ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা

ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি অবাক হবেন। আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে ই-ক্যাপ এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ই-ক্যাপকে সাধারণত ভিটামিন-ই ক্যাপসুল বলা হয়ে থাকে। ই-ক্যাপ ৪০০ আই ইউ বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

ভিটামিন-ই-ক্যাপ-এর-উপকারিতা
ভিটামিন-ই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটিএসিড এবং অন্যান্য অক্সিজেন সংবেদনশীল উপাদান যেমন, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি এর অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। ভিটামিন-ই এর অভাবজনিত কারণে অপরিণত নবজাতকের ইডিমা, শরীর জ্বালা, থ্রম্বসিস ও হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া হতে পারে।

যেসব শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সিরাম টোকোফেরলের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়াটিনিউরিয়া, সিরোইড ডিপোজিশন, মাংসপেশীর দুর্বলতা, লোহিত কণিকার জীবনকালের হ্রাস অথবা পরীক্ষাগারে জারকের প্রভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হিমোলাইসিস এর ক্ষেত্রেও নির্দেশিত। জেনে নিন ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা

ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা

ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা অনেক যা আপনি ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন। ত্বক ও চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের জুড়ি নেই। চুল পড়া রোধে কিংবা ত্বকের সৌন্দর্যে ই ক্যাপ বেশ ভালো কাজ দেয়। তবে কখনো কখনো ব্যবহারের ভুলের কারণে কিছুটা খারাপ প্রভাব পড়ে। প্রত্যেক ঔষধ অথবা উপাদানেরই উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিক রয়েছে। আমরা এই দুটো দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন আমরা এবার জেনে নিই ই-ক্যাপ এর বিভিন্ন উপকারিতা গুলোঃ

ইমিউন সিস্টেমের উন্নতিতেঃ ভিটামিন-ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। ই-ক্যাপ গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সহজ হয়। এর ফলে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেঃ ই ক্যাপ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এটি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালগুলোকে ধ্বংস করে। নিয়মিত ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে হার্টের সুস্থতা বজায় থাকে। এছাড়াও ক্যান্সার ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়, এবং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ ই-ক্যাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কারণ এতে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মূলত ত্বককে সতেজ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আমরা অনেক সময় ঘরের বাইরের রোদে কাজ করতে যাই ফলে আমাদের মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলি।

এই উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে আপনারা ভিটামিন ই-ক্যাপসুল মুখে লাগিয়ে অথবা ফেসবুক বানিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন আপনারা রাতে ই-ক্যাপ এ থাকা জেল এর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখের ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। দেখবেন আপনার মুখে ব্রণ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে।

চুলের যত্নে ই-ক্যাপঃ চুলের যত্নে ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা অনেক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া বন্ধ করতে আপনার ই-ক্যাপ অর্থাৎ ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল সিল্কি রাখতে ই-ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এটি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন নারিকেল তেল অথবা যে কোন চুলে ব্যবহারকৃত তেলের সাথে ই কাপের জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিবেন।

এভাবে দেড় থেকে দুই মাস ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আপনার চুল সুন্দর হচ্ছে অর্থাৎ আপনার চুল মজবুত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আপনারা বাহ্যিক ব্যবহারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।

হার্ট সুস্থ রাখতে ই-ক্যাপঃ বর্তমানে চিকিৎসকের গবেষণায় দেখা গেছে ই-ক্যাপ হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বহু উপকারী। তাই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ই-ক্যাপ খেতে পারেন। ই-ক্যাপ আপনি ৪০০ IU থেকে ৮০০ IU খেতে পারেন যা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ফলে আপনার হার্টের সমস্যা ভালো ফলাফল পাবেন এবং হাট সুস্থ থাকবে।

শারীরিক শক্তি ও যৌবন শক্তি বৃদ্ধিতে ই-ক্যাপঃ আমরা সকলে জানি ই-ক্যাপ ভিটামিন-ই জাতীয় ঔষধ। এটি আমাদের দেহের শারীরিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের দেহে ভিটামিন-ই এর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘাটতি পূরণ করে। মানবদেহের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। ই-ক্যাপ নিয়মিত খাওয়া হলে মানবদেহে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি অথবা এই ক্যাপ সেক্সে উপকার করে থাকে।

বয়সের ছাপ দূর করতে ই-ক্যাপঃ মানুষের সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে ত্বককে কুচকে যাওয়া অথবা মুখে বিভিন্ন বলিরেখা দেখা দেওয়া এসব একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন ই-ক্যাপসুল গ্রহণ করেন অথবা সেবন করেন তাহলে আপনার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনি এটি রাতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ই-ক্যাপ জেল মুখের ওপর আলতোভাবে ভালো করে লাগিয়ে রাখবেন। তারপর এক ঘন্টা পর মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।

এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও আপনারা আপনার ব্যবহৃত নাইট ক্রিম এর সাথে এটি মিশিয়ে রাত্রে ব্যবহার করতে পারেন। সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখবেন এবং সকালে উঠে পরিস্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে আপনার বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে এর সাথে সাথে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের কুচকে যাওয়া দূর হবে।

ক্রিম হিসেবে ই-ক্যাপঃ আপনারা যারা রাত্রে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের জন্য ই-ক্যাপ মিশিয়ে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা সবচেয়ে উপকারী। কারণে এই ই ক্যাপ ত্বক মশ্চারাইজিং করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত নাইট ক্রিমের সাথে এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শুষ্ক ত্বক মশ্চারাইজিং হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

ক্ষত সারাতে ই-ক্যাপঃ আপনার ত্বকে কোন স্থানে কেটে গেলে ক্ষত হয়ে গেলে তা শুকাতে অথবা ক্ষত নিরাময় করতে ই-কাপের উপকারিতা বহুল। আপনার যদি শরীরে কোন ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেটি নিরাময় করতে প্রতিদিন একটি করে ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। ফলে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠবে এবং আপনি ক্ষত থেকে নিরাময় পাবেন।

চোখের সুরক্ষায়ঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ই ক্যাপ রেটিনা সুরক্ষায় সাহায্য করে, ফলে চোখের কিছু রোগ যেমন- ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আমরা সকলে জানি ভিটামিন ই-ক্যাপ আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। আমাদের শরীরে যখন ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তখন শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। যা হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

তাই আপনি নিয়মিত ই-ক্যাপ খেতে পারেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। এতে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে এবং এতে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে।

নখের ভঙ্গুরতা রুখতে ই-ক্যাপঃ আপনারা যারা প্রতিদিন বাইরে অথবা ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে গিয়ে নখের ভঙ্গুরতা দেখা দেয় তাদের জন্য ই-ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আপনারা আপনার ভঙ্গুর নখের উপর তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতিদিন এই ভিটামিন ই-ক্যাপ তেল ভেঙে যাওয়া নখে মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ই-ক্যাপঃ আপনারা যারা ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ই-ক্যাপ সেবন করতে পারেন। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ২০০ IU পাওয়ারের ই-ক্যাপসুল খেতে পারেন।

সানবার্ন ক্রিম হিসেবে ই-ক্যাপঃ আমার যারা বাইরে রোদে কাজ করি তাদের অনেক সময় রোদে পুড়ে শরীর বা ত্বক কালো হয়ে যায়। তাদের কালো দাগ দূর করতে ই-ক্যাপ খুবই উপকারী। ই-ক্যাপে থাকা মশ্চারাইজিং ক্ষমতা শরীরের ত্বককে মশারাইজিং করতে সাহায্য করে। ফলে খুব সহজেই রোদে পোড়া কালো দাগ থেকে দূরে থাকা যায়। আপনি এটি আপনার ব্যবহৃত যে কোন ক্রিমের সাথে মিশিয়ে রোদে কাজ করতে পারেন। যা আপনার মুখ ও ত্বককে রোদের পোড়া থেকে রক্ষা করবে।

ভিটামিন-ই এর অভাবঃ যাদের শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হয়েছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। অবশ্যই ভিটামিন-ই খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। কারণ এটি একটি ওষুধ জাতীয় ক্যাপসুল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ই-ক্যাপঃ আমরা সকলে জানি ভিটামিন-ই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। আর এই ভিটামিন-ই রয়েছে ই-ক্যাপ ক্যাপসুলে। থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই-ক্যাপসুল চমৎকারভাবে উপকারী। নিয়মিত এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনার অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ই-ক্যাপ খাওয়ার কোন বিশেষ নিয়ম নেই। ভিটামিন ই-ক্যাপের সঠিক ডোজ নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শের উপর। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন একটি করে ই ক্যাপ 400 ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। এটি খাওয়ার ভালো সময় হলো খাবারের পর। কারণ ভিটামিন ই একটি ফ্যাট-সলিউবল ভিটামিন, যা খাবারের চর্বির সাথে মিশে সহজেই শোষিত হয়।

মূলত কোনো ঔষধ খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সবার প্রথমে জানতে হবে সেই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম। যদিও আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সব থেকে ভালো বলতে পারবে আপনার ডাক্তার তাই আপনি কোনভাবেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না। দেখে নিন বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়মঃ

  • যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ই-ক্যাপ ৪০০ মিলিগ্রাম থেকে ৮০০ মিলিগ্রাম ওষুধ সেবন করার নিয়ম রয়েছে প্রতিদিন।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণে ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম ওষুধ প্রতিদিন সেবন করার কথা বলেছে।
  • এর পাশাপাশি যাদের থ্যালাসেমিয়া আছে তাদের জন্য ৮০০ আইইউ প্রতিদিন ই ক্যাপ খেতে বলা হয়।
  • গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া একদম উচিত নয়। অবশ্য ১৮ বছরের বেশি গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি খাওয়া যেতে পারে বিশেষ করে গর্ভঅবস্থায় শেষের দিকে প্রতিদিন ১০০০ m.g করে খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ, যদি আপনি সঠিক পরিমাণে খাওয়ান। অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই এক থেকে তিন বছর শিশুদের ক্ষেত্রে 300 IU খাওয়াতে পারেন। আবার 9 থেকে 14 বছর শিশুদের জন্য 450 IU। আর ১৮ বছরের উপরে হলে 1200 IU খাওয়াতে পারেন।
  • যাদের ব্লিডিং ডিসঅর্ডার রোগটি রয়েছে তাদের কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যাবেনা।
  • যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের ক্ষেত্রে কম পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। বেশি পরিমাণ খেলে তাদের ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা 400 IU এর পরিমাণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।
  • এছাড়া যাদের নেক ক্যান্সার রয়েছে তাদের একদমই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত নয়। তবে কম পরিমাণে 400 IU গ্রহণ করতে পারেন।
  • যাদের মাথার চুল ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আছে তাদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন খাবার কথা বলা হয়।

ভিটামিন ই-ক্যাপ কেন খায়

ভিটামিন ই-ক্যাপ খায় মূলত আমাদের শরীরের ভিটামিন-ই এর অভাব পূরণ করার জন্য। এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে ই ক্যাপ আমাদের শরীরে কাজ করে এবং ভিটামিন ই এর অভাব পূরণে ই ক্যাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। এছাড়াও যাদের চুলের সমস্যা রয়েছে তাদের চুল পড়া রোধ করতে এবং মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে ই ক্যাপ অর্থাৎ ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর পাশাপাশি হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া যাতে অসুখ যাদের আছে তাদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এটি শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনারা খেতে পারেন। বিশেষ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি অধিক কার্যকরী। ই-ক্যাপ খেলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি সহ যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

তাই আপনাদের যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে অথবা সেক্সের সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা সেক্সের ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে খাবেন। আপনারা সবাই জানেন সেক্সের জন্য রসুনের উপকারিতা কি তবে আপনারা রসুনের পাশাপাশি সেক্স বৃদ্ধিতে ই-ক্যাপ খেতে পারেন। এতে অবশ্যই পেশাদার এক্সপার্ট এর কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়

ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয় কিংবা মোটা হওয়া যায় কিনা তা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। আমরা অনেকেই আছি যারা স্বাস্থীনতায় ভুগে থাকি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার পরেও অনেকের শরীর দেখা যায় একেবারে খিটখিটে। তাই অনেকেই আপনাকে হয়তো ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খাবার জন্য পরামর্শ প্রদান করতে পারে, তাই আপনারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন ভিটামিন-ই ক্যাপ খেলে মোটা হওয়া যায় কিনা

ভিটামিন-ই ক্যাপ আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন-ই এর ঘাটতি পূরণ করতে খেতে পারি। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এটি খেলে কি ওজন বাড়ে অথবা মোটা হয়। না, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হয় না বরং শরীরে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে।পাশাপাশি শরীরের চাহিদা পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখে। যেহেতু শরীর ভালো রাখে তাহলে একটু হলেও শরীর মোটা হয়ে যেতে পারে।

তবে এর কোন সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমার মতে ভিটামিন ই-ক্যাপসুল খেলে আপনারা সরাসরি মোটা হতে পারবেন না। কারণ এটি কোন মোটা হওয়ার ওষুধ নয়।ই ক্যাপ টেবলেট মুলত ত্বক মসৃন করে, যৌন সমস্যা সমাধান করে এবং মাথার চুল পরা হ্রাস করে। ই-ক্যাপ খেলে আপনি মোটা হতে পারবেন না। আর মোটা হওয়ার জন্য কোন ওষুধ না খেয়ে পুষ্টিকর বা প্রটিনযুক্ত খাবার খান। ওষুধের সাইড ইফেক্ট আছে যা শরীরের জন্য মারাত্তক ক্ষতিকর।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো জানতে চেয়ে অনেকেই গুগল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন। এখানে যে কোন ইউনিট এর ক্যাপসুল ভালো। আপনি কোনটা খাবেন সেটা নির্ভর করছে আপনার রোগ বা শরীরে কতটুকু অভাব আছে তার উপর। বলতে গেলে বাংলাদেশ যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুলো রয়েছে সবগুলোই ভালো। তবে এর মধ্যে থেকে অরজিনালি ক্যাপসুল খাওয়া ভালো।

কারণ বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের নকল ওষুধ তৈরি করে আসছে তাদের থেকে সাবধান থাকতে অরজিনাল ই ক্যাপ চিনে তারপর কিনে খাবেন। তবে সাধারণত বাংলাদেশ জনপ্রিয় কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল হল ই-ক্যাপ ৪০০, ই-ভিট,ই ক্যাপ ২০০ IU এবং ই-জেল ইত্যাদি।

রূপচর্চায় ভিটামিন ই-ক্যাপ এর ব্যবহার

রূপচর্চায় ভিটামিন ই-ক্যাপ এর ব্যবহার করে ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে ভরসা রাখতে পারেন ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের উপর। বাহ্যিকভাবে ত্বকে এর ব্যবহারে নজরকাড়া উজ্জলতা পেতে পারেন।যেহেতু একটা ক্যাপসুল ফুটো করলে প্রায় আধা চা চামচ তেল পাওয়া যায়। তাই নিচের প্রতিটা টিপসের জন্যই ক্যাপসুল ফুটো করে যে তেলটা পাওয়া যায় সেটা আমরা ব্যবহার করব। পাশ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ত্বকে ভিটামিন-ই এর ব্যবহারে আসুন কিছু টিপস জেনে নিই।
রূপ-চর্চায়-ভিটামিন-ই-ক্যাপ-এর-ব্যবহার
ভিটামিন-ই স্কিন সিরামঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল যদি আপনি ত্বকে ব্যবহার করেন তবে বডি শপের সিরামের মতই রেজাল্ট পাবেন। ড্রাই আর নরমাল স্কিনের অধিকারীরা ভিটামিন ই তেল ত্বকে ফোঁটা ফোঁটা লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে বসিয়ে দিন। আর তৈলাক্ত ত্বকের পাঠকরা, আপনাদের জন্য তেলটা খুবই ভারী হবে। তাই মাত্র এক ফোঁটা তেল প্রথমে দুই হাতে নিয়ে ঘষুন, এরপর হাত দুটো মুখে ৫ সেকেন্ড চেপে ধরুন। হয়ে গেল আপনার সিরাম লাগানো। এভাবে ভিটামিন ই ব্যবহার করলে আপনার আর অন্য কোন নাইট ক্রিম বা সিরাম ব্যবহারের দরকার পড়বে না। আর এই টিপসে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন একটু বয়স্করা। কারণ আপনাদের ত্বকের ফাইন লাইন দূর করতে ভিটামিন ই খুবই ভালো হবে।
ভিটামিন-ই হেয়ার সিরামঃ চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে আর রিবনডেড বা কালারড চুলের যত্নে ভিটামিন ই খুবই ভালো হবে। বেশি উপকার পেতে ২-৩ টি ক্যাপসুল ভেঙ্গে ভারী তেলটা একটা পাত্রে নিয়ে স্ক্যাল্প আর চুলে লাগিয়ে নিন। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার মনে হয় এই ট্রিটমেন্টটা আপনার জন্য বেশি ভারী হয়ে যাচ্ছে, শ্যাম্পু করলে যাচ্ছে না তবে এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ টা ক্যাপসুল ভেঙ্গে ব্যবহার করুন। খুব সহজে শ্যাম্পু করতে পারবেন।

ভিটামিন-ই নাইট ক্রিমঃ জানি ১ম টিপস টা ট্রাই করতে অনেকেই ভয় পাবেন। কারণ ফেসিয়াল অয়েল জিনিসটা এখনও এদেশে তেমন জনপ্রিয় না। তাদের জন্য এই টিপস। আপনার পছন্দের নাইট ক্রিম বা হালকা বেবি ক্রিম নিন। এবার এই কৌটায় ১-২ টি ক্যাপসুলের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই ক্রিম রেগুলার ব্যবহারে আপনি এক্সট্রা ভিটামিন ইর গুণটা পাবেন। একই ভাবে আপনার প্রিয় বডি লোশনেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

কনুই আর হাঁটুর জেদি কালো দাগ দূর করতেঃ দীর্ঘদিনের পুরনো স্কিন ড্যামেজের দাগ দূর করতে ভিটামিন ইর কোন তুলনা নেই। আপনার কনুই আর হাঁটুতে যদি এমন দাগ থাকে তবে রেগুলার ১ টা ক্যাপসুলের তেল নিয়ে বা মুখে ব্যবহার করার পর অতিরিক্ত যে তেলটুকু বাকি থাকে তা কনুই আর হাঁটুতে লাগান। ২-৩ সপ্তাহের ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

মসৃণ, গোলাপি ঠোঁট পেতেঃ মুখে, হাতে পায়ে লাগিয়ে যেটুকু তেল থাকবে সেই তেলের ফোঁটাটা ঠোঁটে ভালো ভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কালো , ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার পছন্দের লিপবাম বা ভ্যাস্লিনের সাথে ক্যাপসুল ভেঙ্গে মিশিয়ে সেটাও রেগুলার ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেঃ অনেকেই আছেন যারা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে খাটি বাদাম তেল ব্যবহার করেন। তার সাথে যদি ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নেন তবে খুবই কম সময়ে ভালো ফল পাবেন। সাজগোজে এর আগে ভিটামিন ই তেল দিয়ে অ্যান্টি ডার্ক সার্কেল সিরাম রেসিপি দিয়েছিলাম। সেটাও ফলো করতে পারেন।

অনেক পুরনো কাটা দাগ অথবা ব্রনের দাগ দূর করতেঃ আপনার ত্বকে যদি অনেক পুরনো কাটা দাগ, ব্রনের দাগ বা পক্সের দাগ থাকে তবে রেগুলার সেই দাগে এক-দুই ফোঁটা করে ভিটামিন ই তেল লাগিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে একটু হলেও দাগটা হালকা হবে। এধরনের দাগ হালকা করতে ভিটামিন ই তেল খুবই কার্যকরী।

এগুলো স্কিন আর হেয়ার কেয়ারে তথা রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের কিছু ফুলপ্রুফ ওয়ে। এতে করে কিছু না বুঝে শুনে ক্যাপসুল না খেয়ে ভিটামিন ই এর উপকার আপনি পাবেন। আর যদি খেতেই চান তবে ক্যাপসুল না খেয়ে ভালো সুষম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই শরীরে দেয়ার চেষ্টা করুণ। শাক সবজি, বাদাম, ডিম ইত্যাদি বেশি করে খান। ত্বক আর চুল তো ভালো থাকবেই আর কোন এক্সট্রা ঝুঁকিও নিতে হবে না।

ত্বকে ভিটামিন ই-ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম

ত্বকে ভিটামিন ই-ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম জানতে চেয়েছেন আপনারা অনেকেই। ভিটামিন-ই তে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান যা ত্বকের নানান সমস্যাই সমাধান করে। ভিটামিন-ই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন-ই ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য় করে। মুখে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ভিটামিন-ই এর ব্যবহারে ত্বক থাকে নরম। তাই নিয়মিত ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নিন ত্বকে ভিটামিন ই-ক্যাপ ব্যবহারের নিয়মঃ

ভিটামিন-ই ও গোলাপ জলঃ ভিটামিন ই সরাসরি ত্বকে না লাগানোই ভালো। প্রয়োজনে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল নিন। ২ চামচ গোলপ জল নিন। একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে এক্সট্র্যাক্ট বের করে নিন। এই দুই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সেটা আপনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

ভিটামিন-ই ও অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের জন্য় খুবই ভালো। এই কথা নিশ্চয়ই জানেন। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বকে অ্যাকনের মতো সমস্যা সমাধান করে। ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখে।

একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। তার মধ্য়ে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে দিন এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক্সট্র্যাক্ট মেশাতে হবে। প্রতিটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। সেটি আপনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

টি ট্রি অয়েল ও ভিটামিন-ইঃ টি ট্রি অয়েল আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এর মধ্য়ে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আপনার ত্বকের অ্যাকনের সমস্যা সমাধান করে। সহজেই অ্যাকনে হতে দেয় না। এদিকে ভিটামিন ই-এর উপকারী অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানও আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

একটি পাত্রে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল নিন। তার মধ্য়ে দুই - তিন ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে দিন। এবং তার মধ্য়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক্সট্র্যাক্ট মেশান। সেটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি ও ভিটামিন-ইঃ গ্রিন টি এক কাপ নিন। গ্রিন টি ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিন। ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিন। তার এক্সট্র্যাক্ট বের করে নিন। ভিটামিন ই ও গ্রিন টি মিশিয়ে দিন।

প্রত্যেকটি উপাদান ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার ওই মিশ্রণ ভালো করে ঠান্ডা করে নিন। ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন। তারপর সেটি মুখে লাগান। এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে ভিটামিন ই-ক্যাপ যেভাবে ব্যবহার করবেন

চুলের যত্নে ভিটামিন ই-ক্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অনেকেই। প্রখর তাপদাহ, ধুলায় যেমন ত্বকের ক্ষতি হয় ঠিক তেমনি চুলেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। চুলের যত্নে ভিটামিন-ই ক্যাপের জুড়ি নেই এতে থাকা নানা উপাদান চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পাকা রোধ করে। ভিটামিন-ই চুলের আগা ফাটা রোধেও বেশ কার্যকর। চুলের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই-ক্যাপসুলঃ

ভিটামিন ই-ক্যাপ ও অ্যালোভেরা জেলঃ একটি পাত্রে সাত-আটটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তার থেকে তেল বের করে নিন। সেই তেলের সঙ্গে দু’ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। আঙুল দিয়ে আলতোভাবে মালিশ করুন। মাস্কটি ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এটি ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমবে।

ভিটামিন ই-ক্যাপ, ডিম ও বাদাম তেলঃ একটি ডিম ভেঙে একটি পাত্রে রাখুন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ বাদাম তেল নিয়ে মিশ্রণটির সঙ্গে ভালো করে মেশান। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে সারা চুলে এই মাস্কটি লাগান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন ই-ক্যাপ, দই এবং মধুঃ একটি পাত্রে অর্ধেক কাপ দই ও দু’ চামচ মধু নিয়ে নিন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে দইয়ের মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’দিন এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে। চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরবে।

ভিটামিন ই-ক্যাপ আমন্ড অয়েলঃ একটি পাত্রে পরিমাণ মতো কেরিয়ার অয়েল নিন। আপনি নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মেশান। সেই তেল আপনার মাথায় লাগিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে ভালো করে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। স্ক্যাল্পে কোনও সমস্যা থাকলে বা চুলের কোনও চিকিৎসা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও তেল ব্যবহার করবেন না।

ভিটামিন ই-ক্যাপ ও জোজোবা অয়েলঃ জোজোবা অয়েলের সঙ্গে মিশে বেশ কার্যকরী হয়ে ওঠে ভিটামিন ই অয়েল। তাই এই দুই উপাদান মিশিয়ে যদি আপনার হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে যে উপকার মিলবেই, সে কথা এক প্রকার নিশ্চিত করে বলা যায়।পাত্রে একটি ডিম ফাটিয়ে নিন। তার মধ্য়ে দিন ১ চামচ জোজোবা অয়েল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস। প্রতিটি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করুন হেয়ার মাস্কটি। চুলে লাগানোর পরে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

ভিটামিন ই-ক্যাপ ও নারিকেল তেলঃ চুল ভাল রাখতে তেল মালিশ করা জরুরি। তবে নারিকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুলের ঘনত্বও বেশি হয়। পুষ্টি পায় চুল। খুশকির সমস্যাতেও এই টোটকা কার্যকরী হতে পারে।

যৌন সমস্যায় ভিটামিন ই-ক্যাপ কিভাবে কাজ করে

যৌন সমস্যায় ভিটামিন ই-ক্যাপ বেশ কিছু উপায়ে কাজ করতে পারে। ই-ক্যাপ মুলত ভিটামিন-ই এর সকল অভাব পূরণ করে পুরুষদের লিঙ্গে রক্ত সনঞ্চালন বৃদ্ধি করে পেনিসের শক্ত ও উত্থানে সাহায্য করে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে, যা ইরেকশন এবং যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে পারে। ভিটামিন ই-ক্যাপের যৌন সমস্যায় কাজ করার কিছু নির্দিষ্ট উপায় হল

কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষাঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি লিঙ্গের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে, যা ইরেকশন এবং যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে পারে।

রক্ত ​​প্রবাহ উন্নতঃ ভিটামিন ই রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে ইরেকশনকে উন্নত করতে এবং মহিলাদের মধ্যে যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণঃ ভিটামিন ই হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে এবং মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ভিটামিন ই-ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম হলোঃ
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন 200-400 IU ভিটামিন ই গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে আপনার জন্য সঠিক ডোজ নিশ্চিত করতে পারেন। ভিটামিন ই-ক্যাপগুলি সাধারণত খাবারের সাথে বা খাবারের পরে নেওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন ই-ক্যাপ সেক্স সমস্যার জন্য একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি একটি ওষুধ নয় এবং এটি সব ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। যদি আপনি সেক্স সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে সেক্স সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে-যেমনঃ

  •  এটি একটি সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অন্তর্ভুক্ত।
  •  মানসিক চাপ সেক্স সমস্যার একটি সাধারণ কারণ।
  • আপনার সেক্স সমস্যাগুলি সম্পর্কে আপনার সঙ্গীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি সেক্স সমস্যায় ভুগছেন তবে সাহায্য চাইতে ভয় পাবেন না। আপনার ডাক্তার বা একজন যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আপনাকে আপনার সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে।

ই-ক্যাপ কখন খেতে হয়

ই-ক্যাপ কখন খেতে হয় এর নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন। তবে কোনো কারণ ছাড়া খাওয়া দরকার নেই। ই-ক্যাপ মূলত ভিটামিন-ই উপাদান সমৃদ্ধ ওষুধ।ই ক্যাপ আপনি দৈনিক এক থেকে দুইটা খেতে পারেন তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অন্যথায় সাপ্লিমেন্টারি এসব ভিটামিন খাবারের সাথে বা খাওয়া শেষের পরে খাওয়া উত্তম এবং সেই সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে নতুবা বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন ই-ক্যাপ সকালের নাস্তার পর, দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পরে খাওয়া উত্তম। তবে ডাক্তার যদি কোন নির্দিষ্ট সময় দিয়ে থাকে সেই সময় খাওয়াটা উত্তম হবে। পুরো ক্যাপসুল পানি দিয়ে গিলে খাবেন নরমাল মেডিসিনের মতোন। এক্ষেত্রে পুরোটাই ক্যাপসুল বা ট্যাবলেটের মত খেতে হয়। খোসা ফেলেও খাওয়া যায়। তবে সেটার প্রয়োজন নাই। ওটাও এক প্রকার ক্যাপসুল যেটা অন্য ক্যাপসুলের মতই খাওয়া যায়।

ই ক্যাপ খেলে মূলত শরীরে ভিটামিন-ই এর অভাব পূরন করে চুল পড়া বন্ধ করে, শরীর সুগঠনে সাহায্য করে আপনি খেতে পারবেন যদি আপনার ভিটামিন ই অভাব থাকে চুল পড়ার সমস্যা থাকে। মূলত এই ক্যাপসুল গুলো দীর্ঘদিন খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

এছাড়াও আপনি এটি বাহ্যিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। যেমন চুলের স্বাস্থ্যের ও মুখের ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যখন দেখবেন আপনার শরীরে ভিটামিন-ই এর অভাব দেখা দিয়েছে তখন আপনারা ভিটামিন ই-ক্যাপ খেতে পারেন। এছাড়া এর কোন আলাদা সময় নেই।

ই-ক্যাপ ৪০০ এর উপকারিতা

ই-ক্যাপ ৪০০ এর তেমন বিশেষ কোন উপকারিতা নেই। এটি ভিটামিন ই-র সকল অভাব পুরন করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন-ই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে, পেশীর দুর্বলতা দুর করে, ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে, চুলের ও পশমের রক্ত চলাচল ঠিক রেখে পুষ্টি সরবরাহ করে। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দারুণ কার্যকরী। তবে কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমার এখন বিস্তারিত আলোচনা করব।
ই-ক্যাপ-৪০০-এর-উপকারিতা
  • আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ই-ক্যাপ 400 ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুল পড়া রোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • মাথার চামড়ায় তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের গোড়া মজবুত করতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • শরীরে এনার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের রক্তচাপ ও হাটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • এছাড়া ই-ক্যাপ ৪০০ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে ই-ক্যাপের উপকারিতা চমৎকার।
  • এছাড়াও আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে ই-ক্যাপ 400 খেতে পারেন।
  • যাদের নার্ভের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ 400 এর উপকারিতা অধিক।

ই-ক্যাপ এর অপকারিতা

অন্যান্য ভিটামিনের মতোই ভিটামিন-ই আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন-ই আমাদের শরিরকে যে কোনরকম অসুস্থতা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই-ক্যাপের ভালো গুণের ভীড়ে খারাপ গুণ পাওয়া মুশকিল। তবুও এর ব্যবহার ভুল হলে ও অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নিই ই-ক্যাপ এর অপকারিতা সম্পর্কে।

  • অত্যাধিক পরিমাণে ই-ক্যাপ গ্রহণ করলে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ই-ক্যাপ সেবন করলে আমাশয় রোগ দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়াও এটি অধিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • অনেক সময় এটি অধিক সেবন করলে বমি ভাব দেখা দেয়।
  • যারা গর্ভবতী মায়ের রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ না খাওয়াই ভালো। খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
  • এছাড়াও কোন কোন সময় অধিক পরিমাণে সেবন করলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

ই-ক্যাপের তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা অপকারিতা নেই বলতে গেলে। যদি না আপনারা অধিক পরিমাণে খান। অধিক পরিমাণে গ্রহন করলে কি সমস্যা হবে তা আপনারা দেখতে পেলেন। তবে অপকারের চেয়ে উপকারিতায় বেশি।

ভিটামিন ই-ক্যাপ সম্পর্কে শেষকথা

ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা হলো দেহের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই-ক্যাপ রক্তনালীগুলিকে প্রশস্ত করতে এবং রক্ত ​​​​জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের খেয়াল-খুশিমতো এক মাস কিংবা দুমাসের জন্য ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করে দেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

কেননা, এতে শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ভিটামিন-ই সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন এবং আপনার যদি কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের আলোচনা সাপেক্ষে ওষুধ গ্রহণ করবেন ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার জন্য উপযুক্ত কি না জেনে নিবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভিটামিন ই-ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url