মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়


মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন জনপ্রিয় উপায় রয়েছে, এই জনপ্রিয় উপায় গুলো আপনি জানতে পারলে প্রতি মাসেই আপনি ৫ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে উপায় গুলো ভালোভাবে বুঝে এবং পরিশ্রম দিয়ে কাজ করলেই মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
মাসে-লক্ষ-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়
আজকের আর্টিকেলে মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করার ১০টি জনপ্রিয় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মাসে ৫ লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে এখনই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করা খুব একটা সহজ বিষয় নয়।

পেইজ সূচিপত্রঃ মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায়

মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায়

মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করার কিছু উপায় রয়েছে। আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। তবে সেইক্ষেত্রে আগে উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। ৫টি মাধ্যমে মাসে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারেন। নিম্নে মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় তুলে ধরা হলোঃ

১। অনলাইন ব্যবসাঃ আপনি অনলাইনে যেকোনো ধরনের ব্যবসা করেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সকলেই লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য অনলাইন ব্যবসা শুরু করছে। আপনিও চাইলে ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চাইলে অনলাইন ব্যবসা দিয়ে শুরু করুন।

আপনি নিজের তৈরি পণ্য অথবা বাজারের চাহিদা সম্পন্ন প্রোডাক্টগুলো অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইন প্লাটফর্মে বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে সেখানে প্রোডাক্ট বিক্রি করে মাসে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাই আমার মতে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে হলে অনলাইন ব্যবসা করুন। যে ধরনের অনলাইন ব্যবসা করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব তা নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা
  • মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
  • মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
  • অনলাইন বেকারি ব্যবসা
  • কাস্টমাইজ আসবার পত্রের ব্যবসা
এছাড়াও আরও অনেক ধরনের ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি মাসের লাখ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। উপরোক্ত ব্যবসা গুলোর মধ্যে ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতে পারেন, এই ব্যবসাটি অনলাইন বা অফলাইন দুইভাবে করেই মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করা যায়। পাশাপাশি মোবাইল এক্সেসরিজ এর ব্যবসাটিও খুবই জনপ্রিয়। মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে মোবাইল এক্সেসরিজ অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন।

২। ফ্রিল্যান্সিংঃ মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করেই বাংলাদেশের যুবকরা মাসে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করছে। তবে কোটি টাকা আয় করতে হলে ফ্রিল্যান্সিং সকল বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে এবং নিজের দক্ষতার পরিচিতি বাড়াতে হবে। তাহলে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

আমরা যেহেতু মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চলেছি সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হলেই আয় করা যাবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক জনপ্রিয় সেক্টর রয়েছে, তার মধ্য থেকে যেকোনো একটিতে দক্ষ হলেই আপনি মাসে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেই কাজগুলো করে মাসে পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব তা দেওয়া হলঃ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • এনিমেশন ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ফেসবুক মার্কেটিং
  • ওয়েবসাইট এসিও

৩। ব্যবসাঃ আপনি অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে মাসে শুধু লাখ টাকা নয় বরং কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্যবসা। আপনি একমাত্র ব্যবসা করেই মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ব্যবসার ও কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে, সকল ধরনের ব্যবসা করে মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। এমন অনেক জনপ্রিয় ব্যবসা রয়েছে যা করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। 

আপনার যদি ব্যবসা করার পরিকল্পনা থাকে তাহলে সঠিক কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা শুরু করুন। ব্যবসার সঠিক পরিকল্পনা না করলে ব্যবসা করে সফল হওয়া যায় না। আর ব্যবসা সম্পর্কে গভীর চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যবসা করার জন্য প্রথমে আগে ব্যবসাটি কিভাবে করতে হয় তা শিখতে হবে। সঠিক নিয়ম না মেনে ব্যবসা করলে কখনোই বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। মাসে 5 লক্ষ টাকা আয় করা যায় এমন ব্যবসার আইডিয়াঃ
  • মাছের খামারের ব্যবসা
  • গরুর বা পশুপাখির খামার
  • ফলের ব্যবসা
  • মুদির দোকান ব্যবসা
  • ফ্লাট ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা
  • মোবাইলের দোকান

৪। কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানঃ টাকা ইনভেস্ট করে নিজের প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানি খুলে মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। কোম্পানি খুলে মাসে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি নিজের কোম্পানি খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হয় অর্থাৎ টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে আপনি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন।

কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে মালামাল সংগ্রহের জন্য টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয়। যাদের টাকা ইনভেস্ট করার ইচ্ছা রয়েছে অথবা টাকা ইনভেস্টমেন্ট করে ইনকাম করতে চান তারা চাইলে সরাসরি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন। নিজের কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের ইউনিক প্রোডাক্ট তৈরি করে সেগুলো বাজারে সাপ্লাই দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করুন। কোম্পানিতে এমন একটি প্রোডাক্ট তৈরি করবেন যেটির চাহিদা বাজারে সবচেয়ে বেশি। এতে করে কোম্পানি খুললে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং সেন্টারঃ মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কোচিং সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে বলেন। বর্তমান সময়ে প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের বিষয় গুলো বোঝার জন্য প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে গিয়ে থাকে। এজন্য প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। বর্তমানে অনেকে প্রাইভেট কোচিং এর ব্যবসা শুরু করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। 

আপনার টাকা ইনভেস্ট করার সক্ষমতা থাকলে আপনি প্রাইভেট কোচিং সেন্টার অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে ইনকাম করতে পারেন। আপনি সরাসরি প্রাইভেট কোচিংয়ে শিক্ষকতা না করেও কোচিং সেন্টার খুলে মাসে লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে আপনি মালিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর কোচিং সেন্টারের পড়াশোনার সকল বিষয়গুলোর জন্য ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিবেন।
 
শিক্ষকদের নির্দিষ্ট চুক্তিতে বেতন প্রদান করবেন। আর কোচিং সেন্টারে পাঠদান কার্যক্রম অবশ্যই ভালো হতে হবে। এভাবে কোচিং সেন্টার খুলেই মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি নিজে পাঠ্য বইয়ের কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকলে সেই বিষয়টি নিয়ে প্রাইভেট সেন্টার খুলতে পারেন। অনেকেই নিজের প্রাইভেট সেন্টার খুলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তবে প্রাইভেট সেন্টার খুলে মাসের লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য পড়া বোঝানোর দক্ষতা ও ক্ষমতা থাকতে হবে।

মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায়

মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় গ্রহণ করতে পারেন বিভিন্ন মাধ্যমে। আপনারা অনলাইন থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার কথা শুনে হয়তো অনেক কিছু ভাবছেন। কিন্তু এটাই সত্যি আপনারা চাইলে, অবশ্যই নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা দিয়ে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আমি তো আপনাদের কে শুধু মাত্র ১ লাক্ষ টাকা আয় করার কথা বলেছি। কিন্তু আমি আপনাকে যে অনলাইন সেক্টরের কাজ গুলো দেখাবো সেগুলোতে আপনারা শুধু ১ লক্ষ নয় বরং মাসে কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে অনলাইনে কাজ করে, টাকা ইনকামের বিষয়টি পুরোপুরি কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করবে। আপনি যত বেশি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তত বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন। মোট কথা আপনার যদি কোন কাজের উপর দক্ষতা থাকে। তাহলে আমি আপনাকে গ্যারিান্টি দিতে পারি ১০০% নিশ্চিন্তে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে আনলিমিট টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন বিষয় হলো- আপনি যদি অনলাইন সেক্টরে কোন কাজ না জানেন। তাহলে কিভাবে কাজ শিখবেন। এবং কোথায় থেকে কাজ শিখবেন। এছাড়া আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করবেন। এই বিষয়ে যদি চিন্তা করেন। তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আপনি অনলাইন সেক্টরে কি কি কাজ করে, নিজের ঘরে বসে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন তার বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে টাকা আয়ঃ এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করার কথা শুনে মনে হয় আপনি অবাক হয়ে গেলেন। বর্তমান সময়ে অসংখ্য অ্যাপস ডেভেলপার রয়েছে। যারা এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে, গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে, বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করে থাকে। এখন চাইলে আপনিও অ্যাপস ডেভেলপারদের মতো বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করে, গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে, বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো কোন আইটি সেন্টার থেকে এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরির কোর্স করতে হবে। আপনি কোর্স করার পরে, অ্যাপস তৈরি করে সেগুলো প্লে স্টোরে আপলোড করে, গুগল এডমোব এর সাহায্যে বিজ্ঞান দেখিয়ে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। সেই সঙ্গে আপনি যদি প্রফেশনাল এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলাপার হতে পারেন। তাহলে সেখান থেকে মাসে ১ লাখ টাকা নয় বরং আনলিমিটেড টাকা রোজগার করতে পারবেন।
 
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয়ঃ প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় হিসেবে আমরা আপনাকে বলতে পারি। আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করা শুরু করুন। আমি আপনাকে বলছি। আপনি যদি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন। তাহলে 100% গ্যারান্টিতে নিজের ঘরে বসে লেখালেখির মাধ্যমে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তবে সেই ওয়েবসাইটে থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে আয় করার সুযোগ পাবেন। তার মধ্যে জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম হলো- এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং গুগল এডসেন্স।এখন আপনি যদি সহজ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দেব। আপনারা ওয়েবসাইটে বাংলা কিংবা ইংলিশ কনটেন্ট লিখার কাজ শুরু করতে পারেন।

আপনারা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট লিখার ফলে, কনটেন্ট গুলোতে ভালো ট্রাফিক/ ভিজিটর পেয়ে যাবেন। আর যখন আপনার সাইটে ভালো পরিমাণের ভিজিটর আসা শুরু করে। তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। আর গুগল এডসেন্স আবেদন করার পরে, আপনার সাইটে যদি এপ্রোভাল দেওয়া হয়। তাহলে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, প্রতি মাসে শুধু মাত্র ১ লাখ নয় আপনি আনলিমিটে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে টাকা আয়ঃ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় করা এখন অনেকটা সম্মান জনক কাজ। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আপনাদের একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। কারণ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং প্রতিটি ভিডিও আপনাকে নিজে নিজে তৈরি করতে হবে। আপনার চ্যানেলে কোন প্রকার কপিরাইট ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পন্ন করতে হবে। উক্ত শর্ত পূরণ করার পরে, গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন নিয়ে ইউটিউব থেকে আনলিমিটে টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন। আপনি চাইলে, ইউটিউব থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকা নয় আরো অনেক বেশি পরিমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমার জানামতে, অনেক ইউটিবার রয়েছে যারা কিনা প্রতি মাস ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। আপনিও যদি তাদের মতো বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে আপনার চ্যানেলে নিয়মিত কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং বেশি বেশি সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে। আপনার চ্যানেলে মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার পূরণ হলে অটোমেটিক ভাবে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ঃ আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ঘরে বসে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার পথ বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি ফ্রিলান্সিং করে, টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের উপর দক্ষ হতে হবে। আর দক্ষ হওয়ার জন্য আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন- গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং সহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো শিখতে প্রথম প্রথম আপনার একটু কঠিন হতে পারে। তবে আপনি যখন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে বের হতে পারবেন। তখন অনলাইন মার্কেপ্লেস- আপওয়ার্ক, ফাইবার ইত্যাদি প্লাটফর্মে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে, বিভিন্ন কোম্পানি এবং ক্লায়েন্টদের দেওয়া কাজ সম্পন্ন কারে মাসে ১ লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।

মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার ১০টি জনপ্রিয় উপায়

মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার অনেক সহজ উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ঘরে বসে বা বাড়িতে থেকেই মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে হলে দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। জীবনে পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়, একমাত্র ধৈর্য ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করলেই যেকোন কাজে সফল হওয়া যায়।

তাই যেকোন কাজ করার পূর্বে মনোবল স্থির করে নিবেন। ধৈর্য দিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজগুলো করবেন তাহলেই সফল হবেন এবং আর্থিকভাবে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে হলে সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য প্রথমেই কৌশল গুলো শিখে নিবেন। মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন রয়েছে।

অনেকেই সঠিক গাইডলাইনের অভাবে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে না, আমরা আজকের এই অংশে পাঁচ লক্ষ টাকায় ইনকাম করার গাইডলাইন সমূহ তুলে ধরব। বিশেষ করে যারা ব্যবসা করে অথবা অনলাইনে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সকলে পড়বেন। নিম্নে মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করার ১০টি জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরা হলোঃ

ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম 

ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে আধুনিক যুগে ইলেকট্রনিক্স আইটেমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে মোবাইলের পার্টস ও কম্পিউটার পার্টসগুলোর চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। আপনি ইলেকট্রনিক আইটেমগুলোর দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাজারে জনসমাগম এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করলে মানুষের লাখ টাকার উপরে আয় করা যাবে।

আপনি পাইকারি দামে ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো কিনবেন এবং বাজার মূল্যে বিক্রি করবেন। আর এই ব্যবসায় সফল হতে হলে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স আইটেমগুলো দোকানের মজুদ রাখতে হবে। তাছাড়াও কাস্টমারদের সাথে ভালো ব্যবহার ও কম দামে ভালো মানের ইলেকট্রনিক্স আইটেম প্রদান করতে হবে।

এতে করে আপনার দোকানের পপুলারিটি অনেকটা বেড়ে যাবে, আর সকল কাস্টমার আপনার দোকান থেকেই ইলেকট্রনিক্স আইটেম কিনতে আসবে। এভাবে আপনি একটি ভালো মানের ইলেকট্রনিক্স দোকান দিয়ে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। অনেক বেকার যুবকরা বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স দোকান দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে চাইলে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা দিয়ে শুরু করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান খুলে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম

মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান খুলুন, ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে সহজে এই মাসে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।

আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অথবা সরাসরি ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস গুলো দিতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে যে সকল কাজগুলো হয়ে থাকে সবগুলোর সার্ভিস আপনি দিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ব্যবসা সহ সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের প্রচুর ডিমান্ড।

আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম অথবা লোকাল মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি খুলে পরিষেবা প্রদান করার জন্য অবশ্যই আপনাকে SEO, Content Marketing, PPC Ads, Social Media Marketing সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে দক্ষ হলেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি খুলে মাসের লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

ইনভেস্টমেন্ট করে লক্ষ টাকা ইনকাম

ইনভেস্টমেন্ট করে লক্ষ টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। শেয়ার বাজার বা রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের মাধ্যমে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম অথবা শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। তা না হলে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে লসে পড়তে পারেন। যারা শেয়ার মার্কেট বোঝেন না তারা শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করতে যাবেন না। শেয়ার মার্কেটে অনেক বিশ্লেষণ ও কৌশল দিয়ে বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করতে হয়।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে লক্ষ টাকা ইনকাম

মোবাইলের অ্যাপ এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এরই সাথে সাথে অ্যাপ ডেভলপারদেরও ডিমান্ড বেড়ে যাচ্ছে। আপনি যদি একজন দক্ষ অ্যাপ ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে বা অ্যাপ বানিয়ে নিজেই প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে প্রকাশ করে বিজ্ঞাপন ও সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। অনেকে বর্তমানে অ্যাপ বানিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করছে।

এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির জন্য অ্যাপ তৈরি করে দিতে পারেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি তাদের ব্যান্ডের জন্য অ্যাপ তৈরি করে থাকে। আপনি তাদের সাথে নির্দিষ্ট চুক্তি করে অ্যাপ তৈরি করে দিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি নিজেই জনপ্রিয় অ্যাপ তৈরি করলে অত্যন্ত লাভজনকভাবে অ্যাপ থেকে ব্যবসা করতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে উপার্জনের জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রথমত অন্যের এপস তৈরি করা অথবা নিজেই কোন এপস তৈরী করে বিজনেস করা। যেমন - পাঠাও এপস, বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস তৈরী করেছে। তারা মূলত এপ ব্যবহারকারীদের থেকে উপার্জন করছে।

ইউটিউব থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে ভিডিও দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হল ইউটিউব। youtube এ প্রায় সকল ধরনের ভিডিও গুলো দেখতে পাওয়া যায়। যারা মূলত ভিডিও বানিয়ে থাকে তারা তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করে থাকে। আপনিও চাইলে তাদের মত করে ভিডিও বানিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। এই ইউটিউব থেকেই বড় বড় ইউটিউবার প্রতি মাসে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।

ইউটিউব থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল খুলুন, আর প্রতিদিন ইউনিক কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও তৈরি করে আপলোড করুন। দর্শকদের আকর্ষণ করে এমন ভিডিও বানাবেন এবং এডিট করে আকর্ষণীয় গড়ে তুলবেন। এরপর নির্দিষ্ট ট্রাফিক আসলে গুগল এডসেন্স আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে আনলিমিটেড মাসিক ইনকাম করতে পারবেন। যারা ঘরে বসে প্রতি মাসে।৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে শুরু করতে পারেন।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে লক্ষ টাকা আয়

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে লক্ষ টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় ব্যক্তি যখন কোনো কোম্পানির হয়ে তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে ,তখন এই মার্কেটিং প্রক্রিয়াকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলে।

Influencer Marketing এর একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে, আমাদের দেশের দেশ সেরা নেটওয়ার্ক গ্রামীনফোনের তাদের বর্তমান ব্রান্ড আম্বাসিডর হলো বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান ।তার সোশ্যাল মিডিয়াতে মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার্স রয়েছে তাদের মাধ্যমে গ্রামীণ ফোনের বিভিন্ন সার্ভিসের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।এছাড়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুড ব্লগার Rafsan The Chotobhai বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট এর রিভিউ করে থাকে ,এর জন্য রেস্টুরেন্ট এর মার্কেটিং বৃদ্ধি পায় ও তাদের সেল বাড়ে ।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বড় ফলোয়ার বেস তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ফেসবুক, ইউটিউব , টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যান ফলোয়ার বেশি হলে সেটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের মার্কেটিংয়ের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করে থাকে।

আপনি যদি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হতে চান তাহলে আপনাকে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এবং ইউটুবেও আপনার ফেমাস হতে হবে অর্থাৎ প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়াতে হবে।যদিও এটি একদিনে সম্ভব না।খুব ধৈর্য সহকারে আগাতে হবে।কিন্তু ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য অশ্লীল কন্টেন্ট এবং হারাম বিষয় গুলো নিয়ে কোনো ভাবেই কাজ করা যাবে না।আপনার ফেসবুক পেজে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে ফলোয়ার বেশি হলে ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং কাজ করতে পারেন। এর বিনিময়ে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আপনিও চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক কিংবা তারও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কিভাবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিংবা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন মার্কেটিং যা আপনি শারীরিক পরিশ্রম না করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষকে আপনার দিকে আকর্ষিত করেন বা আহ্বান করেন। অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে মানুষজনদেরকে আপনার নিচে বা আপনার আন্ডারে কাজ করানো। যার ফলে আপনি তাদের কাছ থেকে একটা ফিক্সড ইনকাম করতে পারবেন। আচ্ছা এই বিষয়টা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

ধরুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেন যার ফলে মানুষজন সেটা পড়ে উপকৃত হবে। এখন আপনি সেই ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম পেতে চান তার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্লাই করতে হবে যেন আপনি প্রতি মাসে ফিক্সড ইনকাম পেতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য অবশ্যই প্রচুর ভিজিটর দরকার আপনার ওয়েবসাইটে।

কিন্তু এই ভিজিটরটা আসবে কিভাবে এবং কোথায় থেকে। নিশ্চয়ই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার পোস্ট ইউটিউবে শেয়ার করবেন, ফেসবুকে শেয়ার করবেন, সোশ্যাল শেয়ার অ্যাপস আছে সেগুলোতে শেয়ার করবেন যেন আপনার পোস্ট দেখে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে আসে। যেন আপনার ভিজিটর বাড়ে যার ফলে আপনি অ্যাডসেন্স এপ্লাই করতে পারেন। এই যে আপনি ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল শেয়ার ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার করলেন যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়লো, এই প্রচার করার প্রক্রিয়াটিই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

রিসেলিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম

রিসেলিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে বর্তমানে অনেক মানুষ। আপনিও খুব সহজেই রিসেলিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে রিসেলিং করবো। ধরুন দারাজে আপনি একটি প্রোডাক্ট দেখলেন "কম্পিউটার" যার মূল্য দারাজে ১৫০০ টাকা। এখন আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্ট এর ছবি, ডেসক্রিপশন এবং টাইটেল পড়ে কিংবা কপি করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, টেলিগ্রাম, আপনার ওয়েবসাইট ইত্যাদি এরকম সকল জায়গায়।

যেখানে মানুষজন ভিজিট করে বেশি সেখানে আপনি সেই প্রোডাক্টের ছবি, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দিয়ে পোস্ট করলেন। কিন্তু দারাজের তুলনায় আপনার দেওয়া মূল্যটি একটু বেশি দেন অর্থাৎ যদি দারাজে ১৫০০ টাকা দেওয়া থাকে তাহলে আপনি দেন ২০০০ টাকা। এখন আপনার পোস্ট দেখে অবশ্যই কেউ না কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনার পোস্ট করা প্রোডাক্টটি অর্থাৎ কম্পিউটারটি ক্রয় করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এখন যদি আপনি তাকে সেই কম্পিউটারটি ২ হাজার টাকা কিংবা ১৫০০ টাকার বেশি কোনো এমাউন্টে বিক্রয় করে দেন।

তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু টাকা হলেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিদিন ৪০টা কিংবা ৫০টা কিংবা ১০০টা প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন বেশি দামে তাহলে আপনি সহজেই ঘরে বসে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন, যা আপনার পক্ষে কোন ব্যাপারই না। তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন বেশি বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা যেখান থেকে প্রোডাক্ট সেল করছেন সেই ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য তাদের কাছ থেকেও কিছু কমিশন পেতে পারেন।

আবার প্রোডাক্টটি বেশি দামে সেল করার ফলেও আপনি সেখান থেকেও একটি ইনকাম করতে পারছেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে দুই ধরনের উপায়ে ইনকাম করতে পারছেন একটা হল, যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট সেল করবেন সেই ওয়েবসাইট থেকে একটা ইনকাম পাচ্ছেন তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য। আর দ্বিতীয়টি হলো প্রোডাক্ট সেল করার পরে অতিরিক্ত টাকাটাও আপনার ইনকাম হিসেবে গণ্য হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে আপনি প্রতিদিন রিসেলিং করে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন।

মাছের ব্যবসা করে লক্ষ টাকা ইনকাম

মাছের ব্যবসা করে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন বাড়িতে বসেই। এমন অনেকেই আছে যারা গ্রামে মাছের ব্যবসা করে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে মাছের ব্যবসা শুরু করে মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। মাছের ব্যবসা করার জন্য পুকুরের প্রয়োজন হয়। তাই একটি ভালো মানের পুকুর নির্বাচন করবেন। এরপর কোন মাছ নিয়ে ব্যবসা করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় সেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করবেন।

এখানে যেহেতু আপনি ব্যবসা করতেছেন সেক্ষেত্রে ভালো রকমের টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। বেশি টাকা ইনভেস্ট করলে মাছের ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। আর মাছ চাষ কিভাবে করতে হয় সেগুলো ভালোভাবে জেনে ব্যবসা শুরু করতে হবে, না জেনে শুনে মাছ চাষ করে লসে পড়তে পারেন। তাই আগে মাছ চাষ সম্পর্কে জানুন এবং মাছ ব্যবসা কিভাবে করতে হয় সেগুলো দেখুন তারপরে গিয়ে মাছের ব্যবসা করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন।

কাপড়ের ব্যবসা করে লক্ষ্য টাকা ইনকাম

আপনারা জেনে অবাক হবেন কাপড়ের ব্যবসা করে বর্তমানে অনেক যুবকরা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। অনেকেই নিজের কাপড়ের দোকান দিয়ে প্রতি মাসেই পাঁচ লাখ টাকার বেশি উপার্জন করে আসছে। আপনিও চাইলে সঠিক পরিকল্পনা করে কাপড় ব্যবসা শুরু করে আয় করতে পারেন। কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই কাপড়ের কোয়ালিটি নিয়ে ভাবতে হবে।

কাপড়ের কোয়ালিটি ভালো হলে আপনি কাপড় ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। পাইকারি দামে কাপড় কিনে বাজার মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও কাপড়ের বিক্রি পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করলে ব্যবসায় বেশি লাভবান হওয়া যায়। ফেসবুকে ও ইউটিউবে কাপড় অনলাইনে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম সম্পর্কে শেষ কথা

মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম কিভাবে করা যায় এবং কোন ব্যবসা করে ৫ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে গেছেন।

আর্টিকেলটিতে দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করুন তাহলেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আর মনে রাখবেন পরিশ্রম করেই সফলতা পাওয়া যায়, তাই পাঁচ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে আয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন আর সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url