ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার ১৬টি উপায়

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে মনযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত থাকুন। অনলাইন জগতে সোশ্যাল প্লাটফর্ম হিসেবে যে মাধ্যমটি পুরো বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার নাম হলো ফেসবুক। এখানে ২.৩২ বিলিয়ন মানুষ রোজ ফেসবুক ফিড স্ক্রোল করে থাকেন।
ফেসবুক-মার্কেটিং-করে-আয়-করার-উপায়
আমরা যারা ফেসবুক ইউজার তারা প্রায় প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর একবার করে হলেও ফেসবুকে ঢু মারি। পোস্ট করি, মিমি দেখি, রিয়েক্ট করি, শেয়ার করি এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে চ্যাটিং এ আড্ডাও দেই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে ফেসবুকে এসব ‘লাইক-কমেন্ট-শেয়ার’ করার মাধ্যমেও আয় করা যায়।

বিভিন্ন ফ্যানপেইজ তৈরী করতে পারেন, ফানি ভিডিও কিংবা মিম বানিয়ে পোস্ট করতে পারেন, অনলাইন শপিং এর জন্য গ্রুপ কিংবা পেইজ খুলতে পারেন, ফেসবুক গেম ডেভেলপ করতে পারেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহ আরোও অসংখ্য পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি কম করে হলেও ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন আমি ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু মাধ্যম বা পদ্ধতি তুলে ধরবো যেগুলোর মাধ্যমে ফেসবুকে মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

পেইজ সূচিপত্রঃ ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফেসবুক মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। ফেসবুক নানা ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে অডিয়েন্সের সাথে এঙ্গেইজমেন্ট তৈরী করা এবং তাদের কাছে আপনার ব্রান্ড এর ভ্যালু তৈরী করা এবং পরিশেষে তাদেরকে কাস্টমারে কনভার্ট করার কৌশলকেই বলা হয় ফেসবুক মার্কেটিং।ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যার দ্বারা ব্যবসার পণ্য এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানান দেয়া হয়ে থাকে। 
ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বেশি সংখ্যক লোকের কাছে পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং বেশি পরিমাণ পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বৃহৎ মার্কেট প্লেস হলো ফেসবুক মার্কেটিং।ফেসবুক মার্কেটিংর এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হয়। এটি একটি বৃহৎ মার্কেটপ্লেস যা ব্যবহারকারীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে ও বিজনেস এর জন্য সঠিক পাবলিসিটি সরবরাহ করে। ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনি আপনার পণ্য ও সেবা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন এবং গ্রাহকের কাছে সঠিক সেবা প্রদান করতে পারবেন।

এখনকার দিনে প্রায় সকল ধরনের ছোট বড় ব্রান্ড বা কোম্পানির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে হয়ত তার ব্যবসা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট তৈরি করে পাবলিশ করা সম্ভব নাহ,কিন্তু সে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি পেইজ খুলে তার কোম্পানির প্রমোট করতে পারবে। ফেসবুক ব্যবহার করে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণার কৌশলকেই ফেসবুক মার্কেটিং বলে।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার ১৬টি উপায়

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় রয়েছে অনেক। বর্তমান অনলাইন দুনিয়ায় আয় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী ফেসবুকে মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন অনায়াসে।  ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয় করার প্রথম ধাপ হলো আপনার পেজ এর প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার থাকতে হবে। বেশি ফলোয়ার মানে আপনার পোস্টটি বেশি সংখ্যক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ও পণ্যের প্রচারে সহায়তা করবে। ফেসবুকে মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি উপায় আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।

১. ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে আয়ঃ ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন হলো ফেসবুক থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী পদ্ধতিগুলোর একটি। ফেসবুকে আপনার নিজস্ব পেজ থাকলে এবং সেই পেজে বড় পরিসরের অডিয়েন্স তৈরি করতে পারলে আপনি ফেসবুকের ইন-স্ট্রিম অ্যাডস,কন্টেন্ট,রিলস মনিটাইজেশন ফিচারের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার শর্তাবলীঃ

  • আপনার ফেসবুক পেজে ন্যূনতম ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
  • গত ৬০ দিনে ৩০,০০০ মিনিটের ভিডিও ভিউ থাকতে হবে।
  • ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট বা তার বেশি হতে হবে।
  • ইন-স্ট্রিম অ্যাডস (In-stream ads): ইন-স্ট্রিম অ্যাডস হলো ফেসবুকের একটি ফিচার, যা আপনার ভিডিও কনটেন্টে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যখন আপনার ফলোয়াররা ভিডিওটি দেখবে, তখন বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং আপনি সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করবেন। ইন-স্ট্রিম অ্যাডস কার্যকরভাবে ব্যবহার করলে এটি একটি শক্তিশালী আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।

কিভাবে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করবেনঃ আকর্ষণীয় ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন: ভিডিও কনটেন্ট হতে হবে তথ্যবহুল, বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক। কনটেন্ট যত আকর্ষণীয় হবে, তত বেশি দর্শক আপনার ভিডিও দেখবে। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন: ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের শর্ত পূরণ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে, যাতে আপনার পেজের ভিউ বৃদ্ধি পায়। ইন-স্ট্রিম অ্যাডস সক্রিয় করুন: যখন আপনি মনিটাইজেশনের শর্ত পূরণ করবেন, তখন ইন-স্ট্রিম অ্যাডস চালু করতে পারবেন এবং আপনার ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন।

২। ফেসবুক বিজনেস পেইজ থেকে টাকা আয়ঃ ফেসবুক বিজনেস পেইজ হলো এক ধরনের ওয়েব পেজ যেখানে বিভিন্ন সেবা-পরিসেবা চালানো যায় এবং সেখানে বিজনেস করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করার অন্যতম একটি সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম হলো এই বিজনের পেইজ তৈরি করা। যে কেউ চাইলে খুব সহজে একদম ফ্রি-তে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করে নিতে পারেন। এবং সেই পেইজ মার্কেটিং করে ফলোয়ার জড়ো করে পারেন। যার পেজে যত বেশি ফলোয়ার থাকবে সে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজেই ফেসবুকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

বিশেষ করে আপনার যদি কোনো ব্যাবসা থাকে তাহলে সেই ব্যাবসার জন্য একটি ফেসবুক পেইজ তো অবশ্যই থাকা উচিত। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাবসার কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সার্ভিসের বেশি-বেশি প্রচার-প্রচারনা করতে পারবেন। এর ফলে আপনি বেশি-বেশি কাস্টমার পাবেন। এতে করে ফেসবুকে আপনার পণ্য বিদ্ধির হার বেড়ে যাবে তাছাড়া ফেসবুকে পেইজের মাধ্যমে আরো অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায় কিভাবে তা নিচে গেলে আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। যেগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে জানতে পারবেন।

ইন-স্ট্রিম অ্যাড থেকে টাকা আয়ঃ ভিডিওর মধ্যে থাকা বিজ্ঞাপন কিংবা ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনগুলো বেশ চমৎকারভাবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যখন একজন ব্যবহারকারী একটি ফেসবুক ভিডিও দেখতে থাকেন। তখন যদি ভিডিওটির মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন আসে তাহলে বিজ্ঞাপনটি দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এর কারণ তার মূল ভিডিওটির বাকি অংশ দেখার আগ্রহ, তাই তিনি ওই ভিডিওটি দেখতে থাকেন। তাই এটি ফিডের একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপনের চেয়ে কার্যকর। কারণ ব্যবহারকারীদের ফিডের স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

যেভাবে করবেন- ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিওটি গল্প আকারে উপস্থাপন করতে হবে। ভিডিওতে ইতোমধ্যে আগ্রহী দর্শকদের মনোযোগ ধরতে ইন-স্ট্রিম অ্যাডগুলো খুবই কার্যকরী।তবে ফেসবুকের শর্তগুলো পূরণের পাশাপাশি ভিডিওগুলো অবশ্যই এক মিনিটের বেশি দৈর্ঘ্যের হতে হবে। সেই সঙ্গে ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য আপনার পেজে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।

৩। ফেসবুকে Instant Article থেকে টাকা আয়ঃ মোবাইল ইউজারদের দ্রুত খবর পড়ার সুবিধা দিতে ফেসবুক নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল (Instant Article)। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন কিছু খবর বা শিরোনামে সঙ্গে বজ্রের মতো একটি চিহ্ন দেওয়া থাকে এবং সে শিরোনামের লিংকে ক্লিক করলে ফেসবুকের মধ্যেই খবরটি ওপেন হয়। এর জন্য আবার অন্য ব্রাউজার ওপেন করতে হয় না।

ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল থেকে ক্লিক করে কোনো পোস্ট পড়তে গেলে সেখানে অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এই বিজ্ঞাপন দেখানোর বিনিময়েই ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল প্রকাশককে টাকা দিয়ে থাকে। বিশ্বের বড় বড় সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মধ্যমে বিভিন্ন খবরা-খবর প্রকাশ করে থাকে।

দ্রুত সাইটে প্রবেশ, ফেসবুকেই পাঠকদের পড়ার সুবিধা এবং ওয়েবসাইটের মালিকদের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করার জন্য এই ফিচারটি চালু করেছে ফেসবুক। আপনার যদি নিজস্ব কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে এবং সেখানে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে তাহলেই কেবল এই ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন।

Instant Article এর মাধ্যমে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
Facebook Instant Article এর মাধ্যমে অনেকেই ফেসবুকে লাখ লাখ টাকা আয় করে, কিন্তু এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। তাছাড়া ফেসবুকের সিটিআর রেট খুবই জঘন্য। অনেকেই ফেসবুকের এ রেটের জন্য বিরক্ত। আপনার পেইজটি কতটা জনপ্রিয় তার ওপর নির্ভর করবে আপনার আয় কত হবে। সাইটের ভাষা বাংলা নাকি ইংরেজি এটি কোনো বিষয় নয়। তবে, ইউরোপীয় দেশ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে যদি ক্লিক পড়ে তাহলে আপনার আয় তুলনামূলক বেশি হবে।

জেনে রাখা ভালো বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করে শুধুমাত্র ফেসবুকের এই ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল ফিচারটি ব্যবহার করে। আয়ের টাকা ১০০ ডলার হলেই সরাসরি চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং সেজন্য ফেসবুকের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে হবে।

৪। ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়ঃ ইউটুবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায় এটা হয়তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু, আজ আমরা জানবো, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। ফেসবুকের ভিডিও-তে বিজ্ঞাপন দেখানোর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় In-Stream Ads. আপনার যদি যদি ভালো মানের একটি ফেসবুক পেজ থাকে। অর্থাৎ, আপনার পেজে যদি ভালো ফলোয়ার থাকে এবং পোস্টগুলোতে যদি নিয়মিত বেশি বেশি ভিউ আসে, তাহলে আপনি আপনার পেজে ভিডিও আপলোড করে লাভবান হতে পারেন।

আপনার পেইজ ফেসবুক ইন-স্ট্রীম এডের জন্য মনিটাইজ করার পর, আপনার ভিডিওতে ফেসবুক বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। এবং এসকল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ফেসবুক আপনাকে টাকা দিবে। আপনার ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে হলে আপনার পেইজের কিছু যোগ্যতা থাকা উচিত। যেগুলো পরিপূর্ণ করলেই আপনি আপনার ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য যা যা লাগবেঃ

  • একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে।
  • আপনার ফেসবুক পেইজে ১০,০০০ লাইক থাকতে হবে।
  • গত ৬০ দিনে ভিডিওতে মিনিমাম ৩০,০০০ ভিউস থাকতে হবে।
  • প্রত্যেকটি ভিউ মিনিমাম ১ মিনিটের হতে হবে।
  • প্রত্যেকটি ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিট লম্বা হতে হবে।
  • আপনার বয়স অবশ্যই কপক্ষে ১৮ হতে হবে।
  • ফেসবুক এর Partner Monetization Policies মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

৫। ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করে আয়ঃ ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস নামে একটি ফিচার চালু করেছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করা থাকে। এবং যার যেই প্রোডাক্ট পছন্দ হয়, বিক্রেতার সাথে কথা বলে সেটি কিনে নিতে পারে।

আপনি ও চাইলে যেকোনো একটি প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে যুক্ত করতে পারেন। তারপর, আপনার সেই প্রোডাক্টটি অন্য কারো পছন্দ হলে আপনার পেজে মেসেজ পাঠাবে। এবং এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে অনলাইন মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

তাছাড়া ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করার আরো অনেক উপায় রয়েছে। যেমনঃ কোনো একটি প্রোডাক্টের বিস্তারিত লিখে পোস্ট করে সেটি ফেসবুকে পেইড বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। এতে করে বেশি বেশি মানুষের কাছে আপনার পোস্টটি পৌছাবে এবং সেখান থেকে আপনার অনেক কাস্টোমার জেনারেট হবে।

চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করি
শীতের সময় দেখতে পাবেন আপনার নিউজ ফিডে অনেক ধরনের মধু কিংবা সোয়েটারের পোস্ট চলে আসে। কখনো কি ভেবেছেন কেনো আসে? কিভাবেই বা আসে? কারন যিনি এই মধু কিংবা শীতের জামা বিক্রি করতেছে, তিনি ফেসবুক-কে কিছু টাকা দিয়ে তার পোস্ট বেশি মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে। এটিকে বলা হয়, ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন বা এড ম্যানেজমেন্ট।

ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং-এর এই বিজনেস করতে অনেকের কোনো পুঁজিও দরকার হচ্ছে না। তো আপনার যদি কোনো পণ্য বা সেবা থাকে তাহলে, আজই শুরু করতে পারেন। কিভাবে পুঁজি ছাড়া ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করে আয় করা যায়?

অনলাইন মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে পন্য বেচা-কেনা করা। আপনার কাছে যদি কোনো পুঁজি না থাকে তাহলেও ফেসবুকে আপনি এই বিজনেসটি করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আগে বাচাই করতে হবে যে আপনি কোনধরনের পণ্য দিয়ে বিজনেসটি করবেন।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যেসব পণ্যের চাহিদা সবসময়ই থাকে সেসব পণ্য বাচাই করা আপনার জন্য লাভজনক হবে। আপনি যদি পণ্য হিসেবে মধুকে বাছাই করেন তাহলে শুধু শীতেকালে আপনি লাভবান হতে পারবেন। কেননা শীতকালে মানুষ মধু খেতে বেশি পছন্দ করে।

মনে করুন আপনি যেকোনো একটি পণ্য বাছাই করলেন। তাহলে আপনি যেটি করতে পারেন পাইকারী অথবা খুচরা উভয় দোকানদারের সাথে কথা বলতে পারেন। বলতে পারেনঃ “আমি ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং বিজনেস করি, তো আপনার দোকানের কিছু প্রোডাক্ট যদি আমাকে একটু কমদামে দেন তাহলে আমি অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবো।

এভাবে বুঝিয়ে দোকাদারদের সাথে ডিল করবেন এবং পরবর্তীতে আপনি কোনো অর্ডার পেলে সরাসরি দোকানদার থেকে সেটি নিয়ে অল্প লাভে ফেসবুকে কাস্টোমারদের কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজে লাইক বেশি থাকলে লোকজন আপনার প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবে এবং কেউ কেউ সেটি কিনতে অবশ্যই আগ্রহ দেখাবে। আপনি যদি সততার সাথে পন্য ডেলিভারি দেন, তাহলে প্রশংসা শুনে আরো হাজারো লোক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এভাবে আস্তে আস্তে পুঁজি জমিয়ে বড় করে বিজনেসটি করে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায়।

৬। ফেসবুকে অ্যাপ থেকে আয়ঃ প্রোগ্রামার বা গেম ডেভলপারদের জন্য ফেসবুকে টাকা আয় করার রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। ফেসবুক অ্যাপ তৈরির মাধ্যমেও ভালো টাকা উপার্জন সম্ভব। আপনি যদি একজন গেম ডেভেলোপার হন তাহলে আপনি নিজস্ব অ্যাপ তৈরির মাধ্যমেও ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি ফেসবুকের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেন এবং ফেসবুকে পাবলিশ করেন তাহলে ফেসবুক আপনার অ্যাপ ইউজারের উপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রধান করবে। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাপের ইউজার যত বেশি টাকাও তত বেশি।

ফেসবুকে গেম চালু হওয়ার শুরু দিকে একটি গেম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, নাম ফার্মভিল। এখন ফেসবুকে লুডু থেকে শুরু করে অনেক গেমস রয়েছে। যারা এই গেমগুলো পাবলিস করে তারা এখন ফেসবুক থেকে বিপুল পরিমানে টাকা পাচ্ছে। তো আপনিও যদি গেম বানাতে পারেন তাহলে চেষ্টা করতে পারেন।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে টাকা আয়ঃ অন্যের পণ্যের প্রচার করে বিক্রয়ের উপর কমিশন নিয়ে আসার আরেক নাম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনলাইনে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট বিদ্যমান। আবার, আমরা অনেকেই প্রোডাক্ট বলতে ফিজিক্যাল পণ্যকে বুঝে থাকি। কিন্তু অনলাইনে শুধুমাত্র ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নয় অনেক ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্টও রয়েছে। যেমনঃ অডিও, ভিডিও, ই-বুক, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিং সহ নানান কিছু।

আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, উন্নত দেশগুলোতে মানুষ এখন আর বাজারে গিয়ে বাজার থেকে প্রোডাক্ট কিনে আনে না। তারা অনলাইনে বিভিন্ন পর্যালোচনা দেখে অর্ডার করে এবং পণ্যটি তাদের বাড়িতে পৌছে যায়। আর অর্ডার করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মধ্যে Amazon, eBay, Alibaba, Ali express অন্যতম।

তাছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে Daraz, BD Shop এর মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেখানে একটি পণ্য বিক্রয়ের জন্য তার প্রচারককে শতকরা হিসেবে কমিশন দিয়ে থাকে। এসকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাদেও এখন প্রায় সকল ওয়েবসাইটেরই একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকে। আপনি চাইলে এ ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটি একাউন্ট খোলে তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। এবং সেখান থেকে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করে তা ফেসবুকে প্রচার করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম কাজ করে?
যেসকল ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে আপনি সেই সকল ওয়েবসাইটে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলবেন। সেখানে থেকে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করবেন। এবং সাথে সাথে আপনার জন্য ঐ প্রোডাক্টের একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি হয়ে যাবে। আপনি মূলত এই লিংকটিকেই প্রচার করবেন। আপনার প্রচারিত এই লিংক থেকে ক্লিক করে যদি কেউ এই পণ্যটি অনলাইনে ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখানে থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের কমিশন পেয়ে যাবেন।

কিভাবে ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেটি বেশি দরকারী সেটি হলো একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটুব চ্যানেল থাকা। আপনি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন(পণ্যের ছবি+ অ্যাফিলিয়েট লিংক) নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দর করে একটি পর্যালোচনা লিখবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি পণ্যের ছবিসহ ফেসবুকে শেয়ার করে দিবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ভালো হয় যদি আপনি একটি লেন্ডিং পেইজ তৈরি করে কাজ করেন।

লেন্ডিং পেইজ বলতে বুঝায়, আপনি একটি ওয়েব পেইজ তৈরি করবেন যেখানে পণ্যের ছবি থাকবে এবং নিচে লিখা থাকবে Buy Now, Order Now বা এরকম কিছু একটা। এবং কেউ যদি এই লিখাতে ক্লিক করে তাহলে যেন সরাসরি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে চলে যায়। এবং যদি কেউ প্রোডাক্টটি ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।

লেন্ডিং পেইজ তৈরি করলে সুবিধা হয় কি? আপনার ওয়েবসাইটের স্পেমিং স্কোর বৃদ্ধি পায় না ফলে আপনার সাইট সুরক্ষিত থাকে। আর অবশ্যই প্রচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রুপে এবং নিউজ ফিডে একটি ফেসবুক পেইজ দিয়ে প্রচার করবেন । চাইলে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং ও করতে পারেন।

৮। ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে টাকা আয়ঃ এতক্ষনে হয়তো জেনে গেছেন যে ফেসবুক পেইজের গুরুত্ব কি। ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের একটি বিজনেস দ্বার করাতে ফেসবুকের পেইজের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকের যেমন ফেসবুক পেইজ তৈরি করার সময় নেই, তেমন অনেকের আবার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার বাড়ানো তথা পেইজের মার্কেটিং করার মতো সময় নেই। তারা সবসময় সহজ রাস্তা খোজে যে কি করে খুব সহজে একটি বিল্ড করা পেইজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, অনলাইনে অনেক মানুষ আছে যারা বেশি লাইক বা ফলোয়ার আছে এমন পেইজ ক্রয় করতে আগ্রহী।

ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে টাকা আয়
আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের পেইজ তৈরি করে সেখানে লাইক/ফলোয়ার বাড়িয়ে সেটি বিক্রি করে দিয়ে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং সেটি ফেসবুকের মাধ্যমেই বিক্রয় করতে পারবেন।আসলে ফেসবুক পেজের গুরুত্ব অনেক যা আপনাকে বলে বুঝানো যাবে না। তাই আপনি যদি প্রশ্ন করেন কিভাবে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায় তাহলে আমি বলবো আপনি একটি ফেসবুক বিজনেস পেইজ তৈরি করে নিন।

৯। ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ঃ ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো, নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কারো কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। ফেসবুকের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক অপশন আছে, যেমন ফেসবুক পেইজ ম্যানেজ করা, ফেসবুক পেইজ প্রোমোট করা, এড ক্যাম্পেইন করা, এমনকি প্রোফেশনাল ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দেওয়া।

মনে করুন আপনার যেকোনো একটি দক্ষতা আছে। ধরুন আপনি খুব ভালো করে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে পারেন, অথবা আপনি ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন তাহলে ইন্টারনেশনাল মার্কেটপ্লেসে জয়েন করে আপনি ফেসবুকেই এই সকল সার্ভিসগুলো দিতে পারবেন।

কিভাবে ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়?
ফেসবুক যেহেতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি মিডিয়া তাই ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করাটাই সবচেয়ে বেশি সহজ। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আলাদা অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে।যেমনঃ
  • fiverr.com
  • upwork.com
  • freelancer.com 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এসব মার্কেটপ্লেস স্বমন্ধে আপনার আইডিয়া থাকতে হবে। মূলত ফ্রিল্যান্সিং করবেন ঐ সকল মার্কেটপ্লেসে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কাজগুলো আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে যোগার করে নিতে পারবেন।

যেমন আপনি যদি ফটো ডিজাইন তথা লগো ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোব, টি-শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি কাজ করে ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় যত গ্রুপ রয়েছে সবগুলোতে জয়েন করে সেখানে আপনার স্কিল শেয়ার করতে পারেন। আপনার কাজ দেখে মানুষের পছন্দ হলে অবশ্যই আপনাকে তারা কাজ দিবে । এবং এভাবেই ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়।

১০। ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা আয়ঃ ফেসবুক গ্রুপ পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের একটি সহজ মাধ্যম। সেখানে প্রতিদিন সবাই সবার নিজের মতো করে পোষ্ট করতে পারে। ফেসবুক পেজের মধ্যে শুধু মাত্র আপনি একা পোস্ট করতে পারবেন। আপনার ফলোয়ারস রা পোস্ট করতে পারবে না। কিন্তু ফেসবুক গ্রুপে যে কেউ পোস্ট করতে পারে এবং যে কেউ সেখানে কমেন্টে সমাধান দিতে পারে। তাই টাকা আয় করার অন্যতম সহজ মাধ্যম হতে পারে ফেসবুক গ্রুপ। ফেসবুকে গ্রুপ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তার কয়েকটি উদাহরন দিচ্ছিঃ

পণ্য বেচাকেনা করে
আপনার যদি যেকোনো পণ্য আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফেসবুক গ্রুপে পর্যাপ্ত মেম্বার থাকতে হবে, এবং মেম্বারগন কোন বিষয়ে আগ্রহী সেটি আপনাকে খুজে বের করতে হবে। মেম্বাররা যেই বিষয়ে আগ্রহী সেই বিষয়ের পণ্য কিংবা সার্ভিস বিক্রি করে ফেসবুকে গ্রুপ থেকে টাকা আয় করা যায়। আপনি চাইলে একটি গ্রুপ তৈরি করে আজই এটি শুরু করতে পারেন।

গ্রুপে এডমিন ডিল করে
মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে অর্থাৎ আপনি গ্রুপের এডমিন। আপনার গ্রুপটি যদি অনেক বড় হয় তথা গ্রুপ মেম্বার অনেক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই আপনি তাদের পরিচিত হবেন। এখন ২ জন মানুষ যদি অনলাইনে কোনো কিছু ক্রয় বা বিক্রয় করতে চায় তাহলে উভয়েই একটু দ্বিধার মধ্যে থাকে। একজন মনে করে সে টাকা নিয়ে পণ্যটি দিবে না আবার আরেকজন মনে করে পণ্যটি দিয়ে দিলে সে টাকা দিবে না। এরকম প্রতারিত হওয়ার ভয় সবার মধ্যেই থাকে।

তো আপনি যদি তাদের উভয়ের বিশ্বস্ত এডমিন হয়ে থাকেন তাহলে ওদের ডিলটি আপনি করে দিতে পারবেন এবং আপনার সময় দেওয়ার জন্য কিছু অর্থ চার্জ করতে পারবেন। যদিও এখন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট কেনাবেচার জন্য কোরিয়ান সার্ভিসে ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম রয়েছে কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্ট বেচা-কেনার সময় এই ঝামেলাটি হয়ে থাকে। তাই, আপনি আপনার গ্রুপে এডমিন ডিলের সার্ভিসটি প্রোভাইড করতে পারেন এবং সেখান থেকে কিছু একটা ইনকাম করতে পারেন।

প্রোমোশনাল পোস্ট অফার করে
অনেক কম্পানি বা ব্যাক্তিবর্গ রয়েছে যারা তাদের পণ্য বা ব্যান্ড সবার মধ্যে প্রচার করতে চায়। আপনার যদি নির্দিষ্ট টপিকের উপর একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকে এবং সেখানে বিপুল মেম্বার থাকে তাহলে তাদেরকে প্রোমশনাল পোস্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমেও আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

মনে করুন , আপনার ব্লগিং ট্রিপ্স রিলেটেল একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে যেখানে সবাই ব্লগিং তথা ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে টাকা আয় করতে আগ্রহী। তো যারা ব্লগিং করবে তাদের তো অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং লাগবে।

যারা ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইড করে তারা আপনাকে টাকা দিয়ে আপনার গ্রুপে তাদের কম্পানির প্রোমোশনাল পোস্ট করবে যাতে করে তাদের পণ্য বেশি বিক্রি হয়। আপনি একটি পোস্টের জন্য ১০০০ টাকা চার্জ করতে পারেন।

কভার ফটো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে
গ্রুপের মধ্যে প্রবেশ করার পর যেই জিনিসটি সবার আগে চোখে পরে তা হলো গ্রুপের কভার ফটো। আপনার যদি একটি বড় কমিউনিটি গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি এই কভার ফটো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

প্রোমোশনাল পোস্ট থেকে এই কভার ফটো বেশি কার্যকারী হয়ে থাকে। কারন একটি পোস্ট কিন্ত গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে রিচ না ও হতে পারে। কিন্তু যেই গ্রুপে প্রবেশ করুক না কেনো সবার আগে কভার ফটোটি তার চোখে পড়বেই পড়বে। তাই আপনি যেকোনো কম্পানির সাথে ডিল করতে পারেন যে আমি ১ দিনের জন্য আপনার কম্পানির ব্যানারটি আমার গ্রুপের কভারে রাখবো এর জন্য আমাকে ১৫০০ টাকা দিতে হবে। এভাবে কভারে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমেও ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

১১। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আয়ঃ আপনার যদি আগে থেকে কোনো একটি কম্পানি থাকে অথবা নতুন কোনো কম্পানি দ্বার করাতে চাচ্ছেন তাহলে এই ফেসবুক বিজ্ঞাপন আপনার সঙ্গী হতে পারে। আপনি চাইলে আপনার কম্পানির বিভিন্ন পণ্য খুব অল্প মূল্যে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেখান থেকে অধিক লাভ নিয়ে আসতে পারেন। খেয়াল করলে দেখবেন অনেক পোস্টের উপরে ছোটো করে sponsored নামের একটি শব্দ লেখা থাকে। এর মানে হলো যেই কম্পানি এই পোস্টটি করেছে সে ফেসবুককে টাকা প্রদান করছে বেশি মানুষের কাছে তার পোস্টটি পৌছে দেওয়ার জন্য। তো আপনি চাইলেও এই ধরনের পোস্ট করে তার ফেসবুকে এড দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে আপনার পণ্যটি বেশি বেশি বিক্রি হবে। এবং আপনি বেশি লাভবান হবেন।

১২। ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং করে আয়ঃ যার অনেক অনেক ফলোয়ার থাকে এবং সে মানুষকে যেকোনোত পথে ধাবিত করে তাকে আমরা ইনফ্লোয়েন্সার বলি। মনে করুন আপনাকে অনেক অনেক মানুষ ফলো করে এবং আপনিও তাদেরকে কিছু না কিছু শিখানে চেষ্ঠা করেন, নির্দিষ্ট একটি গন্তব্যে নিয়ে যেতে চেষ্ঠা করেন, তাহলে আপনি একজন ইনফ্লোয়েন্সার। ইনফ্লোয়েন্সার ৫ ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ

  • Mega-influencers (১০ লাখের বেশি ফলোয়ার/ সেলিব্রিটি)
  • Macro-influencers (৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ারস)
  • Mid-tier influencers (৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ ফলোয়ারস)
  • Micro-influencers (৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ারস)
  • Nano-influencers(১ হাজার থেকে ১০ হাজার ফলোয়ারস)

যার ফলোয়ার যত বেশি ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটে তার মূল্যও ততো বেশি। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে মেগা ইনফ্লোয়েন্সার যেকোনো একটি পণ্য প্রোমোট করলে সর্বনিন্ম ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার মতো পেয়ে থাকে। শুধু মাত্র লাইভে এসে কথা বলার সময় ১ মিনিট বা তার চেয়ে কম সময় নিয়ে ঐ পোডাক্টি সম্পর্কে একটু বলে দেওয়ার মাধ্যমে। তো আপনার যদি টুকটাক ফলোয়ার থাকে তাহলে এই ফর্মুলা কাজে লাগাতে পারেন।

১৩। কোর্স বিক্রি করে ফেসবুক থেকে আয়ঃ আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে অনেক দক্ষ হন তাহলে সে দক্ষতাকে কাজে লাগানোর উপায় ফেসবুক আপনাকে করে দিয়েছে। আপনি যেকোনো বিষয়ে কোর্স তৈরি করে সেটি ফেসবুকে ফ্রি প্রচার করতে পারবেন। এবং সেগুলো বিক্রি করে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায়। যেমন, আপনি যদি খুব ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি কোর্স বানিয়ে ফেলুন। এবং সেটি ফেসবুক প্রুপে প্রচার করুন। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি কোনো গ্রুপের এডমিত হয়ে থাকেন। তাহলে সবাই আপনার কাছ থেকে কোর্স কিনতে আগ্রহী হবে।

১৪। অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয়ঃ ফেসবুকে অনেকসময় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য লটারী, কুইজ সহ নানা কর্মসূচী পালন করে থাকে। সেখানে তারা নানান অফার এবং পুরষ্কার নিয়ে আসে।

মূলত বলা হয়ে থাকে , তাদের পোস্টে লাইক দিয়ে শেয়ার করা জন্য তাহলে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী বাছাই করে পুরষ্কার দেওয়া হবে। আবার অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান কুইজের আয়োজনও করে। তো আপনি চাইলে এখানে যুক্ত হয়ে পুরষ্কার জিতে নিতে পারেন। যদিও এতো এতো মানুষের মধ্যে খুব ভাগ্যবান না হলে পুরষ্কার জেতা যায় না।

কিন্তু অনেক সময় পণ্যের উপর অনেক অফার নিয়ে আসে অনেক প্রতিষ্ঠান। আপনি চাইলে অফারে কম মূল্যে সেই পণ্য ক্রয় করে আবার পুনরায় বিক্রিও করে দিতে পারেন। আশা করি এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। এখন একটি ট্রিপ্স জেনে নিন-

১৫। ফেসবুক জব করে টাকা আয়ঃ ফেসবুকে Job নামের একটি অপশন রয়েছে। সেটিতে প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরীর খবর পাবেন। আপনার আসে পাশের অনেক প্রতিষ্ঠান যারা কর্মচারী নিয়োগ নিতে চায় তাদের বিজ্ঞপ্তিগুলো আপনি সেখানে দেখতে পাবেন। সেখান থেকে যেকোনো একটি জব পছন্দ হলে আপনি সেখানে এপ্লাই করতে পারেন। যদি আপনার চাকরী করার যোগ্যতা থাকে তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই চাকরী জোগার করে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়েও ঘরে বসে আয় করতে পারবে। এইজন্য আপনার ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করে নিতে হবে।

১৬। ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দিয়ে টাকা আয়ঃ আপনি জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কাছে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করার মতো সময় থাকে না। তারা অন্যদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজনেস পেইজ তৈরি করিয়ে নেয়। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে সময়ের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের সময়ের অনেক মূল্য। তাদের কাছে টাকার চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশি।

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দেওয়ার এই সেবাটি দিয়ে থাকে। আপনি যদি ভালোভাবে ফেসবুক পেইজ তৈরি এবং ডিজাইন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে জয়েন হয়ে এই কাজটি করে প্রতিমাসে ফেসবুকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ

সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কার্ড, লিফলেট, পোস্টার, রেডিও টিভিতে বিজ্ঞাপন থেকে আজকের পৃথিবী ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ধাবিত হয়েছে। তারাই এগিয়ে থাকে যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখে। তেমনি বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজনীয় একটি দক্ষতা। যেকোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার উন্নতির জন্য বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং। 
ফেসবুক-মার্কেটিংয়ের-প্রকারভেদ
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় আটকোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। তারমধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় তিনকোটি আশি লাখ। তাই এই সময়ের মার্কেটিং তথা ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং। শুরুর দিকে ফেসবুক মার্কেটিং ধীরগতিতে চালু হলেও বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বর্তমানে প্রচুর ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান সাফল্যের সাথে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। ফেসবুক মার্কেটিং সাধারণত ২ প্রকারে হয়ে থাকে। আর তা হলো ( ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কের্টিং)। ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী ফ্রি এবং পেইড ফেসবুক মার্কের্টিং ব্যবহার করা হয়।

১. ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিংঃ যে মার্কেটিংয়ে কোন পর্যায়ে অর্থ ব্যয় করতে হয় না সেটাই ফ্রি মার্কেটিং। অনলাইন তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন অর্থব্যয় ছাড়া মার্কেটিং করা যায়। তারই ধারাবহিকতায় ফেসবুক মার্কেটিংও ফ্রি হয়ে থাকে। সেখানে ব্যবসা বা সেবা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, বিনা অর্থ ব্যয়ে ফেসবুকে যে মার্কেটিং করা হয় তাই ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং। উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা আরো সহজ হয়ে যাবে।

প্রথমে আমরা একটা ফেসবুক পেজ খুলতে পারি। প্রতিষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী পেজ এর নাম, কভার পিকচার, প্রোপাইল পিকচার দিয়ে সাজাতে পারি। তারপর যে পণ্য বিক্রি করতে চাই তার পরিপূর্ণ তথ্য দিয়ে পোস্ট দিতে পারি। সেটা ইমেজ আকারেও হতে পারে। অতপর আমাদের পরিচিত সবাইকে এই পেজ ফলো করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারি। তারপর ফেসবুক পেজ এর পোস্টগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি।

আমাদের পরিচিত ফেসবুক বন্ধুদেরকে শেয়ার দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারি। এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে আমরা অধিক সংখ্যক লোকের কাছে আমাদের পণ্যের প্রচার বাড়াতে পারি কোন ধরণের অর্থ ব্যয় করা ছাড়াই। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এ যোগদান করে আমাদের পেজ ও পণ্যের পোস্ট দিতে পারি। আর এটাই হলো ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং।

২. পেইড ফেসবুক মার্কেটিংঃ সাধারণত ফেসবুক নিউজ ফিডে যে পোস্টগুলো স্পনসরড লেখা থাকে সে সব পোস্টই হলো পেইড ফেসবুক মার্কেটিং। ছোট বড় সকল ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এই মার্কেটিং ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে ফেসবুক এ মার্কেটিং করার নাম হলো পেইড ফেসবুক মার্কেটিং।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে একেবারে সিলেক্টিভ গ্রাহকের কাছে পৌছনো সম্ভব। যদি আমরা চাই আমাদের পণ্য শুধুমাত্র ঢাকা শহরের উত্তরায় বসবাসকারী নারী অথবা পুরুষরা দেখতে পাবে, পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা সম্ভব। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক পেজ এবং পোস্টকে প্রমোট করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে পেজ এবং পোস্ট নির্ধারিত গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করে ফেসবুক। এটি ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্ভব হয় না।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর জন্য আপনার একটি সুন্দর ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে। ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এ সফল হতে হলে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা রাখতে হবে। কারন ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার থেকেই আপনি আপনার টার্গেটেড মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম জানতে চেয়েছেন অনেকেই। প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা দরকার। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপযোগিতা পেতে ফেসবুক মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম গুলো কি সে সম্পর্কেঃ

  • প্রথমেই আপনার ব্যবসায়িক পেজ খুলতে হবে। যাতে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সবিস্তারে দেয়া থাকবে। যেমন পণ্যের তালিকা, ছবি, কি ধরণের সার্ভিস পাওয়া যাবে, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী কেমন অফার দেয়া হবে ইত্যাদি।
  • আপনার পেজটি সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্ক রেখে একটা নাম দিতে হবে।
  • ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করে কভার পিকচার দিতে হবে। তেমনি ভাবে প্রোপাইল পিকচার ব্যবহার করতে পারেন।
  • অতপর আপনার পণ্য অথবা সেবার ব্যাপারে জানিয়ে পোস্ট দিতে হবে।
  • তারপর আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করতে হবে।
  • কোন বয়সের, কোন ধরণের গ্রাহক আপনার পণ্য বা সেবা পেতে আগ্রহী তাদের চিহ্নিত করে আপনার পোস্ট সাজাতে হবে। সেটা লেখা অথবা পিকচারের মাধ্যমে হতে পারে। নিয়মিত আপনার পেজ এ পণ্য বা সেবার ব্যাপারে আপডেট থাকতে হবে। কমেন্ট ও ম্যাসেজ এ গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। যেকোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়াবলি

ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়াবলি মাথায় রাখা উচিত। অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বর্তমানে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা আসলে আকাশচুম্বী,আর তাই ফেসবুক মার্কেটিং বর্তমানে যেকোনাে ব্যবসার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একেকজনে একেক রকম কৌশল অবলম্বন করে তার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসকে প্রচার প্রসার করছে।

তাই এখানে এখন অনেক কম্পিটিশন আর এই কম্পিটিশনে টিকে থাকতে হবে আমাদেরকে অবশ্যই একটু কৌশলি হতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রেখে কাজ করলে ভালাে ফলাফল আসতে পারে। তাহলে দেখে নিন কী কী বিষয় এড করা যায় অর্গানিক ও পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেঃ

Entertain: Entertain your customers with interesting content.আপনি হয়তাে খেয়াল করলে দেখবেন বাংলাদেশ সহ সবদেশের ক্ষুদ্র বিজনেস থেকে শুরু করে ব্রান্ড কোম্পানি গুলাে তাদের ফেইসবুক পেইজে ক্রিয়েটিভ এবং ফানি কন্টেন্ট শেয়ার করে।

এতে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায় (গােপন কথা বলে দিলুম। আপনিও চাইলে কিছু আকর্ষণীয় ও মজাদার কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনার কাস্টমারকে বিনােদন দিতে পারেন। সেটা ভিডিও, আর্টিকেল, ছবি, কিংবা মাই ডে বা স্টোরি ইত্যাদির মাধ্যমে করতে পারেন তবে সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে।

 Express: এমন কন্টেন্ট শেয়ার করুন যেটা আসলে আপনার বিজনেস এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থাৎ যে কন্টেন্ট প্রকৃত পক্ষে আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসকে নির্দেশ করে, উপস্থাপন করে এবং আপনার বিজনেস। মানুষকে কীভাবে হেল্প করতে পারে সেটা আপনার ফলােয়ারদের জানিয়ে দিতে পারেন।

 Engage: কিছু আকর্ষণীয় পােস্টের মাধ্যমে কাস্টমারদের এনগেজড করার চেষ্টা করতে পারেন। পােস্ট হতে পারে ভিডিও, ছবি, আর্টিকেল, ব্লগ ইত্যাদির দ্বারা।মাঝে মাঝে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য শুন্যস্থান পূরণ, কুইজ বা কিছু আগ্রহমূলক প্রশ্ন দিতে পারেন।

শিক্ষামূলক পােস্টঃ কাস্টমারদের বিনােদনের পাশাপাশি তাদেরকে শিক্ষামূলক কিছু পােস্ট বা কন্টেন্ট দিতে পারেন।এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনার কন্টেন্ট যদি উপকারী ও গ্রহণযােগ্য হয় তাহলে আপনার কাস্টমার বিনামূল্যে একটা তথ্য পেয়ে গেলাে এতেই আপনার প্রতি কাস্টমারের আস্থা বেড়ে যাবে এবং আপনি তাদের দৃষ্টিতে থাকবেন।তাছাড়া অডিয়েন্সের দৃষ্টিতে আপনার গ্রহণযােগ্যতাও বাড়বে।

ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে টিপস

ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস অবল্মবন করতে হবে। ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যার দ্বারা ব্যবসার পণ্য এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে, ঐ পন্য বা সেবা সম্পর্কে জানান দিয়ে থাকে। এখনকার সময়ে, অনলাইন মার্কেটিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করে যেকোনো বিজনেস কে প্রচার করাটা অনেক সহজ হয়ে পড়েছে।

ধরুন, আপনার একটি প্রোডাক্ট বেইজ অনলাইন বিজনেস রয়েছে বা আপনি একজন blogger, YouTuber, social media influencer বা কিছু বিশেষ সার্ভিস প্রদান করে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফেসবুক মার্কেটিং এর ব্যবহার করতে পারবেন।

বর্তমানে, social media platform যেমন, Facebook, Instagram, YouTube বা Twitter অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং জনপ্রিয় লোকেদের থেকে শুরু করে, সাধারণ লোকেরাও ব্যবহার করছেন।

যারা ব্যবসায়ী বা যাদের একটি ব্যবসা রয়েছে, তারা এই Facebook, Twitter বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলি ব্যবহার করে, নিজেদের পণ্য বা সার্ভিস গুলি অনলাইনে প্রচার বা মার্কেটিং করতে পারবেন।

এইজন্য আপনাকে-
১. ফেসবুক পেজ করতে হবে।
২. Instagram পেজ করতে হবে।
৩. Linked In পেজ করতে হবে।

একইসাথে এই তিন মাধ্যমে আস্তে আস্তে নিজের বিজনেস কে জনপ্রিয় করতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় কী?

উত্তরঃ ফেসবুক থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি একটি বড় ফলোয়ার বেস তৈরি করতে পারেন এবং নিয়মিত আকর্ষণীয় কনটেন্ট পোস্ট করেন, তাহলে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস বা অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে সহজেই আয় করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ আমি কীভাবে ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো?

উত্তরঃ প্রথমে একটি নির্দিষ্ট নীশ নির্বাচন করুন এবং একটি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ তৈরি করুন। এরপর বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন, যেমন অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস বা ক্লিকব্যাংক, এবং আপনার পেজে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করুন।

প্রশ্নঃ ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?

উত্তরঃ ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার জন্য আপনার পেজে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার এবং গত ৬০ দিনে ৩০,০০০ মিনিটের ভিডিও ভিউ থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ভিডিওর দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট বা তার বেশি হতে হবে।

প্রশ্নঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কীভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হলো এমন একটি ফিচার, যেখানে আপনি নতুন বা পুরানো পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার পণ্যটি লিস্ট করে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন এবং তাদের সাথে সরাসরি চ্যাট করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ফেসবুকে আয় করা কি নিরাপদ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, ফেসবুকে আয় করা সম্পূর্ণ নিরাপদ, যদি আপনি ফেসবুকের নীতি মেনে চলেন এবং বৈধ উপায়ে কাজ করেন। তবে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে যে আপনি কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের সুবিধা

ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের সুবিধার জন্য একটি কার্যকর মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে চান তবে ফেসবুক মার্কেটিং অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি বিশাল অডিয়েন্সদের লক্ষ্য করার জন্য একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। জেনে নিন-ব্যবসার সাফল্যে এই মার্কেটিংয়ের যেসকল সুবিধা রয়েছে তা নিচে ফুটিয়ে তোলা হলো-

সুনির্দিষ্ট অডিয়েন্সঃ আপনি ইতোমধ্যেই হয়ত জেনে থাকবেন যে অডিয়েন্স সম্পর্কে গভীরভাবে রিসার্চ করার অনুমতি Fecebook আমাদের ব্যবহারকারীদের দিয়ে থাকে। ডেমোগ্রাফিক টার্গেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট আয়, শিক্ষার স্তর, কাস্টমারদের অবস্থান বা চাকরিসহ যেকোনো ধরনের অডিয়েন্স নির্বাচন করতে পারবেন। এমনকি আপনি কাস্টমারদের তাদের পছন্দের বিনোদন, খেলাধুলা, শখ, খাবারের রুচি ও কেনাকাটা করার অভ্যাসের মতো আগ্রহগুলো থেকেও তাদের সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বৃদ্ধিঃ আপনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হবেন, আর আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট থাকবে না, এমনটা হতে পারে না। ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য, বিশেষ করে আপনি যখন কাস্টমারদের বিশ্বস্ততা অর্জন করার কথা মাথায় রাখবেন কিংবা ই-কর্মাসের মতো বিজনেস দাঁড় করানোর চিন্তা করবেন, তখন আপনার ওয়েবসাইট থাকাটা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে আপনি আপনার অডিয়েন্সদের সরাসরি আপনার পেইজ বা ওয়েবসাইট ভিজিট করাতে পারবেন। যারা সোশ্যাল মিডিয়ার Facebook মার্কেটিং -এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে, তারা অর্গানিক ইউজারদের থেকে বেশি জেনেই এখানে আসবেন কারণ তারা আপনার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আপনার সেবা বা পণ্য সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন।

তাই তাদের মনে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি। সেজন্য আপনার পণ্য সম্পর্কে আরও জানতে আপনার ফলোয়ারদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য উৎসাহিত করুন৷ এছাড়াও, যে ওয়েবসাইটটি লিঙ্ক করবেন সেখানে যদি কোনো ছবি দেওয়া থাকে, তাহলে ফেইসবুক তা দিয়েই একটা বড় কভার ফটো তৈরি করে নেয়। তাই আপনার ওয়েবসাইটের হোম পেইজ অথবা যেই পেইজটা লিংক করবেন সেখানে একটা আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করুন। এটি অনেক ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়াতে সাহায্য করবে।

বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাটঃ বর্তমানে ফেইসবুক বিজ্ঞাপন হলো ডিজিটাল মার্কেটিং -এর সেরা ও সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র। খুব কম খরচে টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন আকর্ষণীয় অ্যাড তৈরি করা। আর এই মার্কেটিংয়ে পাবেন ইমেজ, ক্যারোজেল, পোল, ভিডিও, স্লাইডশোর মতন হরেক রকম বিজ্ঞাপন ফরম্যাট।

কাস্টমারদের সমর্থনঃ যে-কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার কাজ হচ্ছে পণ্য বিক্রয়ের সময়, বিক্রয়ের আগে ও পরে কাস্টমারকে সহযোগিতা করা। কাস্টমার আপনার কাছ থেকে একবার কিছু কিনে নিলেই তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না বরং সবসময় অনলাইনে কানেকটেড থাকতে হবে। কারণ আপনি চাইবেন আপনার পণ্য আরো বেশী এবং বার বার বিক্রি করতে। আর সেজন্যই কাস্টমারের সাথে আপনার নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন। আর কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখলে যে-কোনো প্রয়োজনে আপনার কথা তারা মনে রাখতে বাধ্য।

ফেইসবুকের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে যেয়ে অটোমেটেড রেস্পন্স অপশন থেকে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে না থাকার পরেও গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। তাছাড়া চ্যাটবট তৈরি করেও ব্যবহারকারীদের নিয়মিত করা প্রশ্নগুলোর উপর ভিত্তি করে আগেই এর উত্তর তৈরি করে রাখতে পারেন। ধরা যাক আপনি মূল্য, ডেলিভারি চার্জ, পেমেন্ট অপশন ইত্যাদি কি-ওয়ার্ড দিয়ে বেশ কিছু উত্তর সাজালেন৷

কাস্টমারদের প্রশ্নগুলোর মধ্যে যদি এই কি-ওয়ার্ডগুলো থেকে থাকে তাহলে অটোমেটিক তাদের প্রশ্নের উত্তর সেন্ড হবে। আপনার চ্যাটবট আসল কথোপকথন অনুকরণ করেই গ্রাহকের সাথে কথা বলবে। ফলস্বরূপ, আপনার কাজ অনেকটাই কমে যাবে এবং আপনি আপনার ব্যবসার অন্যান্য দিকগুলোয় মনোযোগ দিতে পারবেন।

ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিং টিপস এন্ড ট্রিক্স

ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিং টিপস এন্ড ট্রিক্স জানা দরকার। প্রতিদিন অসংখ্য বিজনেস পেজ তৈরি করা হয়। এমনকি অনেক ব্র্যান্ড গড়ে উঠে এই মার্কেট থেকে। আর ছোট বিজনেস হলে তো একমাত্র উপযোগী অপশন হলো ফেইসবুক মার্কেটিং। কারণ এতো কম খরচে, এমন টার্গেটিং ও রিচের সুযোগ আর কোথাও নেই। আমরা ফেসবুকে যে বিজনেস করি, তা আরো সমৃদ্ধ করতে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স না জানলেই নয়। নিচে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স নিয়ে আলোচনা করা হলো-
ব্যবসার-উন্নতির-ক্ষেত্রে-ফেসবুক-মার্কেটিং-টিপস-এন্ড-ট্রিক্স
১. একটি আকর্ষণীয় বিজনেস পেজ তৈরি করুনঃ একটি সফল ফেসবুক মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের প্রথম ধাপ হল একটি আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পেজ তৈরি করা। হাই কোয়ালিটি ছবি, একটি ইন্টারেস্টিং কভার ফটো এবং একটি সংক্ষিপ্ত আকর্ষক ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন যা স্পষ্টভাবে আপনার ব্যবসার মেইন টার্গেট কে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে। আর পেজের ইনফরমেশনে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট, ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা সহ আপনার সাথে যোগাযোগের সব সব কিছু বিস্তারিত এবং স্পষ্টভাবে পেজে অ্যাড করবেন। 

আপনার ব্যবসার নাম রিপ্রেজেন্ট করতে প্রয়োজনে আপনার পেজের URL কাস্টমাইজ করতে পারেন। মনে রাখবেন একটি আকর্ষণীয় এবং সুসংগঠিত ফেসবুক পেজ আপনার অনলাইন বিজনেসের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। তাই পেজ তৈরির ব্যাপারে কখনও হেলাফেলা করবেন না। প্রথম দেখাতেই ভালো ইমপ্রেশন আসবে বা সবাইকে আকর্ষণীয় করতে পারবে, আপনার পেজের এমন আউটলুক থাকতে হবে। পেজ সেটিংস অপটিমাইজ করা, হাই কোয়ালিটি ও সঠিক সাইজের প্রোফাইল ফটো (লোগো) ও কাভার ফটো সেট করতে হবে।

২. ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে কাজ করুনঃ ফেইসবুক গ্রুপ হচ্ছে কোনো এক সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কমিউনিটি। বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র তার বিজনেস পেজ নিয়ে ভাবে। আর ভুলে যায় ফেসবুকের আরো বেশ কিছু টুলস আছে যা খুবই কার্যকরি। ফেসবুক প্রতিনিয়ত পেজগুলোর অরগানিক রিচ কমিয়ে দিচ্ছে। তারমানে পেইড মার্কেটিং ছাড়া বা বুস্ট ছাড়া আপনার পেজের কন্টেন্টগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। ছোট ব্যবসার জন্য পেইড মার্কেটিং এর পিছনে টাকা ইনভেস্ট করা খুব সহজ কাজ নয়। প্রতিনিয়ত ডলার খরচ বাড়ছে অন্যদিকে পণ্য/সেবার দাম কমাতে হচ্ছে প্রতিযোগিতাপূর্ন এই বাজারে টিকে থাকার জন্য।

ফেসবুক পেজে অরগানিক রিচ কম হলেও গ্রুপে কিছু রিচ কম হয় না। তাই পেজেরে পাশাপাশি একটি গ্রুপ তৈরি করুন এবং এটি নিয়ে কাজ করুন। আর মনের রাখবেন ফেসবুক গ্রুপ হল পরিবারের মত। গ্রুপে সবাই মনের কথা পোস্ট করতে পারে এবং আপনি কোন পোস্ট দিলে সবাই কমেন্ট করেও কিন্তু তাদের মতামত জানতে পারে। যা আপনার বিজনেসকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

৩. আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স সম্পর্কে জানুনঃ আপনার ফেসবুক বিজনেস টি অপ্টিমাইজ করার জন্য, আপনার টার্গেটেড কাস্টমার সনাক্ত করা এবং বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বিদ্যমান কাস্টমার এবং তাদের জনসংখ্যা সম্পর্কে ইনসাইট পেতে ফেসবুক ইনসাইট বা অন্যান্য এনালাইসিস টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করতে পারেন।

বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান এবং আপনার ব্যবসার অফারগুলির সাথে আরো রিলেটেড বিষয়গুলি নির্ধারণ করুন। এই তথ্যগুলো আপনাকে আপনার টার্গেটেড পণ্য এবং বিজ্ঞাপনগুলি তৈরি করতে সাহায্য করবে যা আপনার দর্শকদের সাথে এনগেজড হতেও সাহায্য করবে। যার ফলে প্রচুর ট্রাফিক একটা সময় পর অটোমেটিকালি বাড়বে।

৪. মানসম্পন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিয়ে আপনার কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করুনঃ আপনার অডিয়েন্স কে এনগেজড রাখতে, ধারাবাহিকভাবে আপনার ফেসবুক পেজে Informative এবং Interesting বিষয় নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করুন। আপনার কাজের সাথে সম্পর্কিত এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল, টিপস, ভিডিও এবং ইনফোগ্রাফিক্স শেয়ার করুন। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, পোল চালানোর মাধ্যমে এবং কমেন্ট এবং মেসেজের রেসপন্স দ্রুত জানিয়ে আপনার কাস্টমারের ইন্টারেকশন কে আরো উৎসাহিত করুন।

আপনি যখন তাদের কাছে কোন প্রশ্ন ছুড়ে দিবেন পোস্টের মাধ্যমে এবং তারা যখন সেখানে কমেন্ট করবে এবং আপনি সেটার প্রতিউত্তর মানে রিপ্লায় দিবেন তখন অরগানিক ভাবে আপনার পোস্টের রিচ বেড়ে যাবে। মনে রাখবেন, আপনার বিষয়বস্তু যত বেশি আকর্ষক এবং শেয়ারযোগ্য হবে, আপনার বিজনেস এর নাগাল ততই বৃদ্ধি পাবে। যা আপনাকে অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এক্সপোজার পেতে সাহায্য করবে।

৫. প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের ব্যাবস্থা করুনঃ মাঝে মধ্যে প্রতিযোগীতা এবং পুরস্কারের ব্যাবস্থা করতে পারেন। যা আপনার বিজনেসে এনগেজমেন্ট বাড়াতে এবং আপনার ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়াতে বেশ সহায়তা করবে। তাই সহজ এবং মজাদার প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন, এবং নিয়মটি এমন রাখবেন যাতে অংশগ্রহণকারীদের একটি পুরস্কার জেতার জন্য আপনার পোস্ট লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করতে হয়। এই কৌশলটি শুধুমাত্র আপনার পেইজের ভিজিবিলিটি বাড়াবে না বরং ইউজারদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে এবং শেয়ারের মাধ্যমে আপনার বিজনেস কে আরও বেশি প্রসারিত করবে।

৬. ফেসবুক গ্রুপে অডিয়েন্স এর অংশগ্রহণ বাড়ানঃ মনে রাখবেন ফেসবুক গ্রুপ কিন্তু একটা পরিবারের মত। Facebook গ্রুপ গুলো আপনার ব্র্যান্ডের রিচ বাড়াতে এবং ক্লায়েন্ট দের সাথো আরো বেশি এনগেজড হতেও সাহায্য করে। এখানে আপনি আপনার গ্রুপ মেম্বারদের সাথে যত আন্তরিক রিলেশনশিপ তৈরি করতে পারবেন, প্রোফেশনালি তত বেশি বেনিফিট পাবেন। কারণ নিয়মিত গ্রুপে বিজনেস আপডেট দিলে মেম্বাররা আপনাকে তুলনামূলক বেশি ট্রাস্টেড মনে করবে। যা অনলাইনে বিজনেস করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তাই নিজের বিজনেজকে পরিচিত করতে চাইলে একটি অর্গানাইজড ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন। দক্ষ মডারেটর ও এডমিনের মাধ্যমে গ্রুপে অডিয়েন্স ইনভলভমেন্ট বাড়ান। মাঝে মধ্যে আপনি নিজেও সময় দিবেন, পোস্ট দিবেন, গ্রুপ মেম্বারদের সাথে কমেন্ট এর মাধ্যমে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করুন।

৭ সামঞ্জস্যপূর্ণ পোস্টিং রুটিন তৈরি করুনঃ প্রতিটা কাজের সফলতা নির্ভর করে সে কাজের ধারাবাহিকতার উপর। একটি একটিভ এবং এনগেজিং ফেসবুক পেজ বজায় রাখার জন্য ধারাবাহিকতা হল মূল চাবিকাঠি। তাই একটি টপিক ক্যালেন্ডার তৈরি করুন এবং একটি নিয়মিত পোস্টিং রুটিন তৈরি করুন। যাতে আপনার ফলোয়াররা বুঝতে পারেন কখন আপনার কাছ থেকে নতুন আপডেট পাওয়া যাবে। আপনার ফলোয়ারদের আগ্রহী এবং কানেক্টেড রাখতে তথ্যপূর্ণ, বিনোদনমূলক এবং প্রচারমূলক পোস্টে নিয়মিত করুন।

ছবি, ভিডিও, স্টোরি এবং ইনফোগ্রাফিকের মতো বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। এরপর যাচাই করুন কোনটি আপনার ফলোয়ার দের কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। সে অনুযায়ী রেগুলার পোস্ট করতে থাকুন।

৮. ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কন্ট্রাক্ট করুনঃ বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ছোট ব্যবসার জন্য একটি জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী মার্কেটিং কৌশল। তাই প্রথমেই আপনার বাজেটের মধ্যে মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার বা মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সার দের সনাক্ত করুন যারা কাজ করতে আগ্রহী। কম বাজেটে মাক্সিমাম শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এইটা একটা দারুন মাধ্যম বলা চলে।

বিশেষ করে যারা আপনার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের সাথে রিলেটেড এবং ফেসবুকে যাদের যথেষ্ট ফলোয়ার রয়েছে তাদের কে টার্গেট করুন। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, ইমেইল করতে পারেন এবং প্রয়োজনে মোবাইল কথা বলে স্পনসর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করুন। যাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা বিশাল ফ্যান ফলোয়ার আছে তারা যদি আপনার সার্ভিস বা পণ্য সম্পর্কে বলে তাহলে আপনার ব্র্যান্ডের রিচ বড় হবে এবং নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট হবে জানতে পারবেন আপনার ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে।

৯. ফেসবুক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করুনঃ আপনার সব ফলোয়ার দের ছাড়িয়ে আরো বৃহত্তর অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর একটি বড় মাধ্যমে হল ফেসবুকে বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন দিতে আপনাকে কিছু থাকা খরচ করতে হবে। এটি হল পেইড মার্কেটিং। নির্দিষ্ট জনসংখ্যা, ইন্টারেস্ট এবং তাদের চাওয়ার উপর ভিত্তি করে আপনার শ্রোতাদের শর্টলিস্ট করতে প্ল্যাটফর্মের শক্তিশালী টার্গেটিং অপশন ব্যবহার করতে পারেন।

বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ফরম্যাট কিন্তু রয়েছ যেমন, ইমেজ বিজ্ঞাপন, ভিডিও বিজ্ঞাপন, অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে আজকাল বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। এখন আপনার ব্যবসার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা খুঁজে বের করুন। পেইড মার্কেটিং এর একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি আপনার টার্গেটিং কাস্টমার সিলেক্ট করতে পারবেন এবং সেই ভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন। এই পেইড মার্কেটিং বেশ কার্যকারী।

১০. ফলোয়ারদের সাথে সবসময় কানেক্টেড থাকুনঃ যেকোন সফল ফেসবুক মার্কেটিং কৌশলের জন্য ট্রাফিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ই মন্তব্য, মেসেজ এবং ক্রিটিসিজম সাথে সাথে রেসপন্স জানান। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা দেখান এবং পেশাদারিত্বের সাথে এবং সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য কোনও নেতিবাচক মন্তব্যের সমাধান করুন। আপনার কাস্টমারের সাথে যুক্ত হওয়া আপনার ব্র্যান্ডকে আরো বেশি রিচ করে তোলে এবং আস্থা তৈরি করে। এমন অনুগত গ্রাহকদের উৎসাহিত করে, যারা অন্যদের কাছে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলে!! যা বেশ কার্যকারী।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে শেষকথা

এখনকার সময় আর ফেসবুক কেউ আর নিছক বিনোদনের জন্যে কিংবা সময় কাটাবার জন্যে ব্যবহার করে না। ফেসবুক এখন বিজনেস করবার জন্যে একটি প্রগতিশীল জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে এবং দিন যত যাবে ফেসবুকে আপনার বিজনেস কম্পিটিটর তত বাড়বে। একই সাথে ফেসবুকে বিজনেস করবার এই প্ল্যাটফর্মটি আরো বেশী শক্ত পক্ত হবে। তাই এখনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এ আপনি নিজের জায়গা তৈরী করতে না পারেন তাহলে ভবিষৎ পৃথিবীতে আপনার বিজনেসকে নিয়ে আর কোন বিশেষ জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন না।

আজকের দিনে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ফেসবুক মার্কেটিং এ নিজের জায়গা করতে না পারার অর্থ হল আপনি বেশ পিছিয়ে আছেন। আপনার বিজনেস যেই নিশেরই হোক না কেন তা অনলাইনে সার্ভিস দিয়ে থাকুক আর নাই বা দিয়ে থাকুক আপনার জন্যে ফেসবুক মার্কেটিং করা বেশ জরুরী। কেননা এতে আপনার ব্রান্ড এর ভ্যালু বৃদ্ধি হয় এবং অডিয়েন্স আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে পারে।

বর্তমানে টিভি, পত্রিকা, রেডিও সোশ্যাল মিডিয়া এসব মাধ্যম গুলোর মধ্যে যে মাধ্যম গুলোতে আপনার গ্রাহক সবচেয়ে বেশী সময় কাটায় তা হল সোশ্যাল মিডিয়া। আবার যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশী যেখানে একটিভ থাকে তা হল ফেসবুক। সারা পৃথিবীতে ফেসবুক ইউজার এর সংখ্যা প্রায় ২.৯৩ মিলিয়ন এবং এদের মধ্যে প্রতিটি মানুষ গড়ে কমপেক্ষে ৫৮ মিনিট ফেসবুকে কাটায়।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি কেন ফেসবুককে মার্কেটিং এর জন্যে টার্গেট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url