১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ‍্যে সেরা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল খুঁজছেন, তাহলে এই পোস্টটি হতে পারে আপনার জন্যই বেস্ট। বর্তমান সময়ে ভালো মানের স্মার্টফোন পেতে হলে সঠিক বাজেট নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমি ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা কিছু মোবাইল ফোনের তালিকা করেছি।
১৫-থেকে-২০-হাজার-টাকার-মধ‍্যে-সেরা-অ‍্যান্ড্রয়েড-মোবাইল
এবং তাদের বৈশিষ্ট্য, কেন এগুলো আপনার জন্য সঠিক নির্বাচন হতে পারে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কিছু অসাধারণ ফিচার সমৃদ্ধ মোবাইল পাওয়া যায়, যা আপনার দৈনন্দিন কাজ সহজ এবং কার্যকর করে তুলবে। পুরো পোস্টটি পড়লে আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা অপশনটি সহজেই খুঁজে পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ‍্যে সেরা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল কেনার আগে যা বিবেচনা করবেন

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল কেনার আগে আপনার কত টাকা খরচ করতে পারবেন সেটি নির্ধারণ করুন। স্মার্টফোনের দাম বিভিন্ন রেঞ্জে থাকে, তাই আগে থেকে বাজেট ঠিক করে নিলে ফোন নির্বাচন করা সহজ হবে। ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে মোবাইল কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করলে ভালো মানের ফোন কেনা সম্ভব হবে। তাই দেরি না করে অনুসরণ করতে পারেন নিচের দেওয়া তথ্যগুলোঃ

১. প্রসেসর ও পারফরম্যান্সঃ ফোনের কর্মক্ষমতা অনেকটাই প্রসেসরের উপর নির্ভর করে। যদি গেমিং বা হাই পারফরম্যান্স অ্যাপ ব্যবহার করতে চান, তবে ভালো প্রসেসর নির্বাচন করুন।

  • বাজেট অনুযায়ী ভালো পারফরম্যান্সের জন্য MediaTek Helio G99, Qualcomm Snapdragon 680/695, বা Dimensity সিরিজের প্রসেসর থাকলে ভালো হবে।
  • গেমিং বা মাল্টিটাস্কিং করলে G99 বা Snapdragon 695 ভালো পারফরম করবে।
২. র‌্যাম ও স্টোরেজঃ স্মার্টফোনে কমপক্ষে 4GB RAM এবং পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা উচিত। 64GB বা তার বেশি স্টোরেজ ভালো, তবে যদি অনেক অ্যাপ এবং ডাটা স্টোর করতে চান, তবে 128GB বা তার বেশি স্টোরেজ বেছে নিন।

  • ৬GB RAM + ১২৮GB স্টোরেজ থাকলে ভালো হয়, কারণ বেশি র‌্যাম থাকলে ফোন দ্রুত কাজ করবে।
  • ৮GB RAM (এক্সপ্যান্ডেবল সহ) থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে।
৩. ডিসপ্লে কোয়ালিটিঃ স্ক্রীন সাইজ আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে। যদি বেশি ভিডিও দেখা বা গেম খেলা পছন্দ করেন, তবে বড় ডিসপ্লে ভালো।

  • AMOLED ডিসপ্লে (90Hz/120Hz রিফ্রেশ রেট) থাকলে স্ক্রিন ভালো দেখাবে এবং সাড়া দেওয়া দ্রুত হবে।
  • বাজেটে AMOLED না পেলে, IPS LCD (120Hz রিফ্রেশ রেট) ডিসপ্লে থাকলেও চলবে।
  • ডিসপ্লে সাইজ 6.5-6.8 ইঞ্চি হলে ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা ভালো হবে।
৪. ক্যামেরা পারফরম্যান্সঃ ভালো ক্যামেরার জন্য যদি আপনি বেশি গুরুত্ব দেন, তবে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, অ্যাপারচার এবং অন্যান্য ফিচার যেমন অটোফোকাস, স্ট্যাবিলাইজেশন ইত্যাদি দেখে নিন।

  • ৫০MP মেইন ক্যামেরা থাকা উচিত, সাথে OIS বা EIS থাকলে আরও ভালো।
  • আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স থাকলে ছবি তুলতে সুবিধা হয়।
  • সেলফি ভালো হলে ১৬MP বা ৩২MP ফ্রন্ট ক্যামেরা ভালো অপশন।
৫. ব্যাটারি ও চার্জিং স্পিডঃ স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফও গুরুত্বপূর্ণ। 4000mAh বা তার বেশি ব্যাটারি পাওয়াটা ভালো।

  • ৫০০০mAh বা ৬০০০mAh ব্যাটারি থাকলে দিনভর ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
  • ৩৩W বা ৬৭W ফাস্ট চার্জিং থাকলে দ্রুত চার্জ হবে।
৬. অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেটঃ iOS বা Android, যেটি আপনি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন তা নির্বাচন করুন। Android ফোনে আরও কাস্টমাইজেশন সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু iOS বেশিরভাগ সময় বেশি সিকিউর এবং সিম্পল।

  • Android ১৩ বা ১৪ পাওয়া গেলে ভালো।
  • ব্র্যান্ডের সফটওয়্যার আপডেট নীতি দেখে নেওয়া উচিত, যেন দীর্ঘ সময় আপডেট পেতে পারেন।
৭. নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটিঃ

  • ৫G সমর্থিত ফোন কিনলে ভবিষ্যতে উপকার পাবেন।
  • Wi-Fi 6, Bluetooth 5.1 বা 5.2, NFC থাকলে আরও ভালো।
৮. ব্র্যান্ড ও বিক্রয়োত্তর সেবাঃ ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কিনলে এর রিলায়েবিলিটি এবং সাপোর্ট ভালো থাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের পর্যালোচনা দেখে সিদ্ধান্ত নিন।

  • Xiaomi, Realme, Samsung, Infinix, Tecno, Vivo ইত্যাদি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া যেতে পারে।
  • ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার সুবিধা দেখে নেওয়া উচিত।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নির্বাচন করা এখন খুবই সহজ। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনোদন থেকে শুরু করে যে কোন প্রয়োজনে আমাদের স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও চলে না। তবে স্মার্ট ফোন কিনতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই কারণ বাজারে একই দামের ভেতরে অনেক কোম্পানির মোবাইল পাওয়া যায়। তাই দেখে নিন সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মডেলঃ

১. রেডমি নোট-১২ (Redmi Note 12)

১৯,৯৯৯ টাকায় উপলব্ধ এই ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, Snapdragon 685 প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৫,০০০ mAh ব্যাটারি।

Xiaomi Redmi Note 12, যা 2022 সালের অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছে, এটি একটি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ স্মার্টফোন যা GSMARENA.COM-এ সাশ্রয়ী মূল্যের বিন্দুতে চিত্তাকর্ষক বৈশিষ্ট্য প্রদান করে

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ 6.67-ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, মসৃণ ভিজ্যুয়াল এবং স্পন্দনশীল রং প্রদান করে
  • রেজোলিউশনঃ 1080 x 2400 পিক্সেল, ধারালো এবং পরিষ্কার ছবি নিশ্চিত করে।
পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসরঃ Qualcomm Snapdragon 4 Gen 1 চিপসেট দ্বারা চালিত, দৈনন্দিন কাজ এবং মাঝারি গেমিংয়ের জন্য দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
  • RAM এবং স্টোরেজঃ 4GB, 6GB, এবং 8GB RAM বিকল্পগুলি সহ একাধিক কনফিগারেশনে উপলব্ধ, 128GB বা 256GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের সাথে যুক্ত।
ক্যামেরা সিস্টেম (Camera System)

  • রিয়ার ক্যামেরাঃ একটি 50MP প্রধান সেন্সর সমন্বিত ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, বিশদ এবং উচ্চ-মানের ছবি ধারণ করে,
  • সামনের ক্যামেরাঃ পরিষ্কার সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 13MP ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।
ব্যাটারি এবং চার্জিং (Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতা: 5000mAh ব্যাটারি দিয়ে সজ্জিত, সারা দিন বর্ধিত ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়।
  • চার্জিং: দ্রুত রিচার্জের জন্য 33W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড 13 এর উপর ভিত্তি করে MIUI 14 এ চলে, একটি আপডেটেড এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে,
  • সংযোগঃ একটি 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত এবং ডুয়াল সিম কার্যকারিতা সমর্থন করে।
  • নিরাপত্তাঃ সুরক্ষিত অ্যাক্সেসের জন্য সাইড-মাউন্ট করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং আল ফেস আনলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
Redmi Note 12 একটি উচ্চ-রিফ্রেশ-রেট AMOLED ডিসপ্লে, সক্ষম প্রসেসর, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম, এবং যথেষ্ট ব্যাটারি লাইফকে একত্রিত করে, এটি একটি সুষম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা চাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পছন্দ করে তুলেছে।

২. রিয়েলমি নার্জো-৬০ (Realme Narzo 60)

২০,০০০ টাকার এই ডিভাইসটিতে ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, MediaTek Dimensity 6020 প্রসেসর, ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৫,০০০ mAh ব্যাটারি রয়েছে।

2023 সালের জুলাই মাসে ঘোষিত Realme Narzo 60 হলো একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা পারফরম্যান্স এবং বৈশিষ্ট্যগুলির একটি সুষম মিশ্রণ অফার করে।

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 90Hz রিফ্রেশ রেট সহ 6.43-ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, মসৃণ ভিজ্যুয়াল এবং প্রাণবন্ত রঙ প্রদান করে
  • রেজোলিউশনঃ 1080 x 2400 পিক্সেল, ধারালো এবং পরিষ্কার ছবি নিশ্চিত করে।
  • সুরক্ষাঃ উন্নত স্থায়িত্বের জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস 5।
পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি 6020 চিপসেট দ্বারা চালিত, দৈনন্দিন কাজ এবং মাঝারি গেমিং এর জন্য দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রদান করে
  • RAM এবং স্টোরেজঃ 8GB RAM দিয়ে সজ্জিত এবং 128GB বা 256GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ ভেরিয়েরিটে উপলব্ধ।

ক্যামেরা সিস্টেম (Camera System)

  • রিয়ার ক্যামেরাঃ ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপে একটি 64MP প্রধান সেন্সর এবং একটি 2MP গভীরতা সেন্সর রয়েছে, যা বিস্তারিত এবং উচ্চ-মানের ছবি ধারণ করে।
  • সামনের ক্যামেরাঃ পরিষ্কার সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 16MP ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা
ব্যাটারি এবং চার্জিং (Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ 5000mAh ব্যাটারি দিয়ে সজ্জিত, সারা দিন বর্ধিত ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়
  • চার্জিংঃ দ্রুত রিচার্জের জন্য 33W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড 13-এর উপর ভিত্তি করে Realme UI 4.0-এ চলে, একটি আপডেটেড এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে।
  • সংযোগঃ একটি 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত এবং ডুয়াল সিম কার্যকারিতা সমর্থন করে।
  • নিরাপত্তাঃ সুরক্ষিত অ্যাক্সেসের জন্য একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
Realme Narzo 60 একটি উচ্চ-রিফ্রেশ-রেট AMOLED ডিসপ্লে, সক্ষম প্রসেসর, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং যথেষ্ট ব্যাটারি লাইফকে একত্রিত করে, এটি একটি সুষম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা চাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পছন্দ করে তুলেছে।

৩. স্যামস্যাঙ্গ গ্যালাক্সি-এম৩৩  (Samsung Galaxy M33 5G)

১৯,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যায় এই ফোনটি, যেখানে আছে ৬.৬ ইঞ্চি TFT ডিসপ্লে, Exynos 1280 প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৬,০০০ mAh ব্যাটারি।
Samsung Galaxy M33 5G: Mejor precio, características y ofertas | Compra ...
2022 সালের মার্চ মাসে ঘোষিত Samsung Galaxy M33 5G হল একটি মধ্য-পরিসরের স্মার্টফোন যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ অফার করে

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ 6.6-ইঞ্চি TFT LCD, মসৃণ ভিজ্যুয়াল প্রদান করে।
  • রেজোলিউশনঃ 1080 x 2408 পিক্সেল, পরিষ্কার এবং তীক্ষ্ণ ছবি নিশ্চিত করে
  • সুরক্ষাঃ কর্নিং গরিলা গ্লাস 5 স্থায়িত্ব বাড়ায়।
পারফরম্যান্স (Performance)

  • এক্সিনোস 1280 চিপসেট দ্বারা চালিত প্রসেসর, দৈনন্দিন কাজের জন্য দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
  • RAM এবং স্টোরেজ: 6GB বা 8GB RAM এর কনফিগারেশনে উপলব্ধ, 128GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের সাথে যুক্ত, 1TB পর্যন্ত microSD এর মাধ্যমে প্রসারিত করা যায়।
ক্যামেরা সিস্টেম(Camera System)

রিয়ার ক্যামেরাঃ কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ 
  • 50MP প্রধান সেন্সর (f/1.8, PDAF)
  • 5MP আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স (22)
  • 2MP গভীরতা সেন্সর (f/2.4)
  • 2MP ম্যাক্রো লেন্স (1/24)
সামনের ক্যামেরাঃ সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 8MP ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা (f/2.2)

ব্যাটারি এবং চার্জিং (Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ একটি 6000mAh ব্যাটারি দিয়ে সজ্জিত, সারা দিন বর্ধিত ব্যবহার অফার করে৷
  • চার্জিংঃ দ্রুত রিচার্জের জন্য 25W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে,
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ Android 12-এ চলে Samsung এর One UI 4.1 এর সাথে একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে।
  • সংযোগঃ একটি 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত এবং ডুয়াল সিম কার্যকারিতা সমর্থন করে।
  • নিরাপত্তাঃ সুরক্ষিতের জন্য সাইড-মাউন্ট করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে
Samsung Galaxy M33 5G একটি উচ্চ-রিফ্রেশ-রেট ডিসপ্লে, সক্ষম প্রসেসর, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং যথেষ্ট ব্যাটারি লাইফকে একত্রিত করে, এটি একটি সুষম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা চাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পছন্দ করে তুলেছে।
৪. পোকো এক্স৫ (Poco X5)

২০,০০০ টাকার এই ফোনটিতে ১২০Hz রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৬৭ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, Snapdragon 695 প্রসেসর, ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৫,০০০ mAh ব্যাটারি রয়েছে।

পোকো এক্স৫ একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, যা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে ঘোষণা করা হয়। এটি উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং কার্যক্ষমতার সমন্বয়ে গঠিত।

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ (১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল) এএমওএলইড ডটডিসপ্লে, যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে।
  • প্রটেকশনঃ কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ দ্বারা সুরক্ষিত।

পারফরম্যান্স(Performance)

  • প্রসেসরঃ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ৫জি চিপসেট।
  • র‌্যাম এবং স্টোরেজঃ ৬ জিবি বা ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।

ক্যামেরা সিস্টেম(Camera System)

  • রিয়ার ক্যামেরাঃ ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রধান সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স সমন্বিত ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ।
  • ফ্রন্ট ক্যামেরাঃ ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।

ব্যাটারি এবং চার্জিং(Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার (mAh)।
  • চার্জিংঃ ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে।

অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভিত্তিক এমআইইউআই ১৩।
  • সংযোগঃ ৫জি, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ৫.১, এনএফসি, এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট।
  • নিরাপত্তাঃ সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
পোকো এক্স৫ তার উন্নত ডিসপ্লে, শক্তিশালী প্রসেসর, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফের জন্য একটি আকর্ষণীয় পছন্দ হতে পারে।

৫. মটোরলা (Motorola G82 5G)

১৯,৯৯৯ টাকায় উপলব্ধ এই ডিভাইসটিতে ৬.৬ ইঞ্চি pOLED ডিসপ্লে, Snapdragon 695 প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৫,০০০ mAh ব্যাটারি রয়েছে।

2022 সালের মে মাসে ঘোষিত Motorola Moto G82 5G হল একটি মধ্য-রেঞ্জের স্মার্টফোন যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ অফার করে।

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ 6.6-ইঞ্চি ফুল HD+ AMOLED ডিসপ্লে, মসৃণ ভিজ্যুয়াল এবং প্রাণবন্ত রঙ প্রদান করে
  • রেজোলিউশনঃ 1080 x 2400 পিক্সেল, ধারালো এবং পরিষ্কার ছবি নিশ্চিত করে।
  • সুরক্ষাঃ উন্নত স্থায়িত্বের জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস 3।

পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসর: কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন 695 50 চিপসেট দ্বারা চালিত, প্রতিদিনের কাজ এবং মাঝারি গেমিংয়ের জন্য দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রদান করে
  • RAM এবং স্টোরেজ: 6GB RAM এবং 128GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সহ উপলব্ধ, মাইক্রো50 কার্ডের মাধ্যমে 178 পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়।

ক্যামেরা সিস্টেম(Camera System)

রিয়ার ক্যামেরাঃ ট্রিপল-ক্যামেরা সেটআপ 
  • 50MP প্রধান সেন্সর (1/1.8, PDAF)
  • 8MP আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স (f/2.2)
  • 2MP ম্যাক্রো লেন্স (1/2/4)
সামনের ক্যামেরাঃ পরিষ্কার সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 16MP ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা (f/2.2)

ব্যাটারি এবং চার্জিং (Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ 5000mAh, সারা দিন বর্ধিত ব্যবহারের প্রস্তাব।
  • চার্জিংঃ দ্রুত রিচার্জের জন্য 30W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে।

অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ মটোরোলার মাই ইউএক্সের সাথে অ্যান্ড্রয়েড 12-এ চলে, একটি পরিষ্কার এবং জুস্টোমিজেবল ইন্টারফেস প্রদান করে।
  • সংযোগঃ 5G সমর্থন, Wi-Fi 5, ব্লুটুথ 5.1, NFC, এবং USB Type-C পোর্ট অন্তর্ভুক্ত।
  • নিরাপত্তাঃ সুরক্ষিত অ্যাক্সেসের জন্য একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
Motorola Moto G82 5G একটি উচ্চ-রিফ্রেশ-রেট AMOLED ডিসপ্লে, সক্ষম প্রসেসর, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং যথেষ্ট ব্যাটারি লাইফকে একত্রিত করে, এটি একটি সুষম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা চাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পছন্দ করে তুলেছে।

৬. ভিভো-টি২(Vivo T2 5G)

৬.৪৪ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, ৮ জিবি RAM, ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৫জি সাপোর্ট
2023 সালের এপ্রিলে ঘোষিত Vivo T2 5G হল একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ অফার করে।

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 2400 x 1080 পিক্সেল রেজোলিউশন সহ 6.38-ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, স্পন্দনশীল রঙ এবং তীক্ষ্ণ ভিজ্যুয়াল প্রদান করে
  • রিফ্রেশ রেটঃ মসৃণ স্ক্রোলিং এবং অ্যানিমেশনের জন্য একটি 90Hz রিফ্রেশ হার সমর্থন করে।
  • ডিজাইনঃ 158.91 x 73.53 x 7.80 মিমি এবং 172 গ্রাম ওজন সহ স্লিম প্রোফাইল, এটিকে রাখা আরামদায়ক করে
পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসরঃ Qualcomm Snapdragon 695 5G চিপসেট দ্বারা চালিত, প্রতিদিনের কাজগুলির জন্য দক্ষ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে৷
  • RAM এবং স্টোরেজঃ 6GB বা 8GB RAM এর কনফিগারেশনে উপলব্ধ, 128GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের সাথে যুক্ত, মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে প্রসারণযোগ্য।
ক্যামেরা সিস্টেম (Camera System)

রিয়ার ক্যামেরাঃ ডুয়াল-ক্যামেরা সেটআপ

  • পরিষ্কার এবং স্থিতিশীল শটের জন্য অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS) সহ 64MP প্রধান সেন্সর
  • উন্নত প্রতিকৃতি ফটোগ্রাফির জন্য 2MP গভীরতা সেন্সর।
সামনের ক্যামেরাঃ উচ্চ মানের সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য 16MP ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।

ব্যাটারি এবং চার্জিং(Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ একটি 4500mAh ব্যাটারি দিয়ে সজ্জিত, সারা দিন বর্ধিত ব্যবহার অফার করে।
  • চার্জিংঃ 44W ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি সমর্থন করে, দ্রুত চার্জ করার সময় সক্ষম করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড 13-এর উপর ভিত্তি করে Funtouch OS 13-এ চলে, একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে।
  • সংযোগঃ 5G সমর্থন, ডুয়াল সিম কার্যকারিতা, Wi-Fi 2.4 GHz/5GHz, Bluetooth 5.1 এবং একটি USB Type-C পোর্ট অন্তর্ভুক্ত৷
  • নিরাপত্তাঃ সুবিধাজনক এবং নিরাপদ আনলক করার জন্য একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বৈশিষ্ট্যযুক্ত
Vivo 12 5G একটি উচ্চ-মানের AMOLED ডিসপ্লে, সক্ষম প্রসেসর, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং দ্রুত চার্জ করার ক্ষমতাকে একত্রিত করে, এটি একটি সুষম স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা চাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পছন্দ করে তুলেছে।

৭. স্যামস্যাঙ্গ গ্যালাক্সি-এ৩২ (Samsung Galaxy A32)

৬.৪ ইঞ্চি সুপার AMOLED ডিসপ্লে, ৬ জিবি RAM, ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা।
2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত Samsung Galaxy A32 হল একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা পারফরম্যান্স এবং বৈশিষ্ট্যগুলির একটি সুষম মিশ্রণ অফার করে।

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 1080 x 2400 পিক্সেল রেজোলিউশন সহ 6.4-ইঞ্চি সুপার AMOLED ডিসপ্লে, প্রাণবন্ত রঙ এবং তীক্ষ্ণ ভিজ্যুয়াল সরবরাহ করে।
  • রিফ্রেশ রেটঃ 90Hz, মসৃণ স্ক্রলিং এবং অ্যানিমেশন নিশ্চিত করে।
  • সুরক্ষাঃ উন্নত স্থায়িত্বের জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস 5।
  • মাত্রাঃ 158.9 x 73.6 x 8.4 মিমি ওজন: 184 গ্রাম।
পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসরঃ MediaTek Helio G80 চিপসেট একটি অক্টা-কোর CPU (2x2.0 GHz Cortex-A75 এবং 6x1.8 GHz Cortex-A55) এবং Mali-G52 MC2 GPU সহ।
  • RAM এবং স্টোরেজঃ 4GB, 6GB, বা 8GB RAM এর কনফিগারেশনে উপলব্ধ, 64GB বা 128GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের সাথে যুক্ত, মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে প্রসারিত করা যায়।
ক্যামেরা সিস্টেম(Camera System)

রিয়ার ক্যামেরাঃ কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ বৈশিষ্ট্যযুক্ত:

  • 64 MP, f/1.8, 26mm (wide) main sensor.
  • 8 MP, f/2.2, 123˚ (ultrawide) lens.
  • 5 MP, f/2.4 (macro) lens.
  • 5 MP, f/2.4 (depth) sensor.
সামনের ক্যামেরাঃ 20 MP, f/2.2 (wide) for high-quality selfies

ব্যাটারি এবং চার্জিং(Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ 5000 mAh, বর্ধিত ব্যবহার প্রদান করে।
  • চার্জিংঃ 15W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ প্রাথমিকভাবে Android 11-এর সাথে পাঠানো হয়েছে, Samsung-এর One UI 4.1-এর সাথে Android 12-এ আপগ্রেডযোগ্য।
  • সংযোগঃ 4G LTE, Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac, Bluetooth 5.0, NFC, এবং USB Type-C 2.0৷
  • নিরাপত্তাঃ আন্ডার-ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
  • অডিওঃ 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক।
Samsung Galaxy A32 এর উচ্চ-মানের ডিসপ্লে, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং শক্তিশালী ব্যাটারি লাইফ সহ একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করে, যা এটিকে মধ্য-রেঞ্জের স্মার্টফোন বাজারে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী করে তুলেছে।

৮. শাওমি রেডমি নোট-১১ (Xiaomi Redmi Note 11)

৬.৪৩ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, ৪/৬ জিবি RAM, ৬৪/১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা।
Xiaomi Redmi Note 11, যা 2022 সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হয়েছিল, এটি একটি মধ্য-রেঞ্জের স্মার্টফোন যা GEN.CON কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যগুলির একটি সুষম মিশ্রণ অফার করে৷

ডিসপ্লে এবং ডিজাইন (Display and Design)

  • স্ক্রিনঃ 1080 x 2400 পিক্সেল রেজোলিউশন সহ 6.43-ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে, প্রাণবন্ত রঙ এবং তীক্ষ্ণ ভিজ্যুয়াল সরবরাহ করে।
  • রিফ্রেশ রেটঃ 90Hz, মসৃণ স্ক্রলিং এবং অ্যানিমেশন নিশ্চিত করে।
  • সুরক্ষাঃ উন্নত স্থায়িত্বের জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস 3।
  • মাত্রাঃ 159.9 x 73.9 x 8.1 মিমি ওজন: 179 গ্রাম
পারফরম্যান্স (Performance)

  • প্রসেসরঃ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন 680 4G চিপসেট একটি অক্টা-কোর CPU (4x2.4 GHz Kryo 265 Gold & 4x1.9 GHz Kryo 265 Silver) এবং Adreno 610 GPU সহ।
  • RAM এবং স্টোরেজঃ 4GB বা 6GB RAM এর কনফিগারেশনে উপলব্ধ, 64GB বা 128GB অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের সাথে যুক্ত, মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে 1 TB পর্যন্ত প্রসারিত করা যায়।
ক্যামেরা সিস্টেম(Camera System)

রিয়ার ক্যামেরাঃ  কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ

  • 50 MP, f/1.8, 26mm (wide) main sensor.
  • 8 MP, f/2.2, 118˚ (ultrawide) lens.
  • 2 MP, f/2.4 (macro) lens.
  • 2 MP, f/2.4 (depth) sensor.
সামনের ক্যামেরাঃ 13 MP, f/2.4 (wide) for high-quality selfies.

ব্যাটারি এবং চার্জিং(Battery and Charging)

  • ব্যাটারি ক্ষমতাঃ 5000 mAh, বর্ধিত ব্যবহার প্রদান করে।
  • চার্জিংঃ 33W দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য (Additional Features)

  • অপারেটিং সিস্টেমঃ প্রাথমিকভাবে MIUI 13 চলমান Android 11 এর সাথে পাঠানো হয়েছে।
  • সংযোগঃ 4G LTE, Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac, Bluetooth 5.0, NFC, এবং USB Type-C 2.0৷
  • নিরাপত্তাঃ সাইড-মাউন্ট করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
  • অডিওঃ 3.5 মিমি হেডফোন জ্যাক এবং স্টেরিও স্পিকার।
Xiaomi Redmi Note 11 এর উচ্চ-মানের ডিসপ্লে, বহুমুখী ক্যামেরা সিস্টেম এবং শক্তিশালী ব্যাটারি লাইফ সহ একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করে, যা এটিকে মধ্য-রেঞ্জের স্মার্টফোন বাজারে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী করে তুলেছে।

আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী উপরের ফোনগুলোর মধ্যে থেকে নির্বাচন করতে পারেন। প্রতিটি ফোনের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত ফোনটি বেছে নিতে পারেন।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বাজেট সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা

ভোক্তাদের জন্য তাদের চাহিদা পূরণ করে এবং তাদের বাজেটের সাথে মানানসই সঠিক স্মার্টফোন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে, অনেক লোকের জন্য সেরা সাশ্রয়ী মূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলি অনুসন্ধান করা অত্যাবশ্যক৷ ২০২৪ সালে বাজারে আসা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বাজেট সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল গুলোর মধ্যে পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি লাইফ, এবং অন্যান্য ফিচারের ভিত্তিতে কিছু উল্লেখযোগ্য মডেল নিম্নরূপঃ

১. রিয়েলমি সি৭৫ঃ রিয়েলমি সম্প্রতি তাদের নতুন স্মার্টফোন 'রিয়েলমি সি৭৫' বাজারে এনেছে, যা আইপি৬৯ রেটিংসহ সম্পূর্ণ ধুলা ও পানিরোধী। ফোনটি ২.৫ মিটার গভীর পানিতে ১২ ঘণ্টা এবং ০.৫ মিটার গভীরে টানা ১০ দিন পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারে। এতে সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন প্রযুক্তি রয়েছে, যা শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে ফোনের চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার থেকে পানি অপসারণ করে। এছাড়া, মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স থাকায় এটি দুর্ঘটনাজনিত আঘাত সহ্য করতে সক্ষম।

  • ফোনটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃডিসপ্লেঃ ৬.৭২ ইঞ্চি ৯০ হার্টজ ফুল এইচডি ডিসপ্লে
  • প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক হেলিও জি৯২ ম্যাক্স
  • ব্যাটারিঃ ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং
  • র‌্যাম ও স্টোরেজঃ ৮ জিবি র‌্যাম + ১৬ জিবি ডায়নামিক র‌্যাম; ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি স্টোরেজ
  • ক্যামেরাঃ পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরাসহ তিনটি লেন্স; সামনে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
ফোনটি লাইটনিং গোল্ড ও স্টর্ম ব্ল্যাক রঙে পাওয়া যাবে। ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ১৯,৯৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২২,৯৯৯ টাকা। সকল গ্রাহক পাচ্ছেন ১ বছরের ওয়াটারপ্রুফ ও স্ক্রিন প্রটেক্টর ওয়ারেন্টি।

২. অপো এ৬০ঃ ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬০ অসাধারণ। এর ৫০ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ক্লিয়ার ডুয়েল ক্যামেরা উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম। বিশেষ করে পোর্ট্রেট মোডে দুটি ক্যামেরা একসঙ্গে কাজ করে প্রফেশনাল মানের ছবি প্রদান করে। অপো এ৬০ একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, যা ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশে উন্মোচিত হয়। ফোনটি ৬.৭ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে সহ ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ৯৫০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা প্রদান করে।

ফোনটি স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ চিপসেট দ্বারা চালিত, ৮ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়। ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সহ ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০% এবং ৭৫ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ করতে সক্ষম। অপো এ৬০ এর ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২২,৯৯০ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা। ফোনটি নীল এবং বেগুনি রঙে উপলব্ধ।

ফোনটির ডিজাইন টেকসই, অ্যান্টি-ড্রপ গ্লাস স্ক্রিন এবং ডাবল টেম্পারড গ্লাস ব্যবহৃত হয়েছে, যা ১.২২ মিটার উচ্চতা থেকে ২৬ বার পড়লেও অক্ষত থাকে। তবে, এতে ৫জি নেটওয়ার্ক এবং এনএফসি সুবিধা নেই। সামগ্রিকভাবে, অপো এ৬০ একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স, দ্রুত চার্জিং এবং উন্নত ক্যামেরা ফিচার সহ একটি ভালো মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন।

৩. ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রোঃ চমকপ্রদ ডিজাইনের জন্য ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো নজর কাড়ে। ইনফিনিক্স সম্প্রতি তাদের হট সিরিজের নতুন স্মার্টফোন 'ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো' বাংলাদেশে উন্মোচন করেছে। ফোনটি প্রিমিয়াম ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং উন্নত ক্যামেরা ফিচারসহ বাজারে এসেছে। এর আধুনিক ও স্লিম ডিজাইন এবং প্রিমিয়াম ফিনিশ ডিভাইসটিকে করে তোলে দৃষ্টিনন্দন। বিভিন্ন আকর্ষণীয় রঙে সহজলভ্য এই ফোনটি দেখতে সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

এর প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডিসপ্লেঃ ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, কর্নিং গরিলা গ্লাস সুরক্ষা।
  • প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ চিপসেট, যা গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত।
  • র‌্যাম ও স্টোরেজঃ ১৬ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম (ডায়নামিক র‌্যাম প্রযুক্তি সহ) এবং ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
  • ক্যামেরাঃ পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
  • ব্যাটারিঃ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
  • ডিজাইনঃ ৭.৪ মিমি স্লিম প্রিমিয়াম ডিজাইন, যা দেখতে আকর্ষণীয় এবং হাতে ধরে রাখা সহজ।
ফোনটি টাইটানিয়াম গ্রে, গ্লেসিয়ার ব্লু এবং স্লিক ব্ল্যাক—এই তিনটি রঙে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো-এর মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস মডেলটিও বাজারে এসেছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি-কার্ভড স্ক্রিন এবং উন্নত ফিচারসহ পাওয়া যাচ্ছে।

৪. শাওমি রেডমি নোট ১৩ 4জিঃ শাওমি সম্প্রতি তাদের রেডমি সিরিজের নতুন স্মার্টফোন 'রেডমি নোট ১৩' উন্মোচন করেছে, যা উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সমন্বয় ঘটিয়েছে। অসাধারণ স্বচ্ছতা, প্রাণবন্ত রং এবং গভীর কনট্রাস্টসহ এই ফোনটির অ্যামোলেড ডিসপ্লে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের সাথে স্ক্রলিং এবং অ্যানিমেশনকে করে তোলে আরও মসৃণ। এই মানের ডিসপ্লে সহজেই তার ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠে।

প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডিসপ্লেঃ ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ অ্যামোলেড স্ক্রিন, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০০ নিটস সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা।
  • প্রসেসরঃ ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ চিপসেট, যা মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত।
  • র‌্যাম ও স্টোরেজঃ ৬ জিবি বা ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
  • ক্যামেরাঃ ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রধান সেন্সরসহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা; ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স। সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
  • ব্যাটারিঃ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
  • নিরাপত্তাঃ ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক সুবিধা।
মূল্যঃ

  • ৬ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ: ২২,৯৯৯ টাকা।
  • ৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ: ২৫,৯৯৯ টাকা।
ফোনটি মিন্ট গ্রিন, আইস ব্লু এবং মিডনাইট ব্ল্যাক—এই তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে। রেডমি নোট ১৩ তার উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

৫. ভিভো ওয়াই ২৮ (৮/১২৮ জিবিঃ শক্তিশালী ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জিং সুবিধাসহ এই ফোনটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে। এর ফলে, একবার পূর্ণ চার্জে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ভিডিও স্ট্রিমিং করা যায়। মাত্র ৫ মিনিটের চার্জে টানা ২ ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করা সম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি চান, তাদের জন্য এটি সেরা পছন্দ। ভিভো ওয়াই২৮ (৮/১২৮ জিবি) একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, যা উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সমন্বয় ঘটিয়েছে।

প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডিসপ্লেঃ ৬.৫৬ ইঞ্চি এইচডি+ এলসিডি স্ক্রিন, ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
  • প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ৬০২০ অক্টা-কোর চিপসেট।
  • র‌্যাম ও স্টোরেজঃ ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
  • ক্যামেরাঃ পেছনে- ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি সেন্সর।সামনে- ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
  • ব্যাটারিঃ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক Funtouch OS 13।
  • ডুয়াল সিম সাপোর্ট, ৫জি কানেক্টিভিটি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ডাস্ট এবং স্প্ল্যাশ রেজিস্ট্যান্ট।
মূল্যঃ ভিভো ওয়াই২৮ দুটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়

  • ৬ জিবি র‌্যাম ১২৮ জিবি স্টোরেজ: ২০,৯৯৯ টাকা
  • ৮ জিবি র‌্যাম ২৫৬ জিবি স্টোরেজ: ২৫,৯৯৯ টাকা
ভিভো ওয়াই২৮ (৮/১২৮ জিবি) ফোনটি ক্রিস্টাল পার্পল এবং গ্লিটার অ্যাকোয়া—এই দুটি রঙে পাওয়া যায়। ফোনটি অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, ভিভো ই-স্টোর এবং বিভিন্ন রিটেল স্টোরে উপলব্ধ। সামগ্রিকভাবে, ভিভো ওয়াই২৮ (৮/১২৮ জিবি) একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স, উন্নত ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ সহ একটি সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন। বাংলাদেশে, ১০ জুলাই ২০২৪ থেকে ভিভোর যেকোনো শোরুম বা ই-স্টোরে এই স্মার্টফোনটি উপলব্ধ।

৬. টেকনো স্পার্ক ৩০ প্রোঃ টেকনো স্পার্ক ৩০ প্রো একটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, যা আকর্ষণীয় ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচার নিয়ে বাজারে এসেছে। ফোনটির ডিজাইন অত্যন্ত স্লিম, মাত্র ৭.৪ মিমি পুরু, যা হাতে ধরে রাখতে আরামদায়ক। এটি অবসিডিয়ান এজ, আর্কটিক গ্লো এবং অপটিমাস প্রাইম স্পেশাল এডিশন রঙে পাওয়া যায়। গেমিংয়ের জন্য এই ফোনটি আদর্শ সঙ্গী। এর হাই-রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লে এবং শক্তিশালী প্রসেসর গেমিং অভিজ্ঞতাকে করে তোলে আরও মসৃণ এবং ল্যাগ কমিয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে। মাল্টিপ্লেয়ার গেম বা গ্রাফিক্যাল চ্যালেঞ্জিং গেম—সবই অনায়াসে সামলাতে সক্ষম।

প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডিসপ্লেঃ ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ (১০৮০x২৪৬০ পিক্সেল) অ্যামোলেড স্ক্রিন, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৭০০ নিটস সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা।
  • প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ চিপসেট, অক্টা-কোর (২x২.২ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৬ এবং ৬x২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫) সিপিইউ।
  • র‌্যাম ও স্টোরেজঃ ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
  • ক্যামেরাঃ পেছনে- ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, f/১.৮ অ্যাপারচার, কোয়াড-এলইডি ফ্ল্যাশ।সামনে- ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, ডুয়াল-এলইডি ফ্ল্যাশ।
  • ব্যাটারিঃ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক HIOS।
  • নিরাপত্তাঃ অন-স্ক্রিন অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক সুবিধা।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডুয়াল সিম সাপোর্ট, ৪জি কানেক্টিভিটি, ওয়াই-ফাই ৫, ব্লুটুথ ৫.০, এনএফসি, ইনফ্রারেড, ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক, IP৬৪ রেটিং (ডাস্ট ও স্প্ল্যাশ প্রুফ)।
মূল্যঃ বাংলাদেশে টেকনো স্পার্ক ৩০ প্রো-এর মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

ফোনটি অবসিডিয়ান এজ এবং আর্কটিক গ্লো—এই দুটি রঙে পাওয়া যাবে। সামগ্রিকভাবে, টেকনো স্পার্ক ৩০ প্রো তার উন্নত ডিসপ্লে, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং উচ্চ রেজোলিউশনের ক্যামেরার জন্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

উপরোক্ত ফোনগুলো তাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আপনার প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত ফোনটি নির্বাচন করতে পারেন।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ডিসপ্লে সহ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ডিসপ্লে সহ আপনার যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের চাহিদা থাকে, তাহলে এই রেঞ্জের মধ্যে এমন কিছু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে যা আপনার চোখের জন্য সত্যিই আরামদায়ক হবে। Xiaomi Redmi Note 12 একটি অসাধারণ ফোন, যাতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লেটি উজ্জ্বল এবং রঙিন ছবি প্রদর্শন করে, যা ভিডিও দেখা এবং গেম খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে তোলে।

এই রেঞ্জের মধ্যে আরেকটি বিকল্প ফোন Realme Narzo 60, যার ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৫ ইঞ্চি Super AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে। এই ফোনটির ডিসপ্লে খুবই স্পষ্ট এবং ভিভিড রঙের জন্য জনপ্রিয়। ভিডিও দেখা, গেম খেলা বা ফটো এডিটিং-এর জন্য এই ফোনটি আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো বাড়িয়ে দিবে। Samsung Galaxy M33 5G-তেও রয়েছে একটি ভালো মানের PLS LCD ডিসপ্লে, যা আপনার এক দেখাতেই নজর কাড়বে। এই প্রাইস রেঞ্জে আপনি ভালো ডিসপ্লে, পারফরম্যান্স এবং ব্যাটারি লাইফ সহ বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিনঃ

১. শাওমি রেডমি নোট ১২ (Xiaomi Redmi Note 12)
ডিসপ্লেঃ 6.67-inch AMOLED, 120Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Snapdragon 685
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 33W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP প্রাইমারি ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 4GB/6GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ১৮,০০০ টাকা

আপনি যদি এই বাজেটে সেরা ডিসপ্লে চাচ্ছেন, তবে Redmi Note 12 একটি দুর্দান্ত অপশন।

২. স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ (Samsung Galaxy M14 5G)

স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ ৫জি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন, যা উন্নত ফিচার এবং ৫জি সংযোগের সুবিধা প্রদান করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:


ডিসপ্লেঃ 6.6-inch PLS LCD, 90Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Exynos 1330
ব্যাটারিঃ 6000mAh, 25W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP ট্রিপল ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 4GB/6GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ১৯,০০০ টাকা

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ ৫জি একটি শক্তিশালী এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন, যা আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

৩. রিয়েলমি নারজো ৬০x (Realme Narzo 60x 5G)

রিয়েলমি নারজো ৬০x 5G একটি আকর্ষণীয় স্মার্টফোন, যা উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:


ডিসপ্লেঃ 6.72-inch IPS LCD, 120Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Dimensity 6100+
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 33W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP ডুয়াল ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 4GB/6GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ১৭,০০০ টাকা

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, রিয়েলমি নারজো ৬০x 5G একটি শক্তিশালী এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন, যা আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

৪.ইনফিনিক্স জিরো ৩০ ৪জি (Infinix Zero 30 4G)

ইনফিনিক্স জিরো ৩০ ৪জি (Infinix Zero 30 4G) একটি মিডরেঞ্জে স্মার্টফোন, যা ইনফিনিক্সের জিরো সিরিজের নতুন সংযোজন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ


ডিসপ্লেঃ 6.78-inch AMOLED, 120Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Helio G99
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 45W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 108MP প্রাইমারি ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 8GB RAM, 256GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ২০,০০০ টাকা

৫. টেকনো পোভা ৫ প্রো (Tecno Pova 5 Pro)

টেকনো পোভা ৫ প্রো একটি শক্তিশালী এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন, যা উন্নত পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:


ডিসপ্লেঃ 6.78-inch IPS LCD, 120Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Helio G99
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 68W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP ডুয়াল ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 8GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ~১৮,৫০০ টাকা

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, টেকনো পোভা ৫ প্রো একটি শক্তিশালী এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন, যা আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

৬. পোকো এম৬ প্রো (POCO M6 Pro 5G)

পোকো এম৬ প্রো একটি আকর্ষণীয় স্মার্টফোন, যা উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ


ডিসপ্লেঃ 6.79-inch IPS LCD, 90Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Dimensity 6100+
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 18W চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP ডুয়াল ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 4GB/6GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ~১৬,০০০ টাকা

৭. ভিভো Y27 4G (Vivo Y27 4G)

ভিভো Y27 4G একটি আকর্ষণীয় স্মার্টফোন, যা উন্নত ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ

ডিসপ্লেঃ 6.64-inch IPS LCD, 90Hz রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরঃ Helio G85
ব্যাটারিঃ 5000mAh, 44W ফাস্ট চার্জিং
ক্যামেরাঃ 50MP ডুয়াল ক্যামেরা
স্টোরেজঃ 6GB RAM, 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ
মূল্যঃ ~১৯,০০০ টাকা

কিনার আগে বিবেচ্য বিষয়ঃ

  • ডিসপ্লেঃ AMOLED ডিসপ্লে সাধারণত ভালো কালার এবং কন্ট্রাস্ট অফার করে, কিন্তু IPS LCD ডিসপ্লেও ভালো হতে পারে যদি রিফ্রেশ রেট বেশি হয়।
  • ব্যাটারিঃ 5000mAh বা তার বেশি ব্যাটারি সহ ফোনগুলো লম্বা সময় চলে।
  • ক্যামেরাঃ এই রেঞ্জে 50MP বা তার বেশি ক্যামেরা ভালো ছবি তুলতে পারে।
  • স্টোরেজঃ 128GB স্টোরেজ এবং 6GB RAM থাকলে পারফরম্যান্স ভালো হবে।
বাজারে নতুন মডেল আসার কারণে দাম এবং ফিচারে পরিবর্তন হতে পারে, তাই কেনার আগে আপডেটেড রিভিউ এবং প্রাইস চেক করে নিন। এই মোবাইলগুলির ডিসপ্লে কোয়ালিটি আপনাকে অভিভূত করবে। আপনি যদি একটি সুন্দর, উজ্জ্বল, এবং কালারফুল ডিসপ্লে চান, তাহলে এই ফোনগুলি আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। আপনার চোখের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এই মোবাইলগুলি তৈরি করা হয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও চোখের ক্লান্তি কমাবে।

২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো র‍্যাম এবং স্টোরেজ বিশিষ্ট অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল

আপনি যদি মোবাইল ফোনে বেশি অ্যাপ ব্যবহার করেন বা বড় ফাইল সংরক্ষণ করেন, তবে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো র‍্যাম এবং স্টোরেজ বিশিষ্ট কিছু অ্যান্ড্রয়েডফোন রয়েছ যেগুলি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এক্ষেত্রে Realme Narzo 60 একটি ভালো অপশন হতে পারে যেখানে আপনি পাবেন ৮GB র‍্যাম এবং ১২৮GB স্টোরেজ, যা আপনার ডেইলি টাস্ক এবং হেভি অ্যাপ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।

আরেকটি ভালো বিকল্প হলো Samsung Galaxy M33 5G, যাতে ৬GB র‍্যাম এবং ১২৮GB স্টোরেজ রয়েছে। এই ফোনটি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল, ফটো, এবং ভিডিও সংরক্ষণের জন্য প্রচুর জায়গা দেবে, আর র‍্যামের কারণে আপনি দ্রুততার সাথে সব কাজ স্মুথলি করতে পারবেন। এছাড়া, Xiaomi Redmi Note 12-তেও রয়েছে ৬GB র‍্যাম এবং ১২৮GB স্টোরেজ যা আপনাকে স্মুথ এবং দ্রুত অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

এই মোবাইলগুলির র‍্যাম এবং স্টোরেজ আপনার ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত হবে। আপনি যদি একসাথে অনেক অ্যাপ চালাতে চান বা বড় বড় ফাইল সংরক্ষণ করতে চান, তাহলে এই ফোনগুলি আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। আপনার কাজের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য এই মোবাইলগুলি বেছে নিতে পারেন।

১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে সেরা 5G সাপোর্টেড অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল

আপনি কি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে সেরা 5G সাপোর্টেড অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল খুঁজছেন। বাংলাদেশে চলে এসেছে ৫জি সুবিধা। আপাতত দেশের ৬টি স্থানে টেলিটক নেটওয়ার্কে ৫জি সুবিধা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ দেশের আরো বেশি স্থানে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। ৫জি ব্যবহার করতে প্রয়োজন ৫জি ফোনের। দেশের বাজারে অসংখ্য ৫জি ফোন ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ৫জি ফোনের দাম, স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত।

১. Realme Narzo 50 Pro 5G 

Realme Narzo 50 Pro 5G একটি সেরা ৫G স্মার্টফোন যা আধুনিক AMOLED ডিসপ্লে এবং ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সহ একটি চমৎকার ভিউইং এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করে। এর মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ চিপসেট উচ্চ গতি এবং দক্ষতা সরবরাহ করে, যা গেমিং ও মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আদর্শ।

৪৮MP ক্যামেরা আপনাকে ভালো ছবি তুলতে সহায়তা করবে, এবং ৫,০০০mAh ব্যাটারি ৩৩W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যা দ্রুত চার্জ হয়। Realme Narzo 50 Pro 5G একটি শক্তিশালী মিড-রেঞ্জ ৫G স্মার্টফোন যা সাশ্রয়ী দামে অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। এটি Realme-এর Narzo সিরিজের একটি জনপ্রিয় মডেল। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  • ডিসপ্লে: 6.4 ইঞ্চি Super AMOLED, 90Hz
  • প্রসেসর: MediaTek Dimensity 920
  • ক্যামেরা: 48MP + 8MP + 2MP ট্রিপল ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: 5000mAh, 33W ফাস্ট চার্জিং
  • 5G সাপোর্ট: হ্যাঁ
২. Samsung Galaxy M34 5G

Samsung Galaxy M34 5G একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ৫G স্মার্টফোন, যা ৬,০০০mAh ব্যাটারি দিয়ে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ অফার করে এবং ২৫W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে। এর ৫০MP ক্যামেরা খুব ভালো ছবি এবং ভিডিও তোলার জন্য উপযুক্ত, এবং ১৩MP সেলফি ক্যামেরা সুন্দর সেলফি তৈরি করতে সক্ষম।

এটি একটি সেরা অপশন যদি আপনি একটি ৫G স্মার্টফোন চান, যা ভালো পারফরম্যান্স, বড় ব্যাটারি এবং চমৎকার ক্যামেরা অফার করে, বিশেষ করে স্যামসাংয়ের বিশ্বস্ততার সাথে। Samsung Galaxy M34 5G একটি শক্তিশালী এবং বাজেট-ফ্রেন্ডলি ৫G স্মার্টফোন, যা স্যামসাংয়ের Galaxy M সিরিজের অন্তর্গত। এটি ৫G কানেক্টিভিটি এবং চমৎকার ডিসপ্লে, ব্যাটারি ও ক্যামেরা পারফরম্যান্স অফার করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: ৬.৫ ইঞ্চি FHD+ AMOLED, ৯০Hz রিফ্রেশ রেট
  • প্রসেসর: মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০ প্লাস
  • র‍্যাম ও স্টোরেজ: ৮GB RAM, ১২৮GB স্টোরেজ
  • ক্যামেরা: ৫০MP প্রধান ক্যামেরা, ১৩MP সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৬,০০০mAh, ২৫W ফাস্ট চার্জিং
৩. Samsung Galaxy M32 5G

Samsung Galaxy M32 5G একটি ভালো ৫G স্মার্টফোন যা মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭০০ চিপসেটের সাথে উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করে এবং ৯০Hz রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে দিয়ে স্মুথ এক্সপিরিয়েন্স সরবরাহ করে। ৪৮MP ক্যামেরা এবং ১৩MP সেলফি ক্যামেরা ছবির জন্য ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে, এবং ৫,০০০mAh ব্যাটারি আপনাকে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।

যদিও এটি 5G সাপোর্ট সহ বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেয়, তবে ডিসপ্লে টি TFT প্যানেল হওয়ায় AMOLED ডিসপ্লে এর তুলনায় কিছুটা কমতর। তবুও, এই ফোনটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স, ভাল ক্যামেরা এবং ৫G কানেক্টিভিটির জন্য একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। Samsung Galaxy M32 5G একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি ৫G স্মার্টফোন যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং স্যামসাংয়ের বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ভ্যালু অফার করে। এটি একাধিক দিক থেকে চমৎকার, যেমন ডিসপ্লে, ব্যাটারি, এবং ৫G সাপোর্ট। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: 6.5 ইঞ্চি HD+ TFT, 90Hz
  • প্রসেসর: MediaTek Dimensity 700
  • ক্যামেরা: 48MP + 8MP + 2MP + 2MP কোয়াড ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: 5000mAh, 15W ফাস্ট চার্জিং
  • 5G সাপোর্ট: হ্যাঁ
৪. Xiaomi Redmi Note 11T 5G 

Xiaomi Redmi Note 11T 5G একটি শক্তিশালী ৫G স্মার্টফোন যা মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮১০ চিপসেটের সাথে মসৃণ পারফরম্যান্স প্রদান করে এবং ৯০Hz রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে দিয়ে ভালো ভিউইং এক্সপিরিয়েন্স সরবরাহ করে। ৫০MP ক্যামেরা ভালো ফটো তোলার জন্য সহায়ক, এবং ৫,০০০mAh ব্যাটারি ৩৩W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে।

এটি একটি উপযুক্ত অপশন যদি আপনি একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি ৫G স্মার্টফোন খুঁজছেন, যা ভালো ক্যামেরা, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ অফার করে। এই বাজেটের মধ্যে ৫G সাপোর্টেড ফোন খুঁজছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় বিকল্প। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: 6.6 ইঞ্চি IPS LCD, 90Hz
  • প্রসেসর: MediaTek Dimensity 810
  • ক্যামেরা: 50MP + 8MP ডুয়াল ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: 5000mAh, 33W ফাস্ট চার্জিং
  • 5G সাপোর্ট: হ্যাঁ
৫. Redmi Note 12 5G 

Redmi Note 12 5G একটি দুর্দান্ত বাজেট ৫G স্মার্টফোন যা ১২০Hz রিফ্রেশ রেটের AMOLED ডিসপ্লে দিয়ে চমৎকার ভিউইং এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করে। স্ন্যাপড্রাগন ৪৯৫ ৫জি চিপসেটটি মসৃণ পারফরম্যান্স সরবরাহ করে এবং গেমিং ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

এছাড়া, ৪৮MP ক্যামেরা খুব ভালো ছবি তোলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এবং ৫,০০০mAh ব্যাটারি ৩৩W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যা দ্রুত চার্জ হতে সহায়ক। এটি Xiaomi-এর Redmi সিরিজের মধ্যে একটি শক্তিশালী মডেল এবং মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: ৬.৬ ইঞ্চি FHD+ AMOLED, ১২০Hz রিফ্রেশ রেট
  • প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৪নাইন ৫জি
  • র‍্যাম ও স্টোরেজ: ৪GB RAM, ৬৪GB স্টোরেজ
  • ক্যামেরা: ৪৮MP প্রধান ক্যামেরা, ৮MP সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৫,০০০mAh, ৩৩W ফাস্ট চার্জিং
৬. Poco X4 Pro 5G 

Poco X4 Pro 5G একটি অত্যন্ত শক্তিশালী স্মার্টফোন যা ১২০Hz রিফ্রেশ রেটের AMOLED ডিসপ্লে দিয়ে চমৎকার ভিউইং এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করে। স্ন্যাপড্রাগন ৫৬৮ ৫জি চিপসেটটি উচ্চ গতি এবং দক্ষতা প্রদান করে, এবং এটি গেমিং ও মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

১০৮MP প্রধান ক্যামেরা খুবই ভালো ছবি তুলতে সক্ষম, এবং ৬৭W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ ৫,০০০mAh ব্যাটারি খুব দ্রুত চার্জ হয়। এটি Poco ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য মডেল এবং ৫G সাপোর্টের কারণে জনপ্রিয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: 6.67 ইঞ্চি AMOLED, 120Hz
  • প্রসেসর: Qualcomm Snapdragon 695 5G
  • ক্যামেরা: 64MP + 8MP + 2MP ট্রিপল ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: 5000mAh, 67W ফাস্ট চার্জিং
  • 5G সাপোর্ট: হ্যাঁ
৭. Moto G73 5G 

Moto G73 5G ৫G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে এবং এর পারফরম্যান্স, ক্যামেরা এবং ব্যাটারি লাইফ বেশ ভালো। এর ডিসপ্লে ১২০Hz রিফ্রেশ রেট এবং Full HD+ রেজোলিউশন সহ ভালো ভিউইং এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করে। এছাড়া, মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ চিপসেটটি উচ্চতর গতি এবং দক্ষতা সরবরাহ করে, যা গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আদর্শ।

এটি একটি ভাল অপশন যদি আপনি একটি বাজেটের মধ্যে ৫G ফোন খুঁজছেন, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স, ভালো ক্যামেরা এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ অফার করে। Moto G73 5G একটি শক্তিশালী এবং বাজেট-ফ্রেন্ডলি ৫G স্মার্টফোন, যা ভালো পারফরম্যান্স এবং ফিচার অফার করে। এটি Motorola-এর অন্যতম জনপ্রিয় ফোনগুলোর মধ্যে একটি। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডিসপ্লে: ৬.৫ ইঞ্চি FHD+ LCD, ১২০Hz রিফ্রেশ রেট
  • প্রসেসর: মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ ৫জি
  • র‍্যাম ও স্টোরেজ: ৮GB RAM, ১২৮GB স্টোরেজ
  • ক্যামেরা: ৫০MP প্রধান ক্যামেরা, ১৬MP সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৫,০০০mAh, ৩০W ফাস্ট চার্জিং
৮. Motorola Edge 20 Fusion
 
Motorola Edge 20 Fusion ৫G কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে এবং এর ডিসপ্লে, ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং পারফরম্যান্সের জন্য একটি চমৎকার চয়েস হতে পারে যদি আপনি মিড-রেঞ্জের মধ্যে একটা ভালো ৫জি ফোন খুঁজছেন। এটি বিশেষ করে ক্যামেরার জন্য জনপ্রিয়, বিশেষত ১০৮MP ক্যামেরা যা খুবই ভালো ফটো এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম।


এছাড়া, এর ব্যাটারি লাইফও ভালো এবং দ্রুত চার্জিং সুবিধা পাওয়া যায়, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে বেশ কার্যকরী। এটি প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। এখানে এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো:

  • ডিসপ্লে: 6.67 ইঞ্চি AMOLED, 90Hz
  • প্রসেসর: MediaTek Dimensity 800U
  • ক্যামেরা: 108MP + 8MP + 2MP ট্রিপল ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: 5000mAh, 30W ফাস্ট চার্জিং
  • 5G সাপোর্ট: হ্যাঁ
৯. iQOO Z7 5G

এই ফোনটি ৫G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে এবং আপনি খুব দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। তার সঙ্গে ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স এবং দারুণ ডিসপ্লে এক্সপিরিয়েন্স পাবেন। যদি আপনি মিড রেঞ্জের মধ্যে একটি শক্তিশালী ৫জি ফোন চান, তবে এটি একটি খুব ভালো অপশন। এটি মধ্যম বাজেটের মধ্যে সেরা অপশনগুলোর একটি। এখানে এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ

  • ডিসপ্লে: ৬.৩৫ ইঞ্চি FHD+ AMOLED
  • প্রসেসর: মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ ৫জি
  • র‍্যাম ও স্টোরেজ: ৬GB RAM, ১২৮GB স্টোরেজ
  • ক্যামেরা: ৬৪MP প্রধান ক্যামেরা, ১৬MP সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৪,৫০০mAh, ৪৪W ফাস্ট চার্জিং
এই সব মোবাইল ফোনগুলো ৫জি সাপোর্ট করে এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স ও ফিচার প্রদান করে।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং মোবাইল

আপনি যদি গেম খেলার জন্য একটি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং মোবাইল খুঁজে থাকেন, তাহলে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কিছু চমৎকার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে। Realme Narzo 60 একটি শক্তিশালী গেমিং মোবাইল, যা MediaTek Dimensity 6020 প্রসেসর দ্বারা চালিত। এতে ৯০Hz রিফ্রেশ রেট সহ ডিসপ্লে রয়েছে, যা গেম খেলার সময় অত্যন্ত স্মুথ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

Samsung Galaxy M33 5G-ও একটি ভালো বিকল্প, যেখানে রয়েছে Exynos 1280 প্রসেসর এবং ১২০Hz রিফ্রেশ রেট। এই ফোনটি গেমিংযের জন্য বেশ কার্যকর, বিশেষ করে যারা PUBG বা Free Fire-এর মতো হেভি গেম খেলে থাকেন তাদের জন্য। তাছাড়া, Poco X5 Pro-ও রয়েছে যার Snapdragon 695 প্রসেসর আপনাকে দ্রুতগতির গেমিং অভিজ্ঞতা দেবে।

এই বাজেটে ভালো গেমিং মোবাইল ফোন খুঁজতে গেলে এই তিনটি ফোন আপনার পছন্দের তালিকায় সেরা হতে পারে। এদের শক্তিশালী প্রসেসর, উচ্চ রিফ্রেশ রেট এবং বড় র‍্যাম ও স্টোরেজ গেম খেলার সময় কোনো ধরনের ল্যাগ বা সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করার সুযোগ দেবে। আপনার গেমিং প্রয়োজন মেটাতে এগুলি নিঃসন্দেহে চমৎকার অপশন।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্র্যান্ডের তালিকা

আপনার যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্র্যান্ড প্রয়োজন হয়, তাহলে কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের কথা মাথায় রাখতে পারেন। যেমন Samsung, Xiaomi, এবং Realme এই বাজেটের মধ্যে সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে হলো অন্যতম। Samsung Galaxy সিরিজের ফোনগুলি এই বাজেটে খুবই জনপ্রিয়, কারণ এটি দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং ব্যান্ড হসাবে বিশ্বস্ততার দিক দিয়ে সেরা। নিচে কিছু জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ডের তালিকা তালিকা দেওয়া হলোঃ
মডেল প্রসেসর র‌্যাম/স্টোরেজ ক্যামেরা ব্যাটারি মূল্য (টাকা)
Xiaomi Redmi Note 12 Snapdragon 685 ৬ জিবি/১২৮ জিবি ৫০MP + ৮MP + ২MP ৫,০০০ এমএএইচ ১৯,৯৯৯
Realme Narzo 60 MediaTek Dimensity 6020 ৮ জিবি/১২৮ জিবি ৬৪MP + ২MP ৫,০০০ এমএএইচ ১৯,৪৯৯ ১৯,৪৯৯
Samsung Galaxy M14 Exynos 1330 ৪ জিবি/৬৪ জিবি ৫০MP + ২MP + ২MP ৬,০০০ এমএএইচ ১৭,৯৯৯ ১৭,৯৯৯
Infinix Zero Ultra MediaTek Helio G99 ৮ জিবি/১২৮ জিবি ১০৮MP + ১৩MP + ২MP ৪,৫০০ এমএএইচ ২০,০০০
Vivo T2 Snapdragon 695 ৬ জিবি/১২৮ জিবি ৬৪MP + ৮MP ৪,৭০০ এমএএইচ ১৯,৯৯৯ ১৯,৯৯৯
Tecno Spark 10 Pro MediaTek Helio G88 ৮ জিবি/১২৮ জিবি ৫০MP + AI লেন্স ৫,০০০ এমএএইচ ১৫,৯৯৯ ১৫,৯৯৯
Poco M5 MediaTek Helio G99 ৬ জিবি/১২৮ জিবি ৫০MP + ২MP + ২MP ৫,০০০ এমএএইচ ১৫,৪৯৯ ১৫,৪৯৯
Realme C55 MediaTek Helio G88 ৬ জিবি/১২৮ জিবি ৬৪MP + ২MP ৫,০০০ এমএএইচ ১৬,৯৯৯
Samsung Galaxy A04s Exynos 850 ৪ জিবি/৬৪ জিবি ৫০MP + ২MP + ২MP ৫,০০০ এমএএইচ ১৫,৫৯৯ ১৫,৫৯৯
Infinix Zero 20 MediaTek Helio G99 ৮ জিবি/১২৮ জিবি ১০৮MP + ১৩MP + ২MP ৪,৫০০ এমএএইচ ১৯,৯৯৯ ১৯,৯৯৯

কেনো ২০ হাজার টাকার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনা হবে সঠিক সিদ্ধান্ত

আপনি যদি ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে চান, তবে এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই বাজেটে আপনি পেয়ে যাবেন প্রিমিয়াম ফিচার সহ উন্নত মানের মোবাইল ফোন। যেমন, আপনি পাবেন ভালো ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, এবং বড় স্টোরেজ। এ ধরনের ফোনগুলি সাধারণত দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়। এছাড়াও, এই বাজেটে পাওয়া মোবাইলগুলি বেশিরভাগ সময়েই লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স দেয়।

এটি দামে সাশ্রয়ী হলেও ফিচার এবং পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আপস করতে হবে না। বিশেষ করে যদি আপনি গেমিং, ফটোগ্রাফি বা ভিডিও দেখার জন্য মোবাইল কিনতে চান, তবে এই বাজেটের মধ্যে থাকা ফোনগুলি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করবে। ২০ হাজার টাকার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনা অনেকের জন্যই ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি বাজেটের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স খুঁজছেন। নিচে কিছু কারণ দেওয়া হলো কেন এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারেঃ

১. ভ্যালু ফর মানিঃ ২০ হাজার টাকার মধ্যে এখন অনেক ব্র্যান্ড ভালো হার্ডওয়্যার এবং ফিচার অফার করে। আপনি ভালো ডিসপ্লে, শক্তিশালী প্রসেসর, ভালো ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি পেতে পারেন।

২. মিড-রেঞ্জ চিপসেটের পারফরম্যান্সঃ এই বাজেটে Snapdragon 6 সিরিজ, MediaTek Helio G এবং Dimensity সিরিজের চিপসেট পাওয়া যায়, যা গেমিং, মাল্টিটাস্কিং এবং সাধারণ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ভালো।

৩. ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্সঃ বর্তমানে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৫০MP বা তার বেশি ক্যামেরা সেন্সর, নাইট মোড, EIS সমর্থিত ভিডিও রেকর্ডিং এবং AI বেসড ইমেজ প্রসেসিং পাওয়া যায়, যা ভালো ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা দেয়।

৪. সফটওয়্যার আপডেট ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্সঃ শাওমি, রিয়েলমি, স্যামসাং, ইনফিনিক্সসহ অনেক ব্র্যান্ড ২-৩ বছরের সফটওয়্যার আপডেট ও সিকিউরিটি প্যাচ দেয়, যা ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

৫. ব্যাটারি ও চার্জিং সুবিধাঃ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৫,০০০mAh বা তার বেশি ব্যাটারি এবং ২৫W-৩৩W ফাস্ট চার্জিং পাওয়া যায়, যা দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়।

৬. ৫জি ও ভবিষ্যৎপ্রস্তুত ডিভাইসঃ বর্তমানে কিছু ব্র্যান্ড ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৫জি-সাপোর্টেড ফোন অফার করছে, যা ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ভালো হবে।

সব মিলিয়ে, ২০ হাজার টাকার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনা একটি বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হতে পারে। আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে পেয়ে যাবেন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সহ একটি ভালো মোবাইল, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে সহজে ব্যবহার করা যাবে। তাই, বাজেট এবং প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই ধরনের মোবাইল কেনা অবশ্যই উপযুক্ত।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার পরামর্শ এবং শেষকথা

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ‍্যে সেরা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনা এখন সহজ। এই আর্টিকেলে বর্ণিত ফোনগুলো আপনার বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী সেরা বিকল্প হতে পারে। আপনার যদি একটি নির্ভরযোগ্য এবং ভালো মানের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের প্রয়োজন হয়, তবে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কিছু অসাধারণ অপশন রয়েছে। এই বাজেটে আপনি পেয়ে যাবেন উন্নতমানের পারফরম্যান্স এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের ফোন।

আপনি যদি ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, যেমনঃ ফোনটির প্রসেসর এবং র‍্যাম দেখে নিন, যা আপনার ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী হতে হবে। ফোনটির ডিসপ্লে কোয়ালিটি এবং ব্যাটারি লাইফ পরীক্ষা করে নিন। এছাড়া, ক্যামেরার মান এবং স্টোরেজ কেমন তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি আপনি ফটোগ্রাফি বা ভিডিও তৈরি করতে ভালোবাসেন।

ফাস্ট চার্জিং ফিচারও বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হয়ে উঠেছে, যা ফোন কেনার সময় মাথায় রাখা জরুরি। সর্বশেষে, ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রাহক সেবা কেমন তা খতিয়ে দেখা উচিত। ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বাজেটে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার আগে এই বিষয়গুলি পরীক্ষা করে দেখুন। আপনি যে ফোনটি বেছে নেবেন তা যেন আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো প্রয়োজন থাকে, তাহলে উপরোক্ত তালিকা থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত ফোনটি বেছে নিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url