চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়


চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো। আপনি কি জানেন চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি এই পোস্টটির মাধ্যমে চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হবেন তার উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
চন্দন-দিয়ে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
কারণ বর্তমানে চন্দন ব্যবহার করে অনেকেই ফর্সা হচ্ছেন। তাই আপনাদের অবশ্যই চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জানতে হবে যা আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। আপনি হয়তো চন্দন ক্রিম সম্পর্কে জানেন অর্থাৎ চিনে থাকবেন। সেই প্রাচীনকাল থেকে চন্দন সাধারণত রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

তেমনি ভাবে বর্তমানে চন্দন দিয়ে চন্দন ক্রিম তৈরি করা হয়েছে যেটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক ফর্সা হয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। চন্দন একপ্রকার প্রাকৃতিক উপাদান যেটি আপনার শরীরের অর্থাৎ ত্বকের জন্য বহু উপকার নিয়ে আসে। এটি ব্যবহার করা হলে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। এজন্যই আপনারা চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম ও চন্দন ক্রিমের উপকারিতা সহ বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব।

পেইজ সূচিপত্রঃ চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি হয়তো এই অংশে এসেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হতে হয় এ সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্যই আমি এই অংশে চন্দন দিয়ে কিভাবে আপনি ফর্সা হতে পারবেন তার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। চন্দন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক ফর্সা হয়ে যেতে পারে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা জেনে আসি চন্দন ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

স্টেপ ১ঃ আপনারা বিভিন্নভাবে চন্দন ব্যবহার করে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনারা অ্যালোভেরা জেল এর সাথে চন্দন পাউডার একসাথে মিশাবেন। ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি আপনার ত্বকে বা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবেন, অবশ্যই মালিশ করে লাগাবেন। কমপক্ষে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন যখন দেখবেন শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ফর্সা হতে শুরু করবে।
স্টেপ ২ঃ এই স্টেপে আপনারা কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা হলুদ ও চন্দন পাউডার একসাথে মেশাতে হবে। আর মেশানোর জন্য কাঁচা হলুদ ও চন্দন পাউডারের সাথে গোলাপজল মিশিয়ে নিবেন। এবার ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে আপনার একটি পেস্ট করে হবে। এই পেস্টটি আপনি ভালো ভাবে ত্বকে ও মুখে এবং গলায় ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন ২০ মিনিট করে লাগিয়ে রাখুন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ডার্কস্পট দূর হতে শুরু করবে।

স্টেপ ৩ঃ এবার চন্দন পাউডার এক চামচ সাথে টমেটোর রস ও গোলাপজল এবং মুলতানি মাটি এক চামচ নিয়ে সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে আপনার ত্বকে ও মুখে এবং গায়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট অর্থাৎ ত্বকে লাগানোর পর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে এবং মশ্চারাইজ থাকবে।

স্টেপ ৪ঃ আবার আপনারা দুধের সাথে মিশিয়ে ত্বকের ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে কিছু পরিমাণ গরুর দুধ নিয়ে তার সাথে দুই চামচ চন্দন পাউডার মেশাবেন তারপর এর সাথে আরো কিছু পরিমাণ ২ চামচের মত লেবুর রস মেশান। মেশানো হয়ে গেলে এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ত্বক কোমল দেখাবে।

স্টেপ ৫ঃ এছাড়াও আপনারা চন্দন পাউডার কমলার খোসার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে প্রথমে কমলার খোসার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপর উক্ত পেস্টের সাথে ২ চামচ চন্দন পাউডার মিশিয়ে নিবেন সাথে অবশ্যই ১ চামচ গোলাপ জল নিতে হবে। গোলাপজল দিয়ে ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে এটি ত্বকের ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যে আপনি ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।

স্টেপ ৬ঃ চন্দন পাউডার আপনারা বেসনের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। এর জন্য প্রথমে ১ চামচ চন্দন পাউডার এবং দুই চামচ বেসনের সাথে দুধ অথবা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এখানে যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করুন মিশ্রণটি মেশানোর জন্য। এভাবে পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ত্বকে ব্যবহার করুন অথবা মুখে ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের চামড়া উঠে যাওয়া রোধ হবে এবং ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি পাবে।

আশা করছি আপনারা উপরের ছয়টি উপায় অর্থাৎ ৬টি স্টেপের মাধ্যমে চন্দন দিয়ে ফর্সা হতে পারবেন। উক্ত উপায় গুলো মাধ্যমে আপনারা চন্দন পাউডার ব্যবহার করে ত্বকের ব্যবহার করতে পারবেন। যার ফলে আপনারা অতি সহজেই ফর্সা সহ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এছাড়াও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে উক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনারা চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার ৬টি উপায় জানতে পারলেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করুন।

ত্বকে চন্দনের ব্যবহার

ত্বকে চন্দনের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অনেকেই। তৈলাক্ত ত্বক হলে পুদিনাপাতা আর তুলসী পাতার রসে চন্দন ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বক হলে কাঁচা দুধে ভিজিয়ে ব্যবহার করবেন। গোলাপজল, গ্লিসারিন, সামান্য পরিমাণে কর্পূর আর চন্দন মিলিয়ে ত্বকে লাগালে উজ্জ্বলতা বাড়বে স্থায়ীভাবে। মেছতার সমস্যা দেখা দিলে চন্দন আর মঞ্জিষ্ঠা মিলিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। শুষ্ক ত্বকেই বেশি মেছতা হয়। তাই ওই প্যাকে সামান্য দুধ মিলিয়ে নিতে পারেন।

শুষ্ক ত্বকে চন্দনের ব্যবহারঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য বাড়তি ময়েশ্চারাইজার দরকার হয়। চন্দনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা চন্দনের সঙ্গে মধু কিংবা দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক যেমন টানটান হয় তেমনি কালচে দাগ দূর করতে সহায়তা করে। চন্দন ত্বককে হালকা টানটান করে দেয়। তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য চন্দনের সঙ্গে মধু ও দুধ ব্যবহার করা ভালো। দুধে আছে ল্যাকটোজেন ও মধুতে অ্যান্টিবায়োটিক। চন্দনের সঙ্গে এই দুটি উপাদান মিশিয়ে মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকে চন্দনের ব্যবহারঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে ব্যবহার করা যায়। চন্দনের মধ্যে এমন আয়ুর্বেদিক গুণ আছে, যেটি ত্বককে আরও গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

সংবেদনশীল ত্বকে চন্দনের ব্যবহারঃ যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের রূপচর্চায় অনেক বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। সংবেদনশীল ত্বকে চন্দনের সঙ্গে হালকা টক দই ব্যবহার করা যায়। মুখ, হাত বা পায়ের ত্বকের পাশাপাশি চন্দন সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া বডি টনিং ও পলিশের জন্যও এটি বেশ কার্যকর। চন্দনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সারা শরীরে ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহারের ১০-১২ মিনিট পর চন্দনটা তোলার জন্য জলপাই তেল দিয়ে মালিশ করে নিন। চন্দনের মিশ্রণ ধুয়ে ফেলার পর হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এ ক্ষেত্রে গোলাপজল, গ্লিসারিন ও জলপাই তেল সমপরিমাণ মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজার ঘরেই তৈরি করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুবার চন্দনের প্যাক ব্যবহার করলে ত্বককে আরও প্রাণবন্ত ও সতেজ করে তোলা যায়।

ত্বকের যত্নে চন্দন তেল

ত্বকের যত্নে চন্দন তেল বহুদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে চন্দনকে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। চন্দন তেলের ব্যবহার ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ব্রণ ও পিম্পলের মতো সমস্যায়। কিন্তু জানেন কি এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে? আসুন জেনে নেই কীভাবে চন্দনের তেল ত্বকের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।

একজিমা থেকে মুক্তিঃ চন্দনের তেলের সাহায্যে একজিমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার ত্বকের আক্রান্ত অংশে ১-২ ফোঁটা তেল লাগাতে হবে। এটি শুষ্কতা থেকে অবিলম্বে উপশম দেবে এবং চুলকানিও কম করবে।

দাগ পরিত্রাণ পেতেঃ চন্দনের তেল ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ এবং পিম্পলের কারণে ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে অনেক সাহায্য করে। এমনকি এটি ব্যবহারে আঘাতের চিহ্নও অদৃশ্য হয়ে যায়। এর জন্য আপনার ত্বকে চন্দনের তেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে,তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি আপনার কাছে এর তেল না থাকে তবে আপনি আপনার ত্বক অনুযায়ী তেলের সাথে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণ ও পিম্পল দূর করেঃ চন্দন খুবই ঠান্ডা প্রকৃতির।তাই চন্দন তেল ব্রণ এবং ব্রণজনিত ফোলাভাব এবং লালভাব কমাতে সহায়ক।ব্রণ দূর করতে চন্দনের তেলে হলুদ ও কর্পূর মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন।পরের দিন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ট্যানিং দূর করেঃ চন্দন ত্বকের রঙ উন্নত করে।গ্রীষ্মে কড়া রোদের কারণে ট্যানিং হতে পারে।এর জন্য চন্দনের তেল বা পাউডারে মধু,লেবুর রস এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান।১৫-২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ঘামাচি নিরাময় হয়ঃ গ্রীষ্মে,তীব্র সূর্যালোক এবং ঘামের কারণে ঘামাচি হতে পারে। চন্দনের তেল এর থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হতে পারে,কারণ এটি শীতল হয়।এর তেল বা এর পাউডার পেস্ট করে ঘামাচিতে লাগালে অনেক আরাম পাওয়া যাবে এবং ত্বকও সুরক্ষিত থাকবে।আপনার যদি প্রাকৃতিক চন্দন পাউডার থাকে তবে আপনি এটি শিশুদের জন্যও প্রয়োগ করতে পারেন।

স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ চন্দনের তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অক্সিডেটিভ এনজাইমে সমৃদ্ধ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ কার্যকর। যেসব কেমোকাইন ও সাইটোকাইনের প্রভাবে ইনফ্লামেশন বাড়ে, তার উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে চন্দনের তেল। সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা সারাতেও চন্দনের ব্যবহার হয়। তবে চন্দনের তেল কখনো সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়, সবসময় নারিকেল,আমন্ড, অলিভ বা অন্য কোনো ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে তা মিশিয়ে নেবেন।

অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যঃ চন্দন তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়,যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কমায়।এর ব্যবহারে ত্বক শিথিল হয় না এবং বলিরেখা দেখা দেয় না।তারুণ্যের ত্বকের জন্য চন্দনের তেলে মধু এবং ডিমের কুসুম মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে।এরপরে এটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন,তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

চন্দন ক্রিমের দাম

চন্দন ক্রিমের দাম জানতে চেয়ে অনেকেই গুগল ও ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন। আপনারা অনেকে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে চান। তবে বেশিরভাগ মানুষই চন্দন ক্রিম এর দাম জানেনা। বিশেষ করে বাজারে অনেক দামের চন্দন ক্রিম রয়েছে। কারণ ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের দামের চন্দন ক্রিম রয়েছে। আর এজন্য আপনারা আজকের এই অংশে চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

  • বাজারে ম্যাসাজ চন্দন ক্রিম পাওয়া যায় যার ৫০ গ্রাম এর দাম ৫০ টাকা।
  • ৫০ গ্রাম মর্ডান চন্দন গোল্ড ফেসওয়াশ ক্রিমের দাম ১৮৫ টাকা
  • বার্মিজ চন্দন ক্রিম দাম এর দাম ২৫০ – ৩০০ টাকা।
  • তাছাড়াও coxsBazar Mart চন্দন ক্রিম এর দাম ২৫০ টাকা।
  • মমতাজ স্যান্ডাল চন্দন ক্রিম এর দাম ১৫০ টাকা যার পরিমাণ ২০০ গ্রাম।
তাহলে আশা করছি আপনারা চন্দন ক্রিমের দাম গুলো জানতে পারলেন। এই ক্রিমগুলোর দাম বিভিন্ন সময়ে উঠানামা করে থাকে। অর্থাৎ দাম পরিবর্তনশীল। বিভিন্ন কারণে দাম কিছু পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে। তাই যথাসম্ভব বাজার থেকে দাম জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

চন্দন ক্রিমের উপকারিতা

চন্দন ক্রিমের উপকারিতা সম্পর্কে আপনার কি জানেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখানে এই পাঠে চন্দন ক্রিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চন্দন ক্রিম আপনার ত্বককে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। বিশেষ করে ত্বকের জ্বালাপোড়া, ব্রণ ইত্যাদি সহ বিভিন্ন সমস্যায় সহায়তা করতে পারে। ত্বকের সজীবতা ও ত্বক পরিষ্কার করার জন্য চন্দন ক্রিম বা চন্দন পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।  চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে আসি চন্দন ক্রিমের উপকারিতা গুলো কি কি।
চন্দন-ক্রিমের-উপকারিতা
  • আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান অথবা ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • এই চন্দন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা সম্ভব। যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন ব্রণ দূর করতে পারবেন।
  • এছাড়াও ত্বকের কোমলতা ও ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করতে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • চন্দন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বকের কালো দাগ অর্থাৎ ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায়।
  • এছাড়াও যারা বয়সের কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় অর্থাৎ ত্বক ঝুলে গেছে তারা এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও এই ক্রিম ব্যবহার করা হলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  • যাদের ত্বক তৈলাক্ত রয়েছে তারা চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ত্বক মসৃণ হবে।
  • ত্বক টানটান ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করছি আপনারা চন্দন ক্রিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এটি জানার আগে অবশ্যই চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হবেন সেগুলো জেনে নিবেন।

চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।  আমরা সকলে জানি চন্দন রূপচর্চার কাজে খুবই উপকারী একটি উপাদান। যেটি ত্বক ফর্সা সহ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বকের কোমল ভাব ঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে এই চন্দন ক্রিম থেকে বেশি উপকার পেতে চাইলে অবশ্যই চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য আমরা এই অংশে চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম আলোচনা করব।

চন্দন ক্রিম সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি রাতে ব্যবহার করার জন্য যার নাম চন্দন ডে ক্রিম। আর আরেকটি হল চন্দন নাইট ক্রিম এটি মূলত রাতে ব্যবহার করতে হয়। আপনি যদি চন্দন ডে ক্রিম কিনে থাকেন তাহলে এটি আপনি সকালের দিকে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

আর চন্দন নাইট ক্রিম কিনে থাকলে আপনারা এটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে মুছে এই ক্রিমটি মুখে লাগিয়ে নিবেন। আপনারা এই ক্রিম দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন। রাত্রে এবং সকালে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক মশ্চারাইজ থাকবে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ এবং ব্ল্যাকহেডস দূর হবে।

আপনারা যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই চন্দন ক্রিম মুখে ব্যবহার করার পূর্বে মুখটি ভালোভাবে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন। তারপর মুখ শুকিয়ে মুছে নিবেন। এবার ক্রিমটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে কয়েক মাস ব্যবহার করতে থাকুন অনেক ভালো উপকার পাবেন।

চন্দন পাউডার এর ফেসপ্যাক

চন্দন পাউডার এর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করতে পারবেন। চন্দন শুধু ফর্সা হতেই সাহায্য করে না, সেই সঙ্গে ত্বকের টেক্সচারের উন্নতি ঘটাতে এবং ত্বকের দাগ কমাতেও সাহায্য করে। রক্ত চন্দনের নানাবিধ গুনাবলির জন্য যুগ যুগ ধরে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। খাঁটি ও অরগানিক রক্ত চন্দন দিয়েই রূপচর্চা হয়ে যাক তাহলে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা চন্দন পাউডার ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম জেনে আসি।

চন্দন এবং হলুদঃ আপনি যদি কম দিনে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল বানাতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করুন এই ফেইস প্যাক-টি। চন্দন এবং হলুদ, হয় দই অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটা পেস্ট। তারপর লাগিয়ে ফেলুন মুখে। ব্যস, তাহলেই দেখবেন আপনার ত্বক হয়ে উঠছে উজ্জ্বল।

চন্দন ও নিমঃ নিম পাউডারের সঙ্গে চন্দন পাউডার এবং পানি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন পেস্ট। তারপর ধীরে ধীরে লাগান মুখে। আপনার যদি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে তা কমাতে এই প্যাকটি ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।

চন্দন ও টকদইঃ চন্দনের এই ফেসপ্যাক ট্যান কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি মুখের ট্যান ওঠাতে চান, তাহলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। টক দই আপনার ত্বক শীতল রাখতে সাহায্য় করে। এছাড়া ট্যান তুলতেও সাহায্য করে। এই প্যাকে মধুও ব্যবহার করা হবে। যা আপনার ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে। আর্দ্রতা ধরে রাখে।

এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো নিন। এক চামচ টক দই নিন। আধ চামচ মধু নিন। একটি পাত্রে প্রতিটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সেটি মুখে, ঘাড়ে এবং গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। টোনার লাগিয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

চন্দন ও গোলাপ জলঃ ত্বককে আদ্র রাখতে এই প্যাকটি দারুণ কাজে দেয়। কিভাবে বানাবেন এই প্যাক? খুব সহজ! চন্দন পাউডারে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে লাগান। তাহলেই দেখবেন ত্বক কেমন সুন্দর হতে শুরু করেছে।

চন্দন এবং বেসনঃ মুখ থেকে খুব চামড়া উঠছে? চিন্তা নেই! বেসনের সঙ্গে চন্দন পাউডার মিলিয়ে জল অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন। তারপর সেই প্যাক মুখে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফলুন। আর নিজের উজ্জ্বল ত্বককে স্বাগত জানাতে তৈরি হয়ে যান। প্রসঙ্গত, যাদের খুব তৈলাক্ত ত্বক তারা দুধের পরিবর্তে জলের সঙ্গে বেসন আর চন্দন পাউডার মেলাবেন। ড্রাই স্কিন যাদের, তারাই একমাত্র দুধ ব্যবহার করবেন।

চন্দন, গোলাপ জল ও মুলতানি মাটিঃ আপনারা চন্দন পাউডার , গোলাপজল ও মুলতানি মাটি একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার উক্ত ফেসপ্যাকটি মুখ অথবা হাতে বা গায়ে ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

চন্দন, আলু ও শসাঃ তাছাড়া আপনারা এক চামচ আলুর রস , এক চামচ শসার রস এবং দুই চামচ চন্দন পাউডার একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানান। ফেসপ্যাক বানানো হয়ে গেলে এটি এখন আপনার মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হবে।

চন্দন ও নারিকেল তেলঃ এক চামচ চন্দন গুড়া এবং হাফ চামচ নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আপনারা ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে গেলে ত্বকে ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবেন।

চন্দন ও দুধঃ দুধের সঙ্গে সামান্য চন্দন পাউডার মিশিয়ে মানিয়ে ফেলুন একটা পেস্ট। এবার সেই পেস্ট ধীরে ধীরে লাগান আপনার মুখে। যতক্ষণ না পেস্টটি একেবারে শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ রেখে দিন। একবার শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।  এই ফেসপ্যাক বানিয়ে আপনারা অন্তত ত্বকে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন।

চন্দন ও অ্যালোভেরাঃ এক চামচ চন্দন পাউডারের সঙ্গে সামান্য অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই পেস্টটি। এরপর তা লাগিয়ে ফেলুন মুখে। এই প্যাকটি মুখের দাগ এবং পোড়াভাব কমাতে সাহায্য করে।

চন্দন, নারকেল তেল ও আমন্ড তেলঃ ১ চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ নারকেল তেল, ১/৪ চা চামচ আমন্ড অয়েল ও সামান্য গোলাপ জল মিশেয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। এরপর গলায়-মুখে প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিঃ এবং এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করে ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনে এই প্যাক।

চন্দন, টমেটো রস ও মুলতানি মাটিঃ ১/২ চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ টমেটো রস, ১/২ চা চামচ মুলতানি মাটি ও সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে প্যাকটি মুখে-গলায় লাগিয়ে ১৫ মিঃ রেখে শুকিয়ে যাওয়ার পর বরফ পানিতে তুলো ভিজিয়ে নিয়ে মুছে মুখ-গলা পরিষ্কার করুন। মুখের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা পরিষ্কার করতে এই প্যাক খুবই কার্যকরী।

চন্দন ও কমলার খোসাঃ ১ চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, ১ চা চামচ কমলার ছালের পেস্ট ও ১/২ চা চামচ গোলাপজল একত্রে মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে ফেলুন। মুখে-গলায় মেখে ২০ মিঃ পর ধুয়ে ফেলুন। স্কিনের গ্লো বাড়াতে এই প্যাকটি সাহায্য করে।

আশা করছি আপনারা চন্দন পাউডার দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম গুলো জেনে গেছেন। এখন আপনারা অবশ্যই এই নিয়মগুলো ব্যবহার করে চন্দন পাউডার ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন।

চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম

চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম জানতে চেয়েছেন অনেকেই। আপনারা যদি শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে চান তাহলে চন্দনের লোশন ব্যবহার করতে পারেন। চন্দন লোশন ব্যবহার করে শীতকালে ত্বক ময়েশ্চারাইজ রাখতে পারেন। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। তার আগে অবশ্যই চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। আপনারা চন্দন লোশন দুপুরে গোসলের পরে ব্যবহার করতে পারেন।

দুপুরে অথবা সকালে গোসলের পরে চন্দন লোশন ভালো ভাবে আপনার হাতে পায়ে বা ত্বকে ব্যবহার করবেন। এটি আপনার ত্বকের শুষ্কতা ভাব দূর করবে বিশেষ করে শীতকালে ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। এছাড়াও আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে আছে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় রোদে কাজ করতে হয় ফলে তাদের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে।

সেজন্য বাইরে কাজ করতে যাওয়ার আগে এই লোশন ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করবে। আশা করছি ব্যবহারের নিয়ম জেনে গেছেন। এছাড়াও চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য উপায় গুলো জেনে রাখবেন এবং ব্যবহার করবেন।

চন্দন পাউডার এর উপকারিতা

চন্দন পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। চন্দন পাউডার ব্যবহার করার ফলে ত্বক ফর্সা করতে পারবেন, তবে ফেসপ্যাক বানাতে হবে। এটি আপনার ত্বকের শুষ্ক ও তৈলাক্তভাব দূর করতে সহায়তা করবে। তাছাড়াও যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে ব্রণ দূর করতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও ত্বকের কালো দাগ অথবা ডার্ক সার্কেল দূর করতে এটি অধিক কার্যকরী। চলুন আমরা এখন চন্দন পাউডারের উপকারিতা জেনে আসি।
চন্দন-পাউডার-এর-উপকারিতা
অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যঃ দূষণ এবং বয়সের কারণে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি কমাতে চন্দন কাঠ সাহায্য করতে পারে । এটি ত্বককে ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে, যা বলিরেখার সমস্যা কমায়।

তৈলাক্ত ভাব কমায়ঃ গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরও তেলতেলে ভাব কমে না। এই সমস্যাকে দূর করতে পারে চন্দন। চন্দন কাঠ গোলাপ জল দিয়ে বেটে নিন। কিংবা ভাল মানের চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই পেয়ে যাবেন তেল-মুক্ত ত্বক।

ব্রণ দূর করেঃ মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা কমাতেও সহায়ক চন্দন। এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ব্রণ কমবে।

ট্যান দূর করেঃ কাঠফাটা রোদে বেরোলে ট্যান পড়তে বাধ্য। গ্রীষ্মকালে কোনওভাবেই ট্যানকে এড়ানো যায় না। তবে, চন্দন বাটা মাখলে ট্যান এড়াতে পারবেন। চন্দন বাটা বা গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট বসুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বলিরেখা দূর করেঃ চন্দন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। মুখের বলিরেখা ও চোখের তলার কালো দাগ কমাতে চন্দন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বয়স ধরে রাখতে বা চোখের তলার কালো দাগ দূর করতে চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট মেখে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কালচে দাগ দূর করার জন্য চন্দনের সঙ্গে নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভাল।

ত্বকের জেল্লা বাড়ায়ঃ এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ বেসন ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে সহজেই ত্বকে জেল্লা ফিরবে।

রোদে পোড়া ভাব কমায়ঃ রোদে পোড়া ত্বকের লালভাব বা ফুসকুড়ির জন্য চন্দন একটি ওষুধ। চন্দন প্রকৃতিতে শীতল, যা ত্বকের জ্বালা এবং ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে । এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তাই এটি ত্বকের জন্য একেবারে নিরাপদ।

তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন চন্দন পাউডারের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। আর চন্দন পাউডার দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম তো জেনে গেছেন সেটি জেনে ব্যবহার করুন উক্ত উপকার গুলো পাবেন।

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

রূপচর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। প্রাচীনকালে রূপচর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিল চন্দন। বর্তমান সময়েও বিভিন্ন রকম কসমেটিকস ও সুগন্ধিতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। চন্দন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মুখের বলিরেখা দূর করতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করতে চন্দন ব্যবহার করা হয়।

চামড়ার কালো ও লালচে দাগ দূর করা, স্ক্রিন ক্যানসার, চামড়ার এলার্জিতে সারা দুনিয়া-ব্যাপী সমাদৃত এই চন্দন। এর কাষ্ঠ খণ্ডকে পাথরের উপরে ঘষলে মিহি কাই বের হয়। সেটার বর্ণ খুবই সুন্দর, মানুষ চন্দন বর্ণের চামড়া খুবই পছন্দ করে। তাইতো সুশ্রী রমণীরা তাদের গায়ের রং চন্দনের মত করার জন্য উদগ্রীব থাকে এবং মুখমণ্ডলে চন্দন গুঁড়া ব্যবহার করত। চন্দন কাঠে তৈল থাকে, এর কাঠ ঘষা কাই চামড়াতে ঘঁষলে চামড়ার বর্ণ মিহি ও চিকচিক করে।

শ্বেত চন্দনের গাছ থেকে পাতন ব্যবস্থায় তেল নিস্কাশন করে প্রসাধনী, ঔষধ ও দামী আতর শিল্পে ব্যবহার করা হয়। শ্বেতচন্দন আমাদের কাছে সুগন্ধি কাঠ হিসেবে পরিচিত হলেও চন্দন কাঠের নির্যাস সাবান, পাউডার, আতর, ক্রিম, দাত মাজার পেষ্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ভেষজ শাস্ত্রে শ্বেতচন্দন বহু রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। রুপচর্চায় শ্বেত চন্দন ব্যবহারে যাদুকরি উপকার পাওয়া যায়।

আশা করছি আপনারা ভালোভাবেই চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও চন্দন ক্রিমের দাম কত এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আরও বিভিন্ন ধরনের চন্দন সম্পর্কিত তথ্য জেনেছেন যেগুলো আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের কাজে লাগবে। ত্বকের রূপচর্চায় আপনারা উক্ত নিয়ম গুলো ফলো করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url