থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। থানকুনি পাতার গুণাগুন ও এর উপকারিতা জানতে হলে আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। থানকুনি পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত উদ্ভিদও এটি। একাধিক ভেষজগুণে সমৃদ্ধ থানকুনি পাতার রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক থানকুনি পাতার বিভিন্ন ধরনের গুনাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- থানকুনি পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতার উপকারিতা
- ত্বক ও চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
- থানকুনি পাতার রেসিপি
- থানকুনি পাতার অপকারিতা
- থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে মেষ মন্তব্য
থানকুনি পাতার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সুস্থ থাকার জন্য আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হয়ে চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিতে। অনেক ভেষজ উপাদান রয়েছে যেগুলো বিশেষভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি উপাদান হলো থানকুনি পাতা। হালকা তেতো স্বাদের এই পাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্ডিয়ান পেনিওয়ার্ট।
আরও পড়ুনঃ চিয়া সীড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবী লতা উদ্ভিদ যেটা পুকুর এবং জলাভূমির আশেপাশে পাওয়া যায়। এটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপেও জন্মে। থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় ভাবে। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়। জেনে নিন থানকুনি পাতার উপকারিতা-
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিঃ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাক্লিক ট্রিটারপেনস নামের একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে ব্রেনসেল ভালোভাবে কাজ করতে পারে। স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ আমাদের প্রত্যেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, কারও কম কারও বেশি। কিন্তু আমরা এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করে থাকি। আমরা যদি এ ধরনের ঔষধ থেকে বিরত হয়ে একটি ঔষধি গাছ থেকে ঔষধ গ্রহন করি তাহলে খুব উপকারে আসে।
আরওঃ পড়ুনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই ওষুধ হিসেবে গ্যাস্ট্রিকের জন্য থানকুনি পাতা বিশেষ উপকার নিয়ে আসে। এটি আপনারা খুব সহজেই করতে পারবেন। আর এই থানকুনি পাতা সেবন করলে আপনার দেহের অন্য কোন অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি করবে না। থানকুনি পাতার রসের সাথে হাফ লিটার দুধ এবং সামান্য মিশ্রি একসাথে মিশিয়ে সেবন করলে আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকাল বেলা এই মিশ্রণ থেকে ১ থেকে ২ চামচ সেবন করলে আপনারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাসিকের সমস্যায়ঃ মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হলে যেমন মাসে ২-৩ বার হয়। আবার ২-৩ মাস পর পর হয় সে সময় এই পাতার রস করে সপ্তাহ খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। আবার মাসিকের রক্তক্ষরণ বেশি হলে, সেই সময় থানকুনির মূল ও ২১ টি থানকুনি পাতা তুলে ৫টি গোল মরিচ একটু আদা একত্রে রস করে মাসিক হওয়ার আগে তিন সপ্তাহ খেতে হবে। আবার সন্তান হওয়ার পর যদি বেশি রক্তক্ষরণ হয় এবং ৪০ দিনের পরও রক্তভাঙ্গে তখন এই একই নিয়মে খেতে হবে।
কাশি রোদঃ যাদের অনেকদিন ধরে কাশি হচ্ছে কিন্তু সহজে তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তাদের জন্য থানকুনি পাতার রস অন্যরকম ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ২ চা চামচ থানকুনি পাতার রস চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।এই সেবন প্রক্রিয়া এক সপ্তাহ চালিয়ে গেলে শুকনো কাশি সহ অন্যান্য সকল কাশি জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
জ্বর কমায়ঃ আমরা সকলেই জানি যে এক ঋতু থেকে অন্য ঋতুতে প্রকৃতি পরিবর্তনের সময় জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এই সময় থানকুনি পাতার রস খেলে এ ধরনের জ্বর থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। তার জন্য এক চা-চামচ থানকুনি পাতার রস এবং এক চা-চামচ শিউলি পাতার রস একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে সেরে যায় এবং শরীরের দুর্বলতা কমে যায়।
আমাশয় প্রতিরোধ করেঃ যাদের আমাশয় সমস্যা রয়েছে তারা যদি এক সপ্তাহ খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খেয়ে থাকে তাহলে সারা জীবনের জন্য আমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর এই থানকুনি পাতার রসের সাথে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশ্রিত করে প্রতিদিন দুই চামচ করে সেবন করলে পেটের যেকোন সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।
মাসিকের সমস্যায়ঃ মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হলে যেমন মাসে ২-৩ বার হয়। আবার ২-৩ মাস পর পর হয় সে সময় এই পাতার রস করে সপ্তাহ খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। আবার মাসিকের রক্তক্ষরণ বেশি হলে, সেই সময় থানকুনির মূল ও ২১ টি থানকুনি পাতা তুলে ৫টি গোল মরিচ একটু আদা একত্রে রস করে মাসিক হওয়ার আগে তিন সপ্তাহ খেতে হবে। আবার সন্তান হওয়ার পর যদি বেশি রক্তক্ষরণ হয় এবং ৪০ দিনের পরও রক্তভাঙ্গে তখন এই একই নিয়মে খেতে হবে।
কাশি রোদঃ যাদের অনেকদিন ধরে কাশি হচ্ছে কিন্তু সহজে তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তাদের জন্য থানকুনি পাতার রস অন্যরকম ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ২ চা চামচ থানকুনি পাতার রস চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।এই সেবন প্রক্রিয়া এক সপ্তাহ চালিয়ে গেলে শুকনো কাশি সহ অন্যান্য সকল কাশি জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
জ্বর কমায়ঃ আমরা সকলেই জানি যে এক ঋতু থেকে অন্য ঋতুতে প্রকৃতি পরিবর্তনের সময় জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এই সময় থানকুনি পাতার রস খেলে এ ধরনের জ্বর থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। তার জন্য এক চা-চামচ থানকুনি পাতার রস এবং এক চা-চামচ শিউলি পাতার রস একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে সেরে যায় এবং শরীরের দুর্বলতা কমে যায়।
আমাশয় প্রতিরোধ করেঃ যাদের আমাশয় সমস্যা রয়েছে তারা যদি এক সপ্তাহ খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খেয়ে থাকে তাহলে সারা জীবনের জন্য আমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর এই থানকুনি পাতার রসের সাথে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশ্রিত করে প্রতিদিন দুই চামচ করে সেবন করলে পেটের যেকোন সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।
পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করেঃ থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি পেট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য প্রথমে পরিষ্কার ও তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন। এরপর সেই পানি একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। এরপর তার সঙ্গে যোগ করুন মধু। পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করুন।
হজমের সমস্যা দূর করেঃ হজমে সমস্যা হলে তাজা থানকুনি পাতা এক চিমটি লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়মিত পান করুন। কারণ হজমশক্তি ভালো করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য থানকুনি পাতার এই পানীয় ভীষণ উপকারী।
পেট এবং লিভার ভালো রাখেঃ যারা পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এভাবে নিয়মিত খেলে তা আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটোই ভালো রাখবে।
ক্ষত নিরাময় করেঃ যেকোনো ক্ষত দ্রুত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন থানকুনি পাতা। এর আছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা খুব তাড়াতাড়ি ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ক্ষত নিরাময়ের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং ত্বকের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য শুকনো থানকুনির গুঁড়া দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করুন।
আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি দেয়ঃ যারা আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। বাতের চিকিৎসার অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে বাতের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন অনেকটাই।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ প্রতিদিন সকালে থানকুনি পাতার রস খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোথাও কেটে গেলে সেখানে থানকুনি পাতা বেটে লাগিয়ে দিলে অনেকাংশে সেই ক্ষত সেরে যায়।
কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ সারাতে কাজ করেঃ মধুর সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে তা সহজেই কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য অসুখ সারাতে সাহায্য করতে পারে। তুলসি ও গোল মরিচ দিয়ে থানকুনি পাতা খেলে তা ঠান্ডা এবং জ্বরও নিরাময় করে। গলা ব্যথা এবং কাশি নিরাময়ের জন্য, থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি সপ্তাহখানেক ধরে খেলে উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে? নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি যদি খাবারের তালিকায় থানকুনি পাতা রাখেন তবে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ কার্যকরী থানকুনি পাতা। যা এই মহামারির সময়ে আরও বেশি জরুরি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করুন। এটি শিশুকে খাওয়ানোও উপকারী।
অনিদ্রা দূর করেঃ অনিদ্রার সমস্যা আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ করে দেয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ঘুম জরুরি। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা দূর করার জন্য খেতে পারেন থানকুনি পাতা। প্রতিদিন দুইবার ২-৪ চামচ থানকুনির রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে দ্রুত।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ আমরা নারীরা সকলেই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে থাকি। আর এই অন্যতম উপাদান গুলোর মধ্যে থানকুনি পাতা মুখ্য ভূমিকা রাখে। থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি এসিড এবং ফাইটোকেমিক্যাল। যা ত্বকের পুষ্টি বজায় রাখে এবং ত্বকের বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। থানকুনি পাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে।
চুল পড়া কমায়ঃ যদি অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকে তবে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা।যাদের চুল অধিক পরিমাণে ঝরে পড়ে এবং নতুন চুল গজায় না তাদের জন্য থানকুনি পাতা অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আর এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার থানকুনি পাতা বেটে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখলে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকেঃ অনেকের থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। এছাড়াও অনেকের দেহেই অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ থাকে। ফলে শরীরের প্রতি কোশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়। ফলে অনেক সমস্যার উপশম হয়। হাত ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া এসব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রক্ত জমাটঃ থানকুনি পাতার মধ্যে থাকে নানা রকম খনিজ উপাদান, যা তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যে কারণে অনেক জটিল রোগ থেকে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেওয়া একদম উচিত নয়। কারণ এর ফলে হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। অন্য অঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করে রাখবেন।
মানসিক অবসাদঃ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য খুব উপকারী থানকুনি পাতার রস। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুটাই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়।
শরীরের ভেতরের জ্বালা কমায়ঃ কোনও কারণে শরীরের ভেতরে কোনও ক্ষত হলে নানা রকম সমস্যা হয়। জ্বর, ক্লান্তি এসব আসতেই পারে। এর সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমনকী খিদে কমে যাওয়া, পেশির ব্যথা এগুলোও থাকে। থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা, যন্ত্রণা কমে যায়। এছাড়াও ক্লান্তি ভাব দূর হয়। সেই সঙ্গে অনেক রকম ইনফেকশন থেকেও দূরে রাখে।
ডিটক্সিফিকেশনঃ গাজর কিংবা পাতিলেবুর রস শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। কিন্তু থানকুনি পাতা যে খুব ভালো ডিটক্সিফিকেশন করে তা কি জানতেন? প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু, মিশিয়ে খান। যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে। শরীর থাকবে ফুরফুরে।
রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকেঃ অনেকের থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। এছাড়াও অনেকের দেহেই অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ থাকে। ফলে শরীরের প্রতি কোশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়। ফলে অনেক সমস্যার উপশম হয়। হাত ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া এসব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রক্ত জমাটঃ থানকুনি পাতার মধ্যে থাকে নানা রকম খনিজ উপাদান, যা তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যে কারণে অনেক জটিল রোগ থেকে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেওয়া একদম উচিত নয়। কারণ এর ফলে হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। অন্য অঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করে রাখবেন।
মানসিক অবসাদঃ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য খুব উপকারী থানকুনি পাতার রস। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুটাই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়।
শরীরের ভেতরের জ্বালা কমায়ঃ কোনও কারণে শরীরের ভেতরে কোনও ক্ষত হলে নানা রকম সমস্যা হয়। জ্বর, ক্লান্তি এসব আসতেই পারে। এর সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমনকী খিদে কমে যাওয়া, পেশির ব্যথা এগুলোও থাকে। থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা, যন্ত্রণা কমে যায়। এছাড়াও ক্লান্তি ভাব দূর হয়। সেই সঙ্গে অনেক রকম ইনফেকশন থেকেও দূরে রাখে।
ডিটক্সিফিকেশনঃ গাজর কিংবা পাতিলেবুর রস শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। কিন্তু থানকুনি পাতা যে খুব ভালো ডিটক্সিফিকেশন করে তা কি জানতেন? প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু, মিশিয়ে খান। যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে। শরীর থাকবে ফুরফুরে।
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
থানকুনি পাতা খাওয়ার বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। তবে আপনারা রোগের কারণ বিশ্লেষণ করে থানকুনি পাতা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। যেমনঃ থানকুনি পাতার রস, ভর্তা, ভাজি, সালাদ ইত্যাদি। এছাড়া থানকুনি পাতা সংরক্ষণ করার জন্য আপনারা থানকুনি পাতা ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে এর পাউডার তৈরি করে নিতে পারেন। পেটের পীড়া জনিত সমস্যায় থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন। চলুন থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নিই-
১. থানকুনি পাতার রসঃ থানকুনি পাতার রস সরাসরি পান করলে এটি অভ্যন্তরীণভাবে কার্যকর হয়।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- কিছু তাজা থানকুনি পাতা সংগ্রহ করুন।
- ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
- একটি ব্লেন্ডারে পানি দিয়ে পাতা ব্লেন্ড করে রস তৈরি করুন।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই রস পান করুন।
২. থানকুনি পাতার চাঃ থানকুনি পাতার চা একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পানীয়।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- তাজা বা শুকনো থানকুনি পাতা নিন।
- ফুটন্ত পানিতে পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট ধরে ফুটান।
- চায়ে মধু ও লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
- ছেঁকে গরম গরম পান করুন।
৩. থানকুনি পাতার পেস্টঃ থানকুনি পাতার পেস্ট চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- তাজা থানকুনি পাতা ধুয়ে নিন।
- পাতাগুলো ব্লেন্ডারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন।
- এই পেস্ট ত্বকে বা চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
- ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. সালাদে থানকুনি পাতাঃ তাজা থানকুনি পাতা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- তাজা থানকুনি পাতা ধুয়ে কেটে নিন।
- প্রিয় সালাদ উপকরণগুলোর সাথে মিশিয়ে নিন।
- উপরে লেবুর রস, অলিভ অয়েল, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে পরিবেশন করুন।
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতার উপকারিতা
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন, এই উপেক্ষিত পাতা কিন্তু কিছু অত্যন্ত উপকারী ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। থানকুনি পাতায় এমন ভেষজ গুণ রয়েছে যা নিয়মিত খেলে পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকবেই, অনিদ্রা দূর করে, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়।
থানকুনি পাতাতে এশিয়াটিকোসাইড, এশিয়াটিক অ্যাসিড, ব্রাহ্মোসাইড, ব্রাহ্মিক অ্যাসিড, ম্যাডেক্যাসোসাইড, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, পেন্টাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েড, সেন্টেলোজ ও সেন্টেলোসাইড বিদ্যমান। আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে। ত্বকের ওজ্জ্বল্য বাড়ায় থানকুনি পাতা৷ প্রতিদিন থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় বড় রোগের থেকে জয় পাওয়া সম্ভব ৷ দেখে নেওয়া যাক পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতার ভেষজ গুণাগুন গুলো কি কিঃ
পেটের সমস্যা দূর করেঃ পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পেটের দোষ বা মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কার ভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪-৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়। বেগুন অথবা পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার, আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে ৫-৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।
ডায়রিয়া ভালো করেঃ পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও (অনেক সময় এই পাতাটিকে কাজে লাগানো হয়ে যাকে কোথাও কেটে গেলে সেখানে যদি অল্প করে থানকুনি পাতা থেঁতো করে লাগানো যায়, তা হলে দারুণ উপকার পাবেন। এই পাতায় রয়েছে সেপোনিনস নামে একটি উপাদান, যা ক্ষতস্থানে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে ক্ষত শুকিয়ে যেতে সময় লাগে না। ক্ষতস্থানে কোনও ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষধি এই থানকুনি পাতা। এই পাতার রস যদি দিনে দু’বার করে খাওয়া যায় তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ এই পাতা হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এই পাতার বেশ কিছু উপাদান হজমের সহায়ক অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়। এর ফলে বদ হজমের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে কমে।
জ্বরের আশঙ্কা কমায়ঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে অনেকেরই জ্বর হয়। এই সময়ে নিয়মিত সকালবেলা খালি পেটে এক চামচ করে থানকুনি পাতার রস এবং শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর আশঙ্কা কমে যায়।
কাশি দূর করেঃ দু’চামচ করে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প পরিমানে চিনি মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। টানা এক সপ্তাহ খেলে কাশি পুরোপুরি দূর হয়ে যায়।
স্মৃতিশক্তি উন্নত করেঃ থানকুনি পাতায় থাকে বেকোসিড এ ও বি। বেকোসিড বি মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেনটেসাইক্লিক ট্রিটারপেনস নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
যে কারণে ব্রেন সেলের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পড়ার মতো। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বয়স্ক মানুষরাও যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খান, তা হলে শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করেঃ রাতে কি ঠিক মতো ঘুম হয় না? তা হলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন থানকুনি পাতা। দেখবেন, উপকার (মিলবে একেবারে হাতে-নাতে। কারণ, এতে রয়েছে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায়। সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূরে পালাতে সময় লাগে না। বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে।
শরীরকে বিষমুক্ত করেঃ নানা ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা টক্সিক উপাদানদের যদি সময় থাকতে-থাকতে বের করে দেওয়া না যায়, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ, সেক্ষেত্রে এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলির কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠা মাত্র ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে যদি ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
মানসিক অবসাদ দূর করেঃ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়। এমন ধরনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাদের নিয়মিত করে খেতে হবে থানকুনি পাতার রস, তা হলেই মিলবে উপকার। কারণ, এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে।
ফলে অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এমনকী, স্ট্রেস লেভেলও যেমন কমে, তেমনই বারে-বারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের কবলে পড়ার আশঙ্কাও কমে। মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
ত্বক ও চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা
ত্বক ও চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা ব্যপক। আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা ত্বক ও চুলের যত্নে ফেরাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আর সেইসব উপকারী প্রাকৃতিক উপাদানের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে ত্বক ও চুলের জেল্লা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে মানব দেহের নানান সমস্যা চলে আসবে নিয়ন্ত্রণে। তাহলে জেনে নিন ত্বক ও চুলের যত্নে কিভাবে কাজ করে থানকুনি পাতাঃ
কোলাজেন উৎপাদনেঃ ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল কোলাজেন। চামড়ায় টান টান ভাব বজায় রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে কোলাজেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদনের হার কমতে থাকে। বাইরে থেকে কোলাজেন দেওয়া ক্রিম মাখার চেয়ে ভিতর থেকে সেই প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলাই ভাল। কোলাজেন সিন্থেসিস প্রক্রিয়ার সাহায্য করে এই থানকুনি পাতা। সপ্তাহে তিন দিন এই পাতার রস খেতেই পারেন। মুখে মাখতে পারলে আরও ভাল।
ত্বকের সতেজতায়ঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই থানকুনিপাতার নির্যাসসমৃদ্ধ সৌন্দর্যপণ্য ক্লান্ত ভাব দূর করে আমাদের ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়ঃ থানকুনি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি পাওয়া যায়। এই দুই ভিটামিন ত্বকের জন্যে খুব-ই উপকারী। ভিটামিন বি ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখে আর সি ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এছাড়াও এই পাতায় উপস্থিত আয়রন ও অন্যান্য় উপকারী মিনারেল ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
স্ট্রেচ মার্ক থেকে মুক্তি পেতেঃ ত্বকের পেশি ক্রমাগত সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত হওয়ার ফলে ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে। ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হলে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। ত্বক আগের মতো টানটান করতে বাড়িয়ে তুলতে পারে থানকুনি পাতা।
ব্রণের উপদ্রব কমাতে এবং দাগ দূর করতেঃ অতিরিক্ত সিবাম (ত্বকের স্বেদগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত রস) নিঃসরণ, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি (প্রদাহরোধী) উপাদান ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। শুধু তা–ই নয়, ব্রণের দাগ দূর করতে থানকুনির নির্যাস দারুণ উপকারী।
ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেঃ থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং সক্রিয় উপাদান ম্যাডেকাসসাইড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এতে দূষণ ও সূর্যের রশ্মির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। শুধু তা–ই নয়, এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ত্বকের বলিরেখা রোধ করতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে কোলাজেন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ক্ষত দূর করতেঃ থানকুনির ম্যাডেকাসসাইড ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ত্বককে ভেতর থেকে ঠান্ডা ও প্রশান্ত করে। এতে ত্বকে সতেজ ভাব ফুটে ওঠে।
ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা ধরে রাখতেঃ থানকুনির অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোক্যামিকেল ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক থাকে কোমল এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কম দৃশ্যমান হয়।
চুলের যত্নেঃ থানকুনি পাতার পরিচয় নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ির আশপাশে আগাছায় বেড়ে ওঠা এই পাতা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তেমনই হজমক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলাভার। এসবের পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও উপকারী ভূমিকা রয়েছে এই পাতার। কী ভাবে ব্যবহার করবেন এবং কী উপকার পাবেন জেনে নিন।
চুল পড়া কমাতেঃ যারা সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন থানকুনি পাতা খান তাদের মাথার স্কাল্পের ভেতরে যথেষ্ট পুষ্টি সাধনের ফলে মাথা থেকে চুল পড়ার মাত্রা অনেক কমে যায়। তাই যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা চুল পড়া কমাতে থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। এজন্য কিছু থানকুনি পাতা থেঁতো করে এর সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
পেস্টটা চুলে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। আনুমানিক ১০ মিনিট পরে চূল ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করলে অবিশ্বাস্য্ উপকার পাবেন। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল করেঃ থানকুনি পাতা ব্যবহারে চুলের মসৃণতা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ, যেমন ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, দূর করতে কার্যকর। এবং এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ চুলকে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতেঃ চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। ফলে মাথায় নতুন চুল গজায়। অকালপক্বতা রোধ করে। চুল ঝরে পড়া আটকাতেও সাহায্য করে।
স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমেঃ থানকুনি পাতাতে রয়েছে অ্য়ান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা স্ক্যাল্পের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই এই পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের সংক্রমণও কমে।
খুশকি নিয়ন্ত্রনেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ যা মাথার ত্বকের খুশকি কমাতে সাহায্য করে। চুলের খুশকি দূর করতে আপনি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। এটি স্ক্যাল্পে লাগানোর পরে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ১-২ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলকে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা ও অতিরিক্ত খুশকি দূর করতেও এই পাতার উপকারিতা ব্যপক।
গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা কি সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য সঠিক পুষ্টি ও সুস্থতা বজায় রাখতে থানকুনি পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও গর্ভাবস্থায় যে কোনো ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলোঃ
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়ঃ গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়তে পারে এটা স্বাভাবিক। এই সময় থানকুনি পাতার রস সেবন করলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, কারণ এতে রয়েছে অ্যাডাপ্টোজেনিক গুণাগুণ, যা মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করেঃ থানকুনি পাতা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে যা গর্ভাবস্থায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত রক্ত সঞ্চালন মা এবং শিশুর উভয়ের জন্য পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং সঠিকভাবে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়ক।
পেটের সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক নারী পেটের সমস্যায় ভোগেন যেমন, বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। থানকুনি পাতা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটের অস্বস্তি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তি উন্নতঃ থানকুনি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যথা উপশম করেঃ থানকুনি পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথার সংকেতগুলিকে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ ব্যথা, যেমন পিঠে ব্যথা এবং কোমরে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
ক্ষত নিরাময় করেঃ থানকুনি পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ ক্ষত, যেমন প্রসব ছিদ্র বা কেটে যাওয়ার ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে, গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে থানকুনি পাতায় কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় সমস্যার কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে থানকুনি পাতায় থাকা কিছু উপাদান জরায়ুর সংকোচন বা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতা খুব কাজে দেয়। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় অনেকখানি। ইদানিং সবাই ভেষজ জিনিসে ঝুঁকছে। কারণ কৃত্তিম জিনিস আসলে শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। হাতের নাগালে অনেক কিছুই চোখে পড়ে কিন্তু ব্যবহারবিধি না জানার কারণে তা অগোচরেই থেকে যায়। তেমনি একটি প্রাকৃতিক জিনিস থানকুনি পাতা। এটি খেলে আপনার বয়স কমে যাবে।
১. এইতো শীত আসছে। আপনার চামড়ায় শুষ্কতা দেখা দেবে। এসময় মৃতকোষের ফলে শুষ্ক হয়ে যায় চামড়া। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলোকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
২. পেটের রোগ থেকে বাঁচতে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
৩. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
৪. থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৫. এটি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৬. পুরনো ক্ষত সারাতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার পানি লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
১. এইতো শীত আসছে। আপনার চামড়ায় শুষ্কতা দেখা দেবে। এসময় মৃতকোষের ফলে শুষ্ক হয়ে যায় চামড়া। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলোকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
২. পেটের রোগ থেকে বাঁচতে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
৩. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
৪. থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৫. এটি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৬. পুরনো ক্ষত সারাতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার পানি লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া কমিয়ে দেয় এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. যৌবন ধরে রাখতে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতে থানকুনি পাতার কার্যকরি ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে কয়েক সপ্তাহে ফিরে আসবে যৌবন।
১০. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনি পাতা খুবই উপকারি। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় খুব তাড়াতাড়ি।
থানকুনি পাতা সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
আপনারা যারা সচোরাচর যে প্রশ্নগুলা গুগলে কিংবা কোনো ওয়েব সাইটে এসে সার্চ করে থাকেন তার সংক্ষেপে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো। যা থানকুনি পাতা সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সংক্ষিপ্ত ধারনা লাভ করতে পারবেনঃ
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ থানকুনি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি পাওয়া যায়। এই দুই ভিটামিন ত্বকের জন্যে বেজায় উপকারী। ভিটামিন বি ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখে আর সি ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এছাড়াও এই পাতায় উপস্থিত আয়রন ও অন্যান্য় উপকারী মিনারেল ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লাও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতা খেলে কি ঘুম হয়?
উত্তরঃ থানকুনি পাতা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়। যারা দিনের পর দিন রাত জেগে কাটান, ঠিকমতো ঘুম হয় না তারা প্রতিদিন সকালে উঠে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ নকুনি পাতা খেলে কি চুল পড়া কমে?
উত্তরঃ থানকুনি পাতা স্কাল্পের ভিতরে পুষ্টি ঘাটতি দূর করে ফলে চুল পড়ার মাত্রা কম হয়ে যায়। শরীরে কিংবা রক্তে প্রবেশকৃত নানা ধরনের টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপাদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতা কি কি রোগের কাজ করে?
উত্তরঃ থানকুনি পাতা ক্ষত সারাতে, পেটের অসুখ দূর করতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এমনকি সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতার রস খুবই উপকারী।
উত্তরঃ চুলের ঘনত্ব বাড়াতে থানকুনি পাতার তেল বেশ কার্যকরী। মাথার ত্বকে সংক্রমণ রুখে দিতে পারে এই ভেষজ দিয়ে তৈরি তেল। মাথার ত্বক ভাল থাকলে চুল এমনিতেই ঘনো ও উজ্জল হবে।
থানকুনি পাতার রেসিপি
থানকুনি পাতা বর্তমানে সব এলাকায় এখন পাওয়া যায়। আগে শুধু গ্রাম বা চর এলাকায় এই পাতাগুলো দেখতে পাওয়া যেতো। এখন বানিজ্যিকভাবে বাজার-ঘাট ছড়িয়ে সব জায়গায় কম বেশি পাওয়া যায়।থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা, বড়া ,মাছের ঝোল, টক বানানো যায়। এই পাতা রান্নার চেয়ে বিভিন্ন ধরনে ভর্তা ও ভাঁজির সাথে মিক্স করলে স্বাদ বেড়ে যায়। তাই আপনাদের জানা সুবিধার্তে কয়েকটি ভর্তা রেসিপিই দিলাম।১. থানকুনি পাতার ভর্তাঃ
যা যা লাগবেঃ থানকুনি পাতা ২০০ গ্রাম বা ২-৩ আটি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুন কুচি ১টি, কাঁচামরিচ ২-৩টি, আদা কুচি, লবণ ও সরিষার তেল পরিমাণমত।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ থানকুনি পাতা ভালো করে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার থানকুনির পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন, আদা, লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে শিল পাটায় বা ব্লেন্ডারে পিষে নিন। এরপর তেল মিশিয়ে নিলেই হয়ে গেল থানকুনি পাতা ভর্তা।
২. আলু-থানকুনি পাতার ভর্তাঃ
যা যা লাগবেঃ থানকুনি পাতা ২০০ গ্রাম বা ২-৩ আটি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুন কুচি ১টি, কাঁচামরিচ ২-৩টি, আদা কুচি, আলু সেদ্ধ ১-২টি, লবণ ও সরিষার তেল পরিমাণ মতো।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ প্রথমে থানকুনি পাতা ভালভাবে ধুয়ে নিন এরপর কুচি কুচি করে কেটে নিন। সেদ্ধ আলু গলিয়ে ভর্তা করুন। এর সঙ্গে থানকুনি পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, লবণ মিশিয়ে নিন। তেল মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
৩. থানকুনি পাতা ভাজিঃ
যা যা লাগবেঃ থানকুনি পাতা ১০০ গ্রাম বা ৩-৪ আটি, পেঁয়াজ কুচি ১টি, রসুন কুচি ১টি, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩টি, লবণ ও তেল পরিমাণমত।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ থানকুনি পাতা ধুয়ে কুচি করে নিন। পাত্রে তেল দিয়ে গরম করে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর থানকুনি পাতা কুচি ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন, ৫-৬ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেল থানকুনি পাতা ভাজি। স্বাদ বাড়াতে এই ভাজিতে আলু ও চিংড়ি যোগ করতে পারেন।
৪. থানকুনি পাতার বড়াঃ
যা যা লাগবেঃ থানকুনি পাতা ১০০ গ্রাম বা ৩-৪ আটি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুন কুচি ১টি, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩টি, হলুদ ১ চামচ, মরিচ ১ চামচ, বেসন ১০০ গ্রাম, লবণ ও তেল পরিমাণমত।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ থানকুনি পাতা ধুয়ে কুচি করে নিন। এবার থানকুনি পাতা কুচি, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, বেসন ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিবেন। পাত্রে তেল দিয়ে গরম করুন। বড়া বা পিঁয়াজুর মতো করে বানিয়ে গরম তেলে দিয়ে ভেজে পরিবেশন করুন।
৫. থানকুনি পাতার জুসঃ
যা যা লাগবেঃ থানকুনি পাতা ১০০ গ্রাম বা ৩-৪ আটি, মধু ১ চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ প্রথমে থানকুনি পাতা ভালভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে শিল পাটা বা ব্লেন্ডারে পিষে নিন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রস বের করে নিন। এরপর রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার জুস।
থানকুনি পাতার অপকারিতা
থানকুনি পাতার অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। সব জিনিসেরই উপকারিতা থাকার পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। আমরা এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন তখনই হয় যখন আমরা নিয়ম না মেনে বা অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার বা খেয়ে থাকি। থানকুনি পাতা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতার ক্ষতিকর দিকগুলোঃ
- থানকুনি পাতা যেমন পেটের ব্যথা দূর করতে উপকারী ঠিক তেমনি প্রয়োজনের বেশি খেলে পেটের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমানে খেতে হবে।
- প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে মাথা ঘোরাসহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের থানকুনি পাতা কোনোভাবেই খাওয়া উচিত না। এতে শারীরিক নানা সমস্যায় পড়তে পারেন।
- অপারেশন করেছেন এমন রোগীদের থানকুনি পাতা না খাওয়ায় ভালো।
- থানকুনির পাতা থেকে অ্যালার্জি, খোশ-পাচড়াও হতে পারে।
- যাদের ত্বকের সমস্যা বা ব্রণ রয়েছে, তাদের জন্য থানকুনি পাতা ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ এতে ব্রণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছু উপাদান যেমন সাপোনিন ও তেলযুক্ত কম্পাউন্ডস উপস্থিত রয়েছে।
- রাতে থানকুনি পাতা ব্যবহারে কিছু ব্যক্তির ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কারণ মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে এমন উপাদান যেমন অ্যাডাপ্টোজেনিক রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিত রয়েছে থানকুনি পাতায়।
- থানকুনি পাতা কিছু ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ থানকুনি পাতায় উপস্থিত সাপোনিন ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান, যা ঔষধের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে।
- অন্যান্য ঔষধ বা ভেষজ উপাদানের সাথে থানকুনি পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ থানকুনি পাতায় সাপোনিন এবং টেরপেনয়েডস, যা ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে।
- থানকুনি পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারে রক্তচাপ কমাতে পারে, যা হাইপোটেনশন সৃষ্টি করতে পারে। কারণ থানকুনি পাতার ডাইইউরেটিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপাদান যেমন সাপোনিন বিদ্যমান রয়েছে।
- থানকুনি পাতা রক্তের কোয়াগুলেশন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করে, যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ থানকুনি পাতায় উপস্থিত রয়েছে সাপোনিন এবং টেরপেনয়েডস, যা রক্তের কোয়াগুলেশন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে।
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা স্নায়ুবিক সমস্যা থাকলে থানকুনি পাতা ব্যবহারে স্নায়ু সিস্টেমে প্রভাব পড়তে পারে। কারণ থানকুনি পাতায় স্নায়ু সিস্টেমে প্রভাব ফেলতে পারে এমন উপাদানগুলো যেমন সাপোনিন এবং স্টেরয়েডস উপস্থিত রয়েছে।
- গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা ব্যবহার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত রয়েছে সাপোনিন ও টেরপেনয়েডস।
- অতিরিক্ত থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কারণ এই পাতার উপস্থিত উচ্চ ফাইবার এবং সাপোনিন কণিকা পাচনতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- কিছু মানুষ থানকুনি পাতার প্রতি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যা ত্বকে চুলকানি, র্যাশ বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এই পাতায় কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান, যেমন সাপোনিন বা টেরপেনয়েডস উপস্থিত রয়েছে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
- এছাড়া গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, দুধের শিশু, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অস্ত্রোপচার হবে কিংবা সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ।
- তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ঘুম বা উদ্বেগের জন্য ঔষধ সেবন করছেন, এমন ব্যক্তিরা থানকুনি পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর থানকুনি পাতা ব্যবহার করবেন।
থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে মেষ মন্তব্য
আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিলো থানকুনি পাতার উপকারিতা, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম ও এর অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর থানকুনি পাতার গুনাগুণ ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে ও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। থানকুনি পাতায় প্রচুর পরিমানে রয়েছে ভিটামিন-সি যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বিশেষকরে, গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, দুধের শিশু, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অস্ত্রোপচার হবে কিংবা সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ঘুম বা উদ্বেগের জন্য ঔষধ সেবন করছেন এমন ব্যক্তিরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর থানকুনি পাতা ব্যবহার করবেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url