২. তাওয়ার অল্প লবন যোগে শাক , মাছ ও কাচামরিচ টেলে নিন।
৩. শিল পাটায় শাক , মাছ, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ একসাথে বেটে নিন। লবন দেখে
প্রয়োজনে আরো লবন দিন। ব্যস হয়ে গেলো।
২। বথুয়া শাক বা বৈথা শাক রান্নাঃ বথুয়া শাক বা বৈথা শাক মূলত
শীতকালে পাওয়া যায়। অন্য জায়গায় পাওয়া যায় কিনা জানি না, তবে
উত্তরবঙ্গের দিকে পাওয়া যায়। ধানের ক্ষেত, গমের ক্ষেত ইত্যাদি জায়গায়
বেশি জন্মে আগাছা হিসেবে। অনেকেই শাকটির নাম জানে না।
এই শাক রান্না করতে যা যা উপকরণ লাগবেঃ
১. পরিমানমতো বথুয়া শাক নিয়ে নিন।
২. পেঁয়াজ কুচি, বড় পেঁয়াজ হলে দুইটা, ছোট হলে তিনটা
৩. রসুন - মাঝারি সাইজের এটি, কুঁচি কুঁচি করে কাটা
৪. কাঁচামরিচ - ৮-১০টা
৫. শুকনা মরিচ - ৫টা
৬. কালোজিরা - আধা চা-চামচ
৭. গুড়ো মরিচ - একটু (ঝাল বুঝে)
৮. হলুদ - আধা চা-চামচ
৯. লবণ - পরিমাণমতো
১০. তেল - এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ
প্রণালীঃ
১. শাক ভালো করে বেছে ধুয়ে নিতে হবে। অনেকে শুধু শাকের পাতা রান্না
করেন, অনেকে ছোটখাট শাখা-প্রশাখাগুলোও রান্না করতে পারেন। এই গাছের
সবকিছুই পুষ্টিকর। সুতরাং একেবারে বাধ্য না হলে শাখাপ্রশাখাগুলো না
ফেলাই ভালো।
২. শাক গুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার সময়ই লবণ পরিমাণমতো দিয়ে
দিবেন।
৩. এরপর একটি কড়াইয়ে তেল ভালোভাবে গরম করুন। তারপর একে একে পেঁয়াজ
কুঁচি, রসুন কুঁচি, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, কালোজিরা দিয়ে নাড়তে
থাকুন। হালকা ঝাল ঝাল গন্ধ বের হলে সেদ্ধ করা শাক পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে
দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৪. ভালোভাবে নাড়া হয়ে গেলে কড়াইটি ঢেকে দিন। রান্না করতে হবে অল্প
আঁচে। মিনিট পাঁচেক পর এতে গুড়ো মরিচ ও হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
৫. চুলার জাল আরেকটু কমিয়ে পাচ সাত মিনিট রান্না করুন। আবার ভালোভাবে
নেড়ে দিন।
৬. ফাইন্যালি আবার ঢাকনা দিয়ে দুই তিন মিনিট রান্না করুন। হয়ে গেল
বথুয়া শাক রান্না। খেয়ে দেখুন, দারুণ মজা।
৩। পোস্তো তিলে বথুয়াঃ
গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত একটি শাক হল বথুয়া শাক। বথুয়া শাক মূলত
শীতকালে পাওয়া যায়। এ শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক এবং
গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড। পোস্তো তিলে বথুয়া শাক কিভাবে
রান্না করবেন জেনে নিন। আর এই পোস্তো তিলে রানা করা বথুয়া গরম ভাতের
সাথে খেলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
উপকরণঃ
-
২৫০ গ্রাম বথুয়া শাক
-
২ টি মাঝারি আকারের আলু
-
৪ চা চামচ সর্ষের তেল
-
স্বাদ মত নুন
- ২৫ গ্রাম সাদা তিল
- ২৫ গ্রাম পোস্তদানা
- ২ টি কাঁচা লঙ্কা
-
১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
-
১ চা চামচ চিনি
রান্নার নির্দেশ সমূহঃ
১. প্রথমে শাকের শুধুমাত্র পাতা গুলি নিতে হবে। তারপর ভালো করে ধুয়ে
জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
২. আলু দুটির খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে লম্বা লম্বা (আলু ভাজার মতো)
করে কেটে নিতে হবে।
৩. এবার কড়াইতে ৩ চামচ তেল গরম করে আলু গুলি দিয়ে নাড়াচাড়া
করে বেশি আঁচে লাল করে ভাজতে হবে।
৪. আলু গুলি লাল
হয়ে গেলে এর মধ্যে শাক দিয়ে পরিমাণ মতো নুন দিয়ে আঁচ কমিয়ে
চাপা দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষন।
৫. এই সময় পোস্তো, তিল ও কাঁচা লঙ্কা সামান্য একটু জল
দিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে।
৬. কিছুক্ষণ পর
কড়াইয়ের ঢাকা খুলে দেখতে হবে আলু ও শাক সিদ্ধ হয়েছে কিনা।
৭. আলু ও শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পোস্তো- তিল বাটা ও
লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে
হবে।
৮. তারপর চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
৯. শুকনো শুকনো হয়ে গেলে এক চামচ তেল ছড়িয়ে আঁচ
থেকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে।
১০.
পাঁচ মিনিট পর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে হবে।
৪। বথুয়া শাকের চাটনি রেসিপিঃ গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত
একটি শাক হল বথুয়া বা বেথো শাক। এটি কেউ চাষ করেনা। জমিতে আগাছার
মত আপনা আপনি জন্ম নেয় এ শাক। আবার শহরের বাজারে আঁটি বেঁধেও
বিক্রি হয় এটি। এ শাক দামে খুব সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে
পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে।বথুয়া সবাই শাক হিসেবেই
খেয়ে থাকেন।
তবে বতুয়া শাকের চাটনি আইটেমও করা যায়। অনেকেই হয়তো চাটনির কথা
শোনে অবাক হয়ে যাবে।
কিন্তু হ্যাঁ এটা সত্যি যে বতুয়া শাকের চাটনিও করা যায়। চিন্তা নেই
রেসিপি জেনে নিতে পারবেন আমাদের আজকের লেখা হতে। চলুন তাহলে জেনে
নেওয়া যাক বথুয়া শাকের চাটনি রেসিপিঃ
তৈরি করতে যা যা লাগবেঃ
১. বতুয়া শাক আধা কেজি (অল্প করে করাই ভালো)।
২. পিঁয়াজকুচি।
৩. রসুনবাটা ও রসুনকুচি।
৪. আদাবাটা।
৫. শুকনা মরিচের গুড়া।
৬. জিরার গুড়া।
৭. ধনিয়া গুড়া।
৮. সরিষার তেল।
৯. পাঁচফোড়নের গুড়া।
১০. হলুদ গুড়া।
১১. লবণ।
১২. চিনি অথবা গুড়।
১৩. পানি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১. প্রথমে বতুয়া শাক ভালোভাবে বেছে ধুয়ে নিতে হবে। শুধু পাতাগুলো
নিতে হবে, শাখা-প্রশাখা চাটনির জন্য ভালো হবে না। তবে বতুয়া শাকের
সবকিছুই পুষ্টিকর।
২. এখন শাকগুলো প্রেসার কুকারে দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এমনভাবে
সিদ্ধ করতে হবে যাতে পাতাগুলো পিশে যায়।
৩. এরপর একটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে সেখানে পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি
ভাজতে হবে। তবে হালকা আঁচে ভাজতে হবে।
৪. এখন সব বাটা মসলা ও গুড়া মসলা দিয়ে একটু ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না
লাল হচ্ছে। এখন চিনি কিংবা গুড় দিয়ে একটু পানি ঢেলে নেড়ে নিন।
৫. এরপর প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করা বতুয়া শাক সেখানে মসলা কড়াইতে
দিয়ে নাড়তে থাকুন। যেসব পাতাগুলো এখন পিশে যায়নি সেসব পাতা চামচ
দিয়ে পিশিয়ে নিন।
৬. এরপর ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। এখন পানি চুষে নেওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে
ঢেকে কিছুক্ষণ জ্বাল দেন। পানি শুকিয়ে গেলে আর কিছুক্ষণ নেড়ে
নামিয়ে ফেলুন।
ব্যচ হয়ে গেল বতুয়া শাকের চাটনি। এটি আপনি সাদা ভাতের সঙ্গে কিংবা
পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।
শীতকালীন শাকের মধ্যে খুব মজাদার ও সুস্বাদু এই বথুয়া বা বেথো শাক। এ
শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংক যা
পিত্ত, লিভারের সমস্যা, মুখে ঘাঁ ও ত্বকে শ্বেতির মতো সমস্যা নিরাময়ে
অত্যন্ত কার্যকরী। বেথো শাক বেটে তার সঙ্গে ২ চামচ জিরার গুঁড়ো, ২ চামচ
পাতিলেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে দিনে দুইবার খেলে প্রস্রাবের জ্বালা
ভালো হয়ে যায়। প্রতিদিন ১ কাপ বেথো শাক রস খেলে কিডনি পাথুরি রোগে
উপকার পাওয়া যায়। বেথো শাক ডাল বা চিংড়ী দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি
মজাদার হয়।
কাদের বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়
কাদের বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয় জানতে চেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন।
সবুজ বথুয়া শাকে ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।
অন্যদিকে সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ফিনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের পাশাপাশি
ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন-কে, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬,
ভিটামিন-সি এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই কারণেই বথুয়া
শাক শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও নানাভাবে উপকারী।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বথুয়া যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তবে তা
উপকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বথুয়া শাকে
অক্সালিক অ্যাসিড বেশি থাকে। এই অ্যাসিড অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে পৌঁছালে
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
অতিরিক্ত বথুয়া শাক খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হয়।
দুর্বল পরিপাকতন্ত্রঃ যাদের পরিপাকতন্ত্র খুব দুর্বল তাদের খুব
বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়। এগুলো অতিরিক্ত খেলে পেট সংক্রান্ত
সমস্যা হতে পারে। বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বথুয়াতে উপস্থিত আঁশের আধিক্য কখনও কখনও একজন ব্যক্তির ডায়রিয়ার কারণ
হয়। তবে সীমিত পরিমাণে খাওয়া হলে এতে উপস্থিত ফাইবার ব্যক্তিকে
কোষ্ঠকাঠিন্য, আয়রনের ঘাটতি থেকে মুক্তি দেয় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
কিন্তু আপনি যদি ইতিমধ্যেই ডায়রিয়ায় ভুগছেন তাহলে এই শাক খাওয়া
এড়িয়ে চলুন।
ক্যালসিয়ামের স্বল্পতাঃ যদি আপনার শরীরে ইতিমধ্যেই ক্যালসিয়ামের
ঘাটতি থাকে তাহলে বথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত বথুয়া খেলে
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও কমতে শুরু করে। কারণ এই শাকে রয়েছে
অক্সালিক অ্যাসিড, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমাতে পারে।
ত্বকের এলার্জিঃ ত্বকের অ্যালার্জিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও
বথুয়া এবং সরিষা শাক খাওয়া এড়ানো উচিৎ। এগুলোর অতিরিক্ত খাওয়া
অ্যালার্জির অভিযোগ বাড়তে পারে। বথুয়া শাক অত্যধিক খাওয়া এই ধরনের
লোকদের ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
উর্বরতার উপর প্রভাবঃ প্রচুর পরিমাণে বথুয়া শাক খাওয়া
উর্বরতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। বথুয়া শাকের উর্বরতা-বিরোধী বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। তাই আপনি যদি সন্তানের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে বথুয়া শাক
খাওয়া সীমিত করুন।
রক্তচাপের সমস্যাঃ বথুয়া শাক রান্নার সময় অনেকেই এতে প্রচুর ঘি
এবং তেল ব্যবহার করে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের
সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে ভেবেচিন্তে বথুয়া শাক খান।
পাথরের সমস্যাঃ যাদের পাথরের সমস্যা আছে তাদের বথুয়া শাক খাওয়া
থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে পাথরের কারণে ব্যথা বাড়তে পারে। আপনি যদি
প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যায় অস্থির থাকেন, তবে আপনার এটি খাওয়া
এড়িয়ে চলা উচিৎ। এতে উপস্থিত ফাইবার আপনার অ্যাসিডিটি আরও বাড়িয়ে
দিতে পারে।
হৃদরোগীঃ হৃদরোগীদেরও বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়।
বথুয়া শাকে ভিটামিন কে পাওয়া যায়। এই ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে
সাহায্য করে এবং এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে,বথুয়া এবং সরিষার শাক পুষ্টিকর খাবার। তবে এগুলো
শুধুমাত্র সুষম পরিমাণেই খাওয়া উচিৎ।আপনি যদি কোনও রোগে ভুগে থাকেন তবে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এটিকে আপনার ডায়েটের অংশ করুন।
বথুয়া শাক সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
আপনারা যারা বথুয়া শাক সম্পর্কিত সচোরাচর যে প্রশ্নগুলা গুগলে কিংবা কোনো ওয়েব সাইটে এসে সার্চ করে থাকেন তার সংক্ষেপে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো। যা বথুয়া শাক সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সংক্ষিপ্ত কিছু ধারনা লাভ করতে পারবেনঃ
প্রশ্নঃ বাথুয়া কি খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ হ্যাঁ, বাথুয়া রাইতা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যাতে
ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি । এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং
ভিটামিনের একটি ভাল উৎস এবং এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং অনাক্রম্যতা
বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, যারা কম কার্ব বা গ্লুটেন-মুক্ত
সাইড ডিশ খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন বথুয়া খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ বাথুয়া আপনার রক্তকে গভীরভাবে ডিটক্সিফাই করে এবং আপনাকে
নিশ্ছিদ্র ত্বক দেয়। অতএব, ভাল ফলাফল দেখতে একজনকে নিয়মিত বাথুয়ার রস
খাওয়া উচিত এবং আপনার রুটিনে এটি গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্নঃ বথুয়া কি আয়রন সমৃদ্ধ?
উত্তরঃ বাথুয়া পাতা আয়রনের একটি ভাল উৎস , যা আয়রনের অভাবজনিত
রক্তাল্পতা প্রতিরোধে অবদান রাখে। খাদ্যতালিকায় বাথুয়া অন্তর্ভুক্ত করা
লোহার মজুদ পাম্প করার জন্য এবং রক্তাল্পতার সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলি
প্রশমিত করার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।
প্রশ্নঃ বাথুয়া কি লিভারের জন্য ভালো?
উত্তরঃ এই সবুজ পাতায় থাকা ক্লোরোফিল উপাদান লিভারের প্রাকৃতিক
ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর
করতে সাহায্য করে । শীতের মাসগুলিতে বাথুয়া সাগের নিয়মিত সেবন রক্তকে
বিশুদ্ধ করতে এবং সামগ্রিক ডিটক্সিফিকেশন প্রচারে সহায়তা করতে পারে।
প্রশ্নঃ বথুয়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
উত্তরঃ বথুয়াতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে, যা
অতিরিক্ত খাওয়া হলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই অতিরিক্ত
বথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের বাথুয়া খাওয়া
এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এর সেবন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url