ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা, কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কমলা লেবু কতোটা উপকারি সে সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি । ছোট
বড় আমরা সবাই কমলালেবু খেতে বেশ পছন্দ করি। কমলালেবু খেয়ে আমরা
সবাই একটা কাজ করি সেটা হলো কমলার খোসা ফেলে দিই।
রূপচর্চায় কমলালেবুর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আজকের পর থেকে এই খোসা হয়তো আপনি ফেলে দেবেন না। আজকে আমি আপনাদের সাথে ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা ও চুলের জন্য কমলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক ও চুলের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতঃ-
পেইজ সূচিপত্রঃ ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
- ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
- কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
- কমলার খোসা গুড়া করার উপায়
- কমলার খোসা দিয়ে সিরাম
- কমলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক
- কমলার রস দিয়ে রূপচর্চা
- কমলার রস মুখে দিলে কি হয়
- ত্বকের জন্য কমলার রসের উপকারিতা
- ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী কমলার ফেসপ্যাক
- কমলার খোসা দিয়ে ফেস টোনার বানানোর নিয়ম
- চুলের যত্নে কমলার খোসার ব্যবহার
- চুলের যত্নে কমলালেবুর ব্যবহার
- চুলের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
- উপসংহার
ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
ত্বকের
যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা অনেক। বিশেষ করে শীত ও গরমের মাঝামাঝি এই
সময়টাতে ত্বকের যত্নে প্রয়োজন হয় বিশেষ পরিচর্যার। শুষ্ক ত্বক তো বটেই,
তৈলাক্ত ত্বকও এ সময় হয়ে ওঠে প্রাণহীন। ত্বকের রংটা যেমনই হোক না কেন একটা
কালচে আবরণ দেখা দেয় ত্বকে। মৌসুমি ফল কমলার খোসা ব্যবহারই এই সময় ত্বক
পেতে পারে উজ্জ্বলতা। কীভাবে ব্যবহার করবেন কমলার খোসা চলুন জেনে নেওয়া
যাকঃ-
তৈলাক্ত ভাব দূর করেঃ
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কমলার খোসার রয়েছে অপরিসীম গুণাগুণ। ভেতর
থেকে তেলকে আটকে রেখে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে কমলার
খোসা। কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসিড৷ তাই এটা সরাসরি ত্বকে
ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের ধরন অনুযায়ী কমলার খোসা বাটার সঙ্গে কী কী
মিশিয়ে ত্বকে লাগাবেন তা জেনে নিনঃ-
- স্বাভাবিক ত্বকে আধা চা-চামচ কমলার খোসা বাটার সঙ্গে ২ চা-চামচ তরল দুধ মিশিয়ে নিন। গুঁড়া দুধ হলে আধা চা-চামচ ব্যবহার করতে পারেন। এবার এর সঙ্গে পৌনে এক চা-চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ লাল আটা মিশিয়ে নিন।
- শুষ্ক ত্বকে দুধের পরিবর্তে দুধের সর ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আধা চা-চামচ কমলার খোসা বাটার সঙ্গে ১ চা-চামচ টকদই, ১ টেবিল চামচ আটা মিশিয়ে নিন। ত্বকের যত্নে যে মিশ্রণটিই ব্যবহার করুন না কেন তা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি ত্বকে না রাখাই ভালো। স্বাভাবিক আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ১ দিন আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ২ দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।
- ত্বকের মরা চামড়া তুলতেও অপরিহার্য কমলার খোসা। এ জন্য ১ টেবিল চামচ কমলার খোসা বাটার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ তরল দুধ এবং আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে স্ক্র্যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের আগে ত্বকের মরা চামড়া তুলতে যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য এই স্ক্র্যাবটি বেশ কার্যকর।
- এ ছাড়া যাঁদের ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত তাঁরা সপ্তাহে দুই দিন কমলার রসে পানি মিশিয়ে তুলা দিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটা ত্বকে কালচে পোড়া দাগ তুলতেও সাহায্য করবে।
ত্বকের রং উজ্জ্বল করেঃ
এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া নিন, তাতে মেশান দুধের সর বা টক দই। এই
মিশ্রণটা মুখে ফেস প্যাকের মতো করে মেখে বিশ মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা
পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মুখে চটজলদি ফর্সাভাব আনতে আর কালো দাগছোপ হালকা করতে
এই ফেসপ্যাকটি দারুণ কাজ করে।
ত্বক সতেজ করেঃ মুখের খোলা রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য নিন কমলার রসের। মুখে খানিকটা কমলার রস মেখে দুই-তিন মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা পানিতে চেপে চেপে ধুয়ে নিন। ত্বক মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠবে।
মুখের মৃত কোষ দূর করেঃ কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে দিয়ে একটু মোটা দানার পাউডার করে নিন। পরিমাণমতো এই পাউডার নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা মুলতানি মাটি আর মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে আলতো হাতে স্ক্রাব করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে মুখ।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ কমলায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকালের হামলা থেকে রক্ষা করে, কাছে ঘেঁষতে দেয় না বলিরেখা ও বয়সের দাগ। কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন, তারপর পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন।
ত্বক সতেজ করেঃ মুখের খোলা রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য নিন কমলার রসের। মুখে খানিকটা কমলার রস মেখে দুই-তিন মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা পানিতে চেপে চেপে ধুয়ে নিন। ত্বক মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠবে।
মুখের মৃত কোষ দূর করেঃ কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে দিয়ে একটু মোটা দানার পাউডার করে নিন। পরিমাণমতো এই পাউডার নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা মুলতানি মাটি আর মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে আলতো হাতে স্ক্রাব করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে মুখ।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ কমলায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকালের হামলা থেকে রক্ষা করে, কাছে ঘেঁষতে দেয় না বলিরেখা ও বয়সের দাগ। কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন, তারপর পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন।
রোদে পোড়া সমস্যা দূর করেঃ রোদের
কারণে ত্বকে সৃষ্ট ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে কমলার খোসা। কমলা খেলে এর
খোসাগুলো সংরক্ষণ করুন। কমলার খোসা রোদে ভালো করে শুকানোর পর গুঁড়া করে
নিন। এবার সেখান থেকে সামান্য গুঁড়া নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর
মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক। শুকিয়ে এলে পরিষ্কার
পানিতে ধুয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
ব্ল্যাকহেডস দূর করেঃ ব্ল্যাকহেডসের
সমস্যা দেখা যায় বেশিরভাগের মুখেই। এই সমস্যা নাছোড়বান্দা। একবার দেখা
দিলে সহজে আর যেতে চায় না। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করার কাজে ব্যবহার
করতে পারেন কমলার খোসা। কমলার খোসার গুঁড়া ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে
ব্ল্যাকহেডসের স্থানে লাগিয়ে নিন। এভাবে মিনিট দশেক রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে
নিন। দেখবেন, ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
ব্রণ দূর করেঃ ব্রণ
নিয়ে মুশকিলে পড়েছেন? ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সমান কার্যকরী কমলার খোসা।
কমলার খোসার গুঁড়া নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপর
মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করুন। মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের
সমস্যা থাকলে তা খুব সহজেই দূর হবে। ত্বকের দাগ দূর করতে চাইলে কমলার খোসার
গুঁড়া ও মসুর ডালের পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
ত্বককে এক্সফোলিয়েট করেঃ কমলার
খোসার প্রাকৃতিক আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড যেমন সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা
ত্বককে আলতো করে এক্সফোলিয়েট করে। এই এক্সফোলিয়েটিং ক্রিয়াটি মৃত ত্বকের
কোষগুলিকে অপসারণ করতে সাহায্য করে, ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয় এবং একটি
মসৃণ, উজ্জ্বল রঙ প্রকাশ করে।
অ্যান্টি-এজিং উপকারিতা প্রদান করেঃ
কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেমন ভিটামিন সি,
যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা অকাল
বার্ধক্যে অবদান রাখে।স্কিন কেয়ারে কমলার খোসার নিয়মিত ব্যবহার সূক্ষ্ম
রেখা, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে, আরও
তারুণ্যময় বর্ণকে উন্নীত করে।
স্কিন টোন হালকা করেঃ
কমলার খোসার প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য কালো দাগ, দাগ এবং
হাইপারপিগমেন্টেশন হালকা করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্কিন টোন আরও বেশি এবং
উজ্জ্বল রং হতে পারে।
ত্বকের গঠন উন্নত করেঃ
কমলার খোসার এক্সফোলিয়েটিং অ্যাকশন, এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য সহ, ত্বকের
সামগ্রিক গঠন উন্নত করতে পারে। এটি ত্বককে মসৃণ এবং আরও কোমল বোধ করে।
ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসা করেঃ
কমলার খোসার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এটিকে অ্যাথলেটের পা বা
ছত্রাক সংক্রমণের মতো ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য উপকারী করে
তোলে।কমলার খোসা-ভিত্তিক প্রতিকারগুলি প্রদাহ কমাতে এবং চুলকানি এবং
অস্বস্তি থেকে ত্রাণ দিতে সাহায্য করতে পারে।
প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্টঃ
কমলার খোসা প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বক ফর্সা
করতে এবং টানটান করতে সাহায্য করে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিদের জন্য
বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে, কারণ এটি অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
এবং বড় ছিদ্রের উপস্থিতি হ্রাস করে।
কমলার খোসা সংরক্ষণঃ রূপচর্চার
উপকরণ হিসেবে বছরজুড়েই কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য কমলা থেকে
খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে মচমচে করে নিন। এবার মিক্সচারে ভালো
করে গুঁড়ো করে বাতাস যাবে না এমন পাত্রে সংরক্ষণ করুন। খেয়াল রাখবেন, কমলার
খোসার গুঁড়া যাতে কোনোভাবে পানির সংস্পর্শে না আসে। সাধারণত এই মিশ্রণ
পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
বিশেষ সতর্কতাঃ যাঁদের
ত্বকে উচ্চমাত্রার অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের কমলার খোসা ত্বকের যত্নে
ব্যবহার না করাই ভালো। এ ছাড়া কমলার খোসাবাটা বা কমলার রস কোনোটাই
ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করবেন না, কারণ অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে
কমলার রস ব্যবহারের ফলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সচোরাচর যে প্রশ্নগুলো করে থাকেন
প্রশ্নঃ কমলার খোসা দিয়ে কি কি করা যায়?
উত্তরঃ কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ জলে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই।
গুড়া করার উপায়ঃ কিছু কমলার খোসা একত্রে জমা করে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিয়ে একটি পাত্রে শুকাতে দিন। কয়েকদিন টানা রোদে শুকিয়ে একদম মচমচে হয়ে গেলে রোদ থেকে উঠিয়ে নিন। এরপর কিছু মসুরের ডাল এবং কমলার খোসা গুলো ভালোভাবে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। তারপর একটি চালনি দিয়ে ভালোভাবে চেলে নিন। ভালোভাবে চালার পর একটি কাঁচের বোইয়ামে ভালোভাবে রেখে দিন। এরপর আপনার যখন ব্যবহারের প্রয়োজন হবে তখন আপনি বোইয়াম থেকে বের করে ব্যবহার করবেন এবং ভালোভাবে বোইয়ামের মুখ লাগিয়ে রাখবেন।
কমলার খোসা ও অলিভ অয়েলঃ
কমলার খোসার গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
ত্বকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন মিশ্রণটি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার
রস স্কিন টোনার হিসেবে বেশ কার্যকরী। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলার রসে তুলো
ভিজিয়ে চেপে চেপে ত্বকে লাগান। গরমে ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং
উজ্জ্বলতা ফেরাতে কমলার রস খুবই কার্যকরী।
গরমে ত্বককে কিভাবে সফট ও নরম করতে হবে সে চিন্তা করে থাকেন অনেকেই । সেজন্য কমলার রসের সঙ্গে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে আগের মতো তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলো দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকে কালচে দাগ থাকলে কমলা দিয়েই দূর করা যাবে। কমলার কোয়া থেঁতলে নিয়ে দই আর লেবুর রস মেশাতে হবে। চোখ ও ঠোটের অংশ বাদে ত্বকের চারপাশে লাগান। শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
উত্তরঃ কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ জলে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই।
প্রশ্নঃ ত্বকের জন্য কমলার জেল তৈরি?
উত্তরঃ ১-২
টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়া এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস নিন।
ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট
রেখে দিন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
প্রশ্নঃ কমলার খোসায় কি ভিটামিন সি আছে?
উত্তরঃ ভিটামিন
সি এবং পলিফেনলের মতো উদ্ভিদ যৌগ সহ বেশ কয়েকটি পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ।
প্রকৃতপক্ষে, মাত্র ৬ গ্রাম কমলার খোসা ভিটামিন সি এর দৈনিক মূল্যের ভিতরের
ফলের তুলনায় প্রায় 3 গুণ বেশি।
প্রশ্নঃ অরেঞ্জ জেল কখন মুখে ব্যবহার করবেন?
উত্তরঃ আপনার
বয়স বা ত্বকের অবস্থা অনুযায়ী সাপ্তাহিক বা রাতে অরেঞ্জ জেল স্ক্রাব
ব্যবহার করুন। ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে শরীরে অরেঞ্জ জেল ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করুন। ত্বকের যত্নের জগতে, জেল হল একটি ঘন তরল যাতে জল এবং জলে
দ্রবণীয় যৌগ থাকে।
কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
কমলার খোসা
দিয়ে ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে অনেকেই জানতে চেয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও
ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন। অনেক সময় বিভ্রান্তও হোন সঠিক তথ্য না পেয়ে। আজকে
আমি আপনাদেরকে জানাবো কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়।
কমলার
খোসায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, নানা খনিজ পদার্থ এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয়
তেল-এসেনশিয়াল ওয়েল।
ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ব্রণ, বলিরেখা ও বয়সের
ছাপ কমাতে দারুণ কার্যকর কমলার খোসা। তবে কমলার খোসা ব্যবহার করতে হবে
সঠিক নিয়মে। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে যেমন, ত্বকে ফুসকুড়ি। এবার জেনে
নেয়া যাক কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে
১.
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে নিন। কমলার কোয়া চিপে রস বের করে রাখুন। ওই
রসে তুলা ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান ত্বকে। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে
কয়েক দিন ব্যবহারে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, বাড়বে জৌলুশ। কমলায়
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে। এটি ত্বকে বলিরেখা কমায়।
২.
কমলার খোসায় থাকে জীবাণুরোধী, প্রদাহবিরোধী ও ছত্রাকবিরোধী উপাদান। এগুলো
ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। একটি কমলার খোসা এক কাপ পানিতে সেদ্ধ করে নিন।
সেই পানি ঠান্ডা করে মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
৩.
কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। অ্যাসিডের প্রভাবে হিতে বিপরীত হতে
পারে। ত্বকের জন্য তাজা কমলার খোসার সঙ্গে সমপরিমাণ মসুরের ডাল বেটে নিন।
মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগান। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও দূর হবে।
৪. কমলালেবুর
খোসা ত্বকের মরা চামড়া তুলতে দারুণ উপকারী। খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে
কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে একবার এই গুঁড়োর সঙ্গে মুলতানি মাটি ও
মধুর মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখে মেখে ১০ মিনিট পর আলতো হাতে স্ক্রাব
করে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবটি একদিকে যেমন মুখের মৃত কোষ তুলে দেবে। তেমনি
ছোপ দাগ হালকা করতেও সাহায্য করবে।
৫. মুখ
থেকে বলিরেখা দূর করে ত্বক টানটান রাখতে কমলালেবুর কোনো বিকল্প নেই। কমলায়
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে। যা আপনার ত্বককে বলিরেখা থেকে
রক্ষা করবে। গুঁড়ো করা কমলালেবুর খোসা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে
ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
৬.
ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন কমলার রস। সে ক্ষেত্রে কমলার রসে
মিশিয়ে নিতে হবে সমপরিমাণ গোলাপজল আর মধু। সেটি তুলায় ভিজিয়ে চেপে চেপে
ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্যাস, ত্বক হবে পরিষ্কার আর নরম।
হালকা রোদে পোড়া কালচে দাগও দূর হবে।
৭.
শুধু কমলা নয়, খোসাও রূপচর্চায় দারুণ কার্যকর। কমলার খোসা শুকিয়ে
ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া কৌটায় সংরক্ষণ করতে পারেন। এক মগ গরম
পানিতে দুই চা-চামচ কমলার খোসার গুঁড়া মেশান। সেখানে দুই টেবিল চামচ কমলার
রসও দিন। এবার কাপড় দিয়ে পাত্রটির চারপাশ ঢেকে নিন, মুখে পানির বাষ্পের ভাপ
নিন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
৮.
কমলার খোসার গুঁড়া, চন্দন আর দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে
পারেন। গোসলের আগে এই প্যাক আপনি হাতে আর পায়েও লাগাতে পারেন। এ ছাড়া দুই
চা-চামচ কমলার খোসার গুঁড়া সমপরিমাণ বেসনের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। পরিমাণমতো
গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানান। এটিকেও প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
কমলার খোসা গুড়া করার উপায়
কমলার খোসা গুড়া করার উপায় হলো কমলা থেকে খোসা আলাদা করে সেগুলকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে কড়া রোদে শুকাতে হবে। পর পর ২-৩ দিন এভাবে ভালো করে শুকাতে হবে। শুকানো হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে মিহী করে গুঁড়া করে নিন। সাধারণত
আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাগুলো ফেলে দিই। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি
না কমলার খোসার গুণাগুণ সম্পর্কে। জানলে হয়তো আর ফেলে দিবেন না জমিয়ে
রাখবেন সারা বছরের জন্য।
আর সারা বছর কিভাবে কমলার খোসা জমিয়ে রাখবেন সে
আলোচনাই করব। আর আপনি যদি কমলার খোসা সংরক্ষণ করার নিয়ম জানতে পারেন তাহলে
আপনারা সারা বছরের জন্য কমলার খোসা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। আপনাদের মধ্যে অনেকে কমলালেবুর খোসা কিভাবে গুড়া করতে হয় সে নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি
আপনাদেরকে জানবো কিভাবে কমলার খোসা গুড়া করতে হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কমলার খোসা কুরা করার উপায় সম্পর্কেঃ-
গুড়া করার উপায়ঃ কিছু কমলার খোসা একত্রে জমা করে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিয়ে একটি পাত্রে শুকাতে দিন। কয়েকদিন টানা রোদে শুকিয়ে একদম মচমচে হয়ে গেলে রোদ থেকে উঠিয়ে নিন। এরপর কিছু মসুরের ডাল এবং কমলার খোসা গুলো ভালোভাবে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। তারপর একটি চালনি দিয়ে ভালোভাবে চেলে নিন। ভালোভাবে চালার পর একটি কাঁচের বোইয়ামে ভালোভাবে রেখে দিন। এরপর আপনার যখন ব্যবহারের প্রয়োজন হবে তখন আপনি বোইয়াম থেকে বের করে ব্যবহার করবেন এবং ভালোভাবে বোইয়ামের মুখ লাগিয়ে রাখবেন।
সংরক্ষন পদ্ধতিঃ নরমাল ফ্রিজে রাখলে বেশি ভালো এতে নষ্ট হবার কোন ভয় থাকেনা। কমলার খোসার গুড়া সংরক্ষনের জন্য কাচের বয়ামে রেখে দিতে পারেন সারা বছরের জন্য। নিয়ম না জেনে সংরক্ষণ করতে গেলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এতে ত্বকে খারাপ প্রভাব পড়ার ঝুঁকিও বাড়ে। বেশি ভালো হয় নরমাল ফ্রিজে রাখলে, এতে নষ্ট হবার কোন ভয় থাকেনা।
কমলার খোসা দিয়ে সিরাম
ত্বকের
জেল্লা বাড়ানোর জন্য়ে নিয়মিত ফেস সিরাম ব্যবহারে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য
বাড়ার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে কিনে ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, তাতেও মেশানো হয় নানারকম রাসায়নিক ক্যামিক্যেল।
তাই আপনি যদি একান্তই কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত উপাদান ত্বকে লাগাতে না চান,
তাহলে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া ফেস সিরামের উপর।
বাড়িতে
ভিটামিন সি ফেস সিরাম বানানোর জন্যে প্রচুর পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই।
সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য়েই আপনি বানিয়ে নিতে
পারেন এই উপকারী ফেস সিরাম। কিভাবে ঘরে বসে কমলার খোসা দিয়ে ফেসের জন্য সিরাম বানাতে হয় সে নিয়ম সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ-
জেল্লা বাড়াবে এই ফেস সিরামঃ
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং স্কিনের উপরের স্তরে আর্দ্রতার মাত্রা বজায়
রাখতে ফেস সিরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আন ইভেন
স্কিনটোনের সমস্যা সারিয়ে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো নিয়মিত ফেস
সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
এখন জেনে নিন বাড়িতে এই ফেস সিরাম বানাবেন কী ভাবে আর এই সিরামটি বানাতে আপনার ঠিক কী কী প্রয়োজন পড়বে।
- ঘরোয়া ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়ব
- কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো
- অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল
- অ্যালোভেরা জেল
- গ্লিসারিন
- ভিটামিন ই অয়েল
- কাচের ড্রপার বোতল।
ধাপ ১ঃ কমলালেবুর
খোসার গুঁড়ো আপনি বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কমলালেবুর খোসা
শুকিয়ে গ্রাইন্ড করে নিলেই তৈরি আপনার নিজস্ব অরেঞ্জ পিল পাউডার। এবার
পরবর্তী ধাপগুলি ফলো করার পালা। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো কমলালেবুর খোসার
পাউডার নিন। এর সঙ্গে মেশান অ্যালোভেরা জেল। দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে
নেওয়ার পরে যোগ করুন ১ চামচ গ্লিসারিন। এরপরে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের
নির্যাস মেশান ওই মিশ্রণে।
ধাপ ২ঃ প্রতিটি
উপকরণ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। তাহলেই একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হবে। সেই
মিশ্রণে মিশিয়ে দিন অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল। এবার একটি কাচের শিশিতে ঢেলে
রাখুন এই মিশ্রণটি। কাচের শিশিটি সরাসরি রোদে রাখবেন না, কোনও একটি ঠান্ডা ও
অন্ধকার জায়গায় রাখাই শ্রেয়। এই অরেঞ্জ ফেসিয়াল সিরাম ব্যবহার করুন দিনে
মাত্র ২ বার। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখ ক্লিনজিং
করার পরে এই সিরাম লাগালে উপকার পাবেন হাতেনাতে। এক্ষেত্রে ড্রপারের
সাহায্যে কয়েক ফোঁটা সিরাম আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। তারপরে হাতের তালুর
সাহায্যে ধীরে ধীরে ট্যাপ করুন। ভুলেও জোরে জোরে ঘষবেন না, তাতে ক্ষতির
আশঙ্কাই বাড়বে।
ফেসিয়াল সিরামের গুণাগুণঃ এই
ফেসিয়াল সিরাম আপনার ত্বকের হাল ফেরাবে খুব তাড়াতাড়ি। কারণ এই সিরামে
রয়েছে কমলালেবুর নির্যাস। আর এই প্রাকৃতিক উপাদান যে আপনার ত্বকের জন্যে
খুবই উপকারী, সে কথা তো বলাই বাহুল্য। কারণ কমলালেবুর নির্যাসে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন আপনার ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের
উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে, ফলে ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকবে। এদিকে এর
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের নানা সমস্য়া নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা
নেবে।
উপকারঃ এই
ফেস সিরামে উপস্থিত গোলাপ জলও যে আপনার ত্বকের জন্যে উপকারী, সে কথা আর
নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। এই প্রাকৃতিক উপাদানে উপস্থিত একাধিক
উপকারী যৌগ আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে
জেল্লাও বাড়াবে।
এদিকে
গ্লিসারিন প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। আবার অ্য়ালোভেরায়
উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ত্বকের অন্দরের টক্সিন বের করে দেবে ঝটপট।
আর ভিটামিন ই আপনার ত্বকের জৌলুস ফেরাবে রাতারাতি। তাই এই ফেস সিরাম দিনে
মাত্র ১-২ বার লাগালে ত্বকের জেল্লা এমন বাড়বে যে সবার নজর থাকবে আপনার
দিকে।
কমলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক
কমলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি জন্য খোসা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে কড়া রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। তাপরএই গুঁড়া মুখবন্ধ বয়ামে সংরক্ষণ করে সারা বছর ব্যবহার করতে পারবেন। ত্বক
ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল করার জন্য বাজার থেকে কেনা প্রসাধনী ব্যবহার না করে
ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এগুলো
আপনার ত্বকে নিয়ে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করতে কমলার
খোসার তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। এতে থাকা ভিটামিন সি ও
অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ও ত্বক রাখে উজ্জ্বল। জেনে নিন কীভাবে কমলার খোসা দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি ও ব্যবহার করবেনঃ
কমলার খোসা ও মুলতানি মাটিঃ
কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে আপনি মুলতানি মাটি মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন
ফেসপ্যাক। যাঁদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত, তাঁরা এই ফেসপ্যাক অবশ্যই ব্যবহার
করতে পারেন। সাধারণ ত্বকে বা শুষ্ক ত্বকে এই ফেসপ্যাক ব্যবহারের প্রয়োজন
নেই।
এর
জন্য আপনার প্রয়োজন, এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো নিন। এর সঙ্গে
এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মেশাতে হবে। এর সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল
মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে গবে। ফেসপ্যাক আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্যে
বেশ কার্যকরী। কারণ, এটি অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্যাক
মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
ব্ল্যাকহেড রিমুভ করতেও সাহায্য করে এই প্যাক।
কমলার খোসা ও ইয়োগার্টঃ
আপনার প্রয়োজন একটি পাত্র। তাতে এক টেবিলচামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো নিন।
এটি আপনি আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন। ২ টেবিল চামচ ইয়োগার্ট নিন। এবার দুই
উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। আপনার ফেসপ্যাক তৈরি।
এবার
ওই ফেসপ্যাক আপনার মুখে, গালে, গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট
অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার থাকলে, তৈরি হওয়ার
আগেও লাগাতে পারেন এই ফেসপ্যাক। মুহূর্তে জেল্লা পাবেন আপনি।
কমলার খোসার গুড়া এবং চালের আটাঃ
এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে কমলার খোসার গুড়ার সঙ্গে দুই থেকে তিন চামচ চালের
আটা এবং প্রয়োজনমতো গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকের ভালোভাবে
লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে
সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
কমলার খোসার গুড়া ও বেসনঃ
আপনি এই ফেসপ্যাকটি শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য এক
টেবিল চামচ বেসন এর সঙ্গে দুই থেকে তিন চামচ কমলার খোসার গুড়া মধু মিশিয়ে
প্যাক তৈরি করুন। এরপর এটি ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে
পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করতে
পারেন।
কমলার খোসার গুড়া এবং চিনিঃ
এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করার জন্য কমলার খোসার গুড়ার সঙ্গে চিনি ও প্রয়োজন মত
গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০
থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা ও চন্দন গুড়াঃ
দুই থেকে তিন চা চামচ কমলার খোসার গুড়ার সঙ্গে চন্দন গুড়া মিশিয়ে পেস্ট
তৈরি করে মুখে ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন। এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরিষ্কার
পানি দিয়ে ফেলুন। আপনি এভাবেই কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন করতে পারেন।
কমলার খোসা ও আমন্ড অয়েলঃ
আধা চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানির ঝাপটায় ধুয়ে
নিন মুখ। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক
জৌলুস।
কমলার খোসা ও অ্যালোভেরা জেলঃ
আধা চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে
ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলুন ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে। এই
ফেসপ্যাকটিও সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন।
কমলার খোসা, নারকেল তেল ও হলুদঃ
আধা চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ
নারকেলের তেল মিশিয়ে নিন। ফেসপ্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর
কুসুম গরম পামি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করতে মাসে দুইবার
ব্যবহার করুন এই ফেসপ্যাক।
কমলার খোসা গুঁড়া ও ডিমঃ ১
টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। ভালো করে
নেড়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। মাসে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন ফেসপ্যাকটি।
কমলার খোসা ও গোলাপজলঃ পরিমাণ
মতো কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ফেসপ্যাকটি
ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করতে সপ্তাহে দুইবার
ব্যবহার করুন এই ফেসপ্যাক।
কমলার রস দিয়ে রূপচর্চা
আপনারা অনেকেই জানেন ত্বকের
যত্নে উপকারী প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে কমলার রস ভীষণ ভালো। কমলার রস
ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকে সাইট্রাস, যা ব্রণের সমস্যা দূর
করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কমলার রস ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
সমৃদ্ধ, যা ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। তাই কমলার রস পান
ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকের যত্নে মেয়েদের শৌখিনতার শেষ নেই।
যুগের
পর যুগ ধরেই মেয়েরা ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে আসছে।
নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে মেয়েরা সব সময় পারদর্শী। এর জন্য় ত্বকের
উজ্জ্বলতা ধরে রাখা, ত্বককে সজীব-সতেজ রাখার নানা টিপস খুঁজে বেড়ায় মেয়েরা।
ত্বকের সামান্য সমস্যা হলেই তাদের উদ্বেগের শেষ থাকে না। টকমিষ্টি
স্বাদের কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। আদি
যুগ থেকেই কমলালেবুর খোসা দিয়ে রূপচর্চা করে আসছে মেয়েরা। কমলালেবুর রস,
খোসা, শাঁস সবই ত্বকের জন্য উপকারী। তাই রূপচর্চায় কমলালেবুর জুড়ি মেলা
ভার।
গরমে ত্বককে কিভাবে সফট ও নরম করতে হবে সে চিন্তা করে থাকেন অনেকেই । সেজন্য কমলার রসের সঙ্গে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে আগের মতো তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলো দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকে কালচে দাগ থাকলে কমলা দিয়েই দূর করা যাবে। কমলার কোয়া থেঁতলে নিয়ে দই আর লেবুর রস মেশাতে হবে। চোখ ও ঠোটের অংশ বাদে ত্বকের চারপাশে লাগান। শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
কমলার রস মুখে দিলে কি হয়
কমলার রস মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন। বাজারজুড়ে কমলার দেখা মিলছে, এর
মানে হলো শীত এসে গেছে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ
উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর
রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার। কমলার রস, খোসা, শাঁস, সব কিছুই আমাদের
রূপচর্চার কাজে লাগতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
ব্রণ কমায়ঃ
ব্রণের সমস্যা দূর করতে কমলার রসের সাইট্রিক অ্যাসিডকে কাজে লাগান। আঙুলে
করে একটু কমলার রস নিয়ে ব্রণর উপরে ঘষে দিলেই শুকিয়ে যাবে ব্রণ, ত্বক হয়ে
উঠবে পরিষ্কার, ঝকঝকে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ
উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর
রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুনঃ
ত্বকের রং উজ্জ্বল করেঃ
এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া নিন, তাতে মেশান দুধের সর বা টক দই। এই
মিশ্রণটা মুখে ফেস প্যাকের মতো করে মেখে বিশ মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে
ধুয়ে ফেলুন। মুখে চটজলদি ফর্সাভাব আনতে আর কালো দাগছোপ হালকা করতে এই
ফেসপ্যাকটি দারুণ কাজ করে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য
বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক
সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
ত্বককে সতেজ রাখেঃ
মুখের খোলা রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য নিন কমলার রসের। মুখে খানিকটা
কমলার রস মেখে দুই-তিন মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে চেপে চেপে ধুয়ে নিন।
ত্বক মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠবে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের
জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের
ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করেঃ
কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে দিয়ে একটু মোটা দানার পাউডার করে নিন।
পরিমাণমতো এই পাউডার নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা মুলতানি মাটি আর মধু মিশিয়ে
পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে আলতো হাতে স্ক্রাব করুন।
এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে মুখ। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই
ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে
লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ
কমলায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকালের
হামলা থেকে রক্ষা করে, কাছে ঘেঁষতে দেয় না বলিরেখা ও বয়সের দাগ। কমলালেবুর
খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন, তারপর জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক
হিসেবে ব্যবহার করুন। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ
উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর
রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার। কমলার রসে রয়েছে সিট্রিক অ্যাসিড যা
প্রাকৃতিক ব্লিচ উপাদান হিসেবে কাজ করে। তাই রোদপোড়া ত্বকের যত্নে এই রস
বেশ কার্যকর। বরফ জমানোর ট্রে’তে তাজা কমলার রস রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ
থেকে ঘরে ফিরে ওই বরফ ত্বকে ঘষুন।
ত্বকের জন্য কমলার রসের উপকারিতা
কমলা হলো ভিটামিন সি এর উৎস। কমলার রস ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী, এর ভিটামিন সি ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে। কমলার রসে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং বিভিন্ন বি ভিটামিনের পাশাপাশি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। এগুলো ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনে এবং ব্রণ দূর করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি ক্ষত সারাতে কাজ করে। ত্বকের যত্নে কমলার রসের উপকারিতা সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো১.
কমলার রসে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং বিভিন্ন বি ভিটামিনের পাশাপাশি
পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে । এগুলো ত্বকের
তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনে এবং ব্রণ দূর করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি ক্ষত সারাতে
কাজ করে।
২. কমলার রসের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ভিটামিন সি, যা ত্বক ঝুলে যাওয়া এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. কমলার রস ত্বকের কোষগুলোর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ত্বককে সুন্দর করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৪. ত্বকের দাগ দূর এবং ত্বক উজ্জ্বল করতেও কমলার রস দারুণ কার্যকর। এটি মেলানিনের উৎপাদন রোধ করে এবং রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নেয়।
৫. কমলার রস ত্বক হাইড্রেট রাখে, ফলে ত্বক স্বাস্থ্যকর দেখায়।
৬.
কমলালেবুতে রয়েছে নারিজেনিনের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান। যা উন্নতমানের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামাটর। ভেতর থেকে এটি ত্বককে উজ্জ্বল
করে।
৭.
কমলালেবুতে রয়েছে ক্যারোটিন এবং ভিটামিস সি। যা খুব শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। কমলালেবুর খোসা দিয়ে রোদে পোড়া ভাব বা রোদে ত্বকের
যে ক্ষতি করে তা সহজেই দূর করা যায়।
৮. যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারাও কমলালেবু দিয়ে যত্ন নিতে পারেন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হয়।
৯.
কমলালেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিডকে কাজে লাগানো যায় এক্ষেত্রে। আঙুলে করে
একটু কমলার রস নিয়ে ব্রণের উপরে ঘষে দিন। নিয়মিত লাগান। ব্রণ শুকিয়ে যাবে
সেরে উঠবে।
১০.
এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে
১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ভাব
কেটে যাবে, দাগও দূর হবে।
১১.
মুখের খোলা লোমকুপ বা লোমছিদ্র নিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি। কয়েক ফোঁটা কমলার
রসই আপনাকে দিতে পারে সমাধান। কমলার রস ৪ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী কমলার ফেসপ্যাক
হাজার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরও যাচ্ছে না ত্বকের শুষ্কতা। নিষ্প্রাণ ত্বকের যত্ন কমলালেবুর থেকে ভাল আর কি বা হতে পারে। শুধু যে কমলালেবু তা নয়, কমলালেবুর খোসার গুণও কম নয়।আমাদের সবার ত্বক এক এক জনের এক এক রকম সেজন্য ত্বকের সমস্যাও আলাদা। বিভিন্ন রকম ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী কমলার ফেসপ্যাক কিভাবে ব্যবহার করবেন তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ-মেছতা
থাকলে এক টেবিল চামচ কমলার খোসা তিন টেবিল চামচ আলুর রসে ভিজিয়ে রাখুন ১৫
মিনিট। এরপর পেস্ট করে নিয়ে একটি ডিমের সাদা অংশ ও এক চা–চামচ কমলার রস
মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। বিশেষত, হালকা মেছতা থাকলে প্রতিদিন এ প্যাক
ব্যবহারে মেছতা আর গাঢ় হয় না।
ব্রণের জন্য এক টেবিল চামচ কমলার খোসা, সমপরিমাণ পুদিনাপাতার রস ও শঙ্খ গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে ব্যবহার করুন একটানা ৭ দিন।
বলিরেখা দূর করতে এক টেবিল চামচ কমলার খোসা পেস্ট ও এক টেবিল চামচ কমলার রস দিয়ে পেস্ট করুন। দুটি কাঠবাদাম যোগ করুন। পুরো মুখে দিন প্রতিদিন।
রোজ বাইরে থেকে ফিরে আরেকটি প্যাক কাজে লাগাতে পারেন। এক টেবিল চামচ কমলার খোসা সমপরিমাণ রস (কমলার) দিয়ে পেস্ট করুন। সঙ্গে ভালোভাবে পেস্ট করা এক টেবিল চামচ পাকা কলা যোগ করুন। মিশ্রণে ভারসাম্য আনতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন যোগ করতে হবে। বাইরের দূষণে নিষ্প্রাণ, অনুজ্জ্বল, নিস্তেজ হয়ে পড়া ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে। চাইলে এটি প্রতিদিনই ব্যবহার করা যায়।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে এক চা–চামচ কমলার খোসা পেস্ট (তাজা, সংরক্ষিত নয়) ও সমপরিমাণ মধু দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। শুধু ব্ল্যাকহেডসের স্থানে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে এলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত গতিতে তুলে ফেলুন। সাত থেকে আট দিন একটানা ব্যবহার করুন।
কমলার খোসা দিয়ে ফেস টোনার বানানোর নিয়ম
প্রশ্ন হচ্ছে কমলার খোসা দিয়ে ফেস টোনার বানানোর নিয়ম। ফেস টোনার বানাতে স্টেইনলেস
স্টিলের পাত্রে আধা লিটার মিনারেল ওয়াটার (ট্যাপের পানি নয়) ও ছয়টি কমলার
কুচি করা খোসা (তাজা, সাদা অংশ বাদে, আগের নিয়মে) দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে
রাখুন। কমলা রঙের ছোঁয়া দেখা দিতে থাকবে, পানি কমতে থাকবে। মিশ্রণ ঘন হয়ে
মোটামুটি ১৫০ মিলি পরিমাণে নেমে এলে নামাতে হবে। স্বচ্ছ ঢাকনা দিতে পারেন,
অস্বচ্ছ ঢাকনা হলে এক থেকে দুইবার উঠিয়ে পানির পরিমাণ বুঝে নিন।ঠান্ডা
হওয়ার পর যেকোনো বোতলে রেখে ব্যাগেও বহন করতে পারেন। সারা দিনে ক্লান্ত
হয়ে পড়লে মুখ ধুয়ে এটি স্প্রে করে নিয়ে (স্প্রে করার বদলে এটি তুলার বলে
ভিজিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন) ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। বরফের কিউব হিসেবে
সারা বছর রেখে দিতে পারেন, যদি আনুপাতিক হারে পরিমাণ বাড়িয়ে থাকেন।
গরমে ত্বক নরম করার চেষ্টা থাকে অনেকের। সেজন্য কমলার রসের সঙ্গে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে আগের মতো তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলো দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকে কালচে দাগ থাকলে কমলা দিয়েই দূর করা যায়। কমলার কোয়া থেঁতলে নিয়ে দই আর লেবুর রস মেশাতে হবে। চোখ ও ঠোটের অংশ বাদে ত্বকের চারপাশে লাগান। শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
কমলার রস স্কিন টোনার হিসেবে বেশ কার্যকরী। ঘুম ভাঙার পর কমলার রসে তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে ত্বকে লাগান। গরমে ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং উজ্জ্বলতা ফেরাতে এই অভ্যাসটি মন্দ নয়।
গরমে ত্বক নরম করার চেষ্টা থাকে অনেকের। সেজন্য কমলার রসের সঙ্গে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে আগের মতো তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলো দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকে কালচে দাগ থাকলে কমলা দিয়েই দূর করা যায়। কমলার কোয়া থেঁতলে নিয়ে দই আর লেবুর রস মেশাতে হবে। চোখ ও ঠোটের অংশ বাদে ত্বকের চারপাশে লাগান। শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
কমলার রস স্কিন টোনার হিসেবে বেশ কার্যকরী। ঘুম ভাঙার পর কমলার রসে তুলো ভিজিয়ে চেপে চেপে ত্বকে লাগান। গরমে ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং উজ্জ্বলতা ফেরাতে এই অভ্যাসটি মন্দ নয়।
চুলের যত্নে কমলার খোসার ব্যবহার
অ্যান্টি
ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে খুশকি দূর হলেও ফিরে আসে আবার। খুশকির
সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চাইলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের বিকল্প
নেই। কমলার খোসার তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন খুশকি দূর করার
জন্য। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা খুশকির জন্য দায়ী জীবাণু
দূর করে। এছাড়া কমলার খোসায় থাকা ভিটামিন সি চুলের যত্নে অনন্য।
কমলার খোসার হেয়ার প্যাকঃ
কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে মিহি গুঁড়া করে নিন। ২ টেবিল চামচ কমলার খোসা
গুঁড়ার সঙ্গে প্রয়োজন মতো নারকেলের দুধ মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। ৪ থেকে ৫
টেবিল চামচ নারকেলের দুধ মেশাতে পারেন।
চুল
ভাগ ভাগ করে নিন। হেয়ার প্যাকটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। শাওয়ার ক্যাপ
দিয়ে ঢেকে নিন চুল। ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
চুল। কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন অবশ্যই। সবচেয়ে ভালো হয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
ব্যবহার করলে। চায়ের লিকার কিংবা লেবুর রসমিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে পারেন
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন হেয়ার প্যাকটি।
দূর হবে খুশকিঃ
ভিটামিন সি-তে ভরপুর কমলালেবুর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। কমলালেবু পছন্দ করেন
না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রূপচর্চাতেও বেশ
উপকারি এই ফল। কমলালেবুর রস, খোসা, শাঁস সবকিছুই ব্যবহার করা যায়
রূপচর্চায়।
চুলের যত্নে কমলালেবুর ব্যবহার
ভিটামিন
সি যুক্ত এই ফলটি শুধু ত্বকের জন্যই উপকারী নয়। এই ফলটি আমাদের চুলের
যাবতীয় সমস্যাও দূর করে থাকে। চুলকে মসৃণ, উজ্জ্বল এবং ঘন করে তোলে
কমলালেবু। চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে, চুলের গঠনও
উন্নত করে। কমলালেবুর রস, খোসা, শাস সবকিছুই রূপচর্চার কাজে লাগে। তাই আজ
থেকে কমলালেবু চুলেও ব্যবহার করা শুরু করুন। চুলের যত্নে কমলা লেবু কিভাবে
ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিনঃ-
কমলালেবুর তেলঃ
চুলের যত্নে কমলালেবুর তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি নিস্তেজ চুলে
উজ্জ্বলতা ফেরায়, মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত
করে। এর ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তেল বানানোর জন্য দুটি
কমলালেবুর খোসা গুঁড়া করে তার সঙ্গে কমলার রস মেশান। এবার এই মিশ্রণে
নারকেল মিশিয়ে ২-৩ দিন সূর্যের আলোয় রাখুন। তারপর ব্যবহার করুন।
কমলালেবুর হেয়ার মাস্ক ব্যবহারঃ কমলালেবুর
হেয়ার মাস্ক চুলের ফলিকলে পুষ্টি যোগায়, স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে
সহায়তা করে এবং চুল সফ্ট ও উজ্জ্বল করে তোলে। হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য একটি
কমলালেবুর সঙ্গে অর্ধেক আপেল একসঙ্গে পিষে নিন। ঘন পিউরি তৈরি করুন।
প্রয়োজন হলে এতে কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মেশাতে পারেন। এই মাস্কটি চুল ও
স্ক্যাল্পে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
কমলালেবুর কন্ডিশনার ব্যবহারঃ
আপনার শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলকে কন্ডিশন করতে কমলালেবুর কন্ডিশনার ব্যবহার
করুন। কমলালেবু ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা চুলকে কন্ডিশন
করে এবং চুলের ক্ষতি হতে দেয় না। এক টেবিল চামচ তাজা কমলার রসে অ্যালোভেরা
জেল ভালো ভাবে মেশান। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। তারপর
শ্যাম্পু করে নিন।
এছাড়াও,
কমলালেবুর রস বা শুকনা খোসার গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা
চুলে এই মিশ্রণটি লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
খুশকি সারায় কমলালেবুঃ
শীতকাল এলেই খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায় সবার। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার
করুন কমলালেবু। এর ভিটামিন সি উপাদান খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
আপনার হেয়ার অয়েলে কমলার রস বা কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে
ম্যাসাজ করুন।
চুলের বৃদ্ধি করেঃ
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান
রয়েছে। আর, এই সব উপাদানই চুলের বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ক্ষতি আটকায় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। কমলালেবুতে
রয়েছে ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন-ই, যা ক্ষতিগ্রস্থ চুলের ফলিকলগুলো মেরামত
করে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী করে।
চুলকে উজ্জ্বল এবং ঘন করেঃ
চুলকে মসৃণ, উজ্জ্বল এবং ঘন করে তোলে কমলালেবু। চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল ও
স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে, চুলের গঠন উন্নত করে। হেয়ার অয়েলের সঙ্গে কমলার
রস বা খোসার গুঁড়া মিশিয়ে চুলে প্রায় আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপরে
শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
চুলের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
স্বাস্থ্যের
জন্য কমলা উপকারী ফল একথা সবাই জানেন। কিন্তু কমলার খোসাও কিন্তু চুলের যত্নে
দারুণ কার্যকরী। কমলায় থাকে ভিটামিন সি ও ফাইবার, ফলে এটি শরীরের নানা
উপকারে লাগে। পুষ্টিকর এই ফলের খোসা আমরা সাধারণত ফেলে দিই। কমলার খোসা
ফেলে না দিয়েও ব্যবহার করা যায় চুলের যত্নে। কমলার খোসা ব্যবহারে আপনার
চুলের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে অনেকটাই। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে
কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কেঃ-
চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়ঃ
কমলার খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য কোলাজেন অপরিহার্য। কারণ এটি চুল পড়া রোধ
করতে ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
চুলের যত্নের রুটিনে কমলার খোসার নিয়মিত ব্যবহার ঘন, মজবুত এবং আরও
সুস্বাদু চুলকে উন্নীত করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
খুশকি কমায়ঃ
কমলার খোসার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ছত্রাক এবং
ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা খুশকি তৈরিতে অবদান
রাখতে পারে। কমলার খোসা-ভিত্তিক প্রতিকার ব্যবহার করা, যেমন একটি পেস্ট বা
ধুয়ে ফেলা, খুশকি কমাতে এবং চুলকানি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
চুলের অবস্থাঃ
কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক তেল থাকে, যা চুলের প্রাকৃতিক
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। কমলালেবুর খোসা লাগানো তেল বা মাস্ক ব্যবহার
করলে তা শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে হাইড্রেট ও পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে,
এটিকে নরম ও পরিচালনাযোগ্য রাখে।
চুল ঘন ও কালো করেঃ কমলার খোসার প্রাকৃতিক তেল এবং পুষ্টিগুণ নিস্তেজ চুল ঘন কালো ও চকচকে যোগ করতে পারে, এটিকে স্বাস্থ্যকর এবং আরও প্রাণবন্ত দেখায়।
অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করেঃ
যাদের তৈলাক্ত চুল আছে তাদের জন্য কমলার খোসা মাথার ত্বকে সিবাম উৎপাদন
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কমলার খোসার অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য
অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং চুল পড়া বন্ধ করে দীর্ঘ
সময়ের জন্য সতেজ বোধ করে।
চুল পড়া কমায়ঃ কমলার
খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে
সাহায্য করতে পারে, যা চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুল পড়ার দিকে
পরিচালিত করে।
উপসংহার
কমলা
খাওয়া যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি এর প্রতিটি অংশ ত্বক ও চুলের জন্য
বেশ কার্যকর। কমলার খোসা একটি বহুমুখী প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বক ও চুলের
যত্নে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান
এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক তেলে পরিপূর্ণ। কমলার খোসায় রয়েছে ভিটামিন
সি যা কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চুলের বৃদ্ধির
জন্য কোলাজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আশা
করছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ত্বক ও চুলের যত্নে কমলা লেবুর রস ও খোসার
উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমি
আপনাদের সাথে ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা, চুলের যত্নে কমলালেবুর
ব্যবহার, চুলের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url