বথুয়া শাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ


বথুয়া শাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। বথুয়া শাক একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউজ যা অপরিহার্য ঔষধি গুনাগুন এবং থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। ভিটামিন-এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ হওয়ায় বথুয়া পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
বথুয়া-শাকের-উপকারিতা-ও-পুষ্টিগুণ
ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং রক্ত জমাট বাধতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য, পেশির ভর এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। তাহলে দেরি না করে জেনে নিন বথুয়া শাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কেঃ

পেইজ সূচিপত্রঃ বথুয়া শাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বথুয়া শাকের উপকারিতা

বথুয়া শাকের উপকারিতা ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। বথুয়া শাককে বলা হয় শীতকালীন সুপারফুড। নিয়মিত এই শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সেইসঙ্গে দেয় আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। এই শাকে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো কার্যকরী পুষ্টি উপাদান। যারা অল্প ক্যালোরি গ্রহণ করে পুষ্টিকর খাবার খেতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি আদর্শ খাবার।

শীতের মৌসুমে সরিষা বা পালং শাকের আড়ালে আরেকটি শাক রয়েছে, সেটি হলো বথুয়া শাক। কিন্তু এই শাক সেভাবে আমাদের নজর কাড়তে পারেনি। ছোট ছোট পাতার এই শাকের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর স্বাদও অনন্য। ভিটামিন এ, বি, সি, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো উপাদান থাকে বথুয়ায়। যা হার্ট সুস্থ রাখে, রক্তের কার্যকরিতা বাড়ায়, অন্ধত্ব দূর করে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ সারাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বথুয়া শাকের উপকারিতা সম্পর্কে-

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যঃ বথুয়া পাতায় থাকা ভিটামিন এ এবং সি এর সমৃদ্ধি এন্টিঅক্সিডেন্ট অবদান রাখে। এন টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলি রেডিক্যাল ক্ষতির কারণে সৃষ্ট স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এইভাবে ডায়াবেটিস হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে

অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যায়ঃ বথুয়া শাকে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। এটি অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যা দূর করে। বথুয়ার শাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটারি ফাইবার মল নির্গমন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ বথুয়া শাকে থাকা পটাশিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হজম শক্তি বাড়ায়, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, কনজাংটিভাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে, অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যা দূর করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটারি ফাইবার যকৃতকে ভালোভাবে কাজ করতে এবং মল নির্গমন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

হার্ট ভাল রাখেঃ বথুয়া শাকে পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সাথে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং বিভিন্ন রকমের হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

পেটর অসুখঃ পেটের বিভিন্ন অসুখ সারাতে দারুণ উপকারী এই বথুয়া শাক। পুরাতন আমাশয়ের মতো রোগে যারা ভুগছেন; তাদের জন্য বথুয়া শাক খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক ওষুধ। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা সর্বদা আধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসে নিযুক্ত থাকার কারণে, এটি অল্প বয়সে খারাপ দৃষ্টির দিকে নিয়ে যায়। কম জিঙ্কের দেহ চোখের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং বাথুয়া গাছে দস্তা এবং আয়রনের পরিমাণ দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে অবদান রাখে। বাথুয়া, এইভাবে একটি কঠিন পরিপূরক খাবার এবং আপনার চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি ওষুধ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ বথুয়া শাকে পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সাথে বথুয়া শাক আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং বিভিন্ন রকমের হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক হ্রাস পায়।

কোষের ক্ষয় রোধ করতেঃ বথুয়া শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনে খনিজ উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, লোহা, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যা দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখে এবং এইসাথে দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে ও কোষকলার সুস্থ্যতায় সাহায্য করে। একই সাথে এটি দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে।

রক্ত পরিশোধকঃ বথুয়া শাক রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে। এ শাকে হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত হয়। কারণ বথুয়ায় প্রচুর আয়রন আছে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখে।

হাড় ও দাঁত মজবুত করাঃ বাথুয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি হাড় ও দাঁতের জন্য সত্যিই ভালো। এর ভিটামিনের প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে। অতএব, যদি কেউ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়, বাথুয়াতে থাকা ভিটামিন সি গুণমান রক্তনালীগুলির নিরাময়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৈশিকগুলি তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। বাথুয়া জুস আপনাকে প্রতিদিনের ভিটামিনের পরিপূরক সরবরাহ করতে পারে।

দেহ গঠন করেঃ বথুয়া শাক ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ধারণ করে। যা দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। একইসাথে দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে। এছাড়া বথুয়া শাক অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এর পাতার মধ্যে ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা আমাদের দেহ গঠনে সাহায্য করে।

এছাড়া বথুয়া শাক পাচক ব্যবস্থা স্বাস্থ্যকর রাখে। কিডনি পাথরের সমস্যার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কাজ করে। ভিটমিন বি-র অভাব জনিত রোগ সারাতে সহায়তা করে। বথুয়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় স্কার্ভি রোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি এর অভাব জনিত রোগ সারাতে এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধেঃ বথুয়ার শাকে রয়েছে ভিটামিন বি যা ত্বকের চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি দেহের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতে বেশ কার্যকর। এটি যকৃত ও কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে।

ত্বকের শ্বেতী রোগ নিরাময়েঃ ত্বকের শ্বেত জাতীয় রোগ নিরাময়ে বথুয়া শাক দারুণ কাজ করে। এর জন্য চার কাপ বেথুয়া শাক, এক কাপ তিলের তেলের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করুন। প্রতিদিন একবার ক্ষত স্থানে মালিশ করুন। তবে পুরোপুরি এ রোগ সারতে কিছুটা সময় লাগবে। গরম পানিতে বা আগুনে ত্বক ঝলসে গেলে ঐ স্থানে বথুয়া শাক বেটে লাগিয়ে রাখুন জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

প্রসাবে জ্বালা পোড়া কমায়ঃ প্রসাবে জ্বালা পোড়া করলে আধা কেজি বথুয়া শাক বেটে, তিন গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে ছেঁকে নিন। এরপর এতে তিন চা চামচ জিরা গুঁড়ো, তিন চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করুন। দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলেই এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। লিভারের সমস্যা, পিত্ত, মলাশয়ের সমস্যা দূর করে। মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেলে বা রান্না করে খেলে ঘা সেড়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করেঃ যদি হজমের সমস্যা আপনাকে কষ্ট দেয় বথুয়া নামক এই সবুজ শাক আপনাকে উপশম দিতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পানির উপাদান। যে কারণে বথুয়া শাক খেলে তা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই হজমের সমস্যা সারাতে আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করুন এই শাক।
 
ওজন কমাতে সহায়কঃ বথুয়া শাক ফাইবার সমৃদ্ধ, এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে অনেক কম। যে কারণে বথুয়া শাক খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে আবার তাতে বাড়তি ক্যালোরি জমারও ভয় থাকে না। এর ফলে ওজন কমানোর যাত্রা সহজ হয়। তাই যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ শাক।

রক্ত বিশুদ্ধ করেঃ বথুয়া শাক খেলে তা আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান রক্ত বিশুদ্ধকরণের কাজ করে। যে কারণে শরীর তো সুস্থ থাকেই সেইসঙ্গে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।

ডায়াবেটিসে উপকারীঃ অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ, বথুয়া শাক ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় উপকারী। নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যে কারণে এই শাক খেলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি কর‍েঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি কর‍তেও রয়েছে এই শাকের ভূমিকা। আগেই বলেছি, এটি রক্ত বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।
 
চুল ভালো রাখেঃ প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ দিয়ে ভরা বথুয়া শাক খাদ্যতালিকার একটি পুষ্টিকর সংযোজন। বিশেষ করে যদি আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকে। কারণ নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে তা চুল পড়ার সমস্যা খুব সহজেই দূর করে। এটি আপনার চুল শুধু মজবুতই করে না, সেইসঙ্গে ঝলমলে ও প্রাণবন্তও করে তোলে।

ডিটক্সিফাইঃ বথুয়া শাক শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান রক্ত বিশুদ্ধকরণের কাজ করে। যে কারণে শরীর তো সুস্থ থাকেই সেইসঙ্গে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না।

বথুয়া শাকের পুষ্টিগুণ

বথুয়া শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক। সেই সাথে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড। যা হজমশক্তি উন্নত করে, খিদে বাড়ায়, পেট ব্যাথাও দূর করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটারি ফাইবার যকৃতকে ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি মল নির্গমন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

বথুয়া শাকে পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সঙ্গে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। বথুয়া শাকে ‍আছে ভিটামিন এ। যা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি এবং প্রতিষেধক সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। বথুয়া শাক রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও লিভারের সমস্যা, পিত্ত, মলাশয়ের সমস্যা দূর করে।

বথুয়া আগাছা হিসেবে পরিচিত হলেও খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সুস্বাদু শাক। বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দামে খুব সস্তা। বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অন্যান্য প্রচলিত শাকের চেয়ে বথুয়া শাকে ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণও বেশি থেকে। যেমন-ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কলমিশাক, পুঁইশাক, পাটশাক, ডাঁটাশাক, মুলাশাক ও পালংশাকের চেয়ে বেশি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, নিম্ন প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী বথুয়া শাকের পুষ্টিমাণ দেয়া হলোঃ

পুষ্টি উপাদান পরিমান
জলীয় অংশ ৮৯.৬ গ্রাম
খনিজ ২.৬ গ্রাম
খাদ্য আঁশ ০.৮ গ্রাম
খাদ্য শক্তি ৩০ কিলোক্যালোরি
প্রটিন ৩.৭ গ্রাম
চর্বি ০.৪ গ্রাম
শর্করা ২.৯ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন (ভিটামিন-এ) ১৭৪০ মাইক্রোগ্রাম
আয়রন ৪.২ গ্রাম
ভিটামিন বি-১ ০.০১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি-২ ০.১৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন-সি ৩৫ মিলিগ্রাম

তবে এই পুষ্টিমান বথুয়া শাকের জাত ও উৎপাদনের স্থানের জন্য কিছুটা তরতম্য হতে পারে। আয়ুর্বেদ মতে, বথুয়া শাকে রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুণ। এই শাক সহজে হজম হয়। খিদে বাড়ায়। লঘু, শুক্র ও মল বৃদ্ধি করে, মল নিষ্কাশন করে, লিভারের অসুখ,রক্তপিণ্ড, কৃমি, অর্শ, বাত, পিত্ত ও কফ নাশ করে। দেহের ব্যথা সারায়। এই শাক ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গম ক্ষেত, কপি ক্ষেত ও পিঁয়াজসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেতে আগাছা হিসেবে জন্মায়।

বথুয়া শাকের ঔষুধি গুণাগুণ

বথুয়া শাকের ঔষুধি গুণাগুণ হলো বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন। হজমশক্তি উন্নত করে, খিদে বাড়ায়, পেট ব্যাথা ও দূর করে। কিডনিতে পাথর হলে বথুয়া শাকের জুস খুব উপকার করে। এক গ্লাস পানিতে বথুয়া শাক ও এক চা চামচ চিনির মিশিয়ে শরবত তৈরি করে টানা দশদিন খেতে হবে। এতে কিডনিতে থাকলে পাথর গলতে শুরু করে।

১. প্রসাবে জ্বালা পোড়া করলে আধা কেজি বথুয়া শাক বেটে, তিন গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে ছেঁকে নিন। এরপর এতে তিন চা চামচ জিরা গুঁড়ো, তিন চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করুন। দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলেই এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। লিভারের সমস্যা, পিত্ত, মলাশয়ের সমস্যা দূর করে। মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেলে বা রান্না করে খেলে ঘা সেরে যায়।

২. ত্বকের শ্বেত জাতীয় রোগ নিরাময়ে বথুয়া শাক দারুণ কাজ করে। এর জন্য চার কাপ বেথুয়া শাক, এক কাপ তিলের তেলের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করুন। প্রতিদিন একবার ক্ষত স্থানে মালিশ করুন। তবে পুরোপুরি এ রোগ সারতে কিছুটা সময় লাগবে। গরম পানিতে বা আগুনে ত্বক ঝলসে গেলে ঐ স্থানে বথুয়া শাক বেটে লাগিয়ে রাখুন জ্বালা পোড়া কমে যাবে।
 
৩. বথুয়া শাক পেটের বিভিন্ন অসুখ সারাতে দারুণ উপকারী। পুরাতন আমাশয়ের মত রোগে যারা ভুগছেন; তাদের জন্য বথুয়া শাক খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক ওষুধ। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে।
 
৪. বথুয়া শাকে থাকা পটাশিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হজম শক্তি বাড়ায়, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, কনজাংটিভাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে, অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যা দূর করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটারি ফাইবার যকৃতকে ভালোভাবে কাজ করতে এবং মল নির্গমন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
 
৫. বথুয়া শাকে পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সাথে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং বিভিন্ন রকমের হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
 
৬. বথুয়া শাক ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। ভিটামিন এ স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি এবং প্রতিষেধক সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিডনি, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া রাতকানার মতো সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা করে।
 
৭. এটি ক্যালসিয়াম, লোহা, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ধারণ করে। যা দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। একইসাথে দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে।

৮. বথুয়া শাক ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি- এর অভাবে একটি রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্কার্ভি নামে পরিচিত। বথুয়া শাক গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৯. বথুয়া শাকে থাকা ভিটামিন বি ত্বকের চুলকানিসহ ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতে অনেক কার্যকর। যকৃত এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে বথুয়া শাক।
 
১০. এ শাকে হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত হয়। কারণ বথুয়ায় প্রচুর আয়রন আছে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন স্তর উন্নত করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখে।

১১. বথুয়া শাক অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এর পাতার মধ্যে ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা আমাদের দেহ গঠনে সাহায্য করে।

১২. গরম পানি পড়ে ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে বা ফোসকা পড়লে ওই অংশে বথুয়া শাক বেটে আলতো করে মাখিয়ে দিন। দেখবেন ত্বকের জ্বালা ভাব দ্রুত কমে যাবে।

১৩. মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেতে পারলে বা হালকা করে রান্না করে খেলে ঘা দ্রুত সেরে যাবে।
 
১৪. বথুয়া শাক কিডনি পাথরের সমস্যার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কাজ করে। এটি পাথর গঠনের প্রবণতা হ্রাস করে। কিডনিতে পাথর হলে প্রতিদিন ১ কাপ বথুয়া শাকের রস খেতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।
 
১৫. বথুয়া শাক পাচক ব্যবস্থা স্বাস্থ্যকর রাখে।
 
১৬. পিত্ত, লিভারের সমস্যা বা মলাশয়ের সমস্যা দূর করতে বেথো শাক খুবই উপকারী।

বথুয়া শাকের রেসিপি

বলা চলে অযত্নে বেড়ে ওঠা একটি আগাছা বথুয়া।  খুব পরিচিত একটি শাক বথুয়া বা বেথো  শাক। আবাদি ফসলের ক্ষেতে নিজে নিজেই জন্ম নেয় এটি। আর তাই আলাদা করে চাষেরও প্রয়োজন হয় না। আগাছা হলেও কিন্তু এ শাকের গুণের শেষ নেই। এর ওষুধি গুণাগুণ পুরোপুরি জানলে হয়তো একে আর আগাছা বলবেন না। বরং বেশ গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে রাখবেন বথুয়ার শাক। তাই দেরি না করে জেনে নিন বথুয়া শাকের কয়েকটি রেসিপি 

১। বথুয়া শাকের ভর্তাঃ বথুয়া শাক একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বথুয়া শাক একটি সহজলভ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি আমাদের রান্নায় নিয়মিত যোগ করলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি। তাই আজই থেকে আপনার খাদ্য তালিকায় বথুয়া শাক যোগ করুন।

উপকরনঃ
  • বথুয়া শাক – ২ আটি
  • যেকোন মাছ- ২ টুকরো (মাঝারী সাইজের)
  • কাঁচামরিচ – ৭-৮ টি
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ টি মাঝারি
  • লবন – পরিমানমত

প্রনালীঃ
১. প্রথমে শাক বেছে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরান।
২. তাওয়ার অল্প লবন যোগে শাক , মাছ ও কাচামরিচ টেলে নিন।
৩. শিল পাটায় শাক , মাছ, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ একসাথে বেটে নিন। লবন দেখে প্রয়োজনে আরো লবন দিন। ব্যস হয়ে গেলো।

২। বথুয়া শাক বা বৈথা শাক রান্নাঃ বথুয়া শাক বা বৈথা শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। অন্য জায়গায় পাওয়া যায় কিনা জানি না, তবে উত্তরবঙ্গের দিকে পাওয়া যায়। ধানের ক্ষেত, গমের ক্ষেত ইত্যাদি জায়গায় বেশি জন্মে আগাছা হিসেবে। অনেকেই শাকটির নাম জানে না।

এই শাক রান্না করতে যা যা উপকরণ লাগবেঃ

১.  পরিমানমতো বথুয়া শাক নিয়ে নিন। 
২. পেঁয়াজ কুচি, বড় পেঁয়াজ হলে দুইটা, ছোট হলে তিনটা
৩. রসুন - মাঝারি সাইজের এটি, কুঁচি কুঁচি করে কাটা
৪. কাঁচামরিচ - ৮-১০টা
৫. শুকনা মরিচ - ৫টা
৬. কালোজিরা - আধা চা-চামচ
৭. গুড়ো মরিচ - একটু (ঝাল বুঝে)
৮. হলুদ - আধা চা-চামচ
৯. লবণ - পরিমাণমতো
১০. তেল - এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ

প্রণালীঃ
১. শাক ভালো করে বেছে ধুয়ে নিতে হবে। অনেকে শুধু শাকের পাতা রান্না করেন, অনেকে ছোটখাট শাখা-প্রশাখাগুলোও রান্না করতে পারেন। এই গাছের সবকিছুই পুষ্টিকর। সুতরাং একেবারে বাধ্য না হলে শাখাপ্রশাখাগুলো না ফেলাই ভালো।
২. শাক গুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার সময়ই লবণ পরিমাণমতো দিয়ে দিবেন।
৩. এরপর একটি কড়াইয়ে তেল ভালোভাবে গরম করুন। তারপর একে একে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, কালোজিরা দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা ঝাল ঝাল গন্ধ বের হলে সেদ্ধ করা শাক পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৪. ভালোভাবে নাড়া হয়ে গেলে কড়াইটি ঢেকে দিন। রান্না করতে হবে অল্প আঁচে। মিনিট পাঁচেক পর এতে গুড়ো মরিচ ও হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
৫. চুলার জাল আরেকটু কমিয়ে পাচ সাত মিনিট রান্না করুন। আবার ভালোভাবে নেড়ে দিন।
৬. ফাইন্যালি আবার ঢাকনা দিয়ে দুই তিন মিনিট রান্না করুন। হয়ে গেল বথুয়া শাক রান্না। খেয়ে দেখুন, দারুণ মজা।

৩। পোস্তো তিলে বথুয়াঃ গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত একটি শাক হল বথুয়া শাক। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। এ শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড। পোস্তো তিলে বথুয়া শাক কিভাবে রান্না করবেন জেনে নিন। আর এই পোস্তো তিলে রানা করা বথুয়া গরম ভাতের সাথে খেলে খুবই সুস্বাদু লাগে।

উপকরণঃ
  • ২৫০ গ্রাম বথুয়া শাক
  • ২ টি মাঝারি আকারের আলু
  • ৪ চা চামচ সর্ষের তেল
  • স্বাদ মত নুন
  • ২৫ গ্রাম সাদা তিল
  • ২৫ গ্রাম পোস্তদানা
  • ২ টি কাঁচা লঙ্কা
  • ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ চিনি

রান্নার নির্দেশ সমূহঃ

১. প্রথমে শাকের শুধুমাত্র পাতা গুলি নিতে হবে। তারপর ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
২. আলু দুটির খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে লম্বা লম্বা (আলু ভাজার মতো) করে কেটে নিতে হবে।
৩. এবার কড়াইতে ৩ চামচ তেল গরম করে আলু গুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করে বেশি আঁচে লাল করে ভাজতে হবে।
৪. আলু গুলি লাল হয়ে গেলে এর মধ্যে শাক দিয়ে পরিমাণ মতো নুন দিয়ে আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষন।
৫. এই সময় পোস্তো, তিল ও কাঁচা লঙ্কা সামান্য একটু জল দিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে।
৬. কিছুক্ষণ পর কড়াইয়ের ঢাকা খুলে দেখতে হবে আলু ও শাক সিদ্ধ হয়েছে কিনা।
৭. আলু ও শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পোস্তো- তিল বাটা ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
৮. তারপর চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
৯. শুকনো শুকনো হয়ে গেলে এক চামচ তেল ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে।
১০. পাঁচ মিনিট পর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে হবে।

৪। বথুয়া শাকের চাটনি রেসিপিঃ গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত একটি শাক হল বথুয়া বা বেথো শাক। এটি কেউ চাষ করেনা। জমিতে আগাছার মত আপনা আপনি জন্ম নেয় এ শাক। আবার শহরের বাজারে আঁটি বেঁধেও বিক্রি হয় এটি। এ শাক দামে খুব সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে।বথুয়া সবাই শাক হিসেবেই খেয়ে থাকেন। 

তবে বতুয়া শাকের চাটনি আইটেমও করা যায়। অনেকেই হয়তো চাটনির কথা শোনে অবাক হয়ে যাবে।
কিন্তু হ্যাঁ এটা সত্যি যে বতুয়া শাকের চাটনিও করা যায়। চিন্তা নেই রেসিপি জেনে নিতে পারবেন আমাদের আজকের লেখা হতে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বথুয়া শাকের চাটনি রেসিপিঃ

তৈরি করতে যা যা লাগবেঃ

১. বতুয়া শাক আধা কেজি (অল্প করে করাই ভালো)।
২. পিঁয়াজকুচি।
৩. রসুনবাটা ও রসুনকুচি।
৪. আদাবাটা।
৫. শুকনা মরিচের গুড়া।
৬. জিরার গুড়া।
৭. ধনিয়া গুড়া।
৮. সরিষার তেল।
৯. পাঁচফোড়নের গুড়া।
১০. হলুদ গুড়া।
১১. লবণ।
১২. চিনি অথবা গুড়।
১৩. পানি।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

১. প্রথমে বতুয়া শাক ভালোভাবে বেছে ধুয়ে নিতে হবে। শুধু পাতাগুলো নিতে হবে, শাখা-প্রশাখা চাটনির জন্য ভালো হবে না। তবে বতুয়া শাকের সবকিছুই পুষ্টিকর।
২. এখন শাকগুলো প্রেসার কুকারে দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এমনভাবে সিদ্ধ করতে হবে যাতে পাতাগুলো পিশে যায়।
৩. এরপর একটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে সেখানে পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি ভাজতে হবে। তবে হালকা আঁচে ভাজতে হবে।
৪. এখন সব বাটা মসলা ও গুড়া মসলা দিয়ে একটু ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না লাল হচ্ছে। এখন চিনি কিংবা গুড় দিয়ে একটু পানি ঢেলে নেড়ে নিন।
৫. এরপর প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করা বতুয়া শাক সেখানে মসলা কড়াইতে দিয়ে নাড়তে থাকুন। যেসব পাতাগুলো এখন পিশে যায়নি সেসব পাতা চামচ দিয়ে পিশিয়ে নিন।
৬. এরপর ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। এখন পানি চুষে নেওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ জ্বাল দেন। পানি শুকিয়ে গেলে আর কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।

ব্যচ হয়ে গেল বতুয়া শাকের চাটনি। এটি আপনি সাদা ভাতের সঙ্গে কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।

শীতকালীন শাকের মধ্যে খুব মজাদার ও সুস্বাদু এই বথুয়া বা বেথো শাক। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংক যা পিত্ত, লিভারের সমস্যা, মুখে ঘাঁ ও ত্বকে শ্বেতির মতো সমস্যা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী। বেথো শাক বেটে তার সঙ্গে ২ চামচ জিরার গুঁড়ো, ২ চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে দিনে দুইবার খেলে প্রস্রাবের জ্বালা ভালো হয়ে যায়। প্রতিদিন ১ কাপ বেথো শাক রস খেলে কিডনি পাথুরি রোগে উপকার পাওয়া যায়। বেথো শাক ডাল বা চিংড়ী দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি মজাদার হয়।

কাদের বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়

কাদের বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয় জানতে চেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। সবুজ বথুয়া শাকে ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। অন্যদিকে সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ফিনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের পাশাপাশি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন-কে, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন-সি এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই কারণেই বথুয়া শাক শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও নানাভাবে উপকারী।

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বথুয়া যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তবে তা উপকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বথুয়া শাকে অক্সালিক অ্যাসিড বেশি থাকে। এই অ্যাসিড অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে পৌঁছালে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অতিরিক্ত বথুয়া শাক খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হয়।

দুর্বল পরিপাকতন্ত্রঃ যাদের পরিপাকতন্ত্র খুব দুর্বল তাদের খুব বেশি বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়। এগুলো অতিরিক্ত খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বথুয়াতে উপস্থিত আঁশের আধিক্য কখনও কখনও একজন ব্যক্তির ডায়রিয়ার কারণ হয়। তবে সীমিত পরিমাণে খাওয়া হলে এতে উপস্থিত ফাইবার ব্যক্তিকে কোষ্ঠকাঠিন্য, আয়রনের ঘাটতি থেকে মুক্তি দেয় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। কিন্তু আপনি যদি ইতিমধ্যেই ডায়রিয়ায় ভুগছেন তাহলে এই শাক খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

ক্যালসিয়ামের স্বল্পতাঃ যদি আপনার শরীরে ইতিমধ্যেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে বথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত বথুয়া খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও কমতে শুরু করে। কারণ এই শাকে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমাতে পারে।

ত্বকের এলার্জিঃ ত্বকের অ্যালার্জিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও বথুয়া এবং সরিষা শাক খাওয়া এড়ানো উচিৎ। এগুলোর অতিরিক্ত খাওয়া অ্যালার্জির অভিযোগ বাড়তে পারে। বথুয়া শাক অত্যধিক খাওয়া এই ধরনের লোকদের ত্বকে ফুসকুড়ি,  চুলকানির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

উর্বরতার উপর প্রভাবঃ প্রচুর পরিমাণে বথুয়া শাক খাওয়া উর্বরতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। বথুয়া শাকের উর্বরতা-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আপনি যদি সন্তানের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে বথুয়া শাক খাওয়া সীমিত করুন।

রক্তচাপের সমস্যাঃ বথুয়া শাক রান্নার সময় অনেকেই এতে প্রচুর ঘি এবং তেল ব্যবহার করে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে ভেবেচিন্তে বথুয়া শাক খান।

পাথরের সমস্যাঃ যাদের পাথরের সমস্যা আছে তাদের বথুয়া শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে পাথরের কারণে ব্যথা বাড়তে পারে। আপনি যদি প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যায় অস্থির থাকেন, তবে আপনার এটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। এতে উপস্থিত ফাইবার আপনার অ্যাসিডিটি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

হৃদরোগীঃ হৃদরোগীদেরও বথুয়া শাক খাওয়া উচিৎ নয়। বথুয়া শাকে ভিটামিন কে পাওয়া যায়। এই ভিটামিন রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে,বথুয়া এবং সরিষার শাক পুষ্টিকর খাবার। তবে এগুলো শুধুমাত্র সুষম পরিমাণেই খাওয়া উচিৎ।আপনি যদি কোনও রোগে ভুগে থাকেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এটিকে আপনার ডায়েটের অংশ করুন।

বথুয়া শাক সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

আপনারা যারা বথুয়া শাক সম্পর্কিত সচোরাচর যে প্রশ্নগুলা গুগলে কিংবা কোনো ওয়েব সাইটে এসে সার্চ করে থাকেন তার সংক্ষেপে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো। যা বথুয়া শাক সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সংক্ষিপ্ত কিছু ধারনা লাভ করতে পারবেনঃ

প্রশ্নঃ বাথুয়া কি খাওয়া ভালো?

উত্তরঃ হ্যাঁ, বাথুয়া রাইতা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যাতে ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি । এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের একটি ভাল উৎস এবং এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং অনাক্রম্যতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, যারা কম কার্ব বা গ্লুটেন-মুক্ত সাইড ডিশ খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন বথুয়া খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ বাথুয়া আপনার রক্তকে গভীরভাবে ডিটক্সিফাই করে এবং আপনাকে নিশ্ছিদ্র ত্বক দেয়। অতএব, ভাল ফলাফল দেখতে একজনকে নিয়মিত বাথুয়ার রস খাওয়া উচিত এবং আপনার রুটিনে এটি গ্রহণ করা উচিত।

প্রশ্নঃ বথুয়া কি আয়রন সমৃদ্ধ?

উত্তরঃ বাথুয়া পাতা আয়রনের একটি ভাল উৎস , যা আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা প্রতিরোধে অবদান রাখে। খাদ্যতালিকায় বাথুয়া অন্তর্ভুক্ত করা লোহার মজুদ পাম্প করার জন্য এবং রক্তাল্পতার সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলি প্রশমিত করার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।

প্রশ্নঃ বাথুয়া কি লিভারের জন্য ভালো?

উত্তরঃ এই সবুজ পাতায় থাকা ক্লোরোফিল উপাদান লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে । শীতের মাসগুলিতে বাথুয়া সাগের নিয়মিত সেবন রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং সামগ্রিক ডিটক্সিফিকেশন প্রচারে সহায়তা করতে পারে।

প্রশ্নঃ বথুয়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?

উত্তরঃ বথুয়াতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে, যা অতিরিক্ত খাওয়া হলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই অতিরিক্ত বথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের বাথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এর সেবন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বথুয়া শাক খাওয়ার অপকারিতা

সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য সব দিক থেকেই ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলোর অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এর মধ্যে একটি হল বথুয়া শাক। অতিরিক্ত খাওয়া হলে, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করতে পারে। যদিও আমরা জানি যে, বথুয়া অনেক ঔষধি গুণে পরিপূর। কিন্তু বথুয়ার অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

বথুয়া একটি স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক, যার পাতায় অনেক পুষ্টি রয়েছে এবং যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেটের রোগ নিরাময়েও বথুয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু অনেক সময় বথুয়া খেলেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এখানে আমি আপনাকে বথুয়া খাওয়ার অপকারিতার কথা বলব।

অক্সালেট সামগ্রীঃ বধুয়া পাতায় অক্সালেট যৌগ থাকে যা সংবেদনশীল ব্যক্তিদের কিডনির পাথর তৈরি করতে পারে। যাদের কিডনিতে পাথর এর ইতিহাস রয়েছে তাদের পরিণত পরিমাণে বেথুয়া শাখাওয়া উচিত এবং একজন স্বাস্থ্য সেবা পেশাদার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

ডায়রিয়াঃ বথুয়াতে অক্সালিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অভিযোগ হতে পারে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বথুয়া খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভপাতের ঝুঁকিঃ গর্ভবতী মহিলাদের বেশি পরিমাণে বথুয়া খাওয়া এড়ানো উচিৎ। এর ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বথুয়া খাওয়াই ভালো।

প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত হয়ঃ বথুয়া শাক, যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। প্রকৃতপক্ষে, এর উর্বরতা-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এর অত্যধিক ব্যবহার উর্বরতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

ত্বকের এলার্জিঃ যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে বথুয়া খাওয়ার কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাবঃ বথুয়া শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমাতে পারে। তাই অতিরিক্ত বথুয়া শাক খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

বি.দ্রঃ এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিডি টেকল্যান্ড এটি নিশ্চিত করে না।

বথুয়া শাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে শেষকথা

শীতকালীন বেশ জনপ্রিয় একটি শাক হচ্ছে বথুয়া। এই শাক কোনও জমিতে আলাদা ভাবে চাষ করার প্রয়োজন হয় না। ধান-গম-যবের ক্ষেত, সবজি ক্ষেত, আনাচ-কানাচ ও পতিত জমিতে অতি সহজেই জন্মায়। চৈত্র-বৈশাখে এদের বীজ মাটিতে ঝরে পড়ে কিন্তু গজাতে গজাতে গ্রীষ্ম, বর্ষা পার হয়ে শীতকাল এসে যায়। বথুয়া আগাছা হিসেবে পরিচিত হলেও খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সুস্বাদু শাক।

বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন। বাথুয়া পাতা অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উত্স যা ফাইবারে বেশি এবং ভিটামিন যেমন এ, বি এবং সি রয়েছে। এই শাক আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের একটি ভাল উৎস।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url