ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা

আপনি কি ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসছেন। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি কি, গোল্ডেন বেরির উপকারিতা ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গোল্ডেন-বেরি-খাওয়ার-উপকারিতা
ফটকা ফল আমরা অনেকেই চিনি, কিন্তু এটি কিভাবে খায় ও এর উপকারিতা অনেকেই জানিনা। তাই ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পেইজ সূচিপত্রঃ ফটকা বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি রাস্তার দু-ধারে আগাছা হিসাবে খুবই অযত্নে বেড়ে উঠে। কিন্তু আপনি কি জানেন অযত্নে বেড়ে উঠা গাছটির উপকারিতা সম্পর্কে? এর উপকারিতাগুলো জানলে আপনি নিজেও অবাক হবেন। ফটকা ফল আমরা অনেকেই চিনি কিন্তু এর নাম একেক জায়গায় একেক রকম। এই ফলটি সাধারণত শীতকালে বেশি জন্মায়। অন্য ঋতুতেও জন্মে তবে শীতকালেই বেশি জন্মে থাকে। নিচে ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। শরীরের দুর্বলতা দূর করতে এবং শরীরে সম্পূর্ণ শক্তি ফিরিয়ে দিতে পারে।

ক্লান্তি দূর করেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফল শরীরকে সম্পূর্ণরূপে এনার্জি দেয়। যাদের শরীরে ম্যাজ ম্যাজ করে বা ক্লান্তিবোধ দেখা দেয় তাদের এই ফল খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এই গোল্ডেন বেরি ফলটিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করে শরীরকে সম্পূর্ণরূপে এনার্জি দিতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলের গুরুত্ব অত্যাধিক। যাদের উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ এই ফল শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মানব দেহের কোষে ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এবং কার্ডিওভাস্কুলার খোলার সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো করেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা চোখের দৃষ্টি শক্তির জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চোখ সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে থাকে।

হার্টের জন্য উপকারীঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলের ফাইটোকেমিকাল রয়েছে যা হার্টের জন্য অনেক উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে হাড্ডির স্বাস্থ্য বজায় রাখবে এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাবে।

লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরিতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া একটি শরীরের বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

মূত্রনালী ইনফেকশনঃ মূত্রনালী ইনফেকশনে এটি খুবই কার্যকরী। মূত্রনালী ইনফেকশন বিশেষ করে মহিলাদের হয়ে থাকে। ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফল মূত্রনালী ইনফেকশন দূর করতে সহায়তা করে। টানা সাত দিন যদি ফল খাওয়া যায় তারও খুব সহজে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী এই ফলটি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো। এটি টক এবং মিষ্টি বলে অনেক মানুষ পছন্দ করেন না। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী ফল। ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে এটি ব্লাড সুগারের ইনসুলিন এবং লিপিডের মাত্রা উন্নতি করতে সাহায্য করে। ফ্রুকটোজ থাকে এই ফলে বিধায় এটি খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না।

চুলের জন্য ভালোঃ চুলের জন্য ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফল অনেক ভালো। কারণ এটাতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চুল ঘন কালো ও চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।

মুখের ঘা দূর করেঃ মুখের ঘা দূর করার জন্য ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি গাছের ফল খুবই কার্যকর। মুখের ঘা ও শরীরে চামড়ার ঘা দূর করে থাকে গোল্ডেন বেরি ফল। এছাড়া ও শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে কাটা অংশ গোল্ডেন বেরির পাতার রস করে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

মানবদেহের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধেঃ ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি মানবদেহের কোষের ক্ষতির প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি কি

এতক্ষন জানলেন  ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, এবার জেনে নিন ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি কি সে সম্পর্কে। আমদের দেশের গ্রামাঞ্চলে রাস্তার দু-পাশে ও আবাদি জমিতে এই গোল্ডেন বেরি গাছ অযত্নে জন্মে থাকে। গ্রামের ভাষায় গোল্ডেন বেরি, ফটকা ফল নামে পরিচিত। এই ফলটির একাধিক নামও রয়েছে যেমনঃ পেরুভিয়ান গ্রাউন্ডচেরি, পোহা বেরি, গোল্ডেনবেরি, ভুসি চেরি এবং কেপ গুজবেরি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
গোল্ডেন বেরি বা ফটকা ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়ে থাকে। যেটা দেখতে ছোট ছোট গোলাকার, যা কাগজের খসার মতো সবুজ পাতলা আবরনে মোড়ানো থাকে। খাওয়ার আগে আবরণটি অবশ্যই সরিয়ে ফেলতে হবে। শৈশবে বন্ধুদের সাথে খেলার সময় এই ফলটি ফু দিয়ে কপালে মেরে কতো ফুটিয়েছি।

চেরি টমেটোর চেয়ে সামান্য ছোট, এই ফলগুলি হালকা টক-মিষ্টি স্বদের হয়ে থাকে। এর ঘ্রাণ কিছুটা টমেটো এবং আনারসের মতো। এই ফলটি সাধারণত শীতকালে বেশি হয়। অন্য ঋতুতেও এই গাছ জন্মে তবে শীতকালেই বেশি জন্মে থাকে। ফটকা ফলের পাতা মাঝারি ধরনের হয়। এ ফটকা ফল পেকে গেলে হলুদ বা লালচে রংয়ের হয়।

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি কি খাওয়া যায়

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি কি খাওয়া যায়, জি হ্যা, ভিটামিন-সি এর গুণে ভরপুর এই ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। গোল্ডেন বেরি ভিটামিন-এ তে সমৃদ্ধ যা চোখের অসুখ কমায়। সালাদ থেকে ডেসার্ট সবকিছুতেই ব্যবহার চলে এই ফলের, জুস করে খাওয়া যায় তবে পাকা অবস্থাতেই।

এই ফল অপরিপক্ক অবস্থায় খেলে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, এই ফল নিয়মিত খেলে কফ, সর্দি রোধ করে। দক্ষিণ ভারতে উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্ডিসের ওষুধ হিসেবে ফটকা বা গোল্ডেন বেরি ব্যবহার করে। বাজারে বসন্ত আর গ্রীষ্মে পাওয়া যায় ফটকা ফল। খুব পাকা ফটকা ফল দিয়ে অনেকেই আচার জেলি বানিয়ে থাকেন। ভাল জাতের ফটকা বা গোল্ডেন বরি রেফ্রিজারেটারে বেশ কয়েকদিন রাখা যায়।

গোল্ডেন বেরি ফল খাওয়ার নিয়ম

ফটকা বা গোল্ডেন বেরি ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে যা আপনাকে খাওয়ার আগে সে সম্পর্কে জানতে হবে ভালো করে। এই ফলটি কাঁচা অথবা পাকা উভয়ভাবে খেতে পারেন। তবে কাচা খাওয়ার থেকে পাকা খাওয়ার মধ্যে বেশি উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। যেভাবেই খান না কেন নিয়মিত খাবেন। যাতে করে এই ফলটির উপকারিতা গুলো লুফে নিতে পারেন। তাহলে ফটকা বা গোল্ডেন বেরি ফল খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি তা জেনে নিন।

  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফলটি খালি পেটে খেতে পারেন।
  • সকালে খালি পেটে ৪ থেকে ৫ টি ফল খেতে পারেন।
  • তবে অবশ্যই খাওয়ার আগে ফলের উপরে থাকা খোসা ছাড়িয়ে নিবেন এবং ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
  • যারা শারীরিক চর্চা করেন তারা শারীরিক চর্চা শেষে ২৫০ গ্রাম পানির মধ্যে ৩ থেকে ৪টি ফল দিয়ে গরম করে নিবেন। গরম করার পরে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • কিছুক্ষণ পরে যখন হালকা কুসুম গরম অবস্থায় থাকবে তখন পানিটি ছেকে খেয়ে ফেলুন।
  • আবার দিনের যেকোনো সময় কাঁচা অথবা পাকা ফল পাটাতে ভালো করে বেটে রস বের করে খেতে পারেন। অবশ্যই খাওয়ার আগে পরিষ্কার কিছু দিয়ে রস ছেঁকে নিবেন।
  • দিনে একবারের বেশি খাবেন না। সর্বোচ্চ দিনে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি কখনই খাবেন না।
  • যাদের ইউরিনের সমস্যা রয়েছে তারা টানা ৮ থেকে ১০ দিন খেতে পারেন।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন খেতে পারেন।
  • চোখের সমস্যার জন্য টানা একমাস খেতে পারেন আর অন্যান্য রোগের জন্যও একইভাবে খেয়ে যান।
  • গোল্ডেন বেরি ফল বিভিন্ন ধরনের সালাদে মেশানো যেতে পারে। এটি সালাদে একটি মিষ্টি এবং টক স্বাদ যোগ করে।
  • গোল্ডেন বেরি ফল দিয়ে জ্যাম বা জেলি তৈরি করা যায়। এটি ব্রেড বা টোস্টের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
  • গোল্ডেন বেরি ফল বিভিন্ন ধরনের ডেজার্টে যেমন কেক, পুডিং, বা টার্টে ব্যবহার করা যায়। এটি ডেজার্টের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।
  • গোল্ডেন বেরি ফল দিয়ে স্মুদি বা জুস তৈরি করা যায়। এটি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে উপভোগ করা যেতে পারে।
  • গোল্ডেন বেরি ফল বিভিন্ন প্রসেস করা খাদ্য যেমন সস, চাটনি, বা স্যালসাতে ব্যবহার করা যায়।
সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ গোল্ডেন বেরি ফল যদি তাজা খাওয়া না যায়, তাহলে এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে, ফলটি সংরক্ষণ করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং শুকিয়ে নিন।

গোল্ডেন বেরি ফলের পুষ্টিগুণ

ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি ফলের পুষ্টিগুণ ব্যাপক। গোল্ডেন বেরি ফল কেপ গুজবেরি বা ফিজালিস নামেও পরিচিত। এটি একটি পুষ্টিকর ফল যা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি খেলে শরীর অনেক ধরনের উপকার পেতে পারে। গোল্ডেন বেরি ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল যা আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। গোল্ডেন বেরি ফলের পুষ্টিগুণ নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
গোল্ডেন-বেরি-ফলের-পুষ্টিগুণ
ভিটামিন-সিঃ গোল্ডেন বেরি ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

ভিটামিন-এঃ গোল্ডেন বেরি ফলে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রাতকানা প্রতিরোধ করে। ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

ফাইবারঃ গোল্ডেন বেরি ফলের উচ্চ ফাইবার উপাদান হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

পটাশিয়ামঃ গোল্ডেন বেরি ফলে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স রক্ষা করতেও সহায়ক।

আয়রনঃ গোল্ডেন বেরি ফলে আয়রন থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।

ফেনোলিক যৌগঃ গোল্ডেন বেরি ফলে ফেনোলিক যৌগ থাকে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বিটা-ক্যারোটিনঃ গোল্ডেন বেরি ফলে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয় এবং ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

ম্যাগনেসিয়ামঃ গোল্ডেন বেরি ফলে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

ক্যালসিয়ামঃ গোল্ডেন বেরি ফলে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।

প্রোটিনঃ গোল্ডেন বেরি সামান্য প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ গঠনে এবং মেরামতে সাহায্য করে।

এটি আপনার শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, কোনও সন্দেহ বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, ফলটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ফলে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

ফটকা বা গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

আপনারা এতোক্ষন ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি অনেকে চিনেন কিন্তু ফটকা বা গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। গোল্ডেন বেরি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভালো। যারা ডায়াবেটিস টাইপ ২-তে রয়েছেন তারা প্রতিদিন কমপক্ষে দুইটি করে গোল্ডেন বেরি খেতে পারেন।

ফলগুলি দুই কাপ পানিতে ভালো করে সিদ্ধ করে নিন যতক্ষণ না পানি অর্ধেক পরিমাণ হচ্ছে ততক্ষণ ফুটাতে থাকুন। ফুটানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে প্রতিদিন সকালে পান করতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন। এটি সরাসরি কাঁচাও খাওয়া যায় কাঁচা খেলে একটু তিতা লাগে।আমাদের যেকোনো জিনিস খাওয়ার আগে তার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।

কারণ প্রত্যেকটি জিনিস খাওয়ার কিছু নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে। তার বাহিরে গেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অপকারিতা গুলো শরীরে হানা দেয়। তাইতো নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি তা জেনে নিন।

  • অবশ্যই এই গাছের শিকড় গুলো ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ধুয়ে ফেলার পরে সেই শিকড়গুলো পরিষ্কার কোনো পাটাতে পিষে রস বের করতে হবে।
  • তারপরে সেই রসগুলো পরিষ্কার কোনো জিনিস দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
  • এরপরে ছাঁকা রসগুলো খেতে পারেন।
  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এর রস খেতে পারেন।
  • আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক চর্চার পরে খালি পেটে রস খেয়ে নিতে পারেন।
  • অবশ্যই এই গাছের শিকড়ের রস ৩ থেকে ৪ চামচের বেশি খাবেন না।

গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড়ের উপকারিতা

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে। গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড়ের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। তাইতো আপনাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে বলছি নিয়মিত এর শিকড়ের রস খেতে পারেন। এর রসে থাকা উপাদানগুলো অনেক রোগের প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করে। তাহলে গোল্ডেন বেরি গাছের শিকড়ের উপকারিতা গুলো কি কি তা জেনে নিতে পারেন।

  • সর্দি ও কাশি নিরাময়ের জন্য নিয়মিত গাছের শিকড় খেতে পারেন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দারুন কাজ করে থাকে এর শিকড়।
  • শারীরিক দুর্বলতা ও পেশী গুলোতে শক্তি সঞ্চরণ করতেও সাহায্য করে।
  • মূত্রথলির নানান সমস্যাতেও এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুন কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
  • ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোল্ডেন বেরির উপকারিতা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপক। টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত এই ফল অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করা মানুষের পক্ষে এটি খুব উপকারী। এটি ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং খনিজে পূর্ণ। এটি টাইপ -২ ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষত উপকার করে। এছাড়াও, এই ফলটি ওজন হ্রাস, হৃদরোগ এবং আলঝাইমার রোগ হ্রাস করে, যা ডায়াবেটিসের সাধারণ জটিলতা। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোল্ডেন বেরির উপকারিতা কি কি তা জেনে নিন

  • উচ্চ ফাইবার হওয়ায় এটি ব্লাড সুগার, ইনসুলিন এবং লিপিডের উন্নতি করে।
  • বেশ কয়েকটি স্তরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রয়েছে, যা রাস্পবেরিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • গোল্ডেন বেরিতে ফ্রুকটোজ থাকে, যার জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না। অতএব, এই ফলটি ডায়াবিটিসের সঙ্গে গ্লুকোজ স্তর হ্রাস করতে সহায়তা করে।
  • ডায়াবিটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হলে হৃদরোগ, স্নায়ুর ক্ষতি, কিডনি এবং চোখের ক্ষতির মতো আরও অনেক জটিলতার কারণ হতে পারে।
  • এই ক্ষেত্রে, গোল্ডেন বেরিতে পাওয়া ফাইবার এবং পুষ্টি রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে গোল্ডেন বেরি ডায়াবেটিসের সেরা ফল হিসাবে বিবেচিত হয়।
নিয়মিত ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা

  • এতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং জল কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী রাখে।
  • এটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • প্রদাহ এবং লালভাবের চিকিত্সা করে ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড দ্বারা সমৃদ্ধ, এটি চুলের বৃদ্ধি প্রচারে সহায়তা করে।
  • পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে গোল্ডেন বেরিতে সর্দি এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে।
  • গোল্ডেন বেরিতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা আপনার দৃষ্টিশক্তির জন্য খুব উপকারী।
  • হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন মানুষের জন্য রাস্পবেরি খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়।
  • এতে পেকটিন পাওয়া যায়, যার কারণে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ ঠিক থাকে।
  • এর মধ্যে অনেক ফাইটোকেমিক্যালও পাওয়া যায় যা হৃদয়ের পক্ষে উপকারী।
কীভাবে খাবেনঃ টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি গোল্ডেন বেরি খাওয়া উচিত। এগুলি ছাড়া, রাস্পবেরিগুলিকে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করুন, যতক্ষণ না এই জল অর্ধেক হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে এই জলটি পান করুন, ডায়াবিটিস থেকে মুক্তি পাবেন।

গোল্ডেন বেরি বা ফটকা ফলের রেসিপি

আপনি কি ভাবছেন, যে গোল্ডেন বেরি বা ফটকা ফলের রেসিপি কীভাবে তৈরি করতে হয়? গোল্ডেন বেরি বা ফটকা ফল দিয়ে পনি বিভন্ন রকমের খাবার ও সালাদের সাথে মশিয়ে রেসিপি তৈরি করতে পরেন। সুস্বাদু নাস্তা হিসাবে বাদাম এবং ওটসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনার পরিবারের জন্য এই গল্ডন বেরির রেসিপি তৈরি করতে পরেন। এবং আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে গোল্ডেন বেরি রাখতে পারেন যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপকারী। এখানে কয়েকটি গোল্ডেন বেরির রেসিপি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
গোল্ডেন-বেরি-বা-ফটকা-ফলের-রেসিপি
গোল্ডেন বেরি সালাদঃ গোল্ডেন বেরির সালাদ তৈরির জন্য প্রথমে একটি বেগুন ভেজে নিন। এরপর একটি পাত্রে কুইনোয়া, শুকনো গোল্ডেন বেরি, লেটুসপাতা ও অলিভ অয়েল দিয়ে রেখে দিন। তারপরে আপনি তাহিনি, লেবুর রস, আদা, পেপারিকা, কিছু লবণ এবং মরিচের সাথে লাল ওয়াইন ও ভিনেগার দিয়ে সবগুলি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিন। সবশেষে আপনি আপনার সালাদের উপরে বেগুন ভাজা দিয়ে সালাদটি উপভোগ করতে পারেন। এটি একটি নিরামিষ খাবার যা, লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য উপযুক্ত।

গোল্ডেন বেরি ফলের স্মুদিঃ সকালে একটি ঠান্ডা এবং সতেজ ফলের স্মুদির চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে? একটি গোল্ডেন বেরি ফলের স্মুদি তৈরর জন্য প্রয়োজন ১০-১২টা গোল্ডেন বেরি, একটি কলা, আনারস খণ্ড, লেবুর রস, মধু, পীচের টুকরো, বাদাম, দুধ এবং কয়েকটি বরফের টুকরা।

সবগুলো উপাদান একটি ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি কাপে ঢেলে নিন এবং উপরে কিছু জায়ফল ছিটিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

গ্লুটেন-মুক্ত গোল্ডেন বেরি গ্রানোলা বারঃ আপনি আপনার বাচ্চাদের প্রক্রিয়াজাত জাঙ্ক ফুড খাওয়ানোর পরিবর্তে গ্লুটেন-মুক্ত গোল্ডেন বেরি গ্রানোলা বার খাওয়াতে পারেন। এটি আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যে জন্য খুবই উপকারি।

এটি তৈরি করতে একটি বাটিতে কাজু, বাদাম, গ্লুটেন-মুক্ত ওটস, নারকেল ফ্লেক্স, শুকনো গোল্ডেন বেরি, ক্র্যানবেরি, বাদাম মাখন এবং মধু বা ম্যাপেল সিরাপ ও লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। একটি বেকিং শীটে মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন এবং ১২-১৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। বারগুলি কাটার আগে সবকিছু ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভাল।

গোল্ডেন বেরি স্কোনঃ অনেক গোল্ডেন বেরি রেসিপি মধ্যাহ্নের স্ন্যাক বা ডেজার্টের জন্য উপযুক্ত, যেমন গোল্ডেন বেরি এবং লেবু-গন্ধযুক্ত স্কোন। এই স্কোনগুলি তাদের চূর্ণ-বিচূর্ণ প্রান্ত এবং ভিতরের মসৃণ মাখন আপনাকে অবাক করে দেবে – ঠিক যেভাবে আপনি চান আপনার স্কোনগুলি প্রতিবার বেরিয়ে আসুক।

আপনি এক ঘন্টার মধ্যে গোল্ডেন বেরির স্কোন তৈরি করতে পারবেন। ময়দার একটি ডো তৈরি করে ১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর ময়দার ডো বেলে সবগুলা উপাদান দেওয়ার পর চুলায় বেক করার জন্য ২২-২৫ মিনিট রেখে দিন।

গোল্ডেন বেরি হলুদ ব্লিস বলঃ গোল্ডেন বেরি হলুদের ব্লিস বলগুলি স্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি স্বাস্থ্যকর বুস্ট সহ একটি সুস্বাদু খাবার। এই রেসিপি তৈরির জন্য আপনার প্রয়োজন শুকনো গোল্ডেন বেরি, কাজু বাদাম, ম্যাকাপাউডার, মেডজুল খেজুর, গোলমরিচ, ভ্যানিলা নির্যাস, কাচ হলুদ।

হলুদ অত্যন্ত প্রদাহ বিরোধী এবং শরীরের ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিনের চেয়ে বেশি কার্যকর। উপরন্তু, কালো মরিচের সাথে হলুদের সংমিশ্রণ কারকিউমিনের শোষণকে বৃদ্ধি করতে পারে, ব্যথা কমাতে এবং হজমের উন্নতি করতে পারে।

ড্রাগনফ্রুট ও গোল্ডেন বেরির পপসিকেলঃ বাইরে প্রচন্ড গরম তাই ড্রাগনফ্রুট এবং গোল্ডেন বেরির পপসিকেল দিয়ে নিজেকে ঠান্ডা করুন। মাত্র কয়েকটি উপাদান দিয়ে পপসিকেল তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন কয়েকটি গোল্ডেন বেরি, ড্রাগনফ্রুট, চিনি, জল এবং লেবুর রস -যা দিয়ে আপনি একটি সুস্বাদু ও মজাদার খাবার তৈরি করতে পারেন।

যা আপনার পরিবারের জন্য প্রিয় হতে পারে। এই রেসিপিটির জন্য লাল বা সাদা ড্রাগন ফল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ওজন রক্ষণাবেক্ষণ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যের জন্য আদর্শ।

শসা এবং গোল্ডেন বেরি সালাদঃ এই সালাদ স্বাদ এবং টেক্সচারের নিখুঁত ভারসাম্য সরবরাহ করে যা আপনার পরিবার সারা বছর উপভোগ করবে। গোল্ডেন বেরির পাশাপাশি, আপনি বিভিন্ন রঙের বেশ কয়েকটি টমেটো নিন, একটি শ্যালট, লেটুস পাতা, শসা এবং লবণ এবং মরিচ। অলিভ অয়েল, রেড ওয়াইন ভিনেগার এবং বালসামিক গ্লেজ ব্যবহার করুন। সালাদ একত্রিত করার পরে, উপাদানগুলির উপর সমানভাবে ড্রেসিং করুন এবং এটি একটি সাইড ডিশ হিসাবে পরিবেশন করুন।

গোল্ডেন বেরি চিয়া পুডিংঃ গোল্ডেন বেরিগুলি সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য সুপারফুড খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম একটি, তবে চিয়া বীজের অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। গোল্ডেন বেরি চিয়া পুডিং একটি সহজ রেসিপি যা প্রস্তুত হতে কয়েক মিনিট সময় লাগে। চিয়া বীজ, দুধ, বা আপনার পছন্দের একটি নন-ডেয়ারি বিকল্প যোগ করুন এবং একটি মেসন জারে অ্যাগেভ সিরাপ যোগ করুন, এটিকে সারারাত রেফ্রিজারেটরে রেখে জমে গেলে পরিবেশন করুন।

গোল্ডেন বেরির মতো চিয়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় কোলেস্টেরল শোষণকে ৩৭% কমিয়ে দেয়। কোলেস্টেরল-ব্লাস্টিং প্রভাবকে সর্বাধিক করতে, আপনি গোল্ডেন বেরি রেসিপিগুলি খুঁজে পেতে চাইবেন যাতে চিয়া বীজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

উপসংহার

আশা করছি ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার উপকারিতা, ফটকা ফল বা গোল্ডেন বেরি খাওয়ার নিয়ম ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। গোল্ডেন বেরি ফলের গাছ আগাছা হিসেবে জন্ম নিলেও এটা অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

সতর্কীকরনঃ এই গাছের ফুলে এক ধরনের বিষ রয়েছে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর তাই এর ফুল থেকে দূরে থাকাই ভালো। উপরে উল্লেখ্য তথ্য গুলো কোনোভাবে যোগ্য চিকিৎসা হতে পারে না বাড়িতে নিজ দায়িত্বে এর ব্যবহারের অনুরোধ রইলো অথবা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে ব্যবহার করাই ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url