চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার ও এর ২৯টি উপকারিতা

চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার, উপকারিতা ও এর ঔষধি গুন ব্যপক। চুলের যত্নে আমরা নানান ঘরোয়া উপাদান কাজে লাগাই ও নামী-দামি নানা হেয়ার প্রোডাক্টও ব্যবহার করে থাকি। যাতেকরে চুলের কোন সমস্যা না হয়। এর জন্য আপনি যেমন বিভিন্ন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন, একইভাবে ভরসা করতে পারেন কালোকেশী পাতায়।
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-পাতার-ব্যবহার
কালোকেশী এমন একটি উপাদান, যা চুলের যত্নে খুবই কার্যকরী। আর সেই কারণেই নানা হেয়ার প্রোডাক্টেও এই কালোকেশী ব্যবহার করা হয়। এই কালোকেশী কিন্তু আজ নতুন করে আমাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়নি। চুলের যত্নে বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে কালোকেশী পাতা। এই পাতা কালোকেশী পাতা নামেই বেশি পরিচিত। জেনে নিন কালোকেশী পাতার গুণ, চুলের যত্নে কীভাবে কালোকেশী পাতা ব্যবহার করতে পারেন আপনি।

পেইজ সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার ও এর উপকারিতা

চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কালোকেশী পাতার রস মাথায় ও চুলে মাখলে চুল ঘন কালো হয়, চুল পড়া রোধ হয়। মাথা ঠান্ডা থাকে। শারীরিক আরো কিছু উপকারে এই কালোকেশী গাছের পাতা ব্যবহৃত হয়। নারী কিংবা পুরুষ, উভয়েরই সৌর্ন্দযের অন্যতম রহস্য চুল। তাইতো এর প্রতি নিতে হবে বিশেষ যত্নও। নইলে অকালেই টাক হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকেই এর থেকে রেহাই পেতে নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেন। যেগুলো চুল পড়া রোধে মোটেও কার্যকর হয় না। আবার অনেকেই এই সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের কাছে যান। তারপরও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। জেনে নিন চুলের যত্নে কালোকেশী পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন

১। কালোকেশী তেলঃ কালোকেশী ওষুধি গুণসম্পূর্ণ একটি আয়ুর্বেদিক গাছ। এটি খুব সাধারণ ধরণের ঘাস, যা জলাভূমি এবং ধানের জমিতে জন্মে। আয়ুর্বেদে এটি বহু রোগ দূরীকরণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও চুলের সমস্ত সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয় কালোকেশীর তেল।

কালোকেশীর তেল তৈরির পদ্ধতিঃ একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল গরম করে নিন। এবার এতে কিছুটা কেশরাজ বা কাটা ভ্রিংরাজের পাতা নিন এবং যদি পাতা না পান তবে এক চামচ কেশরাজের গুঁড়া ব্যবহার করুন। এরপর এক চা চামচ মেথি দানা যোগ করুন এবং পাঁচ মিনিটের মতো মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন। পাচঁ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ এই তেল সপ্তাহে দুইবার চুলে লাগান। আধা ঘন্টা রেখে তারপর চুল শ্যাম্পু করে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই তফাৎ চোখে পড়বে।
 
২। কালোকেশী হেয়ার টনিকঃ কালোকেশী টনিক২৫০ গ্রাম তিলের তেল আর ২৫০ গ্রাম নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে কালোকেশী পাতা বেটে তার রস মেশান। এর মধ্যে একটা গোটা আমলকী, একটা গোটা জবাফুল, এক মুঠো কারিপাতা ও সামান্য একটু মেথি দিয়ে দিন। এবার এই সবক’টা উপাদান ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে রেখে দিন। কাচের বোতলে রাখলে ভাল হয়। এই মিশ্রণ মাথায় মাসাজ করলে মাথা ঠান্ডা হবে, চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল লম্বা ও কালো হবে। উকুন হলেও এই মিশ্রণ খুব কাজে দেয়। ভাল করে এটা মেখে একটা সাদা পরিষ্কার কাপড় মাথায় বেঁধে শুয়ে পড়ুন। সকালে দেখবেন, উকুন সব মরে গেছে।

৩। কালোকেশী হেয়ারর মাস্কঃ এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন অকালপক্কতা রোধ করতে। প্রথমে কালোকেশী পাতা বেটে নিন। তার মধ্যে দুই চামচ মেথি গুঁড়ো, ডিমের কুসুম, টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মাসে চারবার এই মাস্ক লাগাতে পারেন।

৪। কালোকেশী হেয়ার প্যাকঃ কালোকেশী পাতার হেয়ার প্যাক বা কালোকেশী পাতার তেল তৈরি করতে চাইলে যে সকল উপাদান সমূহ লাগবে তা হল-

  • ১ কাপ পরিমাণ কিছু পাতা বাটা (পাতা+বৃক্ষ+কান্ড)।
  • ২৫০ গ্রাম নারকেল বা তিল তেল।
  • দুইটি আমলকি বাটা।
  • একটি জবা ফুল বাটা।
  • সামান্য কয়েকটা মেথি।
  • এক মুঠো কারি পাতা।
  • ( সম্ভব হলে ৮-১০ টি নিম পাতা মিশ্রণটি ফোটানোর সময় এর ভেতর দিলে তার কার্যকারিতা আরো ভালো হবে)।

হেয়ার প্যাক তৈরীর প্রক্রিয়াঃ তেল ব্যতীত এইসব কয়টি উপাদান একসাথে মিশিয়ে ফেলতে হবে। এবার একটি প্যানে ২৫০ গ্রাম নারিকেল এর তেল ঢেলে বা তিলের তেল নিয়ে চুলার উত্তাপে গরম করতে হবে। তেলটি কিছুটা গরম হলে এর ভেতর পূর্বে তৈরি ওই মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে এবং মাঝারি আঁচে পাঁচ সাত মিনিটের মতো মিশ্রণগুলোকে তেলের ভেতর ফোটাতে হবে।

এবার চুলা বন্ধ করে দিয়ে মিশ্রণটি কোন একটা নিরাপদ স্থানে ছয় ঘন্টার মতো রেখে দিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে এবং থেতিয়ে গেলে তখন ছেঁকে নিয়ে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল আপনার চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক! এভাবে কেশুতি পাতার তেল বা কেশরাজ টনিক তৈরি করতে পারবেন এবং এটি নিয়মিত মাথায় মাখলে তা দারুন উপকারী হবে।

কালোকেশী পাতার হেয়ার প্যাক চুলে মাখবার নিয়মঃ কালোকেশী পাতার ব্যাবহারে তৈরি এই হেয়ার টনিক প্রতিদিন অথবা একদিন বাদে একদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এভাবে নিয়মিত কিছু দিন মাথায় ব্যবহার করতে হবে। তেলটি হাতে নিয়ে মাথার তালুতে এবং সকল চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে এভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। এবং তারপর সমস্ত মাথার চুলে এটি ভালো করে ঘষে মাখিয়ে নিতে হবে। পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

কালোকেশী গাছের উপকারিতা

কালোকেশী গাছের উপকারিতা ও এর ঔষধি গুনাগুন ব্যপক। কালোকেশী অনেক স্থানে কেশরাজ, কেশুতি, কেউতি, কালোকেশিরিয়া, কালসাতার গাছ নামে পরিচিত। অত্যন্ত উপকারী একটা ঔষধি ঘাস কালোকেশী গাছ। এই গাছ থেকে কালো একধরনের রস বের করা হয়, যা চুলকে আরো কালো করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই গাছের রস চুল পড়াবন্ধ করে। চলুন তাহলে জেনে নিন কালোকেশী গাছের উপকারিতা সম্পর্কেঃ

১. আপনার শরীরের কেটে যাওয়া স্থানে কালোকেশী পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে আক্রান্ত স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।

২. কালোকেশীর লতাকে জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমির উপদ্রব কমে যায়।

৩. কালোকেশীর লতাকে জাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমির উপদ্রব কমে যায়।

৪. পাতা, ফুল ও ফলসহ বেটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হবে।

৫. পাতা, ফুল ও ফলসহ বেটে রস তৈরি করে মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়। এছাড়া ২৫০ এম এল তিল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে ১ কাপ কালোকেশীর কাঁচা রস, তার সঙ্গে আমলকি ১টি, জবাফুল ১টি, কারিপাতা ৪-৫টি, ১ চা চামচ মেথী দানা একসংগে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেকে কাঁচের বোতলে সংগ্রহ করে রাখা যায়। তৈরিকৃত মিশ্রনটি মাথায় মালিশ করলে মাথা ঠাণ্ডা হবে, চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল লম্বা ও কালো হবে।

৬. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সুরক্ষা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কালোকেশী নির্যাস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে।

৭. কালোকেশী তেল ত্বকের শুস্কতা দূর করে ত্বক হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করতে পারে। কালোকেশী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সমৃদ্ধ, তাই এটি ত্বকের প্রদাহ যেমন ব্রণের চিকিৎসা করতে সহায়তা করে।

৮. এই গাছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভৃঙ্গরাজ গাছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ চিকিৎসা করতে সহায়তা করে যা সাধারণত ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে।

৯. নিয়মিত ২ চা চামচ পরিমাণ কালোকেশীর রস সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোকেশীর রস ব্লাড সুগার লেভেল ও গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কমায় এবং গ্লুজোজ-৬ ফসফেট এবং ফ্রুকটোজ ১, ৬ ডাইফসফেট এর কার্যকারিতা কমায় ও লিভারের হেক্রোকিনেজ এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

১০. লিভারের সুরক্ষায় কালোকেশীতে বিদ্যমান অ্যামিডোপাইরিন এন-ডিমথাইলিন গ্লুকোজ-৬ ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে লিভার এ্যাবসেস, লিভার সিরোসিস, লিভারের প্রদাহ, জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে। লিভার টনিক হিসেবে কাজ করে।

১১. এই গাছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভৃঙ্গরাজ গাছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ চিকিৎসা করতে সহায়তা করে যা সাধারণত ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে।

১২. ইথনোফার্মাকোলজি পত্রিকার জার্নাল স্টাডিজ দেখায় যে কেশরাজ ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।

১৩. কালোকেশীর পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।

১৪. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সুরক্ষা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কালোকেশীর নির্যাস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে।

১৫. পায়োরিয়া হলে কালোকেশী পাতা গুঁড়া করে মাজনের মতো ২ থেকে ৪ মিনিট ব্যবহার করুন। পায়োরিয়া সেরে যাবে। এছাড়াও এতে মাড়ি শক্ত হয়। আবার মাড়িতে কোনো ঘা থাকলে এই পাতার ক্বাথ দিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে সেরে যায়।

১৬. মাথা ব্যথা সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়। তারা কালোকেশীর রস দুই ফোঁটা নাকের ভিতরে ও কপালে মালিশ করলে ব্যথা দূর হয়।

১৭. শরীরের কেটে যাওয়া স্থানে কালোকেশীর পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।

১৮. দৈনিক কালোকেশী পাতার রস ১ চা চামচ আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে পাতা খেলে খেলে সেটা রক্তস্রোত থেকে সব ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।

১৯. কালোকেশী পরিবেশে কোনও প্রতিকূল প্রভাব ছাড়াই মশার লার্ভা প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। দু চা চামচ কালোকেশী এর কাঁচা রস ৫০০ এম এল পানির সাথে মিশিয়ে আপনার ঘরের ভিতর ও বাহিরে স্প্রে করে মশার আক্রমন হতে রক্ষা পেতে পারেন।

২০. কালোকেশী পাতা পরিবেশে কোনও প্রতিকূল প্রভাব ছাড়াই মশার লার্ভা প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। দু চা চামচ কালোকেশী এর কাঁচা রস ৫০০ এম এল পানির সাথে মিশিয়ে আপনার ঘরের ভিতর ও বাহিরে স্প্রে করে মশার আক্রমন হতে রক্ষা পেতে পারেন।

২১. কালোকেশী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

২২. এটি লিভার টনিক হিসেবে কাজ করে থাকে। লিভারের যেকোন সমস্যায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে।

২৩. কালোকেশী পাতার রস নিয়মিত ১ চা চামচ আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।

২৪. লিভারের সুরক্ষায় কালোকেশী বিদ্যমান অ্যামিডোপাইরিন এন-ডিমথাইলিন গ্লুকোজ-৬ ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে লিভার এ্যাবসেস, লিভার সিরোসিস, লিভারের প্রদাহ, জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে। লিভার টনিক হিসেবে কাজ করে।

২৫. দৈনিক কালোকেশী পাতার রস ১ চা চামচ আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে পাতা খেলে খেলে সেটা রক্তস্রোত থেকে সব ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।

২৬. নিয়মিত ২ চা চামচ পরিমাণ কালোকেশীর রস সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোকেশীর রস ব্লাড সুগার লেভেল ও গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কমায় এবং গ্লুজোজ-৬ ফসফেট এবং ফ্রুকটোজ ডাইফসফেট এর কার্যকারিতা কমায় ও লিভারের হেক্রোকিনেজ এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

২৭. যাদের মাথা অল্পতেই গরম হয়ে যায় তাদের জন্য কালোকেশীর হতে পারে অনন্য সমাধান। ভৃঙ্গরাজর পাতা বেটে মাথায় প্রলেপ লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে মাথা ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং মাথাব্যথা কমে যায়।

২৮. কালোকেশী তেল ত্বকের শুস্কতা দূর করে ত্বক হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করতে পারে। কালোকেশী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সমৃদ্ধ, তাই এটি ত্বকের প্রদাহ যেমন ব্রণের চিকিৎসা করতে সহায়তা করে।

২৯. কালোকেশী কাশির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের কাশির সমস্যা আছে তারা কালোকেশীর কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কাশি উপশম হয়।

চুলের যত্নে কালোকেশী তেলের উপকারিতা

চুলের যত্নে কালোকেশী তেলের উপকারিতা অপরিহর্য। চুল ভালো রাখার জন্য এই কালোকেশীর তেল আপনি লাগাতেই পারেন। এতে আপনার চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে। এমনকী চুলে অসময়ে পাক ধরলেও এই কালোকেশী তেল ব্যবহার করতে পারেন আপনি। হাতের তালুতে এই তেল নিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে মাসাজ করুন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। গোসলের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে এই তেল আপনার চুলে লাগাতে পারেন।
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-তেলের-উপকারিতা
চুল বাড়তে সাহায্য করেঃ ভৃঙ্গরাজ তেল আপনার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার চুলের ফলিকলকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে চুলের বৃদ্ধি হয় চোখে পড়ার মতো। সার্কুলার মোশনে অন্তত ১০ মিনিট ভালো করে তেল মালিশ করতে হবে। এতে ভালো ফল পাবেন আপনি।

চুল পড়া কম করেঃ যদি দুশ্চিন্তার কারণে আপনার অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়ে, তাহলে এই ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারেন আপনি। উপকার পাবেনই। কারণ, ভৃঙ্গরাজ তেল মাথায় মালিশ করে মাথা ঠান্ডা হয়। আপনি মানসিক শান্তি অনুভব করতে পারেন। এবং এর মধ্য়ে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল, যা সহজেই চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। তাই আপনি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এই প্রাকৃতিক উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

চুল কালো করেঃ ভৃঙ্গরাজ উদ্ভিদে হরিটাকি এবং জাটামানসি নাম দুটি উপাদান থাকে যা চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে অত্যন্ত উপকারী।ছোট বেলাতে নেড়া হয়ে গেলে মায়েরা এই পাতার রস করে মাথায় লাগিয়ে দিত। এতে নাকি চুল কালো। আসলেই সত্য ভৃঙ্গরাজ তেল বা পাতার রস নিয়মিত ব্যবহার ধূসর চুল কালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভ্রিংরাজ চুল ধূসর হওয়ার প্রক্রিয়াটি ধীরগতিতে বা প্রতিরোধ করতে পারে।

খুশকির সমস্যা সমাধান করেঃ স্ক্যাল্পে ইনফেকশনের কারণেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে। সে কারণে স্ক্যাল্পে চুলকানি হয়। জ্বালাভাব হতে পারে। এমনকী খুশকির সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনি ভৃঙ্গরাজ তেল ব্যবহার করতে পারেন। ভৃঙ্গরাজ তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। যা খুশকির সমস্যা কমাতে পারে। এমনকী ড্রাই স্ক্যাল্পের সমস্যাও সমাধান করে।

চুলের অকালপক্কতা রোধ করেঃ অনেকেরই নানা কারণে অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরতে থাকে। হ্যাঁ, এই কথা ঠিক যে, প্রাকৃতিক কারণে একটা সময়ের পর আপনার চুলে পাক ধরবেই। কিন্তু সময়ের আগেই যদি চুলে পাক ধরে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ হতে পারে। তাই আপনি চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে এই ভৃঙ্গরাজ তেল ব্যবহার করতেই পারেন। আপনি আমলকি তেলের সঙ্গে এই ভৃঙ্গরাজ তেল মিশিয়ে একটি তেল বানিয়ে নিতে পারেন। তা আপনার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। উপকার পাবেনই।

ছত্রাক প্রতিরোধীঃ প্রতিদিন এর রস সংগ্রহ করা না গেলে বা কম পাওয়া গেলে, এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিলের তেল বা নারকেলের তেল সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলেও সমান উপকার পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এই উদ্ভিদ ছত্রাকরোধী বা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসাবে প্রমাণিত।

চুলের গোড়া মজবুত করেঃ স্ক্যাল্পে চুলের গোড়ায় এই তেল মালিশ করা উচিত। যা আপনার হেয়ার ফলিকলকে পুষ্টি জোগান দেবে। এবং আপনার চুলকে আরও মজবুত করবে।

উকুননাশকঃ কেশরাজের পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত

মাথার ত্বককে প্রশমিত করেঃ ভেষজটির মাথার ত্বকে শীতল প্রভাব রয়েছে, যা চুলকানি, জ্বালা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। চুলের যত্নের জন্য কেশরাজপাতা ব্যবহার করতে, আপনি এটিকে একটি পরিপূরক হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন বা তেল বা চুলের মাস্ক আকারে মাথার ত্বকে এটি প্রয়োগ করতে পারেন।

যাইহোক, কোনও নতুন ভেষজ বা সম্পূরক ব্যবহার করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা একজন আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারীর সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার কোনও অন্তর্নিহিত চিকিৎসা শর্ত থাকে বা কোনও ওষুধ সেবন করেন।

কালোকেশীর তেল তৈরি করার নিয়ম

কালোকেশীর তেল তৈরি করার করার সঠিক নিয়ম কি সেটা হয়ত অনেকেই জানেন না। সৌর্ন্দযের অন্যতম অংশ হলো চুল। চুল পড়া বন্ধে নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেছেন। আর শেষমেশ ডাক্তারের কাছে গিয়েও মিলছে না সমাধান। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি যাদুকরী তেলের রেসিপি যা তাৎক্ষণিকভাবে চুল পড়া রোধ করবে। জেনে নিন কালোকেশীর তেল তৈরি করার করার সঠিক নিয়মঃ

একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল গরম করতে হবে। এবার কিছুটা কাটা কালোকেশীর পাতা নিন এবং যদি পাতা না পান তবে এক চামচ কালোকেশীর গুঁড়া ব্যবহার করুন। এরপরে এক চা চামচ মেথি দানা যোগ করুন এবং পাঁচ মিনিটের মতো মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন। পাচঁ মিনিট হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন এবং মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই তেলটি সপ্তাহে দু'বার আপনার চুলে লাগান। আধ ঘন্টা এটি রেখে দিন এবং তারপরে চুলগুলি শ্যাম্পু করুন।

কার্যকারিতাঃ

  • চুল পড়া কমায়।
  • নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • মাথার খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে ।
  • চুল শক্ত ও মজবুত করে।
  • চুলের আগা ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
  • চুল ঝলমলে এবং মোলায়েম করে।
  • চুল দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।
  • চুল পাকা রোধ করে এবং পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে।

কালোকেশী পাতার রসের গুণাগুণ

কালোকেশী উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল সবকিছুই ব্যবহার করা হয়। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান। আপনি চুলের যত্নে এই পাতা নানা উপায়ে কাজে লাগাতে পারেন। আবার এই পাতা দিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়েও চুলে লাগালেও উপকার পাবেন হাতেনাতে। জেনে নিন কালোকেশী পাতার রসের গুণাগুণঃ

  • পাতলা চুল ঘন করতে এই পাতার গুণাগুণ অপরিসীম। আসলে কালোকেশী পাতার রস আপনার স্ক্যাল্পের অন্দরে হেয়ার ফলিকলগুলিকে সক্রিয় করে, বাড়ায় রক্ত সঞ্চালনও। স্বাভাবিকভাবেই চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো।
  • কালোকেশী পাতায় উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল চুল পড়া কমাতে সিদ্ধহস্ত। এছাড়াও দুশ্চিন্তা সম্পর্কিত হেয়ার ফল কমানোর ক্ষেত্রেও এই পাতার তেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।ভৃঙ্গরাজ তেল মালিশে দুশ্চিন্তা কমে। স্বাভাবিকভাবেই হেয়ার ফলও চলে আসে নিয়ন্ত্রণে।
  • কালোকেশী পাওয়া যায় ভিটামিন ডি, ই এবং আয়রন। এই তিন উপাদানই চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • কালোকেশী পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ক্যাল্পের অন্দরে ফ্রি ব়্যাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
  • স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতেও কালোকেশী পাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই নিয়মিত কালোকেশী পাতার রস লাগালে খুশকির সমস্যাও দূর হবে।
  • এই পাতা তুলে আনার পরে ভালো করে ধুয়ে নিন। পাতাগুলি ছাড়িয়ে আলাদা করে রাখুন। তারপর পাতাগুলি ভালো করে বেটে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। সেই পেস্ট আপনি সরাসরি স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন।

ব্যবহারে পদ্ধতি

কালোকেশী পাতার রস সরাসরি আপনি স্ক্যাল্পে লাগাতেই পারেন। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার মাস্ক হিসেবেও। সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন ২ টেবিল চামচ কালোকেশী পাউডার এবং আমলকী পাউডার। একটি পাত্রে দুটি উপকরণ সম পরিমাণে নিয়ে তার মধ্য়ে মিশিয়ে দিন ঘরে তৈরি টক দই। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে বানিয়ে নিন ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক। এটি চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগান। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ দিন এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করবেন না যেন, তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু বাড়বে।

কালোকেশী গাছ চিনার উপায়

কালোকেশী গাছ অত্যন্ত উপকারী একটা ঔষধি গাছ। এই গাছ থেকে কালো একধরনের রস বের করা হয়, যা চুলকে আরো কালো করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই গাছের রস চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এই কালোকেশী গাছকে অনেকে আবার কেসুতি, কেশরাজ প্রভৃতি নামে চিনে। আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা কালোকেশী উদ্ভিদটিকে চিনে না। জেনে নিন কালোকেশী গাছ চিনার উপায় সম্পর্কেঃ

কালোকেশী বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শাখা লতানো। এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি.। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপরীতভবে বা একান্তরভাবে বের হয়। কালোকেশীর পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি. চিকন।

পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২-৩ টি ফুল ফোটে। কালোকেশীর ফুল অনেকগুলো সাদা সাদা রঙের পরাগনালী বিশিষ্ট হয়ে থাকে। ফল গাঢ় সবুজ প্লটের মতো। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ থাকে। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মতো। এই ফল ফেটে বীজ পড়ে মাটিতে আপনাআপনি চারা গজায়।

কালোকেশীকে অনেকেই ভৃঙ্গরাজের সাথে মিশিয়ে ফেলেন। কিন্তু কালোকেশী ফুলের রং সাদা এবং ভৃঙ্গরাজ এর ফুলের রং মওসুম ভেদে তিনটি রং এর হয়। এই ভেষজটি কটুতিক্ত ও হালকা কষ স্বাদযুক্ত। ভৃঙ্গরাজের প্রজাতি লক্ষ্য করা যায়। একটির ফুল নীল, একটির সাদা এবং অন্যটির ডাঁটা একটু লালচে, ৩.৪ সে.মি. থেকে ৯.৫ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। বর্ষাকালে হলুদ রংয়ের ফুল হয় এবং শরৎকালে ফল হয়। এ ডাঁটার প্রতি গিরা থেকে দুটি করে বিপরীতমূখী পাতা বের হয়। পাতার কিনারা হালকা খাঁজকাটা। পাতার আকৃতি লম্বাটে বর্ষাকৃতি, অমসৃণ ও খসখসে।

চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে শেষকথা

চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে শেষকথা হলো কালোকেশি বিভিন্ন দেশে ঐতিহ্যগত ওষুধ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় বিশেষ করে ত্বক, যকৃত এবং পেটের সমস্যা এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য। কালোকেশীতে বিভিন্ন প্রকার কমোস্টেনস, ভিডালেকটন, ডাইমিথাইলভিডালেকটন, পলিপ্যাপটাইড, পলিসাইটোলিনস, স্টেরয়েড, ফ্ল্যাভিনয়েড, ট্রিটারপিন রয়েছে।

সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের জন্য চুলের যত্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর চুলের যত্নে মানুষ প্রাচীনকাল থেকে যে ভেষজটি ব্যবহার করে আসছে তার নাম কেশরাজ বা কালোকেশী। অতএব আশা করছি চুলের যত্নে কালোকেশী পাতার উপকারিতা, এর ব্যবহার ও গুনাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url