তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতার উপকারিতা ও নানাবিধ গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। সেই প্রাচীনকাল
থেকে এখন পর্যন্ত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার হয়েই চলেছে। এই পাতা
সাধারণত সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও তুলসীর আছে আরও নানা ব্যবহার।
তুলসী পাতা অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তুলসী গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও
শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয় একটি ঔষধি উপাদান। ঔষধিগুণের এই তুলসী বিভিন্ন রোগ
সারাতে কাজ করে। বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যেসব রোগ সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে
তুলসী পাতা বেশ ফলদায়ক।
পেইজ সূচিপত্রঃ তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী পাতার উপকারিতা
- তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- তুলসী পাতার পুষ্টি উপাদান
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াবেন কিভাবে
- গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- সৌন্দর্য চর্চায় তুলসী পাতার ব্যবহার
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তুলসী পাতার ফেসপ্যাক
- তুলসী পাতার অপকারিতা
- তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে শেষকথা
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতার উপকারিতা ও এর গুণের কথা প্রায় সবারই জানা আছে। কিন্তু তুলসি পাতা
খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া যায় সে কথা অনেকেরই অজানা। ওষুধ হিসেবে তুলসি পাতার
ব্যবহার বেশ পুরোনো। এর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
উপাদান। এগুলো মারাত্মক সব রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যদির
বিরুদ্ধে লড়াই করে। জেনে নিন তুলসি পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কেঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
তুলসি পাতা। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি মোকাবিলায় কাজ করে এই
পাতা। জ্বর সারাতেও তুলসি পাতা সমান উপকারী। তুলসি পাতা ও এলাচ পানিতে ফুটিয়ে সেই
পানি পান করলে খুব সহজেই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে তুলসি
পাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত শুকায়।
আরও পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সর্দি-কাশি কমিয়ে দেয়ঃ ঠান্ডা লাগলে অর্থাৎ সর্দি-কাশি হলে তুলসি পাতা
খাওয়া হয় ওষুধ হিসেবে। সর্দি ও কাশি সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে। কারও বুকে কফ
বসে গেলে তাকে প্রতিদিন সকালে তুলসি পাতা, আদা ও চা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে
মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে দিন। এতে দ্রুতই উপশম মিলবে। জ্বর নিরাময়ে তুলসী পাতা +
এলাচ + পানি ফুটিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যায়। আবার কাশি নিরাময়ের জন্য
তুলসী পাতা + মধু + আদার রস মিশিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়। সর্দি থেকে রক্ষা পেতে
তুলসী পাতার রস অনেক উপকারী। তাই জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে তুলসী পাতার বা তুলসী
পাতার রস খেতে পারেন।
গলা ব্যথা দূর করেঃ গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকলে আস্থা রাখুন তুলসি
পাতায়। কারণ এই সমস্যা দূর করতে তুলসি পাতার জুড়ি মেলা ভার। শ্বাসকষ্টের সমস্যা
কমাতেও তুলসি পাতা বেশ উপকারী। করোনা মহামারির এই সময়ে তাই নিয়মিত তুলসি পাতা
খাওয়ার অভ্যাস করুন। কয়েকটি তুলসি পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা
ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূরে
রাখতেও সাহায্য করে তুলসি পাতা। এই পাতায় আছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের
কোষগুলোকে মেরে ফেলে। এতে আরও আছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক এসিড,
মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন। এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে
কার্যকরী। অগ্নাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয় তা দূর করতেও তুলসী পাতা দারুণ
উপকারী। পাশাপাশি দূরে রাখে ব্রেস্ট ক্যান্সারও।
ওজন কমায়ঃ তুলসি পাতা খেলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোই রোধ
করে। তাই খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে
যে, তুলসি দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ওবেসিটি
ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে তুলসী পাতা অনেক
বেশিই উপকারিতা রয়েছে। কারণ তুলসী পাতার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়।
সেইসাথে তুলসী পাতা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। তুলসি পাতা
ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসি পাতা খেলে রক্তে সুগারের
মাত্রা কমে। তুলসি অ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের কাজ করে। তুলসিতে থাকা স্যাপোনিন,
ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড ডায়বেটিস রোধ করতে কার্যকরী। সুতরাং ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতা খেতে পারেন।
মানসিক চাপ কমায়ঃ তুলসী পাতা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। কারণ
তুলসী পাতায় রয়েছে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মানসিক চাপ
কমাতে সাহায্য করে। আবার তুলসী পাতা খেলে আমাদের শরীরের কার্টিসেল মাত্রা কমে যায়
এবং মানসিক চাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়। সুতরাং, মানসিক চাপ কমাতে
তুলসী পাতা খেতে পারেন।
দাঁতের স্বাস্থ্যঃ দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ-সবল রাখতে তুলসী পাতা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোবিয়াল ও এন্টি-ব্যাক্টিরিয়াল
উপাদান, যা আমাদের দাঁতকে শক্ত রাখে এবং দুর্গন্ধ মুক্ত করে।
মুখের দুর্গন্ধ রোধ করেঃ স্বাচ্ছন্দে কথা বলার জন্য প্রয়োজন মুখের
দুর্গন্ধ রোধ করা। মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। তুলসী
পাতা গুঁড়ো করে পাউডার করতে হবে। সেই পাউডার দাঁতের মাজন হিসেবেব্যবহার করলে
মুখের দুর্গন্ধ রোধ হয়। সেই সাথে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। দাঁতের ক্ষয় রোধ ও
ব্যথা কমায়। এছাড়া দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া রোধ করে।
ব্রণ দূর করেঃ ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা রয়েছে।
তুলসী পাতার পেস্ট বানিয়ে সাথে চন্দন মিশিয়ে মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন।
এরপর জল দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এর ফলে ব্রণ থেকে মুক্তি পুরোপুরি
মুক্তি পেতে পারেন।
ত্বক পরিষ্কার রাখেঃ তুলসী পাতা ত্বকের সংক্রমণ ও পরিষ্কার রাখতে কার্যকর
ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে এন্টি-বায়োটিক উপাদান। যা ত্বকের
ব্যাকটেরিয়া এবং আর্থাসিস দূর করতে সহায়তা করে।
চোখের সমস্যা সমাধান করেঃ চোখের সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতার খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান,
যা আমাদের চোখের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই চোখের কোনো
সমস্যা থাকলে তুলসী পাতা বা রস খেতে পারেন।
মাথাব্যথা কমায়ঃ মাথা ব্যথা দূর করতে দৈনিক ১-২ বার তুলসী পাতা খেতে
পারেন। মাথা ব্যথা কমাতে তুলসী পাতার উপকারিতা অনেকগুণ থাকায় আপনি চাইলে তুলসী
পাতা খেয়ে মাথা ব্যথা পুরোপুরি দূর করতে পারেন।
কিডনি পরিষ্কার করেঃ কিডনি সুস্থ-সবল রাখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। কারণ
তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের
বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে কিডনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল রাখে।
সুতরাং কিডনি সুরক্ষায় দৈনিক তুলসী পাতা খেতে কখনোই ভুলবেন না।
হার্টের সুরক্ষায়ঃ হার্টের সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান। কারণ তুলসী পাতা রক্তের জমাট বাধা দূর করে পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
সহযোগিতা করে। ফলে হার্ট সুস্থ ও সুরক্ষা মধ্যে থাকে।
ক্যান্সার নিরাময় করেঃ তুলসী পাতায় রেডিও প্রটেক্টিভ জাতীয় উপাদান রয়েছে
যা টিউমারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় ফাইটো- কেমিক্যাল উপাদান
রয়েছে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পেট পরিষ্কার করেঃ পেট পরিষ্কার রাখতে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে
তুলসী পাতা খুবই উপকারী। পেটে ব্যথা থাকলে তুলসী পাতা ভালোভাবে গরম পানিতে
ফুটিয়ে খেলে পেট ব্যাথা পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।
লিভার স্বুস্থ্য রাখেঃ তুলসী পাতায় রয়েছে হেপাটো-প্রটেক্টিভ উপাদান যা
লিভার ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিভারে কোনো প্রকার বিষক্রিয়া
থাকলে তুলসী পাতা সেটা দূর করে দেয়। লিভারের সমস্যা সমাধানের জ১ন্য আগে
চিকিৎসকেরসাথে পরামর্শ করে, পরে তুলসী পাতা বা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।
ব্যথা ও ফোলা ভাব দূর করেঃ তুলসী পাতা আমাদের শরীরের সকল ব্যথা দূর করতে
সাহায্য করে। তুলসী পাতায় ইউক্যালিপটাস নামক এক ধরণের উপাদান রয়েছে যা আমাদের
শরীরের ফোলা ভাব দূর করে অর্থাৎ তুলসীপাতাকে‘পেইনকিলারও বলা হয়।
রক্তনালী পরিষ্কার করেঃ রক্তনালী পরিষ্কারে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম।
কারণ তুলসী পাতায় ইনফ্লেমেটরি নামক উপাদান রয়েছে যা রক্তনালী পরিষ্কার ও রক্ত
চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে বিভিন্ন রকম। তুলসী পাতা সর্দি-কাশি, জ্বর,
গলাব্যথা, ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে, মুখের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী তুলসী।
সাইনোসাইটিস ও মাথাব্যথা নিমেষে দূর করে এ পাতা। তাই ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায়
নিয়মিত খেতে পারেন তুলসী পাতা। জেনে নিন নিয়মগুলোঃ
আরও পড়ুনঃ কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসি পাতার সঙ্গে এক টুকরো আদা শিলপাটায় পিষে পেস্ট করে নিন। দিনে দুবার সকালে ও সন্ধ্যায় এ পেস্ট খেতে পারেন।
- তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
- একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে আদা কুচি, তুলসী পাতা ও দারুচিনি গুঁড়া দিন। এ বিশেষ পানীয়ও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
- তুলসী পাতায় গুড় মিশিয়ে সরাসরি চিবিয়েও খেতে পারেন।
- তুলসী চা বানিয়ে পান করতে পারেন গরম গরম। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটানোর পর নামিয়ে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করুন।
- কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
- ১ কাপ পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা ও ১ টুকরো আদা দিয়ে ফুটান। ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে দিন। পানি কমে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে পান করুন। গলা খুসখুস ভাব দূর হবে।
- তুলসী পাতার রসে মধু ও আদার রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- ১ গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা, আদা ও চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। খাওয়ার আগে মিশিয়ে নিন লেবু ও মধু।
- শিশুদের ঠান্ডা লাগলে তুলসীর রসে মধু মিশিয়ে খাওয়ান। এতে উপকার পাবে।
যেহেতু এখানে প্রতিটি উপাদানই খুব গরম প্রকৃতির, তাই দুই সপ্তাহ খাওয়ার পর এটি
বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অনেকে সকালে উঠেই তুলসি পাতা কাচা চিবিয়ে খেয়ে থাকেন,
সেটি মোটেই ঠিক নয়। এই রস খাওয়ার ৫-১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি খাবেন। সবচেয়ে
ভালো হয় কৃষ্ণ (কালো) তুলসি খেতে পারলে। সেটি পাওয়া না গেলে সাধারণ তুলসি পাতা
খাবেন।
নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাসে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি সর্দি-কাশি, জ্বর,
গলাব্যথার স্থায়ী সমাধান পাবেন। তাই পরিবারের সব সদস্যের সুস্থতা নিশ্চিতে
নিয়মিত তুলসী পাতা খান ও শিশুকেও খাওয়ান।
তুলসী পাতার পুষ্টি উপাদান
তুলসী পাতার পুষ্টি উপাদান রয়েছে প্রচুর। তুলসী পাতা প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ
বস্তু, খাদ্যগত ফাইবার, ফ্লাভোনয়েড এবং বিবিধ জৈব যৌগর একটি ভাল উৎস। এতে থাকা
ফ্লাভোনয়েড ব্রণ, হাঁপানি, প্রদাহ এবং শ্বাসজনিত সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
তুলসী পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন, ইউএসডিএ জাতীয় পুষ্টিগুণের
ডেটাবেস অনুযায়ী, ১০০গ্রাম তুলসীতে নিম্নোক্ত পুষ্টিগুণ থাকেঃ
জল 92.06 গ্রাম
শক্তি 23 কিক্যাল
প্রোটিন 3.15 গ্রাম
চর্বি 0.64 গ্রা
কার্বোহাইড্রেট 2.65 গ্রা
ফাইবার 1.6 গ্রা
চিনি 0.30 গ্রা
ক্যালসিয়াম 177 মিগ্রা
লোহা 3.17 মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম 64 মিগ্রা
ফসফরাস 56 মিগ্রা
পটাসিয়াম 295 মিগ্রা
সোডিয়াম 4 মিগ্রা
জিঙ্ক 0.81 মিগ্রা
ভিটামিন এ 264 মিগ্রা
ভিটামিন বি1 0.034 মিগ্রা
ভিটামিন বি2 0.076 মিগ্রা
ভিটামিন বি3 0.902 মিগ্রা
ভিটামিন বি6 0.155 মিগ্রা
বিতামিন বি9 68মিগ্রা
ভিটামিন সি 18.0 মিগ্রা
ভিটামিন ই 0.80 মিগ্রা
ভিটামিন কে 414.8মিগ্রা
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। তুলসি পাতা তার ঔষধি
গুণাবলীর জন্য খুবই পরিচিত। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এই
পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির একটি জনপ্রিয় উপাদান।
শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি, ভাইরাল সংক্রমণ, এবং আরো অসুখ সারাতে কাজ করে এই পাতা।
তুলসি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি প্রতিদিন খালি পেটে খেতে পারেন। দেখে
নিন খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
আরও পড়ুনঃ কুলেখাড়া পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে তা আপনার পেটের বিভিন্ন রোগবালায় প্রতিরোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে বদহজম, গ্যাস্টিকের সমস্যা, আলসারের সমস্যা, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়
-
নিয়মিত তুলসী পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি ব্যবহার করে গড়গড়া করলে মুখ এবং গলার জীবাণু মরে যায় এবং পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।
- সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি তুলসী পাতা চাবিয়ে খেয়ে নিন দেখবেন সারাদিন আপনি মানসিক দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পারবেন।
- একটু মধুর সাথে কয়েকটি তুলসী পাতা চাবিয়ে খেলে তা যৌন সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- আপনার যদি সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে খালি পেটে কয়েকটি তুলসী পাতা চাবিয়ে খেয়ে ফেলুন দেখবেন খুব দ্রুত আপনার সর্দি কাশি ভালো হয়ে গেছে।
- ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে অল্প একটু জিরার সাথে কয়েকটি তুলসী পাতা বেটে এখনই খেয়ে নিন দেখবেন আপনার ডায়রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে
- প্রতিদিন নিয়ম করে তুলসী পাতা খেলে তা অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। চায়ের সাথে মিশিয়ে তুলসী পাতা খেলে তার শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
- গরম পানিতে তুলসী পাতা সেদ্ধ করে সেই পানিতে গড়গড়া করলে মুখ এবং গলার বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- জ্বরের সমস্যা দূর করতে সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেয়ে ফেলুন দেখবেন খুব দ্রুত আপনার জ্বর ভালো হয়ে গেছে।
কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন তা জানতে চেয়েছেন
অনেকে। কাশি হলে যেকোনো ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকরী হলো তুলসি পাতা ও মধু।
কিন্তু তুলসি কেন উপকারী তা জানেন কি? তবে শুকনো কাশি এবং ফাঁপা কাশির
মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। সব ধরনের কাশির ক্ষেত্রে কিন্তু তুলসি পাতা কাজ
করে না। আপনি যদি কাশি কমানোর জন্য দিনের যেকোনো সময় যেকোনোভাবে এটি খেয়ে
নেন, তাতে ঠিকভাবে কাজ করবে না। জেনে নিন কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার
নিয়মঃ
কাশিতে তুলসি পাতা যেভাবে উপকার করেঃ কাশি নিরাময়ের ক্ষেত্রে
তুলসি পাতা ব্যবহারে অন্যতম কারণ হলো, কাশি হলে আমাদের শরীরে প্রদাহ বেশি
থাকে। যে কারণে এসময় খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তুলসি পাতা কিন্তু সহজেই
হজম করা সম্ভব। এটি খুব হালকা একটি উপাদান। তুলসি পাতা শুকনো এবং গরম
প্রকৃতির, যে কারণে গলার কাছে ও ফুসফুসে আরাম দিতে পারে। তুলসি পাতা খেলে
ক্ষুধা না লাগার সমস্যাও দূর হয়। মুখে রুচি বাড়ে। খাবার হজমে সাহায্য করে
এই পাতা।
তুলসি পাতার রস কীভাবে খাবেনঃ ১টি বা ২টি তুলসি পাতা, ২ টেবিল
চামচ মধু, আধা চিমটি হলুদের গুঁড়া, আধা চিমটি লং পেপার, আধা চিমটি কালো
গোলমরিচ, সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেখান থেকে রস
বের করে নিন। পাঁচ মিলি করে দিনে ২/৩ বার এটি খেতে পারবেন। যেহেতু
প্রতিটি উপাদান খুব গরম প্রকৃতির, তাই দুই সপ্তাহ খাওয়ার পর এটি বন্ধ করে
দেওয়া উচিত। অনেকে সকালে উঠেই তুলসি পাতা কাচা চিবিয়ে খেয়ে থাকেন, সেটি
মোটেই ঠিক নয়। এই রস খাওয়ার ৫-১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি খাবেন।
সবচেয়ে ভালো হয় কৃষ্ণ তুলসি খেতে পারলে। সেটি পাওয়া না গেলে সাধারণ তুলসি
পাতা খাবেন।
শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াবেন কিভাবে
শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াবেন কিভাবে তা অনেকেই জানেন নাঋতু পরিবর্তনে
সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ করে তুলসী
পাতা। এছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী তুলসী।
সাইনোসাইটিস ও মাথাব্যথা নিমেষে দূর করে এ পাতা। তাই শীতের এ সময়ে শিশুকে
নিয়মিত খাওয়াতে পারেন তুলসী পাতা। কিন্তু কীভাবে খাওয়াবেন সঠিক নিয়ম
জানেন না অনেকেই। তাই আপনাদে সুবিধার্থে সঠিক নিয়ম দেখানো হলো যেমনঃ
- তুলসি পাতার সঙ্গে এক টুকরো আদা শিলপাটায় পিষে নিন। দিনে দুবার এ পেস্ট খাওয়ান।
- তুলসী পাতার এই পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু।
- একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে আদা কুচি, তুলসী পাতা ও দারুচিনি গুঁড়া দিন। এ বিশেষ পানীয়ও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
- তুলসী পাতায় গুড় মিশিয়ে সরাসরি চিবিয়েও শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
তুলসী, মধু, লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়েও আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
এক্ষেত্রে একটি পাত্রে পানি নিন, তাতে বেশ কয়টি তুলসী পাতা দিয়ে পানি
ভালো করে ফোটান। তারপর তা ছেঁকে নিন। এবার তাতে মেশান লেবুর রস ও মধু।
ভালো করে মিশিয়ে নিন। শিশুকে রোজ খাওয়াতে পারেন এই শরবত।
নিয়মিত এ পাতা খাওয়ার অভ্যাসে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি সর্দি-কাশি,
জ্বর, গলাব্যথার স্থায়ী সমাধান মিলতে পারে। তাই পরিবারের সব সদস্যের
সুস্থতা নিশ্চিতে নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন ও শিশুদেরকেও খাওয়ান।
গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বেশ। তুলসীর নানাবিধ গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। তবে গর্ভাবস্থায়
তুলসী খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। যদিও
গর্ভাবস্থায় এটি অতিরিক্ত খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা
দিতে পারে, এমনটাই দাবি করেছেন বিভিন্ন গবেষক। তবে চলুন দেখে নিন
গর্ভবতী নারীদের তুলসী খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
আরও পড়ুনঃ সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে তুলসী। এটি ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস যা গর্ভবতী নারীদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, রাইবোফ্লাভিন এবং রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক,
ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদাসমূহ।
যেগুলো মা এবং শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও
সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর এবং ফুসফুসের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে তুলসী
পাতা।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করেঃ আয়রনের একটা দুর্দান্ত উৎসতুলসী। যা
গর্ভবতী মহিলাদের শক্তিশালী ও সক্রিয় রাখার জন্য খুবই জরুরি। এই আয়রন
রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
যা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি রোধ করে।
ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করেঃ তুলসীর মধ্যে থাকা
ভিটামিন-এ ভ্রূণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই
ভিটামিন শিশুর হার্ট, চোখ, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে ঠিক রাখতে সাহায্য
করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।
ভ্রূণের হাড় গঠনে সাহায্য করেঃ তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। যা শিশুর হাড় এবং কার্টিলেজ গঠনে সহায়তা করে।
অন্যদিকে তুলসীতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ খুব ভালো একটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
যা গর্ভবতী নারীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে হ্রাস করে। তাদের মধ্যে কোষের
ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ঃ তুলসীর মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয়
উপাদান গর্ভাবস্থার সময় হওয়া ব্যথা, যন্ত্রণাগুলো থেকে স্বস্তি দেয়।
এছাড়াও এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখে।
কতটুকু ও কীভাবে খাবেনঃ তুলসী পাতা কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে
খাবেন না। রোজ তিন থেকে পাঁচটি করে তুলসী পাতা মধু দিয়ে খেতে পারেন।
তবে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ঠিক কতটা পরিমাণে খাওয়া
উচিত তা জানতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তুলসী পাতা
খাওয়ার আগে তাকে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন। যাতে পাতায় কোনও
নোংরা না থাকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই আর্টিকেলটি বেশ কয়েকটি তথ্যের ভিত্তিতে
লেখা। তবে মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই আপনার
চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। নিজে থেকে কিছু করার মতো ভুল
করবেন না।
সৌন্দর্য চর্চায় তুলসী পাতার ব্যবহার
সৌন্দর্য চর্চায় তুলসী পাতার ব্যবহার রয়েছে অনেক রকম। তুলসি পাতা
কেবল স্বাস্থ্যরক্ষায়ই অনন্য নয়, ত্বকের যত্নেও অতুলনীয়। তুলসিতে
থাকা ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ দূর করতে পারে।
পাশাপাশি তুলসির ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও দাগহীন।
ঠাণ্ডা সারাতে তুলসীর ব্যবহার বহু দিনের। কিন্তু এছাড়াও তুলসীর
কিন্তু রয়েছে আরও অনেক গুণাগুণ, বিশেষ করে রূপচর্চায়।দেখে নিন
সৌন্দর্য চর্চায় তুলসী পাতার ব্যবহারঃ
৯। তুলসির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের অ্যালার্জিজনিত
চুলকানি দূর করতে পারে। তুলসি পাতা পেতে আধা কাপ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে
ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তুলসী পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসী পাতা খেলে যেমন উপকার, তেমনি তুলসী পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহারেও
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে যাঁরা প্রাকৃতিক
উপাদানের উপর ভরসা করেন, তাঁরা প্রথমেই তুলসী পাতাকে বেছে নিতে
পারেন। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বকের জ্বালা কমায়,
ব্রণ কমায়, এমনকি উজ্জ্বলতা বাড়ায়। যেভাবে বাসায় বানাবেন ফেসপ্যাকঃ
১। হঠাৎ করেই গালে একটা লাল রঙের পিম্পল ফুলে ফেঁপে উঠেছে? তুলসী
পাতা বেটে সাথে একটু চন্দনবাটা বা নিমপাতা বাটা, তাও যদি হাতের
কাছে না থাকে, তাহলে একটু গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন
পিম্পলের উপর। খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
২। পিম্পল তো গেলো, কিন্তু যদি পিম্পলের দাগ রেখে যায়, তাহলে?
তুলসী বাটার সাথে মিশিয়ে নিন একটু বেসন। পেস্ট মত বানিয়ে পুরো মুখে
লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। দাগ তো চলেই যাবে, সেই সাথে আন ইভেন স্কিন
টোন ও সারিয়ে তুলবে।
৩। মুখে ছোপ ছোপ দাগ পরে গেছে? কোন চিন্তা নেই। তুলসী পাতা বাটার
সাথে একটা ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন
২০ মিনিট। এরপরে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে,
পাশাপাশি মুখে পোরস বড় হয়ে থাকলে সেগুলোকেও ছোট করতে সাহায্য করবে
এই প্যাক।
৪। আপার লিপ বা থ্রেডিং এর পরে অনেকের স্কিন জ্বালা করে, তুলসী
বাটা মুখে লাগিয়ে নিলে জ্বালাপোড়া কমাবে, এবং লালচে ভাব থাকলে
সেটাও কমে যাবে।
৫। চুলের যত্নেও তুলসীর রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। চুলে তেল দেয়ার আগে
তেলে তুলসীর রস মিশিয়ে নিন। চুলে লাগিয়ে রাখলে চুলের খুশকি, খুশকির
কারণে হওয়া চুলকানি, চুল পড়া এবং ড্রাই স্কাল্প এর সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবেন সহজেই। শুকনো তুলসী পাতা এবং শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সারা
রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে
ফেলুন। নিয়মিত এটি করলে চুল পেকে যাওয়া কমাতে পারবেন সহজেই।
৬। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লাগবে ১০ টি তুলসী পাতা ও আধা চা চামচ
গুঁড়ো দুধ। প্রথমে তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সামান্য পানি
দিয়ে বেটে নিন। এরপরে এরসাথে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি
করে নিন। এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধের ল্যাকটিক এসিড থাকার কারণে আপনার ত্বক
তাৎক্ষনিকভাবেই বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সপ্তাহে দু’দিন করে নিয়মিত
এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। যেকোনো ধরনের ত্বকেই এই ফেস প্যাকটি
ব্যবহার করা যাবে।
৭। ব্রণ কমাতে তুলসী ফেস প্যাকের জুড়ি নেই। এর জন্য লাগবে ১০-১২ টি
তুলসী পাতা, ৮-১০ টি নিমপাতা, আধা চা চামচ চন্দন গুঁড়ো ও গোলাপজল।
প্রথমেই তুলসী পাতা ও নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। ভালো করে বেটে
নিয়ে এতে চন্দন গুঁড়ো মেশান। তারপরে পরিমান মত গোলাপজল মেশান যাতে
একটা ঘন পেস্ট মতন প্যাক তৈরি করা যায়। এরপরে এটি পুরো মুখে লাগিয়ে
রাখুন বিশ মিনিট। এরপরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ বার
ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
৮। শীতে শুষ্ক ত্বক নিয়ে যারা সমস্যায় ভোগেন তারা এই প্যাকটি
ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ১০-১২ তুলসী পাতা বেটে নিয়ে এর সাথে
মেশান পরিমান মত টক দই। এরপরে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপরে
নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তুলসী পাতার ফেসপ্যাক
আরও পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা
১। প্রথমে ১০-১৫টি তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
একটি পাত্রে দুই চামচ মধু নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। অন্য
একটি পাত্রে তুলসি পাতা নিয়ে তার মধ্য়ে মধু মেশান। এরপরে
ব্লেন্ডারে দুই উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে একটি ঘন মিশ্রণ
তৈরি হবে। ঘন মিশ্রণে কয়েক চামচ গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে
আবারও ভালো করে ব্লেন্ড করুন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার
ফেসপ্যাক।
২। ব্রণ কমাতে তুলসী পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য
লাগবে ১০-১২ টি তুলসী পাতা, ৮-১০ টি নিমপাতা, আধা চা চামচ চন্দন
গুঁড়া ও গোলাপজল। তুলসী পাতা ও নিমপাতা ভালো করে বেটে নিন। এতে
চন্দনের গুঁড়া মেশান। পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি
করুন। এটি পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন বিশ মিনিট। এরপরে পানি দিয়ে ধুয়ে
নিন।
৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ১০-১৫টি তুলসী পাতা ও আধা চা চামচ
গুঁড়ো দুধ দিয়ে প্যাক বানান। তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে সামান্য
পানি দিয়ে বেটে নিন। এরসাথে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। শুকালে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। দুধের ল্যাকটিক এসিড থাকার কারণে আপনার ত্বক তাৎক্ষনিকভাবেই
বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। যেকোনো ধরনের ত্বকেই এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার
করা যাবে।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়মঃ রেগুলার ফেসওয়াশ ব্যবহার করে
প্রথমে মুখ ভালো ভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর ঘরোয়া ফেসপ্যাকটি মুখে
একটু একটু করে লাগিয়ে নিন। হাতের আঙুলের সাহায্যে পুরো মুখে
ব্লেন্ড করে নিন। চোখ, ভ্রু ও ঠোঁটে প্যাক লাগাবেন না। ফেসপ্যাক
লাগানোর পরে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন।
কতদিন ব্যবহার করবেনঃ তুলসীসহ যেকোনো ফেসপ্যাক সপ্তাহে এক থেকে দুই
দিন ব্যবহার করুন। কিন্তু আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় বা ত্বকে
বিশেষ সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ফেসপ্যাকই
ব্যবহার করবেন না।
তুলসী পাতার অপকারিতা
তুলসি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, একথা সবারই জানা। এটি একটি জাদুকরী ভেষজ যা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারে। সব ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ বা উপাদানের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তুলসীর ক্ষেত্রেও তাই। তুলসি পাতা উপকারী কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে যাওয়া বা না খাওয়াই উত্তম। এই পাতা বা এর নির্যাস গ্রহণ করলে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে তুলসি পাতা এড়িয়ে চলবেনঃ
১। গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময়ঃ সামান্য তুলসি পাতা
খেলে তা ক্ষতিকর নয় তবে অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে এসময় নানা রকম
জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়গুলোতে তুলসি এড়িয়ে চলাই
উত্তম। তুলসিপাতা গর্ভবতী ও ভ্রুণের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় এটা
গর্ভপাতেরও কারণ হতে পারে। এই ভেষজে এস্ট্রাগোল নামক উপাদান থাকে
যা জরায়ুর সংকোচনের ভয়াবহ কারণ হতে পারে। তাছাড়া এই পাতা
রজঃচক্রের উপর প্রভাব রাখে এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে তা নারীর ক্ষেত্রে হতে পারে
বন্ধ্যাত্বের কারণ। তাই পরিমিত পরিমানে গ্রহণ করতে হবে।
২। রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারেঃ তুলসি পাতা অতিরিক্ত
খেলে তা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে শরীরের
স্বাভাবিক রক্ত জমাট হওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে দেখা
দিতে পারে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা। যেকোনো সার্জারির দুই সপ্তাহ
আগে থেকে তুলসি পাতা খাওয়া বন্ধ রাখুন।
৩। নিম্ন রক্তচাপঃ তুলসি পাতায় থাকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম। ফলে
কমে যেতে পারে রক্তচাপ। তাই কারও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে
তুলসি পাতা না খাওয়াই ভালো। এই ক্ষেত্রগুলোতে সতর্ক থাকলেই তুলসি
পাতা খাওয়া নিরাপদ। এর অনন্য সব উপকারিতার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন।
৪। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যঃ তুলসিপাতা রক্তে শর্করার
মাত্রা কমায় এবং কেউ যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ নেয় আর একই সঙ্গে
তুলসিপাতা বা এ থেকে তৈরি চা বা নির্যাস গ্রহণ করে তাহলে তার রক্তে
শর্করার মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যেতে পারে।
৫। নারী পুরুষের উর্বরতা হ্রাসঃ মানব শরীরের উপর কোনো পরীক্ষা না হলেও প্রাণী দেহের উপর করা নানান পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, নারী ও পুরুষ দুইয়ের উর্বরতার উপর তুলসি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণা থেকে জানা যায়, তুলসি শুক্রাণুর সংখ্যা কমায়, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, প্রোস্টেট, জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটা বংশবৃদ্ধিকারী হরমোননের কার্যকারিতা কমিয়ে উর্বরতা হ্রাস করে। যারা পরিবার পরিকল্পনা করতে চান, তাদের উপর এক মাসে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বলে গবেষণাটি থেকে জানা গেছে।
৬। রক্তের ঘনত্ব হ্রাসঃ এই ভেষজ উদ্ভিদ রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ খেতে চান না তাদের জন্য এটা ভালো ঘরোয়া ব্যবস্থা। তবে যারা এরই মধ্যে ওষুধ খাচ্ছেন তারা যদি তুলসি খান তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কারণ হতে পারে।
৭। যকৃতের ক্ষতিঃ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা অনুযায়ী, যারা নিয়মিত ব্যথা কমানোর ওষুধ খান তারা যদি নিয়মিত তুলসি গ্রহণ করেন তবে যকৃত ক্ষপ্তিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এই দুটোই ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শরীরে দুটো একসঙ্গে কাজ করলে যকৃতের কার্যকরীতা নষ্ট করতে পারে।
৫। নারী পুরুষের উর্বরতা হ্রাসঃ মানব শরীরের উপর কোনো পরীক্ষা না হলেও প্রাণী দেহের উপর করা নানান পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, নারী ও পুরুষ দুইয়ের উর্বরতার উপর তুলসি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণা থেকে জানা যায়, তুলসি শুক্রাণুর সংখ্যা কমায়, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, প্রোস্টেট, জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্ষমতা হ্রাস করে। এটা বংশবৃদ্ধিকারী হরমোননের কার্যকারিতা কমিয়ে উর্বরতা হ্রাস করে। যারা পরিবার পরিকল্পনা করতে চান, তাদের উপর এক মাসে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বলে গবেষণাটি থেকে জানা গেছে।
৬। রক্তের ঘনত্ব হ্রাসঃ এই ভেষজ উদ্ভিদ রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ খেতে চান না তাদের জন্য এটা ভালো ঘরোয়া ব্যবস্থা। তবে যারা এরই মধ্যে ওষুধ খাচ্ছেন তারা যদি তুলসি খান তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কারণ হতে পারে।
৭। যকৃতের ক্ষতিঃ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা অনুযায়ী, যারা নিয়মিত ব্যথা কমানোর ওষুধ খান তারা যদি নিয়মিত তুলসি গ্রহণ করেন তবে যকৃত ক্ষপ্তিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এই দুটোই ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শরীরে দুটো একসঙ্গে কাজ করলে যকৃতের কার্যকরীতা নষ্ট করতে পারে।
৮। দাঁতের সমস্যাঃ তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের সমস্যা হয়। কারন তুলসী পাতাতে আয়রন আছে। এর পাশাপাশি খুবই সামান্য পরিমানে উপস্থিত থাকে আর্সেনিক। তাই এই উপাদান দাঁতের ক্ষতি করে। তবে তুলসী পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে খেলে এতটা সমস্যা দেখা দেয় না। কারন, তখন সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া হয় না।
তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে শেষকথা
স্বাস্থ্য উপকারিতায় স্বীকৃতি হিসেবে তুলসী পাতা যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। এটি একটি টনিক হিসেবে কাজ করে যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক
স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করে। তুলসী পাতার অন্যতম প্রধান
উপকারিতা হচ্ছে এর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তুলসী পাতার
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ
থেকে রক্ষা করে। ফলে এটি সাধারণ শীতলতা, জ্বর, এবং ফ্লু’র বিরুদ্ধে
প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
আমাদের দেশে ছোট থেকে বড় সব ধরনের ছেলেমেয়েদের সর্দি-কাশিতে তুলসী
পাতার রস ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এসব ক্ষেত্রে কয়েকটি তাজা তুলসী
পাতার রসের সাথে একটু আদার রস ও মধুসহ খাওয়ানো হয়। বাচ্চাদের
সর্দি-কাশিতে এটি বিশেষ ফলপ্রদ। তাজা তুলসী পাতার রস মধু, আদা ও
পিঁয়াজের রসের সাথে এক সাথে পান করলে সর্দি বের হয়ে যায় এবং হাপানি
রোগে আরাম পাওয়া যায়।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url