কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে আলোচনা করবো।
কাতিলা গাম প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য, ইরান এবং আফগানিস্তানে পাওয়া যায়। কাতিলা গাম
একটি উল্লেখযোগ্য পুষ্টির উপাদান, যাতে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন এবং
কার্বোহাইড্রেট। সেই সাথে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো
প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে।
এটি ট্রাইটারপেনয়েড এবং পলিস্যাকারাইডের মতো বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলিকে আশ্রয়
করে, যা এর থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যগুলিতে অবদান রাখে কম চর্বি এবং ক্যালোরির সাথে।
এটি একটি সুষম খাদ্যের উপযুক্ত সংযোজন হিসাবে কাজ করে। এই ব্লগে,
কাতিলা গাম এর উপকারিতা এবং পুষ্টি গুণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পেইজ সূচিপত্রঃ কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- কাতিলা গাম কি
- কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
- কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা
- কাতিলা গামের পুষ্টিগুণ
- মহিলাদের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা
- পিরিয়ডের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা
- ত্বকের যত্নে কাতিলা গাম এর উপকারিতা
- কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
- কাতিলা গাম খাওয়ার অপকারিতা
- কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে শেষকথা
কাতিলা গাম কি
কাতিলা গাম যা ট্রাগাকান্থ গাম নামেও পরিচিত, এটি একটি প্রাকৃতিক রজন যা বিভিন্ন
অ্যাস্ট্রাগালাস উদ্ভিদ প্রজাতির রস থেকে নিষ্কাশিত হয়। কাতিলা গাম সাদা বা
হালকা লালচে বর্ণের, যা দেখতে অনেকটা তাল মিশ্রির মতো। কাতিলা গাম উদ্ভিজ্জ্য
উপাদান এটি উদ্ভিদের শিকড়ের রস যা শুকনো অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। কাতিলা গাম
স্বাদহীন, গন্ধহীন এবং পলিস্যাকারাইডের পানির দ্রবণীয় মিশ্রণ। এটি ব্যবহারে
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ পুরুষের জন্য আলকুশি বীজের উপকারিতা
এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হিট
স্ট্রোক প্রতিরোধে কার্যকর। এর পাশাপাশি, হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি অটুট রাখতে সহায়ক। কাতিলা গাম চকচকে ত্বক পাওয়ার জন্যও
উপকারী, এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি যৌন ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম হলো খালি পেটে অথবা ভরা পেটে আপনি দু-ভাবেই খেতে পারবেন।
তবে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি রাতে ঘুমানোর
পূর্বে ৩ থেকে ৪ গ্রাম কাতিলা গাম নিয়ে একটি পাত্রে পরিমান মতো পানিতে ভিজিয়ে
রাখবেন। জিনিষটা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা জেলির মতো হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে
খালিপেটে ভেজানো কাতিলা গাম খেয়ে নিবেন।
চাইলে আপনি এর সাথে কছুটা পানি, মধুসহ অন্যান্য জিনিস মিশিয়েও খেতে পারবেন।
কাতিলা গাম খালি পেটে খেলে বেশি উপকারিতা বেশি পাবেন। কারো যদি পনিতে ভিজিয়ে
খেতে সমস্যা হয় তাহলে দুধ বা শরবতের সাথেও খেতে পারবেন। শারীরিক সমস্যা ও
পুরুষের যৌন শক্তি বাড়াতে একটি কার্যকরি ভেষজ হারবাল। কাতিলা গম, ইসবগুলের ভুষি,
কালোজিরা, অশ্বগুঁড়া ও তালমাখনা দিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে খেলে যৌন সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে পারবেন।
কাতিলা গাম একটি উদ্ভিদজাত উপাদান, যা গন্ধহীন এবং স্বাদহীন। এটি মূলত
পলিস্যাকারাইডের পানির দ্রবণীয় মিশ্রণ, যা উদ্ভিদের শিকড় থেকে সংগ্রহ করে
শুকিয়ে তৈরি করা হয়। কাতিলা গাম খুবই উপকারী একটি উপাদান, যা বিভিন্ন রোগের
উপশমে সহায়তা করে। এটি বিশেষ করে প্রস্রাবের আগে ও পরে জ্বালা-পোড়া উপশমে
কার্যকর, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করে।
কাতিলা গাম গুঁড়ো, দানাদার বা এর প্রাকৃতিক রজনী অবস্থা সহ বিভিন্ন আকারে ব্যবহার
করা যেতে পারে। কাতিলা গাম এর ডোজ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে নির্ভর করে।
একটি সাধারণ নির্দেশিকা হিসাবে, জল, দুধ বা ফলের রসের সাথে মিশ্রিত গুঁড়ো আঠা
১-২ চা চামচ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপরন্তু, এটি স্যুপ, স্ট্যু, ডেজার্ট
এবং পানীয়গুলিতে যোগ করা যেতে পারে তাদের পুরুত্ব বাড়াতে। একটি বড় প্যানে ১
লিটার জলে ২ চা চামচ গোন্ড কাটিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়
এবং তারপরে পরের দিন সকালে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা
কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা মানব জীবনে কতটা তা অনেকেই জানেন না। গন্ড কাটিরা হলো
একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আঠা যা অনেকগুলি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, বেশিরভাগই
এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। এটিতে স্বাস্থ্যকর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা
হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আঠা অতিরিক্ত
ক্যালসিয়ামের জন্য পরিচিত, যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁত রাখার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
কাতিলা গাম ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সহ অন্যান্য
প্রয়োজনীয় খনিজগুলির একটি ভাল উৎস। যদিও পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং
শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর
কাজের জন্য অপরিহার্য। এই খনিজগুলির কারণে সাধারণ স্বাস্থ্যকে সমর্থন করার
জন্য কাতিলা গাম একটি দুর্দান্ত বিকল্প। চলুন কাতিলা গমের উপকারিতা নিয়ে
আলোচনা করা যাক-
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আপনার যদি শরীরে বিভিন্ন রকম
রোগ খুব অল্পতে বাসা বেধে থাকে তাহলে নিয়মিত কাতিলা গাম সেবন করলে আপনি
বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন। কাটিলা গামে থাকা বিভিন্ন
ঔষধি গুণ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী।
শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ যারা শারীরিকভাবে দুর্বল কিংবা, অল্প কাজ
করলে ক্লান্ত হয়ে যান তাদের জন্য কাতিলা গাম খুবই উপকারী এবং প্রয়োজনীয়
একটি খাদ্য। নিয়মিত কাতিলা গাম খেলে আপনার শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং
আপনার কাজ করার ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ যাদের যৌন অক্ষমতা রয়েছে, দ্রুত বীর্যপাতের
সমস্যা রয়েছে, বীর্য অনেক পাতলা তাদের জন্য কাতিলা গাম একটি সহজ সমাধান।
নিয়মিত ব্যবহার পুরুষের লিবিডো উন্নত করে যৌন-শক্তি বাড়ায়। পুরুষদের যৌন
ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাতিলা গাম ম্যাজিকের মত কাজ করে। আপনার যদি যৌন শক্তি
দুর্বল হয়ে থাকে কিংবা বীর্য পাতলা হয় তবে কাতিলা গাম আপনার জন্য মহৌষধ
স্বরূপ। এবং এর ফলাফল অনেক দ্রুত পাওয়া যায়। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে
প্রতিদিন দুই বেলা কাতিলা গাম খেলে খুব দ্রুত সুফল পাওয়া যায়।
বীর্য গাঢ় করেঃ যদি কম কামশক্তি (যৌন শক্তি) থাকে কিংবা বীর্য পাতলা
হয় তবে কাতিলা গামের নিয়মিত ব্যবহার আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করবে
পারে। পুরুষের বীর্য গাঢ় এবং বীর্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কাতিলা
গাম।
স্টকের ঝুঁকি কমায়ঃ কাতিলা গাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী
একটি উপাদান। কাতিলা গাম খুব সহজেই আপনার শরীরকে ঠান্ডা রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি
কমিয়ে দিবে। তাই স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে নিয়মিত কাতিলা গাম সেবন করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কাতিলা গাম এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন ঔষধ এও
সমাধান হচ্ছে না তারা নিয়মিত কাতিলা গাম সেবন করলে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া বন্ধ করেঃ কাতিলা গাম খুব দ্রুত শরীরকে
ঠান্ডা করে তাই যাদের হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত
কাতিলা গাম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন। বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময়
এটি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই দরকারি।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং হজমের জন্য কাতিলা
গাম অত্যন্ত উপকারী। এতে উপস্থিত এনজাইম খাবার হজম সহজ করে এবং
মলত্যাগকে নিয়মিত করে। কাতিলা গাম এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যাদের
হজমে সমস্যা রয়েছে বা পেটের বিভিন্ন অসুখ রয়েছে তারা নিয়মিত কাতিলা গাম
খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ কাতিল গাম ফাইবার সমৃদ্ধ এবং দেহের বিপাক
বাড়ানোর বৈশিষ্ট্যযুক্ত। উচ্চ ফাইবারের কারনে তৃপ্তি এবং ক্ষুধা যন্ত্রণ
কম অনুভূত হয়। বর্ধিত বিপাকীয় হার স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেহের শক্তির
প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে যার ফলে চর্বিতে রূপান্তরিত করতে কম সংখ্যক
ক্যালোরি থাকবে। সুতরাং, যদি আপনি অতিরিক্ত শরীরের ওজন হারাতে চান বা ওজন
রক্ষণাবেক্ষণের ডায়েটে থাকেন তবে এটা আপনাকে অনেকাংশে সহায়তা করতে পারে।
ইমিউন সিস্টেম উন্নতি করেঃ আপনার যদি বার বার সংক্রমণ হয় যেমন কাশি
এবং সর্দি এবং যদি কোনও আপোসযুক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তবে কাতিো গাম সেবন
করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিরক্ষা উন্নতিতে আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে
পারেন।
ত্বক ও চুল সুন্দর রাখেঃ যারা ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তিত
তারা নিয়মিত নিয়মমাফিক কাতিলা গাম সেবন করতে পারেন। এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টিগুণের কারণে এটি আপনার ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখবে। কাতিলা গাম এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য, যা
ব্রণ ও ব্রণ এর দাগ দূর করতে খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং
ক্যালসিয়াম রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেঃ মানব দেহের জন্য উপকারী
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ কাতিলা গাম এ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকায় তা
গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে বিশেষভাবে কার্যকর। গর্ভবতী
মায়েরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কাতিলা
গাম সেবন করতে পারেন এতে করে মা ও সন্তান দুইজনেরই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে
শরীর শীতল রাখেঃ আপনি নিয়ম করে ২ বেলা কাতিলা গাম পানিতে ভিজিয়ে
তাতে লেবু, একটু মধু, তালমিছরি বা লাল চিনি মিশিয়ে সেবন করেন
তাতে শরীর শীতল হবে ও সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে । এছাড়াও, গ্রীষ্মের
প্রচণ্ড গরম যারা সহ্য করতে পারেন না এবং হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
এমন ব্যক্তির জন্য কাতিলা গাম হতে পারে অত্যন্ত উপকারি।
মেটাবলিজম বাড়ায়ঃ কাতিলা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে
সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। এর উচ্চ ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের
জন্য পেট পূর্ণ রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে শরীরের উপকার করে।
কাতিলা গাম এর পুষ্টিগুণ
কাতিলা গাম এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। কাতিলা প্রোটিন এবং
ফলিক এসিডে পরিপূর্ণ। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে খাওয়া যায়। গরমে খুবই
আরামদায়ক। এটি খেলে চোখের নিচে কালি দূর হয়, ওজন কমে, ওজনের ভারসাম্য বজায়
রাখে। ইসবগুলের ভুষি, তালমাখনা, কাতিলা, কালোজিরে, অশ্বদানা মিশ্রণ একসাথে খেলে
ভালো উপকার পাওয়া যায়। মেয়েদের লিকুরিয়ার সমস্যায় খাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাতিলা গামে রয়েছেঃ
উপাদান | পরিমান |
---|---|
ক্যালোরি | ৭০ কিলোক্যালরি |
ফাইবার | ৩০ গ্রাম |
ফ্যাট | ৩১.৮৬ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৩৫ গ্রাম |
সোডিয়াম | ৯ গ্রাম |
হইড্রেটেস | ৫ গ্রাম |
প্রোটিন | ৯.৫১ গ্রাম |
আয়রন | ২ গ্রাম |
ভিটামিন | ২ গ্রাম |
মহিলাদের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা
মহিলাদের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা ও বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য
সুবিধা প্রদান করে, এটি তাদের খাদ্যতালিকা এবং সুস্থতার রুটিনে একটি মূল্যবান
সংযোজন করে তোলে। এর প্রাথমিক সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হলো প্রজনন স্বাস্থ্যের
উপর ইতিবাচক প্রভাব। গন্ড কাটিরা মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,
মাসিকের ক্র্যাম্প উপশম করে এবং এর প্রদাহরোধী এবং হরমোন-ভারসাম্যকারী
বৈশিষ্ট্যের কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত কমায়।
উপরন্তু, কাতিলা গাম ত্বকের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, যা অনেক মহিলার জন্য
উদ্বেগের বিষয়, ত্বককে হাইড্রেট করে এবং এর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। এর
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ব্রণ এবং ত্বকের জ্বালা কমাতে সাহায্য
করে, একটি পরিষ্কার এবং আরও উজ্জ্বল রঙের প্রচার করে। কাতিলা গামে থাকা উচ্চ
ফাইবার উপাদান হজমের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং
নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি প্রচার করে, যা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রসবোত্তর পুনরুদ্ধারের সম্মুখীন মহিলাদের জন্য, কাতিলা গাম এর নিরাময় এবং
পুনরুদ্ধারের বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে উপকারী হতে পারে। এটি হারানো পুষ্টি
পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করে, দ্রুত পুনরুদ্ধারের প্রচার করে এবং সামগ্রিক
শক্তিকে সমর্থন করে। তাছাড়া, এর হালকা রেচক প্রভাব প্রসবোত্তর কোষ্ঠকাঠিন্য
প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গন্ড কাতিরাতে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের
মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপস্থিতি হাড়ের স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে, যা
মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা বয়স বাড়ায় এবং
অস্টিওপোরোসিসের উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
তদুপরি, কাতিলা গামের প্রাকৃতিক হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য এটিকে চুলের যত্নের
জন্য একটি চমৎকার উপাদান করে তোলে, শুষ্কতা হ্রাস করে এবং শক্তিশালী, চকচকে
চুল প্রচার করে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এর ভূমিকা মেনোপজের লক্ষণগুলি
পরিচালনা করতেও সাহায্য করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারীতা ব্যপক। এটি মা ও শিশুর জন্য খুবই
উপকারী। কাতিলা গাম খুবই পুষ্টিকর এবং কাতিলা গাম হলো ঐতিহ্যগতভাবে গর্ভবতী
মহিলাদের স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলির মধ্যে একটি কারণ এটি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন
সমৃদ্ধ। এটি শক্তিশালী হাড়ের বিকাশ এবং পিঠে ব্যথা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
প্রসবের পর মহিলারা সত্যিই দুর্বল হয়ে পড়েন।
গর্ভাবস্থার পরে মহিলাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির
প্রয়োজন হয় যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মহিলাদের সাহায্য করে। কাতিলা গাম
শরীরের শক্তি অর্জনে সহায়ক এবং নতুন মাকে মাতৃত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়
সহায়তা করে। স্তন্যদানকারী মায়েদের কাতিলা গাম খেতে বলা হয় কারণ এটি মায়ের
দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
সুতরাং, এই বিস্ময়কর প্রাকৃতিক আঠা স্তন্যদানকারী মায়েদের উপর ইতিবাচক প্রভাব
ফেলে। নতুন মায়েদের কাতিলা গাম খাওয়া স্তন্যদানে সাহায্য করতে পারে, হরমোনের
ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে, হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ও শক্তি
সরবরাহ করতে পারে। এটি পিরিয়ডের সময় ভারী রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতেও
সাহায্য করে।
পিরিয়ডের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা
পিরিয়ডের জন্য কাতিলা গামের উপকারিতা রয়েছে ব্যপক। কাতিলা গাম বা ট্রাগাকান্থ
গাম, মাসিকের স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেয়, এটি মহিলাদের মধ্যে
একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক প্রতিকার করে তোলে। এর প্রাথমিক সুবিধাগুলির মধ্যে
একটি হলো মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। একটি নিয়মিত প্যাটার্ন স্থাপনে
সহায়তা করার মাধ্যমে যাদের অনিয়মিত পিরিয়ড আছে তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী
হতে পারে কাতিলা গাম।
মাসিক অনিয়মের সাথে সম্পর্কিত অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। কাতিলা গাম
প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য মাসিকের বাধা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি জরায়ু এবং আশেপাশের টিস্যুতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা
প্রায়ই মাসিকের সাথে থাকা ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। এই প্রাকৃতিক
প্রশান্তিদায়ক প্রভাব পিরিয়ডের সময় সামগ্রিক আরাম বাড়াতে পারে।
অধিকন্তু, কাতিলা গাম তার শীতল বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত, যা বিশেষত
ঋতুস্রাবের সময় প্রশান্তিদায়ক যখন মহিলারা ঘাম এবং ক্লান্তির মতো
তাপ-সম্পর্কিত লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারে। একটি শীতল সংবেদন প্রদান করে, এটি এই
অস্বস্তিগুলি উপশম করতে সাহায্য করে, আরও আরামদায়ক মাসিক অভিজ্ঞতায় অবদান
রাখে।
ত্বকের যত্নে কাতিলা গাম এর উপকারিতা
ত্বকের যত্নে কাতিলা গাম খুবই উপকারী। কাতিলা গাম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ
কিছু সুবিধা দেয়, এটি ত্বকের যত্নের রুটিনে একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক প্রতিকার।
এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য উপরিভাগে প্রয়োগ করা হলে বা
অভ্যন্তরীণভাবে খাওয়া হলে, কাতিলা গাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে,
স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
এটি সমস্ত ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী করে তোলে, ডিহাইড্রেটেড ত্বক ফ্ল্যাকিনেস
এবং রুক্ষতা প্রবণ। হাইড্রেটেড গন্ড কাটিরার জেলের মতো সামঞ্জস্য ত্বকের উপর
একটি প্রতিরক্ষামূলক ফিল্ম তৈরি করে, যা আর্দ্রতা আটকাতে এবং জলের ক্ষতি রোধ
করতে সাহায্য করে। এই বাধা ফাংশনটি শুধুমাত্র ত্বককে হাইড্রেট করে না বরং
পরিবেশগত দূষণকারী এবং বিরক্তিকরগুলির বিরুদ্ধে এর প্রাকৃতিক বাধাকেও সমর্থন
করে, একটি স্বাস্থ্যকর বর্ণকে প্রচার করে।
অধিকন্তু, কাতিলা গাম প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি বিরক্তিকর ত্বককে
প্রশমিত করতে পারে এবং ব্রণ, একজিমা বা সানবার্নের মতো অবস্থার কারণে সৃষ্ট
লালভাব এবং ফোলাভাব কমাতে পারে। নিয়মিত ব্যবহার সংবেদনশীল ত্বককে শান্ত করতে
এবং প্রদাহজনিত ত্বকের অবস্থার সাথে যুক্ত অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কাতিলা গামের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়, এটি গরম আবহাওয়ার সময়
বা অতিরিক্ত উত্তপ্ত ত্বককে প্রশমিত করার জন্য বিশেষভাবে উপকারী করে তোলে। এর
প্রয়োগে রোদে পোড়া বা তাপ ফুসকুড়ি থেকে তাৎক্ষনিক ত্রাণ প্রদান করতে পারে,
একটি সতেজ সংবেদন প্রদান করে।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ কাতিলা গাম কি কাজ করে?
উত্তরঃ কাতিলা গাম শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হিট স্ট্রোক
প্রতিরোধে, হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করতে, গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি অটুট রাখতে,
চকচকে ত্বক পেতে, ওজন কমাতে, যৌন ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে কাজ করে।
প্রশ্নঃ কাতিলা গাম কি চুলের জন্য ভালো?
উত্তরঃ হ্যাঁ, গোন্ড কাটিরা চুলের জন্য ভালো। এটি চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে, চুলের
বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং চুলে চকচকে যোগ করে। এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যগুলি
শুষ্কতা এবং কুঁচকে যাওয়া মোকাবেলায় সহায়তা করে। ভেজানো জেলকে অন্যান্য
প্রাকৃতিক উপাদান যেমন দই বা অ্যালোভেরার সাথে মিশিয়ে চুলে এবং মাথার ত্বকে
লাগিয়ে এটি হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ জয়েন্টে ব্যথার জন্য কোন কাতিলা গাম সেরা?
উত্তরঃ জয়েন্টে ব্যথার জন্য সেরা কাতিলা গাম হল গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত ভোজ্য আঠা দিয়ে
তৈরি কাতিলা গাম সিয়াহ বা কাতিলা গাম লাডু। এই ধরনের কাতিলা গাম প্রদাহ-বিরোধী
বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং ঐতিহ্যগতভাবে জয়েন্টগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা উপশম
করতে ব্যবহৃত হয়। কাতিলা গাম লাডু, ঘি এবং বাদামের মতো অন্যান্য উপকারী উপাদান
দিয়ে তৈরি, জয়েন্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে
পারে।
প্রশ্নঃ কাতিলা গাম খেলে কি হয়?
উত্তরঃ নিয়মিত কাতিলা গাম খেলে শারীরিক দূর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, ত্বকের
সুষ্কভাব, যৌন দূর্বলতা প্রভৃতি দূর হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত গরমজনিত কারণে স্টোকের
সম্ভাবণা কমাতে শরীর শীতল রাখে, পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন ও মেদ বৃদ্ধি প্রতিরোধ
করে। এককথায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাতিলা গাম খাওয়ার অপকারিতা
কাতিলা গাম খাওয়ার অপকারিতা নেই বললেই চলে, অর্থাৎ এই গাম সেবনে উল্লেখ করার
মতো তেমন কোনো অপকারিতা দেখা যায়নি। তবে সঠিক নিয়মে পরিমাণমতো সেবন না করলে
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই প্রাকৃতিক আঠার সতর্কতা এবং
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির দিকে নজর দেওয়াও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কাতিলা খাওয়ার অপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- কাতিলা গাম সাধারণত পানিতে ভিজলে প্রসারিত হয় এবং জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে। তাই এটিকে পর্যাপ্ত পানি মিশিয়ে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গলায় প্রসারিত হতে পারে এবং দমবন্ধ হতে পারে।
- কারো কারো কাতিলা গামে এলার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে তবে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী হন বা বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার স্বাস্থ্যসেবার পরামর্শ নিন।
- কিছু ক্ষেত্রে, যদি কাতিলা গাম প্রচুর পরিমাণে বা পর্যাপ্ত তরল ছাড়া খেলে এটি হজমের অস্বস্তি যেমন ফোলাভাব, গ্যাস এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
- এটি কিছু ক্ষেত্রে মানবদেহে ডিহাইড্রেশনের কারণও হতে পারে, আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ভাল পরিমাণে তরল বা জলের সাথে গন্ড কাটিরা খেতে ভুলবেন না।
- কাতিলা গাম আঠা বা জেল জাতীয় পদার্থ। কাতিলা কোন ঔষধের সাথে সেবন করলে তা পেটে ও অন্ত্রে ওষুধের সাথে লেগে থাকতে পারে।
- মুখের মাধ্যমে যে সকল ওষুধ সেবন করেন তার সাথে একই সময়ে কাতিলা সেবন করলে শরীর ওষুধ শোষণ হ্রাস করতে পারে এবং ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। যেকারণে, মুখে খাওয়ার ওষুধের অন্তত এক ঘন্টা পরে কাতিলা গাম খাবেন।
- কাতিলা গাম প্রচুর পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন, যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন এটি আপনার অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে।
- কাতিলা গাম আঠা জাতীয় পদার্থ, পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ওঠে। একারণে পর্যাপ্ত সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখা প্রয়োজন। যদি অল্প সময় পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলেন, তবে পেটে গিয়ে ফুলে উঠবে এবং অন্য খাদ্যকণাকে আটকে ধরবে সহজেই।
- কাতিলা খালি পেটে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়, এক্ষেত্রে ভুল বশত পানিতে ভালভাবে না মিশিয়ে খেলে হজম সমস্যা থেকে শুরু করে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে শেষকথা
কাতিলা গামের উপকারিতা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে
কাজ করে। কাতিলা গাম সাধারণত ব্যবহার করা নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে এর
কিছু নেতিবাচক পরিণতি হতে পারে। সবচেয়ে ঘন ঘন সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল,
অতিরিক্ত গ্রহণ করলে, এটি বড় রেচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে পেট খারাপ বা
ডায়রিয়া হতে পারে। পেট খারাপ হওয়া রোধ করতে, এটি পরিমিতভাবে খাওয়া
গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, যেহেতু গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য কাতিলা
গাম নিরাপত্তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাই এই কাতিলা গাম মহিলাদের
সম্পূরক হিসাবে ব্যবহার করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
অ্যালার্জির ইতিহাসও বিবেচনায় নেওয়া উচিত, যেহেতু কিছু লোকের মাড়িতে
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কাতিলা গামকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত
করার আগে, ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের সমস্যাগুলির মতো প্রাক-বিদ্যমান চিকিৎসা
রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে কথা বলা
উচিত।
আপনি যদি সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হন, তবে নিরাপদ
থাকা এবং চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া সর্বদা ভাল। যেকোনো প্রাকৃতিক প্রতিকারের
মতোই সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়। কাতিলা গাম খাওয়ার সময় সঠিক হাইড্রেশন
নিশ্চিত করা জটিলতা রোধ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং অ্যালার্জি বা
নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত অবস্থার ব্যক্তিদের তাদের রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করার
আগে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url