মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন কি, তাহলে একদম
সঠিক পোস্টটিতে এসেছেন। কারণ আজকের পোস্টটিতে আমি প্রতি মাসে কিভাবে ২০ হাজার
টাকা আয় করবেন সেই উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকের যুগে টাকা ইনকাম
করা একদম সহজ বিষয়।
অনলাইন কিংবা অফলাইনে অনেক ধরনের কাজ ও ব্যবসা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি প্রতি
মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক যুবক চাকরি না পাওয়ার
কারণে বাড়িতে বেকার বসে থাকে। যার ফলে দেশে প্রতিনিয়ত বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
তাই আপনারা যারা বসে আছেন তারা অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বহু যুবক ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে এছাড়াও তারা ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি আরো অনেক উপায় অবলম্বন করে টাকা আয় করছে।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হচ্ছে অনলাইন মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। শুধুমাত্র বুদ্ধি খাটিয়ে ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করলেই আপনি মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মূলত অনলাইন থেকে আয় করার একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। একথায় বলতে গেলে, গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
যেমনঃ কেউ ব্যবসা কে পেশা হিসেবে নেন তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী, যারা চাকুরী করেন তাঁরা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের পেশা। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। যাঁরা নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কে আবার স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্ত পেশাও বলা হয়ে থাকে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে হলে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইন অথবা অফলাইন কোর্স রয়েছে।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা বর্তমানে সময়ের একটি ব্যপার। মানুষ ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের
ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল
হচ্ছেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষ। ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কেটপ্লেস এ
ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম ১০০% বেড়ে যাবে বলে আশা করা যায়। আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার লক্ষ্য
নির্বাচন করতে হবে।
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন না গ্রাফিক্স ডিজাইন করবেন সেটা পুরোপুরি আপনার
দক্ষতার উপর। আপনি যদি এই দুইটির মধ্যে থেকে একটি বেছে কাজ করেন তাহলে বর্তমানে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনি
ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং এবং নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে সক্ষম
হবেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি সেক্টরে কাজ করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন
মার্কেটপ্লেসে আপনার যোগ্যতা দেখাতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হতে হলে আপনাকে
প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তাই
আপনি যদি অনলাইনে আয়ের উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের ধরনঃ
অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের কোন শেষ নেই। আপনি যদি
মার্কেটপ্লেসে একটু সময় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে অনেক
ধরনের কাজ রয়েছে। যেমনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট,
অ্যাপ মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং অ্যান্ড
এনিমেশন, ডাটা এন্ট্রি, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), কন্টেন্ট রাইটিং,
সাইবার সিকিউরিটি, ফেসবুক মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং, সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট,
গুগল বিজ্ঞাপন।
১০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসঃ
আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলতে হাতে গুণা কয়েকটা নাম হয়ত জানি।
যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি। এছাড়াও আরও অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
রয়েছে। এখানে আমি আপনাদের জনপ্রিয় ১০টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সাথে
পরিচয় করিয়ে দিব। এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আপনার স্কিল কাজে লাগিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
- আপওয়ার্ক (Upwork)
- ফাইবার (Fiverr)
- ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
- ৯৯ডিজাইনস (৯৯ডিসিংস)
- পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)
- টপটাল (Toptal)
- গুরু (Guru)
- ক্রাউড সোর্স (Crowdsource)
- কোডেবল (Codeable)
- ফ্রিল্যান্স রাইটিং (Freelancewriting)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
মাসে ২০ হাজার টাকার আয়ের অন্যতম উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমান
সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষ। শুরুতেই বলি সোশ্যাল মিডিয়া মারকেটিং টা কি।
সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে আমাদের সবার যোগাযোগের একটি সামাজিক মাধ্যম। আর
এই যোগাযোগের মাধ্যম দিয়ে আপনি আপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করাকে সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং বলা হয়। বর্তমান সময়ে এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল আয়ের ক্ষেত্র।যেখানে
আপনি বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি সেগুলো প্রতিটা
মানুষের মাঝে অনায়াসে শেয়ার করে দিতে পারবেন। এছাড়াও এই অনলাইন প্লাটফর্ম
হচ্ছে মূলত এমন একটি মাধ্যম যার সহায়তায় অতি সহজে একে অপরের সাথে যোগাযোগ
স্থাপন করা যায় এবং নানান ধরণের প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের মার্কেটিং করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা
প্রচার করতে পারবেন। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের
ব্যবহার করা পণ্য এবং বিভিন্ন সেবামূলক মার্কেটিং করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনি
আপনার একটি প্রোডাক্টের ছবি এবং প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দিবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ এগুলো দেখবে এবং প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করবে।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট হিসেবে যে platform গুলো বেছে নিবেন। যেমন,
facebook, youtube, twitter, instagram এবং tiktok ইত্যাদি প্লাটফর্মের মাধ্যমে
আপনি আপনার পণ্য এবং বিভিন্ন খবর প্রচার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।
এক কথায় বলতে গেলে এগুলোকে মূলত সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বলে। মূলত এই
প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়ে
তুলতে পারবেন এবং ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। সর্বশেষ বলি ঘরে বসে না থেকে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
ফেসবুক পেজ থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ফেসবুক পেজ থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে খুব
সহজেই। ফেসবুক পেজে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করার
সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া ফেসবুক পেজে প্রমোশনাল কনটেন্ট ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার মাধ্যমেও আয় করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই ফেসবুক থেকেই আপনারা প্রতি
মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। সেই ফেসবুক পেজে আপনি
ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি একজন কনটেন্ট
নির্মাতা হোন, তাহলে আপনি একাধিক উপায় ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। কোনও
ব্র্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং তাদের জিনিসে প্রচার আপনার কনটেন্টের
মাধ্যমে করলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার অপর একটি ভালো মাধ্যম হল ফেসবুকের অফিসিয়াল
ব্র্যান্ড কোলাবরেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া। তবে অফিসিয়াল পার্টনারশিপ
প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য হতে আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১,০০০ ফলোয়ার লাগবে।
ফেসবুকের লাইভ-স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োর সময় দেখানো বিজ্ঞাপনগুলির থেকেও টাকা আয়
করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ভালো টাকা আয় হয়। কিন্তু এর জন্য আপনার গত ৬০ দিনে
প্রায় ৬০,০০০ মিনিটের ভিউ টাইম প্রয়োজন হবে।
ব্লগিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় উপায়
ব্লগিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় বর্তমানে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। এটি একটি সহজ এবং
স্মার্ট পেশা ইনকাম করার জন্য। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে আপনি
ব্লগিং করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। তার জন্য থাকতে হবে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে
জ্ঞান। বর্তমানে ব্লগিং শেখার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে মূলত ব্লগিং
সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দেওয়া হয় এবং টাকা ইনকাম করার পথ দেখানো হয়।
ব্লগিং মূলত আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যে কোন
বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন। আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে পোস্টগুলো মানুষ পড়লে
আপনার ইনকাম হবে। এর জন্য অবশ্যই ব্লগিং কিভাবে করতে হয় এবং কিভাবে করা যায়
তা সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা যখন একটি ব্লগ তৈরি করি, তখন তাতে ভালো তথ্য শেয়ার করি। মানুষেরা আমাদের ব্লগে সেই তথ্য পড়তে আসে, যাকে ট্রাফিক বা ভিজিটর বলি।
এই ভিজিটররাই আয়ের উৎস এবং এবং তাদের উপর নির্ভর করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা আয় করতে পারব। এই বিশ্বের সমস্ত ব্লগারদের মধ্যে, ৮০% এরও বেশি ব্লগারের আয়ের প্রধান উৎস হলো গুগল অ্যাডসেন্স এবং এর মতো advancement network. এবং যখনই কেউ তার নতুন ব্লগ শুরু করে, তখন সে স্টার্টিং-এ এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। Google AdSense আপনার ওয়েবসাইটে তার বিজ্ঞাপন দেখায়।
মানুষেরা যখন সেই বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করে, তখন আপনি অর্থ প্রদান করেন। এর মানে হলো যে যত বেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে, তত বেশি "ক্লিক" পাবেন। এবং আপনার যত বেশি "ক্লিক" হবে, তত বেশি অর্থ আপনি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তাই আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনার ব্লগের আয় নির্ভর করবে আপনার ট্রাফিকের উপর।
এসইও করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
এসইও করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন তাহলে শুরু করতে পারেন এই
কাজ। আপনি ওয়েবসাইট এসইও করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে মূলত
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে তুলতে হয়। একে এসইও বলা হয়।
বর্তমানে এই সেক্টরের কাজের চাহিদা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনারা
এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে বিদেশীরা এ ধরনের কাজ বেশি করিয়ে
থাকে।
এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সহজ কথায় আমরা যখন গুগল
কিংবা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ দিই, তখন গুগল কিংবা ঐ
সার্চ ইঞ্জিন কতগুলো রেজাল্ট দেখায়। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে
ক্লিক করে আমার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই।
আর যেই কারণে গুগল কিংবা কোন সার্চ ইঞ্জিন ওই রেজাল্টগুলো দেখায়, সেই কারণ
কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
আপনি যদি এসইও সেক্টরে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার
টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। আপনারা চাইলে এসইও বিনামূলাই শিখতে পারবেন।
বর্তমানে ইউটিউবে এসইও সম্পর্কে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স দেওয়া থাকে সেগুলো আপনারা
করতে পারেন। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসইও কোর্স করিয়ে থাকে তাদের কাছ
থেকে শিখতে পারেন। আর ভালোমতো শিখে আপনারা অনলাইন থেকে অতি সহজেই আয় করতে
পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বা সহজ মাধ্যম হচ্ছে
ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড করে আয় করা। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে
সেখান থেকে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ওই ভিডিও মানুষকে দেখিয়ে ইউটিউব থেকে
আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই আয় করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক বা
ভিজিটর আপনার চ্যানেলে দরকার হবে।
তারপর ইউটিউবের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার মাধ্যমে
ইউটিউব থেকে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আধুনিক বিশ্বের
সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে ইউটিউব অন্যতম একটি ওয়েবসাইট।
ট্রাফিক বা ভিজিটরসদের সংখ্যা বিবেচনায় ইউটিউব হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম
ওয়েবসাইট। ইউটিউব গুগলের একটি সার্ভিস। আর গুগলের পরেই রয়েছে ইউটিউবের অবস্থান।
ইউটিউবকে ইন্টারনেটের অর্ধেক বললে ভুল হবে না। কারণ, প্রত্যেক মাসে সারা
বিশ্বের প্রায় দুই বিলিয়ন (two billion) ব্যবহারকারী ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন।
আপনি শুনে অবাক হবেন যে, ইউটিউবে প্রতি মিনিটে মোট ৫০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড করা
হয়ে থাকে। যেহেতু বিশ্বজুড়ে প্রচুর পরিমাণে লোকেরা প্রতিদিন ইউটিউব ব্যবহার
করছেন তাই বর্তমানে ইউটিউব একটি অসাধারণ ইনকামের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
যেহেতু সারা পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন লোকেরা ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন সেহেতু
ইউটিউবের মাধ্যমে সহজেই যেকোন ব্যবসা (business), প্রোডাক্ট (product) অথবা
সার্ভিসের (service) প্রচারণা বা মার্কেটিং (marketing) চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে
টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
ভিডিও এডিটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ভিডিও এডিটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যপার না আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য মাসে বিশ হাজার টাকা আয়
করা কোন ব্যাপার না বরং এর থেকে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে
মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। কম বেশি সকল ডিজিটাল
কোম্পানি এই ভিডিও এডিটিং করার ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকে। যাতে করে ভিডিও এডিট করে মার্কেটিং করা যায়।
এটি একটি ক্রিয়েটিভ স্কিল, কোন ভিডিও কে গল্প এবং অনুভূতিতে রূপান্তর করার
পদ্ধতি। সহজ কথায়, Video Editing হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ
সম্পাদন করে সম্পূর্ণ গল্পে পরিণত করা। আমরা মুভিতে যে দৃশ্য গুলো দেখি সেগুলো
আসলে Video Edit এর পরের ফাইনাল কাট।সাধারণভাবে এডিটিং বলতে- ভিডিও কাট, ট্রিম
ও ক্লিপসমূহকে সিকোয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে রূপান্তর করাকে
বুঝায়।
এছাড়াও অ্যানিমেশন, কালার গ্রেডিং, প্রি-প্রোডাকশন স্টোরি রাইটিং, ইত্যাদিও এর
অন্তর্ভুক্ত। মূলত রেকর্ডের পর একটি ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করেন একজন ভিডিও
এডিটর। এই সময় ভিডিওতে যেকোনো পরিবর্তন থেকে শুরু করে অডিও বা মিউজিক যুক্ত করা
পর্যন্ত, সকল কাজ একজন ভিডিও এডিটর করে থাকেন। একজন ভিডিও এডিটর মূলত
পোস্ট-প্রোডাকশনে অধিক সময় কাজ করে থাকেন।
তাই ভিডিও সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সকল টার্ম একজন ভিডিও এডিটরের জানা থাকা
প্রয়োজন। এছাড়াও মোশন গ্রাফিক্স ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সম্পর্কেও ভালো ধারণা
থাকা জরুরি, কেননা এসব বিষয় বর্তমানে ভিডিওতে বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি ভিডিও
এডিটিং পারেন তাহলে অনায়াসে যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি আয়
করতে পারবেন। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত আপনাকে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা
থাকা লাগবে।
আর্টিকেল রাইটিং করে ২০ হাজার টাকা আয়
আর্টিকেল রাইটিং করে ২০ হাজার টাকা আয় করার সহজ জনপ্রিয় মাধ্যম। আর্টিকেল
রাইটিং করে আপনি অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক
কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য জব প্রদান করে থাকে।
আপনি চাইলে তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে অতি সহজে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
করতে পারবেন।
আপনি চাইলে অর্ডিনারি আইটিতে(ordinaryit.com) আর্টিকেল রাইটিং করে অনায়াসে
টাকা করতে পারেন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং
খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তাই আর্টিকেল রাইটিং করুন ঘরে বসেই আর ইনকাম করতে
থাকুন। বিভিন্ন বিষয়ে যে কোনো ভাষায় আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন প্রত্যেক
দিন। তবে অনলাইন কাজে আপনার পর্যাপ্ত পরিশ্রমের সঙ্গে ধর্য্যেরও প্রয়োজন। সেই
বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং হলো কোনো বিষয় বা বস্তু সম্বন্ধে যথাযথভাবে
প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা। আপনার জানা বা অজানা যেকোনো বিষয় এর উপর এ পর্যাপ্ত
পরিমানে জ্ঞান আহরণ করার পর সেটিকে গুছিয়ে সুন্দর করে ব্লগ বা আর্টিকেল আকারে
পরিবেশন করাই হল আর্টিকেল রাইটিং। এটি শুধু বাংলা, ইংলিশ বা হিন্দী ভাষায় না,
যেকোনো মাতৃভাষাতেই লেখা হয়ে থাকে। তাই আপনার যে ভাষাতেই জ্ঞান থাকুক না কেন,
আপনি একজন সফল আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন।
আপনার আর্টিকেলে আপনি কম করে ১৫০০ বা তার বেশি শব্দেও ব্যক্ত করতে পারেন। আগে ,
আর্টিকেল শুধু মাত্র খবরের কাগজে, নানান মেগাজিনে অথবা বই এর পাতাতেই লেখা হতো।
কিন্তু এখন আপনি বিভিন্ন ফোরাম, ব্লগ , ডিজিটাল মার্কেটে ও আপনার আর্টিকেল
প্রকাশ করতে পারেন এবং তার মাধ্যমে টাকাও উপার্জন করতে পারেন।
আর্টিকেল লিখতে হলে কিছু সাধারণ নিয়ম আছে যেগুলি আপনাদের অবলম্বন করতে হবে। এই
ছোট ছোট সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলি আপনার আর্টিকেল কে রুচিকর বানাতে
সাহায্য করে। সবার প্রথমে মাথায় রাখতে হবে, আপনার রিডার্স বন্ধুরা যাতে আপনার
কনটেন্ট পড়ে ইন্টারেস্ট পায়। প্রত্যেকটি শব্দ বা লাইন এমন ভাবে প্রতিস্থাপিত
করতে হবে যাতে আপনার রিডার্স রা সেটা শেষ অবধি পড়তে মজা পায়।
বিষয়বস্তুটি কে সহজ ও সরল ভাবে উপস্থাপন করুন যাতে, খুব সহজেই যে কেও পুরো
ব্যাপারটা বুঝতে পারে। এগুলো খুবই সাধারণ নিয়ম, কিন্তু এইগুলো ফলো করলে এবং
আপনার লেখার বুনন ঠিক থাকলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনি নিঃসন্দেহে এক কন্টেন্ট
রাইটার হিসেবে মার্কেটে নাম করতে সফল হবেন।
আপনি যে বিষয়ে পারদর্শি, যার সম্পর্কে আপনার বিস্তার জ্ঞান আছে, এবং আপনার
ভিউয়ার্স দের সঠিক তথ্য দিতে পারবেন সেই বিষয়টি তুলে ধরুন। যত বেশি বিষয়টির
সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে ততো বেশি ডিটেলসে আপনি আপনার ভিউয়ার্স দের দিতে
পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনিং করে ২০ হাজার টাকা আয়
ওয়েব ডিজাইনিং করে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এ
পারফেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেকোন কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে
আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি।
আপনি মার্কেটপ্লে বিভিন্ন দেশের কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে
অনায়াসে বিশ হাজার থেকেও লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন বলতে কোন একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে বুঝায়। যা ইন্টারনেট
ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। ওয়েবসাইট সাজানোর
কাজই হলো ওয়েব ডিজাইন। আরও সহজভাবে বলা যায় যে, কোন ওয়েবসাইট এর বাহিরের রুপ
দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করার নাম হলো ওয়েব ডিজাইন। যেমন, ফেসবুক দেখতে
একরকম, টুইটার দেখতে আরেক রকম।
একটি ওয়েবসাইট এর আউটলুক, ফন্ট কালার, সাইজ, ইমেজ, ম্যানুবার, টুলবার ইত্যাদি
কোথায় কেমন ভাবে থাকবে, কন্টেন্ট কিভাবে থাকবে, সর্বপোরি কোন ওয়েবসাইট
ব্যবহারকারীরা যেভাবে দেখে সকল কাজই ওয়েব ডিজাইন এর অন্তর্ভূক্ত।ওয়েব ডিজাইন
একটি ওয়েবসাইটের নান্দনিকতা এবং লেআউটের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এতে ইউজারের
ইন্টারফেস ডিজাইন করা, রঙের স্কিম নির্বাচন করা, টাইপোগ্রাফি করা এবং
ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ড এবং উদ্দেশ্যগুলির সাথে সারিবদ্ধ একটি ভিজ্যুয়ালি
আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করা জড়িত।
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে হবে।
তবে নতুন হিসেবে অনেকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হলেও কিভাবে শিখবেন ওয়েব
ডিজাইন এই প্রশ্নে অনেকে আটকে যান। কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখবেন তা নিয়ে অযথা
চিন্তিত না হয়ে শেখার উপায় জেনে নিন। বর্তমানে নানা ওয়েবসাইটে ওয়েব ডিজাইন
শেখা যাচ্ছে। শুরুর দিক ওয়েব ডিজাইনের নানা খুঁটিনাটি জানার জন্য অনলাইন
ওয়েবসাইটের কোর্সগুলো দেখতে পারেন।
ইউটিউবে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে অসংখ্য ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। আপনি তা দেখে ওয়েব
ডিজাইন শিখে নিতে পারেন। আর যেহেতু ওয়েব ডিজাইন শেখার উদ্দেশ্য হলো ওয়েব
ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা, তাই অনলাইন ওয়েবসাইট ও ইউটিউব থেকে
শেখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘমেয়াদি ওয়েব ডিজাইন
কোর্স করতে পারেন। যার মাধ্যমে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।
ডে কেয়ার সেন্টার থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ডে কেয়ার সেন্টার থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি একটি
ডে-কেয়ার সেন্টার খুলতে পারেন তাহলে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন। কারন অনেকেই কাজের চাপে অফিসে থাকাকালে তাদের বাচ্চাদের ডে-কেয়ার
সেন্টারের রাখতে পছন্দ করে। তাদের বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য ডে-কেয়ার
সেন্টারে রেখে যায়। তাহলে আপনি যদি ডে-কেয়ার খুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান
থেকে আয় করতে পারবেন।
নারীরা যত বেশি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন, তত বেশি বাড়ছে মা-বাবা দুজনেই
চাকরি করে এমন পরিবারের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই ডে-কেয়ার
সেন্টারের সুবিধা নিতে শুরু করেছেন। মা-বাবা কর্মস্থলে থাকার সময়টাতে
ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে থাকে। এসব
সেন্টারের প্রশিক্ষিত কর্মীরা শিশুদের সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক দক্ষতা
বিকাশেও সহযোগিতা করে থাকে।
মা-বাবার কর্মক্ষেত্রে থাকার সময়ে সহযোগিতা ছাড়াও শিশুদের প্রাথমিক বিকাশে
ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো সহায়ক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এসব সেন্টারে শিশুরা
অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পায় এবং একই সঙ্গে শিশু ও
প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি শিখতে পারে, যা তাদের সামাজিক
দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে।
সার্বিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন সত্ত্বেও দেশে মানসম্পন্ন ডে-কেয়ার
সেন্টারের সংখ্যা এখনো অনেক কম। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৯৪ (১.২)
অনুসারে, ৪০ জনের বেশি নারী কর্মী রয়েছে এমন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ৬
বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য একটি উপযুক্ত কক্ষ দিতে হবে এবং
রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আইন থাকলেও কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
ডে-কেয়ার সেন্টার খুবই কম। অথচ, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ ভালো মানের
ডে-কেয়ার সেন্টারের প্রয়োজন এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বেশ কয়েকটি নতুন ডে-কেয়ার সেন্টার হয়েছে যেখানে
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, বয়স উপযোগী শিক্ষা সরঞ্জাম, ডিজিটাল ও স্মার্ট
অডিও-ভিজ্যুয়াল সরঞ্জাম, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব এবং ইনডোর ও আউটডোর
কার্যক্রমের মতো সুবিধা রয়েছে। ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা তেমনই একটি
প্রতিষ্ঠান, যারা ডে-কেয়ার সুবিধা দিচ্ছে।
মা-বাবা কর্মস্থলে থাকার সময়ে ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো শিশুদের নিরাপদ রাখতে
এবং যথাযথ যত্ন প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ভালো মানের
ডে-কেয়ার সেন্টার কর্মক্ষেত্র ও সন্তানের প্রতি দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য
রাখাতে অভিভাবকদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান দিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
আপনি যদি একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর থেকে আপনি
মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মোবাইল
ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। আর এই ডিজিটাল যুগে যতদিন যাবে মোবাইল
ব্যবহারকারী সংখ্যা ততো বেড়ে যাবে। মোবাইল যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস সেটি
যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মোবাইল নষ্ট হলে মানুষ মোবাইল সার্ভিসিং
এর দোকানে গিয়ে ঠিক করে অর্থাৎ সারিয়ে নেয়। এভাবে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা
আয় করতে পারবেন।
আজকালকার সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা আমাদের চারপাশে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন
ব্যবসায়ীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা পরিচালনা করার দ্বারা আজ প্রচুর অর্থ আয়
করছেন। এই অর্থ আয় করার পিছনে কিছু অবদান রয়েছে, যেগুলো হলো সঠিক নিশ নিয়ে
কাজ করা, ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, সঠিক স্থান নির্ধারণ ইত্যাদি। বর্তমান
সময়ে একটি স্মার্টফোন আমরা সবাই ব্যবহার করি। সে ফোন গুলো অনেক সময় বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই লোকেরা সেই মোবাইল ফোন কোনো মোবাইল রিপেয়ারিং
দোকানে নিয়ে যায় এবং সেখানে থেকে তারা সার্ভিসিং করিয়ে সমস্যা সমাধান করে
থাকে।
আপনার যদি একটি মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে এখান থেকে আপনি
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন কোন ইনভেস্ট ছাড়াই। আর
তাই স্মার্টফোন ব্যবহাকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে প্রতিদিন কারো না কারো ফোন
মোবাইল মেকানিকদের কাছে আমাদের নিয়ে যেতে হয়। সুতরাং বলাই যায়, এখনকার সময়
মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক
ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
ফুলের দোকান থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ফুলের দোকান থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় বা তারও বেশি করতে পারবেন। বর্তমানে ফুলের ব্যবহার বহুলভাবে বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি একটু ফুলের দোকান
দিতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে অনায়াসে ২০-৫০ হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন। কারণ বর্তমানে ফুল মানুষের উপহার দেওয়ার একটি নিত্য প্রয়োজনীয়
গিফট হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর যদি বড় কোন বিয়ের ফুলের অর্ডার পান তাহলে তো
অনেক টাকা আয় করতে পারবেন তা বলা সম্ভব না।
আপনি হয়তো নিজে বুঝে গেছেন ফুলের দোকান দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়। সারা বছরই
ফুলের চাহিদা থাকে। অনুষ্ঠান, উৎসব, উপলক্ষ আর উপহারের জন্য বলতে গেলে ফুল
অনিবার্য। বর্তমান সময় বিয়ের ডেকোরেশন হোক বা জন্মদিনের উপহার অথবা পূজা
কিংবা বিবাহ বার্ষিকী সমস্ত ক্ষেত্রেই ডেকোরেশন থেকে শুরু করে উপহারের জন্য ফুল
প্রয়োজন হয়ে থাকে। ফলে কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে ফুলের ব্যবসায় নামতে
পারেন যে কেউ, এটি বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা।
সাধারণত বিয়ে, পারিবারিক অনুষ্ঠান, মেলা-উৎসব, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, জনসভা ও
রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, এমনকি কারও মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর
জন্য ফুলের প্রয়োজন পড়ে। এই ফুলের যোগান দেবার জন্য কাজ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা।
ফুলের পাশাপাশি পাতাও বিক্রি করে থাকেন তারা। যেমন, বিয়ের স্টেজ সাজানোর
ক্ষেত্রে কামিনী পাতার চাহিদা রয়েছে। পাইকারি ও খুচরা–দুইভাবেই ফুলের ব্যবসা
করা সম্ভব। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্ডারের পরিমাণ বড় হয়।
অনলাইনে বই বিক্রি করে আয়
আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে বই বিক্রি করে অতি সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন। শুধু এর জন্য আপনার থাকতে হবে অনলাইন প্লাটফর্মে একটি ফেসবুক পেজ বা
ওয়েবসাইট। যাতে আপনি বইয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার বই বিক্রি করতে পারবেন। বই
সম্পর্কে অনলাইনে জানানোর প্রধান মাধ্যম হলো প্রতিষ্ঠানের একটা নিজস্ব
ওয়েবসাইট।
এ ওয়েবসাইটে কোন প্রকাশনীর কী কী বই রয়েছে, বইয়ের মূল্য, সংগ্রহ করার উপায়,
টাকা পরিশোধের উপায়, কম্পানির প্রমোশনাল অফারের তথ্য থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে বই,
প্রকাশনী ও লেখকের নামের ক্যাটাগরি অনুযায়ী খোঁজার ব্যবস্থা থাকলে তা হবে
ব্যবহারকারীবান্ধব। দ্রুততম সময়ে বই পৌঁছে দেওয়া, টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা সহজ
করলে তা ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে।
বর্তমান সময়ে যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের বই প্রকাশ করতে পারে। এজন্য
কাউকে আর কোন তৃতীয় পক্ষ বা প্রকাশকের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। তাছাড়া
বইটিকে সবার কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য খুব বড় ধরনের প্রচারণারও প্রয়োজন পড়ে না।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি একদিকে যেমন আপনার লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন
অন্যদিকে এর পাশাপাশি বই বিক্রয় করেও আয় করতে পারেনএবং নিজেকে একজন অনলাইন
ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বই বিক্রয়ের জন্য আপনাকে কোন মার্কেটপ্লেসেও যাওয়ার প্রয়োজন
হবে না। আপনি সরাসরি নিজের ওয়েবসাইট থেকেই ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনেটের
ভিতরে ও বাইরে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ বইয়ের সন্ধান করে থাকে। কারণ
একটি বই একজন মানুষকে সুশিক্ষিত, সফল করে তোলাসহ মানুষের জ্ঞান অর্জনের
পিপাসাকে নিবারণ করে থাকে। ইন্টারনেটে এমন হাজারো ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে
আপনি আপনার বইটি অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url