টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস-টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট


টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস বা টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারলেই আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি।
অনলাইনে-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়
আপনি চাইলে স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি সহজেই ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করা সহ হাজার হাজার টাকা ইনকাম করার মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। 

তবে যারা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে আগ্রহী তাদের জন্যই আজকের পোস্টটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পোস্টটিতেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। So দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ও অ্যাপস সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস ও ওয়েবসাইট

টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস

টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করার অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকেই জুয়া খেলে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে থাকে। সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে জুয়া খেলার মাধ্যমে অনেকেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে। তবে আপনি টাকা ইনভেস্ট না করেও ফ্রিতে বিভিন্ন অ্যাপে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এমন অনেক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত অ্যাপ রয়েছে যেখানে ফ্রিতে কাজ করা যায় এবং ফ্রিতেই টাকা পেমেন্ট নেওয়া যায়। তবে আপনি যেহেতু ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ধরে কাজ করতে হবে, অর্থাৎ বেশি টাকা ইনকাম করতে হলে বেশি সময় ও ধৈর্য ধরে কাজ করতে হয়। মোবাইল ফোনে আপনি এই টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। চলুন টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১. ইনবক্স ডলারসঃ InboxDollars হলো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেখানে আপনি অনেক ছোটো ছোটো কাজগুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেমন – সার্ভে পূরণ করা, গেম খেলা, অনলাইনে কেনাকাটা করা ইত্যাদি। আপনি ইতোমধ্যেই হয়তো ভেবেছেন যে এখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করারও দারুণ সুযোগ রয়েছে।

এই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেট আবিষ্কারের প্রথম দিকে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এ পর্যন্ত তাদের users-দের কয়েক মিলিয়ন অর্থ প্রদান করেছে। সাইটটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখানে প্রথম register করলে আপনি ৫ ডলার বোনাস পেয়ে যাবেন।

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জন করার একটি অসুবিধা হলো, payment বা withdraw নেওয়ার জন্য আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ৩০ ডলার জমা করতে হবে। এখান থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি bank account, VISA অথবা PayPal এর মাধ্যমে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে এখান থেকে ইলেকট্রনিক গিফট কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন।

এখান থেকে বেশি টাকা ইনকামের আরেকটি দুর্দান্ত উপায় হলো, আপনি যখন বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করা শুরু করবেন, তখন আপনি বিভিন্ন লটারি কার্ডগুলো পেতে পারবেন। এই কার্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি $0.05 থেকে $30 অথবা এর বেশি অর্থ জিতে নিতে পারবেন।

আপনি চাইলে Google Play Store অথবা Apple Store থেকে InboxDollars এর android app ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোনো সময় এখানকার যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন অথবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার জন্য InboxDollars হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা এন্ড্রয়েড অ্যাপ। এখানে যদি আপনার খুব বেশি সময় ধরে বিজ্ঞাপন দেখতে ভালো না লাগে, তাহলে অন্যান্য কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন।

২. জাম্পটাস্কঃ বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার একটি দারুণ ওয়েবসাইট হলো JumpTask। এটি বিশ্বজুড়ে খুবই জনিপ্রিয় একটি মাইক্রো-টাস্কিং প্ল্যাটফর্ম যা মাইক্রো-ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন business এবং advertisers বা বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে connect করে।

JumpTask এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ছোটো ছোটো কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটি 2022 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ৪ মিলিয়নেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

এখানে ফ্রিতেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি ad দেখা সহ সাধারণ মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পাদন করে অর্থ উপার্জন করা শুরু করতে পারেন। এড দেখে ইনকামের পাশাপাশি আপনি গেম খেলা, survey সম্পূর্ণ করা, অনুবাদ করা এবং আরও অন্যান্য কাজগুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এখানে কাজ করে আপনি তাদের নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল কারেন্সি “JumpToken ($JMPT)” এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা পরবর্তীতে আপনি cash-এ রূপান্তরিত করতে পারেন।

আপনার যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তাহলেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। কারণ, JumpTask তাদের users-দের যেকোনো সমস্যা সমাধানে অথবা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সবসময় সাহায্য করে থাকে।

৩. ইরাজুঃ iRazoo হলো অনলাইনে ভিডিও এড দেখে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। যদি আপনি সিনেমার প্রতি আপনার অধিক টান থাকে তাহলে এই এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত ইনকামের রাস্তা হতে পারে। কেননা এই ওয়েবসাইটে আপনি সিনেমার ট্রেলার এবং অ্যাপ ট্রেলারের মতো প্রচুর ভিডিওগুলো দেখতে পারবেন।

এখানে প্রতিটি কাজ সম্পাদন করার বিনিময়ে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমা হবে। এক এক ধরনের ভিডিও এডস দেখার জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা points দেওয়া হবে। তবে প্রতিটি ভিডিও দেখার জন্য আপনি 0.08 থেকে 1 পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

আপনার একাউন্টে যখন ৩০০০ পয়েন্টস জমা হয়ে যাবে তখন আপনি সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে redeem করতে পারবেন এবং reward income করতে পারবেন। আপনি গিফট কার্ড এবং পেপাল এর মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট থেকে উপার্জিত টাকা তুলতে পারবেন।

এখান থেকে অনেকগুলো মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে একটি হলো ad দেখে ইনকাম করা। এছাড়াও আপনি গেম খেলতে পারেন, অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড এবং পরীক্ষা করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটটিতে রেফারেল সিস্টেমও রয়েছে। এখানে আপনি আপনার বন্ধু, পরিবার, সহকর্মীদের রেফার করতে পারবেন এবং প্রতিটি রেফারের জন্য আপনি ৫০০ iRazoo পয়েন্টস পেতে পারবেন।

তাহলে এই ওয়েবসাইটে আপনি account তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের ছোটো ছোটো কাজগুলো করে পয়েন্টস জমাতে পারবেন এবং সেগুলো cash এ পরিণত করতে পারবেন। এছাড়া এখানে রয়েছে রেফার করে আয় করার সুযোগ।
Better user experience পাওয়ার জন্য আপনি Google play store থেকে iRazoo এর android app এবং Apple app store থেকে iOS app ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

৪. এডওয়ালেটঃ যদি কথা আসে অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট কোনটি, তাহলে AdWallet এর কথা অবশ্যই বলতে হয়। এই ওয়েবসাইটের নাম দেখেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে এটি ভিডিও এডসগুলো দেখার বিনিময়ে ইউজারদের অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে, উপরে বলা ওয়েবসাইটগুলোর থেকে এর পার্থক্য হলো, এখানে শুধুমাত্র এড দেখা ছাড়া অন্যান্য মাইক্রো-টাস্কগুলো আপনারা পাবেন না।

AdWallet থেকে ইনকামের জন্য অবশ্যই আপনাকে এই প্ল্যাটফর্মে video ads গুলো দেখতে হবে এবং সেগুলোর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সার্ভে সম্পূর্ণ করতে হবে৷ সার্ভেসমূহ সাধারণত একটি বা দুইটি প্রশ্নের হয়ে থাকে, এজন্য আপনাকে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।

আপনি প্রতিটি ভিডিও দেখে মোটামুটি ০.৫০ ডলার থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে ১০ ডলার জমা হয়ে গেলে আপনি এখান থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার উপার্জিত অর্থের দ্বারা এখান থেকে বিভিন্ন Gift cards সংগ্রহ করতে পারবেন।

৫. নিওবাক্সঃ Neobux হলো বিজ্ঞাপন দেখে এবং ক্লিক করে টাকা ইনকাম করার সেরা একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ইউজার রয়েছে এবং এটি একটি সেরা পিটিসি সাইট হিসেবে পরিচিত।

প্রথমে আপনাকে Neobux.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একাউন্ট খুলতে পারবেন। এরপর আপনার dashboard থেকে বিভিন্ন প্রকারের বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিটি বিজ্ঞাপন সাধারণত ৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো লম্বা হয়ে থাকে। একটি এড দেখা শেষ হয়ে গেলে close এ ক্লিক করে অন্য এড দেখা শুরু করতে পারবেন।

এখানে বিজ্ঞাপন দেখার পাশাপাশি আপনি অন্যান্য মাইক্রোজব গুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো ব্যক্তিকে refer করলে referral bonus অর্জন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা টাকা আপনি সরাসরি Bank transfer কিংবা Paypal এর মাধ্যমে redeem করতে পারবেন।

৬. মাইপয়েন্টসঃ MyPoints হলো অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এট ১৯৯৬ সালে চালু হয় এবং ইতোমধ্যেই ইউজারদের প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে শুধুমাত্র সাধারণগুলো করার বিনিময়ে।

এখান থেকে আপনি গেম খেলে, অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করে এবং ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো সম্পাদন করে reward points ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি প্রচুর বিনোদনমূলক video content পেয়ে যাবেন, যেগুলো দেখে আপনি বিনোদনের পাশাপাশি বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

কিন্তু শুধুমাত্র ভিডিও এডস দেখে আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অধিক টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এই সাইটে উপলব্ধ অন্যান্য অনলাইন কাজগুলো করতে হবে৷

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে online shopping website গুলো থেকে কেনাকাটা করলেও আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ reward points যুক্ত হবে। এছাড়াও, এখানে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের রেফার করার মাধ্যমে বোনাস পেতে পারবেন।

প্রতিটি রেফারের বিনিময়ে আপনাকে ২৫ পয়েন্ট প্রদান করা হবে। যে ব্যক্তিকে আপনি রেফার করবেন, সে এই ওয়েবসাইটে কাজ করে যতগুলো পয়েন্টস ইনকাম করবে তার ১০ শতাংশ আপনার একাউন্টে জমা হবে।

MyPoints এ একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করলে আপনি ১০ ডলার sign up bonus পেয়ে যাবেন। আপনার একাউন্টের পয়েন্টসগুলো ব্যবহার করে amazon এবং walmart gift cards সংগ্রহ করতে পারবেন। গিফট কার্ড পেতে না চাইলে PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন এবং এজন্য আপনার একাউন্টে ৪০০০ পয়েন্ট (২৫ ডলার) জমা করতে হবে।

আপনি যদি ঘরে বসে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।

৭. কুইকরিওয়ার্ডসঃ আপনি যদি অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য সেরা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই ওয়েবসাইটে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক ভিডিও যেমন – রান্নার টিউটোরিয়াল বা সিনেমার ট্রেলার ইত্যাদি ভিডিও দেখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এছাড়াও এখানে রয়েছে অন্যান্য কাজগুলো যেমন সার্ভে সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটটি আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ঘরে বসে ছোটোখাটো অনলাইন কাজগুলো করে আরামে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

QuickRewards এ নতুন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কোনো সাইন আপ বোনাস দেওয়া হবে না এবং এখানে কোনো referral program নেই। পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনার একাউন্টে অবশ্যই ১০০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। আপনার একাউন্টে থাকা পয়েন্টগুলো আপনি গিফট কার্ডের মাধ্যেম রিডিম করতে পারেন বা আপনার পেপাল ​​অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেন।

PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ০.০১ ডলার থাকতে হবে এবং একটি gift card এর জন্য ৫ ডলার দরকার হবে। আপনি যত বেশি ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৮. পেইডভার্টসঃ আপনি যদি কোনো ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন থেকে শুধুমাত্র এডস দেখে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাহলে Paidverts.com ওয়েবসাইট আপনার জন্য একটি দারুণ সমাধান। এটি এক ধরনের পিটিসি (PTC) ওয়েবসাইট, যেখানে বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

এখান থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে registration করতে হবে। এরপর দুই ধরনের এডস (ads) আপনাকে দেখানো হবে। যেমন – Paid ads এবং BAP ads. Paid ads গুলো দেখলে আপনার একাউন্টে balance add হবে। আর BAP ads গুলো দেখলে আপনার একাউন্টে points add হবে।

শুরুর দিকে আপনাকে ১ থেকে ২ সেন্ট এর পেইড এডসগুলো দেখানো হবে। কিন্তু যত বেশি পয়েন্টস আপনার একাউন্টে জমা হবে তত high paying paid ads সমূহ আপনাকে দেখানো হবে। তাই এই ওয়েবসাইট থেকে এড দেখে তুলনামূলক বেশি টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে BAP ads গুলো বেশি দেখতে হবে এবং প্রচুর points অর্জন করতে হবে। এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি Paypal এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

৯. প্রাইজরিবেলঃ PrizeRebel হলো অনলাইনে ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার আরেকটি চমৎকার ওয়েবসাইট। ২০০৭ সাল থেকে এটি ইন্টারনেটে রয়েছে, এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ মিলিয়ন এবং এটি এ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ২০ মিলিয়ন ডলারেরও অধিক অর্থ প্রদান করেছে।

এখানে আপনি নানান ধরনের videos বা ads দেখে এবং online survey complete করে আয় করতে পারবেন৷ এছাড়াও এই সাইটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো আপনাকে দেওয়া হয়, যেগুলো সমাধানের মাধ্যমে আপনি অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটটি online shopping এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন discount দিয়ে থাকে। আপনি খুব সহজেই আপনার Facebook account ব্যবহার করে PrizeRebel ওয়েবসাইটে registration করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইট থেকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনার ২ ডলার একাউন্ট ব্যালেন্স থাকতে হবে। আপনার ইনকাম করা টাকা পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে earn করা points গুলো gift cards এর দ্বারা redeem করতে পারবেন।

১০. ফ্রিক্যাশঃ বিজ্ঞাপন বা এড দেখে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে আয় করার জন্য Freecash হলো একটি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখান থেকে আয় করার একাধিক অনেক উপায় রয়েছে যেমন: survey সম্পূর্ণ করে, ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দেখে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, ভিডিও গেম খেলে, ব্লগ লেখে ইত্যাদি।

এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা টাকা আপনি সরাসরি bank account অথবা paypal account এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার পেপাল একাউন্ট না থাকে, তাহলে অন্য কারও পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

উল্লেখিত অ্যাপ গুলো থেকে সহজেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন সেগুলো বিকাশ বা নগদ এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যে টাকাগুলো ইনকাম করবেন এটি দিয়ে আপনি প্রতিদিনের হাত খরচ, মোবাইল রিচার্জ , কারেন্ট বিল ইত্যাদি চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। বন্ধুরা আপনারা জেনে হয়তো খুশি হবেন বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর সাথে সাথে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটে রয়েছে। অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার সাইটগুলোতে সামান্য একটু কাজ করে খুব সহজে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
টাকা-ইনকাম-করার-ওয়েবসাইট
যারা মূলত মোবাইলের টাকা ইনকাম করা সাইটে কাজ করতে চান তারা এই অংশটি ভালো করে পড়বেন, কারণ তাদের জন্য এই অংশটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় সাইটের নাম গুলো এখন আলোচনা করব, এতে করে আপনি টাকা ইনকাম সাইটে কাজ করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

  • Ysense – সার্ভে, পেইড সার্ভে
  • Task Bucks – সার্ভে, অন্যান্য কাজ
  • ClixSense – পেইড সার্ভে, কুইজ
  • Workup place – মাইক্রো জব সাইট, ভিডিও দেখা , ওয়েবসাইট ভিজিট , ফেসবুক ফলো , এড দেখা
  • Upwork – সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ
  • Swagbucks – কুইজ প্রতিযোগিতা , ফ্রি সার্ভে , পেইড সার্ভে
  • CashPirate – ফ্রী গেম , রেফার ইনকাম
  • CashKarma -ভিডিও দেখা , সার্ভে করা , রেফার করা
  • Ordinaryit – বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম
  • Survey Junkie – শুধুমাত্র সার্ভে করে ইনকাম
  • Ludu fantasy – লুডু গেম খেলে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম অ্যাপস ২০২৫

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে মোবাইল ফোনে ফটোগ্রাফি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া মাইক্রো জব ওয়েবসাইটে কাজ করেও ইনকাম করা যায়। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখে , ভিডিও দেখে , কুইজ খেলে , সার্ভে করে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আমরা এখন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় অ্যাপ সম্পর্কে নিচে তুলে ধরলাম।

  • Slidejoy
  • mCent
  • CrownIt
  • Keettoo
  • YouTube app
  • EasyBucks
  • TikTok
  • Toffee
  • Cointiply
  • Squadrun
  • Survey task
  • Bikash app
  • Foap
  • Ibotta
  • Ludu king

গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস আছে অনেক। বর্তমান সময়ে অনেকেই অযথা মোবাইল ফোনে গেম খেলে সময় নষ্ট করে থাকে। তবে এই গেম খেলেই বর্তমানে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের গেমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেখানে অনলাইনে গেম খেলেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা যারা হয়তো ফ্রি ফায়ার খেলেন তারাও গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারেন,

তাছাড়াও বিভিন্ন উপায় পাবজি গেম খেলেও টাকা ইনকাম করা যায়। পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের গেম খেলার অ্যাপ রয়েছে যেখানে নিয়মিত গেম খেললেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যে অ্যাপ গুলো থেকে গেম খেলে ঢাকা ইনকাম করা যায় তার নাম তুলে ধরা হলোঃ

  • MPL – গেমিং প্ল্যাটফর্ম, পেইড গেম ও ফ্রি গেম
  • ফ্রি ফায়ার – লাইভ স্ট্রিম, ডায়মন্ড ব্যবসা , ভিডিও বানানো
  • Pubg-ফেসবুক লাইভ স্ট্রিম , ভিডিও বানানো , ডায়মন্ড টপআপ
  • Casino Game-ক্যাসিনো গেম, বাজি গেম
  • Bitcoin Game – ছোট ছোট মাল্টি গেম, বিটকয়েন পেমেন্ট
  • ওয়াইল্ড ক্যাশ – মাইনিং অ্যাপ, ফ্রী কয়েন ইনকাম, পেমেন্ট ডলার
  • Big Cash Game – বিগকাশ গেম
  • Ludu circle – লুডু গেম
  • Dream 11
  • 8 Ball Pool
  • Howzat Game
  • Fanclash Game
  • Free Cash
  • Hago Game
  • Winzo Game

উল্লেখিত গেম গুলো খেলে আপনি সহজে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গেমের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একাউন্ট খুলে ইনকাম করুন।

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

ঘরে বসে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চান তারা অবশ্যই পোষ্টের এই অংশটি ভালো করে পড়বেন। কারণ আমি এখন দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে উল্লেখ করব, যে অ্যাপ গুলো থেকে সহজেই ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সামান্য বুদ্ধি খাটিয়ে ও পরিশ্রম করে কাজ করলেই অনলাইন থেকে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। নিম্নে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • AdMob
  • phatau app
  • Nagad app
  • Food panda
  • Daraz app
  • Kormo Job app
  • এমপিএল মোবাইল অ্যাপ
  • FanFare
  • Facebook app
  • Youtube App

ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস বাংলাদেশ

ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস বাংলাদেশ সম্পর্কে এই অংশটি পড়তে থাকুন। কারণ, বাংলাদেশের যে ধরনের অ্যাপে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই অ্যাপ গুলো সম্পর্কে আমি এখন আলোচনা করব। বর্তমানে অনেক ধরনের বাংলাদেশী অ্যাপ রয়েছে যেখানে ছোট ছোট কাজ করে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

ডেইলি টাকাঃ Daily taka এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। যারা ঘরে বসে সহজে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই অ্যাপটিতে কাজ করতে পারেন। বিকাশ, নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

টাকা ইনকামঃ বাংলাদেশে থেকে ঘরে বসে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হল Taka income। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি যেহেতু বাংলাদেশী এবং সেক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। আর এখানে মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমেও টাকা উত্তোলন করা যায়। অ্যাপটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের জন্য, তাই এটি গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

টাকা ইনকাম করার গেমঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে চাইলে টাকা ইনকাম করার গেম অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। এখানে আপনি মাল্টি পুল গেমগুলো খেলে সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত ছোট ছোট এই গেম গুলো খেলে পয়েন্ট কালেক্ট করে ইনকাম করতে হয়। আয়কৃত টাকা বিকাশ পেমেন্ট অথবা নগদ পেমেন্ট নিতে পারবেন।

টাকা ইনকাম প্রোঃ এটিও একটি বাংলাদেশি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম অ্যাপ। সকলেই একটি মোবাইলের গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করে একাউন্ট খুলুন। আর গেম খেলে, কুইজ খেলে , সার্ভে করে ও লটারি করে নগদ অর্থ পুরস্কার জিতুন।

টাকা ইনকাম বিডিঃ Taka Income Bd অ্যাপে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এখানে অ্যাড দেখে, ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারবেন। মূলত অ্যাড দেখে ইনকাম করতে হলে এই অ্যাপ এ কাজ করতে পারেন। মাত্র ১০ সেকেন্ডের এড দেখে ৫ থেকে ১০ টাকায় এখানে ইনকাম করা যায়। এখানে আপনি নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায়

ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায় রয়েছে বিভিন্ন সাইট ও প্লাটফর্মে, যেগুলোতে কিছু কাজ করেই সরাসরি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং করেই টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিতেই ঘরে বসে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে ফ্রি টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায় গুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়
  • ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করুন
  • ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায়
  • ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
  • ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম
  • ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা ইনকাম
  • ওয়েব ডিজাইন করে টাকা ইনকাম
  • ভিডিও এডিটিং করে টাকা আয়
  • অ্যানিমেশন বানিয়ে টাকা ইনকাম
  • ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে ইনকাম
  • ফেসবুকে কোর্স বানিয়ে টাকা ইনকাম
উপরে উল্লেখিত উপায় আপনি ফ্রিতে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমার উপরে ফ্রি টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায় গুলো তুলে ধরেছি। এবারে উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে কাজটি শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে প্রচুর সাইট ও অ্যাপ রয়েছে যেখানে ফ্রিতে কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করা যায়। মূলত কনটেন্ট রাইটিং করতে হলে কনটেন্ট রাইটিং করার দক্ষতা থাকতে হয়। তবে কনটেন্ট রাইটিং খুব সহজেই শেখা যায়, আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্ম ও ইউটিউব দেখেই কনটেন্ট রাইটিং খুব সহজে শিখে ফেলতে পারেন।

বর্তমানে বাংলা কনটেন্ট এর চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে বাংলা কনটেন্ট লিখেও ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যেকোন বিষয়ে লেখালেখি করাকেই কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়। আশা করি কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বুঝে গেছেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং করা যায়, সেখানে প্রতিটি ইংলিশ কনটেন্ট এর জন্য ১০ থেকে ২০ ডলার অথবা ১০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারছেন কন্টেন্ট রাইটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।

আর যারা বাংলা কনটেন্ট লিখতে পারেন তারাও মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিটি বাংলা কন্টেন্ট সাধারণত পাঁচ থেকে দশ ডলারে বিক্রি হয়। বাংলা কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করার জন্য বাংলাদেশের নিউজ পেপার ওয়েবসাইটে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যোগাযোগ করুন। আর বাংলা কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করতে চাইলে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনারা হয়তো জানেন। ব্লগিং হলো নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করা বা আর্টিকেল লেখা। সাধারণত নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করাকেই ব্লগিং বলা হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে প্রতিদিন কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারেন। ব্লগিং সাইটে আর্টিকেল লিখে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়।

অনেকে বর্তমানে ব্লগিং করে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করছে। ব্লগিংয়ে সফলতা অর্জন করতে হলে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। আর অবশ্যই এসিও সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার দক্ষতা থাকতে হবে। নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে গুগল এডসেন্স থেকেই ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন বিস্তারিত জানতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। তবে কম্পিউটার হলে সবচেয়ে ভালো হয়, কারণ কম্পিউটারে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফেসবুক মার্কেটিং, ডাটা এন্টি, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনারা যদি এই কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকে এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনারা  ভিডিও বানিয়েই প্রতিদিন ইনকাম করতে পারেন। তাই অযথা ফেসবুকে scroll করে সময় নষ্ট না করে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করুন। ফেসবুকে যদি আপনি ইউনিক ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে অনেকেই বর্তমানে ভিডিও বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে, অনেকেই আবার আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করছে।

তাই আপনিও চাইলে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে নিজের ইচ্ছামত ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। মূলত আপনি যেই বিষয়টিতে পারদর্শী সেই সম্পর্কে ভিডিও বানাতে পারেন। ভিডিও বানিয়ে দৈনিক আপলোড করুন, আর মনিটাইজেশন অ্যাপ্লাই করে approved পেলেই ইনকাম করতে পারবেন। আমার মতে ফ্রি টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায় এটি।

ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম

ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ। ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা সম্ভব।

ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru, PeoplePerHour ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা এবং সুযোগ দুটোই অনেক বেশি। আপনি আপনার হাতে স্মার্টফোনটি দিয়েই এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন। এরপর আপনাকে মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজ নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা খুব সহজ এবং এ সকল কাজ মোবাইলে খুব সহজেই করা যায়। এই ওয়েবসাইটগুলোতে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আপনারা ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করার কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে বছরে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি মোবাইলেই বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির যে কাজগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খুব কম সময়ে করা যায় মূলত সেই কাজগুলো এখন মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব। ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রির মতো কাজ করতে পারার সুযোগ থাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে বসেই আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা ইনকাম

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই। গ্রাফিকস ডিজাইন শিখে আপনিও মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। গ্রাফিকস ডিজাইনের মাধ্যমে আয় করার জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে। তারপর মার্কেটপ্লেস এ আপনার ডিজাইন দিয়ে গিগ সাজাতে পারেন। অতপর আপনার ডিজাইন বিক্রির মাধ্যমে ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাজের সঠিক উপস্থাপন।

বর্তমান বিশ্বে ভিজুয়াল কনটেন্ট সব থেকে বেশি পপুলার হচ্ছে। সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনও অনেক বেশি চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের কাজের জন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, কারন এই ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত মানুষ হাতে গোনা। আপনি যদি নিজেকে এই কাজে পারদর্শী করে তুলতে পারেন তাহলে বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন। যেখানে আপনার বেতনের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি।

ভিডিও এডিটিং করে টাকা আয়

ভিডিও এডিটিং করে টাকা আয় করার জন্য বর্তমান অনলাইনের যুগে অনেক সুযোগ রয়েছে। শুধু আপনাকে যে কোন একটি স্ক্রিল অথবা কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ শিখতে পারেন তাহলে এই সেক্টরে টাকা আয় করা খুবই সহজ। বর্তমানে পুরো বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশও এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমানে টিকটক ভিডিও গুলো ভিডিও এডিটর সাহায্য সম্পাদনা করা হয়ে থাকে এবং এর থেকে প্রচুর টাকা আয় করা হচ্ছে।
ভিডিও-এডিটিং-করে-টাকা-আয়
এই সেক্টরটি একটি গতিশীল ইন্ডাস্ট্রি। সময়ের সাথে সাথে এডিটরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। আজকাল Youtube, Facebook, tiktok জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নতুন-নতুন কর্মক্ষেত্রের সূচনা হচ্ছে। এডিটিং শেখার পরে প্রথমে জুনিয়র তারপর সিনিয়র এডিটর হওয়া যায়। আপনার পারফর্মেন্স যদি দিন-দিন ভালো হতে থাকে তবে খুব সহজেই এই সেক্টর এর হেড হওয়াও সম্ভব, এবং তার পর পুরো প্রোডাকশন হাউজের ম্যানেজার পদে ইনক্রিমেন্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে টাকা আয় করা যায়। এইসব ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন এডিটরেরা কাজ খুব সহজে করে অনেক টাকা আয় করে থাকে।এডিটিং এর দক্ষতা সম্পন্ন যে কেউ এসব সাইটে এডিটিং এর কাজ করে টাকা আয় করতে পারবে।সেখানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করার বিনিময়ে টাকা পে করে থাকে। এসব কাজের মধ্যে মুভি, ড্রামা, বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান, প্রমোট অ্যাডস সহ নানা ধরণের কাজ আছে।

টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস সম্পর্কে শেষ কথা

টাকা ইনকাম করার হাজারো অ্যাপ ও উপায় রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আমি ইতিমধ্যে পোস্টটিতে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই টাকা ইনকাম করার অ্যাপস ছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। তবে সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো জানতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ হতে হয়। অনলাইন ইনকাম টিপস এন্ড ট্রিকস জানতে আমার ওয়েবসাইটের সাথে নিয়মিত থাকুন। টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানানোর চেষ্টা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url