টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায় ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা


টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় বা ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা করার অনেক উপায় রয়েছে। তবে কোন উপায় গুলো কার্যকরী এই সম্পর্কে আপনারা হয়তো ভালোমতো জানেন না। এজন্যই আমি আজকের এই আর্টিকেলটিতে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। টাকা ছাড়া আপনি কিভাবে ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কেই মূলত জানানো হবে।
টাকা-ছাড়া-ব্যবসা-করার-উপায়
বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্যবসা। ব্যবসা করার মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এমন অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে টাকা ছাড়া কোন ধরনের ব্যবসা করা যায় সেই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, এজন্যই জেনে নিন টাকা ছাড়াই ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায়

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায়

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায় সমূহ তুলে ধরা হবে আজকের এই পোস্টে। প্রিয় বন্ধুরা, আপনি কি জানেন টাকা ছাড়াই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা যায়। আপনার কাছে যদি কোন টাকা না থাকে, আর আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কি ব্যবসা করবেন, তবে চিন্তিত হবেন না। টাকা ছাড়া প্রায় অনেক ধরনের ব্যবসা করা যায় যেগুলো আপনি অনলাইনে করতে পারবেন।

বর্তমানে আমরা সকলেই বিভিন্ন উপায়ে টাকা ছাড়াই ব্যবসা করতে চেয়ে থাকি। বিশেষ করে অনেকেই টাকা ছাড়াই বিভিন্ন উপায় ইনকাম করতে চায়। তবে এমন কিছু মাধ্যম উপায় রয়েছে যেখানে টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই আয় করা যায়। যারা নিজেরা কোন টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই ব্যবসা করতে চান তারা অবশ্যই পোস্টটি ভাল করে পড়বেন। টাকা ইনভেস্ট ছাড়াও বর্তমানে আপনি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। তবে কোম্পানিতে আপনি কিভাবে টাকা ছাড়াই কাজ করে ব্যবসা শুরু করবেন সেই সম্পর্কেই আমি একটু পরে আলোচনা করব।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনার কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করেই টাকা ছাড়াই ব্যবসা করা যায়। ফিন্যান্সিংয়ের যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হলেই আপনি টাকা ছাড়াই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা
  • অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবসা
  • ফটোগ্রাফি ব্যবসা
  • ওয়েব ডিজাইন কাজ
  • অনলাইন কোর্স করিয়ে ব্যবসা
  • ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
  • ভিডিও এডিটিং ব্যবসা
  • কনটেন্ট বা ব্লগিং রাইটিং
  • ভিডিও মেকিং
  • রিয়েল এস্টেট ব্যবসা

উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন। টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে কাজ করতে হবে। আমার এমন সব সহজ উপায় গুলো তুলে ধরেছি যেগুলো মেনে চললে টাকা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন। চলুন নিম্নে উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১। অনলাইন টিউটরিং ব্যবসাঃ বর্তমানে সবচেয়ে পুরাতন ব্যবসা হল অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা। এই ব্যবসাটির প্রায় সকলেই কম বেশি করে আসছে। অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা গুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা youtube চ্যানেলে করতে হয়। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়টি নিয়েই অনলাইনে টিউটরিং করতে পারেন। অনলাইনে টিউটরিং ব্যবসা করার জন্য প্রথমেই ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। ফেসবুক পেজের টাইটেল ও আকর্ষণের লোগো দিয়ে অনলাইন কোর্স সার্ভিস চালু করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ 
তাছাড়াও আপনি অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা প্রচার করার জন্য ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনি অনলাইন টিউটোরিয়ালের যাবতীয় ভিডিও আপলোড করে অথবা আপনার টিউটোরিয়াল সম্পর্কে লিখে প্রচার করতে পারেন। এভাবেই আপনি ফ্রিতেই টাকা ছাড়া ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তাই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা শুরু করুন। এটি হতে পারে প্রথম টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় ও নিয়ম।

২। অনলাইন রিসেলিং ব্যবসাঃ রিসেলিং এর অর্থ একটি পোশাক বা যে কোনো পণ্যের আসল দামের উপর নিজের জন্যে কিছুটা মার্জিন রেখে সেটাকে বিক্রি করা। আর এই রকম রিসেলিং ওয়েবসাইটের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। তবে মিসো, শপ ১০১ ভারতবর্ষের এই পুনর্বার বিক্রি ব্যবস্থাকে বেশ সড়গড় করে তুলেছে। আর এই জন্যে শুধু প্রয়োজন নিজের ফোন, একটি ওয়েবসাইট, নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট আর হোয়াটসআপ নম্বর, কোনো ইনভেস্টমেন্টের দরকার নেই।

জিনিস বিক্রি করতে পারলে ইনকাম আর ব্যবসা শুরু করার জন্যে কোনো টেনশনের দরকার নেই। আপনি পুরুষ বা মহিলা যেদিন খুশি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গত এক দুই বছরের মধ্যে অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা কিরকম জনপ্রিয় হয়েছে তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলো একটু ঘাটলেই বোঝা যায়। শুধু জামাকাপড়ই নয় জুতো, ব্যাগ , রোজকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বাচ্ছাদের জিনিস, খেলনা সবই অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে সবার আগে একটি একাউন্ট ঠিক করতে হবে অনলাইন ট্রানসাকশান এর জন্যে।

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক ক্রিয়েটিভ জিনিস শিখতে অথবা করতে ভালোবাসে। গ্রাফিক্স ডিজাইনও তেমনি একটি জিনিস এটি শেখার জন্য মানুষদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার কল্পনার জগতকে ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমেই আপনি একটি বিজনেস প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। অনলাইনে আপনার উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে, আপনার একটি অনলাইন পোর্টফোলিও প্রকাশ করতে হবে।

তাই আপনার প্রাথমিক খরচগুলি একটি ডোমেন নাম, ওয়েব হোস্টিং এবং একটি ওয়েবসাইট নির্মাতা কেনার উপর কেন্দ্রীভূত হবে। কেননা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা অর্গানাইজেশন লোগো, বিজনেস কার্ড, ওয়েবসাইট ডিজাইন অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কাজের জন্য প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুঁজে থাকে। তাই আপনি জিরো ইনভেস্টমেন্টের বিজনেস হিসেবে একে বেছে নিতে পারেন। এজন্য আপনার দরকার হবে একটি কম্পিউটার, গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার এবং আপনার কল্পনার জগত।

৪। ফটোগ্রাফি ব্যবসাঃ আপনি যদি অনলাইনে ফটোগ্রাফি ব্যবসা করেন তাহলে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে ঘরের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা বিয়ে বাড়িতে ফটোগ্রাফি করতে হলে ক্যামেরার প্রয়োজন হবে। আর আপনি জানেন ক্যামেরা ভালো মানের হলেই ছবি ভালো আসে। সেক্ষেত্রে ভালো মানের একটি ক্যামেরা কিনতে হয়। তবে আপনি চাইলে নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য বা ছবি তুলে অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি কনটেস্ট হয়ে থাকে,
আরো পড়ুনঃ
আপনি সেই কনটেস্ট গুলোতেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে ফটোগ্রাফি করার ওয়েবসাইট পিন্টারেস্ট , সাটার স্টক ইত্যাদিতেও ছবি আপলোড করে আয় করা যাচ্ছে। তবে ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই ফটোগ্রাফি বিক্রি করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। যেটি আপনি ইউটিউবে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এভাবে আপনি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় হিসেবে ফটোগ্রাফি দিয়ে শুরু করতে পারেন।

৫। ওয়েব ডিজাইন কাজঃ বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন তারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ লোকাল মার্কেট পেয়েছেও ওয়েব ডিজাইন কাজ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ওয়েব ডিজাইন করতে কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। আপনি শুধু ক্লায়েন্টদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন করে দিবেন এবং সময়মতো কাজ জমা দিবেন। তাহলে আপনি এখানে টাকা ছাড়া ওয়েব ডিজাইন ব্যবসা করে আয় করতে সক্ষম হবেন।

অনেকেই বর্তমানে ওয়েব ডিজাইনকে পেশা হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। আমাদের জানা মতে একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার মাসে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করে। তবে ওয়েব ডিজাইন করতে হলে এর উপর দক্ষতা থাকতে হবে। এজন্য আপনি আগে প্রথমে youtube বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফ্রি ওয়েব ডিজাইন ক্লাস গুলো করে শিখবেন। এরপর বাসায় প্র্যাকটিস করবেন, তারপর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ খুঁজবেন।

এভাবেই আপনি টাকা ছাড়াই ওয়েব ডিজাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে আপনি যে ওয়েব ডিজাইন কাজ পারেন সেটা প্রচার করার জন্য অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতে হবে। আপনি ফেসবুকে নিজের নামে একটি পেজ খুলবেন এবং সেখানে আপনার বিষয়ে লিখবেন। মূলত আপনি যে একজন ওয়েব ডিজাইনার এটি প্রচার করার জন্যই পেজ খুলতে হবে।

৬। অনলাইন কোর্স করিয়ে ব্যবসাঃ টাকা ছাড়া ব্যবসা করার জনপ্রিয় উপায় হল অনলাইন কোর্স। বর্তমানে সকলেই বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনলাইন কোর্স ব্যবসা করেই ফ্রিতে টাকা ইনকাম করছে। নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেটিকে কোর্স বানিয়ে ব্যবসা করা যাচ্ছে। আপনি যদি শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে পাঠ্য বইয়ের যেকোন বিষয়ে কোর্স ভিডিও বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।

তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনলাইনে কোর্স করাতে পারেন। এভাবে টাকা ছাড়া বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনলাইন কোর্স বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন কোর্স ব্যবসা শুরু করার জন্য ফেসবুক , টুইটার , ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করবেন। অনলাইন কোর্স হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে , শিক্ষনীয় বিষয় , ট্রেডিং কোর্স , বিসিএস কোর্স ইত্যাদি সহ যেটিতে আপনি পারদর্শী সেটি করাতে পারেন।

৭। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেঃ আপনার অর্থপার্জনের সেরা এবং সহজ বিকল্প হলো ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা। মানুষের যা যা প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা মজাদার তথ্য, ইউটিউব সমস্ত কিছু সরবরাহ করে। আপনি যদি সরাসরি ক্যামেরার সামনে কাজ করতে ভয় পান তবে আপনার ভয়েস দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করুন বা রান্নার ভিডিওও তৈরী করতে পারেন। সংগীত নির্ভর ভিডিও বা মোটিভেশনাল ভিডিও গুলোতেও কেবল একজন ভাল বক্তা হয় অর্থাৎ যে কাজে আপনি পারদর্শী সেই বিষয়েই আপনার ভিডিও তৈরী করুন।

সংগীত বা নৃত্য, টেকনোলজি বা শিক্ষাদান থেকে আপনি কোন বিষয়ে সর্বাধিক আপনার সৃজনশীলতার সাথে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন সচেতন হন কারণ সেখানে প্রতিটি বিকল্প ইতিবাচক চ্যানেল হয়েছে যেগুলির সাথে আপনাকে যুদ্ধে নামতে হবে ,তবে আপনার বিষয় সম্পর্কে প্রথমে নিশ্চিত হন। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি আপনার চ্যানেলটি খোলার জন্য যথেষ্ট। গ্রাহক বাড়ানোর পরে আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হবে। এবং আকর্ষণীয় ব্লগ আপনাকে ভাল মজুরি উপার্জন করতে সহায়তা করবে। তাহলে এবার একজন ইউটিউবার হওয়ার পথে আপনাকে আর আটকাবে কে?

৮। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করে ব্যবসাঃ আপনি অফলাইনে টাকা ছাড়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান সাজানো ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানোর জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। আপনি এই ব্যবসাটি টাকা ছাড়া শুরু করতে পারবেন। আপনি যাদের কাছ থেকে কন্টাক্ট নিবেন তাদের কাছ থেকে অবশ্যই প্রথমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ টাকা নিয়ে নিবেন। এরপর আপনি তাদের নির্দেশনা ও নিয়ম অনুযায়ী ইভেন্ট পরিচালনা ও সাজানোর কাজ শুরু করবেন।

এভাবে আপনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন পরিকল্পনার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারবেন। কোন অনুষ্ঠানকে ভালোভাবে সংগঠিত জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। আপনি যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করেন সেটি সকলকে জানার জন্য প্রচার- প্রচারণা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক পেজ , ইউটিউব চ্যানেল , ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রচার করতে পারেন।

৯। ভিডিও এডিটিং ব্যবসাঃ এই আধুনিক যুগে অনলাইনে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার অন্যতম সহজ উপায় হলো ভিডিও এডিটিং। আপনি ভিডিও এডিটিং কাজ করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক নতুন ইউটিউবার ভিডিও এডিট করার জন্য ভিডিও এডিটর ভাড়া করে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ ও এডিট করার জন্য ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন হয়।

এই কাজগুলো করে আপনি টাকা ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এর উপর ভালো জ্ঞান ও ধারণা থাকতে হবে। মূলত ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা থাকলেই আপনি এই কাজটি করে আয় করতে পারবেন। এভাবে টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে ভিডিও এডিটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন।

১০। কনটেন্ট বা ব্লগিং রাইটিংঃ আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তবে সেই ভালো লাগাকেই কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই একটি প্রফিটেবল বিজনেস শুরু করতে পারেন। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং একটি চাহিদা সম্পন্ন পেশাতে পরিণত হয়েছে এবং সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। কোন বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করে সে সম্পর্কে আপনার ধারণা, অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অডিয়েন্সদের সামনে তা তুলে ধরার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রাইটিং। 

বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং রয়েছে, যেমন – ব্লগ রাইটিং, কপিরাইটিং, নিউজ রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট , ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোতে এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলেই ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মুনাফা পেতে পারেন এই কনটেন্ট বা ব্লগ রাইটিং এর মাধ্যমে। এজন্য আপনার শুধু প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন কেনার খরচ। পরবর্তীতে আপনি আপনার আর্টিকেলগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করুন এবং প্রফিট বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি অথবা প্রোডাক্টের প্রমোশনের জন্য বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন।

১১। ভিডিও মেকিংঃ খুব সহজ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও তৈরি করা। বিভিন্ন ধরনের নিউজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, বিনোদন, অভিজ্ঞতা সহ বিভিন্ন বিষয়কে ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করা হয়। এসব ভিডিও সাধারণত ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সরবরাহ করা হয়। আর এ ধরনের ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ক্রিয়েটিভ থিঙ্কিং কে কাজে লাগাতে হবে।

কারণ একই প্লাটফর্মে আরো অনেকেই আপনারই মত ভিডিও আপলোড করছে। তাই আপনাকে অবশ্যই ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনতে হবে যা কিনা আপনার ভিউয়ার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই বিজনেস শুরু করতে যেহেতু আপনার কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই, তাই শুধু একটি ফোন অথবা ক্যামেরা আর বিভিন্ন প্লাটফর্মে কিছু চ্যানেল খুলে আজই একটি প্রফিটেবল বিজনেস শুরু করে দিন।

১২। রিয়েল এস্টেট ব্যবসাঃ আপনি নিজের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে টাকা ছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে পারবেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে হলে পরিশ্রম ও ধৈর্য দিয়ে কাজ করতে হয়। এই রিয়েল এস্টেট ব্যবসাতে কোন টাকা খরচ করতে হয় না, অর্থাৎ আপনি টাকা ছাড়াই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার কাজ হলো অন্যের জমি , বাড়ি বা বিল্ডিং বিক্রি করে দেওয়া। আপনি অন্যজনের বাড়িঘর বা জমি বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজেদের বাড়ি বা জমি বিক্রি করার সময় পায় না তারা অন্যদের দিয়ে এই কাজগুলো করিয়ে থাকে। আর এই কাজ করার বিনিময়ে ভালো পরিমাণে কমিশন পর্যন্ত দেয়। আপনি চাইলে টাকা ছাড়া এই ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে এবং সাবধান থাকতে হবে।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় ও নিয়ম

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় হলেো কিছু পরিকল্পনা ও গবেষণা করে কাজ করতে হয়। কোন রকম টাকা ইনভেস্ট করা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই অনলাইন মাধ্যমে করতে হবে। ফেসবুক ও ইউটিউব কাজে লাগিয়ে টাকা ছাড়াই ব্যবসা করা যায়। ফেসবুকে বা ইউটিউব এ নিজের কনটেন্ট বানিয়ে অথবা অনলাইন কোর্স বিক্রি করে টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন। পাশাপাশি ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ব্যবসা শুরু করা যায়।

এতে আপনার এক টাকাও পকেট থেকে খরচ হবে না, বরং আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন। টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে প্রথমে গভীরভাবে ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে এবং ব্যবসার সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে। টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় ও নিয়ম জেনে আসি।

  • ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে গ্রাহকরা কোন ধরনের প্রোডাক্ট বেশি পছন্দ করে।
  • বর্তমান মার্কেটে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্যের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
  • আর টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে হলে অনলাইন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তা করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে প্রোডাক্ট বা পণ্যের কেনার খরচ ও প্যাকেজিং খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। মূলত মূলধন কতটুকু লাগবে সেটির পরিকল্পনা করতে হবে।
  • ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে করতে হবে। ব্যবসায় লাভ লস হতে পারে তবে লাভ লস নিয়ে চিন্তা করা যাবে না।
  • টাকা ছাড়া ব্যবসা করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো নির্বাচন করুন। অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক , ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম , টুইটার , টেলিগ্রাম , টিক টক ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি ও পরিচিতি বাড়াতে পারবেন।

এভাবে বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান রেখে ব্যবসার দিকে অগ্রসর হতে হবে। ব্যবসা সম্পর্কে না জেনে বুঝে কখনোই ব্যবসা করতে যাবেন না। এতে করে লাভের থেকে লসের সম্ভাবনা বেশি হবে। সর্বপ্রথম আগে ব্যবসা নিয়ে গবেষণা করুন এবং ব্যবসা নিয়ে ধারণা নিন। আর অন্যান্য ব্যবসায়ীদের থেকে পরামর্শ নিবেন।

কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন

কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন জানতে হলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়তে থাকুন। অনলাইন ব্যবসার শুরু করা সময় প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে, এটি একটি অভিনব এবং সফল উদ্যোগ হতে পারে। অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে এই বিজনেস মডেল কি এবং কীভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। চলুন একটি অনলাইন বিজনেস কীভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পরিকল্পনাঃ সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে কোন কাজ ৫০% হয়ে যায়। অনলাইন যেহেতু একটি ব্যবসা সেহেতু তা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যকরী পরিকল্পনা করতে হবে। এই পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে টার্গেটেড অডিয়েন্স, নির্দিষ্ট এলাকা, কি কি প্রোডাক্ট থাকবে, কত পরিমাণ পণ্য স্টকে থাকবে, ওয়ারহাউস সেটআপ, ওয়েবসাইট তৈরি, মার্কেটিং, আফটার সেলস সার্ভিস ইত্যাদি সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।

আপনি বিজনেস শুরু করার পূর্বে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক প্ল্যান দ্বার করাতে পারলে কম্পিটিশনে অনেক এগিয়ে যেতে পারবেন। শূন্য থেকে বিজনেস দাড় করাতে গেলে আমাদের মনে রাখতে হবে যুদ্ধ শুধু অস্ত্র দিয়ে নয় রণকৌশল দিয়ে জিততে হয়।

ইনভেস্টমেন্ট প্রক্রিয়াকরণঃ বিজনেস করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট। মূলধন ছাড়া কখনই একটি বিজনেস দাড় করানো যায় না। ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে মূলধন ও বিনিয়োগ বণ্টন বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে হবে। শুরুতে খুব অল্প পরিমাণ মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও ধীরে ধীরে তা বড় হবে। তখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী থেকে ইনভেস্টমেন্ট আসা শুরু হবে। সঠিক ভাবে এসব বিনিয়োগ বণ্টন করতে না পারলে ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

অন্যদিকে, ইনভেস্টমেন্ট সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারলে অল্প সময়ে কম্পিটিটরদের থেকে এগিয়ে যাওয়া যাবে। যা অনলাইন বিজনেসের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। বর্তমান সময়ে অনেক নামি-দামি দেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিতভাবে ইনভেস্টমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ করার কারণে ব্যবসায় লোকসান করছে। তারপর একটি সময় ইনভেস্টরদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করছে। অতএব সঠিক বিনিয়োগ ও মূলধন প্রক্রিয়াকরণ না করতে পারলে ই-কমার্স বিজনেসে সফল হওয়া যাবে না।

ওয়েবসাইট তৈরিঃ পূর্ব-প্রস্তুতি শেষ হলে নজর দিতে হবে আধুনিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির দিকে। বর্তমানে অনেক ডেভেলপমেন্ট স্টার্ট-আপ কোম্পানি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি সেগুলো থেকে সার্ভিস নিয়ে অথবা পার্সোনাল ডেভেলপার হায়ার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উন্নতমানের হোস্টিং কনফিগারেশন এর দিকে। কারণ একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অনেক দাতা থাকে এবং অনেক ভিজিটর ব্রাউজ করতে আসে। কমদামি বা দুর্বল কনফিগারেশনের হোস্টিং হলে ওয়েবসাইট ধীরে কাজ করবে অথবা কাজ করা বন্ধ করে দেবে যা অনলাইন বিজনেসের জন্য ক্ষতিকর। ডেভেলপারকে ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিবেন যাতে ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিক সময়ের সকল প্রয়োজনীয় ফিচার থাকে। এতে ক্রেতা খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট পছন্দ করবে এবং আপনার সেল বাড়বে।

কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণঃ আপনি যে যে প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেগুলো যাতে ভালো কোয়ালিটির হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সাধারণ কাস্টমার যখন অনলাইনে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন তার মনের ভেতরে গুণাগুন নিয়ে সন্দেহ কাজ করে। আপনি যখন ভালো কোয়ালিটির পণ্য সাপ্লাই করবেন তখন ক্রেতার মনের সন্দেহ দূর হয়ে যাবে এবং তিনি বারবার আপনার স্টোর থেকে পণ্য কিনবে।

মার্কেটিংঃ অনলাইনে যে কোন বিজনেস সফলতার পেছনে সব থেকে বেশি কাজ করে মার্কেটিং। ইন্টারনেটে মার্কেটিং এর কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের কাছে কোন সার্ভিস বা প্রোডাক্টের চাহিদা তৈরি করার যে প্রক্রিয়া তা হলো মার্কেটিং।

অর্থাৎ আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে ইন্টারনেট ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং ক্রেতার কাছে সহজ লভ্য করার জন্য মার্কেটিং এর কোন জুরি নেই। অতএব, আপনার পুরো ইনভেস্টমেন্টের একটি বড় অংশ অফলাইন এবং অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য ব্যয় করতে হবে। অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য SEO অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অফলাইন মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন কনফারেন্স বা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনঃ বিজনেসের খাতিরে তৈরি করা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড হিসেবে প্রচলিত হয় তখন, যখন তা ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। অ্যামাজন বা দারাজ কিন্তু একদিনেই আজকের এই অবস্থায় আসেনি। তারা দীর্ঘ সময় ধরে ভালো সার্ভিস এবং পণ্য সাপ্লাই দিয়ে কাস্টমারের বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছে।

অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে কীভাবে আপনিও এই বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। না হলে এই অনলাইন বিজনেসকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। ই-বিজনেস একটি চিরন্তন ব্যাবসায়িক মডেল। কারণ বর্তমানে যে হারে অনলাইন ব্যবসার উন্নয়ন হচ্ছে তাতে সেদিন আর বেশি দেরি নেই যখন মানুষ সশরীরে মার্কেটে যাওয়া বাদ দেবে এবং ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করবে।

পেমেন্ট প্রসেসর নির্বাচন করুনঃ অনলাইনে পেমেন্ট গ্রহণ করতে আপনাকে একটি পেমেন্ট প্রসেসর চয়ন করতে হবে। পেপাল, স্ট্রাইপ এবং স্কোয়ার সহ বেশ কিছু বিকল্প রয়েছে। একটি পেমেন্ট প্রসেসর নির্বাচন করার সময় ফি, সুরক্ষা এবং ব্যবহারের সহজতা প্রশ্নগুলি বিবেচনা করুন।

অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে করণীয়

অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে করণীয় কি জানতে এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ু। তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের জীবন যেমন হয়েছে সহজ তেমনি কেটেছে প্রচুর বাঁধা। ইন্টারনেট সমগ্র পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। বিনোদন ছাড়াও ইন্টারনেট এখন অনেকের জন্য আয়ের প্রধান উৎস। ঘরে বসেই শুরু করা যাচ্ছে ব্যবসা যার কাস্টোমার হতে পারে পুরো পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন মানুষ।

অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা খুব কঠিন কিছু নয়, আবার একেবারে সহজ এমনটাও নয়। যেকোন ব্যবসা শুরুর আগে কিছু করনীয় থাকে– বিজনেসের প্ল্যান করা কিংবা স্ট্র্যাটেজি সাজানোর মত সুক্ষ্ম কিন্তু অতীব জরুরী বিষয়গুলো প্রায়ই উপেক্ষা করতে দেখা যায় নতুন উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে। যার ফলে ব্যবসা শুরুর পরে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখা যায় না, কিংবা টিকে থাকাই হয়ে উঠে মুশকিল। আজকে আমরা আলোচনা করব এমনই কিছু করনীয় নিয়ে যা অবশ্যই অনলাইনে ব্যবসা শুরুর আগে কর্তব্য।

১। পণ্য বা সার্ভিসঃ প্রথমেই ঠিক করুন কোন পণ্য কিংবা সার্ভিস দিয়ে ব্যবসা করবেন। অনলাইনে অগণিত উদ্যোক্তা বিভিন্নরকম পণ্যের কিংবা সার্ভিসের ব্যবসা করছেন, আপনি কি সেল করবেন ঠিক করতে হবে আপনাকেই। কারো দেখাদেখি কিংবা অনুকরণ না করে নিজে যে পণ্যের উপর বিশ্বাস করেন, যে পণ্য নিয়ে আপনার ভালো ধারণা আছে সেটা নিয়েই আগান। চিন্তা করুন আপনার পণ্য আপনি নিজে ব্যবহার করবেন কিনা বা আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ব্যবহার করবে কিনা। এই সাধারণ একটি চিন্তা আপনাকে বেশ কনফিডেন্স যোগাবে, সাথে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন সঠিক পণ্য নিয়েই আগাচ্ছেন কিনা।

২। মার্কেট এনালাইসিসঃ কি নিয়ে বিজনেস করবেন ঠিক করলেন, কিন্তু সে পণ্যের চাহিদা কেমন, কারা কিনবে, কতবার কিনবে এধরণের ব্যাপারগুলো নিয়ে স্টাডি করুন। দেখা গেল এমন পণ্য নিয়ে কাজ করছেন যেটার তেমন চাহিদা নেই, কিংবা আপনার পণ্যের টার্গেট কাস্টোমারদের কাছে সেল না করে যার চাহিদা নেই তার কাছে সেল করতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ব্যবসার গ্রোথ আশানুরুপ হবে না, বরং ব্যর্থ হবার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে।তাই মার্কেট বুঝুন ভালো করে। যাদের টার্গেট করছেন কাস্টোমার হিসেবে তাদের সাথে কথা বলুন, সার্ভে করতে পারেন, কম্পিটিটরদের এক্টিভিটি দেখুন, তাদের পেইজ কিংবা গ্রুপে কাস্টোমার কি মতামত দিচ্ছে এবং কি চাচ্ছে মনোযোগ দিয়ে এনালাইসিস করুন, অন্যের ভুল থেকে নিজে শিখুন।

৩। বিজনেস প্ল্যানঃ সবচেয়ে বেশি উদ্যোক্তারা যে ভুলটা করে থাকেন তা হল একটি প্রোপার বিজনেস প্ল্যান না করা। কেবল মুখে মুখে কিংবা ধারণা করে নয়, একটি টেমপ্ল্যাট ধরে পুরো বিজনেস প্ল্যানটি লিখুন। এতে কোথায় কি ধরণের গ্যাপ আছে নিজেই বুঝে যাবেন। আসলে একটি বিজনেস প্ল্যান আপনার আইডিয়াকে এমনভাবে সাজিয়ে তুলবে যাতে আপনি বুঝতে পারেন আপনার স্ট্র্যাটেজি কেমন হওয়া উচিৎ, আপনার একটা নির্দিষ্ট টার্গেটে পৌঁছাতে পুরো ওয়ার্ক প্রসেস কেমন হতে হবে। অনেক ভালো বিজনেস আইডিয়া ফেইল করতে পারে শুধুমাত্র সুগঠিত প্রসেস কিংবা স্ট্র্যাটেজি না থাকার কারনে। একটি ভালো বিজনেস প্ল্যান আপনাকে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে, মাঝপথে যেন খেই হারিয়ে না ফেলেন তা নিশ্চিত করবে, সাথে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আপনি আরো ভালো ধারণা পাবেন, ফোকাসড থাকতে পারবেন।

৪। সাপ্লাই চেইন ও ডিস্ট্রিবিউশনঃ পণ্য কোত্থেকে এবং কীভাবে সোর্স করবেন ঠিক করে নিন। চেষ্টা করুন সোর্সিং প্রসেসটা যেন স্মুথ এবং যথাসম্ভব অল্প খরচে করা যায়, এতে প্রোডাক্টে আপনার প্রফিট মার্জিন বাড়বে। পণ্য সোর্স কেবল একটি হলে ব্যাকআপ হিসেবে আরো ২-৩টি সোর্স যোগ করুন। তবে পণ্যের কোয়ালিটি নিয়ে আপোষ করবেন না এক্ষেত্রে। সবসময় এমনভাবে সোর্সগুলোকে রেডি রাখুন যাতে কোনো কাস্টোমারকে খালি হাতে যেতে না হয়।

পণ্য নিজে ম্যানুফাকচার করলে কতটুক ম্যানুফাকচার করতে পারবেন এবং কীভাবে ম্যানুফাকচারিং প্লেস থেকে কাস্টোমারের কাছে পৌঁছাবেন তা ঠিক করুন। ডিস্ট্রিবিউশন খুবই জরুরী অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে। বেকারি পণ্যের ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস ফ্যাশন পণ্যের ডিস্ট্রিবিউশনের মত হবে না। সঠিক পণ্যের জন্য সঠিক ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস ঠিক করুন। অন্যথায় কাস্টোমার স্যাটিস্ফ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। খুব ভালো প্রোডাক্ট, খুব সুন্দর বিজনেস প্ল্যান থাকার পরেও ব্যবসা ফেইল করতে পারে যদি একটি স্ট্রং সাপ্লাই চেইন এবং ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করতে না পারেন। কাজেই সতর্ক থাকুন এমন ছোটখাটো ব্যাপারেও।

৫। ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াঃ অফলাইন বিজনেসে আমরা কাস্টোমারকে যেমনটা দোকানে প্রোডাক্ট সেল করি ঠিক তেমনি অনলাইনে কাস্টোমারকে আমরা ওয়েবসাইটে পণ্য সেল করি। ওয়েবসাইটই আপনার ডিজিটাল দোকান। একটি ওয়েবসাইট থাকলে কাস্টোমার আপনাকে যেমন স্মার্ট ভাববেন তেমন আপনার উপর বিশ্বাস বাড়বে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। কিন্তু কথা হল ব্যবসা শুরু করছেন এখনই কি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট বানাবেন? এটা মোটেও ভালো বুদ্ধি হবে না। বর্তমানে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলো দিয়ে নিজেই ইকমার্স ওয়েবসাইট সেটাপ করে নেয়া যায় বাহ্যিক কোনো সহযোগীতা ছাড়াই। যেমন, বণিক অ্যাপ ব্যবহার করে মাত্র ১ মিনিটে মোবাইল ফোন দিয়েই নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে নিন ফ্রীতে। অর্ডার ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে পেমেন্ট, ডেলিভারি এবং বাকিসব ই-কমার্সের ফিচার মোবাইলেই পেয়ে যাবেন।

নিজের ব্যবসার জন্য ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে পেইজ খুলে ফেলুন। ওয়েবসাইটটি পেইজে যোগ করে দিন। প্রতিনিয়ত পেইজে কন্টেন্ট দিয়ে একটিভ থাকুন, কাস্টোমারের মেসেজ এবং কমেন্টের রেসপন্স করুন। সাথে নিজের ব্যবসার একটা কমিউনিটি গড়ে তুলুন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে। এতে আপনার কাস্টোমাররা নিজেদের মতামত আরো সহজে দিতে পারবে, আপনার আপডেট আরো দ্রুত পাবে। কমিউনিটির মাধ্যমে ব্র্যান্ড বিল্ড করা এবং লয়াল কাস্টোমারবেইজ বানানো অনেক বেশি ইফেক্টিভ হতে পারে।

৬। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ ব্যবসা পরিচালনা করতে কোনো ধরণের পারমিশন, লিগাল ডকুমেন্ট থাকা আবশ্যকীয় হলে করে ফেলুন। বিজনেস আইডি, ট্রেড লাইসেন্স, TIN কিংবা কোনো পণ্য বিশেষ কাগজ পত্র থাকলে ইন্টারনেট কিংবা নিজে গিয়ে খোঁজ নিয়ে সেরে নিন। চেষ্টা করুন ব্যবসা শুরুর পর যেন জটিলতা এড়িয়ে চলা যায় এবং পূর্ন মনোযোগ ব্যবসায় দেয়া যায়।

৭। মার্কেটিং এবং সেলসঃ ব্যবসা শুরু করেছেন এখন তো সেলস দরকার। সেলস আনতে মার্কেটিং শুরু করুন। মার্কেটিং মানেই কেবল পোস্ট বুস্ট করা নয়। মার্কেটিংয়ের জন্য প্রসেস ফলো করুন, এক্ষেত্রে কোনো মার্কেটিং ফানেল অনুসরণ করে সেলস জেনারেট করুন। আপনার পণ্য ব্যবহার করবে এমন একটি আদর্শ মানুষের প্রোফাইল বানান, যাকে Ideal Customer Profile(ICP) বলে। আপনার সব মার্কেটিং প্ল্যান এই আইসিপির মানুষের সাথে কতটুক যৌক্তিক বিবেচনা করে সাজান। ওয়েবসাইটে এই আইসিপি থেকে ভিজিট আনুন, ভিজিটরদের রিটার্গেটিং করুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেইজিং পোস্ট করুন, নিজের ব্র্যান্ডকে পরিচিত করে তুলুন। ভাইরালিটির উপর জোর দিন, এতে পেইড প্রমোশনের চাইতে ওয়ার্ড অফ মাউথ বেশি হবে এবং এর মাধ্যমে খুব সহজে কম খরচে বেশি রিচ করতে পারবেন অর্গানিকালি।

প্রথমে একজন কাস্টোমার আনুন, এরপরে ১০ জন, এরপরে ১০০ জন এভাবে টার্গেট সেট করে সেলস স্ট্র্যাটেজি ঠিক করুন এবং সে অনুসারে মার্কেটিং করুন।

৮। বিজনেস কাঠামোঃ অনলাইনে বিক্রির সুবিধা হচ্ছে ফেসবুক পেইজ খুলতে কোনো টাকা লাগে না। কিন্তু তাও ব্যাবসাটার কাঠামো আগেই ঠিক করে নেওয়া উচিত। আপনি কি একা শুরু করছেন নাকি সাথে পার্টনার আছে। মালিক একা হলে বলে এক মালিকানা ব্যাবসা (Sole proprietorship)। আপনি নিজস্ব মালিকানায় ব্যাবসা শুরু করার পর দেখা গেল ব্যাবসা বড় হচ্ছে, ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু ইনভেস্ট করার মতো যথেষ্ট মূলধন আপনার কাছে নেই।

তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাবসার মালিকানা শেয়ার করবেন অন্য এক বা একাধিক মানুষের সাথে যেন ঝুঁকি কমে, দায়বদ্ধতা কমে। এটা দুভাবে করা যায় – ট্রেড লাইসেন্সে একাধিক মালিকের নাম ঢুকিয়ে অথবা জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করে। এটাকে বলে লিমিটেড পার্টনারশিপ বা অংশীদারি ব্যাবসা। ট্রেড লাইসেন্স করতে হয় সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা থেকে। আর আরজেএসসি (RJSC) কর্তৃপক্ষ থেকে কোম্পানির বিভিন্ন রূপ রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

ব্যাবসার আকার বড় হয়ে গেলে আপনার ব্যাবসায়িক আর্থিক লেনদেন, হিসাব নিকাশ, সঞ্চয় বা ঋণ আদান প্রদানের জন্য লাগবে একটি বিজনেস ব্যাংক একাউন্ট। বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই ব্যাংকে এই একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাবসার ধরণ বুঝে নানা রকম আইনী কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (BIN), ট্যাক্স, আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (TIN), রপ্তানি/ আমদানি লাইসেন্সের ফটোকপি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন, প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতির জন্য ব্যবসার পরিকল্পনা এবং মানচিত্র অনুমোদন ইত্যাদি।

ব্যাবসা শুরুর আগে কি কি দরকার সেটা না জেনে শুরু করলে পরবর্তীতে আইনি জটিলতার কারণে ব্যাবসা বন্ধ করে দিতে হতে পারে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী আস্তে আস্তে বড় করা ভালো – ব্যাবসার শুরুতেই একবারে লিমিটেড কোম্পানি করা অনেকসময় ঝামেলা বয়ে আনে। আইনী কাগজ-পত্র সংগ্রহ বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া জানতে পড়ুন এই আর্টিকেল টি…..ব্যাবসা শুরুর আইন-কানুন

৯। ব্যাবসার নামঃ ব্যাবসার নাম স্পেসিফিক, অর্থবহ এবং স্বতন্ত্র হওয়া উচিৎ। আপনার ক্ষুদ্র ব্যাবসাটি কোনোদিন ফুলে-ফলে সুশোভিত হলে যখন কোম্পানি গঠন করার প্রয়োজন দেখা দেবে। তখন কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র নাম লাগবে। কিন্তু এর আগেই যদি একই নামে অন্য কেউ কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করে তাহলে আপনি পড়বেন বিপদে। কারণ তখন নাম পরিবর্তন করলে আপনার ব্র‍্যান্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নাম ঠিক করার পরে অনলাইন বিজনেস প্রমোশনাল কার্যক্রমের মধ্যে প্রথম কাজ হল বিজনেস ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজ তৈরি করা। যেখানে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সবাই জানবে এবং অর্ডার করার সুযোগ থাকবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে মার্কেটিং কন্টেন্ট রাইটার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিন। পেইজ/ওয়েবসাইটে কাস্টমার রিভিউ দিন এবং সার্ভে করে তাদের চাহিদা এবং পছন্দ জানার চেষ্টা করুন ।

এভাবে আপনার ক্ষুদ্র পরিসরের ব্যাবসাটিকে আস্তে আস্তে বড় করুন। শুরুতেই চিন্তা করুন ভবিষ্যতে আপনার ব্যাবসা কোথায় দেখতে চান এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন।

সর্বোপরি, ধৈর্য্য ধরে ব্যবসা এগিয়ে নিন। রাতারাতি সাফল্য আসবে না, টার্গেট ধরে ধরে আগাতে হবে। সবসময় নতুন ট্রেন্ড কিংবা নতুন নিয়মের সাথে আপডেটেড থাকার চেষ্টা করুন। কাস্টোমারের কথা শুনুন, তাঁদের মতামতের গুরুত্ব দিন। ব্যবসায় কাস্টোমারই সব।

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করবেন

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করবেন জেনে নিন আর্টিকেলটির এই অংশ পড়ে। অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই লাভজনক একটি কাজ। অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ক্রমশ অনলাইনে ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য বাইরের দেশে বিক্রি করা হচ্ছে। আজকে আমি অনলাইনে ব্যবসা কিভাবে করা যায়, পাশাপাশি বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার মার্কেট সম্পর্কে আলোচনা করব।
অনলাইন-ব্যবসা-কিভাবে-করবেন
ফেসবুকের মাধ্যমেঃ ফেসবুক বাংলাদেশ অনলাইনে সবচাইতে বড় মার্কেট প্লেস। এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই সহজ। ফেসবুকে ব্যবসার জন্য একটি আলাদা পেজ খুলে কিংবা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেও পণ্য বিক্রি করা যায়। তবে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পণ্য বিক্রি করার চাইতে আলাদা একটি বিজনেস পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করায় অধিক সুবিধাজনক। একটি আলাদা বিজনেস পেজ খুললে তা ফেসবুকে ওই পণ্য বা পণ্য সমুহের একটি আলাদা আইডেন্টিটি তৈরিতে এ সহায়তা করে। তৈরিতে পাশাপাশি ওই বিজনেস পেজ থেকে বন্ধুবান্ধবদের পেজে লাইক দিতে ইনভাইট করা যায়।

ফেসবুকে পেজ খুলে বিক্রি করার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এখানে মার্কেটিং খুব সহজে করা যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করা যায়। যেমন কেউ পেজের লাইক এর জন্য মার্কেটিং করে। এতে করে পেজটি সম্পর্কে লোকজন আরও বেশি জানতে পারে। পেইজটিতে যত বেশি লাইক পড়বে তত বেশি লোকজন পেজটির বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। ফেসবুকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন করা খুবই সহজ। কারণ শুধু টাকা দিলে ফেসবুকের সাহায্যে এই রকম বিজ্ঞাপন করা যায়। এরকম বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আলাদা বিশেষ কোনো যোগ্যতা লাগে না এবং রিটার্ন অফ ইনভেস্টমেন্ট ও অনেক বেশি।

তবে বাংলাদেশে এই সব বিজ্ঞাপন দেওয়ার একটি সমস্যা হচ্ছে এগুলো বিজ্ঞাপন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দিতে হয়। তবে নিজের ক্রেডিট কার্ড না থাকলে অন্যের ক্রেডিট কার্ড ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। আবার অনেকে পুরোপুরি পেজের জন্য বিজ্ঞাপন না দিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন পোস্ট বা পণ্যের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। এ ধরনের বিজ্ঞাপন এর উদ্দেশ্য থাকে যে সুনির্দিষ্টভাবে ওই পণ্যের প্রচারণা এবং বিক্রয় বাড়ানো।

পণ্য বা পেজের যে বুষ্টিং করা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে এসব বুষ্টিং করা হয়। যে ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে বুষ্টিং করা হোক না কেন তা যেন আকর্ষণীয় হয় তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। পাশাপাশি ছবি বা ভিডিওর সাথে পন্য বা পেজ সম্পর্কিত যে কথাগুলো লেখা হয় তা যেন আকর্ষণীয় এবং সংক্ষিপ্ত হয়।

ফেসবুক পেজের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এটার জন্য কোন রেজিস্ট্রেশন বা কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই। যে কেউ চাইলেই তার ফেসবুকে পেজ খুলে এর মাধ্যমে তার পণ্য বিক্রি করতে পারে। বুষ্টিং ছাড়াও ফেসবুকে মার্কেটিং এর আরো অনেক উপায় আছে। যেমন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। এই ধরনের মার্কেটিং এ যে সকল ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সার দের অনেক ফ্যান ফলোয়ার আছে তাদের সাহায্য নেয়া হয়।

তাদেরকে কিছু অর্থের বিনিময়ে প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য দেওয়া হয়। তারা তাদের পেজ থেকে এসব প্রডাক্ট এর প্রমোশন করে থাকে। এই মার্কেটিং পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। আমরা যদি কোন সেলিব্রেটির পেজে যায় তবে দেখব যে তাদের অনেকে পণ্যের প্রচারণার সাথে সংশ্লিষ্ট। সেলিব্রেটিরা কোন প্রডাক্ট প্রমোশন করলে তা তাদের ফলোয়ারদের কাছে পৌঁছে যায়।

ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমেঃ ইনস্টাগ্রাম মূলত ছবি শেয়ারিং এর জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম এর লক্ষাধিক ইউজার আছে। বাংলাদেশে অনেক পোশাক এর ব্র্যান্ড এবং রেষ্টুরেন্টগুলো বিশেষভাবে টার্গেট করে ইন্সটাগ্রামকে। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ছবি শেয়ার করে তারা তাদের ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে। ফেসবুকের মত ইনস্টাগ্রম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই বিখ্যাত। ইন্সটাগ্রাম এর প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য সুন্দর সুন্দর ছবি আপলোড দেওয়া খুবই বাঞ্ছনীয়।

এজন্য কেউ যদি ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে চাই তবে তাকে অবশ্যই নিজে থেকে এডিটিং শিখতে হবে। নিজে এডিটিং না করলেও কোন এক্সপার্ট ফটো এডিটরের কাজ থেকে বা গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছ থেকে তার পণ্যগুলোর সুন্দর সুন্দর ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করতে হবে। ইনস্টাগ্রামে ছবির পাশাপাশি শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে ও পণ্যের প্রচারণা করা যায়।

ইউটিউব এর মাধ্যমেঃ আমরা জানি ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও প্রচারের জন্য সবচাইতে বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। ফেসবুকের পর যে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি সারা বিশ্বের সবচাইতে বিখ্যাত তা হল ইউটিউব। ইউটিউব এর মার্কেটিং পদ্ধতি পুরোটাই ভিডিও নির্ভরশীল। সুতরাং কোন পণ্যের প্রচার প্রচারণায় যদি ইউটিউবে চালাতে হয় তবে সুন্দর এবং আকর্ষনীয় ভিডিওর মাধ্যমে ইউটিউবে পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। ফেসবুকের মত ইউটিউবেও অর্থের বিনিময়ে চ্যানেল বুষ্টিং করা যায়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়েও ইউটিউব এর সাফল্য এবং কার্যকারিতা লক্ষণীয়।

ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেঃ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা সবচাইতে সুবিধাজনক দিক। কারণ ইউটিউব, ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আপনি যদি আপনার পণ্যের প্রচারণা করেন তবে সেইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর রুলস এন্ড রেগুলেশন অনুসারে চলতে হবে। যেমন ধরুন ফেসবুকের কথায়। ফেসবুকে যদি বুষ্টিং করা না হয় তবে ফেসবুক অনেক সময় দেখা যায় পেজ এর রিচ কমিয়ে দেয়। এরকম নানা ঝামেলা জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর সাথেই।

কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে তার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করেন তবে তা হবে সবচাইতে ভালো। এতে করে আপনি আপনার নিজস্ব চিন্তা চেতনা অনুযায়ী আপনার সাইট টি ডেভলপ করতে পারবেন। পাশাপাশি এমন অনেক কিছু করতে পারবেন যা আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটটিতে করতে পারতেন না।

যেমন ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিতে ইচ্ছামতন ডিজাইন করতে পারবেন। যেমন কালার, লেআউট, ফন্ট থেকে শুরু করে সবকিছু আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ডিজাইন করতে পারবেন। কিন্তু ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম আপনাকে এরকম স্বাধীনতা দিবেনা।

আবার একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে আপনার একটি ডিজিটাল পার্মানেন্ট এড্রেস থাকা। কারন একটি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পেজ যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরী করতে পারে। কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তা না। ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট খুলতে হয় এবং ওয়েবসাইট বানানোর কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে।

আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট আপনি যেভাবে চান সেভাবে ডিজাইন করতে পারবেন। যেখানে আপনি যে পণ্য রাখতে চান সেখানে সে পণ্য রাখতে পারবেন। বিশ্বের সমস্ত ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা বেচার জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট আলাদা ওয়েবসাইট আছে।

ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সিস্টেম খুব স্ট্রং। ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রম যেভাবে সহজে হ্যাক করা যায় ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তা না। বিশেষ করে ভাল হোস্টিং প্রোভাইডার বেছে নিলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে এবং আপনার তথ্যগুলো কে নিরাপদে রাখতে পারেন।

আবার গুগলের প্রথম পেজে র্র‍্যাংকিং এর জন্য ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এর সাহায্যে গুগলের প্রথম পেজে র্র‍্যাংকিং পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। বিশেষ করে কম্পিটিটিভ কি ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে। গুগলের পেজে র্র‍্যাংকিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা আমরা কিছুটা আলোচনা করব। যেমন ধরুন কেউ হাত ঘড়ি কিনতে চায়। তখন সে হাত ঘড়ি লিখে গুগলে সার্চ দিল।

এখন কেউ যদি ওয়েবসাইটে তার হাত ঘড়ি বিক্রি করে তবে সে গুগলের পেজে সহজে র‍্যাংক করতে পারবে। ফলে কেউ হাত ধরে লিখে সার্চ দিয়ে ঘড়ি কেনার সময় তার ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবে গুগলে। এভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়।

আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে চান তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সুদক্ষ ওয়েব ডেভেলপার রা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ দক্ষ। আমাদের আছে ই-কমার্স সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এন্ড ডেভেলপ করার অভিজ্ঞতা।

ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমন্বিত পদ্ধতিঃ সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা সবচাইতে ভালো। এই পদ্ধতিটি প্রায় সব বড় বড় ব্র্যান্ড রা করে থাকে। এই পদ্ধতিতে আপনার যেমন একটি ওয়েবসাইট থাকবে পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব একাউন্ট থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল গুলো ম্যানেজ করার জন্য আপনার আলাদা টিম থাকবে। আবার ওয়েবসাইট দেখার জন্য থাকবে আলাদা টিম।

সমন্বিত পদ্ধতি অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য সবচাইতে সফল পদ্ধতি বলা যায়। কারণ হিসেবে বলা যায় যে এমন অনেকেই আছেন যারা শুধু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন। তারা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। ফলে আপনি যদি শুধু ফেসবুকে আপনার পণ্যের প্রচারণা চালান তবে যিনি শুধু ইনস্টাগ্রাম ইউজ করেন তিনি তাঁর কাছে আপনার পণ্য এর বিজ্ঞাপন নাও পৌঁছাতে পারে।

এজন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা। পাশাপাশি ওয়েবসাইট হবে আপনার পার্মানেন্ট ডিজিটাল এড্রেস। এভাবে সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।

তবে কেউ যদি একদমই নতুন বিজনেস শুরু করেন অনলাইনে তবে তার এ সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রথমে না যাওয়াই ভালো। কারণ সমন্বিত পদ্ধতিতে অনলাইনে বিজনেস করতে হলে অভিজ্ঞতা লাগবে। পাশাপাশি এখানে অর্থ খরচের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।

জায়ান্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করেঃ বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ই-কমার্স সাইট আছে। যেমন দারাজ কিংবা বিক্রয়.কম। এসকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ কেউ নতুন-পুরাতন পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে এই ধরনের বড় বড় ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করতে হলে পণ্যের লাভ থেকে প্রাপ্ত একটি অংশও ওয়েবসাইটগুলোকে দিতে হয়। পাশাপাশি এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক কম্পেটিশন অন থাকে।

অনেক সময় দেখা যায় একই পণ্য অনেক বিক্রেতা একই সাথে বিক্রি করছেন। তখন যার দাম কম হয় গ্রাহকেরা তার কাছ থেকেই পণ্য কিনে থাকেন। এটাতো গেল বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজার। বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন আমাজন, ইবে তে বাংলাদেশের বসে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব। তবে এখানে কিছু ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আপনি এগুলো ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। আপনাকে এজন্য এমন দেশে বসবাসরত নাগরিকের সাহায্য নিতে হবে যে দেশ থেকে এসব পণ্য বিক্রি করা যায়।

যেমন ধরুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আপনি এসব ওয়েবসাইটগুলোতে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে তখন আপনি তাকে বাংলাদেশ থেকে আপনার পণ্যগুলো তার কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। সে এই পন্যগুলো আমাজন, ইবে ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্যগুলো লিস্টেড করে দিবে। এভাবে আপনি বাংলাদেসে আমাজন, ইবে তে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম

অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম হয়তো অনেকেই জানেন না। অনলাইন ব্যবসা শুরু করা তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও, এটি চালিয়ে নিয়ে যেতে এবং লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে পরিকল্পনা মাফিক এগোলে অনলাইন ব্যবসায় সফলতা আসতে বাধ্য। অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সমূহ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-

১। ব্যাবসার আইডিয়া নির্ধারণ করুনঃ প্রথমে, আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য একটি কার্যকর এবং প্রাসঙ্গিক আইডিয়া নির্ধারণ করা খুবই জরুরি। এটি এমন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া হতে হবে যা বর্তমানে বাজারে প্রয়োজন রয়েছে এবং যার চাহিদা রয়েছে। আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতা, পছন্দ, এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ব্যবসার ধরন নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি বিশেষজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটার হন, তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা প্রদানকারী একটি অনলাইন এজেন্সি শুরু করতে পারেন। অন্যদিকে, আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান রাখেন, তাহলে ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে সেই পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

একটি সঠিক আইডিয়া নির্ধারণের জন্য বাজার চাহিদা এবং প্রতিযোগী সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে হবে। বাজারে কী ধরণের পণ্য বা সেবা চাহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে অনলাইন সার্ভে বা প্রশ্নমালা ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পণ্য বা সেবা দিয়ে কীভাবে মানুষের সমস্যার সমাধান করা যাবে সে সম্পর্কে চিন্তা করুন। সঠিক আইডিয়া নির্ধারণ করলে ব্যবসা পরিচালনা করার সময় ভবিষ্যতে কম সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে এবং দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

২। প্রতিযোগী এবং বাজার গবেষণা করুনঃ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সব সময় থাকে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে প্রতিযোগী এবং বাজার সম্পর্কে গভীরভাবে গবেষণা করা প্রয়োজন। প্রতিযোগী ব্যবসা কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তারা কী ধরণের পণ্য বা সেবা প্রদান করছে এবং তারা কীভাবে গ্রাহকদের আকর্ষণ করছে তা বিশ্লেষণ করা উচিত। প্রতিযোগীদের সাফল্য এবং ব্যর্থতার কারণগুলি জানলে আপনি আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উন্নত করতে পারবেন এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন।

মার্কেট রিসার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি আপনাকে বাজারের বর্তমান চাহিদা এবং প্রবণতা সম্পর্কে জানার সুযোগ দেবে। বাজারে কোন পণ্য বা সেবা বেশি চাহিদাসম্পন্ন এবং কোনটি কম চাহিদাসম্পন্ন তা জানলে আপনি আপনার ব্যবসায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। প্রতিযোগী বিশ্লেষণ এবং বাজার গবেষণা আপনাকে একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করবে এবং আপনার ব্যবসাকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে সাহায্য করবে।

৩। সম্ভাব্য গ্রাহক টার্গেট করুনঃ অনলাইন ব্যবসায় সফলতার জন্য সঠিক গ্রাহক নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পণ্য বা সেবা যাদের জন্য উপযুক্ত, সেই সমস্ত গ্রাহকদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। প্রথমে, আপনার পণ্যের বৈশিষ্ট্য এবং গুণাগুণ বুঝে সিদ্ধান্ত নিন, কোন ধরণের গ্রাহকরা এই পণ্য কিনতে আগ্রহী হতে পারে। গ্রাহকদের বয়স, লিঙ্গ, আয়ের স্তর, পেশা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাগ করুন।

এরপর, আপনার গ্রাহকদের কেনার অভ্যাস, পছন্দ, এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করুন। গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন এবং তাদের চাহিদার পরিবর্তন বুঝতে চেষ্টা করুন। অনলাইন সার্ভে, প্রশ্নমালা, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফিডব্যাক ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। সঠিকভাবে গ্রাহক টার্গেট করতে পারলে আপনার বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে এবং ব্যবসায় দ্রুত লাভজনক হয়ে উঠবে।

৪। পণ্য বা সেবা নির্ধারণ করুনঃ আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য বা সেবা নির্ধারণ করা অপরিহার্য। এটি এমন একটি পণ্য বা সেবা হতে হবে যা বাজারে প্রয়োজন রয়েছে এবং গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম। বাজার গবেষণার ভিত্তিতে আপনি জানতে পারবেন, কোন ধরণের পণ্য বা সেবা মানুষের প্রয়োজন এবং কোন ধরণের পণ্য বা সেবা তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।

একটি সফল অনলাইন ব্যবসার জন্য মানসম্পন্ন পণ্য এবং পরিষেবা প্রদান করা অপরিহার্য। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে এবং এর মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। পণ্যের দাম এমনভাবে নির্ধারণ করুন, যা আপনার গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী হয় এবং একই সাথে আপনার লাভ নিশ্চিত হয়। সঠিক পণ্য এবং সেবা নির্ধারণ করলে আপনার ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারিত হবে এবং আপনি স্থিতিশীলভাবে বাজারে টিকে থাকতে পারবেন।

৫। ব্যবসা তহবিল সংগ্রহ করুনঃ অনলাইন ব্যবসা শুরুর জন্য কিছু প্রাথমিক তহবিল প্রয়োজন। ওয়েবসাইট তৈরি, পণ্য সংগ্রহ, এবং মার্কেটিং খরচগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার। আপনি যদি নিজের কাছে পর্যাপ্ত তহবিল না রাখেন, তবে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। অনলাইন ব্যবসায় প্রথমদিকে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে আপনার ব্যবসার প্রথম দিকে ক্রেতা আকর্ষণ করা এবং পণ্য বা সেবা উন্নত করা সম্ভব হবে।

অনলাইন ব্যবসার জন্য তহবিল সংগ্রহ করার সময় ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করতে আপনার ব্যবসার সাফল্য সম্ভাবনা এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভ সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। সঠিক তহবিল পরিকল্পনা করতে পারলে আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি দ্রুত হবে এবং আপনি লাভজনকভাবে এটি পরিচালনা করতে পারবেন।

৬। মার্কেটিং পরিকল্পনা করুনঃ অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক মার্কেটিং পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকর মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমে, লক্ষ্য গ্রাহক নির্ধারণ করুন এবং তাদের কাছে পৌঁছানোর উপায় খুঁজে বের করুন। সঠিক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করবে এবং আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড মূল্য বৃদ্ধি করবে।

অনলাইন মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, ব্লগিং, এবং ইমেল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং তাদেরকে আপনার পণ্য সম্পর্কে সচেতন করুন। গুগল অ্যাডস বা ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, যা সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবে। এছাড়াও, গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়াতে নিয়মিত ডিসকাউন্ট বা অফারের মাধ্যমে তাদেরকে আকর্ষণ করতে পারেন।

৭। ওয়েবসাইট তৈরী করুনঃ অনলাইন ব্যবসার জন্য একটি ভালো ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক। এটি আপনার ব্যবসার মুখপত্র হিসেবে কাজ করবে এবং গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করবে। প্রথমে একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন, যা সহজে মনে রাখা যায় এবং ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত। এরপর, ওয়েব হোস্টিং সেবা নিন এবং একটি পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

ওয়েবসাইটের ডিজাইন ব্যবহারকারী-বান্ধব হওয়া উচিত এবং এটি মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় প্ল্যাটফর্মেই সমানভাবে কাজ করতে হবে। আপনার পণ্যের ফিচার, দাম এবং পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে যুক্ত করুন। ওয়েবসাইটটি আকর্ষণীয় এবং সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা থাকলে গ্রাহকরা সহজেই পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ক্রয় করতে পারবে।

৮। নিয়মিত মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করুনঃ অনলাইন ব্যবসায় নিয়মিত মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরি। এটি আপনার ব্যবসার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট, ইমেল নিউজলেটার, ব্লগ পোস্ট এবং অন্যান্য মার্কেটিং কৌশলগুলি পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ অফার এবং ছাড়ের মাধ্যমে তাদের আকৃষ্ট করতে পারেন।

মার্কেটিং কার্যক্রম নিয়মিত চালালে আপনার পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা অর্জন করা সহজ হবে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের নতুন পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে রাখেন, তবে তারা আপনার পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।

৯। মার্কেটিং ফলাফল পর্যালোচনা করুনঃ মার্কেটিং কার্যক্রমের সফলতা পর্যালোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে জানাতে সাহায্য করবে, কোন মার্কেটিং কৌশলগুলো কার্যকর হচ্ছে এবং কোনগুলো হচ্ছে না। গুগল অ্যানালিটিক্স বা অন্যান্য বিশ্লেষণ সরঞ্জাম ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক, গ্রাহকদের আচরণ এবং বিক্রির হার বিশ্লেষণ করতে পারেন।

ফলাফল পর্যালোচনা করে আপনি জানতে পারবেন, আপনার ব্যবসায় কোন কৌশলগুলোর উন্নতি প্রয়োজন এবং কোন অংশগুলো ভালোভাবে কাজ করছে। সঠিকভাবে ফলাফল বিশ্লেষণ করলে ভবিষ্যতে আরও ভালো মার্কেটিং পরিকল্পনা করতে পারবেন এবং ব্যবসার বৃদ্ধির জন্য আরও উন্নত কৌশল প্রয়োগ করতে পারবেন।

১০। ব্যাবসায়িক অর্থের হিসাব সংরক্ষণ করুনঃ অনলাইন ব্যবসায় অর্থের হিসাব সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের লেনদেন, আয়-ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে রাখতে হবে। এর জন্য একটি হিসাবরক্ষক নিয়োগ করা অথবা অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক হিসাব রাখা ব্যবসার আর্থিক স্থিতি সম্পর্কে আপনাকে সুস্পষ্ট ধারণা দেবে এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়ক হবে।
আর্থিক হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে এবং কোথায় আয় বৃদ্ধি করা যায়। এটি ব্যবসার সফলতা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

১১। ব্যাবসায়িক কার্যক্রম ধারাবাহিক রাখুনঃ অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পণ্য সরবরাহ, গ্রাহক পরিষেবা প্রদান এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। সময়মতো গ্রাহকদের অর্ডার সরবরাহ করতে হবে এবং তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসার কার্যক্রম আপডেট করতে হবে, যাতে আপনি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। ধারাবাহিক কার্যক্রম বজায় রাখলে আপনার ব্যবসায়িক বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা সহজ হবে।

সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোন গুলো সে সম্পর্কে পোষ্টের এই আংশটি পড়ে জানতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেই ব্যবসা গুলো করলেই আপনি লাভবান হবেন। তাই সকল ব্যবসা গুলোই লাভজনকভাবে করা যায়। শুধু ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হয়। তবুও বর্তমানে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যেটি করার মাধ্যমে বেশি লাভ করা যায়, অর্থাৎ সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা রয়েছে।

মূলত ব্যবসার মধ্যে সততা থাকলেই বেশি লাভবান হওয়া যায়। তবে আপনাদের মধ্যে অনেকে জানতে চান সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি, আমরা এখন সেই জন্যই বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। নিম্নে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার নাম তুলে ধরা হলোঃ

  • ইলেকট্রনিক পণ্যর ব্যবসা
  • রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
  • মেডিসিন ফার্মেসি ব্যবসা
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
  • কম্পিউটার সার্ভিসিং ব্যবসা
  • মুদি দোকানের ব্যবসা

আমার মতে উপরোক্ত ব্যবসাগুলোই হলো সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা গুলো যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী করা যায় তাহলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। মূল কথায় সঠিক পরিকল্পনা করে ও পরিশ্রম দিয়ে ব্যবসা করলেই লাভবান হওয়া যায়। তাছাড়াও উপরের দেখানো ব্যবসা গুলো আপনি কম পুঁজিতেই শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করবেন, পরে ধীরে ধীরে ব্যবসা-বড় করার জন্য পুঁজি বাড়াতে থাকবেন।

অনলাইনে ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ অনলাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্য কোনটি?

উত্তরঃ বাংলাদেশের অনলাইনে সর্বোচ্চ বিক্রয়ের জন্য সেরা পণ্য সাধারণত সামগ্রী ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত আইটেমগুলি, যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, বই, গেমিং প্রোডাক্ট, পারিবারিক পন্য, সৌন্দর্য পণ্য, খেলনা, খাবার এবং অনলাইনে শিখার সংস্থা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব?

উত্তরঃ এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে অনলাইনে বিজনেস শুরু করতে সাহায্য করতে পারে
  • একটি ধারণা খুঁজুন। আপনি কী বিক্রি করতে চান তা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন।
  • আপনার বাজার গবেষণা করুন।
  • একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  • একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করুন।
  • প্রচার করুন।
  • গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করুন।
প্রশ্নঃ অনলাইনে কি কি কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ

১। ইউটিউব থেকে আয়।
২। ব্লগিং করে আয়।
৩। কন্টেন্ট রাইটার/আর্টিকেল লিখে আয়।
৫। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়।
৭। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়।
৮। অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়।

প্রশ্নঃ অনলাইনে কিভাবে প্রোডাক্ট বিক্রি করব?

উত্তরঃ আপনি যদি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে চান, তাহলে এখানে কিছু টিপস রয়েছে,
  • আপনার পণ্যের জন্য একটি ভালো বাজার গবেষণা করুন।
  • আপনার পণ্যের জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন।
  • আপনার পণ্যগুলির জন্য একটি আকর্ষণীয় বিপণন কৌশল তৈরি করুন।
  • আপনার গ্রাহকদের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখুন।
প্রশ্নঃ ফেসবুকে কিভাবে জিনিস বিক্রি করা যায়?

উত্তরঃ আপনার যদি একটি সক্রিয় Facebook অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে কেবলমাত্র আপনার Facebook নিউজফিডের বাম দিকে যান এবং FB মার্কেটপ্লেস ট্যাবে ক্লিক করুন। সেখান থেকে, "নতুন তালিকা তৈরি করুন" ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার আপনি একটি পণ্যের ফটো, শিরোনাম, মূল্য এবং পণ্যের বিবরণ যোগ করুন, এভাবে ফেসবুকে আপনার পন্য বিক্রির জন্য প্রস্তুত করুন।

নতুন ব্যবসায় যেভাবে লাভবান হবেন

নতুন ব্যবসায় যেভাবে লাভবান হবেন আর্টিকেলের এই অংশের মাধ্যমে জেনে উপকৃত হবেন। অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা ভালো আইডিয়া পেলেই ব্যবসার মতো প্রতিযোগিতায় নামার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু একটি ভালো আইডিয়াই কি লাভজনক ব্যবসা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট? না, যথেষ্ট নয়। ব্যবসায়িক জগতে দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে গেলে নানা চড়াই-উতড়াই পেরোনোর মতো সক্ষমতা প্রয়োজন।
নতুন-ব্যবসায়-যেভাবে-লাভবান-হবেন
তবে যারা ব্যবসার পরিকল্পনা থেকে পিছু হটতে চান না, তারা নিজেদের আকাঙ্ক্ষা অটুট রাখতে পারলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে স্বপ্নজয়ের তৃপ্তি মিলতে পারে।

আয়ের পরিকল্পনাঃ যারা শুধু আবেগ বা শুধু লাভের ওপর নির্ভর করেন তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাই এই ২টি বিষয়ের প্রতি সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আবেগ ছাড়া ফোকাস বজায় রাখা যেমন কঠিন, তেমনি লাভহীন ব্যবসা পেট্রলবিহীন গাড়ির মতো নিরর্থক। নতুন প্রকল্প শুরু করার আগেই অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

লাভ করার সহজ উপায় কী হবে? সেজন্য কতদিন সময় লাগবে? সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কী হতে পারে? ধারণাটি ব্যবসায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? নিজেকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে হবে। যদি আর্থিক বাস্তবায়নের দিকে না যায়, তবে কোনো আবেগই উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না। আবেগ অবশ্যই দুর্দান্ত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করে, তবে তার জন্য আগে সেটির ব্যবসায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না নিশ্চিত হতে হবে।

বাজার যাচাইঃ উদ্যোক্তা তার ধারণা নিয়ে উৎসাহী হলেও অন্যরা যদি খুব একটা আগ্রহী না হয় তাহলে আবার পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ধারণা শোনার পর অন্যরা উৎসাহ দেখালে এবং সমর্থন করলে বুঝতে হবে ঠিক পথেই আছেন। তখন ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে কী লাগবে, প্রক্রিয়াটির জন্য কত খরচ হবে, সেই পথে কতটা ব্যয় করার মতো অর্থ আছে এবং পুরোদমে চলাকালীন কতটা লাভ হবে এসবের বিবরণ তৈরির পর বিশদ অনুসন্ধান করতে হবে।

ক্রেতা সম্পর্কে জানাঃ ব্যবসা করতে গেলে যেমন বাজার যাচাই করতে হবে, তেমনি আরও সুনির্দিষ্টভাবে ক্রেতা কেন এবং কীভাবে পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে তা অনুসন্ধান করতে হবে। আবেগ নতুন ব্যবসা পরিচালনা এবং কঠোর পরিশ্রম করার পেছনে চালকের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ক্রেতার আকর্ষণবিন্দু না জানলে ব্যবসার সমাধান পাওয়া কষ্টকর হবে। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনায় তাই এ বিষয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে।

ন্যূনতম কার্যকর পণ্য তৈরিঃ ব্যবসার ধারণা বাস্তবায়নের জন্য আবেগ লাভজনক কি না তা যাচাইয়ের একটি উপায় হলো ন্যূনতম কার্যকর পণ্য (এমভিপি)। এটি পণ্য বা পরিষেবার সবচেয়ে মৌলিক সংস্করণ, যা তৈরি করে গ্রাহকদের অফার করতে হয়। এটি ক্রেতার চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়। একবার এমভিপি যাচাই করার পরে আরও বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা যোগ করা যায়। তবে এটির চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে এমন একটি পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করা যা গ্রাহকদের পছন্দ এবং লাভজনক হবে।

বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়াঃ ব্যবসায়িক ধারণা থেকে অর্থ উপার্জন করা যৌক্তিক হবে কি না তা জানতে ব্যবসায়িক মিটআপ, অনলাইন কমিউনিটি বা লিংকডইনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আপনি নতুন হয়ে থাকলে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের আলোচনা শুনতে হবে। তারপর ধারণার সঙ্গে গ্রাহকদের প্রত্যাশার তুলনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া ব্যবসা শুরু করার আগে সে বিষয়ে অন্যান্য ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে।

নতুনত্ব খুঁজে বের করাঃ লাভজনক ব্যবসা করার উপায় হলো প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা কিছু করা। প্রতিযোগিতার বাজারে সম্পূর্ণ নতুন ধারণা নিয়ে আসা খুব কঠিন। তবু একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করা যেতে পারে যা আইডিয়াতে নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করে। এতে অন্যদের থেকে শুরুতেই এক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে।

পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোঃ সময়ের সঙ্গে প্রবণতা, ব্যবসায়িক প্রত্যাশা এবং ব্যবসার প্রভাবও পরিবর্তিত হয়। এসব বিষয় মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যোগাযোগের সমন্বয়ঃ উদ্যোক্তার ব্যবসা ক্রেতাকে আগ্রহী করছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ক্রেতার মনস্তত্বের উপাদান যাচাই করতে হবে। ক্রেতা কী চাচ্ছে, কোন সুবিধা তাকে আকৃষ্ট করছে, কীসের অনুপস্থিতি হতাশ করছে ইত্যাদি অনুসন্ধান করার জন্য ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে শেষ কথা

আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও পোস্টটিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার আইডিয়া ও টাকা ছাড়া ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কেও তুলে ধরা হয়েছে। যেকোন ব্যবসাতে সফল হওয়ার মূল মন্ত্র হলো সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম। আপনি একমাত্র পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরে পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা করলে সফল হতে পারবেন। প্রথমত ব্যবসা নিয়ে আগে চিন্তা করতে হবে।

কারণ যেকোন কাজ করার আগেই চিন্তা ভাবনা করতে হয়। এক্ষেত্রেও ব্যবসা করার জন্য চিন্তা করা উচিত। এরপরে ব্যবসায় যোগ দিয়ে সততার সাথে কাজ করে যাবেন নিশ্চয়ই আপনি দ্রুতই সফলতা পাবেন। আশা করছি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১২টি উপায় ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা টাকা ছাড়া ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে ও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url