মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করুন অনলাইন থেকে
আপনি কি মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে চাচ্ছেন অনলাইন থেকে। মোবাইল
দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে আয় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত। বর্তমানে অধিকাংশ
ফ্রিল্যান্সাররা মোবাইল ব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করে থাকে।
মোবাইল দিয়ে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন আজ আমি সেসকল সাইট নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনি যদি সেই সকল সাইটে ডাটা এন্ট্রির কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন তবে আপনি প্রতি
মাসে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন। মোবাইলে এ ধরনের কাজ করে আয় করা খুবই
সহজ এবং সময় সাপেক্ষ মাত্র।
তাই কাজ শুরু করার আগে আপনাকে সেই ওয়েবসাইটটি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সঠিক তথ্য
নিয়ে কাজ করলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না। বিডি টেকল্যান্ড এর আজকের ব্লগে
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করব।
পেইজ সুচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করুন অনলাইন থেকে
- মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি কিভাবে করবেন
- ডাটা এন্ট্রি কি
- ডাটা এন্ট্রির কাজ কি
- একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি
- ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ
- ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকারভেদ
- ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে কি কি যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে
- ডাটা এন্ট্রি শিখতে কত দিন সময় লাগে
- ডাটা এন্ট্রির জব কেন করবেন
- ডাটা এন্ট্রির চাকরির ধরন
- ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়
- ডাটা এন্ট্রি কাজের পেমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি কাজের সাইট
- শেষ কথা
মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের
ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অনলাইনেই পেমেন্ট করে থাকে। আপনারা
ঘরে বসে মোবাইলে এ ধরনের কাজ করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ডাটা
এন্ট্রি করে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে কোর্স কিনবা ইউটিউব দেখে ডাটা এন্ট্রির কাজ
শিখতে হবে। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার এমনই
কিছু জনপ্রিয় উপায়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
১. ফ্রিল্যান্সিংঃ মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য আপনি
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru, People
Per Hour ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এ
ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা এবং সুযোগ দুটোই অনেক
বেশি। আপনি আপনার হাতে স্মার্টফোনটি দিয়েই এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে
রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন। এরপর আপনাকে মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজ
নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা খুব সহজ এবং এ সকল কাজ
মোবাইলে খুব সহজেই করা যায়। এই ওয়েবসাইটগুলোতে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে
আপনারা ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি মোবাইলে ডাটা
এন্ট্রি করার কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে বছরে কয়েক হাজার
ডলার আয় করতে পারবেন।
২. অনলাইন সার্ভেঃ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি
ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে আয় করতে পারবেন।
Swagbaug, Survey Junkie, Google Opinion Reward ইত্যাদির মতো আরও নানা ধরনের
অনলাইন সার্ভে সাইট আছে। মূলত এই সার্ভেগুলোতে অংশগ্রহণ করে কিছু ব্যক্তিগত ডাটা
এন্ট্রি করার মাধ্যমে ১-২ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। এই অনলাইন সার্ভে
সাইটগুলোতে ডাটা এন্ট্রি করা খুবই সহজ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এই কাজগুলো খুব
সহজেই করা যায়।
অনলাইন সার্ভের বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ছাড়াও বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপও রয়েছে
যেগুলো মোবাইলে ডাউনলোড করে এই অনলাইন সার্ভের কাজগুলো খুব সহজে করা যায়। এ
ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আপনারা ঘরে বসে বছরে হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।
৩. ক্যাপচা পূরণঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার আরো একটি সহজ মাধ্যম হলো
ক্যাপচা পূরণ করা বা ক্যাপচা সমাধান করা। সাধারণত বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা
প্লাটফর্ম গুলোতে এ ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। ক্যাপচা পূরণ বা
ক্যাপচা সলভ করা খুব সহজ একটি কাজ। ক্যাপচা পূরণের কাজ করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট
গুলোতে কিছু নির্দিষ্ট ছবি, অক্ষর বা সংখ্যা দেওয়া থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বক্সে
বা খালিঘরে এন্ট্রি করতে হয়। ক্যাপচা সমাধান করে আয় করার একটি জনপ্রিয়
ওয়েবসাইট হলো 2Captcha। ক্যাপচা সমাধানের মতো এই ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করে
প্রতিদিন প্রায় ১০-২০ ডলার আয় করা সম্ভব।
৪. মাইক্রো টাস্কিংঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার আরো একটি অন্যতম
উপায় হলো মাইক্রো টাস্কিং করা। এই ধরনের কাজগুলো সাধারণত বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা
অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায়। Amazon Mechanical Turk, Click Workers
ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছোট ছোট ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। তবে এই
প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির পাশাপাশি আরো নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায় বলে
এগুলোকে মাল্টি টাস্কিং কাজও বলা যায়। এই ধরনের ছোট ছোট কাজগুলোর জন্য কোম্পানি
থেকে অনলাইন পেমেন্ট করা হয় এবং প্রতিটি টাস্ক এর জন্য ০.৫ ডলার থেকে ৫ ডলার
পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলো মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়।
৫. ট্রান্সক্রিপশনঃ বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি করার একটি জনপ্রিয় ও চাহিদা
সম্পন্ন উপায় হলো ট্রান্সক্রিপশন। আপনার যদি ভালো ডাটা এন্ট্রি এবং টাইপিং করার
দক্ষতা থাকে তাহলে মোবাইলে খুব সহজে ট্রান্সক্রিপশনের কাজ করতে পারবেন। এ ধরনের
কাজে সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট অডিও ফাইলকে লেখার রূপান্তরিত করতে হয়। অডিও
ফাইলটিতে যেসব ডাটা দেয়া থাকবে সেগুলো আপনাকে টাইপ করতে হবে বা অনুরূপ ডাটার
প্রতিলিপি তৈরি করতে হবে। ডাটা এন্ট্রি এই ধরনের কাজগুলো খুব সহজ হয় বলে
মোবাইলেই বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায় এবং অধিক পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করা যায়।
৬. কপি পেস্টঃ ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজে এবং কম সময়ে করা
যায় এমন একটি কাজ হলো কপি পেস্ট করা। এ ধরনের কাজে সাধারণত নির্দিষ্ট ডাটা গুলোকে
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কপি পেস্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করতে হয়। কপি পেস্টের
কাজ করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন
সংখ্যা, অক্ষর, লেখা, হিসাব ইত্যাদি কপি-পেস্ট করতে হয়। কপি পেস্টের মতো ছোট ছোট
কাজগুলোর জন্য ০.৫ ডলার থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়। মোবাইলে এই ডাটা কপি
পেস্ট এর কাজ করে প্রতি মাসে কয়েক শত আয় করা সম্ভব।
৭. ডাটা কালেকশনঃ বর্তমানের ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মধ্যে আরও একটি বহুল
জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডাটা কালেকশন করার কাজ। বিভিন্ন ধরনের
কোম্পানি অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ধরনের
ডাটা সংগ্রহ করার জন্য পেমেন্ট করে থাকে।
ছবি তোলা বা সংগ্রহ করা, তথ্য রেকর্ড করা, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা, সার্ভে বা
প্রশ্নের উত্তর দেয়া, রিসার্চের মাধ্যমে অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করা ইত্যাদি আরো
বিভিন্ন ধরনের ডাটা কালেকশনের কাজ করতে দেয়া হয়। তাদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর
ডাটা সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হয় এবং পরবর্তীতে তারা অনলাইনে পেমেন্ট
করে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা কালেকশনের এই কাজগুলো করে আপনারা ঘরে বসেই প্রতি
মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
৮. স্ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রিঃ স্ক্র্যাপিং অর্থ হলো বাদ দেয়া বা মুছে
ফেলা। মূলত স্ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে অনেক পুরনো তথ্য বা ডাটা যা
এখন প্রয়োজন নেই সেগুলো ডাটাবেজ থেকে বাদ দেওয়া এবং মুছে ফেলার কাজ করতে হয়।
ওয়েবসাইট বা কোম্পানি থেকে নির্ধারিত নির্দিষ্ট ডাটাগুলো খুবই সতর্কতার সাথে
ডাটাবেজ থেকে বাদ দিতে হয় যা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। তবে মোবাইলের মাধ্যমেই এখন
স্ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব সহজে করা সম্ভব। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির সকল
খুঁটিনাটি সম্পর্কে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এ ধরনের কাজ পাওয়া আপনার জন্য খুব সহজ
এবং ঘরে বসে মোবাইলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারবেন। ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রি কাজ
করে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি কিভাবে করবেন
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডাটা
এন্ট্রি করা। ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ডাটা
এন্ট্রির কাজ করা যায়। আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির
কাজ করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ,
কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা
এন্ট্রির কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা
সম্ভব।
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি
মোবাইলেই বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে
পারবেন। ডাটা এন্ট্রির যে কাজগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খুব কম সময়ে করা যায়
মূলত সেই কাজগুলো এখন মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব। ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজের
প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বহুগুনে বৃদ্ধি
পেয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রির মতো কাজ করতে পারার সুযোগ থাকায় লক্ষ
লক্ষ মানুষ ঘরে বসেই আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।
ডাটা এন্ট্রি কি
ডাটা এন্ট্রি হলো টাইপিস্টের সাহায্যে টাইপ করে যেকোন হার্ড কপি, সফট কপিতে ডাটা রুপান্তর করা এবং ডাটা সঠিক জায়গায় সংগ্রহ করা বা সংরক্ষণ করাই হলো ডাটা এন্ট্রি। অথবা, ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে লিখিত কোন তথ্য, চিত্র, উপাত্ত বা বিষয়বস্তুকে ইলেকট্রনিক ফরমেটে রূপান্তর করে তা কম্পিউটারের জন্য উপযুক্ত করার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে সাধারণত ডাটা ইনপুট করে একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে ডাটাবেজে ডাটা সংরক্ষণ করা হয়।
ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য যেমন নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়। এটি আমাদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি ডাটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কোন সফটওয়্যার এর সাহায্যে কিবোর্ড অথবা ভয়েস ব্যবহার করে কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য ডকুমেন্ট বা ছবি ইত্যাদির হার্ড কপিকে সফট কপিতে রূপান্তর করাই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির প্রধান কাজ।
আরো সহজ ভাবে বললে ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন এক সোর্স থেকেও অন্য কোন সরষে কোন কিছু এন্ট্রি করা বা সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া ডাটা এন্ট্রি বলতে শুধু যেকোন লেখা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা লিখতে হবে বিষয়টা এমন নয়। ডাটা এন্ট্রির কাজ এমনও হতে পারে যে কোন অডিও ভিডিও বা ব্রডকাস্ট ফাইল শুনে ও দেখে তা লেখাতে কনভার্ট করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটি জনপ্রিয় কাজের নাম হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি।
ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যান্য কাজের তুলনায় ডাটা এন্ট্রির কাজ অনেক সহজ।
কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার এবং টাইপিং এ মোটামুটি দক্ষতা থাকলেই যে কেউ ডাটা
এন্ট্রির কাজ করতে পারে। আপনি যদি সহজ কোনো কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে আপনার জন্য বেস্ট অপশন।
সচোরাচর যে প্রশ্নগুলো করে থাকেন
আপনারা সচোরাচর যে প্রশ্নগুলা গুগলে কিংবা কোনো ওয়েব সাইটে এসে সার্চ করে থাকেন
তার সংক্ষেপে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো। যা ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে
আশা করছি আপনারা সংক্ষিপ্ত ধারনা লাভ করতে পারবেনঃ
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়?
উত্তরঃ আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার
কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার
বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির
কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা সম্ভব।
প্রশ্নঃ ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখতে কত দিন লাগবে?
প্রশ্নঃ ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখতে কত দিন লাগবে?
উত্তরঃ ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় সময় লাগতে পারে। নিয়মিত অনুশীলন এবং উত্সর্গের সাথে, আপনি দ্রুত আপনার ডেটা এন্ট্রি দক্ষতা উন্নত করতে পারেন এবং প্রকল্পগুলিতে কাজ শুরু করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ডাটা এন্ট্রি এর কাজ কি?
উত্তরঃ ডাটা এন্ট্রি হল সংগঠন এবং পরিচালনার উদ্দেশ্যে একটি কম্পিউটার সিস্টেমে ডেটা প্রবেশ করে ডিজিটাইজ করার প্রক্রিয়া। এটি একটি ব্যক্তি-ভিত্তিক প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পিত কম্পিউটার-ভিত্তিক বিশ্লেষণ বা প্রক্রিয়াকরণের জন্য তথ্যের কোনো মেশিন-পাঠযোগ্য সংস্করণ সহজে উপলব্ধ না হলে এটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক" কাজগুলির মধ্যে একটি।
প্রশ্নঃ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এর বেতন কত?
উত্তরঃ উচ্চমান সহকারীর বেতনক্রম ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা। সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের বেতনক্রম ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক বা ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদের বেতনক্রম ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
প্রশ্ন -ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কি?
উত্তরঃ ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ডাটা গুলোকে একটি physical
paper document থেকে দেখে কীবোর্ড এর দ্বারা কম্পিউটারে টাইপ করে digital কপিতে
রূপান্তর করা হয়। আর, এই ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজ যেই ব্যক্তির দ্বারা করানো
হয় তাকেই বলা হয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
ডাটা এন্ট্রির কাজ কি
ডাটা এন্ট্রি একটি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর দ্বারা করা হয় ,যাকে কম্পিউটারের
নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ডেটা প্রবেশ/টাইপ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ,
ওয়ার্ড প্যাড, এমএস-অফিস, এমএস-এক্সেল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরণের
সফ্টওয়্যারগুলিতে অপারেটর দ্বারা ডেটা এন্ট্রি হয়। ডাটা এন্ট্রি হলো এমন একটি
কাজ যেখানে সাধারণত ইলেকট্রনিক ডেটা যোগ, যাচাই ও সম্পাদনা করতে হয়।
ডাটাবেজের ডাটা যোগ করা, বিভিন্ন পরিসংখ্যান যোগ করা থেকে শুরু করে নোট বা
রেকর্ডিং থেকে ডাটা প্রতিলিপি (Transcribe) করাও ডাটা এন্ট্রির মধ্যে পড়ে।
অর্থাৎ এর পরিসরটা আসলে অনেক বড়।যারা ডাটা এন্ট্রি করেন তাদের মধ্যে রয়েছে
ইলেক্ট্রনিক ডাটা প্রসেসর, টাইপিস্ট, ওয়ার্ড প্রসেসর, ট্রান্সক্রাইবার, কোডার
ইত্যাদি। সাধারণত কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক ডাটা প্রসেসর ব্যবহার করে ডাটাবেজ বা
ডকুমেন্টেশেন প্ল্যাটফর্মে ডাটা বা ইনফরমেশন দেয়া হয়। তবে নিয়োগকর্তার চাহিদা
অনুসারে কিছুক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াম বাদে কাগজের ডকুমেন্টও ব্যবহার করতে
হতে পারে।
একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সব তথ্য এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়।
ক্রমবর্ধমান যুগের সাথে সাথে চাহিদা বাড়ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাটা এন্ট্রি করে
সংরক্ষণ করা। তারই ধারাবাহিকতায় চাহিদা বাড়ছে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের এবং একই
সাথে বাড়ছে ডাটা এন্ট্রি কাজের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ। একজন প্রফেশনাল এক্সপার্ট
ডাটা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডাটা ইনপুট করা ডাটা ফরম্যাটিং করা ডাটার ভুল সংশোধন
করা সর্বশেষ ডাটাকে একটি নির্দিষ্ট ডাটাবেজে সংরক্ষণ করায় কাজী হচ্ছে একজন ডাটা
এন্ট্রি অপারেটরের প্রধান কাজ।এ ছাড়াও একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কম্পিউটারে অনেক
ধরনের বেসিক কাজ করে থাকেন,যেমনঃ-
- অনলাইন রিসার্চ করে কোন তথ্য উপাত্ত বের করে তা রিপোর্ট আকারে রেডি করা।
- ভার্চুয়াল এ্যাসিস্টান্ট হিসেবে কাউকে হেল্প করা।
- এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেসেন্টেশন রেডি করা।
- কোন ওয়েব সাইট এ ডাটা আপলোড করা।
- ইমেইল সেন্ড করা ও ইমেইল থেকে ডাটা সংগ্রহ করা।
- কোন এলাকার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা।
- কোন কোম্পানির অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের সকল লোকজন এর ইমেইল এড্রেস খুঁজে বের করা।
- অনলাইন এ ডাটা এন্ট্রি করা কোন সিস্টেমে।
- কোন রিপোর্ট থেকে ডাটা কালেক্ট করে নতুন রিপোর্ট রেডি করা।
- অনলাইন থেকে ছবি কালেক্ট করা।
- মূলত এই কাজ গুলিই একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে করতে হয় বেশির ভাগ সময়।
ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ
তথ্য এবং কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ডাটা এন্ট্রি জব কয়েক প্রকারের হয়ে
থাকে। যেমনঃ টাইপিং, এক্সেল Data Entry, স্পেল চেকিং, ট্রান্সলেশন, ডাটা
কনভার্শন, কপি-পেস্ট, ইমেজ টু টেক্সট, অডিও টু টেক্সট, ভিডিও টু টেক্সট,
ক্যাপচা এন্ট্রি, ইত্যাদি। নীচে ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ গুলো কি কি সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাকরা হলোঃ-
১। টাইপিংঃ এই পদ্ধতিতে কোনো তথ্য দেখে দেখে টাইপ করতে হয়। টাইপ করার জন্য আপনি চাইলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক ব্যবহার করতে পারেন। টাইপ করা শেষ হলে সেগুলোকে একটি ফাইল হিসেবে তৈরি করে ক্লাইন্টকে জমা দিতে হবে।
২। এমএস এক্সেলঃ বিশ্বের সব কোম্পানিই তাদের কোম্পানির সেলস, কাস্টমার রিভিউ, ফিডব্যাক, এবং হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করে থাকে। কারণ মাইক্রোসফট এক্সেল এর সাহায্যে Data Entry কাজ অনেক সহজে করা যায়। মাইক্রোসফট এক্সেলে একটি বিশাল স্প্রেডশিট থাকে যেখানে অনেকগুলো ঘর করা থাকে। সেখানে অনেক সহজেই Data Entry করা যায় এবং প্রয়োজন অনুসারে এডিট করা যায়। বর্তমানে এই ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
৩। স্পেল চেকিংঃ স্পেল চেকিং (Spell Checking) বিষয়টি হলো এমন যে, আগে থেকেই লেখা কোনো একটি আর্টিকেল, উপন্যাস, বা কোনো টেক্সট ফাইল চেক করে ভুলগুলো সঠিক করা। মূলত লেখাটিতে কোনোবানান, শব্দ, অথবা ব্যাকরণগত কোনোসমস্যা রয়েছে কিনা সে বিষয়টি চেক করে সঠিক করাই হলো স্পেল চেকিং।
৪। ট্রান্সলেশনঃ এই কাজটি খুব সহজ। এই ধরনের Data Entry কাজ করার জন্য কোনো লেখাকে একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করতে হয়। এক্ষেত্রে সোর্স ফাইলটি অডিও ফাইল আকারেও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিখ্যাত ইংরেজি ভাষার অডিও বুককে বাংলা ভাষায় ট্রান্সলেট করা হল ট্রান্সলেশন Data Entry জব।
৫। ডাটা কনভার্শনঃ অনেক সময় কোনো ফাইল বা তথ্যের ফরমেট বদলানোর প্রয়োজন পড়ে। যেমন একটি পিডিএফ ফাইলকে এডিট করার জন্য ওয়ার্ড ফাইলে রূপান্তরের প্রয়োজন হয়। একটি ফাইল ফরমেট কে এভাবে অন্য একটি ফাইল ফরমেট এর রূপান্তরের কাজকে ডাটা কনভার্শন বলে।
৬। কপি-পেস্টঃ কপি পেস্ট বলতে কি বুঝায় তা আমরা সবাই বুঝি। কপি পেস্ট বলতে বুঝায় এক জায়গা থেকে কপি করে অন্য জায়গায় পেস্ট করা। হ্যাঁ, এই ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করেও ইনকাম করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কপি পেস্ট ডেটা এন্ট্রি অনেক কাজ রয়েছে। আর এই কাজগুলো তুলনামূলক সহজ হওয়ায় যে কেউ এই কাজগুলো করে ভালো মানের একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবে।
৭। ইমেজ টু টেক্সটঃ ইমেজ টু টেক্সট ডাটা এন্ট্রির কাজটিও খুবই সহজ। এক্ষেত্রে কোনো ডকুমেন্ট এর ছবি থেকে সেটাকে টেক্সট ফাইলে রূপান্তর করতে হবে। ছবিতে যা যা থাকবে সেগুলো ঠিক ওইভাবেই লিখে ক্লায়েন্টকে দিতে হবে। এটি হলো ইমেজ টু টেক্সট Data Entry জব।
৮। অডিও টু টেক্সটঃ কোন অডিও শুনে সেটাকে টাইপ করার কাজটিই হল অডিও টু টেক্সট Data Entry Job। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি অডিও ফরমেট দিবে। সেই অডিওটি শুনে তা টেক্সট আকারে লিখতে হবে এবং ওই ফাইলটি ক্লাইন্টকে প্রদান করতে হবে।
৯। ভিডিও টু টেক্সটঃ ভিডিও টু টেক্সট ডাটা এন্ট্রির কাজটি অনেকটা ইমেজ টু টেক্সট এর মতই। ইমেজ টু টেক্সট এর ক্ষেত্রে ছবি দেখে দেখে সেটাকে টেক্সট ফাইলে রূপান্তর করতে হতো। আর এখানে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোনো ভিডিও দিবে। সেই ভিডিওটি দেখে তাতে থাকা তথ্য লিপিবদ্ধ করে ক্লাইন্টকে জমা দিতে হবে।
১০। ক্যাপচা এন্ট্রিঃ ক্যাপচা এন্ট্রি এবং ইমেজ টু টেক্সট একই রকম মনে হলেও এই দুটো বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। ক্যাপচা এন্ট্রির ক্ষেত্রে আপনার সামনে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন বা সংখ্যার প্রদর্শিত হবে। ঐ সাংকেতিক চিহ্নগুলোকে সঠিকভাবে এন্ট্রি করাই হলো ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ। ক্যাপচা এন্ট্রির কাজটি তুলনামূলক সময় সাপেক্ষ। কারণ ক্যাপচা এন্ট্রি করে ১০০ টাকা ইনকাম করতে হলে ১০০০ টি ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকারভেদ
অনেকেই ডাটা এন্ট্রি জব বলতে শুধু লেখালেখি বা টাইপিং করাকেই বোঝে। মূলত ডাটা
এন্ট্রি এমন একটি জব বা কাজ যেখানে, অনেক ধরনের দক্ষতার কাজ করা যায় বা করতে
হয়। এ কাজের সাথে বিভিন্ন অঙ্গ জড়িত। একজন এক্সপার্ট ডাটা এন্ট্রিয়ার হতে হলে
অনেক কিছুর প্রাথমিক ভাবে মোটামুটি ধারণা থাকতে হয়, যেমন: ফটোসপ, ই-মেইল
মার্কেটিং, মোটামুটি গ্রাফিক্স আইডিয়া, পেইজ ডিজাইন ইত্যাদি ইত্যাদি।
ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য নিচে বর্ণিত সবগুলো কাজ শিখেও জব করতে পারবেন আবার
কয়েকটা শিখেও তার এক একটা অংশের কাজ করে আয় করতে পারবেন।
অনলাইন ডাটা এন্ট্রিঃ বায়ার বা চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে
অনলাইনে ডাটা টাইপ করার জন্য বলে, তবে আপনাকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে
হবে(অবশ্য আপনি চাইলে আপনার প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে পারেন, সেক্ষেত্রে
আপনার কাজের সুরক্ষা বাড়বে)। এ পদ্ধতিতে কাজের ব্যাকআপ-এর জন্য কোনো রিস্ক
থাকেনা। আপনার ডাটা অন করা অবস্থায় online data entry সফটওয়্যার বা গুগল থেকে
সরাসরি সাহায্য নিয়ে এই কাজ করতে হয়। ফলে আপনার পিসি-তে ওয়ার্ড সফট্ওয়্যার
থাকা না থাকা ফ্যাক্ট না। এই পদ্ধতির বড় সুবিধা হলো, যদি কাজ করতে করতে হঠাৎ
আপনার পিসি বা হার্ড ডিস্ক ফল্ট করে তবে আপনার সম্পূর্ণ কাজ সুরক্ষিত থাকবে।
আর এই সুরক্ষার জন্য অনেক বায়ার এ আদেশ দিয়ে থাকে। কারণ তাদের সময়মতো কাজ
পাওয়া দরকার।
অফলাইন ডাটা এন্ট্রিঃ এ পদ্ধতির সাথেই আমরা বেশি পরিচিত। পিসি-তে ওয়ার্ড সফট্ওয়্যার ইনস্টল করা থাকে। সেই সফটওয়্যারের মা্ধ্যমে কোনো ডাটা কানেকশন ছাড়াই যত খুশি তত ডাটা এন্ট্রি করতে পারি এবং যেখানে খুশি সেখানে সাবমিট করতে পারি। ডাটা এন্ট্রি’র জগতে এই পদ্ধতিই জনপ্রিয় এবং প্রায় সবাই অফলাইন ডাটা এন্ট্রি’র মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকি। বায়ারের বাধ্যবাধকতা না থাকলে আপনি বিনা খরচে এই পদ্ধতিতে ডাটা এন্ট্রি করতে পারবেন। তবে এ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা কাজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। পিসি বা হার্ড ডিস্ক ফল্ট করলে সব ফাইল মুছে যাবে।
স্ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রিঃ স্ক্র্যাপিং অর্থ -বাদ দেওয়া । তাহলে
সম্পূর্ণ বিষয়টা দাঁড়ালো তথ্য বাদ দেওয়া। অনেক পুরোনো তথ্য যার আর প্রয়োজন
নেই। কিন্তু সেই একই ডাটাবেস থেকে কিছু তথ্য এখনও গুরুত্বপূর্ণ।তাই আপনার কাজ
হল নির্দিষ্ট তথ্য বাদ দিয়ে বাকি তথ্য এন্ট্রি দেওয়া।
একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, আপনার একটি কোম্পানি আছে যেখানে লক্ষ লক্ষ লোক কাজ
করে। এবং আপনার কাছে হাজার হাজার তথ্য রয়েছে যা থেকে অনেকগুলি কাজ করে এবং
অনেকগুলি করে না। আপনার বর্তমান কর্মচারীদের একটি তালিকা আছে। আপনি বর্তমান
কর্মচারী তথ্য রাখতে চান এবং বাকিগুলি ছেড়ে দিতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার
বর্তমান কর্মীদের তালিকা দেখে তথ্য রাখা হয় এবং বাকিগুলো বাদ দেওয়া হয়।
ডাটা রিসার্সঃ আমরা জানি Research শব্দের অর্থ গবেষণা করা, অনুসন্ধান
করা, তদন্ত করা বা পুনর্বিচার করা। এই কাজের জন্য বায়ার আপনাকে তার
প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক বা মাসিক ডাটা সরবরাহ করে থাকবে। আপনাকে সেখানে
নির্দেশনা দিয়ে দিবে যে, এই তথ্য থেকে আপনাকে এই এই তথ্য বের করে দিতে হবে বা
সাজিয়ে দিতে হবে। যেমন ধরুন: বায়ারের একটি বিশাল শো-রুম আছে, সেখানে দৈনিক
বিভিন্ন ক্রেতা আসে। যারা তার শো-রুমে আসে তাদের সবারই নাম, বয়স, পেশা,
ঠিকানা, আনুমানিক আয় কালেকশন করা আছে। সেখান থেকে বায়ারের দরকার বয়স, নিয়মিত
ক্রেতা, ধনী ক্রেতা বা বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক ক্রেতার আলাদা আলাদা লিস্ট। তখন
আপনাকে তার সরবরাহকৃত তথ্য থেকে প্রয়োজন অনুসারে সাজিয়ে দেওয়া।
ডাটা মাইনিংঃ Data Mining বলতে হিবিজিবি বিভিন্ন তথ্য থেকে মূল তথ্য
সাজিয়ে দেওয়া। ধরুন, একটি লেখা কোনো এক অনভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা লিখা হয়েছে,
সে লেখার মধ্যে মূল তথ্য ছাড়াও তথ্যের পাশাপাশি বিষদ আলোচনা করা আছে। সেই
লেখাটা কারো কাজে লাগবে, কিন্তু অত বিস্তারিত লাগবে না বা বড় লেখা সাবমিটের
সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে তাকে ঐই বড় ডাটা থেকে মূল বিষয়বস্তু বের করে নিতে হয়।
ঠিক এমনটাই এ কাজ। সোজা কথা, কোনো বড় তথ্য থেকে তার নির্যাস বা সারাংশ বের
করে দেওয়া।
প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রিঃ প্রাথমিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করাকে
প্রাথমিক ডেটা এন্ট্রি কাজ বলে। প্রাথমিক ডেটা এন্ট্রি কাজের জন্য অনেক দিনের
জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করা হয়। সাধারণত যেকোন কাজের প্রাথমিক ডাটা
অনেক বেশি থাকে। একই সময়ে, প্রাথমিক ডেটা প্রবেশের কাজটি জটিল হয়ে ওঠে।
কারণ আপনাকে প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে লিখতে হবে।
সেকান্ডারি ডাটা এন্ট্রিঃ প্রাথমিক ডেটা এন্ট্রি কাজের দ্বিতীয় ধাপ
হল সেকেন্ডারি ডেটা দ্বিতীয় কাজ। প্রাইমারি ডাটা থেকে আলাদাভাবে নির্দিষ্ট
তথ্য সংগ্রহ করাকে সেকেন্ডারি ডাটা এন্ট্রি কাজ বলে। প্রাথমিক ডেটা এন্ট্রি
কাজের জন্য নতুন ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করা হলেও, দ্বিতীয় স্তরের কাজের
জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করা হয়।
ডাটা কনভার্সনঃ ডেটা কনভার্সন হল কোনো তথ্য বা নথিকে এক ফরম্যাট থেকে
অন্য ফর্ম্যাটে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। ডাটা কনভার্সনের জন্য যে সব কাজ
পেতে পারেন। PDS থেকে Excel, Word to PDF, Voice to Word, ইত্যাদি।
স্ক্যান করে কপি থেকে ডাটা এন্ট্রিঃ আপনাকে কিছু স্ক্যান কপি দেওয়া
হবে। আপনাকে সেই কপিগুলি থেকে নির্দিষ্ট তথ্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ইনপুট
করতে হবে। ধরুন ক্রেতা আপনাকে কিছু স্টুডেন্ট ইনফরমেশন দেয়, যেটা একটা
স্ক্যান কপি। এখন আপনাকে সেই স্ক্যান করা কপিগুলো থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে
হবে। যা আপনাকে ক্রেতাকে বলে দেবে। বিশেষ করে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো এই
ধরনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করে।
কপি পেস্ট ডাটা এন্ট্রিঃ কপি পেস্ট ডাটা এন্ট্রি কাজ খুব সহজ. দেখা
যাচ্ছে যে আপনাকে কিছু পিডিএফ পোস্ট দেওয়া হয়েছে যেগুলির পাঠ্যগুলি কপি করে
ওয়েড বা অন্য কোনও ফর্ম্যাটে পোস্ট করা যেতে পারে। অথবা আপনাকে একটি
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে তথ্য কপি করে ক্রেতাকে প্রদান করতে হবে। অনেক ধরনের
কপি পোস্টের কাজ পাওয়া যায়।কিন্তু খুব সহজ কপি পোস্ট কাজ. কারণ বায়ার
আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তার জন্য আপনাকে একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা দেবে,
আপনাকে এটি অনুসরণ করতে হবে এবং এটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
ওয়েব ডাটা এন্ট্রিঃ ধরুন আমার একটি ওয়েবসাইট আছে। এখন আমি আমার
ওয়েবসাইটে কিছু লেখা প্রকাশ করতে চাই। আমার রেডিমেড লেখা আছে কিন্তু আমি চাই
কিছু ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমার লেখা আমার ওয়েবসাইটে পোস্ট করুক। এখানে এমন
কিছু আছে যা আমি একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাছ থেকে পেয়েছি যারা জানেন
কিভাবে একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট প্রকাশ করতে হয়।
কিভাবে H2, H3, H4 নির্ণয় করবেন। যদিও আমি উল্লেখ করব কোন লাইনগুলো হবে H2,
H3, H4। তারপরেও আপনাকে এটি কীভাবে করতে হবে তা জানতে হবে। ওয়েব ২.০ ডেটা
এন্ট্রি নিয়ে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে।হয়তো আবার, আমি আমার ওয়েবসাইটের
প্রতিটি পোস্টে কিছু পোস্টার যোগ করতে চাই। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে
কিভাবে পোস্টার যোগ করতে হয়।
ইমেজ এডিটিং এন্ট্রিঃ যদিও ইমেজ এডিটিং ফাংশন ডাটা এন্ট্রি ফাংশনে
অন্তর্ভুক্ত নয়, মাঝে মাঝে ইমেজ এডিটিং সম্পর্কিত ডেটা এন্ট্রি ফাংশন
আছে।একটি উদাহরণ দেওয়ার জন্য, ক্রেতা আপনাকে কিছু ছবি দিয়েছে এবং আপনাকে
নির্দিষ্ট জায়গাগুলি সনাক্ত করতে বলেছে। ক্রেতা আপনাকে বলে দেবে কোন
জায়গাগুলো খুঁজতে হবে।
ইমেইল মার্কেটিং ডাটা এন্ট্রিঃ পেশাগত কাজের জন্য নির্দিষ্ট টেক্সট
বিভিন্ন ইমেল ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং কোন কঠিন কাজ
নয়।তারপরেও, আপনাকে কীভাবে পেশাদার ইমেল পাঠাতে হয় তা জানতে হবে। আপনাকে
500টি ইমেল পাঠাতে বলা হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি একবারে 20 থেকে 30টি ইমেল
পাঠাতে জানেন না তাহলে কাজ টা আপনি পাবেনা।
HTML ডাটা এন্ট্রিঃ HTML এর পূর্ণ রূপ হলো- Hypertext Markup Language. যেটাকে আমরা কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা বলে বুঝে থাকি। কারন কম্পিউটার ইংলিশ, বাংলা, হিন্দি, জাপানীজ এসব কোনো ভাষা বোঝে না। কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা আছে, আর সেটাই হলো HTML.
যারা অনলাইনে কাজ করেন বা বোঝেন অথবা ব্লগে কাজ থাকেন থাকেন, তারা এ সম্বন্ধে ভাল জানেন। এটাও ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে পড়ে। এটি ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে সবচেয়ে জটিল এবং বেশি আয়ের কাজ। যারা খুব অভিজ্ঞ, শুধু তারাই এই কাজ করে থাকেন। এই কাজের মূল হলো, কম্পিউটারের HTML এর ভাষা বুঝে বিভিন্ন কোড বের করা। আর এই কোড বের করে সফটওয়্যারে সেট করা হয় বলেই আমরা যার যার মাতৃভাষাতে কম্পিউটারে কাজ করে থাকছি। সবার জন্য এই জব সাজেস্ট করছি না।
ডাটা এন্ট্রি করতে কি কি যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে
ডাটা এন্ট্রি কাজ তুলনামূলক সহজ হলেও কিছু বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন না করলে ভবিষ্যতে এই সেক্টরে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সফলভাবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। একজন ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট হিসেবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে যেসব যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হলোঃ
১। কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান রাখাঃ ডাটা এন্ট্রির কাজ অনলাইন জগতের
অন্যান্য কাজের তুলনায় সহজ ঠিকই কিন্তু কম্পিউটারের অন্তত বেসিক জ্ঞান জানা
জানা না থাকে এই কাজটিই অনেক কঠিন মনে হবে।ডাটা এন্ট্রি চাকরি করতে হলে
টাইপিং এর পাশাপাশি কম্পিউটারে বেসিক বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। যেমনঃ
কম্পিউটারে কিভাবে ফাইল সেভ করতে হয়, কিভাবে Rename করতে হয়, কিভাবে
ইন্টারনেট এবং ব্রাউজারগুলো ব্যবহার করতে হয়, এবং কম্পিউটারের প্রিন্টার,
রাউটার, ইউপিএস কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি।
২। বেসিক সফটওয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান রাখাঃ সাধারণত আপনাকে কোন না কোন
সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে হবে। এটা অবশ্য কোম্পানীভেদে
ভিন্ন হয়। সুতরাং আমি স্পেসিফিক কোন সফটওয়্যারের নাম বলছি না। সাধারণত একটি
সফটওয়্যার কীভাবে ইনস্টল করতে হয়, কীভাবে আনইনস্টল করতে হয় ইত্যাদি বিষয়
জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া একটি সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে তা দ্রুত
বুঝে নিতে পারাও প্রয়োজন। মাইক্রোসফট অফিস এবং গুগল ওয়ার্কস্পেস সম্পর্কে
ভালো আইডিয়া নিন। সুতরাং আগে থেকে আপনার এসব বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে আপনি
ভালো করতে পারবেন না। এজন্য আপনি যখন ডাটা এন্ট্রি শিখবেন তখনই ট্রেইনারেকে
এসব বিষয় নিয়ে প্র্রশ্ন করুন।
৩। দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতাঃ ডাটা এন্ট্রি কাজের ক্ষেত্রে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট হল টাইপিং স্পিড। কারণ এ কাজটি পুরোটাই টাইপিং এর
উপর নির্ভরশীল। টাইপিং স্পিড যত ভালো হবে তত দ্রুত ডাটা এন্ট্রি করা যাবে।
আপনি যদি মিনিটে অন্তত ত্রিশটি শব্দ টাইপ করতে না পারেন তাহলে কোনো ডেটা
এন্ট্রি জব এ আবেদনই করতে পারবেন না। শুধু তাই নয় বর্তমানে প্রায় সব ডাটা
এন্ট্রি চাকরির ক্ষেত্রেই মিনিটে নূন্যতম ৪০-৫০ টি শব্দ লেখার যোগ্যতা থাকতে
হয়। অর্থাৎ টাইপিং স্পিড যত বেশি হবে এই সেক্টরে সফল হওয়ার সম্ভাবনা ততই
বেড়ে যাবে।
৪। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করাঃ শুধু ডাটা এন্ট্রি নয় সব ধরনের কাজের জন্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কাজই ইংরেজিতে হবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি নিয়ে কাজ করতে চাইলে বাহিরে দেশের ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা থাকতেই হবে। আর তাই ইংরেজি লেখা এবং পড়ার উপর ধীরে ধীরে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫। বেশি অ্যাপ্লিকেশনের উপর জ্ঞান রাখাঃ ডাটা এন্ট্রির কাজটি সাধারণত কোনো সফটওয়্যার দিয়েই করতে হবে। এই ধরনের কাজ সাধারণত মাইক্রোসফট অফিস এবং গুগল ওয়ার্কস্পেসের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করেই করতে হয়। আর তাই এসব সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে কিভাবে ইন্সটল করতে হয় বা কিভাবে ব্রাউজ করতে হয় সেই সম্পর্কে অবশ্যই ভালো ধারণা থাকতে হবে।
৬। রিসার্চ স্কিল বৃদ্ধি করাঃ ডাটা এন্ট্রি অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করার জন্য ইন্টারনেট থেকে খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। আর তাই কিভাবে Google অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে রিসার্চ করে ডাটা সংগ্রহ করতে হয় সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৭। টাইম ম্যানেজমেন্টঃ ফ্রিল্যান্সিং হোক বা ফুল টাইম চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই সময়কে খুব ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ক্লাইন্টের কাজ বুঝে নিয়ে তা দ্রুততার সাথে রিটার্ন দেওয়া খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে একটি ডেডলাইন থাকে। এই ডেড লাইনের পরে কাজ জমা দিলে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি অফিস হবে এবং আপনার প্রোফাইলে একটি খারাপ ফিডব্যাক দিয়ে দিবে। এতে করে পরবর্তীতে কাজ পাওয়া আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই তাই ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
৮। কাজের একুরেসি বৃদ্ধি করাঃ যেকোনো কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যতটা না জরুরী তার থেকে বেশি জরুরী হলো কাজটি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা। দ্রুত কাজ করার সাথে সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কাজের মধ্যে যেন কোনো ভুল না হয় বা কোনো ভুল তথ্য প্রবেশ না হয়। দ্রুত কাজ করার সাথে সাথে কাজের একুরেসিও বৃদ্ধি করতে হবে।
৯। টিমওয়ার্ক স্কিল বৃদ্ধি করাঃ যে কোনো চাকরি ক্ষেত্রেই টিমওয়ার্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টিমওয়ার্ক স্কিল ভালো না হলে যে কোনো কোম্পানিতে চাকরি করা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ একটি কোম্পানিতে পাঁচজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থাকতে পারে যাদের সাথে মিলে মিশে আপনাকে কাজ করতে হবে। তাই টিমওয়ার্ক স্কিল যদি বৃদ্ধি না করতে পারেন তাহলে আপনি পিছনে পড়ে থাকবেন।
৪। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করাঃ শুধু ডাটা এন্ট্রি নয় সব ধরনের কাজের জন্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কাজই ইংরেজিতে হবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি নিয়ে কাজ করতে চাইলে বাহিরে দেশের ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা থাকতেই হবে। আর তাই ইংরেজি লেখা এবং পড়ার উপর ধীরে ধীরে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫। বেশি অ্যাপ্লিকেশনের উপর জ্ঞান রাখাঃ ডাটা এন্ট্রির কাজটি সাধারণত কোনো সফটওয়্যার দিয়েই করতে হবে। এই ধরনের কাজ সাধারণত মাইক্রোসফট অফিস এবং গুগল ওয়ার্কস্পেসের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করেই করতে হয়। আর তাই এসব সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে কিভাবে ইন্সটল করতে হয় বা কিভাবে ব্রাউজ করতে হয় সেই সম্পর্কে অবশ্যই ভালো ধারণা থাকতে হবে।
৬। রিসার্চ স্কিল বৃদ্ধি করাঃ ডাটা এন্ট্রি অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করার জন্য ইন্টারনেট থেকে খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। আর তাই কিভাবে Google অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে রিসার্চ করে ডাটা সংগ্রহ করতে হয় সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৭। টাইম ম্যানেজমেন্টঃ ফ্রিল্যান্সিং হোক বা ফুল টাইম চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই সময়কে খুব ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ক্লাইন্টের কাজ বুঝে নিয়ে তা দ্রুততার সাথে রিটার্ন দেওয়া খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে একটি ডেডলাইন থাকে। এই ডেড লাইনের পরে কাজ জমা দিলে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি অফিস হবে এবং আপনার প্রোফাইলে একটি খারাপ ফিডব্যাক দিয়ে দিবে। এতে করে পরবর্তীতে কাজ পাওয়া আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই তাই ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
৮। কাজের একুরেসি বৃদ্ধি করাঃ যেকোনো কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যতটা না জরুরী তার থেকে বেশি জরুরী হলো কাজটি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা। দ্রুত কাজ করার সাথে সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কাজের মধ্যে যেন কোনো ভুল না হয় বা কোনো ভুল তথ্য প্রবেশ না হয়। দ্রুত কাজ করার সাথে সাথে কাজের একুরেসিও বৃদ্ধি করতে হবে।
৯। টিমওয়ার্ক স্কিল বৃদ্ধি করাঃ যে কোনো চাকরি ক্ষেত্রেই টিমওয়ার্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টিমওয়ার্ক স্কিল ভালো না হলে যে কোনো কোম্পানিতে চাকরি করা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ একটি কোম্পানিতে পাঁচজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থাকতে পারে যাদের সাথে মিলে মিশে আপনাকে কাজ করতে হবে। তাই টিমওয়ার্ক স্কিল যদি বৃদ্ধি না করতে পারেন তাহলে আপনি পিছনে পড়ে থাকবেন।
১০। ডাটাবেজ স্কিল গ্রো করুনঃ যেহেতু ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন
সুতরাং আপনার অনেক কাজই ডাটাবেজ নির্ভর হবে। যেমন ইকমার্স সাইটে ডাটা এন্ট্রি
বা কাস্টমার ডাটা কালেকশন ইত্যাদি। আবার এআই কাজেও ডাটা ইনপুটের প্রয়োজন পড়ে
বেশ। আর এক্ষেত্রে আপনার ডাটাবেজ স্কিল না থাকলে বড় বড় ডাটা এন্ট্রি কাজ
হারাবেন। এসব কাজের ভবিষ্যৎ চাহিদাও অনেক। আপনি যতো দ্রুত এসব স্কিল বৃদ্ধি
করতে পারবেন ততই ডাটা এন্ট্রি মার্কেটে আপনি ভালো করবেন। শুধু মাত্র টাইপিং
স্কিল দিয়ে ডাটা এন্ট্রিতে সামনের দিনগুলোতে ভালো করা কঠিন হবে।
১১। ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে তার বেসিক শিখুনঃ অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ
আপনাকে অনলাইনেই করতে হবে। হয়তো একটি ওয়েবসাইট দিয়ে দেওয়া হলো সেখান থেকে
ডাটাগুলো এক্সেল শিটে নিতে হবে। আপনার এক্সেল থেকে ওয়েবেও ডাটা এন্ট্রি করা
লাগতে পারে। সেহেতু এ ধরণের দক্ষতা না থাকলে আপনি পিছিয়ে যাবেন। এ ধরণের কাজে
পেমেন্টও বেশি পাওয়া যায়। সুতরাং একটি ওয়েবসাইটের বেসিক যেমন এইচটিএমএল,
সিএসএস বা ওয়ার্ডপ্রেস কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
তাহলে আপনার কনফিডেন্স বেশি থাকবে।
ডাটা এন্ট্রি শিখতে কত দিন সময় লাগে
ডাটা এন্ট্রি শিখতে কত দিন লাগবে সেটি নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার
উপর। ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত যে
কোনো জায়গায় সময় লাগতে পারে। নিয়মিত অনুশীলন এবং মনোযোগের সাথে কাজ
করলে আপনি দ্রুত আপনার ডেটা এন্ট্রি দক্ষতা উন্নত করতে পারবেন। আপনার
প্রয়োজনে নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা ডাটা এন্ট্রি শিখতে কাজে লাগবেঃ-
টাইপিংয়ে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ ডেটা প্রবেশ করার সময়,
সঠিক টাইপিং কৌশলগুলি ব্যবহার করতে ভুলবেন না, যেমন আপনার সমস্ত আঙ্গুল
ব্যবহার করা এবং সোজা হয়ে বসে থাকা।
ডেটা এন্ট্রি সফ্টওয়্যারের সাথে নিজেকে পরিচিত করুনঃ ডেটা
এন্ট্রির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেমন
মাইক্রোসফ্ট এক্সেল, গুগল শীট এবং বিশেষায়িত ডেটা এন্ট্রি সফ্টওয়্যার৷
এই প্রোগ্রামগুলির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি শিখুন, যেমন কীভাবে ডেটা প্রবেশ
করতে হয়, সেল ফর্ম্যাট করতে হয় এবং সূত্রগুলি ব্যবহার করতে হয়।
নির্ভুলতার উপর ফোকাস করুনঃ ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে যথার্থতা
হল চাবিকাঠি, কারণ একটি ছোট ভুলেরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিণতি হতে পারে। আপনার
কাজ দুবার চেক করার জন্য সময় নিন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি পরবর্তী
টাস্কে যাওয়ার আগে সঠিকভাবে ডেটা প্রবেশ করেছেন।
দ্রুত এবং নির্ভুল টাইপঃ আপনি যদি ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হতে
চান তবে আপনাকে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে টাইপ করতে সক্ষম হতে হবে। টাইপ টাচ
করতে শেখা, যার অর্থ কীবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে টাইপ করা, আপনাকে আপনার
টাইপিং গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত অনুশীলন করুনঃ যেকোনো দক্ষতার মতো, ডেটা এন্ট্রিতে
দক্ষ হওয়ার চাবিকাঠি হল অনুশীলন। আপনার ডেটা এন্ট্রি দক্ষতা অনুশীলন
করার জন্য প্রতিদিন বা সপ্তাহে একটি নিয়মিত সময় আলাদা করার চেষ্টা
করুন। আপনি অনলাইন অনুশীলন খুঁজে পেতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রির জব কেন করবেন
কেন করব ডাটা এন্ট্রির চাকরি চলুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই।
অন্যান্য চাকরিতে যে ধরনের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রয়োজন হয়, তার তুলনায় ডাটা
এন্ট্রি জব গুলোতে দক্ষতার প্রয়োজন হয় খুব কম। পাশাপাশি, ডাটা এন্ট্রির
বেসিক দক্ষতা অর্জনও তুলনামূলকভাবে সহজ ও এই সেক্টরে শিক্ষাগত যোগ্যতার
ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ডাটা এন্ট্রিকে ক্যারিয়ার হিসেবে
বেছে নেয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, চলুন জেনে নিইঃ
১। সহজে শিখা যায়ঃ ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখাটা অনেক সহজ। তাই
সহজেই এই কাজটি শুরু করা যায়। চাইলে ঘরে বসেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে
ইনকাম শুরু করা সম্ভব।
২। সহজে চাকরির সুবিধাঃ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে
শুরু করে ব্যাংকিং, আইটি সেক্টর, স্বাস্থ্যখাত, এমনকি সরকারি-বেসরকারি
বিভিন্ন সেক্টরে আজকাল এই কাজগুলোর অনেক চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে
সহজেই চাকরি পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
৩। নিজের পছন্দমত কাজ করা যায়ঃ বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই
Data Entry Operator প্রয়োজন। আর তাই এই কাজ শিখতে পারলে কাজের কোনো
অভাব হবে না। ফলে আপনি আপনার পছন্দমত কাজ করতে পারবেন।
৪। কম খরচ এবং বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে নাঃ Data
Entry কাজের জন্য সাধারণত বড় কোনো সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয় না। তাই
এই কাজের জন্য অনেক বেশি দামের কম্পিউটার না কিনলেও চলে। আবার এসব কাজ
করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং এর মত দক্ষতাও লাগেনা। সব
মিলিয়ে ডেটা এন্ট্রি কাজ কম খরচ এবং অল্প দক্ষতার সাথেই করা যায়।
ডাটা এন্ট্রির চাকরির ধরন
ডাটা এন্ট্রির কাজ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের মত ঘরে বসেই করা যায়।
আবার অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা চায় যে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তাদের
অফিসে বসেই কাজ করবে। এসবের উপর ভিত্তি করে Data Entry চাকরিকে সাধারণত
দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১। রিমোট বা ফ্রিল্যান্সঃ একজন রিমোট ওয়ার্কার
কিংবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ঘরে বসে কিংবা যেকোনো জায়গা থেকে কাজ
করতে পারবেন।Data Entry কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অফিসের প্রয়োজন
হয়না। এক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে
ক্লায়েন্টের জন্য রিমোটলি কাজ করতে পারেন। সাধারণত রিমোট কাজে
কীস্ট্রোক অনুযায়ী বা প্রজেক্ট অনুযায়ী পে করা হয়। রিমোট ওয়ার্কারদের
নির্ভরযোগ্যতা, কাজের দক্ষতা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার
প্রবণতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। একাডেমিক পড়াশোনা অথবা ফুলটাইম চাকরিজীবী
হওয়ার পাশাপাশি রিমোট ডাটা এন্ট্রির চাকরি আপনাকে আরও বেশি উপার্জনের
সুযোগ করে দিতে পারে।
২। ফুলটাইম চাকরিঃ এই ধরনের কাজ সাধারণত কোনো কোম্পানির
জন্য করতে হয়। এক্ষেত্রে একাধিক প্রজেক্টে কাজ করতে হয় এবং
সাময়িকভাবে কোনো প্রজেক্ট না থাকলেও আপনি চাকরিতে বহাল থাকবেন। ফুল
টাইম Data Entry চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট স্থান এবং নির্দিষ্ট
সময়ে কাজ করতে হবে। ফুল টাইম চাকরি সাধারণত স্থায়ী হয় এবং এর জন্য
মাসিক ভিত্তিতে পেমেন্ট করা হয়।এক্ষেত্রে বোনাস, ছুটি, স্বাস্থ্য সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা
পাওয়া যায়। কাজের গতি, নির্ভরযোগ্যতা ও নির্ভুলতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া
হয়।
ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়
মোবাইলের ডাটা এন্ট্রির ছোট ছোট এবং সহজ কাজগুলো করে কত টাকা আয় করা যায়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসতে পারে। মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি সহজ কাজগুলো করেও একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে প্রায় ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। তবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করার পরিমাণ সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং গতির উপর।
আপনি যদি ডেটা এন্ট্রি করার জন্য কোনও সংস্থাকে ভাড়া করেন তবে আপনি
প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা পাবেন। কিছু ক্ষেত্রে, এটি ৮০০০ থেকে
১০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই আয় আপনার জন্য নির্ধারিত। কিন্তু
আপনি যদি বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন, তাহলে
আপনি দুইয়ের বেশি বা কম আয় করতে পারবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং পেশায়
কোনো নির্দিষ্ট বেতন নেই। যত কাজ পাবেন ততই আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রির কাজে আপনি যত দক্ষ হবেন এবং যত দ্রুত একটি কাজ সম্পন্ন
করতে পারবেন আপনার কাজের সুযোগও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর কাজের সুযোগ
বৃদ্ধি পাওয়া মানেই অধিক পরিমাণে আয় করার সম্ভাবনা। এমনও অনেক
ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি প্রতিদিন ডাটা এন্ট্রি করে বা ডাটা এন্ট্রির
ছোটখাটো কাজগুলো করে প্রায় ৫ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে
পারবেন। আবার বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য কোম্পানি গুলোতে একজন ডাটা
এন্ট্রি অপারেটরের বেতন প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা বা
আরো বেশি হয়ে থাকে। তবে অনলাইনেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করে সবচেয়ে বেশি
আয় করা যায়।
বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি এক্সপার্টদের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লোকাল জবের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে Data Entry
এক্সপার্টদের ভালো ডিমান্ড রয়েছে। Indeed এর তথ্য মতে একজন প্রফেশনাল
থাকে।ডাটা এন্ট্রি এক্সপার্ট প্রতিমাসে ১,৮৩২-৪,১৭৩ ডলার আয় করে এবং
প্রতিবছর গড়ে ৩৯,০৪৮ ডলার আয় করে থাকেন। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে
অন্যান্য জবের মত ডাটা এন্ট্রির কাজেরও ভালো ভবিষ্যৎ রয়েছে। আমার মতে
যারা কম্পিউটারের ব্যবহারে ভালো দক্ষতা রয়েছে তাদের উচিত Data Entry
কাজের মাধ্যমে তাদেরকে ক্যারিয়ার শুরু করা।
মূল কথা হল ,আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যতটা কাজ পেতে পারেন
ততটা আয় করতে পারবেন। কাজ না পেলে রোজগারের কোনো সুযোগ নেই। তাই
ফ্রিল্যান্সিং ইনকামের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।
ডাটা এন্ট্রি কাজের পেমেন্ট
আপনি কি ধরনের কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করে। ধরুন আপনাকে একটি কপি
পোস্ট করার জন্য একটি কাজ দেওয়া হয়েছে। এর মানে এক জায়গা থেকে
অন্য জায়গায় তথ্য কপি এবং পেস্ট করা। এখন আপনি বলছেন আপনি এই কাজের
জন্য সর্বোচ্চ টাকা দিতে পারেন। ডেটার একটি অনুলিপি পোস্ট করার জন্য
মোবাইল ফোনগুলি সাধারণত প্রতি ঘন্টায় ৫ ডলার পর্যন্ত চার্জ
করে।এছাড়াও ডেটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে যার জন্য আপনাকে প্রতি ঘন্টায়
20 থেকে 30 ডলার প্রদান করা হয়।
ডাটা এন্ট্রি কাজের সাইট
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম করা যায় আমি এরকম কিছু সাইট নিয়ে আলোচনা
করব। আপনি এই সাইটগুলিতে নিবন্ধন করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এছাড়াও কিভাবে একটি ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হয়, বা কম্পোজার
ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হয়। আপনি এটি সম্পর্কে
একটি ভাল ধারণা পাবেন। তাহলে দেখা যাক। অনলাইনে ডেটা প্রবেশ করে অর্থ
উপার্জনের জন্য কিছু দুর্দান্ত সাইট।
১. AccuTran Global: অন্যান্য ডেটা এন্ট্রি সাইটগুলির
মতো, এই সাইটটি আপনাকে কখনই হতাশ করবে না। বরং আপনাকে ভাড়া করতে
চাইবে। এবং আপনাকে ডেটা এন্ট্রির জন্য ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন
ধরনের সিস্টেম বা ট্রান্সক্রিপশন কাজের জন্য ডেটা এন্ট্রি প্রয়োজন।
সেখানে তারা সদস্য নিয়োগ করে কাজ দিবে। বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকলে ডাটা
এন্ট্রি করা যায় এই সাইট এ। অথবা যদি আপনার কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতা
থাকে। অবশ্যই তারা আপনাকে কাজ দেবে। এবং আপনার কাজের সুবিধা হবে এই
সাইটে কাজ করলে।
কাজের ধরণঃ এই সাইটে যেসব কাজ পাবেনঃ– কাস্টমারদের বিভিন্ন
ট্রানস্ক্রিপশন রিভিউ করা, এডিট করা ,আবার বিভিন্ন ডাটা কিংবা
তথ্য-উপাত্ত সাজানো।এসব ক্ষেত্রে এখানে কাজ দেওয়া হয়। AccuTran
একটি কানাডিয়ান সাইট। ইংরেজিতে দক্ষ যে কেউ ডাটা এন্ট্রি জব
বাংলাদেশে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে, আপনি
অবশ্যই সেখানে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন। এই আয় দিয়ে আপনি মাসিক
ভালো আয় করতে পারবেন।
২. Axion Data Services: ডাটা এন্ট্রি সাইটের সবচেয়ে
যৌক্তিক. এমনকি সবচেয়ে বিশ্বস্ত সাইট। এই সাইট বিজ্ঞাপন চালানো হয়
না. পরিবর্তে, আপনাকে নিজেই পাশে গিয়ে যোগ দিতে হবে। আর সেখানে
গিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনি যোগ্যতা অর্জন করলে তারা অবশ্যই আপনাকে
কাজ করার সুযোগ দেবে। এখানে আপনি ডেটা সাজানোর কাজের জন্য কয়েক
ঘন্টার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে আপনি আপনার অবসর সময়ে গিগ জমা দিয়ে কাজ করতে পারেন। এমনকি
আপনি 20 থেকে 30 ঘন্টা কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। মানে সপ্তাহে ৩০
ঘণ্টা। অথবা মাসে 30 ঘন্টা।
৩. Amazon Mechanical Turk: পার্ট-টাইম গিগ সুবিধার জন্য
বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি ডেটা এন্ট্রির জন্য খণ্ডকালীন টাস্ক
সুবিধাও প্রদান করে। নির্দিষ্ট মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায়। আপনি
এখানে সাধারণ ডেটা এন্ট্রি সম্পর্কিত চাকরি পাবেন না। এখানে
শুধুমাত্র কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব, চুক্তি করা সম্ভব। অন্য সদস্যদের
মতই। ডাটা এন্ট্রির সুবিধা পাবেন।
টাস্ক টাইপ করে পূরণ করতে হয়। এবং এর বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে। যে
ক্যাটাগরিতে আপনি দক্ষ, সেদিকে আপনি নজর দিতে পারেন। এখানে খুব বেশি
আয় করা যায় না। তবে ছোট ছোট কাজগুলো করে নিয়ে, আপনিও আয় করার
সুযোগ পাবেন।
৪. Capital Typing: এটি একটি আমেরিকান সংস্থা। যেখানে
ডাটা এন্ট্রির কাজ দেওয়া হয়। এখানে আপনি বিভিন্ন অফিসিয়াল
সার্ভিসের সাথে কাজ পাবেন। যত অনলাইন অফিস আছে, অফিসিয়াল চাকরি আছে।
তারা সবাই ডাটা এন্ট্রির জন্য বিভিন্ন সদস্য খুঁজছেন। এবং আপনি চাইলে
এখানে Join দিয়েও কাজ করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে আপনার দক্ষতা
পরীক্ষা করতে হবে।
৫. Clickworker: এটি একটি বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং
কোম্পানিও। যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাদের উপকার এ আসবে। এখানে
একজন ফ্রীলান্সার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে সাইন আপ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডেটা প্রবেশের মাধ্যমে, আপনি সময়ে সময়ে আয় করতে পারেন
এই সাইট থেকে। এছাড়া লেখালেখি, অনুবাদ ও গবেষণা কাজের সুবিধা করতে
পারবেন এই সাইটে। যার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। এটি আপনাকে প্রতিটি
মাইক্রো টাস্কের ভিত্তিতে ভাল কাজ করার সুবিধা দেবে।
৬. DataPlus: বিভিন্ন নথি স্ক্যান করা এবং টাইপ করা অথবা
ছোট ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় করার অনেক উপায় আছে এই সাইটে।
বাড়িতে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে। তাহলে আপনি সহজেই আয়
করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
৭. DionData Solutions: আপনি যদি চান, আপনি এখানে তথ্য
লিখতে পারেন. ডাটা এন্ট্রির অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে দিনে ছয়
থেকে সাত ঘণ্টা ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। যত কাজ করবেন তত আয়
করা সম্ভব। তবে এর জন্য আপনার কম্পিউটারে ভালো টাইপিং স্পিড থাকতে
হবে। পাশাপাশি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এখানে আপনি আপনার
যোগ্যতা অনুযায়ী আয় করতে পারবেন।
৮. GorgeWarehouse: এটি ডেটা এন্ট্রি কর্মীদের জন্যও ভাল
সুযোগ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে। এবং
যথেষ্ট বিশ্বস্ত সাইট. বাংলাদেশ থেকে ডাটা এন্ট্রির কাজ করুন। ভালো
ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং অভ্যন্তরীণ ডেটা অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি
সমাধান করে এখানে ডেটা এন্ট্রি করা যেতে পারে। আপনার যদি প্রতি
মিনিটে 30 শব্দ লিখতে টাইপিং দক্ষতা থাকে তবে আপনি সহজেই ভাল আয়
করতে পারেন। এমনকি এখানে প্রতি ঘন্টায় 10 টাকা আয় করা সম্ভব।
৯. Scribie: এই সাইটটি যে কোন সময় ডেটা এন্ট্রির জন্য
সবচেয়ে উপযুক্ত। আপনি যখন খুশি কাজ করতে পারেন। কোন বাধা নেই. আপনি
এখানে আয় করতে পারেন. আপনি যদি ধীরে ধীরে কাজ করতে চান তবে আপনি
এখানে ডেটা প্রবেশ করে আয় করতে পারেন। এখানকার বেশিরভাগ সাইটই
বিনামূল্যে। এখানে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা 6 মিনিটে একটি ভাল ডেটা
এন্ট্রি সম্পূর্ণ করতে পারে। যার কারণে প্রতিযোগিতা বেশি।
১০. SigTrack: এটি আরেকটি আমেরিকান ওয়েবসাইট যেখানে আপনি
ডেটা প্রবেশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এখানে প্রতিটি কাজের জন্য
ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ডেটা এন্ট্রি এবং পরিষেবা
সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে উপার্জন করা যেতে পারে। এখানে অর্থ উপার্জন
করতে আপনার যা দরকার তা হল একটি ইন্টারনেট সংযোগ। তার একটা কম্পিউটার
লাগবে। এখানে আপনি দ্রুত টাকা তুলতে পারবেন।
১১. Working Solutions: এটি আরেকটি আমেরিকান কোম্পানি যা
কল সেন্টারের বিভিন্ন অভিযোগ এবং গ্রাহকের তথ্য নিয়ে কাজ করে। আপনি
এখানে ডেটা প্রবেশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু তাদের তথ্য
গোপন ও সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
অন্যথায় আপনাকে নিষিদ্ধ করা হবে। শুধুমাত্র আমেরিকান নাগরিকদের জন্য
একটি আয়-উৎপাদন ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ থেকে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার
সুবিধা রয়েছে।
১২. Speechpad: আপনি যদি একটি নতুন ডেটা এন্ট্রি চাকরি
খুঁজছেন তবে আমি অবশ্যই এটির পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ এটি নতুনদের জন্য
একটি বিশেষ সুবিধা হবে। স্ক্রিপ্ট লেখার মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি করা
যায়। এমনকি এখানে সাধারণ অফিসিয়াল কাজ ডাটা এন্ট্রির সুবিধা হবে।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা এখানে ডাটা এন্ট্রি জব হিসেবে কাজ করতে
পারে। প্রতিটি অডিও মিনিট সম্পূর্ণ করে আপনি ৪০ থেকে ৫০ সেন্ট
উপার্জন করতে পারেন। আপনি চাইলে PayPal এর মাধ্যমে টাকা নিতে পারেন।
১৩. SpeakWrite: এখানে প্রায় ৬৫,০০০ ক্লায়েন্ট রয়েছে।
যারা ডাটা এন্ট্রির জন্য নিয়মিত কাজ করেন। এখানে কাজ করলে সুবিধা
হয়। তাহলে আপনি মাসিক আয় করার সুযোগ পাবেন। আর এটি হয়ে উঠবে আপনার
আয়ের উৎস। এখানে আপনি বাংলাদেশ থেকে ডাটা এন্ট্রির সুবিধা পাবেন।
১৪. Fiverr: Fiverr বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রথম কাজের
জন্য Fiverr প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। Fiverr এ কি ধরনের ডাটা
এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়? Fiverr সব ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য
উপলব্ধ। যদিও কাজের খরচ তুলনামূলক কম। Fiverr ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৫
ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
Fiverr একাউন্ট খোলার সুবিধা কি কি? না, Fiverr একাউন্ট খোলার সাথে
সাথে আপনি কাজ পাবেন না।কাজ পেতে হলে প্রোফাইল ভালোভাবে সাজাতে হবে।
মাঝে মাঝে প্রোফাইলের হেডলাইন পরিবর্তন করতে হয়। Fiverr থেকে আপনি
প্রতি মাসে কত টাকা আয় করতে পারবেন এটি নির্ভর করে আপনি কতটা কাজ
করেন তার উপর। Fiverr থেকে আপনার Payoneer অ্যাকাউন্টে টাকা
ট্রান্সফার করার জন্য আপনার ন্যূনতম ২০ ডলার থাকতে হবে।
১৫. Seoclerk: SEO বিষয় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে এই
ওয়েবসাইটি আপনার জন্য। এই ওয়েবসাইটে সকল প্রকার এসইও ওয়ার্কার পাওয়া
যায়। অবশ্যই এসইও সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলেও কাজ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।আপনি আপনার ওয়েবসাইটে
গেস্ট লিঙ্ক এবং ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি ইমেল ঠিকানা দিয়ে সাইন আপ করে আপনার যোগদান সম্পূর্ণ করতে
পারেন। আপনার পছন্দের গিগ তৈরি করুন এবং প্রকাশ করুন। অথবা আপনি
বায়ারকে কাজের অফার দিতে পারেন।
১৬.Ysense: Ysense থেকে অর্থ উপার্জন করা খুব সহজ। ডাটা
এন্ট্রি, সার্ভে, অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি করে আয় করা যায়। যদিও আপনি
এই ওয়েবসাইট থেকে খুব বেশি আয় করতে পারবেন না। তার পরেও Ysense
থেকে কিছু টাকা আয় করা সম্ভব।আপনি Ysense থেকে অর্জিত অর্থ সরাসরি
আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারেন। Ysense এর একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি
প্রতি রেফারেল .10 সেন্ট থেকে .30 সেন্ট উপার্জন করতে পারেন।
শেষ কথা
আজকের এই ব্লগটিতে মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় সম্পর্কে লিখা হয়েছে। যারা ঘরে বসে মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে চান তাদের জন্য এই ব্লগটি অনেক উপকারি। যারা বেকার শিক্ষার্থী তারা চাইলে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে সব থেকে সহজ ও কম সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করা অনেক ভালো একটি উপায়।ঘরে বসে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় বর্তমানে একটি বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ। তাই উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে মোবাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রতি মাসে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url