেখা শুরু করতে পারবেন। মনে রাখবেন, কিছু কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ এড বা বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। আবার এমন অনেক সাইট বা অ্যাপস রয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন না দেখলেও টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপনটি দেখার পর বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করার পর, আপনার একাউন্টে সামান্য পরিমানের রিওয়ার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্ম গুলির উপর নির্ভর করে এই reward গুলো point, virtual currency, real cash, gift card ইত্যাদি মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে এড দেখে দেখে যখন আপনি সেই প্লাটফর্ম এর দ্বারা নির্ধারিত minimum payout threshold পর্যন্ত পৌঁছে যাবেন, তখন সাধারণত আপনি আপনার উপার্জন করা টাকা গুলো নানান মাধ্যমে উইথড্র (withdraw) করে নিতে পারবেন।
মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে কি সত্যি টাকা আয় করা যায়
অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করাটা ২০২৪ সালে সত্যিই সম্ভব। তবে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট বা ইনকামের প্লাটফর্ম গুলোর উপর ভিত্তি করে ইনকামের পরিমান এবং সুযোগ পরিবর্তিত হতে পারে। অনলাইনে এমন নানান প্লাটফর্ম, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস রয়েছে, যেগুলি নানান স্পন্সরড কনটেন্ট এবং এড দেখার বিপরীতে সামান্য পরিমানের টাকা ইনকাম করার সুযোগ আমাদের দিয়ে থাকে।
ঘরে বসে ইনকামের এই প্লাটফর্ম গুলি “pay-per-view” বা “pay-per-click” মডেলে কাজ করে থাকে। সোজা ভাবে বললে, বিজ্ঞাপন গুলিতে ক্লিক করে বা বিজ্ঞাপন দেখার জন্য টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়।এখন, এড দেখে টাকা উপার্জন করার এই ওয়েবসাইট গুলো সত্যিই টাকা দিবে কিনা, যদি এই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে এর সরাসরি উত্তর হবে, হ্যাঁ অবশই দিবে। তবে এক্ষেত্রেও অনেক বিষয় গুলোর উপরে নজর দিতে হবে আপনাকে।
অ্যাড দেখে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনি কোন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছেন, ওয়েবসাইটটি কি সত্যি পেমেন্ট করে, বিজ্ঞাপন দেখার জন্য কত টাকা দেওয়া হয়, এই বিষয় গুলি ভালো করে যাচাই বাছাই করার পর এ ধরণের online cash reward earning website গুলিতে কাজ করা দরকার।
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে।অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করবেন জেনে নিন এ সম্পর্কে:
ফ্রিল্যান্সিংঃ অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়। কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।
নিজের ওয়েবসাইট তৈরিঃ এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
গ্রাফিকস ডিজাইনঃ অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
জরিপ, সার্চ ও রিভিউঃ অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
নিজের ওয়েবসাইট তৈরিঃ এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
গ্রাফিকস ডিজাইনঃ অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
জরিপ, সার্চ ও রিভিউঃ অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ড্রপশিপিংঃ ড্রপশিপিং (Dropshipping) অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং (Dropshipping) আসলে কি। এটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন।
মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে সবসময় হয়েই চলেছে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ৫ টাকা কেজি মূলে কিনে বড় বড় বাজারে ওইগুলো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তো এক্ষেত্রে আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রোফাইল খুলে ওই পন্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী আছে তার কাছে থেকে পন্য টা ৫০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার প্রোফাইলে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
এতে একটি পন্যেই ৯০০ টাকা লাভ করতে পারছেন। অথবা আপনি যদি ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাতেও আপনার ৭০০ টাকা লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই মুলত ড্রপশিপিং (Dropshipping)। আপনার এলাকায় যদি এরকম কোনো সুযোগ থেকে থাকে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটি কাজে লাগানো।
অনলাইন রিসেলিংঃ অনলাইনে পন্য বিক্রি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বেশ বড় বড় কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা রয়েছে। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় পর্যায়ে শুরু করতে হবে। আর এতে আপনার পুরো সময়টাই ব্যয় করতে হবে এবং সাথে সাথে আরও অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেটা ছাত্রজীবনে করা একটি কষ্টকর হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling) করে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন রিসেলিং মুলত অনলাইনে পন্য বিক্রির কাজ কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবেনা। আপনি শুধু একটি রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) তে আপনার একাউন্ট খুলবেন এবং এখান থেকে পন্যের ছবি এবং বিবরন নিয়ে আপনি নিজে একটা পেজ খুলে বিক্রি করবেন।
রিসেলিং কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পন্য পাবেন আর ওইগুলা তার থেকে সামান্য বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করে আপনি নিজের লাভ বের করবেন। বেশি কিছু রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) বাংলাদেশে রয়েছে। এর মধ্যে শপআপ (ShopUp) অন্যতম। এখানে আপনাকে পন্য বিক্রয় করার জন্য নিজের কোনো পন্য লাগবে না। পন্য যোগাড় থেকে শুরু করে বাকি সব কাজই ওই রিসেলার কোম্পানি করে দিবে।
ভার্চ্যুয়াল সহকারীঃ এখন ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি। বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখন। ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। ২৪/৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।
অনুবাদ করেঃ ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।
অনলাইন টিউটরঃ কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।
অনলাইন সার্ভেঃ অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগন কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।
এইসব সার্ভে সাধারনত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে ভালো অঙ্কের একটি ইনকাম করে ফেলতে পারেন। বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এইসব সার্ভে গুলো নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এর জন্য আপনাকে প্রথমে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার সব ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কয়াজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তবে প্রতিটি সার্ভেতেই আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট-এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন।
ছবি বিক্রিঃ আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গণা। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো যায়।
অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে। আপনি এইসব ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টুনে এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমঃ ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।
ওয়েব ডিজাইনঃ এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।
কনটেন্ট রাইটিংঃ যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।
ব্লগিংঃ অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখেন। কিন্তু শখের বিষয়টি যদি পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন, তবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করেও আয় করার সুযোগ আছে। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে। ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হবে। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো।
কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।
ইউটিউবঃ যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাবেন।
পিটিসিঃ অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে রাখা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
ডেটা এন্ট্রিঃ অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।
এড দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কি হালাল
এড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কি হালাল কিংবা এড দেখে কত টাকা আয় করা যায় এমন প্রশ্ন আমাদের কাছে সবসময় আসতে থাকে। আজকে আমরা এই প্রশ্নের উওর নিয়ে বিশ্লেষণ করবো। অনলাইনের বিজ্ঞাপন অনেক প্রকার হয়ে থাকে, আপনি কোন বিজ্ঞাপনটা দেখছেন এটার উপর নির্ভর করে এটা কি হালাল নাকি হারাম। তাহলে জেনে নিন এড দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কি হালালঃ
বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় বা এড দেখে অনলাইনে টাকা আয় হারাম নাকি হালাল? এটি একটি প্রশ্ন হয়েই থাকে। কারণ আয় এর ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই হালাল উপায় অবলম্বন করা জরুরী। কারণ এর ক্ষেত্রে কিছু ধর্মীয় বিধি-নিষেধ রয়েছে। এছাড়াও আরো কত গুলো বিষয় জড়িয়ে থাকে হায় হালাল হারাম সম্পর্কে। এবং আমাদের এই আয়ের ফলে কি অন্য পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাকি সেটাও দেখার একটি বিষয় আছে।
অনেক ওয়েবসাইট এবং এপস আছে যাতে কোন কিছু না করে সামান্য পরিমানে আয় করা যায় এটা কিন্তু হারাম ইনকাম। অনেক ওয়েবসাইট আছে সেক্সুয়ালি একটিভ প্রমোশন করে বিজ্ঞাপন এর জন্য এসব থেকে আসা ইনকাম সবসময় হারাম। এর মাধ্যমে আপনি যা আয় করবেন সবই হারাম হবে। এসব বিজ্ঞাপন দেখা উচিত না, ইনকাম পরে করবেন আগে নিজেকে রক্ষা করুন।
যে কাজে আপনার পরিশ্রম না করে আয় করবেন সেটা কোনদিন ও হালাল হবে না। পরিশ্রম করে সঠিক মাধ্যমে আপনার আয় করতে হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা মোবাইল এপসে অ্যাড দেখানো হয়। অ্যাড যিনি দেখবেন, প্রথমে তার সেই ওয়েবসাইটে কিংবা এপসে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় তার পর সেই অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমা করতে হয়। টাকা জমা করার পর অ্যাড আসা শুরু হয়। এসব কাজ কিন্তু হারাম। এসবের মধ্যে দিয়ে অনলাইনে আয় করা যায় না।
এড দেখে আনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা কি হালালঃ অনেকে MLM কোম্পানি আছে যারা ৪ -৫ হাজার টাকা জমা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে বলে এটা হয় অফলাইনে তবে সেম কোম্পানি স্পার্ম করে অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাড দেখার মাধ্যমে গ্রাহক থেকে ৪-৫ হাজার খরচ করলে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আসলে এগুলো সম্ভব না। কেন এড দেখে টাকা আয়কে হারাম বলা হয়েছে দেখে নিন
প্রাণীর ছবিঃ ইসলাম অনুযায়ী প্রাণীর ছবি দেখে আয় করাটাকে হারাম বলা হয়েছে অনেক ইসলামিক স্কলারস। প্রাণির ছবি সেটা যেমনই হোক, দেখা জায়েজ নয়। প্রাণীর ছবি দেখার ওপর যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা হবে তা অবৈধ বলে গণ্য করেছেন।এইক্ষেত্রে আমরা যদি এসব সাইট থেকে প্রাণির ছবি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা হয় তাহলে এটাকে হারাম বলা যাবে।
ক্লিকঃ ওয়েবসাইট এড দেয় মানুষ লাভবান হওয়ার জন্য। মনে করুন দারাজ একটা বিজ্ঞাপন দিলো তাদের একটা পণ্য সেলের জন্য। এই বিজ্ঞাপন ক্লিক করবে কে যাদের প্রয়োজন আছে তারা ক্লিক করে দারাজ থেকে ওই পণ্য ক্রয় করবে।
আপনি যদি এটাকে কোন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কিংবা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করে আয় করেন তাহলে এটা কি দারাজ এর জন্য কোন প্রকার লাভবান হলো। দারাজ বিজ্ঞাপন এর জন্য যে টাকা ইনভেস্ট করেছে সেটা আপনি ক্ষতি করতেছেন এই পদ্ধতিতে আয় করাকে হারাম ইনকাম বলে গণ্য হবে।
কারো ক্ষতি করে টাকা ইনকাম করাটা তো অবৈধ। পণ্যের মালিককে আপনি ভুয়া গ্রাহক সংখ্যা দেখানো একরকম প্রতারণা যা শরিয়তে বৈধ নয়। এই টাকায় আপনার কোন সাফল্য নেই।
নগ্নতাঃ আমাদের সামনে অনেক নগ্ন নারীর ছবি আসে বিজ্ঞাপন আকারে। ইসলামে গায়রে মাহরাম নারীর ছবি থাকে যা কোন পুরুষ দেখলে এটা কবিরা গুণাহ এটা পুরুষের ক্ষেত্রে ও একই কথা।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে এক সাহাবি জিজ্ঞেসা করেছিলো হে, রাসুলুল্লাহ আমর কি করলে বুঝবো কোন ইনকামটি আমাদের জন্য হালাল। রাসুল (সাঃ) বললেন, ওই ইনকামই ভালো যে ব্যক্তির নিজ হাতে উপার্জন করা এবং প্রত্যেক হালাল ও সৎ ব্যবসা।
সুতরাং হালাল উপার্জনের এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করা জরুরি যাতে নিজের শ্রম ব্যয়িত হয়। এমন উপার্জন প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য বরকত পূর্ণ হয়ে থাকে।
কোন উপার্জন হালালঃ মাথার ঘাম ফেলে কষ্ট করে যে টাকা উপার্জন করা হয় সেই টাকাকে হালাল ইনকাম বলা হয়। হালাল ইনকাম ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় সমাজের কল্যাণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। হালাল ভাবে আয় করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো , যেমন উদ্যোক্তা, পেশাদার ক্যারিয়ার, কৃষি এবং কৃষিকাজ এবং রিয়েল এস্টেট বিজেনেস
ইসলামে হালাল টাকা উপার্জন করার উপায়ঃ আপনি যে কাজই করুন না কেন সেটাকে হালাল ভাবে করতে হবে, আবার অনেক ২ নাম্বার কাজ আছে এগুলো হালাল ভাবে করলে ও হালাল হবে না।আপনি চাইলে এইসব কাজ করতে পারেন হালাল পণ্য যেমন পোশাক, গয়না এবং খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইনে হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায়
আপনি যদি একজন মুসলিম ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মনে সব সময় একটাই ইচ্ছা থাকে যে আমি কিভাবে হালাল পথে টাকা ইনকাম করবো। অনলাইনে হালাল পথে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে, যেমন বিভিন্ন ধরনের খাটি খাদ্য দ্রব্য, সিজিনাল ফল-মূল, মাছ ইত্যাদি। নিচে আমি বেশ কয়েকটি হালাল পথে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলামঃ-
অনলাইনে হালাল ব্যবসা করেঃ অনলাইনে হালাল ইনকাম করার হাজারো ব্যবসা রয়েছে। আপনি চাইলে অনলাইনেও হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র ইসলামের বিধি নিষেধ গুলো মেনে অনলাইনে ব্যবসা করুন। তবে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই যে দ্রব্যটি আপনি বিক্রয় করবেন সেটি হালাল হতে হবে। ওজনে কখনোই কম দেবেন না, মিথ্যা বলে বিক্রয় করবেন না, অন্যের দোষ ত্রুটি গোপন করবেন না তাহলে হালাল দ্রব্য বিক্রয় করে অনলাইনে হালাল ইনকাম করতে পারবেন।
খাঁটি মধু বিক্রয়ঃ আপনি চাইলে হালালভাবে ইনকাম করার জন্য অনলাইনে খাঁটি মধু বিক্রয় করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটি বিশুদ্ধ ও খাঁটি হতে হবে। ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন সদা সত্য কথা বলে বিক্রয় করুন। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পণ্যের যাবতীয়গুন ক্রেতার কাছে তুলে ধরুন। তাহলে অবশ্যই আপনি মধু ছাড়াও যেকোনো কিছু বিক্রয় করে অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
ভেজাল মুক্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়ঃ অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়। অনলাইনে আপনি যে কোন ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করে হালাল ভাবি ইনকাম করতে পারবেন। যেকোনো হালাল পণ্য বিক্রয় করুন। তবে উল্লেখিত দ্রব্যটি সঠিক দামে বিক্রয় করতে হবে। বাজারে ওই দ্রব্য ঘাটতি দেখা দিলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রয় করা যাবে না।
অনলাইনে ইসলামিক গ্রন্থ বিক্রয়ঃ অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করার সহজ একটি উপায় হল ইসলামিক গ্রন্থ বিক্রয়। হাদিস, কুরআন, অথবা যেকোন বই বিক্রয় করে ইনকাম করুন। সত্য কথা বলে ব্যবসার সঠিক নিয়ম মেনে ইসলামিক গ্রন্থ বিক্রয় করুন। তাহলে অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিংঃ অনলাইন থেকে হালাল পথে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং আপনি কিন্তু চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ এবং এই কাজটি করে খুব সহজে কোটিপতি হওয়া যায় এবং এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে হালাল তবে আপনাকে অবশ্যই হালাল পর্যায়ে করতে হবে।
ফটো এডিটঃ ফটো এডিট করে আয় করা এটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল একটি কাজ হবে কোন খারাপ ধরনের ফটো এডিট করা যাবে না ভালো এবং ইসলামিক দৃষ্টিতে যেই ফটো এডিট গুলো করা উচিত সেগুলো করে আপনি ইনকাম করতে পারেন তবে হ্যাঁ ইসলামে কিন্তু অপ্রয়োজনে ফটো তোলা উচিত না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যদি ফটো তুলে সেটা এডিট করতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে হারাম হবে।
ইউটিউবিং করেঃ ইউটিউবিং করে কিন্তু অনেক সহজে টাকা ইনকাম করা যায় তবে ইউটিউব ইন করে হালাল পথে ইনকাম করতে গেলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবে ইসলামিক কন্টেন ভিডিও বানাতে হবে এবং সেখান থেকে যদি টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে সেটি হালাল উপার্জন হবে।
ব্লগিংঃ বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং ভালো কাজ হচ্ছে ব্লগিং আর ব্লগিং করে খুবই সহজে কিন্তু টাকা ইনকাম করা যায় কিন্তু আপনাদের ভিতরে প্রশ্ন থাকে যে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা কি হালাল নাকি হারাম আসলে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা হালাল হবে যদি আপনি হালাল উপায়ে ইনকাম করেন।
আর যদি আপনি হারা মোবাইল ইনকাম করেন তাহলে হবে না যেমন ধরেন ব্লগিং এমন কোন বিষয় নিয়ে পড়ছেন যেগুলো ইসলামিক দৃষ্টিতে একদমই উচিত না তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য হারাম ব্লগিং করে ইনকাম করা হালাল হবে যদি সেটি হয় পরিপূর্ণভাবে ইসলামিক ব্লগিং অথবা ইসলামিক দৃষ্টিতে যেগুলো করা যাবে সেই নিয়মে।
ই-কমার্সঃ ই-কমার্স ব্যবসা করা কিন্তু হালাল হবে এবং হারাম দুটোই হবে কিন্তু আপনি কোন পথে করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর নির্ভর করবে। আপনি যদি সঠিকভাবে একটি কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন এবং প্রোডাক্টটি সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেন তাহলে এখান থেকে ইনকাম করা আপনার সম্পূর্ণভাবে হালাল।
আর আপনি যদি কোন প্রডাক্ট সেল করার জন্য টাকা নিয়ে থাকে কিন্তু সে কাস্টমারটির কাছে প্রোডাক্টটি না পৌঁছে দিন তাহলে কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিতে ব্যবসাটি আপনার জন্য হারাম হবে তাই আপনি যদি হালাল পথে ইনকাম করতে চান তাহলে কিন্তু আপনি ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে কিন্তু অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে এবং সেগুলো দেখে অনেক মানুষ ওয়েবসাইট খুলছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং অথবা কাজকর্ম করছে আপনি যদি একজন কোডিং এক্সপার্ট হন তাহলে কিন্তু আপনি চাইলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন এবং ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন এটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল কিন্তু আপনার ব্যবসাটি অবশ্যই হালাল পথে হতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সবসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ যে কাজটি করে সকলে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং আপনিও এই কাজটি করতে চাচ্ছেন কিন্তু জানেন না যে এটি হালাল নাকি হারাম কাজ আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ সম্পূর্ণভাবে হালাল তবে আপনি যদি এটা হারাম উপায়ে করেন তাহলে হারাম হবে কিন্তু আপনি চাইলে কিন্তু এটি হালাল উপায়ে করতে পারেন।
আর আপনি যদি কোন প্রডাক্ট সেল করার জন্য টাকা নিয়ে থাকে কিন্তু সে কাস্টমারটির কাছে প্রোডাক্টটি না পৌঁছে দিন তাহলে কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিতে ব্যবসাটি আপনার জন্য হারাম হবে তাই আপনি যদি হালাল পথে ইনকাম করতে চান তাহলে কিন্তু আপনি ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে কিন্তু অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে এবং সেগুলো দেখে অনেক মানুষ ওয়েবসাইট খুলছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং অথবা কাজকর্ম করছে আপনি যদি একজন কোডিং এক্সপার্ট হন তাহলে কিন্তু আপনি চাইলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন এবং ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন এটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল কিন্তু আপনার ব্যবসাটি অবশ্যই হালাল পথে হতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সবসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ যে কাজটি করে সকলে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং আপনিও এই কাজটি করতে চাচ্ছেন কিন্তু জানেন না যে এটি হালাল নাকি হারাম কাজ আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ সম্পূর্ণভাবে হালাল তবে আপনি যদি এটা হারাম উপায়ে করেন তাহলে হারাম হবে কিন্তু আপনি চাইলে কিন্তু এটি হালাল উপায়ে করতে পারেন।
লোগো তৈরি করেঃ আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেটি হালাল পণ্যের খাবারের অথবা হালাল বস্তুর হতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানির লোগো তৈরি করে সুন্দর ভাবে ডিজাইন করে অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করা যায়। তবে অবশ্যই আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের পূর্বে মাথায় রাখতে হবে আপনি যে ডিজাইনটি করছেন সেটি ধর্ম বিরোধী কিনা।
উপসংহার
যেসব বিষয় সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি, নিয়ম অনুযায়ী অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন এড দেখে বিভিন্ন অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট একটি সহজ উপায় যা আপনাকে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে। তবে, দ্রুত ধনী হওয়ার আশায় প্রতারণামূলক ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত কাজ করে ধৈর্য ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সাধারণত অনলাইন থেকে এড বা ভিডিও দেখে টাকা আয় করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু অনেকেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারিনা, এর কারণ একটাই সঠিক গাইডলাইনের অভাব। আপনারা যদি সঠিক গাইডলাইন পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url