শিমুল মূলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম


শিমুল মূলের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর বিশেষ করে পুরুষদের জন্য। শিমুল একটি বহু পরিচিত ঔষধি উদ্ভিদ। শিমুল মূল যেহেতু প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ তাই কিছুদিন খেলে স্থায়ি উপকার পাত্তয়া যায়। এই গাছের মূলে আছে নানারকম ঔষধী গুণাগুণ। শারীরিক দূর্বলতা এবং যৌন সমস্যা সমাধানে শিমুল মূল খুবই উপকারী। 
শিমুল-মূলের-উপকারিতা
এটি খেলে পুরুষের শুক্রানু অনেক গুন বৃদ্ধি পায় এবং যৌন ক্ষমতা অনেকক্ষন ধরে রাখা যায়। বিবাহিত জীবনে যারা যৌন সমস্যায় ভুগছেন এবং যাদের স্ত্রী সহবাস করতে যেয়ে দ্রুত বীর্য পাত হয়ে যায় তাদের জন্য খুবই উপকারী এই শিমুল মূল। তাছাড়াত্ত, যাদের বীর্য পানির মতো পাতলা তারা বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে ঘনো করার জন্য শিমুল মূল খেতে পারেন। 

পেইজ সূচিপত্রঃ শিমুল মূলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

শিমুল মূলের উপকারিতা

শিমুল মূলের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। কচি শিমুল গাছের মূলকেই মূলত শিমুল মূল বলা হয়। শিমুল মূল খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে পুরুষের পুরুষত্ব জনিত সমস্যা দূর করতে শিমুল মূলের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পুরুষের ক্ষেত্রেই নয় নারীদেরও বিভিন্ন রোগের কার্যকর ওষুধ হলো শিমুল মূল। শিমুল মূল খেলে সাধারণত যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
০১. পুষ্টিগুণ সম্পন্নঃ শিমুলের মূল উচ্চ পুষ্টিগুণের অধিকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

০২. মেটাবলিজম বৃদ্ধি করেঃ কাঁচা শিমুলের মূলে থাকা পুষ্টি উপাদান মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। এটি শরীরে ফ্যাট বার্ন করতে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

০৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শিমুলের মূল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

০৪. পাচনতন্ত্রের সুরক্ষাঃ শিমুল মূল ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি এবং পেটে আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে কার্যকর।

০৫. যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ দাম্পত্য সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক যৌন সক্ষমতা। আর এজন্য আপনি নিয়মিত শিমুল মূল খেতে পারেন। এতে থাকা উপাদানগুলো যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে।

০৬. শুক্রানু বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূল পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে। এটি যৌবন ধরে রাখতেও ব্যাপক কার্যকরী।

০৭. প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ শিমুল মূলকে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পুরুষের বীর্য শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়। এটি নারীদের কিছু প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যায়ও উপকারী।

০৮. শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূল চূর্ণের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি দেহের ক্ষতিকর টক্সিনগুলো বের করে দেয়।

০৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ শিমুল মূল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

১০. মেদ কমাতে সহায়কঃ শিমুল মূল বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং দেহের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমানোর প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।

১১. ক্ষত নিরাময়ে সহায়কঃ শিমুল মূলের পেস্ট বা এর নির্যাস ক্ষত বা কাটা জায়গায় লাগালে এটি দ্রুত শুকিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

১২. অর্শ রোগে উপকারীঃ অর্শ বা পাইলসের চিকিৎসায় শিমুল মূল ব্যবহৃত হয়। এটি রক্তপাত কমাতে এবং মলত্যাগের সময় ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

১৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ শিমুল মূলের গুঁড়া বা নির্যাস হালকা পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং অন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।

১৪. ফুসফুসের রোগে উপকারীঃ শিমুল মূল কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো সমস্যাগুলো নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

১৫. পেশি এবং হাড়ের যত্নেঃ শিমুল মূল পেশি এবং হাড় মজবুত করতে কার্যকর। এটি হাড়ের ভঙ্গুরতা কমাতে এবং আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যায় উপকার দেয়।

১৬. দেহের অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ শিমুল মূল শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমাতে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে এটি বিশেষভাবে উপকারী।

১৭. হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়কঃ শিমুল মূল হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

১৮. শিশুদের জন্য উপকারীঃ শিমুল মূল ডায়রিয়া এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় শিশুদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। তবে সঠিক মাত্রা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

১৯. ত্বকের যত্নে সহায়কঃ শিমুল মূল থেকে তৈরি পেস্ট ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ব্রণ, ফোড়া এবং অন্যান্য ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

২০. রক্ত আমাশায় দূর করেঃ যারা রক্ত আমাশয়ে ভুগছেন, তারা নিয়মিত শিমুল মূল খেতে পারেন। তবে ভালো ফলাফলের জন্য ছাগলের দুধের সাথে শিমুল মূল চুর্ণ মিশিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।

২১. ব্যথা উপশম করেঃ ফোড়া ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট ব্যথা উপশমে শিমুল মূলের জুড়ি মেলা ভার। এটি যন্ত্রণানাশক হিসেবে সুপ্রাচীনকাল থেকে পরিচিত।

২২. হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়কঃ শিমুল মূল অন্ত্রের গ্যাস, বমি বমি ভাব, এবং অরুচি কমাতে সাহায্য করে। এটি খাবারের পুষ্টিগুণ শোষণে সহায়ক এবং হজম শক্তি বাড়ায়।

২৩. পিত্তজনিত সমস্যায় কার্যকরঃ শিমুল মূল শরীরের পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পিত্তের অতিরিক্ত ক্ষরণজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

২৪. ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করেঃ শিমুল মূল স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করে এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে। এটি অনিদ্রার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২৫. লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করেঃ শিমুল মূল লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি লিভারের প্রদাহ কমায় এবং দেহের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।

২৬. কিডনির জন্য উপকারীঃ শিমুল মূল মূত্রনালীর সংক্রমণ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

২৭. অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়কঃ শিমুল মূল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

শিমুল মূল খাওয়ার নিয়ম

শিমুল মূল বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আপনি সরাসরি কাঁচা শিমুল মূল খেতে পারেন, আবার চাইলে রস করে খেতে পারেন। যেকোনো জিনিস নিয়ম মেনে খাওয়া উচিৎ অতিরিক্ত কোনো জিনিস খাওয়া উচিৎ নয়। শারীরিক শক্তি জন্য এক নিয়ম যৌন সমস্যা জন্য এক নিয়ম , এবং প্রতিটা আইটেম থেকে আলাদা উপকার পাওয়া যায় নিয়ম অনুযায়ী সেবন করলে। তেমনি শিমুল মূল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যদিও এটি খাওয়ার তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শিমুল মূল গুঁড়ো আপনি কয়েকটি উপায়ে খুব সহজে খেতে পারেন। আবার শিমুল মূল পাউডার করেও খাওয়া যেতে পারে। যদি আপনি শিমুল মূল দীর্ঘদিন খেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সেটি শুকিয়ে পাউডার করে নিতে হবে। কেননা কাঁচা শিমুল মূল দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়। যাই হোক চলুন দেখে নিই  শিমুল মূল খাওয়ার কিছু নিয়ম।

গুঁড়ো করেঃ প্রথম শিমুল মূল রোদে ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিবেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ গুঁড়ো গরম পানির সঙ্গে খাওয়া যায়। এটি পেটের গ্যাস, অম্লতা, এবং হজমে সাহায্য করে। 

দুধের সঙ্গে মিশিয়েঃ শিমুল মূলের গুঁড়ো দুই থেকে তিন চা-চামচ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন। এই গুঁড়ো আপনি দুই থেকে তিন চা-চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, এটি শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি পুরুষত্বহীনতা এবং দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক।

সকালে খালি পেটেঃ আপনি যদি সরাসরি কাঁচা শিমুল মূল খেতে চান, তাহলে তা সকালে খালি পেটে খেতে পারেন, এতে করে অধিক উপকার পাবেন। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। অত্যাধিক পরিমাণে যদি আপনি কাঁচা শিমুল মূল খান, তাহলে পেটব্যথা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে।

রাত্রে ঘুমানোর আগেঃ কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার আরেকটি উপযুক্ত সময় হলো রাত্রে ঘুমানোর আগে। রাত্রে শোয়ার আগে যদি আপনি নিয়মিত কিছুদিন শিমুল মূল খেতে পারেন, তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হবে।

সালাদ হিসেবেঃ চাইলে আপনি শিমুল মূল খাবারের সাথে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। যদিও এভাবে সাধারণত কেউ খায় না, তবে চাইলে আপনি খেতে পারেন সমস্যা নেই। যেভাবেই খান না কেন, শিমুল মূল খেলেই তা উপকারে আসবে।

পুরুষ শক্তি বৃদ্ধিতে শিমুল মূলের উপকারিতা

পুরুষ শক্তি বৃদ্ধিতে শিমুল মূলের উপকারিতা রয়েছে অনেক। পুরুষদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বীর্য ঘন করতে বেশ সহায়ক। অনেক পুরুষের বাবা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে এর প্রধান কারন এদের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান অনেক কম। তাই স্ত্রী সহবাস করার পরেও তাদের সন্তান হয় না। বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই মূল চুর্ণ খেলে শুক্রাণুর বেড়ে যাবে এবং সন্তান হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অনেক পুরুষ আছে স্ত্রী সহবাসে অধিক সময় থাকতে পারেন না। এতে দুই জনের মিলন তৃপ্তি হয় না এবং জীবনে নেমে আসে হতাসা। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা। আর বীর্য পাতলা হলে স্ত্রী সহবাসে কখনো দীর্ঘ সময় থাকা যায় না। এই কঠিন সমস্যার সমাধান দিবে শিমুল মূল। কারণ নিয়মিত শিমুল মূল, তেতুল বীজের গুড়া ও অর্শ্বগন্ধা একত্রে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। ফলে দীর্ঘ সময় স্ত্রী সহবাস করা যাবে। এছাড়াও আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে, যেমনঃ

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূলের মূল উপাদানগুলো শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এটি প্রাকৃতিক টোনিক হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে পারে, যা যৌন জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ দাম্পত্য সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক যৌন সক্ষমতা। আর এজন্য আপনি নিয়মিত শিমুল মূল খেতে পারেন। এতে থাকা উপাদানগুলো যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে।

শুক্রানু বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূল পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে। এটি যৌবন ধরে রাখতেও ব্যাপক কার্যকরী।

যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ শিমুল মূল যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি শুক্রাণুর পরিমাণ ও মান উন্নত করতে সাহায্য করে, যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূল রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। রক্তপ্রবাহ ভালো হলে যৌন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ শিমুল মূলের মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা শুক্রাণুর গুণগত মান ও সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। এটি প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করার জন্য উপকারী।

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করেঃ শিমুল মূল যৌন হরমোনগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে, যা যৌন চাহিদা ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।

প্রাকৃতিক এফ্রোডিসিয়াকঃ শিমুল মূল প্রাকৃতিক এফ্রোডিসিয়াক হিসেবে কাজ করে। এটি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং মানসিক চাপ কমিয়ে যৌন জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনে।

ব্যবহারঃ শিমুল মূল শুকিয়ে গুঁড়া করে দুধ বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি অন্যান্য ভেষজ উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে বিশেষ হারবাল টোনিক তৈরি করা যায়। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে নিয়মিত সেবনে উপকার পাওয়াযায়।

খালি পেটে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা আনেক। শিমুল মূলে প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ওষধি গুণ রয়েছে, এবং এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এর ব্যবহার ও কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি প্রমাণিত নয়। সাধারণত, খালি পেটে শিমুল মূল খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা বিস্তারিতভাবে নিচে দেওয়া হলোঃ

১. গ্যাস্ট্রিক ও হজমের উন্নতিঃ শিমুল মূল প্রাকৃতিকভাবে অম্লতা ও হজমজনিত সমস্যার উপশমে সাহায্য করতে পারে। এটি পাকস্থলীর সুরক্ষা দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

২. ডায়রিয়া বা আমাশয় প্রতিরোধঃ শিমুল মূলের রস ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা রোধে ব্যবহার করা হয়। এটি অন্ত্রের মিউকাস লেয়ারকে মজবুত করতে পারে।

৩. ইমিউনিটি বৃদ্ধিঃ শিমুল মূলে কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

৪. প্রদাহ কমানোঃ এর প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. ত্বকের যত্নেঃ শিমুল মূল রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করতে পারে, যা ত্বকের সমস্যা কমানোর জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।

৬. প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টারঃ শিমুল মূল খাওয়া শরীরকে সতেজ রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করতে পারে।

৭. রক্ত পরিষ্কার করেঃ শিমুল মূল শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে, যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

৮. যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ শিমুল মূলকে প্রাকৃতিক অ্যাফ্রোডিসিয়াক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি পুরুষ ও নারীর যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। পুরুষের বীর্য ঘন করতে এবং নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি ব্যবহৃত হয়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

১০. ক্ষত নিরাময়ে সহায়কঃ শিমুল মূলের প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী। এটি ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, ফোঁড়া ইত্যাদি কমাতেও সহায়তা করে।

১১. কফ ও ঠান্ডা দূর করেঃ শিমুল মূল ঠান্ডা-কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে এবং সর্দি-কাশির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

১২. পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করেঃ শিমুল মূল প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি মলদ্বারের শিরা শিথিল করে পাইলস কমাতে সাহায্য করে।

১৩. হাড় ও দাঁতের শক্তি বৃদ্ধি করেঃ শিমুল মূলে কিছু খনিজ উপাদান রয়েছে যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়ক।

১৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ রক্ত পরিষ্কার করার গুণের কারণে শিমুল মূল ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি ব্রণ এবং ত্বকের কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ব্যবহারবিধিঃ খালি পেটে শিমুল মূল খাওয়ার আগে তা পাউডার করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় বা মধু মিশিয়ে গ্রহণ করতে পারেন। আপনার কোনো নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা থাকলে এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত বা ভুল ব্যবহার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

শিমুল মূল খাওয়ার সঠিক সময়

শিমুল মূল খাওয়ার সঠিক সময় কখন অনেকেই তা জানেন না। শিমুল মূল আমাদের শারিরীক বিভিন্ন রোগ প্রতিকারে সাহায্য করে। শিমুল মূল মূলত খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে সাধারণত এটি সকালে বা দুপুরে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরিমাণ সাধারণত সামান্য দুই থেকে তিন চা-চামচ, এবং আপনি যদি ভেষজ বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক থেকে পরামর্শ না নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে একে সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত।

শিমুল মূল খাওয়ার আগে খালি পেটে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এটি পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শিমুল মূল সাধারণত প্রচলিত চিকিৎসায় ব্যথা, শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমানো, বা অন্যান্য রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি পরিমাণমতো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি আপনি শিমুল মূল খেতে চান, তবে এটি তাজা এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত করা উচিত। অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য এটা ভারী খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উপকারী হতে পারে।

কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

শিমুল মূলের ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় খেলে এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরি।
শারীরিক দুর্বলতা দূর করেঃ কাঁচা শিমুল মূল শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করতে পারে।

বীর্য বৃদ্ধি করেঃ পুরুষদের বীর্য বৃদ্ধিতে কাঁচা শিমুল মূল কার্যকরী। এটি শুক্রাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কিছু পরম্পরাগত চিকিৎসায় শিমুল মূলকে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

পেটের সমস্যা সমাধান করেঃ কাঁচা শিমুল মূল ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট খারাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি পেটের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।

মহিলাদের রোগে উপকারীঃ কাঁচা শিমুল মূল মহিলাদের শ্বেতপ্রদর, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, এবং অন্যান্য স্ত্রীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

মাড়ি শক্ত করেঃ কাঁচা শিমুল মূল দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। এটি মাড়ির প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও কার্যকর।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ কাঁচা শিমুল মূল ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি, এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ শিমুল মূল শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, বিশেষত অতিরিক্ত গরমে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ শিমুল মূলের রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষমতা থাকতে পারে, যা ত্বক সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

সাবধানতাঃ

  • গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের কাঁচা শিমুল মূল খাওয়া উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা শিমুল মূল খেলে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
কিভাবে খাবেনঃ

  • কাঁচা শিমুল মূল ভালো করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে নিন।
  • এরপর এটিকে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • অথবা, শিমুল মূলের রস বের করে খেতে পারেন।
পরিমাণঃ

  • দিনে একবার এক চা চামচ কাঁচা শিমুল মূলের রস খেতে পারেন।
  • অথবা, দিনে একবার দুই ইঞ্চি কাঁচা শিমুল মূল মধুর সাথে খেতে পারেন।

মহিলাদের জন্য শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

শিমুল মূল প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন চিকিৎসা এবং খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মহিলাদের জন্য শিমুল মূল খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা হলোঃ

পেটের সমস্যা সমাধানঃ শিমুল মূল পেটের গ্যাস এবং অজীর্ণ দূর করতে সহায়তা করে। এটি পেটের পীড়ায় উপশম দিতে পারে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

প্রাণশক্তি বৃদ্ধিঃ শিমুল মূল শরীরের শক্তি এবং প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা মহিলাদের শরীরিক দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করতে পারে।

হরমোনাল ভারসাম্যঃ শিমুল মূল মহিলাদের হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে প্রেগন্যান্সি বা মেনোপজের সময়। এটি শরীরে হরমোনের স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।

মাসিক স্রাবের সমস্যাঃ শিমুল মূল বিভিন্ন ধরনের গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যায় উপকারী হতে পারে। এটি মাসিক স্রাব সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার উপশমে সহায়ক হতে পারে।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ শিমুল মূল ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সহায়ক হতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণঃ শিমুল মূলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসারের সমস্যা কমাতে উপকারী হতে পারে।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণঃ শিমুল মূলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। মহিলাদের নানা ধরনের প্রদাহজনিত সমস্যায় যেমন আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগে এটি উপকারি হতে পারে।

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে, যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মহিলাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক হতে পারে।

মাইগ্রেন বা মাথাব্যথাঃ শিমুল মূল মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের উপশমে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে মাথাব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

ডিটক্সিফিকেশনঃ শিমুল মূল শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং সুরক্ষা দিতে সহায়ক হতে পারে।

সতর্কতাঃ শিমুল মূল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি আপনি গর্ভবতী হন বা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। কিছু মানুষের জন্য এটি এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে, সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

শিমুল মূল সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নঃ শিমুলের মূল খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়?

উত্তরঃ শিমুল মূল তাঁজা অবস্থাতে (কচি শিমুলের মূল হলেও হবে) কাঁচা চিবিয়ে খেলেও বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন হয়। শিমুল মূল/শতমূলীর রস ৫০ মিলি লিটার একটি পাত্রে রেখে তাতে ১০০ মি. লি লিটার ঘিয়ে জ্বাল করে, গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে বিকেলে খেলে বীর্য গাঢ় হবে। নিয়মিত রসুন খেলে যৌন চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বীর্য ঘন ও কার্যকরী হয়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ, শিমুল মূল কাঁচা অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে। শিমুল মূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, যেমন: ভিটামিন এ: শিমুল মূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি: শিমুল মূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন শিমুলের মূল খেলে কি হয়?

উত্তরঃ শিমুলের মূল নিয়মিত খেলে পুরুষদের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। এতে করে তাদের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই বীর যে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই মূল চূর্ণ খেলে শুক্রানু বেড়ে যাবে এবং সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যাবে।

প্রশ্নঃ শিমুল গাছের ছাল খেলে কি হয়?

উত্তরঃ শিমুলের ছাল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। তবে শিমুল গাছের ফল ও বীজ খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত কারণ এগুলি সরাসরি খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। শিমুলের ফল থেকে তৈরি তুলা ও বীজের তেল শিশুদের অতিরিক্ত কাশি কমাতে সহায়ক হতে পারে তবে কোনও সুনির্দিষ্ট মাত্রা এবং ব্যবহারের পদ্ধতি পোষণ করতে হবে।

প্রশ্নঃ কাচা শিমুল মূল খেলে কি হয়?

উত্তরঃ
শারীরিক দুর্বলতা দূর করে: কাঁচা শিমুল মূল শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে। বীর্য বৃদ্ধি করে: পুরুষদের বীর্য বৃদ্ধিতে কাঁচা শিমুল মূল কার্যকরী। এটি শুক্রাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

শিমুল মূলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অ্যালার্জিঃ কিছু লোকের শরীরে শিমুল মূলের সঙ্গে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন চুলকানি, লালচে দাগ, বা ত্বকের র‍্যাশ।

পেটের সমস্যাঃ অত্যধিক বা ভুলভাবে ব্যবহারের ফলে পেটের সমস্যা যেমন বমি, ডায়রিয়া, গ্যাস, বা অ্যাসিডিটির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত ব্যবহারে বিষক্রিয়াঃ শিমুল মূলের অতিরিক্ত ব্যবহারে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে পেটের সমস্যা, বিষক্রিয়া, অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। এটি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত।
স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাবঃ কিছু গবেষণায় জানা গেছে যে, শিমুল মূলের অতিরিক্ত ব্যবহার স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা মস্তিষ্কে অস্বস্তি, মাথাব্যথা, বা মেজাজ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে।

এন্টি-ক্লোটিং প্রভাবঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান রক্তের ক্লোটিং প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই রক্তপাত বা রক্তের সমস্যা থাকলে এটি ব্যবহারের আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

কিডনি বা যকৃতের সমস্যাঃ দীর্ঘমেয়াদী বা অতিরিক্ত ব্যবহারে শিমুল মূল কিডনি বা যকৃতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি কোনো পূর্ববর্তী কিডনি বা যকৃতের সমস্যা থাকে।

হরমোনাল প্রভাবঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান শরীরের হরমোনাল ব্যালান্সে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই যদি কোনো হরমোনাল সমস্যা থাকে, যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা অণ্ডকোষ/ডিম্বাশয় সংক্রান্ত সমস্যা, তাহলে এটি ব্যবহারের আগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

চর্মরোগের সমস্যাঃ অনেক সময় শিমুল মূলের প্রয়োগ বা খাওয়ার পর ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, বা ত্বকের লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি অ্যালার্জি বা স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ত্বকের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিঃ কিছু ক্ষেত্রে, শিমুল মূলের প্রয়োগ ত্বকে সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে, যা সূর্যালোকের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া (photosensitivity) তৈরি করতে পারে। এতে ত্বকে পুড়ে যাওয়া বা লালচে হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাসঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান অন্যান্য ঔষধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষত অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে। এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

সিরাম পটাসিয়াম এর মাত্রা বৃদ্ধিঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান কিডনির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে এবং রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হৃদরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তনঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারে। ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার সমস্যা থাকলে, এটি ব্যবহারের আগে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

অস্থিরতা বা মাথা ঘোরাঃ কিছু ব্যবহারকারী শিমুল মূল ব্যবহারের পর অস্থিরতা, মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথার অভিযোগ করতে পারেন। এটি শরীরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে।

প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত ঝুঁকিঃ শিমুল মূল গর্ভাবস্থায় বিশেষ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি গর্ভের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিমুল মূল গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাবঃ শিমুল মূলের কিছু উপাদান শরীরের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রাখে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে এটি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যেমন কিডনি বা যকৃতের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

শিমুল মূলের উপকারিতা সম্পর্কে শেষকথা

শিমুল মূল আজব এক জিনিস। যারা খায় নি তারা বুঝতেই পারবে না এটার উপকারিতা সম্পর্কে। এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে একটু সময় নিয়ে খাত্তয়া দরকার। কেননা খাইলাম আর কাজ হলো, এ জাতীয় জিনিস গুলো খুবই ক্ষতিকর হয়ে থাকে। আর শিমুল মূল যেহেতু প্রাকৃতিক তাই কিছুদিন খেলে স্থায়ি উপকার পাত্তয়া যায়। শারীরিক দূর্বলতা এবং যৌন সমস্যা সমাধানে শিমুলের মূল খুবই উপকারী। বিবাহিত জীবনে যারা যৌন সমস্যায় ভুগছেন এবং যাদের স্ত্রী সহবাস করতে যেয়ে দ্রুত বীর্য পাত হয়ে যায় তাদের জন্য খুবই উপকারী এই শিমুল মূল।

তাছাড়াত্ত, যাদের বীর্য পানির মতো পাতলা তারা বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে ঘনো করার জন্য শিমুল মূল খেতে পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা যৌন সমস্যা সমাধানের জন্য হাজার হাজার টাকার হারবাল চিকিৎসা করেত্ত কোন স্থায়ী ফলাফল পান নাই। এটি খেলে পুরুষের শুক্রানু অনেক গুন বৃদ্ধি পায় এবং যৌন ক্ষমতা অনেকক্ষন ধরে রাখা যায়। এটি খেলে পুরুষের শুক্ররানু বৃদ্ধি পায়। এবং এটি যৌবন ধরে রাখে দীর্ঘদিন। শিমুল মূল ১৫ থেকে ৩০ দিন খেলেই স্থায়ী ভাবে ফলাফল পাত্তয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url