ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা


ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। কারণ বর্তমানে ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। আর অনলাইনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়।
ঘরে-বসে-প্রতি-মাসে-১০টি-উপায়ে-আয়-করুন
শুধুমাত্র সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলেই প্রতি মাসে ১৫০০০ ২০০০০ আয় করা সম্ভব। আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব।

বর্তমানে এই আধুনিক যুগে অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায়, যদি আপনি সঠিক উপায় গুলো না জানেন তাহলে কখনোই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। অনেকেই বর্তমানে ঘরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করে অনলাইনে ১৫০০০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করছে।

আপনিও করতে পারবেন যদি আমাদের দেখানো উপায় ও গাইডলাইন গুলো অনুসরণ করেন। আমরা বিভিন্ন রিসার্চ করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তাই ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে প্রতিটি অংশ পড়তে থাকুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি পাওয়া গেলেও তা খুব কম বেতনের হয়ে থাকে। আবার অনেকগুলো জব রয়েছে যেগুলো করার জন্য শারীরিক প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। যা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে কি আপনি এখন চাকরি না করে ঘরে বসে থাকবেন, না বন্ধুরা শুধুমাত্র ঘরে বেকার বসে থেকে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
আপনার হাতে থাকা মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিভিন্ন কোম্পানিতে অনলাইনে চাকরি করতে পারবেন, পাশাপাশি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তখন আপনাকে আর শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে না। আপনি নিজের ইচ্ছামত ঘরে বসে যে কোনো সময়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আমার মতে চাকরির পিছনে না ছুটে এবং ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইনে কাজ করার চেষ্টা করুন তাহলে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

অনেকে দেখা যায় চাকরি খোঁজ করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে, তাদেরকে বলব আপনারা হতাশ হবেন না অনলাইনে জব খোঁজার চেষ্টা করুন এবং অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করুন। অনলাইনে টাকা রোজগার করার প্রচুর উপায় রয়েছে। যেগুলো করার জন্য তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি দক্ষ হলে সেই কাজগুলো করে দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আজকের আর্টিকেলের টপিক হল ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে, অর্থাৎ বুঝতে পারছেন আজকে আমরা ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো আলোচনা করব। এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি চাকরি না করেও খুব সহজে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করে সফল হতে পারবেন।
সফল হওয়ার জন্য চাকরি করা জরুরি নয়, সফল হতে হলে প্রচুর নিষ্ঠা ও পরিশ্রম করে মানসিকতা থাকতে হয়। আপনি অনলাইনে কাজ করেও সফল হতে পারেন ,যদি আপনার মনে পরিশ্রম করার চিন্তা ভাবনা থাকে। ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব এই সম্পর্কে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় গুলো আমরা আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব, তাই আর্টিকেলটি ভালো করে ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা

ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করার উপায় গুলো জানতে চান তারা অবশ্যই আর্টিকেলের এই অংশটি ভালো করে পড়বেন। কারণ আমরা এই অংশটিতে ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা যদি নিজস্ব দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে অনায়াসেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও গাইডলাইন্স জানা থাকতে হবে।

কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন বিষয়টি নিয়ে গাইডলাইন সমূহ আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। বন্ধুরা একটা কথা বলে রাখি আপনি যদি দীর্ঘ সময় ও দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের দিকে ধাবিত হতে হবে। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন তাহলে অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসেই অনলাইনে টাকা রোজগার করতে পারবেন। ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে ১৫০০০-২০০০০ টাকা আয় করার উপায় গুলো আলোচনা করা হলোঃ

ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ফ্রিল্যান্সিং স্কিল থাকলে আপনি ঘরে বসেই সহজেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং স্কিল আপনি খুব সহজেই অর্জন করতে পারেন যদি আপনার ইচ্ছা থাকে। ইউটিউবে সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোর্স করিয়ে থাকে সেখানে আপনি জয়েন হয়ে ফ্রিতে অথবা পেইড ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ 
এছাড়াও আমাদের দেশের স্বনামধন্য অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে কোর্স ফি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি বিষয়ে খুবই দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই সেক্টরে কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো ঘরে বসে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে করতে হয়। শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই কম্পিউটারের ব্যবহার করে এই কাজগুলো করা যায়।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রচুর যাদের রয়েছে যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং করে সহজেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে অনেকেই শুধুমাত্র এই ফ্রিল্যান্সিং করেই মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডোবেল কাজগুলো শিখে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেই সেক্টর গুলো আপনি শিখতে পারেন তা হলঃ

কনটেন্ট রাইটিংঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সব কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। এই একটি মাত্র কাজ করে অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই কাজ টি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন অনায়াসে। কারণ এই কাজের জন্য একটি মাত্র text editor app থাকলেই চলবে। আর এই অ্যাপস দিয়ে খুব সহজেই সুন্দরভাবে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

এই সেক্টরটি নতুন ফ্রিল্যান্সারেদের জন্য খুবই সহজ, কারণ এই কাজগুলো সবাই করতে পারে। আপনি কনটেন্ট রাইটিং শিখে ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই সেক্টরে মূলত লেখালেখির কাজ করতে হয়।মোবাইল দিয়ে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, যেমন Google Docs, WPS Office, iA Writer, Microsoft office word ইত্যাদি।

কপিরাইটিংঃ কপিরাইটং কাজটি মূলত কিছুটা কন্টেন্ট রাইটিং কাজ এর মতোই। একাজ করার জন্য আপনার ফোনে কোন টাইপিং Application থাকলেই একাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব। সাধারণত কপিরাইটিং কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্যে সৃজনশীল কোনো লেখা লিখে দিতে হবে। এধরণের কাজ মোবাইল দ্বারা করা অত্যন্ত সহজ কাজ। বর্তমান সময়ে কপিরাইটং কাজ হল নতুনদের মধ্যে সেরা একটি পেশা। এধরনের কাজ করার জন্য আপনাকে কোন নির্দিষ্ট ডিভাইস অথবা স্পেশাল কোন কিছুর ব্যবহার করতে হবে না।

ব্লগিংঃ ঘরে বসে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। এর জন্য প্রাথমিকভাবে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। নানান ফ্রি ব্লগ সাইট রয়েছে যাতে আপনি আপনার ব্লগ চালু করতে পারেন। নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগে লেখালেখি তথা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগসাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।

গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন করা এই সেক্টরের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং এর এই সেক্টরের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। আপনার চাকরি করার ইচ্ছা না থাকে অনলাইনে অন্যের কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোয় গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অনেক চাহিদা। আপনি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলে নিয়মিত কাজ করতে পারবেন। এতে একাধারে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আয় হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই সেক্টরের কাজ। বর্তমান সময়ে এই সেক্টরটির ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই কাজ টা শিখে খুব সহজেই অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা সত্য কথা যে তা হলো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে চান তাহলে আপনি শুধু মাত্র বেসিক বিষয়গুলো করতে পারবেন যেমন -html , css । আর যদি প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইন করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি পিসি বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। আর আসুন জেনে নেই মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন এর বেসিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য আপনি Google play store থেকে যে অ্যাপস গুলো ইন্সটল করবেনঃ

  • Free code camp
  • W3schools
  • Programming hero
  • Solo Learn

ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি করা। ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক।

তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা সম্ভব।ডাটা এন্ট্রির কাজ অনলাইনে করা সম্ভব এবং এটি তুলনামূলক সহজ। তাই যারা সহজ কাজ দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছেন তারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। 

ডাটা এন্ট্রি হলো টাইপিস্টের সাহায্যে টাইপ করে যেকোন হার্ড কপি, সফট কপিতে ডাটা রুপান্তর করা এবং ডাটা সঠিক জায়গায় সংগ্রহ করা বা সংরক্ষণ করাই হলো ডাটা এন্ট্রি। অথবা, ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে লিখিত কোন তথ্য, চিত্র, উপাত্ত বা বিষয়বস্তুকে ইলেকট্রনিক ফরমেটে রূপান্তর করে তা কম্পিউটারের জন্য উপযুক্ত করার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে সাধারণত ডাটা ইনপুট করে একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে ডাটাবেজে ডাটা সংরক্ষণ করা হয়।

আর্টিকেল রাইটিং করে ঘরে বসে আয় করার উপায়

আর্টিকেল রাইটিং এর কথা আপনারা সকলেই শুনেছেন, আর্টিকেল রাইটিং হলো মূলত লেখালেখি করা। অর্থাৎ লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায়কে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়ে থাকে। আপনার আর্টিকেল রাইটিং এর দক্ষতা থাকলে আপনি এই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে করে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বা বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়াও বিভিন্ন বড় বড় ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নিউজ পেপার ওয়েবসাইট গুলোতে বাংলা আর্টিকেলের প্রচুর জায়গায় রয়েছে। আপনি সেখানে আবেদন করে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিতে পারেন।

আর সেখানে মূলত ভালো ধরনের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি হাই কোয়ালিটি এসইও সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে দিনে কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তাই বলবো আর্টিকেল লেখা শিখুন আর ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করুন। এটিই হলো ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে উপায়।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম
কিছু সাধারণ বা বেসিক নিয়ম , যেটি না জানলে আপনার শুরুটাই নড়বড়ে হবে। তাই আর্টিকেল লিখতে হলে কিছু সাধারণ নিয়ম আছে যেগুলি আপনাদের অবলম্বন করতে হবে। এই ছোট ছোট সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলি আপনার আর্টিকেল কে রুচিকর বানাতে সাহায্য করে।

সবার প্রথমে মাথায় রাখতে হবে, আপনার রিডার্স বন্ধুরা যাতে আপনার কনটেন্ট পড়ে ইন্টারেস্ট পায়। প্রত্যেকটি শব্দ বা লাইন এমন ভাবে প্রতিস্থাপিত করতে হবে যাতে আপনার রিডার্স রা সেটা শেষ অবধি পড়তে মজা পায়। বিষয়বস্তুটি কে সহজ ও সরল ভাবে উপস্থাপন করুন যাতে, খুব সহজেই যে কেও পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারে।

এগুলো খুবই সাধারণ নিয়ম, কিন্তু এইগুলো ফলো করলে এবং আপনার লেখার বুনন ঠিক থাকলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনি নিঃসন্দেহে এক কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে মার্কেটে নাম করতে সফল হবেন।

আপনি যে বিষয়ে পারদর্শি, যার সম্পর্কে আপনার বিস্তার জ্ঞান আছে, এবং আপনার ভিউয়ার্স দের সঠিক তথ্য দিতে পারবেন সেই বিষয়টি তুলে ধরুন। যত বেশি বিষয়টির সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে ততো বেশি ডিটেলসে আপনি আপনার ভিউয়ার্স দের দিতে পারবেন।

আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন
আপনি যেভাবে এই আর্টিকেল টি পড়ছেন , সেরকম ভাবে আপনার আর্টিকেল যদি মজাদার হয় , তাহলে আপনার ভিউয়ার্স নিঃসন্দেহে বাড়বে ও আপনার আর্নিং এর পথ প্রসস্থ হবে।

ছোট্ট এবং চমকপ্রদ টাইটেলঃ সবার প্রথমে আপনাকে আর্টিকেলে এক আকর্ষণীয় এবং ছোট্ট টাইটেল দিতে হবে। এমন টাইটেল যা আপনার বিষয়কে ফুটিয়ে তুলবে , আর্টিকেলের টাইটেল দেখেই যেন লোকে আপনার আর্টিকেল পড়তে আসে। এটি একেবারে স্পষ্ট হতে হবে, যাতে লোকেরা বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলের বিষয় বস্তুটি কি।

ছোট ছোট প্যারাগ্রাফঃ আপনার আর্টিকেলের প্যারাগ্রাফ সবসময় ছোট রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ ছোট পেরাগ্রাফ পড়ুয়াদের আকর্ষিত করে, অন্য দিকে বড় প্যারাগ্রাফ মানেই মানুষ সেটি পড়ার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলে। এখন রীলস এর যুগ তাই প্রত্যেকটা সেকেন্ড ইম্পরট্যান্ট। ছোট প্যারাগ্রাফ আর্টিকেল কে স্পষ্ট এবং ফ্রেন্ডলি করে তোলে।

মজার বা আকর্ষক হেডিংঃ আর্টিকেল যত সুন্দর হেডিং দ্বারা গঠিত হবে ততই সুন্দর ও মজার হবে। হেডিং যেমন – H১, H ২ ..৩..৪ ইত্যাদি। সাব হেডিং আপনার আর্টিকেল কে অনেক ভাগে ভাগ করে সেটিকে বিশ্লেষণ করে যারফলে আর্টিকেল টি পড়তে ও বুঝতে অনেক সুবিধা হয়।

ছবির ব্যবহারঃ ছবি আমাদের সবার চোখ আকর্ষণ করে। তাই আর্টিকেল টি সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে সাজাবেন , মনে রাখবেন সবকটি ছবি বা ইমেজ যেন কপিরাইট ফ্রি হয়, আর অবশ্যই সেগুলো যেন আপনার আর্টিকেল সম্পর্কৃত ই ছবি হয। এতে লোকে আপনার আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী এবং আনন্দ অনুভব করবে।

মিনিমাম শব্দের প্রয়োগঃ যখনি কোনো আর্টিকেল লিখবেন চেষ্টা করবেন কমপক্ষে ৫০০ টি শব্দে গুছিয়ে লিখতে। তার বেশী (১০০০- ১৮০০) শব্দেও লিখতে পারেন, কিন্তু ৫০০ এর কম লিখতে যাবেন না। মনে রাখবেন যত বেশি শব্দ দিয়ে লিখবেন এবং সহজ ভাষায় লিখবেন আপনার টপিক পড়তে বাকীদের ততটাই ভালো লাগবে।

আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার কিছু মাধ্যম

১. ব্লগ (blog) এর মাধ্যমে ইনকামঃ আপনি আপনার নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, এবং সেই ওয়েবসাইটে আপনার আর্টিকেল পোস্ট করে আপনি সহজে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে ভিসিটর্সদের আকৃষ্ট করতে পারেন। আর যখনি আপনার ওয়েবসাইট এর ভিউস বেড়ে আসবে অমনি আপনি তার থেকে টাকা ইনকাম করতে শুরু করবেন। আপনাকে ধ্যৈর্য ধরে একাধিক বিষয়ের ওপর একটানা আর্টিকেল পোস্ট করে যেতে হবে। তবেই ভিউয়ার্স আকৃষ্ট করতে পারবেন। আপনার ব্লগে একটা আর্টিকেল যতদিন থাকবে ততদিন তা থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

২. অন্যের ব্লগে আর্টিকেল লিখে ইনকামঃ আপনি পেইড গেস্ট -ও হতে পারেন অর্থাৎ অন্যের ব্লগে আপনার লেখা আর্টিকেল পোস্ট করে আয় করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট ওনার আছেন যারা নিজেদের ব্লগের জন্য রাইটার খোঁজেন। আপনিও চাইলে তাদের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন। ওনারা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট পে করবে, আপনার প্রত্যেক আর্টিকেল এর জন্য। ওয়েবসাইট ওনার আপনাকে যে বিষয় এ আর্টিকেল লিখতে দেবেন , সে বিষয়ে একেবারে অরিজিনাল কনটেন্ট লিখতে হবে। অন্য আর্টিকেল থেকে কপি করলে হবে না। যত অরিজিনাল এবং ভালো লিখবেন তত বেশি আপনি কাজ পাবেন।

৩. নিজের লেখা আর্টিকেল বিক্রয় করে আয়ঃ বর্তমানে আপনি নিজের আর্টিকেল অন্য কোনো বড় ব্র্যান্ডকে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। তবে তার জন্য আপনার রাইটিং খুব হাই কোয়ালিটির হতে হবে। কারণ এখন মার্কেটে কনটেন্ট রাইটারের প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। এমন কিছু ওয়েবসাইট যেখানে আর্টিকেল বিক্রয় করা যায় সেগুলি হল – fiverr, hirewriter, ইত্যাদি।

৪. কপিরাইটিং এর মাধ্যমে আয়ঃ অনলাইন আর্টিকেল মাধ্যমে আয়ের অন্যতম হলো কপিরাইটিং। এতে আপনাকে কিছু স্ক্যান করা ফাইল দেবে সেগুলিকে শুধু দেখে টাইপ করতে হবে। বর্তমানে ফাইভার, ফ্রিল্যান্সিং , আপওয়ার্ক প্রভৃতির মার্কেটে এই ধরণের কপিরাইটিং কাজ অনেক পাওয়া যায়। বিড করে আপনাকে শুধু কাজ খুঁজে নিতে হবে।

অনলাইন কোর্স তৈরী করে ঘরে বসে আয় করার উপায়

বিশেষ কোন দক্ষতা থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স তৈরী করে বা বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে শিক্ষকরা অনলাইনে পড়ালেখার বিষয়ে কোর্স তৈরি করে অতি সহজেই প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে অনলাইনে শিক্ষকতা করে অথবা কোর্স বানিয়ে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন।

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা থাকে তাহলে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স তৈরি করে টাকা উপার্জন করুন। আর যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে তাহলে শিক্ষনীয় কোর্স বানিয়ে সেগুলো বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করুন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘরে বসে আয় করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনারা হয়তো জানেন। ইউটিউব (Youtube) চ্যানেলে বিনোদন নেওয়ার সাথে সাথে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। তাই আমার মতে ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইউটিউবে ভিডিও বানানো।

আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হয়। আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য গুগল এডসেন্স আবেদন করতে হয়।

তবে এই ক্ষেত্রে ইউটিউব এর কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে কাজ করতে হবে তাহলে গুগল এডসেন্স আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে শর্ট ভিডিও আপলোড করেও বর্তমানে টাকা উপার্জন করা যায়। এছাড়াও ইউটিউবে বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রমোশন করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা উপায়
ইউটিউব এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো হয়, সফলতা আসবেই। ওই চ্যানেল থেকে ইনকাম আসবেই একদিন না একদিন। তবে তার জন্য মূল কয়েকটি বিষয় আপনাকে জানতে হবে। যেমন ইউটিউব থেকে ইনকামের ক্ষেত্রে অনেকগুলো মাধ্যম আছে যেখান থেকে মূলত আয়গুলো আসে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। তার মধ্যে সেরা পাঁচটি উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ

বিজ্ঞাপন থেকে আয়ঃ ইউটিউবার হিসেবে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা একদম প্রাথমিক একটি উপায়। ইতোমধ্যেই আপনারা হয়তো জানেন বেশিরভাগ ইউটিউবাররাই ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আয় করে থাকেন। বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও শুরু হওয়ার আগে বা ভিডিও চলাকালীন সময়ে আমরা যে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই সেখান থেকেই এই আয় হয়ে থাকে।

তবে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন থেকে মূলত কি পরিমান আয় হয় এই ব্যাপারটি গুগল নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে। ইউটিউবাররা জানতেও পারে না তারা যে বিজ্ঞাপনটি থেকে কি পরিমান আয় করছেন।গুগলে ইউটিউব থেকে কি পরিমান আয় করছে তার কোন কিছুই উল্লেখ করা নেই। তবে একটি প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যাই যে প্রতি এক হাজার ভিউ থেকে প্রায় ৩ ডলার থেকে ১০ ডলার আয় হয়ে থাকে।

ইউটিউবের একটা মজার ব্যাপার হলো এই যে আপনার কোন ভিডিও যদি একবার জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে এই ভিডিও যতদিন আপনার চ্যানেলে থাকবে ততোদিন আপনার আয় হতে থাকবে। যতদিন আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে ততদিন পর্যন্ত আপনার আয় হতেই থাকবে।

সাধারণত বেশিরভাগ ইউটিউবার প্রথম থেকে ইউটিউবে এভাবেই আয় করে থাকে। এই জন্যেই এটিকে বলা হয় ইউটিউব থেকে আয় করার একটি প্রাথমিক উপায়। ইউটিউবে আপনার বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে আলাদা করে কিচ্ছু করতে হবে না। তবে আপনি কিন্তু চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করেই সাথে সাথেই আয় করতে পারছেন না। তাই এটাকে সহজ উপায় বলা হলেও যত সহজ বলে মনে হচ্ছে বিষয়টা কিন্তু ততোটাও সহজ উপায় না।

কেননা এই আয়ের জন্য আপনার চ্যানেলটিকে একটি যোগ্যতার পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। তার জন্য আপনাকে বিভিন্ন কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। আর সেটি হলো বিগত এক বছরের মধ্যে আপনার চ্যানেল এর ভিডিওগুলোতে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে এবং আপনার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হবে। তাছাড়াও আপনার ইউটিউবে যতক্ষণ না একশত ডলার আয় হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই আয় আপনার ব্যাংক একাউন্টে আসবে না। তাই এটা সহজ উপায় মনে হলেও ততোটাও সহজভাবে নেওয়া যাবে না।

অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ইনকামঃ যেহেতু বিজ্ঞাপন থেকে আয় আপনি যে পরিমাণে চাইবেন সবসময় তেমন পরিমাণে হয় না। তাই ইউটিউবাররা আরও ক্রিয়েটিভ উপায়ে আয় করার উপায় বের করেছেন। এই জন্যে কোন কোম্পানির সাথে আপনাকে চুক্তিতে যেতে হবে, আর তাদের পণ্যের লিংক আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে দিয়ে রাখতে হবে এবং ভিডিওর মাধ্যে এই পণ্যটির কথা আপনাকে বলে দিতে হবে।

তখন এই লিংকে যেই ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করবেন তার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন। এতে কোম্পানির লাভের সাথে সাথে আপনারও লাভ হয়ে যাবে। যার মাধ্যমে তাদের কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের সাথে সাথে তাদের কোম্পানির মার্কেটিংও হয়ে যাচ্ছে। এতে কোম্পানিটিও বেশ লাভবান হচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন; অর্থাৎ পরোক্ষভাবে অন্য কোনো কোম্পানির পণ্য প্রচার করছেন সেহেতু আপনাকে অবশ্যই এখানে পণ্যটি সেল করার দিকে বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। তাই আপনার ভিডিওটি শুধু দেখতে ভালো হলেই হবে না, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মোশন গ্রাফিক্স ও যথাযথ এডিটিং থাকা প্রয়োজন। নতুবা ভিউয়ার্সদের কাছে আপনার কনটেন্টটি খুব একটা চমকপ্রদ বলে মনে নাও হতে পারে।

ডোনেশন এর মাধ্যমে আয়ঃ আপনার চ্যানেল এর ফ্যানরা আপনার ভিডিও দেখে আপনাকে কিছু অর্থ নিজের পকেট থেকে ডোনেট করার প্রক্রিয়াটিও ইউটিউবে আছে। এই প্রক্রিয়াটির একটি মাধ্যম রয়েছে। এটি হচ্ছে প্যাট্রেয়ন নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি করা হয়েছে মূলত ইউটিবাররা তাদের ভিউয়ার্সদের কাছ থেকে তাদের চ্যানেলের জন্য যেন কিছু অর্থায়ন পায়। যাতে করে ইউটিউবারদেরও কিছুটা সহোযোগিতা হয়ে যায়।

কিন্তু এই ডোনেশনের মাধ্যমে অনেক আয় করা সম্ভব হয় না। কারন ধরুন আপনি একটা চ্যানেল খুলেছেন সেখান থেকে আপনার তেমন কোন আয় হচ্ছে না। কিন্তু আপনার ফ্যানরা চায় যে আপনি নতুন ভিডিও তৈরী করে যান। সেক্ষেত্রে ফ্যানরা আপনাকে কিছু ডোনেশন দিয়ে যাবে যাতে করে আপনি ভিডিও তৈরি করা চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ডোনেশন এর মাধ্যমে আপনি কোনদিনও অতি তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে পারবেন না। ডোনেশনের মাধ্যমে আপনি শুধু সামান্য কিছু অর্থ আয় করতে পারবেন এবং আপনার চ্যানেলটা চালিয়ে যেতে পারবেন।

পণ্য বিক্রয় করে আয় করাঃ নিজেদের পণ্য বিক্রয় করে আয় করার একটি সহজ উপায় হলো যেসব ইউটিউবারদের অনেক বেশি ফ্যান থাকে তাদের জন্য এটি সহজ হয়ে থাকে। তখন সেই চ্যানেলের লোগো দিয়ে টি-শার্ট, চাবির রিং, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করে সেটা চ্যানেলের ফ্যানদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে এবং সেটি বিভিন্ন দেশেও অনেক বেশি প্রচার হতে পারে। এখন এভবেই বেশিরভাগ ইউটিউবাররা প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন এবং সহজে অনেক অর্থের মালিক হচ্ছেন। এটি হচ্ছে ইউটিউবারদের আয়ের অন্যতম একটি সহজ উপায়।

স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করাঃ যে সব ইউটিউবারদের চ্যানেলে আগের থেকেই অনেক বেশি ভিউয়ার এবং ফ্যান রয়েছে তাদের জন্য অর্থ আয় করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো স্পন্সরশিপ। অন্য কোন কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে যাতে করে আপনার ভিডিওতে আপনি সেই কোম্পানির কথা উল্লেখ করেন।এতে করে আপনার অর্থ উপার্জন হলো এবং কোম্পানিরও লাভ হয়ে গেলো। আবার কোন কোম্পানি আপনাকে এতো পরিমাণে টাকা দিবে যাতে করে আপনি এমনভাবে ভিডিও তৈরি করবেন যেখানে সেই কোম্পানির কথা উল্লেখ থাকবে এবং মানুষের চোখে পড়বে।

বিষয়টা অনেকটা এমন যে আপনার একটি টিভি চ্যানেল আছে এবং সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেউ আপনাকে অর্থায়ন করেছেন। তবে এভাবে আয় করার জন্য আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ থাকতে হবে। তাহলে কেবলমাত্র কোন কোম্পানি নিজেদের প্রচার-প্রচারণার জন্য আপনাকে অর্থায়ন করতে ইচ্ছুক হবে। তবে এভাবে আয় করাও যে খুব সহজ কিছু বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। ইনভেস্ট বা পুজি ছাড়া বর্তমান সময়ে ঘরে বসে কেউ যদি ইনকাম করতে চায়, তার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বিশাল একটি সুযোগ। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে বিশাল জ্ঞানের পণ্ডিত হতে হবে না। ফেসবুক, নিজের পার্সোনাল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব সব জাগায় আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

যা শিখতে এবং করতে আপনার কোন রকম টাকা লাগবে না। সহজ কথায় যদি বলি, ধরুন আপনার কোন প্রোডাক্ট আছে, আমি আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন করে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করলাম। এখন আপনি আমাকে এজন্য কমিশন দিবেন। এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অন্যের পণ্য বিক্রি করে টাকা আয়। অনলাইনে কাজটি আরো বেশি সহজ। যত বেশি মানুষ আপনার সেই প্রোডাক্ট গ্রহন করবে আপনি তত বেশি কমিশন পাবেন।

অনলাইনে মার্কেটিং করার দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বা বিশ হাজার টাকা ইনকাম করুন। আফফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মূলত কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করা এবং সেগুলো বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

আপনি যদি প্রোডাক্টগুলো প্রচার করে বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করার বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এফিলিয়ে প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। আপনি তাদের ওখানে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে টাকা রোজগার করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সেরা উপায়
মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যদি সফল হতে চান এর সহজ উপায় হলো বৃহৎ অডিয়েন্স এর ট্রাফিক সোর্স। আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা যত বেশি মানুষের কাছে পৌছাবে আপনার সেল ততটা বাড়বে।চলুন জেনে নেওয়া যাক, এফিলিয়েট করার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় মাধ্যমঃ

১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে জনপ্রিয় ও প্রচলিত মার্কেট প্লেস হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আমাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ফেসবুক। এর মাধ্যমে বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।বর্তমানে ফেসবুকে এর ২.৮ বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম করে তুলছে। ২০২৩ সালে ফেসবুকের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড নেট কালেকশন $৮১৫ বিলিয়ন। বিশেষ করে ফেসবুকে আমরা এখন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের রিভিউ ,প্রমোশন, এডভার্টাইজ ও এফিলিয়েট লিংক পেয়ে থাকি। ইন্সটাগ্রাম,টুইটার ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমে পন্যর প্রমোশন করা যাবে। খুব সহজেই এখান থেকে আয় করার সুজোগ রয়েছে।

২. ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। বিশ্বব্যাপী গুগলের ইউজার সংখ্যা রয়েছে ৪.৩ বিলিয়ন। প্রতি সেকেন্ডে ৯৯.০০০টির বেশি সার্চ করছে, যা প্রতি দিনে প্রায় ৮.৫ বিলিয়নের বেশি ব্যবহার হচ্ছে।তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এখানে আপনি হিউজ পরিমানে অডিয়েন্স পাচ্ছেন। আপনি চাইলে নিজের ফ্রি বা পেইড ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে অডিয়েন্সের কাছে প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারবেন।

তবে আপনার সাইটে ট্রাফিক থাকতে হবে। আপনি যে নিশ (niche) নিয়ে কাজ করবেন, তা সম্পর্কে আর্টকেল লিখতে হবে। অডিয়েন্সের চাহিদা সম্পর্কে জেনে আপনাকে কাজ করতে হবে। প্রোডাক্টের ভাল খারাপ তুলে ধরতে হবে লেখার মাধ্যমে এবং এর মাধ্যমেই আপনাকে অডিয়েন্সের কাছে প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য এফিলিয়েট লিংক দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) স্ট্রং থাকতে হবে। আপনার কন্টেন্ট যতটা র‍্যাংক করবে আপনার ট্রাফিক বাড়বে এবং অডিয়েন্সের কাছে এফিলিয়েট লিংক পৌছাবে।

৩. ইউটিউব মার্কেটিংঃ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউটিউব সক্রিয় ভিজিটর এর সংখ্যা মান্থলি ২.৭ বিলিয়ন ।তাহলে আসা করাই যাচ্ছে এখানে মার্কেটিং করা অনেক লাভজনক ও সহজ হবে।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। এখানে আপনি আপনার নিজস্ব একটি চ্যানেল ওপেন করে।আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও পাবলিশ করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারবে,তবে এর আগে হলো আপনাকে আপনার চ্যানেল এর জন্য ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে।আপনি আপনার চ্যানেল এর জন্য ব্লগিং ভিডিও করতে পারেন, মানুষকে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে ভিজিটর বাড়াতে পারবেন।

৪. ই-মেইল মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট বিপননের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ই-মেইল মার্কেটিং।যেমন, ধরুন কোনো কোম্পানির ব্রান্ড ইমেজ, লীড জেনারেশন ,কনজ্যুমারদের (ব্যবহারকারী)কাছে সরাসরি পন্যর লিংক পৌছানোর সহজ উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং। তবে ইমেইল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে কম। ইউরোপের দেশ গুলোতে এর জনপ্রিয়তা বেশি। এখানে আপনার অডিয়েন্স টার্গেট রাখতে হবে ইউরোপ বেস মানুষদের। বিজনেসের শুরু থেকেই ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনার টার্গেটেড ইউজারদের লীড কালেক্ট করে, নিয়মিত সেই সব ইউজারদের কাছে ই-মেইল মার্কেটিং করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারছেন যা আপনার মার্কেটিং এর প্রয়োজন পড়বে। ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনি আপনার ই-কমার্স বিজনেসের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিতে পারছেন।

৫. এডভার্টাইজমেন্ট মার্কেটিংঃ সাধারানত কোনো উচ্চ মূল্যর প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। আপনি যদি অধিক মূল্যর পন্যর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান ভিডিও তৈরি করুন বা যে কোম্পানির হয়ে কাজ করবেন তাদের নিজস্ব এডভার্টাইজ ব্যবহার করতে পারবেন। এই বিজ্ঞাপন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল,সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ, গুগল এ পাবলিশ করতে পারবেন।বিজ্ঞাপন এর সাথে এফিলিয়েট লিংক সংযোগ করে দিয়ে প্রচার করতে পারবেন। এছাড়া গুগল এডসেন্স এখন আপনি আপনার এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারছেন। এখানে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা ঘরে বসে। এটা বেসিকালি একটা ব্লগিং সাইট।

ওয়েবসাইট তৈরি করে ঘরে বসে আয় করার উপায়

ওয়েবসাইট তৈরি করে ঘরে বসে আয় করার উপায় উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে ঘরে বসেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইট বানানো খুব সহজ একটা বিষয়। ওয়েবসাইট যদি আপনি না বানাতে পারেন তাহলে ইউটিউবে দেখে শিখে নিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করা যায়।
ওয়েবসাইট-তৈরি-করে-ঘরে-বসে-আয়-করার-উপায়
ওয়েবসাইট হলো কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা ইন্টারনেট বা ল্যানের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়েব পৃষ্ঠা মূলত একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্ট, যা এইচটিটিপি প্রোটোকলের মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারে স্থানান্তরিত হয়। সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইটগুলিকে সমষ্টিগতভাবে “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব” বা “বিশ্বব্যাপী জাল” নাম দেয়া হয়েছে। সহজ ভাষায় ডোমেইন এর মাধ্যমে দর্শন যোগ্য ওয়েব সার্ভারে জমা রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে একসাথে ওয়েবসাইট বা সাইট বলা হয়।

বর্তমানে অনেকেই ওয়েবসাইট কেনার কথা চিন্তা করে থাকে। আপনি তাদের কাছে ওয়েবসাইট বিক্রয় করতে পারেন। কিছু টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করে খুব সহজে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।

ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করার সেরা উপায়
ওয়েবসাইট তৈরি করে তা থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। ওয়েবসাইট তৈরির পর সেটির মাধ্যমে কীভাবে আয় করবেন, সেই পরিকল্পনা ওয়েবসাইট তৈরির আগেই করতে হবে। পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পথ পাওয়া যাবে। ই–কমার্স, ব্লগিং, সার্ভিস, অ্যাফিলিয়েশন, প্রোডাক্ট রিভিউসহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে কীভাবে আয় করা যায়—সে বিষয়ে এ প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।

গুগল অ্যাডসেন্সঃ ওয়েবসাইট থেকে আয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। ওয়েবসাইট ব্লগিংয়ে পছন্দের বিষয়ে লেখালেখি করে আয় করা যায় এবং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ব্লগ লিখে সফল হতে হলে আপনাকে ওয়েবসাইট ও এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

ব্লগিং শেখার জন্য ইউটিউব বা গুগলে খুঁজলে অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে। সেগুলো থেকে একটি টপিক বা বিষয় বাছাই করতে হবে। এমন বিষয় বেছে নিতে হবে, যেটি নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ আছে। ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রাফিক আসে এবং গুগলের গাইডলাইন (এসইও) মেনে চলেন, তবে আপনি গুগলের বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন ওয়েবসাইটকে নানা রকম আধেয় বা কনটেন্ট দিয়ে সাজাতে হবে, যেখানে সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ডাইরেক্ট ও রেফারেল সোর্স থেকে ব্যবহারকারী বা ট্রাফিক আসে।

গুগল অ্যাডসেন্সে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যে গুগল আপনার সাইটটি পর্যালোচনা করবে। এরপর মেইলে জানাবে সাইটটি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য উপযোগী কি না। উপযোগী হলে আপনার সাইটে গুগল বিজ্ঞাপন দেখাবে। আর আপনার সাইট থেকে আয় হবে।

সাধারণত বাংলা বিষয়ের সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) কম থাকে। কারণ, বাংলা কনটেন্টের বিজ্ঞাপনমূল্য কম এবং শুধু বাংলাভাষীরা এ ধরনের সাইটে আসেন। বাংলা কনটেন্টের সিপিসি কম হওয়ার কারণে ইংরেজি সাইটের তুলনায় আয় কম হবে। ইংরেজি কনটেন্টের বিজ্ঞাপনের মূল্যহার বেশি এবং ব্যবহারকারীও বেশি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বিপণনের এমন একটি উপায় বা মাধ্যম, যা দিয়ে আপনি যেকোনো অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল পণ্য, অনলাইন দোকানের পণ্য বা অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় এমন যেকোনো পণ্য, নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেলে ‘অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে’ প্রচারণা চালাতে পারবেন বা বিপণন করতে পারেন।

যদি নির্দিষ্ট কোনো ক্যাটাগরির পণ্য বা সেবা নিয়ে বিস্তারিত লেখালেখি করে এর ভালো–মন্দ দিক তুলে ধরে পরামর্শ দিতে পারেন, তবে আয় করা যাবে। এ জন্য আপনাকে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, যাতে বেশি ব্যবহারকারী সাইটে আসে সে জন্য এসইও করতে হবে। আপনি চাইলেই যেকোনো অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়ে পণ্য বিক্রি করে কমিশন হিসেবে আয় করতে পারেন।

কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হচ্ছেঃ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ফ্লিপকার্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, গোড্যাডি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং ই-বে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম।

গেস্ট ব্লগ পোস্টঃ গেস্ট ব্লগ প্রকাশ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা টপিকের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যেখানে ওই নির্দিষ্ট বিভাগ বা বিষয়ের ওপর গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রকাশ করে প্রথমে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্ক (তালিকার ওপরের দিকে) করতে হবে। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ওই বিষয়ে কাজ করবেন, তাঁরা গেস্ট পোস্ট প্রকাশ করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাবেন। যা আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশের পর আয় হতে থাকবে। অবশ্যই কনটেন্ট প্রকাশ করার জন্য কিছু নির্দেশনা দিতে হবে। যেখানে কনটেন্টের দৈর্ঘ্য, লিংক, টাকার পরিমাণসহ যাবতীয় বিষয়ের উল্লেখ্য থাকবে। বর্তমানে এসইও করার জন্য গেস্ট ব্লগ পোস্টের অনেক চাহিদা।

ই–কমার্সঃ যদি ইতিমধ্যে কোনো ব্যবসা থাকে বা ফেসবুকে কোনো পেজ থাকে এবং তা আরও প্রসারিত করতে চান, তবে একটি ব্যবহারবান্ধব (ইউজার ফ্রেন্ডলি) ই–কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন। এতে ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝে ভালো মানের পণ্য বিক্রি করে তা থেকে আয় করতে পারবেন। ই–কমার্স সাইটে আপনি আপনার নিজের তৈরি পণ্য যেমন বিক্রি করতে পারবেন, আবার বিভিন্ন উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহ করেও বিক্রি করতে পারেন। ই–কমার্স ব্যবসা মূলত দুই ধরনের হয়। যেমন, বিটুবি ও বিটুসি। বিটুবি মানে হচ্ছে বিজনেস টু বিজনেস—এককথায় পাইকারি পণ্য বিক্রি। আর বিটুসি হচ্ছে, বিজনেস টু কাস্টমার। অর্থাৎ সরাসরি ক্রেতার কাছে খুচরা বিক্রি।

নিজের কাজ বিক্রি করাঃ যদি কোনো বিষয়ে এরই মধ্যে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন এবং তা যদি সেবা হিসেবে বিক্রি করতে চান, তবে ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার সেবা বা সার্ভিসটি বিক্রি করতে পারেন। যেমন এসইও, ডিজিটাল বিপণন, সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি কাজ আপনি জেনে থাকলে বা শিখে নিজের কাজ বিক্রি করতে পারেন। যেখানে কাজের পরিমাণ ও সময়ের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্যাকেজ আকারে মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। যথাযথভাবে এসইও করে গুগলের তালিকায় ওপরে থাকলে সহজেই আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।

প্রোডাক্ট রিভিউঃ বর্তমানে অনলাইনে পণ্য কেনার আগে ক্রেতা সঠিক তথ্য জানতে চান। পণ্যটি আসলেই ভালো কি না? দাম ঠিক আছে কি না? ইত্যাদি। আপনি যদি পণ্যের বিভিন্ন ভালো ও মন্দ বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বা প্রোডাক্ট রিভিউ করতে পারেন এবং এটি যদি ব্যবহারকারীদের উপকারে আসে, তবে ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়বে ও বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে কাজ দেবে। যেখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটে পণ্যের বিজ্ঞাপনও পাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান থাকলে আপনি অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি খুলে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। বর্তমানে এই যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া অচল। আমরা যখন নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করি তখন আমাদের পন্যের প্রচারণার প্রয়োজন হয়। কারন আমরা যদি আমাদের পন্য ও সেবার প্রচারণা না করি তবে ক্রেতারা আমাদের পন্য সম্পর্কে অবগত হবেন না।

আর এই প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হলো অনলাইন। কারন বর্তমানে মানুষ বেশিরভাগ সময় অনলাইনে অতিবাহিত করে থাকে। তাই অনলাইনে যেকোনো পন্যের প্রচারণা করলে তা খুব দ্রুত ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যায়। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনলাইনে পন্যের প্রচার প্রচারণাকেই বুঝায়। প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং না করলে সফলতা অর্জন করা যায় না। ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্যবসার প্রসার করা যায়। এজন্য আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস গুলো দিতে পারেন।

সেরা কয়েকটি ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যম

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচাইতে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। পুরো বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। আমাদের দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ শুধুমাত্র ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেকটেড রয়েছে। সেই জন্য আমাদের দেশে বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং সবচাইতে জনপ্রিয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভীতরে আবার অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইনস্ট্রাগ্রাম মার্কেটিং, লিংকডিএন মার্কেটিং, পিনটারেস্ট মার্কেটিং ও স্নাপচ্যাট মার্কেটিং ইত্যাদি সহ আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে। মূলত এই সবগুলো প্লাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে বিধায় মার্কেটিং ক্ষেত্রে এগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আবার দুই ধরনের রয়েছে, যেমন-
  • ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  • পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন।

ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটে কোম্পানির নামে একটি পেজ তৈরি করে সেগুলোতে প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয়। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ তৈরি করে এবং বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা যায়।

পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ পেইড মার্কেটিং আবার দুই ধরনের রয়েছে। একটি হচ্ছে বিভিন্ন বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের সাথে কন্টাকের মাধ্যমে মার্কেটিং করা এবং অন্যটি হচ্ছে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতে ডলার পে করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফ্রি এবং পেইড উভয় মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়।

ইউটিউব মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে ইউটিউব এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ বিনোদনের জন্য মানুষ এখন টেলিভিশন এর চাইতে ইউটিউবে বেশি ভিডিও দেখে থাকে। বিশেষকরে ইউটিউবে প্রায় সকল ধরনের ভিডিও পাওয়া যায় বিধায় ইউটিউবে ভিডিও দেখতে সবাই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। যার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি এখন তাদের প্রোডাক্ট বিপণন ও প্রচারের জন্য ইউটিউবকে কাজে লাগাচ্ছে।

ইউটিউ মার্কেটিয়ে আবার দুই ধরনের প্রসেস রয়েছে। একটি হচ্ছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সাথে কন্টাকের মাধ্যমে পন্যের রিভিউ ও স্পনসরড ভিডিও তৈরি করা এবং অন্যটি হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে সরাসরি ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেওয়া। সাধারণত ভিডিও টাইপের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং বেশি করা হয়।

ইমেইল মার্কেটিংঃ ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার পন্যের এবং সেবার প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করছে। ইমেইল মার্কেটিং হল আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্য পৌছানোর সবচাইতে কার্যকরী পদ্ধতি।

ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মেইল এড্রেস কালেক্ট করতে হবে। তারপর যে পণ্যের মার্কেটিং করতে চান, সেটি নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করার পর পন্যের চাহিদার বিষয় বিবেচনা করে বিভিন্ন মেইল এড্রেসে আপনার পণ্যের লিংক পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই ব্যক্তি আপনার প্রোডাক্ট দেখে পছন্দ করলে প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রাকাশ করতে পারে। মূলত এভাবে ইমেইল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নেওয়াকে আমরা সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা বিক্রি করে নিতে পারেন। এখানে আপনি এফিলিয়েট কমিশন ভোগি হবেন না, আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে অন্যকে কমিশন দেবেন। বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটে প্রচুর পন্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।

মোবাইল মার্কেটিংঃ জিএসএমএর হিসাবে বিশ্বজুড়ে মুঠোফোন সংযোগ সংখ্যা বর্তমানে ৪৯২ কোটি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা ২৪৬ কোটি সংযোগ ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এটি ২০২০ সালে বেড়ে ৬৬ শতাংশ হবে।বর্তমান বিশ্বে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের হার খুব দ্রুত বাড়ছে।মোবাইল ব্যবহার করে আরো বেশি সফলভাবে আপনার যেকোন পণ্যের প্রচার ও বিক্রয় করতে পারেন দ্রুত সময়ে। Digital marketing এর বিশাল অংশ স্মার্টফোন কে কেন্দ্র করে হচ্ছে।

মোবাইল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম- SMS Marketing,
MMS Marketing

প্রতি ৩ মিনিটে মোট ফোন ব্যবহারকারীর ৯৭% টেক্সট মেসেজ ওপেন করে থাকে। প্রতি সেকেন্ডে ৫২০৮৩ টি টেক্সট মেসেজ আদান প্রদান হয়ে থাকে। ২৫% আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং মার্কেটং এক্সজিকিউটিভ তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো মোবাইলেরমাধ্যমে সমাধান করে থাকে। ৭০% মোবাইল ব্যবহারকারীরা তাদের কেনাকাটার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। এসবের ভিত্তিতে বলা যায় মোবাইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম মাধ্যম।
 
মোবাইল প্রযুক্তি যত আপডেট হচ্ছে মানুষের চাহিদাও তত আধুনিক হচ্ছে ।তাই ব্যবসায়ীক প্রচারণাকেও আপডেট করতে হবে। আর এর জন্য Digital Marketing হতে পারে সবচেয়ে সঠিক ও যুগান্তকারী সমাধান। Bulk SMS Marketing এর সাথে অনেকেই কম বেশি পরিচিত। কারণ আমাদের সকলের ফোনেই কম বেশি বিভিন্ন রকম অফারের এসএমএস এসে থাকে যা অদিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরক্তিকর প্রায় সবার কাছে। তবে সঠিকভাবে SMS Marketing করতে পারলে আপনি অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। কি ধরনের SMS পাঠাতে হবে এবং সেটা মাস্কিং নাকি নন মাস্কিং হবে তা সঠিকভাবে আগে থেকেই প্লান করে নিতে হবে। অন্যথায় অনেকের মত আপনার টাকাও জলে ঢালার মত অবস্থা হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা উপার্জন করার উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার দক্ষতা থাকলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজে আপনাদের লোগো, পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, প্রোডাক্ট এর ডিজাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ডিজাইন ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। এ সকল কাজের দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। তাছাড়া ঘরে বসে এই কাজ করে ইনকাম করা যাবে।

গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে একটি যুগোপযোগী ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে রয়েছে হাজারো কর্মসংস্থানের সুযোগ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক বেকার তরুন-তরুণী এই পেশায় আসছে শুধুমাত্র তাদের বেকারত্বের অবসান ঘটানোর জন্য। কিন্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন কি শুধুই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করছে? নাকি এই সমাজের জন্য এক অনন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে? আপনার কি মনে হয়? আমরা যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ১০ বছরের একটি জরিপ লক্ষ্য করি, তাহলে যে চিত্র পাবো তাতে স্পষ্ট যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার গড়ার এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার নাম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করার মাধ্যম
গ্রাফিক্স ডিজাইন ছোট্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ কোনো বিষয় নয়। এটি একটি বিস্তর বিষয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিশাল এরিয়ায় অসংখ্য কাজ রয়েছে যা গুনে শেষ করা যাবে না। তার মধ্যে থেকে সবচেয়ে ইফেক্টিভ এবং জনপ্রিয় কিছু কাজ নিয়ে আজ আলোচনা করবো। কঠিন কাজগুলো দিয়ে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে সহজ কাজের দিকে যাবো।

UI & UX গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটা হলো UI & UX ডিজাইন। UI বা User interface হচ্ছে কোনো অ্যাপের বাহ্যিক ফেস বা আউটলুক। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে অ্যাপ্সটির একটি বাহ্যিক সৌন্দর্য বা বাহ্যিক চেহারা, যা ঐ অ্যাপ্সটির প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যেটা দেখে একজন ইউজার ঐ অ্যাপ্সটি ইউজ করতে আগ্রহী হবে।

অপরদিকে UX বা User experience হচ্ছে কোনো একটি অ্যাপ্স কিংবা একটি সফটওয়্যার কোনো ইউজার কতটা সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবে তা ঠিক করে দেওয়া। যাতে ইউজারকে সন্তুষ্ট করা যাবে এবং বেশিক্ষণ ধরে ঐ সফটওয়্যার বা অ্যাপ্সটির মধ্যে তার মনোযোগ ধরে রাখা যায়।

যেহেতু এখন নিত্য নতুন বিভিন্ন অ্যাপ্স, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার বের হচ্ছে তাই এই UI ও UX এর চাহিদাও ব্যাপকভাবে বাড়ছে। কারণ কোনো একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্স তৈরিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য থাকে ইউজারকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে নানান ফিচারস দিয়ে তাদের আস্থা ও মনোযোগ ধরে রাখা। তাই UI / UX ডিজাইন এর কাজ করে যে কেউ সহজেই ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

অ্যাপস, ওয়েব ডিজাইন করে ইনকামঃ আপনি যদি UI / UX design এর মতো হাই লেভেলের কাজ না করে তুলনামূলক একটু সহজ কাজ করতে চান তাহলে এই পয়েন্টটি আপনার জন্য। আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিতে পারেন। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।

এছাড়া অনলাইন বিজনেসও দিনে দিনে ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে সব প্রতিষ্ঠানই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বানাতে চায়, যাতে ইউজাররা তাদের ওয়েবসাইটে এসে সাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারে। কাজেই বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট ডিজাইন করেও ঘরে বসেই ইনকাম করা খুব একটা কঠিন হবে না যদি আপনার ধৈর্য আর ইচ্ছার কমতি না থাকে।

ফন্ট, টেমপ্লেট গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয়ঃ আপনি যদি নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন টেমপ্লেট বা ফন্ট বানাতে পারেন তাহলে সেটাই আপনার ইনকামের দরজা খুলে দিবে। ফন্ট ডিজাইনের কথাই বলি, এটি বর্তমানে বেশ বড়ো একটি বিজনেস।আপনার যদি নতুন আঙ্গিকে কোনো বর্ণ বা শব্দ লেখার সৃজনশীলতা থাকে তাহলে সহজেই ফন্ট ডিজাইন ও বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।

ETSY হলো জনপ্রিয় একটি ফন্ট ডিজাইন সাইটের নাম যেখানে রয়েছে প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ। অর্থাৎ এখানে আপনার একটা ফন্ট যতবার বিক্রি হবে আপনি ততবার টাকা পাবেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের টেমপ্লেট ডিজাইন করতে পারেন। যেমন – ওয়ার্ডপ্রেস টেমপ্লেট, ওয়েব টেমপ্লেট ইত্যাদি। শুধু টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমেই আপনি টাকা আয় করতে পারেন। অনলাইনে এরকম অনেক সাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে টেমপ্লেট কেনা-বেচা করা যায়। এক্ষেত্রেও কিছু কিছু সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার সুযোগ আছে।

লোগো ডিজাইন করে আয়ঃ এতক্ষণ যেগুলো বলেছি তার মধ্যে সবচেয়ে মজার একটি কাজ হলো লোগো ডিজাইন করা। এটি তুলনামূলক সহজ এবং এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে বর্তমানে। আজকাল বিভিন্ন কোম্পানির জন্য লোগো একটি অত্যাবশ্যকীয় অবজেক্ট হয়ে গেছে। এটি একটি কোম্পানির আইডেন্টিটি বহন করে। লোগো দেখে কোম্পানি সম্পর্কে কিছুটা প্রাথমিক ধারণা লাভ করা যায়। অনলাইনে লোগো ক্রয়-বিক্রয়ের অসংখ্য সাইট রয়েছ যেখানে নিজের তৈরি লোগো বিক্রি করে এককালীন কিংবা প্যাসিভ উভয় ধরণের ইনকামই করা যায়। তবে ইদানিং অনলাইনে লোগো তৈরির প্রতিযোগিতাও বেশ সাড়া ফেলেছে। সেসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে এসংক্রান্ত নলেজ বাড়ে আর জিততে পারলে তো কথাই নেই।

টি-শার্ট ও মগ ডিজাইন বিক্রি করে আয়ঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনের সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো টি-শার্ট ও মগ ডিজাইন। আপনি যেকোনো একটি অথবা উভয়ই করতে পারেন। টি-শার্ট ডিজাইনের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আপনি চাইলে যেকোনো দেশি-বিদেশি কোম্পানির টি-শার্ট বা মগ ডিজাইন করে দিতে পারেন অথবা নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট বা মগ বিক্রি করে নিজের প্রতিষ্ঠান চালাতে পারেন। টি-শার্ট ডিজাইন বিক্রি করার জনপ্রিয় কিছু সাইট হলোঃ 
  • Redbubble
  •  Threadless, Teespring.

পোস্টার, ব্যানার ও লেবেল ডিজাইন করে আয়ঃ এবার আসি পোস্টার ও ব্যানার ডিজাইন নিয়ে। আজকাল অনেক অনলাইন বা অফলাইন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে পোস্টার বা ব্যানার যেনো না হলেই নয়। একটি পোস্টারে সুন্দর করে ইভেন্টের সময়, অতিথিদের নাম, ইভেন্টের বিভিন্ন কার্যাবলির কথা শর্টকাটে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা থাকে। তাই এর চাহিদাও ব্যাপক হারে বাড়ছে।

আবার প্রতিনিয়ত নানাবিধ কোম্পানির প্রোডাক্টের জন্য লেবেল তৈরি একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। লেবেল ছাড়া প্রোডাক্ট আর ডিজাইন ছাড়া লেবেল আর গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া ভালো ডিজাইন তো ভাবাই যায় না। তাহলে বুঝতেই পারছেন এক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করতে পারবেন।

কভার ফটো ডিজাইন থেকে আয়ঃ এই আধুনিক যুগে সৃজনশীলতার কদর যেমন বাড়ছে তেমনি সৃজনশীলতার ছোঁয়া যেন প্রতিটি সেক্টরের মানুষেরই কাম্য। এমনকি ডিজিটাল বুক কিংবা ই-বুকেও লেগেছে সেই ছোঁয়া। দেখা যায় যে, ই-বুক, ম্যাগাজিন কিংবা প্রিন্টেড বইয়ের আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ সহজেই পাঠককে আকৃষ্ট করে। কারণ কথায় আছে, “আগে দর্শনধারী, পরে গুণ বিচারি”

তাই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সুন্দর ডিজাইনের বুক কভারের কোনো বিকল্প নেই আর তার জন্য অবশ্যই দরকার পরবে একজন সৃজনশীল গ্রাফিক্স ডিজাইনারের। আর এটাই হয়তো আপনার জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করার অন্যতম উপায় হতে পারে।

বিজনেস কার্ড, ক্যালেন্ডার, ফুড মেন্যু ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করার আরও একটি সহজ উপায় হলো বিজনেস কার্ড, ক্যালেন্ডার, রেকর্ড কার্ড, ফুডমেনু ইত্যাদি ডিজাইন করে আয় করা। অনলাইন কিংবা অফলাইনে যেকোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে আয় করাটা তুলনামূলক সহজ।

এছাড়াও বিভিন্ন যারা ফুড বিজনেস করেন তাদের জন্য ফুডমেনু একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ অবজেক্ট। কারণ এটা দেখেই কাস্টমাররা তাদের পছন্দের খাবার অর্ডার করে থাকে। তাই বিভিন্ন খাবারের ছবি ও দাম সম্বলিত সুন্দর ও চিত্তাকর্ষক মেনুকার্ড যদি আপনি বানাতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য আরেকটা সহজ উপায় হবে ইনকামের।

কিন্তু লং টাইম টাকা ইনকামের জন্য এই রাস্তাটা খুব একটা পারফেক্ট না আমি বলবো। তবে হালকাপাতলা ইনকামের জন্য কিংবা সহজ কাজ দিয়ে শুরু করার জন্য আবার এটা ঠিক আছে। আপনি প্রথমে বিজনেস কার্ড ডিজাইন বা রেকর্ড কার্ড কিংবা ফুডমেনু ডিজাইন দিয়ে শুরু করে এরপর আস্তে আস্তে আপনি টি-শার্ট, লোগো ডিজাইন এর দিকে যেতে পারেন।

অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রতিযোগিতাঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও আপনি আয় করতে পারেন। বিভিন্ন সাইটে লোগো ডিজাইন, টি-শার্ট সহ নানাবিধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে জিতলে শত শত ডলার পুরস্কার পাওয়া যায়। তবে প্রথমদিকে আপনি হয়তো জিততে পারবেন না তবে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে, আপমি নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবেন, অন্যান্য প্রতিযোগীদের ডিজাইনগুলো দেখে নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন এবং ধীর ধীরে আপনার কাজের উন্নতি হবে। ফলে পরবর্তী প্রতিযোগিতা গুলোতে ভালো করতে পারবেন।

লোগো ডিজাইনসহ গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতার জন্য ২টি স্বনামধন্য সাইট হলো-
  • 99designs
  • freelancer.com-contest

তবে এখানে লং টাইম ইনকামের সুযোগও নেই। আপনি হয়তো অনেকগুলো প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে একটা/দুইটাতে জিততে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, যা আপনাকে পরবর্তীতে কোনো লং টাইম আয়ের পথ দেখাবে।

ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয়ঃ উপরের আলোচনায় আমরা যতোগুলো কাজের কথা আলোচনা করেছি সবগুলো কাজ আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গিয়েও করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করতে হবে। তাছাড়া আপনি কি ধরনের কাজ করতে চান, বা আপনার দক্ষতা সম্বলিত গিগ প্রকাশ করেও কাজ পেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায় এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলোঃ 

  • Freelancer
  • Upwork
  • Fiverr
  • Guru.com
  • 99designs

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় হলো বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করা। এক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যদি আপনি কোন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে সে কোম্পানি প্রোডাক্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করে তাদের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক কোম্পানি এই ধরনের অফার গুলো দিয়ে থাকে। 

আপনি তাদের সাথে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জবগুলো করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনায়াসে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এভাবে ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা শুধু মাত্র একটি প্রবণতা নয়, বরং এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় কৌশল হয়ে উঠেছে।

যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, লিঙ্কডইন, টুইটার, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। এই মাধ্যমগুলির সাহায্যে পণ্য বা সেবার প্রচারণা সহজেই পরিচালনা করা যায় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব। এর ফলে ব্যবসাগুলি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং তাদের বাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) আজকের ব্যবসায়িক জগতে এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে এটি একটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্যই নয়, বরং গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার জন্যও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে। ব্যবসায়িক সাফল্য এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে SMM একটি অপরিহার্য উপাদান।

সেরা কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়। বর্তমান সময়ে এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল আয়ের ক্ষেত্র। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চ্যালেঞ্জিং ক্ষেত্র হয়ে দাড়িয়েছে কেননা এখানে আপনি পরিশ্রম করে কোটিপতি হতে পারেন আবার নাও কখনও কখনও ব্যর্থও হতে পারেন। এজন্য আপনাকে অতি ধৈর্য সহকারে একইভাবে পরিশ্রম করে যেতে হবে। আর আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে বেশ আগ্রহী প্রকাশ করেন, তাহলে আপনাকে এই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেওয়ার পাশাপশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিংঃ Facebook হল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, এবং এটি লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে৷ এটি বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, এবং ফেসবুক মার্কেটিং প্রচারের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞাপনের জন্য Facebook ব্যবহার করার সেরা জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী। আপনি বয়স, লিঙ্গ, আগ্রহ এবং অবস্থান সহ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে আপনার বিজ্ঞাপনগুলি টার্গেট করতে পারেন৷ এছাড়াও, আপনি আপনার দর্শকদের বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে একাধিক বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। এটি আপনার পোস্টের সাথে যতটা সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ করে তোলে।

ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংঃ ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং আপনার কাঙ্খিত দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর এবং আপনার ব্যবসার কাস্টমার বৃদ্ধির একটি দুর্দান্ত উপায়। ইনস্টাগ্রাম একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ফলোয়ারদের সাথে ফটো এবং ভিডিও শেয়ার করতে দেয়। ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অন্যতম সেরা উপায় হল ষ্টোরীর মাধ্যমে। ষ্টোরীগুলো হলো ছোট ভিডিও যা আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করতে পারেন এছাড়াও আপনি এগুলিকে সরাসরি আপনার অনুসরণকারীদের কাছে আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলি প্রচার করার উপায় হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন৷ ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আরেকটি দুর্দান্ত উপায় হল পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যম। বিজ্ঞাপনগুলি হল আয়তক্ষেত্রাকার কার্ড যা আপনি ষ্টোরীর মধ্যে বা আপনার প্রোফাইল পেজের শীর্ষে রাখতে পারেন৷ তারা আপনাকে অনুসরণ করুক বা না করুক না কেন তাদের ফিডে প্রদর্শিত হবে, যার অর্থ হল আরও বেশি লোকের মাঝে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি।

ইউটিউব মার্কেটিংঃ ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর পা্ওয়ার আগে আপনি কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দুই বিলিয়ন ইউজার প্রতিমাসে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও ইউটিউব এ ভিডিও দেখে। ইউটিউব হচ্ছে দ্বিতীয় স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ঊনআশি ভাগের ইউটিউব এ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়নের বেশি লোক ইউডিটউব এ ভিডিও দেখে।প্রায় ষাট ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউডিটউব চ্যানেল ও ভিডিওর মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং পরিচালনা করে। তাই এ কথা বলা যায় যে, আগামির পৃথিবীতে ব্যবসার পণ্য প্রচার-প্রসার ও বিক্রিতে ইউটিউব মার্কেটিং করে লাভ হবে।

ড্রপশিপিং বা ই-কমার্স করে ইনকাম করার উপায়

ড্রপ শিপিং বা ই-কমার্স ব্যবসা করে ঘরে বসে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়। নিজের পণ্য থাকলে সেগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় করুন অথবা নিজেই অনলাইন স্টোর খুলে টাকা ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি ই কমার্স সাইটে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ড্রপ শিপিং সম্পর্কে না জানলে ইউটিউবে সার্চ করে শিখে নিন। এই উপায়ে খুব সহজেই ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে সম্ভব।
ই-কমার্স-করে-ইনকাম-করার-উপায়
ড্রপশিপিং হচ্ছে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি। এখানে আপনি কোন প্রকারের ফিজিক্যাল স্টোরের মালিক না হয়েও অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কতিপয় ড্রপশিপিং প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট অনলাইনে প্রোমোট করে বিক্রি করার উপরে কমিশন দিবে। যদিও একে অনেকটাই অ্যাফিলিয়েট সিস্টেমের সাথে তুলনা করা যায়। তবে গঠনগত দিক দিয়ে বিস্তর ফারাক রয়েছে। ২০১৮ সালের পর থেকে ড্রপশিপিং সিস্টেম বিশ্বব্যাপি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে স্বল্পপুঁজিতে ঘরে বসেই মনমত ব্যবসা করা যায়। যে কারণে অল্প সময়ে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০টি উপায়ে আয় করুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো আর্টিকেলটিতে জানাতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে আপনি আমার দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে প্রথম সময় দিয়ে কাজ করেন তাহলে নিশ্চয়ই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে ধৈর্য ধরে কাজ করে যান সফলতা অবশ্যই পাবেন। অনলাইন ইনকাম রিলেটেড তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url