পুরুষের জন্য আলকুশি বীজের উপকারিতা ও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আলকুশি বীজের উপকারিতা ও এর গুণ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে পরো কন্টেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। শুধু পুরুষের জন্য আলকুশি বীজ উপকারি তা নয় এটি মানব দেহে সৃষ্ট বহু রোগের প্রতিষেধক হিসাবে গুরত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়াও আলকুশি বীজ স্পার্ম বা শুক্রাণু তৈরিতেও সাহায্য করে। লিঙ্গ শীথিল্, ধাতু দর্পণ্য প্রভৃতিতে আপনি ৫-৬ টি আলকুশি বীজ থেতো করে ১০০ মিলি লিটার দুধে অল্প পরিমাণ চিনিসহ ফুটিয়ে নিবেন। ঘুমানোর আগে সিদ্ধ বীজ ও দুধ উভয়ই ১০ থেকে ১২ দিন টানা খাবেন। এতে করে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি যদি প্রতি রাতে এক চা চামচ আলকুশি বীজের গুড়া অল্প ঘি ও মিছরির সাথে মিশিয়ে খান তাহলে আপনার শুক্র তারুণ্য দূর হবে।
যৌন স্বাস্থ্য রক্ষায় ও যৌন রোগ প্রতিরোধে প্রায় দুহাজার বছর আগে থেকেই আলকুশির গাছ, বীজ কিংবা পাতার রস মানব দেহের উপকারে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটি প্রজনন ক্ষমতাকে উন্নত করে। আলকুশি বীজের পাউডার নিয়মিত খেলে শুক্র বৃদ্ধি করে যা প্রজনন এর ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে। আলকুশি পাউডার খেলে বীর্য ঘন হয়। টেস্টস্টরেন মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি ও গতিশীল করে। ফলে যৌন ক্ষমতা বহুগুনে বেড়ে যায়।
আলকূশী বীজ চূর্ন ১ চা চামুচ ও অশ্বগন্ধা মূল চুর্ন ১ চা চামুচ একত্রে ১ গ্লাশ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে সকালে শুধু পানি পান করলে সকল ধরনের যৌন সমস্যায় উপকার পাওয়া যায় । অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন। দুধ দিয়ে শোধন করা আলকুশি পাউডারের আরও যে যে উপকার পাবেন-
আলকুশি দুধে শোধতকৃত বীজের গুড়া বা পাউডার প্রত্যেক পুরুষদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলকুশি বীজ সেবনে দুর্বলতা, শক্তিহীনতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসাধারন উপকারী। আলকুশি বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি ও গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশিতে উপকারী। পোকা মাকড়ের কামড়ে বা শাপ-বিচ্ছুর দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়। আলকুশি শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ ভাল হয়। আলকুশির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়। শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
শোধিত আলকুশি বীজের পাউডারে ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আমিনো অ্যাসিড ইত্যাদি সহ প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম- হাড় পুনঃগঠনে ও আয়রন- রক্তস্বল্পতা দূর করতে এর ভূমিকা ব্যপক। এছাড়াও পুরুষের জন্য আলকুশি বীজের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম নীচে দেখানো হলো।
- বীর্য ঘন করে
- সময় বৃদ্ধি করে
- শুক্রাণু বৃদ্ধি করে
- পুরাতন আমাশয় দুর করে
- বাত ব্যাথা দূর করে
- সর্দিকাশি দূর করে।
- বীর্য পাতলা জনিত কারণে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা দূর করে সহবাসে সময় বৃদ্ধি করে। পরিপূর্ণ উপকারের জন্য কমপক্ষে ২ মাস খেতে হবে।
খাওয়ার নিয়মঃ প্রতি রাতে ১ চা চামচ পরিমাণ আলকুশি বীজ পাউডার হাফ গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন প্রয়োজনে মধু বা মিছরি মিশিয়ে নিতে পারেন।
ধ্বজভঙ্গ রোগের স্থায়ী চিকিৎসায় আলকুশি বীজ
ধ্বজভঙ্গ রোগের স্থায়ী চিকিৎসায় আলকুশি বীজ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুরুষের বা ছেলেদের ধ্বজভঙ্গ, মেহ, প্রমেহ, শারীরিক দুর্বলতা, পাতলা বীর্য ঘন করা, দীর্ঘ ক্ষণ সহবাস করার ক্ষমতা অর্জনসহ যাবতীয় যৌন রোগ সারাতে আলকুশি বীজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি খুবই সহজ লভ্য তাই এটি দিয়ে খুব সহজেই ঔষধ প্রস্তুত করা যায়। যেকোন ধরনের যৌন রোগের চিকিৎসা যেখানে সেখানে না করে যৌন রোগের প্রাকৃতিক ভাবে সমাধান করা শারীরিক, মানুষিক ও আর্থিক সব দিক দিয়ে ভাল।
পাঁচটি আলকুশি বীজ রাতে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে বীজগুলোর খোসা ছড়িয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ মিলিলিটার পানি এবং ১০০ মিলিলিটার গরুর দুধ এক সাথে মিশিয়ে একটি পাত্রে খোসা ছাড়ানো বীজগুলোকে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করা হয়ে গেলে বীজগুলোকে মিহি করে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিয়ে সেগুলোকে খাঁটি ঘি দিয়ে হালকা করে ভেজে হালুয়ার মতো তৈরি করতে হবে।
আলকুশি বীজের এই হালুয়াটি একবারে বেশি পরিমাণে তৈরি না করে তিন থেকে চারদিন খাওয়া যায় এমন পরিমানে তৈরি করে নেয়া ভাল। আর এই হালুয়া প্রতিদিন সকালে ও রাতে পাঁচ গ্রাম পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এই হালুয়াটি খাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যায় তবে ধ্বজভঙ্গ রোগের স্থায়ী চিকিৎসায় এক মাস প্রতিদিন খেলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় হবে।
পুরুষ বা ছেলেদের যৌবন বয়সে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও খারাপ অভ্যসের ফলে বেশি পরিমান শুক্রক্ষয়ের জন্য বীর্য পাতলা হয়ে যায়। ছেলেদের বীর্য ঘন বা পাতলা বীর্য ঘন করার ঔষধ হিসেবে আলকুশি ব্যাপকভাবে পরিচিত। দিনে একবার সেবন করলে তরল বীর্য ঘন হবে। এটি খুবই কার্যকরী ঔষধ, স্থায়ীভাবে বীর্য ঘন করতে কমপক্ষে ১৫ দিন এই ঔষধ খেতে হবে। ভাল ফলাফল পেতে এই ঔষধ খাওয়ার পর অবশ্যই ২০০-৪০০ গ্রাম গরম দুধ পান করতে হবে।
আলকুশি বীজের পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
পুরুষের জন্য আলকুশি বীজের উপকারিতা ব্যপক। আলকুশি ওষধি গাছ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত। বহুকাল আগে থেকেই এই উদ্ভিদের বীজ ও মূল আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি দেহে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিসহ আরও অনেক উপকারে আসে। কিন্তু বর্তমান যুগে কৃত্তিম ঔষধের ছড়াছড়িতে এই প্রাকৃতিক গুণাগুণ সম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। আলকুশি বীজ ও মূল নানা আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কারণ এতে থাকা নানা পুষ্টি গুণাগুণ আমাদের দেহের অনেক উপকারে আসে। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
যৌন শক্তি বাড়ায়ঃ আলকুশিতে বিদ্যমান পুষ্টি গুণাগুণ পুরুষের যৌনাঙ্গের দুর্বলতা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এটি নিয়মত সেবনের ফলে দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গ শৈথিল্য, ধাতুদৌর্বল্য ও ক্ষীনবল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এটি মিলনের স্থায়ীত্ব বাড়ায় ও দাম্পত্য জীবনে সুখ এনে দেয়। তাই যাদের এরকম যৌন সমস্যা আছে তারা নিয়মিত আলকুশি খেয়ে এ সমস্যা নিমিষেই দূর করতে পারেন।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতেঃ আলকুশি বীজের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট হল লেভোডোপা (এল-ডোপা) নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি ডোপামিন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা স্নায়ু সংকেত প্রেরণ করতে সহায়তা করে। আমাদের মেজাজ পরিবর্তন, স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণ, সতর্কতা, একাগ্রতা, সুখ, ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত ডোপামিন প্রয়োজন হয়। এছাড়াও সেরোটোনিন এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটারের সাথে মিলে এটি সংবেদনশীলতা এবং মোটর নিয়ন্ত্রণ, অনিদ্রা, হজম, এবং হরমোন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করে।
আলকুশি বীজ ন্যুট্রপিক উপাদানে পূর্ণ, যা আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। আপনি তাদের জ্ঞান বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবেও আখ্যা দিতে পারেন। এই উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে পিরাসিটাম এবং অ্যানিরাসিটাম। ডোপামিনের সাথে, তারা আপনার ইন্দ্রিয় এবং চিন্তাভাবনাকে পরিমার্জিত করতে পারে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আপনার চিন্তাগুলি পরিষ্কার করতে পারে।
অ্যান্টি-পারকিনসন প্রভাবঃ পারকিনসন্স ডিজিজ (Parkinson’s Disease) স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ডোপামিনের অভাব এজন্য দায়ী। এছাড়াও, পারকিনসন রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেশীর অনমনীয়তা, কাঁপুনি এবং সীমিত নড়াচড়া। পারকিনসন্সের প্রচলিত ওষুধ তেমন কার্যকর নয়। কিন্তু আলকুশি বীজ ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এর এন্টিডিপ্রেসেন্ট প্রভাবও রয়েছে। সেরোটোনিন এবং অ্যাড্রেনালিনের সাথে মিলিত ডোপামিন পারকিনসনের লক্ষণগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
যৌনস্বাস্থ্য সুরক্ষায়ঃ আলকুশি বীজ প্রজনন সমস্যা উন্নত করতে পারে। এতে বিভিন্ন অ্যালকালয়েড থাকে, যা টেস্টোস্টেরন সংশ্লেষণকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি আপনার শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। উপরন্তু, টেস্টোস্টেরন উন্নতি স্বাস্থ্যকর শুক্রাণুর আরও ভাল সংশ্লেষণে সাহায্য করতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব দূর করেঃ কম টেস্টোস্টেরন, অস্বাভাবিক ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH), এবং প্রোল্যাকটিন বন্ধ্যাত্বের কারণ। আলকুশি বীজ গ্রহণ FSH এবং প্রোল্যাকটিন (Prolactin) কমাতে পারে. অতএব, এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ নিয়মিত সুপারিশকৃত পরিমাণে আলকুশি বীজ গ্রহণ ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব দেখাতে পারে। এটি আপনার শরীরে গ্লুটাথিয়ন, সুপারঅক্সাইড ডিসমুটেজ এবং ক্যাটালেজের মাত্রা বাড়াতে পারে। এরা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের আঘাত থেকে আপনার কোষ রক্ষা করতে পারে।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ কোষের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। কোষে অক্সিডেশন কোষের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি কোষের ঝিল্লি, প্রোটিন এবং ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে কোষের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়। অতএব, আপনার খাদ্যতালিকায় আলকুশি বীজ অন্তর্ভুক্ত করে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ এবং সীমাবদ্ধ করতে পারেন। এছাড়াও, আলকুশি বীজের মিথানল উপাদান টিউমারের বৃদ্ধিও কমাতে পারে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করেঃ আলকুশি বীজের পাউডারে ডি-চিরো-ইনোসিটল নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আলকুশিতে levodopa রয়েছে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দ্রুত ক্ষত সারায়ঃ আলকুশি পাতার রস ফোড়ায় দিলে অচিরেই তা ফেটে যায় এবং দ্রুত ভাল হতে থাকে। এই উদ্ভিদের শিকড়ের রস ও ক্ষত সারাতে কার্যকরী। জীবজন্তুর গায়ে আঘাত থাকলে বা ক্ষত থাকলে এতে আলকুশির শিকড়ের রস দিলে দ্রুত ক্ষত স্থান ভাল হয়ে যাবে।
যন্ত্রণা কমায়ঃ কোন পোকামাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেকাংশ যন্ত্রণা কমে যায়। এছাড়া এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত আলকুশি বীজের গুঁড়া এক গ্লাস পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে শারীরিক শক্তি বাড়ে ও ক্লান্তি দূর হয়। তাই দিনের শুরুতে বা দিনের শেষে এক গ্লাস আলকুশি বীজের শরবত আপনার শরীরে শক্তির যোগান দিতে পারে।
জ্বর, সর্দি-কাশি ভাল করেঃ আলকুশি গাছের শিকড়ের রস বা বীজ গুঁড়া জ্বর, সর্দি-কাশি ভাল করতে ব্যাপক কাজে লাগে।
রক্তপাত বন্ধ করেঃ ব্যথা পেলে বা মাসিক ঋতুস্রাবে অনেকেরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আলকুশি শিকড়ের রস ক্ষতস্থানে লাগালে রক্তপাত দ্রুত বন্ধ হয় এবং মাসিকের ক্ষেত্রে আলকুশি বীজ গুঁড়া গরম পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তক্ষরণ কমে। পাশাপাশি শরীরের শক্তিও পুনরুদ্ধার হয়।
নানা রোগ নিরাময় করেঃ আলকুশি বীজ গুড়া মধুসহ খেলে কলেরা বা অনুরূপ মারাত্নক পেট খারাপ জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া হঠাৎ হাত-পা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঝিনঝিন করা, অবস হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সমাধান মেলে নিয়মিত আলকুশি বীজ গুঁড়া খেলে।
উপকারিতা পেতে যেভাবে খাবেন আলকুশি বীজ
সপ্তাহে একবার বা দুবার ১৫-২০ গ্রাম আলকুশি খাওয়া একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আদর্শ হতে পারে। যাইহোক, প্রতিদিন ৫ গ্রাম দিয়ে শুরু করুন। এই পরিমাণ আপনাকে আপনার শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
পাউডার হিসেবেঃ আলকুশি বীজ দুধে শোধন করে শুকিয়ে পাউডার করে নিতে পারেন। এ পাউডার রুটি বানানোর সময় আটার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও গরম দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
বীজ হিসেবেঃ সিমের বিচির মত করে তরকারি রান্না করেও খাওয়া হয়ে থাকে আলকুশি। তাজা বীজ সিদ্ধ করে সালাদ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
ক্যাপসুল হিসেবেঃ ফুডসাপ্লিমেন্ট হিসেবে আলকুশি বীজের ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে তা গ্রহনের পূর্বে হাকিম বা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চা এর মত করেঃ গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়া, চিনি ও আলকুশি পাউডার মিশিয়ে চা এর মত খাওয়া যায়। ১ চামচ আলকুশি পাউডার, ১/২ চামচ দারুচিনি ও ১ চামচ গুড় অথবা চিনি গরম পানিতে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে ২ কাপ চা প্রস্তুত করা যায়।
আলকুশি বীজের উপকারিতা
অনেকেই জানতে চান আলকুশি বীজ খেলে কি হয়। তাদেরকে বলে রাখা ভাল যে যৌন দুর্বলতা থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু জটিল রোগের মহা ঔষধ হলো আলকুশি বীজ বা পাউডার। ক্যান্সার, বন্ধাত্তা দূরীকরণ, যৌন চিকিৎসা, মস্তিস্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি সহ নানান উপকারে আসে এই আলকুশি বীজ। দেখে নিন কি কি উপকার করে আলকুশি বীজ।
- আলকুশির বীজকে যৌন রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। যা সকালে বা রাতে গরম দুধের সাথে খেলে কঠিন যৌন রোগ সেরে যায়।
- এটি টেস্টস্টরেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি ও গতিশীল করে। ফলে যৌন ক্ষমতা বহুগুনে বেড়ে যায়।
- আলকুশি বীজ নিয়মিত খেলে শুক্র বৃদ্ধি করে যা প্রজনন এর ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে।
- ধাতু ক্ষয় বা বীর্য তারল্য রোধ করে।
- কম টেস্টস্টরেন বা ফলিকন স্টিমুলেটিং হরমোন ও পোল্যাক্তিন বন্ধ্যাতা এর কারন। নিয়মিত আলকুশি বীজ এর পাউডার খেলে এই সমস্যা সমধান হয়ে যায়।
- কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেক যন্ত্রণা কমে যায়।
- এটি চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ভাল কাজ করে।
- আলকুশির শিকড়ের রস নিয়মিত খেয়ে দীর্ঘ দিনের পুরনো আমাশয় রোগ ভাল হয়ে যায়।এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
- পরিশোধিত ও বিশুদ্ধ আলকুশির বীজের পাউডার নিয়মিত খেলে তা ক্যান্সার প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে।
- আলকুশির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই নরম হয়ে সেটি ফেটে যায়।
- এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি ও গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
- এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
- আলকুশির শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
- এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
- শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
আলকুশি বীজ গুঁড়া খাওয়ার নিয়ম
আলকুশি বীজ গুঁড়া খাওয়ার নিয়ম ১-২ চা চামচ আলকুশি বীজ গুঁড়া ১ গ্লাস গরম পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমানো ১ ঘন্টা আগে খেতে হবে। চাইলে এর সাথে এক চামচ মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এভাবে কয়েক দিন খেলেই সুফল মিলতে থাকবে। অধিক কার্যকারিতার জন্য অন্তত দুই মাস আলকুশি বীজ গুঁড়া খাওয়া চালিয়ে যাওয়া উত্তম।
তবে এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি আলকুশি বীজের গুঁড়ার সাথে ব্যবহার করতে পারেন মধু কিংবা মিশ্রী। মনে রাখবেন আলকুশি বীজের গুড়া প্রতিদিন রাতে একবার করে খেতে পারবেন। সঠিকভাবে পরিশোধিত আলকুশি বীজ পরিমিত পরিমাণে সেবন করুন।
আলকুশি বীজ শোধন করার নিয়ম
আলকুশি বীজ শোধন করার নিয়ম হলো প্রথমে আলকুশি বীজ খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে আলকুশি বীজগুলো পরিমান মত দেশী গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে ভাল ভাবে জ্বাল করে সিদ্ধ করতে হবে। এবার বীজের উপরীভাগ থেকে চামড়া গুলো আলাদা করতে হবে। তারপর চামড়া ছাড়ানো বীজ গুলো কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
রোদে শকানো হয়ে গেলে বীজগুলো একদম মিহি করে ফারমাসিউটিক্যাল গ্রেড ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাউডার তৈরি করতে হবে। সর্বশেষ পাউডারগুলো আবারও রোদে ভাল ভাবে শুকিয়ে প্যাকেটজাত কিনবা বয়ামে সংরক্ষন করে রেখে এগুলা পরবর্তীতে প্রয়োজনমতো দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। দেশী গরুর খাঁটি দুধে আলকুশি বীজ সঠিকভাবে অভিজ্ঞ হাকিম বা কেমিস্ট দ্বারা শোধন ও প্রস্তুত না করা হলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আলকুশি ও অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম
আলকুশি ও অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন রাতের খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ আলকুশি পাউডার এবং এক চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে খেতে হবে। তবে এর উপকার ও শক্তি আরো বৃদ্ধি করতে চাইলে এতে আপনি জাফরান ও মধু মিশাতে পারেন। আমরা সবাই জানি মধু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য পণ্য।
মধুর উপকারিতা কথা বলে শেষ করার মত নয়। একইভাবে জাফরান রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের শরীরের বিশেষ কিছু কাজে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই আপনি যদি শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান সেই সাথে ধ্বজভঙ্গ দূর করতে চান তাহলে আলকুশি ও অশ্বগন্ধা একত্রে মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে পারেন।
এছাড়াও অশ্বগন্ধা গুড়া বা আলকুশি পাউডার দিয়ে নিয়মিত চা এর সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।পাশাপাশি অশ্বগন্ধা, আলকুশি পাউডার এবং মধু ও বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত এভাবে বাদামের সঙ্গে অশ্বগন্ধা ও আলকুশি মিশিয়ে খেতে পারেন সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন এবং ভাল ঘুম হবে।
পাশাপাশি আপনি অশ্বগন্ধার পাউডার ক্ষতস্থানে মলম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। কেননা অশ্বগন্ধার গুড়া মলমের মতো প্রদাহর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আর এটা দারুন কার্যকরী।
আলকুশি, অশ্বগন্ধা, বীর্যমূল, শিমুল মূল ও তেঁতুলবীজ খাওয়ার উপকারিতা
অশ্বগন্ধা, আলকুশি, শিমুলমূল, বীর্যমুল, তেতুলবীজ, এই পাঁচটি ভেষজ পাউডারকে একত্রে পঞ্চভূত বলা হয়। এগুলো আসলে সবার সুস্থ থাকার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান। যারা বিবাহিত তাদের জন্য বেশি উপযোগী পাশাপাশি যাদের কিছু দূর্বলতা আছে উনারাও খেতে পারেন। নিচে প্রত্যেকটি উপাদানের কিছু আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য বা গুনাগুণ তুলে ধরা হলোঃ
১. আলকুশি পাউডারের উপকারিতাঃ আলকুশীর প্রধান ব্যবহার বাজীকর ঔষধ হিসেবে । যা অতিমাত্রায় শুক্র সৃষ্টি করে অথবা অশ্বের মত রমণে প্রবৃত্ত করে। আলকুশির বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
২. অশ্বগন্ধাঃ অশ্বগন্ধা সাধারন দূর্বলতা, যৌন দুর্বলতা, মানসিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, অবসাদ, শিশু অপুষ্টি, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, পীড়ন, কোষকলার ঘাটতি, স্নায়বিক অবসাদ, গ্রন্থিস্ফীতি, অনিদ্রা, দুগ্ধস্বল্পতা, শুক্রস্বল্পতা ইত্যাদিতে কার্যকর।
৩. শিমুলমূলঃ শিমুল মূলের পাউডার যা যৌনশক্তি বর্ধক, বীর্যসৃষ্টি কারক, দেহ মোটা ও তাজা করে, যৌবন ধরে রাখে । দ্রত বীর্যপাত রোধ করে, মহিলাদের শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, পাতলা পায়খানা, শুক্রতারল্য, স্নায়বিক দূর্বলতা এবং দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে অত্যান্ত উপকারী।
৪. বীর্যমুল চূর্ণঃ শতমূল এমন একটি ভেষজ যা সাধারন বলকারক, যৌন শক্তি বর্ধক, শুক্র গাঢ় কারক, শুক্র সৃষ্টি কারক, পুষ্টি কারক এবং দুগ্ধ বর্ধক। শুক্র মেহ, স্নায়বিক দূর্বলতা, মূত্র কৃচ্ছতা, মানসিক দুর্বলতা এবং যৌন দুর্বলতায় বিশেষ উপকারী।
৫. তেতুল বীজঃ তেঁতুল বীজ বলকারক, শরীরের দূর্বলতা দূর করে, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে। মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন করে।
এছাড়া অধিক ফলাফলের জন্য সমস্যাভেদে এর সাথে তালমুল, শংখমুল, জিংসেন, মনিরাজ ও বীর্যমনি সহ দুর্লভ কিছু ভেষজের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় পঞ্চভুত প্লাস পাউডার। যা কিছুদিন সেবনের ফলে আশ্চর্য ফলাফল পাওয়া যায়।
পঞ্চভূত বা আলকুশি, অশ্বগন্ধা, বীর্যমূল, শিমুল মূল তেতুলবীজ খাওয়ার উপকারিতা
এই পাঁচটি ভেষজ একসাথে পাউডার করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ করে
দুধ বা জলের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে, কোনো ভেষজ দীর্ঘদিন ধরে
সেবনের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, এই পাঁচটি ভেষজের পাশাপাশি অন্যান্য ভেষজ যেমন, গুলঞ্চ, আমলকী, তুলসী, কালমেঘ
ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে। আলকুশি, অশ্বগন্ধা, বীর্যমূল, শিমুল মূল এগুলো একসাথে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, যেমন
শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এই পাঁচটি ভেষজই শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। আলকুশি, অশ্বগন্ধা এবং বীর্যমূল দেহের শক্তি ও বল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শিমুল মূল দেহের ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ এই পাঁচটি ভেষজই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। আলকুশি, অশ্বগন্ধা এবং বীর্যমূল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শিমুল মূল শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
পুরুষত্বহীনতা দূর করেঃ অশ্বগন্ধা, তেতুলবীজ এবং বীর্যমূল পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে কার্যকর। এগুলো দেহের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ আলকুশি, অশ্বগন্ধা এবং শিমুল মূল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। এগুলো দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ অশ্বগন্ধা এবং বীর্যমূল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর। এগুলো দেহের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
রক্তশূন্যতা দূর করেঃ আলকুশি এবং বীর্যমূল রক্তশূন্যতা দূরীকরণে কার্যকর। এগুলো দেহের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মূল বিষয় ছিলো পুরুষের জন্য আলকুশি বীজের উপকারিতা। আশা করছি সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আলকুশি বীজের পাশাপাশি এর পাতা এবং শিকড়ও অনেক উপকারী। এর পাতা বেটে রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায় ফলে দ্রুত ব্যাথা উপশম ও নিরাময় হয়। আলকুশি শিকড়ের রস জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে। এছাড়াও, শিকড়ের নরম অংশ মূত্রবর্ধক ও যৌনাঙ্গের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকারী।
যাদের সাইকোসিস, নিউরোপ্যাথি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের চিকিৎসা চলছে তাদের আলকুশি বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় এই আলকুশি খাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে। আলকুশি বীজে জরায়ু উদ্দীপক প্রভাব থাকে, যার ফলে জরায়ু ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও, এটি ভ্রুণের ক্ষতি করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের আলকুশি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url