পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের সাথে এই
আর্টিকেলে আলোচনা করবো। বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে। যারা
অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করেছেন এবং ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা জানেন না,
তারা ভিসা চেক করার মাধ্যমে আপনার ভিসা স্ট্যাটাস জেনে নিতে পারবেন।
প্রায় প্রতিটি দেশের ভিসা চেক করার জন্য পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করা যায়। তাই,
আজকের এই আর্টিকেলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম সহ কিভাবে আপনি
বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করবেন ও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করবো।
পেইজ সূচিপত্রঃ পাসপোর্ট ও ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
- ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
- বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম
- বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার নিয়ম
- ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- ভিসা চেক করার সুবিধা
- ভিসা চেক করার সময় সতর্কতা
- ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
- উপসংহার
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম জানতে হলে এই লিখাটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ তাই, এ যুগে ভিসা নিয়ে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই
কম। কেননা এখন থেকে আপনারা ঘরে বসে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন।
অনলাইনে ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে কারো কাছেই যেতে হবে না। কারও সহায়তা ছাড়া
নিজেই নিজের ভিসা চেক করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
তাছাড়া আপনার ভিসা সঠিক কিনা, যে কাজের জন্য ভিসা পেয়েছেন তা ঠিক আছে কিনা,
কোম্পানীর নাম সব ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিতে পারবেন। এর ফলে বিদেশ গিয়ে কোন
ধরণের বিপদে পড়া বা প্রতারণার শিকার হতে বাঁচেতে পারবেন। সাধারণত ভিসা জালিয়াতি
কিংবা ভুল ভিসার ফলে অনেক বাংলাদেশীরা বিদেশে গিয়ে কিংবা বিদেশে যাওয়ার সময়
বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে।
তাই এই ধরনের জালিয়াতি কিংবা প্রতারণা থেকে সাবধানে থাকতে এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই
আর্টিকেলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম সহ কিভাবে আপনি
বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করবেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেকঃ
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল ক্রম ব্রাউজার
ওপেন করতে হবে। তারপর আপনি যেই দেশে ভ্রমণ করতে চান সেই দেশের নাম উল্লেখ করে
সার্চ বক্সে Visa Check লিখে সার্চ করতে হবে। যেমন ধরেন, Dubai Visa Check,
Qatar Visa Check ইত্যাদি। তারপরে প্রথম লাইনে যে ওয়েবসাইটটি আপনার সামনে আসবে
সেখানে প্রবেশ করে আপনার Passport No ও Nationality সিলেক্ট করে যেকোনো দেশের
ভিসা চেক করতে পারবেন।
ভিসা চেক করার জন্য সাধারণত পাসপোর্ট নাম্বার, ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার, এবং
একটি ক্যাপচা কোড প্রয়োজন হয়। এই তথ্যগুলি প্রদান করে, আপনি আপনার ভিসার
স্ট্যাটাস, মেয়াদ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন। এর ফলে ভ্রমণের
সময় যেকোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনলাইনে
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে যেকোনো দেশের যেকোনো ধরনের ভিসা যাচাই করা যায়।
প্রতিটি দেশের ভিসা চেকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা যাচাই করতে পারবেন। দালাল
কিংবা এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা হাতে পাওয়া মাত্র যাচাই করা দরকার। কারণ–অনলাইনে
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করে ভিসার ধরন সম্পর্কে জানা যায়। যেমনঃ
- স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।
- ভুয়া ভিসা সনাক্ত করা যায়।
- জালিয়াতি রোধ করা যায়।
- প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- ভিসার মেয়াদ সম্পর্কে জানা যায়।
- ভিসার শর্তাবলী সম্পর্কে জানা যায়।
- ভিসা চেক করে নিশ্চিত হলে দুশ্চিন্তা কমে যায়।
- অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- ভিসাটি বৈধ কিনা জানা যায়।
- ভিসাটি আপনার কাঙ্খিত কোম্পানির স্পন্সরশীপে হয়েছে কিনা জানা যায়।
- ভিসায় প্রফেশন সম্পর্কে জানা যায়।
- নতুন ভিসার আবেদন করলে আবেদনটি এপ্রুভ হয়েছে কিনা জানা যায়।
- স্ট্যাটাস জেনে দ্রুত ভিসা সংগ্রহ করা যায়।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম
ভিসা চেক করাটা অত্যন্ত জরুরি কেননা আপনার ভিসা বৈধ কিনা, ভিসার মেয়াদ কতদিন
ইত্যাদি তথ্য জানার জন্য ভিসা চেক করা দরকার। আপনি যদি কোন দেশে যাওয়ার জন্য
ভিসা এপ্লাই করে থাকেন এবং অলরেডি ভিসার কাগজ পেয়ে থাকেন তাহলে উক্ত ভিসার
কাগজে থাকা ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। এবং জানতে পারবেন ভিসার
সঠিক তথ্য, বৈধতা, ভিসার মেয়াদ, এবং কি ধরনের ভিসা সে সম্পর্কে।
ভিসা হল একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও
অবস্থানের জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন
হিসাবে পরিগণিত। সাধারণত পাসপোট বা ট্রাভেল পারমিটের কোন একটি পাতায় লিখিত,
সীল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। দেশের বিদেশস্থ দূতাবাসগুলি
ভিসা দিয়ে থাকে।
আপনি যেই দেশের ভিসার জন্য এপ্লাই করেছেন সেটা হতে পারে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া
অথবা আফ্রিকা। এইসব অঞ্চলে প্রত্যেকটা দেশের ইমিগ্রেশনের সিস্টেম অনুযায়ী
অনলাইন ভিসা চেকিং সিস্টেম রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি দেশের ইমিগ্রেশনের
ইন্ডিভিজুয়াল দেশের ভিসা তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্ধারিত সার্ভার থাকে।
আপনারা চাইলে খুব সহজেই সেই সমস্ত সার্ভার থেকে আমাদের পাসপোর্ট ও ভিসা নাম্বার
দিয়ে ভিসা তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেকঃ
আপনি যদি ভিসার কাগজ পেয়ে থাকেন তাহলে যে দেশের ভিসা করেছেন উক্ত দেশের
দূতাবাস বা কনস্যুলেট অথবা ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট বা ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ভিসা
চেক করে নিতে পারবেন, এবং জানতে পারবেন ভিসা সঠিক নাকি ডুপ্লিকেট বা জাল। তবে
আপনি ঘরে বসেই ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে পাসপোর্ট অথবা ভিসা এপ্লিকেশন নাম্বার
দিয়েই ভিসা চেক করতে পারবেন।
এটি করতে আপনাকে আগে ভিজিট করতে হবে আপনার কাঙ্খিত দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে,
এরপর আপনাকে খুঁজতে হবে ভিসা চেক করার লিংক। এটা পেয়ে গেলে আপনি সেখানে দেশ
এবং ভিসার ধরন ও ভিসা নম্বর বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে সার্চ দিলে ভিসা
তথ্য দেখতে পাবেন। আপনি যেই দেশের ভিসা চেক করতে চান সেই দেশের নাম লিখে গুগলে
সার্চ করতে হবে যেমনঃ Saudi Visa Check।
একই পদ্ধতি আপনারা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে চেক করতে পারবেন, আপনার কাছে যদি
ভিসা নাম্বার না থাকে তাহলে পাসপোর্ট দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অনেক অসাধু
বা দালাল রয়েছে যারা ভূয়া ভিসা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিসা চেক করলে ভূয়া
ভিসা সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এছাড়াও, ভিসা চেক করলে ভিসার সাথে সংযুক্ত তথ্য,
যেমন কোম্পানি নাম, ভিসা মেয়াদ , ভিসা এক্টিভ নাকি বন্ধ ইত্যাদি তথ্য জানতে
পারবেন।
বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম
ভ্রমণ, পড়ালেখা, চিকিৎসা কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বাইরের দেশে যেতে চাইলে একটি
ভিসার প্রয়োজন হয়। ভিসা আবেদন করার পর ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা জানার জন্য
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারেন। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
করার জন্য যে দেশের ভিসা চেক করতে চান সেই দেশের নাম ও Visa Check লিখতে হবে।
এরপর, গুগলে সার্চ করতে হবে।
যেমন ধরুন আপনি মালয়েশিয়ান ভিসা চেক করতে চাচ্ছেন, তাহলে গুগলে গিয়ে Malaysia
Visa Check লিখে সার্চ করতে হবে। এরপর, প্রথম ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট
নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকোনো দেশের নাম
লিখে Visa Check লিখে সার্চ করলে প্রথম ওয়েবসাইটে ঢুকে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে
উক্ত দেশের জন্য আপনার আবেদন করা ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম বা পদ্ধতি
তুলে ধরা হলো
১। দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম
যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তারা কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করবেন ঘরে বসে সেই প্রক্রিয়া বিস্তারিত। আপনি যদি নিজে আপনার ভিসা স্ট্যাটাস সম্পর্কে যাচাই করে সঠিক তথ্য বের করতে পারেন তাহলে ভিসা নিয়ে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ভিসা চেক করার মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার ভিসা স্ট্যাটাসটি কত দিন মেয়াদ আছে এবং বৈধ কিনা।
- দুবাই ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে গুগলে গিয়ে ICP Smart Sarvices লিখে সার্চ করুন।
- এরপরে সর্বপ্রথম যেই ওয়েবসাইটটি আসবে সেটিতে ভিজিট করুন।
- তারপরে মেনুবার থেকে Public Services মেনুতে প্রবেশ করুন।
- ভিসা চেক করতে File Validity লিংকে যান।
পরবর্তী পেইজে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে বলা হবে, দেখতে নিচের মত। এখানে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ এর তারিখ উল্লেখ করতে হবে। অবশ্যই এটি বসানোর জন্য আপনাকে Search By ” Passport Information” এবং Select the Type থেকে “Visa” সিলেক্ট করে নিতে হবে।
উপরের অপশন দুটি সিলেকশন করার পরে একই পেইজের নিচে আপনাকে আপনার Passport Number এবং পাসপোর্ট এর Expire Date উল্লেখ করতে হবে. অবশ্যই সবগুলো ইংরেজিতে লিখতে হবে। এরপরে নিচে Nationality থেকে Bangladesh বাছাই করে নিবেন
উপরের অপশন গুলো ঠিক ভাবে দেওয়র পরে একটি ক্যাপচা পূরণ করে নিতে হবে। I am not a robot ভেরিফিকেশন করার পরে Search অপশনে ক্লিক করতে হবে।
আপনার সব তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে পরবর্তী পেইজে দুবাই ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাবেন যেমন, ভিসা নাম্বার, ভিসার মেয়াদ, এবং ভিসাটি চালু আছে কিনা ইত্যাদি।
২। কাতার ভিসা চেক করার নিয়ম
ভিসা সংক্রান্ত জালিয়াতি থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিসাটি চেক করে দেখতে হবে অনলাইনে রয়েছে কিনা, কেননা দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক সময় অবৈধভাবে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে মানুষ তার জীবনের সর্বস্ব হারাচ্ছে। আপনি যদি কাতার যেতে চান তাহলে অবশ্যই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করে নিবেন। তাছাড়া নতুন ভিসা আবেদন করে থাকলে সেই আবেদনের বর্তমান অবস্থা কি সেটি যাচাই করে নিবেন, নিচে বিস্তারিত প্রক্রিয়া দেওয়া হল।
কাতার ভিসা চেক করার জন্য যা যা লাগবে –
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট নাম্বার
- আবেদনকারীর ভিসা নাম্বার
- জাতীয়তার তথ্য
কাতারের ভিসা চেক করতে প্রথমে ভিজিট করতে হবে portal.moi.gov.qa এরপরে Inquiries অপশনে যান।
দ্বিতীয়ত মেনু থেকে Visa Service লিংকে যান।
তৃতীয়ত Visa Inquiry & Printing অপশনে যান।
এরপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার অথবা ভিসা নাম্বার টাইপ করতে হবে।
সবশেষে জাতীয়তা বাংলাদেশী সিলেক্ট করে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।
ভিসা চেক করার জন্য সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে ওই ব্যক্তির ভিসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
আপনার দেয়া সকল তথ্য সঠিক হলে কাতার ভিসার সকল তথ্য আপনি স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। এরপরে আপনি আপনার ভিসার পেপার প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
৩। মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ভিসা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে. একটি নরমাল বা কলিং এবং
আরেকটি ই ভিসা।আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করে থাকেন এবং ভিসার কাগজ
হাতে পেয়ে থাকেন অথবা আপনার মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন স্ট্যাটাস না জেনে থাকেন
তাহলে আপনার নিবন্ধিত পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে
পারবেন
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মালয়েশিয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ
মানুষই দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যায়। অনেক দালাল রয়েছে যারা নকল ভিসা
লাগিয়ে দেয়। এই নকল ভিসা দিয়ে মালয়েশিয়া গেলে আপনি হয়রানির শিকার হতে
পারেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা সঠিক কিনা তা চেক করুন।
এতে আপনি হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।
- মালয়েশিয়া ভিসা চেকপ্রথমে ভিজিট করতে হবে eservices imi gov my
- No Passport এর ঘরে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার
- এর পরে জাতীয়তা বাংলাদেশী সিলেক্ট করতে হবে
- সবশেষে Carian লেখায় ক্লিক করলে মালয়েশিয়া ভিসা তথ্য পাওয়া যাবে
পাসপোর্ট নাম্বার এবং জাতীয়তা দেয়ার পরে আপনি যখন সার্চ করবেন তখন যদি
আপনার নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ দেখতে পান তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসাটি বৈধ।
৪। সৌদি ভিসা চেক করার নিয়ম
কাজের জন্য কিংবা ঘুরতে অথবা হজ্ব করতে যারা সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিসার
আবেদন করেছিলেন বা যারা অলরেডি ভিসার কাগজ হাতে পেয়েছেন তারা চাইলে ভিসার
বৈধতা জানতে পারবেন পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ছবি ভিসা চেক করার মাধ্যমে। এবং
এই প্রক্রিয়ায় আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ভিসার কাগজ সঠিক কিনা। নিচে
সৌদি ভিসা চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে হলে অবশ্যই ভিসা নিয়ে যেতে হবে, আবেদন শেষে যখন
ভিসার কাগজ হাতে পাবেন সেটি সঠিক কিনা কিংবা সত্য কিনা কিংবা করে প্রকার ভুল
হয়েছে কিনা এটি যাচাই করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সৌদি আরব ভিসা চেকিং করতে হবে,
এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার ভিসার মেয়াদ , স্পন্সর ভিসা হলে কোম্পানির
নাম এবং অন্যান্য তথ্য।
পূর্বে সৌদি আরব ভিসা চেক করতে enjazit.com.sa ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হতো।
বর্তমানে সৌদি ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে visa.mofa.gov.sa রূপান্তর
করেছে। বর্তমানে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই সৌদি ভিসা সম্পর্কিত তথ্য জানা
যাবে।
সৌদি ভিসা চেক করার পদ্ধতি
সৌদি ভিসা চেক করার জন্য ভিজিট করুন – visa.mofa.gov.sa/VisaPerson/GetApplicantData এই ওয়েবসাইটে। এখানে আপনার Passport Number, Nationality= Bangladesh এবং Visa Issuing Authority= Dhaka এবং ভিসার ধরন বাছাই করুন। এরপরে একটি ক্যাপচা পূরণ করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে আপনার সৌদি আরব ভিসা সম্পর্কিত তথ্য দেখতে পাবেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক
নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি ব্যবহার করে সৌদি আরব ভিসা চেক করতে পারবেন।
ধাপ-১ঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি আরবের ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে Visa Mofa Gov sa ভিজিট করুন। ওয়েবসাইটটির ভাষা আরবীতে থাকবে, Language English করার জন্য বাম পাশের মেনু থেকে “E” এর উপর ট্যাপ করুন।
ধাপ-২ঃ আপনার সামনে একটি পেজ আসবে। এখানে আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
- Passport number – পাসপোর্ট নাম্বার বসিয়ে দিন।
- Current Nationality – আপনি কোন দেশ থেকে ভিসা চেক করতেছেন উক্ত দেশের নাম সিলেক্ট করুন।
- Visa Type – আপনার ভিসার ধরন নির্বাচন করুন। অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের ভিসা এর জন্য আবেদন করেছেন কিংবা কোন ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে যাচ্ছেন।
- Visa Issuing Authority – যেহেতু ঢাকা থেকে রওনা হবেন, তাই এখান থেকে Dhaka সিলেক্ট করুন।
- Image Code – পাশের ছবিতে থাকা কোড গুলো বসিয়ে দিন।
এরপরে Search বাটনে ক্লিক করুন। সব তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করলে এবং আপনার ভিসা সঠিক থাকলে, এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই সৌদি আরবের ভিসা চেক করতে পারবেন।
এখন ঘরে বসে মাত্র দুই মিনিটে পাসপোর্ট নাম্বার ও ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার
দিয়ে ওমান ভিসা চেক সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য শুধু প্রয়োজন হবে
স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার এবং পাসপোর্ট
নাম্বার। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করার পর আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত
ধাপগুলো অনুসরণ করে “Oman Visa Check” সম্পন্ন করতে হবে।
- প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপে থাকা গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করতে হবে।
- এরপর আপনাকে সরাসরি সরকারি ভিসা চেক করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। Oman Visa Check লিংকে ভিজিট করার পর আপনার কাছে একটি পেজ আসবে। এই পেজে আপনাকে কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে।
- “Visa Application Number” এই বক্সে আপনাকে ভিসার আবেদন নম্বরটি বসাতে হবে। যেটি আপনি ভিসা পেপারে পেয়ে যাবেন।
- “Travel Document Number” এই বক্সে আপনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট নাম্বার বসাতে হবে। এটিও আপনার ভিসার পেপারে পেয়ে যাবেন। এটি আসলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার।
- “Document’s Nationality” এই বক্সে আপনার জাতীয়তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। আপনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশের নাম সিলেক্ট করে দিবেন।
- “Text Verification” এই বক্সে মূলত ক্যাপচাটি দেখে দেখে বসাতে হবে। ক্যাপচাটি ভালোভাবে বুঝতে না পারলে পাশেই রিফ্রেস বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক দিয়ে নতুন ক্যাপচা নিয়ে আসুন।
- সর্বশেষ আপনাকে পাশে থাকা “Search” অপশনের ক্লিক দিতে হবে। তাহলে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস আপনার সামনে চলে আসবে।
এভাবে খুব সহজে যে কেউ চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমান ভিসা চেক করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই সঙ্গে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার প্রয়োজন হবে। ভিসার স্ট্যাটাসে সাধারণত পেমেন্টের পিডিএফ ডাউনলোড করার অপশন থাকে। আপনার ভিসার স্ট্যাটাসে যদি “Approved” লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসাটি অনুমোদিত হয়েছে। এভাবে ওমানের যে কোন ভিসা চেক করে বুঝতে পারবেন আসল নাকি নকল।
৬। কুয়েত ভিসা চেক করার নিয়ম
বর্তমানে অনেকেই ঘরে বসে ভিসা চেক করতে চাচ্ছেন। এখন সেটা সম্ভব। ঘরে
বসেই যে কেউ চাইলে যে কোন দেশের ভিসা চেক করতে পারবেন। তবে একেক দেশের
ভিসা একেকভাবে চেক করতে হয়। আপনি যদি কুয়েত ভিসা চেক করতে চান তবে
নিম্নে উল্লেখিত ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করুন
- প্রথমে আপনাকে কুয়েত সরকারের ভিসা চেক করার একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
- গুগলে “Kuwait Visa Application Status” লিখে সার্চ দিলে প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেটিতে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে।এরপর আপনাকে ‘Visa Application Number’ বক্সে আপনাকে কুয়েত ভিসার আবেদনের নম্বরটি সঠিকভাবে বসাতে হবে।
- “Captcha text” বক্সে আপনাকে ক্যাপচাটিতে থাকা সংখ্যাগুলো সঠিকভাবে বসাতে হবে।
- উপরোক্ত দুটি ইনফরমেশন সঠিক ভাবে দেওয়ার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক দিলে আপনার কুয়েত ভিসার স্ট্যাটাস চলে আসবে।
- যদি ‘Approved‘ লেখা আসে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসাটি আসল। কিন্তু যদি Not Found লেখা আসে তাহলে বুঝবেন আপনাকে এজেন্সি কিংবা দালাল নকল ভিসা হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।
৭। ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া যেতে চাচ্ছেন , এবং ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন
করেও ফেলেছেন কিন্তু ভিসা এসেছে কিনা কিংবা ভিসা আবেদনের সর্বশেষ
স্টাটাস কি রয়েছে এটি জানেন না তাহলে এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার জন্য।
আমরা ধাপে ধাপে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধরবো
এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি জানতে পারবেন আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে নাগরিকদের তিন থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভিসা
প্রদান করা হয়, যেমনঃ শিক্ষা, মেডিকেল, এবং ভ্রমণ। এছাড়াও ইউরোপ
কিংবা অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরাসরি দূতাবাস না থাকায়
ইন্ডিয়ায় গিয়ে অনেক নাগরিক আবেদন করেন সে ক্ষেত্রে প্রথমত ইন্ডিয়ার
ভিসা অ্যাপ্রভাল নিতে হয়। অথবা আপনি যদি কোন কারনে ইন্ডিয়ান ভিসা
আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কি এটি জানতে
পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
ভিসা চেক করতে যা যা দরকার হয়
আপনি যখন বিভিন্ন ivac থেকে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তখন
আবেদন শেষে একটি ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হয়েছে যেটিতে একটি web file
নাম্বার রয়েছে, এটি মূলত আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা ট্রাকিং নাম্বার,
অর্থাৎ আবেদনের পরবর্তী সময়ে এই ট্রাকিং নাম্বার ব্যবহার করে আপনি
আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করতে মূলত এই ফাইল নম্বরটি যথেষ্ট।
ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন ট্রাকিং ওয়েবসাইট ivac থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা
চেক করা যায়, এক্ষেত্রে আপনাকে www.passtrack.net ওয়েব সাইটে প্রবেশ
করে আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন ওয়েব ফাইল নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা
কোড প্রদান করে সাবমিট করতে হবে, আপনাকে সঠিক থাকলে আপনার ইন্ডিয়ান
ভিসা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।
প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে www.passtrack.net ওয়েবসাইটে।
এখানে সাধারণত ভিসা আবেদন ট্রাকিং করার জন্য Regular Visa Application
Number সিলেক্ট করতে হবে। এর পরে আপনাকে ভিসা ট্রাকিং এর নতুন পেইজে
নিয়ে যাওয়া হবে।
এখানে আপনার ভিসা এপ্লিকেশন ট্রাকিং নাম্বার অর্থাৎ web file নম্বর টি
টাইপ করে দিবেন, এবং সর্বশেষে নিচে দেখানো ছবিতে কোড গুলো বক্সে বসিয়ে
দিবেন, এবং সাবমিট বাটনে প্রেস করবেন। সবশেষে আপনার ভিসা আবেদন ট্রাকিং
এর সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে।
৮। কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম
সুনির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই কানাডা ভিসা চেক করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ভিসা চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
- কানাডা ভিসা চেক করতে Canada Visa Check ক্লিক করুন।
- What did you apply for এর ঘরে আপনি যে ক্যাটাগরি ভিসার জন্য এপ্লাই করেছেন,তা সিলেক্ট করে Continue এ ক্লিক করুন।
- এরপরে নিচের দিকে স্ক্রল ডাউন করে, application status tracker অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- Create your account অপশনে ক্লিক করলে ৬টি ফাঁকা ঘর দেখা যাবে।
- Client ID ঘরে ID নাম্বার দিন।এটা ভিসার কাগজে আছে ।
- Application number এর ঘরে ৯ সংখ্যার এপ্লিকেশন নাম্বার দিন।
- তারপরে Given name এর ঘরে আপনার নামের প্রথম অংশ ও Last name এর ঘরে নামের শেষের অংশ দিতে হবে।
- Date of birth আপনার জন্ম তারিখ,মাস ও বছর দিন।
- Country of birth এর ঘরে Bangladesh সিলেক্ট করে Next step এ ক্লিক করুন।
- এখন Password এর ঘরে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
- এ পর্যায়ে Sing in অপশনে ক্লিক করলে ২টি ফাঁকা ঘরের ১ম ঘরে client ID নাম্বার ও ২য় ঘরে password দিন।
- সবশেষে sign in বাটনে ক্লিক করলে ভিসার সকল তথ্য চলে আসবে।
এখন যদি কানাডা ভিসার সকল তথ্য আসে তাহলে বুঝতে হবে ভিসা ঠিক আছে। আর যদি ভিসার তথ্য না আসে তাহলে আপনার ভিসা এখনো হয়নি বা ভিসা চেক করার কোন তথ্য ভুল হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক
বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক জানতে নিচের টেবিল দেখে নিতে পরেন। অনেকেই ভিসা পাওয়ার পরও দুশ্চিন্তায় থাকেন যে এটা আসল ভিসা নাকি জাল। অনেকক্ষেত্রে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে, অনেককেই আবার জাল ভিসার কারণে ফিরে আসতে হয় বিমানবন্দর থেকে। তাই ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করুন সহজেই আর নিশ্চিত হোন আপনার ভিসা সম্পর্কে।
বিদেশ ভ্রমন করার আগে অবশ্যই আপনার ভিসাটি চেক করে নিবেন। তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ভিসা সঠিক কিনা না। তাছাড়া আপনার ভিসা চেক করার মাধ্যমে যে কাজের জন্য ভিসা পেয়েছেন তা ঠিক আছে কিনা, কোম্পানীর নাম সব ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিতে পারবেন। এর ফলে বিদেশ গিয়ে কোন ধরণের বিপদে পড়া বা প্রতারণার শিকার থেকে বাঁচেতে পারবেন। নিচে টেবিল আকারে বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক দেওয়া হলোঃ
ক্রমিক নং | দেশের নাম | বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক লিংক |
---|---|---|
১ | বাংলাদেশ | www.moi.gov.bd |
২ | নেপাল | http://www.moic.gov.np/ |
৩ | ভারত | http://labour.nic.in/ |
৪ | ভারতীয় ভিসা আবেদন | www.indianvisaonline.gov.in/visa http://indianvisaonline.gov.in/visa/indianVisaReg.jsp |
৫ | পাকিস্তান | http://www.moitt.gov.pk/ |
৬ | থাইল্যান্ড | www.mfa.go.th |
৭ | শ্রীলংকা | http://www.labourdept.gov.lk/ |
৮ | মালদ্বীপ | www.mhrys.gov.mv/ |
৯ | মায়ানমার | www.mol.gov.mm/ |
১০ | সৌদি আরব | http://www.moi.gov.sa/ |
১১ | দুবাই/আরব আমিরাত | www.moi.gov.ae |
১২ | কাতার | http://www.moi.gov.qa/site/english |
১৩ | কুয়েত | www.moi.gov.kw |
১৪ | বাহরাইন | www.mol.gov.bh |
১৫ | ওমান | http://www.rop.gov.om/ |
১৬ | আবুধাবী ( দুবাই) | http://www.mol.gov/ |
১৭ | দুবাই | http://www.mol.gov.ae/arabic/newindex.aspx http://www.mol.gov.ae/english/newindex.aspx |
১৮ | সৌদি আরব | http://www.saudiembassy.net/ |
১৯ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | http://www.mol.gov.ae/ownersservices/employeeCredential.aspx |
২০ | ওমান | http://www.rop.gov.om/english/onlineservices-visastatus.asp |
২১ | U.A.E | http://united-arab-emirates.visahq.com/ |
২২ | ইরান | http://www.irimlsa.ir/en |
২৩ | কানাডা | http://www.huembwas.org |
২৪ | কানাডা | www.labour.gov.on.ca/english/ |
২৫ | কানাডা | http://www.cic.gc.ca/english/index.asp |
২৬ | কোরিয়া | www.moel.go.kr/english |
২৭ | জাপান | www.mhlw.go.jp/english/ |
২৮ | ইটালী | www.visaservices.org.in/Italy-Bangladesh-Tracking/ |
২৯ | মালয়েশিয়া | www.mohr.gov.my |
৩০ | ইংল্যান্ড | www.ukba.homeoffice.gov.uk |
৩১ | তানজানিয়া | www.tanzania.go.tz |
৩২ | মিশর | http://www.moiegypt.gov.eg/english/ |
৩৩ | সাইপ্রাস | http://moi.gov.cy/ |
৩৪ | জর্দান | http://www.moi.gov.jo/ |
৩৫ | গ্রীস | http://www.mddsz.gov.si/en |
৩৬ | দক্ষিণ আফ্রিকা | www.labour.gov.za/ |
৩৭ | নিউজিল্যান্ড | www.dol.govt.nz/ |
৩৮ | লেবানন | http://www.labor.gov.lb/ |
৩৯ | পোল্যান্ড | www.mpips.gov.pl/en |
৪০ | আমেরিকা | //www.vfs.org.in/UKG-PassportTracking/ |
৪১ | স্পেন | www.mtin.es/en |
৪২ | প্যালেস্টাইন | www.mol.gov.ps/ |
৪৩ | অষ্ট্রেলিয়া | http://www.workplace.gov.au/ |
৪৪ | রাশিয়া | http://www.labour.gov.on.ca/ |
৪৫ | ইয়েমেন | http://www.dol.gov/ |
৪৬ | নেদারল্যান্ড | http://english.szw.nl/ |
৪৭ | ইউক্রেইন | http://www.mlsp.gov.ua/ |
৪৮ | আলবেনিয়া | http://www.moi.gov.al/ |
৪৯ | সাইপ্রাস | http://moi.gov.cy/ |
৫০ | ভিয়েতনাম | english.molisa.gov.vn/ |
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার নিয়ম
আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে থাকেন এবং
সেটি দেশীয় এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে হোক আপনি বর্তমানে অনলাইন এবং
এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের বর্তমান
স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। কিভাবে রেফারেন্স নাম্বার ও পাসপোর্ট নাম্বার
দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করবেন, বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিচে বিস্তারিত
তুলে ধরা হলো।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হল একটি সরকারি দলিল যাতে কোন ব্যক্তির
বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক মামলা বা অভিযোগ নেই তা উল্লেখ করা থাকে। এই
সার্টিফিকেটটি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, ভিসা
আবেদন, বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয়। বর্তমানে পুলিশ সার্টিফিকেট
আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। এবং আবেদনের শেষে আপনাকে একটি
রেফারেন্স কাগজ দিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ
ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট রেজিস্টার করতে হয়। এবং পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অনলাইন চেক করার জন্য আপনাকে অবশ্যই উক্ত
অ্যাকাউন্টটি লগইন করে নিতে হবে।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ চেক করতে আপনাকে লগইন করতে হবে
pcc.police.gov.bd ওয়েবসাইটে। এরপরে My Account থেকে Application
Information ফর্মে রেফারেন্স নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে Search
বাটনে ক্লিক করুন। এছাড়াও My Account পেইজের নিচে আপনার পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স এপ্লিকেশন স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। অন্য কারো পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স অনলাইন চেক করতে নিচের নিয়ম ফলো করুন।
ধাপ-১. ওয়েবসাইট লগ ইনঃ প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে
বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pcc.police.gov.bd লিংকে। এরপরে
SIGN IN অপশন থেকে আপনার রেজিস্টার হওয়া মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড
দিয়ে একাউন্টে লগইন করে নিবেন। এরপরে মেনু থেকে My Account অপশনে ক্লিক
করতে হবে।
যদি আপনার উক্ত একাউন্ট এর মাধ্যমে কোন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের
আবেদন থেকে থাকে তাহলে মাই একাউন্ট অপশনের নিচে সেটির স্ট্যাটাস দেখতে
পাবেন। অন্য কারো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করতে নিচের পদ্ধতি ফলো করুন।
ধাপ-২. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেকঃ এই পেইজের একটি ফরমে আপনাকে দেওয়া রেফারেন্স স্লিপের রেফারেন্স নাম্বার , এরপর যথাক্রমে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, এবং নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার টাইপ করুন।
এর পরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করতে হলে Search অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন নিচের ছবির মতন। বর্তমানে এটার কারেন্ট স্ট্যাটাস কি রয়েছে এবং কবে ডেলিভারি পাবেন ইত্যাদি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার শর্তাবলী
১। আবেদনকারীর কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২। আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা হিসেবে পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী কিংবা
জরুরী ঠিকানার যে কোন একটি ব্যবহার করতে হবে এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই ঐ
ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।
৩। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম আর পি) এর ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা
উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন
সনদপত্র/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী
গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হবে।
৪। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী কোন ব্যক্তির পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে
বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপি
তার পক্ষে করা আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে ।
৫। বিদেশগামী কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক এবং বাংলাদেশে বসবাস করে
স্বদেশে/বিদেশে প্রত্যাবর্তনকারী বিদেশী নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স এই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়।
৬। বিদেশগামী কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক যারা বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য
কোন দেশ থেকে পাসপোর্ট ইস্যু/ রি-ইস্যু করিয়েছেন তাদেরকে বাংলাদেশে আসার
পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে চাইলে সর্বশেষ এরাইভেল (Arrival) সিল সম্বলিত
পৃষ্ঠাটির স্ক্যান কপি আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে।
৭। প্রবাসী আবেদনকারীগণ যার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে
চান তার নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর উল্লেখ করে তাকে সত্যায়ন
পূর্বক একটি অনুমতি পত্র (Authorization Letter) আবেদনের সাথে আপলোড করতে
হবে। স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেও সনদ গ্রহণের সময় সংগ্রহকারীকে
অনুরূপ অনুমতি পত্রসহ প্রেরণ করতে হবে।
৮। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাকুরী কিংবা অন্য কোন কাজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
প্রয়োজন হলে আপনি যে জেলার বাসিন্দা উক্ত জেলা ডিএসবি অফিস অথবা আপনার
ঠিকানা যদি মেট্রোপলিটন এলাকায় হয় তাহলে উক্ত মেট্রোপলিটন এলাকার সিটি
এসবি অফিসে যোগাযোগ করুন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
১। অনলাইনে যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদন পত্র ।
২। ১ম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পাতার
স্ক্যানকপি
অথবা বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী নাগরিকগনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশে
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পাতার স্ক্যানকপি
অথবা বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে নিজ দেশের জাস্টিস অব পিস (Justice of
Peace) কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পাতার স্ক্যানকপি।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংক/ সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে
(১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১) কোডে করা ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ট্রেজারী
চালান অথবা অনলাইনে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
নির্ধারিত সার্ভিসচার্জ সহ ফি প্রদান।
আবেদনের নিয়মাবলী
ধাপ-১ঃ অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটে
নিবন্ধন করে যে কেউ নিজের জন্য অথবা অন্যের পক্ষে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
ধাপ-২ঃ নিবন্ধিত ব্যবহারকারী অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট সাইটে লগ-ইন করার পর Apply মেনুতে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি
যথাযথভাবে পূরণ করুন।
ধাপ-৩ঃ আবেদন ফরমের প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য,
দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন। আপনার বর্তমান ঠিকানা
যে জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন
সম্পন্ন হবে।
ধাপ-৪ঃ আবেদন ফরমের তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেণ্টসমূহের
স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
ধাপ-৫ঃ আবেদন ফরমের চতুর্থ ধাপে আপনার এন্ট্রিকৃত সকল তথ্য
দেখানো হবে। আবেদনে কোন ভুল থাকলে তা পূর্ববর্তী ধাপসমূহে ফেরত গিয়ে
পরিবর্তন করা যাবে। তবে চতুর্থ ধাপে আবেদনটি সাবমিট করার পর আর কোন
পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না।
ধাপ-৬ঃ চালানের মাধ্যেমে ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয়
সম্পর্কে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই–পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যেকেউ
ঘরে বসে নিজেই নিজের ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে
ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কী লাগে, ই–পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও
খরচ, কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি। কেননা, একটি
ই–পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার পর যদি দেখেন, কোথাও ভুল হয়েছে, তাহলে
আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না।
সেই সঙ্গে, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই–পাসপার্টের
জন্য আবেদন করা যায়। সর্বপ্রথম অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে
হবে। আবেদন পত্রে বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী অবশ্যই ‘KOREA, REPUBLIC
OF’ বাছাই করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন
অথবা ভিজিট করুন https://www.epassport.gov.bd/onboarding
ই-পাসপোর্টের জন্য যে কাগজপত্র সাথে করে আনতে হবেঃ
- অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
- বর্তমান পাসপোর্ট
- কোরিয়ান রেসিডেন্স কার্ডের রঙিন ১ কপি (উভয় পাশ এক পেজে)
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ড বা তার রঙিন ১ কপি (উভয় পাশ এক পেজে)
- অথবা, https://everify.bdris.gov.bd/ ওয়েবসাইট কর্তৃক ভেরিফাইড ইংরেজি জন্মনিবন্ধনের ১ কপি
- বিবাহিতদের ক্ষেত্রে "বিবাহিত" সংযোজনের জন্য অবশ্যই কাবিননামা অথবা ম্যারেজ সার্টিফিকেট এর আসল বা রঙিন ১ কপি। এবং তার সাথে স্বামী / স্ত্রীর পাসপোর্ট অথবা, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর আসল বা রঙিন ১ কপি
- অথবা, https://everify.bdris.gov.bd/ ওয়েবসাইট কর্তৃক ভেরিফাইড ইংরেজি জন্মনিবন্ধনের ১ কপি
- শিক্ষার্থীদের (শুধুমাত্র D-2/D-4 ভিসাধারি দের) ক্ষেত্রে অবশ্যই Student ID কার্ড অথবা, Enrollment Certificate এর আসল ইংরেজি কপি
- ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রশিদ* [(শুধুমাত্র ব্যাংক রশিদ অথবা ATM রশিদ গ্রহণযোগ্য) (অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়)
বিঃদ্রঃ
০১। ই-পাসপোর্টে ভাল ছবির জন্য রঙিন জামা পরিধান আবশ্যক।
০২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা দক্ষিন কোরিয়ার
ঠিকানা হতে হবে এবং, স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশের হতে হবে।
০৩। পাসপোর্টে কোন তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন করতে উল্লেখিত নির্দেশনা জেনে
নেওয়া আবশ্যক। পাসপোর্টে তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন সংক্রান্ত নোটিশ
০৪। যারা পোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে ইচ্ছুক, তারা পোস্ট অফিসের
4,000ওনের ডেলিভারি স্টিকার সহ খাম (সাইজঃ 19cm × 27cm) জমা দেয়ার জন্য
অবহিত করা হল। অবশ্যই খামের উপরে নিজের নাম এবং মোবাইল নাম্বার সহ
বর্তমান কোরিয়ান ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে। এবং সাথে Passport Delivery
Form পূরণ করে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল।
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী
১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন
হবে না।
৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English
Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র
(NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই
উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English
Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English
Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন
সনদ (BRC English Version)
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ
(BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা
সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা
অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের
মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,
ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/
প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই
আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ
আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের
ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত
হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে
প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি
প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও
ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী
ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল
করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের
সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা
সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা
সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা
সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন
সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ,
সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে
হবে।
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের (
ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি
করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের
ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।
ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন
জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো
সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে।
ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে।
সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে
সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে,
ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম।
প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে
ক্লিক করতে হবে।
পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট
করতে হবে।
তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এ
ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা
দেওয়া যায়। এ ছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে
সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো
পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
যা করতে হবে
- অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নেবেন।
- তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন।
- এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন।
- ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে।
- পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে।
- এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের
ক্ষেত্রে সাধারণ (২১ কর্মদিবস) ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, জরুরি (১০ কর্মদিবস)
ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতীব জরুরি (২ কর্মদিবস) ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা এবং
১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, জরুরি ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও
অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা,
জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা এবং ১০ বছর
মেয়াদি সাধারণ ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা, জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ও অতীব
জরুরি ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা। সব ফির সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। ১৮
বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা কেবলমাত্র ৫ বছর মেয়াদি
পাসপোর্ট পাবেন। অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন সঙ্গে আনতে
হবে।
ই-পাসপোর্টের সুবিধা
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে
খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন
বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই
ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে
দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের ব্যবস্থাও।
সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে
জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা
যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
ভিসা চেক করার সুবিধা
ভিসা চেক করার সুবিধা হলো এটি ভ্রমণের পূর্বে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস যাচাই করতে সহায়ক, যা
ভ্রমণকে আরও নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত করে তোলে। এখানে কিছু প্রধান সুবিধা উল্লেখ
করা হলো:
ভিসার সত্যতা যাচাই করাঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার মাধ্যমে
আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার ভিসা বৈধ এবং সক্রিয় আছে কি না। এটি বিশেষ
করে গুরুত্বপূর্ণ যখন আপনি বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনার ভিসা বৈধ না
হলে আপনি ভ্রমণের সময় যে কোন ধরনে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, ভিসার
সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।
ভ্রমণের প্রস্তুতি নেওয়াঃ ভিসার স্ট্যাটাস যাচাই করার মাধ্যমে আপনি
ভ্রমণের পূর্বে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেন। আপনার ভিসা বৈধ এবং
সক্রিয় থাকলে, আপনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এটি আপনাকে
ভ্রমণের সময় অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
সম্ভাব্য সমস্যার পূর্বাভাস পাওয়াঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
করার নিয়ম মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসার স্ট্যাটাস এবং মেয়াদ সম্পর্কে জানতে
পারবেন। যদি কোনো সমস্যা থাকে, যেমন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বা কোনো তথ্য ভুল
থাকা, তাহলে আপনি তা আগে থেকেই জানতে পারবেন এবং সমাধান করতে পারবেন। এটি
আপনাকে ভ্রমণের সময় সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ঃ অনলাইনে ভিসা চেক করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং
দ্রুত। এটি আপনাকে অফিসে বা দূতাবাসে যাওয়ার সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে। আপনি
ঘরে বসেই আপনার ভিসার স্ট্যাটাস যাচাই করতে পারবেন, যা অনেক সুবিধাজনক।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম আপনাকে ভ্রমণের পূর্বে নিশ্চিন্ত
থাকার সুযোগ দেয় এবং যেকোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক হয়।
এটি আপনার ভ্রমণকে আরও নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত করে তোলে, যা ভ্রমণের প্রস্তুতি
এবং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
ভিসা চেক করার সময় সতর্কতা
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম অনুসরণ করার সময় কিছু
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি সঠিকভাবে
এবং নিরাপদে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ
সতর্কতা উল্লেখ করা হলো:
সঠিক তথ্য প্রদানঃ ভিসা চেক করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করা অত্যন্ত
জরুরি। পাসপোর্ট নাম্বার, ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার, এবং ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে
প্রদান করতে হবে। কোনো তথ্য ভুল প্রদান করলে আপনার ভিসার সঠিক স্ট্যাটাস দেখা
যাবে না। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য ব্যবহার করছেন।
ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে প্রবেশ করাঃ ভিসা চেক করার ওয়েবসাইটে সাধারণত
একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হয়, যা সিস্টেমকে নিশ্চিত করে যে আপনি একজন মানুষ
এবং একটি স্বয়ংক্রিয় বট নন। ক্যাপচা কোডটি সঠিকভাবে প্রবেশ করতে হবে, তা না
হলে আপনার অনুরোধটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে না। এটি সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করাঃ ভিসা চেক করার জন্য নির্দিষ্ট
ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করতে হবে যা নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য। অবিশ্বস্ত
ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই,
শুধুমাত্র সরকারী বা স্বীকৃত ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করুন। এটি নিশ্চিত করবে যে
আপনার তথ্য সুরক্ষিত এবং সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রচলিত সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক থাকাঃ ভিসা চেক করার সময় ক্যাপচা কোড
ভুল প্রবেশ করা, পাসপোর্ট নাম্বার ভুল প্রদান করা, অথবা ওয়েবসাইটের সার্ভার
সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলি এড়ানোর জন্য নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক
তথ্য প্রদান করছেন এবং প্রয়োজনে ওয়েবসাইটের সহায়তা বিভাগে যোগাযোগ করুন।
সঠিক সময়ে সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারলে আপনার ভিসা চেক করার প্রক্রিয়া সহজ
হবে।
সঠিক ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাঃ নিশ্চিত করুন যে আপনি
একটি নিরাপদ ডিভাইস এবং একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করছেন। এটি
আপনার অনুরোধ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সহায়ক হবে এবং যেকোনো প্রযুক্তিগত সমস্যার
সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কমাবে।
সময়সীমাঃ কিছু দেশের ভিসার স্ট্যাটাস কয়েকদিন পর্যন্ত আপডেট হতে পারে।
তাই, ভিসা আবেদন করার পরপরই চেক না করে কিছু সময় অপেক্ষা করা ভালো।
গোপনীয়তাঃ অনলাইনে ভিসা চেক করার সময় নিশ্চিত হোন যে আপনি সরকারি
ওয়েবসাইট বা বিশ্বস্ত সোর্স ব্যবহার করছেন। কোনো অস্বস্তিকর ওয়েবসাইট বা
অ্যাপে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করবেন না।
সহায়তাঃ যদি আপনি অনলাইনে ভিসা চেক করতে সমস্যা পড়েন বা সঠিক তথ্য না
বুঝতে পারেন, তাহলে ভিসা ইস্যুকারী দূতাবাস, কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন।
এই সতর্কতাগুলি মেনে চললে, আপনি নিরাপদ এবং সঠিকভাবে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস চেক
করতে পারবেন। এটি আপনাকে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে এবং যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা
পেতে সহায়ক হবে। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনার ভিসা চেক করার অভিজ্ঞতা নিরাপদ এবং নির্ভুল হয়।
ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজ কর্ম সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকি। আর
অন্য দেশে যাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ভিসা ও পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। আপনি
নিশ্চয় জানেন যে যদি আপনার পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
এবং যদি আপনার ভিসা না থাকে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
বুঝতেই পারছেন, পাস্কপোর্ট ও ভিসার সম্পর্ক বেশ গভীর। আপনি যদি ভিসা ছাড়া বিশ্বের যে কোনো
দেশে যান তাহলে আপনি ঐ দেশে অবৈধ নাগরিক হয়ে যাবেন। চলুন শুরু করা যাক আজকের
ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কিত এই পোস্টটি।
ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। নিচে এই প্রয়োজনীয়
কাগজপত্রের একটি তালিকা দেওয়া হলঃ
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস হতে হবে।
- আপনার এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধনের জন্ম তারিখ অবশ্যই নির্ভুল এবং একই হতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফরম
- আপনার ২ কপি ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
- ব্যাংক সলভেন্সি
- ব্যাংক একাউন্টের এর পূর্ণ তথ্য
- অফিস কর্তৃক নির্ধারিত ফি
- ইনভাইটেশন লেটার
- আপনি যদি কোনো চাকরি করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার চাকরির ছুটির লেটার
- অফিস কর্তৃক নির্ধারিত ফি
- আপনার জমি-জমা, সম্পদের বিবরনী (সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না)
- আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সাধারণত ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে উপরোক্ত কাগজগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে কিছু
কিছু সময় আরও কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই বিষয়টি
সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভিসার উপর। আশা করি
বুঝতে পেরেছেন।
উপসংহার
আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মূল বিষয় ছিলো পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম। এছাড়াও ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম, বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার নিয়ম সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনারা পাসপোর্ট ও ভিসা সম্পর্কে অনেক ধরনের তথ্য পাবেন আশা করছি।
সাধারণত ভিসা জালিয়াতি কিংবা ভুল ভিসার কারনে অনেক বাংলাদেশী বিদেশে গিয়ে কিংবা বিদেশে যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাই এই ধরনের জালিয়াতি কিংবা প্রতারণা থেকে সাবধানে থাকতে ভিসা চেক করা জরুরি। বর্তমানে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে কারো কাছে যাওয়া ছাড়ায় আপনি ঘরে বসে অনলাইনে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url