অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। ভেষজশাত্রে ঔষধি গাছ হিসাবে আর্জুনের ব্যবহার অগনিত ও প্রাচীন কাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। বলা হয়ে থাকে, বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ থাকা আর এক জন ডাক্তার থাকা একই কথা। এটি মূলত হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
অর্জুন গাছের ছাল, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এক প্রকার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর
ব্যবহার অনেক মানুষের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে, তবে এর সঠিক ব্যবহার ও
পরামর্শ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। নিচে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের পদ্ধতি, খাওয়ার
সঠিক নিয়ম ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছালের পুষ্টি উপাদান
- অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
- অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের পদ্ধতি
- ত্বকের যত্নে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
- চুলের যত্নে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার সঠিক সময়
- অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা ও সতর্কতা
- অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে শেষকথা
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা রয়েছে অনেক। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঔষধি গাছের মধ্যে
একটি এবং ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এটি হৃদরোগ,
শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এর
ছাল থেকে তৈরি করা নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক উপকরণ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা
হচ্ছে। নিচে এর বিস্তারিত উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
আরও পড়ুনঃ জয়তুনের ১০০টি উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
১. হৃদরোগের চিকিৎসায়ঃ অর্জুন গাছের ছালের অন্যতম প্রধান উপকারিতা হলো এটি
হৃদরোগের চিকিৎসায় সহায়ক। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, রক্ত চলাচল
বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে। অর্জুন গাছের ছাল হৃদপিণ্ডের রক্তনালীকে
সুরক্ষিত রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। অর্জুন গাছের ছাল
হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি
রক্তের জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সহায়ক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য
করে।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ অর্জুন গাছের ছাল রক্তচাপ কমাতে
সহায়ক। এটি রক্তনালী প্রসারিত করে এবং রক্তের প্রবাহকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, অর্জুন গাছের
ছাল সেই সমস্যাগুলো কমাতে সহায়ক। অর্জুন গাছের ছাল রক্তনালীগুলোর
স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্জুন
গাছের ছালের এক চামচ পাউডার, দুই গ্লাস জলে অর্ধেক রয়ে যাওয়া পর্যন্ত গরম ক'রে
সকালে ও সন্ধ্যায় পান করা উচিত। এই ভাবে বন্ধ ধমনী খুলবে এবং কোলেস্টেরলের
মাত্রা হ্রাস পাবে।
৩. রক্তস্বল্পতা ও অ্যানিমিয়া নিরাময়েঃ অর্জুন গাছের ছাল এই সমস্যার
একটি প্রাকৃতিক সমাধান। অর্জুন গাছের ছালে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, এবং
অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্তস্বল্পতা নিরাময়ে সহায়ক। এটি
হিমোগ্লোবিনের স্তর বৃদ্ধি করতে এবং রক্তের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও,
এটি শরীরের দুর্বলতা কমাতে এবং শক্তি বাড়াতে সহায়ক। অ্যানিমিয়া সাধারণত
মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, বিশেষত যারা ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের
শিকার হন। তাই, অর্জুন গাছের ছাল তাদের জন্য একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট
হতে পারে।
৪. হজম সমস্যা সমাধানেঃ হজম সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, এবং বদহজমসহ এমন কিছু
সমস্যা আছে যা আমাদের প্রায়শই বিরক্ত করে। এই সমস্যাগুলি কমাতে অর্জুন গাছের ছাল
একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায় হতে পারে। অর্জুন ছালের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
বৈশিষ্ট্য হজমতন্ত্রকে শান্ত করতে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি
বদহজম এবং অ্যাসিডিটি কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। প্রতিদিনের খাদ্যে অর্জুন ছাল
পাউডার হিসেবে ব্যবহার করলে এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং পেটের অন্যান্য
সমস্যা যেমন গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুলের যত্নেঃ ব্রণ, একজিমা, বা চুল পড়া—এই সব সমস্যার সমাধানে
অর্জুন গাছের ছাল একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে। অর্জুন ছালের
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার
সমাধানে সহায়ক। এটি ত্বকের ব্রণ, একজিমা, এবং অন্যান্য ফুসকুড়ি দূর করতে
সাহায্য করে। তাছাড়া, অর্জুন ছাল সেবনের ফলে চুলের শেকল শক্তিশালী করে এবং চুল
পড়া কমাতে সহায়তা করে। অর্জুন ছাল ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুলের
স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. শারীরিক শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের অনেকেরই কাজের ব্যস্ততার
কারণে শারীরিক শক্তি ও সহনশীলতা কমে যায়। এই অবস্থায় অর্জুন গাছের ছাল শরীরের
শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্জুন ছালে
উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
যারা দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের জন্য এটি একটি উপকারী
সাপ্লিমেন্ট হতে পারে। এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি
বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যা সঠিক
নিয়ন্ত্রণের অভাবে মারাত্মক হতে পারে। অর্জুন গাছের ছাল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
একটি প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। অর্জুন ছালের ফাইটোকম্পাউন্ডগুলি রক্তে চিনির
স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অর্জুন ছাল ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির স্তর কমাতে
এবং ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন, তবে
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অর্জুন ছাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি আপনার রক্তে
চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
৮. কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখেঃ অর্জুনের বাকলের হাইপোলিপিডেমিক
(কোলেস্টেরল হ্রাস করা) গুণ পরীক্ষা করার জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি
পরীক্ষাতে 21 জন করোনারী হার্টের রোগীদের দুধের সাথে মিশিয়ে 1 গ্রাম অর্জুন
বাকল চূর্ণ 4 মাস ধরে খেতে দেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল যে দেহের লিপিড'এর
পরিমাণ বজায় রাখতে অর্জুনের বাকলের ইতিবাচক প্রভাব ছিল। অর্জুনের বাকল এলডিএল'র
(খারাপ কোলেস্টেরল) পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যার ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে
চর্বি জমা) এবং কার্ডিওভাসকুলার অসুখ যেমন, স্ট্রোক এবং হার্ট এ্যাটাক'এর ঝুঁকি
হ্রাস পায়। কাজেই নির্দ্বিধায় বলা যায় যে হাইপোলিপিডেমিক হিসাবে অর্জুনের
বাকলের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল।
৯. মধুমেহের (সুগার) উপশমেঃ মধুমেহ রোগীরা অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তাদের
সমস্যাও শেষ করতে পারে। এর জন্য অর্জুন গাছের ছালের পাউডার, দেশী জাম বীজের
চূর্ণ সমান পরিমাণে মিশিয়ে ঘুমের আগে উষ্ণ জল সহযোগে পান করুন। দ্বিতীয় বিকল্প
হল অর্জুনের গাছের ছাল, কদম গাছের ছাল, জামুন গাছের ছাল ও পার্সলে এক সমান
পরিমাণে মিশিয়ে এবং ভাল করে গুঁড়িয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। ডিকোকেশনের জন্য অর্ধ
লিটার জল যোগ করুন এবং সকালে 3 সপ্তাহ ধরে এই মিশ্রণটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার
করুন। এটি আপনাকে মধুমেহ থেকে পরিত্রাণ করতে পারে।
১০. ত্বকের সমস্যায়ঃ অর্জুন গাছের ছাল ত্বকের নানা সমস্যার চিকিৎসায় সহায়ক। এটি ব্রণ, ফুসকুড়ি,
সানবার্ন, এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। অর্জুন গাছের
ছালে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এটি
ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি বা অন্য কোনো ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। অর্জুন
গাছের ছাল, বাদাম, হলুদ এবং কর্পূর সমান পরিমাণ মিশিয়ে, পিষ্ট করে, ত্বকের উপর
প্রয়োগ করলে, মুখের সমস্ত বলিরেখা দূর হয় এবং মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে।
১১. মুখের ফোস্কার চিকিৎসায়ঃ মুখের ফোস্কার দ্বারা বিরক্ত ব্যক্তি
অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, নারকেল তেলের সাথে অর্জুনের ছালের
চূর্ণ যোগ করে তা আপনার মুখের ফোস্কার উপর প্রলেপ রূপে লাগালে আপনি কষ্ট থেকে
অবশ্যই উপশম পাবেন। শুধু তাই নয়, এই মিশ্রণ অল্প গুড় সহযোগে সেবন করলে জ্বরের
থেকেও ত্রাণ পাওয়া যায়।
১২. প্রস্রাবের বাধা দূর করতেঃ অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি পানীয়,
প্রস্রাবের বাধা দূর করে। এ জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করুন এবং দুই কাপ
জলে ফোটান। যখন পানি অর্ধেক হয়ে আসবে, তখন তা ঠান্ডা করতে দিন। এরপর ঠান্ডা
হওয়ার পরে রোগীকে পান করান। দিনে একবার খাওয়ানো হলে, এটি প্রস্রাবের বাধা দূর
করে।
১৩. প্রদাহ হ্রাস করেঃ অর্জুন গাছের বাকলও কিন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখে
থাকে। এর জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করে তার মিহি গুঁড়ো খরিপাক পদ্ধতিতে ৫
থেকে ১০ গ্রাম পরিমাণে রোগীকে খাওয়ানো হলে, কার্ডিওভাসকুলার রোগের পাশাপাশি
হৃদরোগের ঘটনা হ্রাস পায়। এ ছাড়া, প্রায় ১ থেকে ৩ গ্রাম পরিমাণ পাউডার খেলে
প্রদাহ হ্রাস পায় এবং তার সাথে সম্পর্কিত সমস্যাও চলে যায়।
১৪. কাশি উপশমেঃ শুকনো অর্জুনের গাছের ছালের পাউডার, তাজা সবুজ
ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিন। এভাবেই সাত বার মেশানোর
পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে চূর্ণ প্রস্তুত করা হয়। এর সাথে মধু দিয়ে রোগীকে
সেবন করালে তিনি আরাম অনুভব করেন।
১৫. মেদ কমাতেঃ অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগা মানুষ প্রত্যহ
সকাল, সন্ধ্যায় অর্জুনের গাছের ছালের মিশ্রণ পান করলে তাঁদের সমস্যা কমে যেতে
পারে অনেকটাই। এটি এত দ্রুত কাজ করে যে মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনি আপনার
মেদের উপর এর প্রভাব অনুভব করতে পারবেন।
অর্জুন গাছের ছালের পুষ্টি উপাদান
অর্জুন গাছের ছাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ
সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অর্জুন গাছের ছাল ট্যানিন,
ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্রাইটারপিনয়েডস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, এবং অন্যান্য
পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, চুলের স্বাস্থ্য উন্নয়ন, ওজন কমানো, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সহায়ক।
১. ট্যানিন (Tannins) – ২০-২৫%
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের ফ্রি-র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- ত্বক ও চুলের সুস্থতায় সহায়ক এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ থাকার কারণে এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
- শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা গাঁটে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, ও পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং অ্যাসিডিটি কমায়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- লিভার ও কিডনি ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ব্রণ কমায়।
- বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
- কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বক টানটান রাখে।
- ত্বককে UV রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম উন্নত করে।
- হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- নিদ্রাহীনতা (ইনসোমনিয়া) দূর করতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- পেশির সংকোচন ও স্নায়ুর কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
- স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
- হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক।
- শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে।
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়া আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় একটি জনপ্রিয়
পদ্ধতি। এটি শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে, বিশেষ করে হৃদযন্ত্র, রক্তচাপ,
কোলেস্টেরল ও হজম শক্তির উন্নতিতে কার্যকর। অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তবে সঠিক মাত্রা ও নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নিচে
অর্জুন গছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলো। চলুন তাহলে দেরি না করে খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে অর্জুন গাছের ছাল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এরপর
একটি পাত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে তাতে অর্জুন ছালের টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখুন।
সাধারণত রাতভর (৮-১২ ঘণ্টা) ভিজিয়ে রাখা হয়। ভিজানো পানি সহ ছালটি হালকা আঁচে
১০-১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। পানি ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন এবং এই পানি পান করুন।
সাধারণত দিনে ১-২ বার (সকালে ও রাতে) ২০-৩০ মিলিলিটার পরিমাণে এই পানি খাওয়া
যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।
সতর্কতাঃ গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের অর্জুন ছাল ব্যবহারের আগে
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত ব্যবহারে পেটে অস্বস্তি বা অন্যান্য
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নিন। অর্জুন ছালের ব্যবহার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে,
তাই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের পদ্ধতি
অর্জুন গাছের ছাল (Terminalia arjuna) আয়ুর্বেদিক ও ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়, বিশেষত হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করে আপনি আপনার স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারেন। ব্যবহারের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মনে রাখা দরকার। তবে সঠিক মাত্রা ও পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি। অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের কিছু সাধারণ পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলোঃ
১. ক্বাথ বা নির্যাস ব্যবহারঃ অর্জুন গাছের ছালের টুকরো নিয়ে পরিষ্কার
করে ধুয়ে নিন। ১-২ চা চামচ ছাল ২ কাপ পানিতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
যখন পানি এক কাপ হয়ে আসে, তখন তা ছেঁকে নিন। এই ক্বাথ দিনে ১-২ বার সকালে খালি
পেটে অথবা রাতে শোবার আগে পান করুন। এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. গুঁড়ো হিসেবে ব্যবহারঃ অর্জুন ছাল শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন
১ চা চামচ অর্জুন ছালের গুঁড়া ১ গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করা যেতে
পারে।বিকল্পভাবে, মধু বা গরম দুধের সাথেও এটি মেশানো যায়। হার্টের কার্যক্ষমতা
বৃদ্ধি, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো, এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
৩. প্রলেপ হিসেবে ব্যবহারঃ অর্জুন ছালের গুঁড়া সামান্য পানি বা গোলাপজলে
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণ, র্যাশ বা সংক্রমিত স্থানে লাগান এবং ১৫-২০
মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট ত্বকের ক্ষত, ফোড়া বা প্রদাহের স্থানে
প্রলেপ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়, দাগ হালকা করে
এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
৪. চা হিসেবে ব্যবহারঃ এক কাপ পানিতে অর্জুন ছালের টুকরো বা গুঁড়া যোগ
করুন।৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিন এবং মধু বা লেবু যোগ করে পান করুন। এটি
দিনে ১-২ বার পান করা যেতে পারে। শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে,
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবেঃ বাজারে অর্জুন ছালের ট্যাবলেট বা
ক্যাপসুল পাওয়া যায়। উৎপাদকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণত দিনে ১-২ বার গ্রহণ
করুন। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করা যেতে পারে।
সতর্কতাঃ অর্জুন ছাল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত,
বিশেষত গর্ভবতী মহিলা, শিশু বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারে পেটে অস্বস্তি বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে
পারে। অর্জুন ছালের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে সঠিক মাত্রা ও পদ্ধতি
মেনে চলা জরুরি।
ত্বকের যত্নে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে অর্জুন গাছের ছাল বেশ উপকারী। অর্জুন গাছের ছাল (অর্জুন ছাল) আয়ুর্বেদিক ও ঐতিহ্যবদ্ধ ওষুধে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকর। অর্জুন ছাল প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটি ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকরী। তবে নিয়মিত ও সঠিক ব্যবহারই কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারে। নিচে ত্বকের যত্নে অর্জুন গাছের ছালের কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ
১. ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করেঃ অর্জুন গাছের ছাল প্রাকৃতিকভাবে
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ,
যা ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি ও ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এটি মুখের অতিরিক্ত তেল
শোষণ করে, রোমকূপ পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণের কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছালের গুঁড়া ১ চামচ নিন
- এতে ১ চামচ গোলাপজল ও ১/২ চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
- ব্রণের ওপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
- সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন
২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ অর্জুন গাছের ছাল ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিন,
গ্যালিক অ্যাসিড, এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল,
পরিষ্কার ও সতেজ করে তোলে। এটি ত্বকের সেল রিজেনারেশন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের
কালচে দাগ ও অসামঞ্জস্য দূর করতে সহায়ক।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছালের গুঁড়া ১ চামচ নিন
- এতে ১ চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান
- ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
- নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হবে
৩. প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটরঃ অর্জুন গাছের ছাল প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর
হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ, অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করতে
সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও প্রাকৃতিক
স্ক্রাবিং উপাদান ত্বককে মসৃণ, পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- ১ চামচ অর্জুন ছালের গুঁড়া
- ১ চামচ চালের গুঁড়া (এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহৃত হয়)
- ১ চামচ মধু (ত্বককে মসৃণ করে)
- সামান্য গোলাপজল
- সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ৩-৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।
৪. প্রাকৃতিক টোনারঃ অর্জুন গাছের ছাল প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে
থাকে, যা ত্বককে পরিষ্কার, সতেজ এবং টানটান রাখে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ
করতে সাহায্য করে, রোমকূপ সঙ্কুচিত করে এবং ত্বকের সুষম pH বজায় রাখতে সাহায্য
করে। অর্জুন গাছের ছালে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছাল গুঁড়া করে ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন
- ঠান্ডা হলে স্প্রে বোতলে রেখে দিন
- প্রতিদিন ফেস টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন
৫. বয়সের ছাপ কমায়ঃ অর্জুন ছালে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও ট্যানিন ত্বকের
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এটি
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং গুণাবলী
সমৃদ্ধ, যা ত্বকের বয়সের লক্ষণ যেমন বলিরেখা, ফাইন লাইন, এবং বয়সজনিত দাগ দূর
করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কোষ পুনর্নির্মাণে সহায়ক, ত্বককে মসৃণ এবং টানটান
রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছালের গুঁড়া ১ চামচ
- এতে ১ চামচ দই ও ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
- মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন
- পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
- নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক আরও টানটান হবে
৬. সানবার্ন ও র্যাশ নিরাময় করেঃ অর্জুন গাছের ছাল প্রাকৃতিকভাবে
সানবার্ন এবং ত্বকের র্যাশ বা ফুসকুড়ি নিরাময়ে সহায়ক। এটি ত্বককে শীতল, শান্ত
এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, এবং সানবার্ন বা ত্বকে ইনফ্লেমেশন (ফুলে যাওয়া বা
লাল হওয়া) কমাতে সাহায্য করে। অর্জুন গাছের ছালে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং শীতল প্রভাব ত্বককে দ্রুত আরাম দেয় এবং পুনরুদ্ধারে
সহায়তা করে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছাল গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন
- একটি তুলার বলে এটি মুখে ও আক্রান্ত স্থানে লাগান
- দিনে ২ বার ব্যবহার করলে দ্রুত আরাম পাবেন
৭. সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ অর্জুন গাছের ছাল প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণ
প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী। অ্যান্টিসেপটিক গুণ থাকার কারণে অর্জুন ছাল ত্বকের
কাটা-ছেঁড়া, ইনফেকশন বা এলার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, যা ত্বক ও শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- অর্জুন ছালের গুঁড়া ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান
- শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন
- এটি ইনফেকশন প্রতিরোধ করবে
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url