ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম


ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করে করতে হয়। ভারত ভ্রমণের জন্য ভিসা আবশ্যক, যা ভারতীয় সরকার অনলাইন এবং অফলাইন উভয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিসা প্রদান করে। ভারতীয় ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ, এটি আবেদনকারীদের জন্য সুবিধাজনক হলেও কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
ইন্ডিয়ান-ভিসার-জন্য-আবেদন-করার-নিয়ম
ভিসার ধরন, প্রয়োজনীয় নথি, ফি পরিশোধ এবং আবেদনপত্র জমাদানের পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সহজেই ভিসা পাওয়া সম্ভব। ভারত সরকার বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের ভিসা প্রদান করে, যা আবেদনকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করতে হয়। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে  ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন করার নিয়ম জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসা কি

ইন্ডিয়ান ভিসা হলো ভারতে কোনো কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশের জন্য অনুমতিপত্র হিসেবে যে নথি প্রদান করা হয় তাই-ই ইন্ডিয়ান ভিসা, এই ভিসা ব্যতীতে কেউ ইন্ডিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে না। যা ভারত সরকার বাংলাদেশিসহ বিদেশি নাগরিকদের প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ দেশের নাগরিকরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এটি ভারতীয় হাইকমিশন বা কনস্যুলেটেরের মাধ্যমে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন-
  • ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa) – পর্যটন ও ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য।
  • বিজনেস ভিসা (Business Visa) – ব্যবসায়িক কাজে ভ্রমণের জন্য।
  • মেডিকেল ভিসা (Medical Visa) – চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
  • স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa) – পড়াশোনার জন্য ভারতে যেতে হলে।
  • ইমার্জেন্সি ভিসা (Emergency Visa) – জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়।
তো বুঝতেই পারছেন, যে ভারতে প্রবেশের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসার গুরুত্ব কতটুকু। এই ভিসার অভাবে ভারতে আপনি পাসপোর্ট থাকার পরেও প্রবেশ করতে পারবেন না। আবেদনের সময়ে কোনো ধাপ ঠিকমতো পূরণ না করলে, ভিসার আবেদন বাতিলও হয়ে যেতে পারে। ইন্ডিয়ান ভিসা করার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং এরপর যাবতীয় প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার ফলে আপনার ভিসা আপনি হাতে পেয়ে যাবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসা কেনো করবেন

ইন্ডিয়ান ভিসা কেনো করবো এই প্রশ্নটা অনেকের মনে জাগতে পারে। কারণ কোনো একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মানুষ ভিসা করে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা, তীর্থযাত্রা, সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক সম্পর্কের কারণে প্রতিবছর লাখো বাংলাদেশি ভারত সফর করে থাকেন। ভারতীয় ভিসা করার অনেক কারণ থাকতে পারে। নিচে ইন্ডিয়ান ভিসা করার বিস্তারিত কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলোঃ

১. পর্যটন ও ভ্রমণঃ ভারতীয় পর্যটন ভিসা হলো এমন একটি অনুমতিপত্র, যা দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে ঘুরতে যেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও অবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহার করা যায়, ব্যবসা বা চাকরির জন্য নয়। ভারত বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশি তাজমহল, কাশ্মীর, দার্জিলিং, শিমলা, গোয়া, কন্যাকুমারীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যান।

২. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবাঃ বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত যান। ভারতের হাসপাতালগুলো উন্নতমানের চিকিৎসা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত। তুলনামূলকভাবে কম খরচে ও ভালো মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়, যা অনেক রোগীর জন্য উপকারী।  ভারতের কিছু জনপ্রিয় হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র গুলো হলো- কলকাতা, দিল্লি ও গুরুগ্রাম, চেন্নাই, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু।

৩. শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষাঃ ভারতীয় স্টুডেন্ট ভিসা হল এমন একটি অনুমতিপত্র, যা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভারতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়। বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও বিশেষায়িত কোর্স করার জন্য ভারতে যান। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগতমান, গবেষণা সুযোগ, তুলনামূলক কম খরচ, এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কারণে জনপ্রিয়। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি ও মানবিক বিষয়ে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা জনপ্রিয়।

৪. ব্যবসা ও বাণিজ্যঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবছর বহু বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ভারত সফর করেন কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য আমদানি-রফতানি, বাণিজ্যিক মিটিং এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য। ভারতের বিশাল বাজার এবং উন্নত শিল্পখাত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক ভালো। ব্যবসায়িক মিটিং, বাণিজ্য মেলা, পার্টনারশিপ গঠনের জন্য অনেক ব্যবসায়ী ভারতে যান।

৫. ধর্মীয় তীর্থযাত্রাঃ ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় তীর্থস্থান, যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অসংখ্য পবিত্র স্থান রয়েছে। প্রতিবছর হাজারো বাংলাদেশি ভক্ত ও দর্শনার্থী ভারতে যান তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী তীর্থস্থান (কাশী, বৃন্দাবন, পুরী, ত্রিপুরা) এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধগয়া, সারনাথ, কুশীনগর ভ্রমণের জন্য ভারতীয় ভিসা নেন।

৬. সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক সফরঃ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ভারতে আত্মীয়স্বজন থাকলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে অনেকে ভিসা নেন। বহু বাংলাদেশি নাগরিক প্রতি বছর ভারতে আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে, পারিবারিক অনুষ্ঠান উদযাপন করতে এবং ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে যান।

 ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম হলো আপনাকে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসার ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতে যায়। এর জন্য প্রয়োজন হয় ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন। ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য কয়েটি ধাপে প্রসেস সম্পন্ন করতে হয়। আর এর জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি নিজে থেকেই ঘরে বসে ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন করতে পারবেন।

প্রথমে, www.indianvisa-bangladesh.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে 'অনলাইন ভিসা আবেদন' অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে, প্রদত্ত ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত, পাসপোর্ট, ঠিকানা, পারিবারিক, পেশাগত এবং ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের সময় আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পিতামাতা ও স্ত্রীর নাম, পেশা, প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, সম্ভাব্য তারিখ, ভ্রমণ পথ এবং ভারতে ও বাংলাদেশে পরিচিত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

আবেদনপত্রের সাথে আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (সাদা পটভূমিতে, JPEG ফরম্যাটে, ১০ কেবি থেকে ১ এমবি সাইজ, ৩৫০×৩০০ পিক্সেল) আপলোড করতে হবে। ফর্ম পূরণের পর, সব তথ্য পুনরায় যাচাই করে সাবমিট করুন এবং আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।

এরপর, ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ ৮০০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের জন্য payment.ivacbd.com ওয়েবসাইটে গিয়ে হাই কমিশন নির্বাচন করে আপনার ওয়েব ফাইল নম্বর প্রদান করুন। এরপর, ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করে বিকাশ, রকেট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করুন। ফি পরিশোধের পর একটি রসিদ পাবেন, যা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্র, পেমেন্ট রসিদ, পাসপোর্টের আসল কপি ও ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের আসল কপি ও ফটোকপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইউটিলিটি বিলের কপি, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) এবং ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করে নিকটস্থ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিন। সাধারণত, ভিসা প্রসেসিং ৩-৭ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। আশা করি ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম জানতে পেরেছেন।

অনলাইনে ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করার নিয়ম হলো ইন্ডিয়ান ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্মের যাবতীয় তথ্য পূরণের মাধ্যমে আবেদন করা। এই পর্যায়ে আমি ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি বিশ্লেষণ করবো। শুরুতেই তাদের ওয়েবসাইটে, www.indianvisa-bangladesh.nic.in গিয়ে আমরা ভিসা এপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি ফর্ম ওপেন হবে যা ধাপে ধাপে ফর্মের বিস্তারিত তথ্য পূরণ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফর্ম পুরন করবেনঃ

ধাপ ১ঃ সাধারণ তথ্যঃ ফর্মের শুরুতেই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, যেগুলো সাধারণ তথ্যই বলা যায়। এখানে কোন ইন্ডিয়ার মিশন থেকে এপ্লাই করা হবে সেটা উল্লেখ করতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নেই কমবেশি ড্রপডাউন বক্সের মধ্য থেকে উত্তর সিলেক্ট করতে হবে। এর ইমেইল এড্রেস, আবেদনকারীর জন্মতারিখ, ধর্ম ও জাতীয়তা, ভিসার ধরণ, ভ্রমনের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও একটা প্রশ্নে উত্তর দিতে হবে বিস্তারিত ভাবে যে উদ্দেশ্যে ভ্রমনের জন্য ভিসার আবেদন করা হচ্ছে। শেষ এ ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে প্রদানের মাধ্যমে প্রথম ধাপ শেষ হবে। সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে।

ধাপ ২ঃ আবেদনকারীর তথ্যঃ এই ধাপ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত, এক আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যক্তিগত তথ্য, ও দুই, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য। প্রথম অংশে আবেদনকারীকে নিজের সকল তথ্য ভালোভাবে সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে। তার এ জন্য নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র এর যদি প্রয়োজন হয়, তা দিয়ে সব তথ্য দুইবার চেক করে পূরণ করে ফেলতে হবে। এরপর আবেদনকারীকে নিজের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। এখানে তার পাসপোর্ট এর ইস্যু তারিখ, মেয়াদ শেষ কবে সেই তারিখও উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্টের নাম্বার সঠিকভাবে ফর্মে দিতে হবে। এরপর পরবর্তী অংশে যেতে হবে।

ধাপ ৩ঃ আবেদনকারীর ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যঃ এই ধাপে আবেদনকারীকে নিজের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। এর জন্য পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র এর উল্লেখ থাকা তথ্য মিলিয়ে নিয়ে সঠিকভাবে বসাতে হবে। এখানে বাসার নাম্বার থেকে শুরু করে সব তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকে তাহলে ওই অপশনে ক্লিক করতে হবে। সব হয়ে গেলে এই ধাপ শেষ। এরপর পরের ধাপে যেতে হবে।

ধাপ ৪ঃ পরিবারের সদস্যদের তথ্যঃ এ ধাপে এসে আবেদনকারীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের তথ্য পূরণ করতে হবে। ধাপে ধাপে নিজের বাব ও মার সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। তাদের নাম, জাতীয়তা, জন্মতারিখ, ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। এরপরের অংশে আবেদনকারী বিবাহিত হলে নিজের স্বামী কিংবা স্ত্রীর তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আর তিনি অবিবাহিত ক্লিক করে দিলেই এই ধাপ শেষ, সেভ করে পরবর্তী ধাপে চলে যাই।

ধাপ ৫ঃ পেশা সংক্রান্ত তথ্যঃ এই অংশে নিজের পেশা সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। পেশা কি, কোন সেক্টরের সেটা উল্লেখ করতে হবে। তার পদ কি, অফিসের ঠিকানা, যোগাযোগ এর নাম্বার উল্লেখ করতে হবে আবেদনকারীকে। এখানে যদি আবেদনকারী কোনো ধরনের আর্মড ফোর্সে যুক্ত থেকে থাকেন বা পূর্বে ছিলেন তাহলে তাকে তা উল্লেখ করতে হবে। তার কাজ কোথায় পোস্টিং ছিলো ও তার র‍্যাংকও উল্লেখ করতে হবে। আর না থেকে থাকলে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ ৬ঃ ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ এরপর এর ধাপে আবেদনকারীকে নিজের ভিসার সম্পর্কে কিছু প্রশ্নে উত্তর দিতে হবে। ভিসার ধরণ কি, যেমন হলিডে ভিসা। ভ্রমনের স্থান উল্লেখ করতে হবে। কতবার এন্ট্রি করবেন তা দিতে হবে, এখানে একাধিক উল্লেখ করবেন। বিমান কিংবা নৌপথ যেপথে আপনি ভারতে যাবেন তা বলবেন। এ ধাপ এখানেই শেষ।

ধাপ ৭ঃ পূর্ববর্তী ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ এ ধাপ বেশ ছোট, এখানে আবেদনকারীকে জানাতে হবে যে তিনি পূর্বে কোনো ভিসার আবেদন করেছিলেন কি না, থাকলে তার তথ্য দিতে হবে। এছাড়াও, উল্লেখ করতে হবে গত ১০ বছরে কোন কোন দেশে আপনি ভ্রমণ করেছেন। পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশে ভ্রমন করে থাকলে তাও এখানে উল্লেখ করতে হবে। সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে।

ধাপ ৮ঃ সুপারিশঃ সুপারিশের ধাপে এখানে দুইজন ব্যক্তির সুপারিশের কথা উল্লেখ করতে হবে। যেহেতু এই অংশ পূরণ করা বাধ্যতামূলক, তাই এখানে ভারতে অবস্থানকারী একজন ও বাংলাদেশ এ থাকা একজন এমন দুইজন এর তথ্য দিতে হবে। তাদের ঠিকানা, জেলা, মোবাইল নাম্বার যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।

ধাপ ৯ঃ বিবিধঃ এই অংশে একটা বিবিধ প্রশ্নমালার উত্তর দিতে হবে। এই অংশে আবেদনকারীকে নিজের উত্তরের জন্য সৎ থাকতে হবে। যে আবেদনকারী নিজের জীবনে কোনো রকম সহিংসতার সাথে জড়িত ছিলেন কি না। থেকে থাকলে তার বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে, আর না থেকে থাকলে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ ১০ঃ ছবি প্রদানঃ ছবি প্রদানের অংশে ছবি প্রদানের আগে কিছু বিষয় নিয়ে অবগত থাকতে হবে। ছবির জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে এখানে,

  • ছবির ফরম্যাট হলো JPEG
  • সাইজ হতে হবে ১০কেবি থেকে ১এমবি এর মধ্যে
  • ডিমেনশান ৩৫০×৩০০ পিক্সেল
  • ছবি উজ্জ্বল হতে হবে
  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে
এসব নির্দেশনা পালিত না হলে, আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

ধাপ ১১ঃ যাচাইকরণ ও নিশ্চিতকরণঃ এই ধাপে আসলে আপনি এতক্ষন পূরণ করা পুরো ফর্মের একটা সারসংক্ষেপ দেখতে পাবেন। এখন যদি কোনো অংশ ভুল হয়ে থাকে তা সংশোধন করে নিয়ে পরের অংশ গুলো ভালোমতো খেয়াল করতে হবে। একাধিক বার পুরো ফর্ম চেক করে দেখতে হবে। কোনো ভুল না পাওয়া গেলে যাচাই করা শেষ এবং পরের ধাপে যাবার জন্য নেক্সট এ ক্লিক করুন।

এই পর্যায়ে এপ্লিকেশন আইডি ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে ভবিষ্যতের কোনো কাজে যদি প্রয়োজন হয় তার জন্য। প্রিন্ট ফর্ম এ ক্লিক করে ফর্ম প্রিন্ট করে নিতে হবে। চাইলে ফর্মের পিডিএফ ডাউনলোড করে  যেকোনো জায়গা থেকে প্রিন্ট করতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন, প্রিন্ট আউট যেনো কালার প্রিন্ট হয়ে থাকে, যাতে সব কিছু ভালোভাবে বোঝা যায়। ফর্মের মধ্যে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ল্যাবপ্রিন্ট ছবি যুক্ত করতে হবে, ও নিচে নিজের স্বাক্ষর করতে হবে একাধিক জায়গায়, তাহলেই ফর্মের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।

 ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন কারণে যেমন: চিকিৎসা, পর্যটন, ব্যবসা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজন। প্রতিটি ভিসার ধরন অনুযায়ী কিছু অতিরিক্ত নথির প্রয়োজন হতে পারে। সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন, ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবেঃ
ইন্ডিয়ান-ভিসা-আবেদনের-জন্য-প্রয়োজনীয় -কাগজপত্র
১. মৌলিক কাগজপত্র (সকল ভিসার জন্য প্রযোজ্য)

পাসপোর্টঃ

  • পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে কমপক্ষে ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে (ভিসার স্ট্যাম্পের জন্য)।
  • পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটির মূল কপি ও ফটোকপি জমা দিতে হবে।
ভিসা আবেদনপত্রঃ

  • ভারতীয় ভিসার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে:
  • www.indianvisa-bangladesh.nic.in
  • আবেদনপত্র পূরণ করে প্রিন্ট নিতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।
ছবিঃ

  • ২টি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)।
  • সাইজ: ২ x ২ ইঞ্চি।
  • চশমা বা টুপি ছাড়া স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার ছবি হতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদঃ

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল ও ফটোকপি) অথবা জন্ম সনদ।
  • ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের কপি আবশ্যক।
ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ

  • বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যাংক সনদ জমা দিতে হবে।
  • ব্যাংক ব্যালেন্স কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা থাকতে হবে (নির্ভর করে ভিসার ধরন অনুযায়ী)।
  • যদি অন্য কেউ স্পন্সর করেন, তাহলে স্পন্সরকারীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও চিঠি জমা দিতে হবে।
বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিল বা বাসার ঠিকানা প্রমাণঃ

  • বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের কপি অথবা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ।
  • বাসার ঠিকানার কোনো বৈধ প্রমাণপত্র।
ভিসা ফি জমাদানের রসিদঃ

  • ভিসার আবেদন ফি (প্রায় ৮০০ টাকা) পরিশোধ করতে হবে।
  • ফি পরিশোধ করা যায় বিকাশ, রকেট অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে।
  • ফি জমার রসিদ আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
ভ্রমণের তথ্যঃ
  • ভারত ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
  • টিকেট ও হোটেল বুকিং কপি (যদি থাকে)।
করোনাভাইরাস টিকা সনদঃ
  • ভারত ভ্রমণের জন্য করোনার ডোজ সম্পন্ন টিকা সনদ আবশ্যক।
  • www.surokkha.gov.bd থেকে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক টিকা সনদ জমা দিতে হবে।
২. বিশেষ কাগজপত্র (ভিসার ধরন অনুযায়ী)

চিকিৎসা ভিসার জন্যঃ

  • ভারতীয় হাসপাতাল থেকে ডাক্তার কর্তৃক ইস্যুকৃত আমন্ত্রণপত্র।
  • বাংলাদেশের হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রতিবেদন।
  • রোগীর সাথে ভ্রমণকারী আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করে চিঠি (যদি প্রযোজ্য হয়)।
ব্যবসা ভিসার জন্যঃ

  • বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক চিঠি।
  • ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র।
  • ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট এবং বিজনেস কার্ড।
শিক্ষার্থী ভিসার জন্যঃ

  • ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি অনুমোদনপত্র।
  • বিগত একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
  • স্পন্সরকারীর (অভিভাবক) ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও পেশাগত তথ্য।

ভিসা আবেদনের জন্য ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র

ভিসা আবেদনের জন্য ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়ছে বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে। আপনি রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা হিসেবে ভারতীয় ভিসার জন্য রাজশাহী বা রংপুরের ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (IVAC) আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্যের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.hcidhaka.gov.in পরিদর্শন করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটে আপনি ভারতীয় ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, আবেদন প্রক্রিয়া, ফি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC)-এর ঠিকানা ও সময়সূচি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার নিকটস্থ IVAC অফিসের ঠিকানা জানতে ভিজিট করুন: www.ivacbd.com। ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার আগে অনুগ্রহ করে নিশ্চিত করুন যে আপনি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং সঠিকভাবে পূরণ করেছেন।

এছাড়াও, ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন। IVAC হেল্পলাইন: ০৯৬১২৩৩৩৬৬৬ ও ০৯৬১৪৩৩৩৬৬৬, ই-মেইল: info@ivacbd.com ও visahelp@ivacbd.com। হেল্পলাইন সেবা সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৫:৩০ পর্যন্ত পাওয়া যায়। 

ভারতীয় ভিসার ফি প্রদান করার প্রক্রিয়া

ভারতীয় ভিসার ফি প্রদান করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। আপনি যদি ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (IVAC) বা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। অনলাইনে ফি প্রদান করতে মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করুন, www.ivacbd.com এরপর ওয়েবসাইট প্রবেশ করুন। নিচে ভারতীয় ভিসার ফি প্রদান করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলোঃ

১. অনলাইনে ভিসা ফি প্রদানঃ ভারতীয় ভিসার জন্য অনলাইনে ফি প্রদান করা খুবই সহজ। এটি করতে আপনি কয়েকটি স্টেপ অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমে, ভারতীয় ভিসা আবেদন করার জন্য সরকারিভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://indianvisaonline.gov.in) যান। ওয়েবসাইটে গিয়ে, আপনার ভিসার ধরন নির্বাচন করুন এবং আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন। আপনি ট্যুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টাডি ভিসা ইত্যাদি যে ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেটি নির্বাচন করুন।

আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর, আপনার সমস্ত তথ্য ঠিকভাবে যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যান। আবেদন ফর্ম পূর্ণ হওয়ার পর, আপনাকে ফি প্রদান করার জন্য পেজে নিয়ে যাবে। এখানে আপনার পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করতে হবে। নেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এবং UPI এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যেতে পারে। ফি প্রদান করার সময়, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হবে।

পেমেন্ট করার পর, আপনাকে একটি রসিদ প্রদান করা হবে যা আপনাকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (IVAC) জমা দিতে হবে। এই রসিদটিতে একটি ট্রানজেকশন নম্বর থাকে, যা আপনার আবেদন ট্র্যাক করতে কাজে আসে।

২. ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ফি প্রদানঃ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (IVAC) বা বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসে গিয়ে সরাসরি ফি প্রদান করারও একটি বিকল্প রয়েছে। আপনি যদি IVAC বা হাইকমিশন থেকে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান, তাহলে আপনাকে আপনার নিকটস্থ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC)-এ যেতে হবে। আপনি আপনার নিকটস্থ কেন্দ্রের ঠিকানা এখানে পেয়ে যাবেন।

IVAC-এ গিয়ে, প্রথমে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট এবং ছবি জমা দিন। এছাড়াও, আপনার ভিসা আবেদন কাগজপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। ভিসার ধরন অনুযায়ী, সম্পর্কিত ডকুমেন্ট (যেমন- পারিবারিক আমন্ত্রণপত্র, ট্রাভেল বুকিং) জমা দিতে হতে পারে।

আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর, আপনাকে নগদ টাকা, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড অথবা চেক দিয়ে ফি প্রদান করতে হবে। আবেদন কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ফি রেট অনুসারে, ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের পর, আপনাকে একটি রসিদ দেওয়া হবে। এই রসিদটি আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয় ভিসার ফি প্রদানের পরিমাণ

ভারতীয় ভিসার ফি প্রদানের পরিমাণ নির্ভর করে ভিসার ধরন ও মেয়াদ অনুযায়ী। বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য আলাদা ফি কাঠামো রয়েছে। ভারতীয় ভিসার ফি পরিমাণের বিস্তারিত তথ্য, ফি পরিশোধের পদ্ধতি এবং ভিসা ধরন অনুযায়ী প্রক্রিয়া এখানে আরও বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো:

১. ট্যুরিস্ট ভিসাঃ ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa) একটি সাময়িক ভিসা যা সাধারণত পর্যটকদের জন্য দেওয়া হয় যারা ভারত ভ্রমণে আসতে চান। এটি একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি বা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা হতে পারে এবং সাধারণত এটি ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। এই ভিসা ভারতীয় ভূখণ্ডে পর্যটন, ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাৎ এবং অন্যান্য পর্যটন সম্পর্কিত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু সাধারণ ট্যুরিস্ট ভিসার ফি পরিমাণ দেওয়া হলোঃ

  • ৬ মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা ফি: বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,৫০০ - ৩,৫০০ টাকা)
  • ১ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা ফি: বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫,০০০ টাকা)
  • মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা (৩ বছরের জন্য): বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,৫০০ - ১০,০০০ টাকা
২. ফ্যামিলি ভিসাঃ ফ্যামিলি ভিসা মূলত ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বাসিন্দাদের পরিবারের সদস্যদের (যেমন: বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী/স্ত্রী, সন্তান) ভারত ভ্রমণে অথবা তাদের সাথে থাকতে অনুমতি দেয়। এটি একটি দর্শনীয় ভ্রমণের জন্য নয়, বরং মূলত পরিবারিক সম্পর্কের কারণে দেওয়া হয়।ফ্যামিলি ভিসা সাধারণত ৩ মাস থেকে ১ বছরের জন্য দেওয়া হয়, তবে এটি বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য ভিন্ন হতে পারে।

বৈধতার মেয়াদ নির্ভর করে আপনার পরিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ এবং অন্যান্য শর্তাবলীর ওপর। ফ্যামিলি ভিসার ফি সাধারণত ভিসার ধরন এবং মেয়াদ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। ফ্যামিলি ভিসা ফি বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩,৫০০ - ৫,০০০ টাকা

৩. বিজনেস ভিসাঃ বিজনেস ভিসা সাধারণত ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বা যারা ভারতীয় বাজারে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ভিসা ব্যবসা, বাণিজ্যিক কার্যক্রম বা ইনভেস্টমেন্টের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত বিজনেস ভিসা ১ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে, তবে এটি বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য আলাদা হতে পারে। ভারতীয় বিজনেস ভিসার ফি নির্ভর করে ভিসার মেয়াদ এবং আবেদনকারীর নাগরিকত্বের ওপর। সাধারণত ফি পরিমাণ এইভাবে হতে পারে:

  • ৩ মাস থেকে ১ বছরের বিজনেস ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫,০০০ - ৭,৫০০ টাকা
  • ১ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ফি : বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮,০০০ - ১০,০০০ টাকা
  • ৩ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০,০০০ - ১৫,০০০ টাকা
৪. স্টুডেন্ট ভিসাঃ যারা ভারতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে চান এবং সেখানে শিক্ষালাভ করতে চান, তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রযোজ্য। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্টগ্র্যাজুয়েট, পিএইচডি অথবা অন্যান্য কোর্সের জন্য ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হয়। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা মেয়াদ ১ থেকে ৫ বছরের জন্য দেওয়া হয়, তবে এটি আপনার কোর্সের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ফি পরিমাণঃ

  • ৬ মাস থেকে ১ বছরের স্টুডেন্ট ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪,০০০ - ৬,০০০ টাকা
  • ১ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি স্টুডেন্ট ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬,০০০ - ৮,০০০ টাকা
  • ৩ বছরের স্টুডেন্ট ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০,০০০ - ১২,০০০ টাকা
    ৫. মেডিকেল ভিসাঃ যে ব্যক্তিরা ভারতে চিকিৎসা নিতে চান, তাদের জন্য মেডিকেল ভিসা প্রযোজ্য। এটি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা যেমন গুরুতর রোগের চিকিৎসা, সার্জারি, ডায়ালাইসিস, ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট, এবং অন্যান্য বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। রোগীর সঙ্গে ভারতে আসার জন্য তার সাথে একজন সহকারী (যেমন: পরিবারের সদস্য) আসতে পারেন। এই সহকারীকে Medical Attendant Visa দেওয়া হয়। 

    সাধারণত মেডিকেল ভিসা ৬ মাস থেকে ১ বছরের জন্য বৈধ হয়, তবে এটি আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন ও মেডিকেল ট্রিটমেন্টের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, যদি চিকিৎসা চলমান থাকে, তবে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। মেডিকেল ভিসার জন্য ফি পরিমাণ এইভাবে হতে পারেঃ

    • ৩ মাস থেকে ১ বছরের মেডিকেল ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫,০০০ - ৮,০০০ টাকা
    • ১ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি মেডিকেল ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮,০০০ - ১০,০০০ টাকা
    • ৩ বছরের মেডিকেল ভিসা ফি: বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০,০০০ - ১৫,০০০ টাকা
    ৬. ই-ভিসাঃ ই-ভিসা (e-Visa) একটি ডিজিটাল ভিসা যা অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং ইমেইলের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়। এটি ভারতীয় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একটি সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি যা বিদেশি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণ করার জন্য দেওয়া হয়।

    • ট্যুরিস্ট ই-ভিসা ৩০ দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ হতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী। আপনি ১ বছরের মধ্যে দুই বা তিনবার ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন।
    • বিজনেস ই-ভিসা সাধারণত ১ বছরের জন্য বৈধ এবং মাল্টিপল এন্ট্রি অনুমোদন থাকে, যার মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একাধিকবার ভারতে প্রবেশ করা যায়।
    • মেডিকেল ই-ভিসা ৬০ দিনের জন্য বৈধ, এবং মেডিকেল ট্রিটমেন্ট নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতে আসা ব্যক্তির জন্য।
    ই-ভিসার ফি পরিমাণ আবেদনকারীর জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে, তবে সাধারণত ট্যুরিস্ট ই-ভিসার ফি গড়ে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২,০০০ - ১০,০০০ টাকা হতে পারে। অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে (যেমন: বিজনেস বা মেডিকেল ই-ভিসা) এই ফি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

    ৭. ট্রানজিট ভিসাঃ ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা একটি স্বল্পমেয়াদী ভিসা যা শুধুমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্য দেশে যাতায়াতের জন্য অনুমতি দেয়। সাধারণত, এটি ৩ দিন থেকে ৭ দিনের জন্য বৈধ হয়ে থাকে এবং তার পর, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আপনি যদি ভারতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, এবং সেখানে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবস্থান করতে হয়, তাহলে ট্রানজিট ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

    এর মাধ্যমে আপনি বিমানবন্দরের বাইরে যেতে বা কিছু সময় ভারতীয় শহরে অবস্থান করতে পারেন। সাধারণত ট্রানজিট ভিসা ৩ দিন থেকে ৭ দিনের জন্য বৈধ থাকে। তবে, নির্দিষ্ট সময়কাল দেশের পরিসরে পরিবর্তিত হতে পারে। ভারতীয় ট্রানজিট ভিসার ফি সাধারণতবাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১,০০০ - ৩,০০০ টাকা হয়ে থাকে, তবে এটি নির্ভর করে আপনার নাগরিকত্ব, ভিসার মেয়াদ এবং অন্যান্য শর্তের ওপর।

    ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম

    ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম খুব সহজ এবং এটি অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত করা যায়। আপনি যদি সম্প্রতি ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তা চেক করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আপনি দুইটি উপায়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করতে পারবেন। একটি হচ্ছে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং অপরটি হচ্ছে ইন্ডিয়ান সরকারের পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার ওয়েবসাইট।

    • প্রথমে আপনাকে https://www.passtrack.net/index.php এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
    • এরপর মেনু থেকে Tracking অপশনে ক্লিক করে আপনার ভিসার ধরণ নির্বাচন করতে হবে (Regular Visa / Port Endorsement)
    • রেগুলার ভিসা চেক করার জন্য “ওয়েব ফাইল নাম্বার” প্রয়োজন হবে। যা আপনি ডেলিভারি স্লিপে পেয়ে যাবেন।
    • Web file Number বক্সে সঠিক ভাবে আপনার নাম্বার টি বসান।
    • এরপর “Please type below code” বক্সে নিচে দেখানো ছবির অক্ষর সঠিক ভাবে বসান।
    • ছবিতে থাকে অক্ষর ভাল ভাবে বুঝতে না পারলে Not readable? Change text এ ক্লিক করে পরিবর্তন করে নিন।
    • সব শেষে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
    • ব্যাস, স্কিনে আপনার ভিসার সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে।

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম

    পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ivacbd এর ওয়েবসাইটের প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটটির লিংক ivacbd.com. আপনার ভিসাটি চেক করার জন্য সরাসরি ভিসার Web file Number টি প্রয়োজন হবে। এক্ষত্রে আপনার পাসপোর্ট নাম্বারের প্রয়োজন নেই। ভিসার Web file Number এর সাহায্যে কিভাবে ইন্ডিয়ার ভিসা চেক করতে হয় তা নিচে ছবিসহ ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো।
    পাসপোর্ট-নাম্বার-দিয়ে-ইন্ডিয়ান-ভিসা-চেক-করার-নিয়ম
    প্রথমে ivacbd.com এই লিংকটিতে প্রবেশ করার পর আইভিএসির ওয়েববসাইটটি দেখতে পাবেন। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করার পর বামপাশের মেনু থেকে ভিসা আবেদন ট্র্যাক (Track Your Application) অপশনে ক্লিক করুন।

    দ্বিতীয় ধাপে আপনার আবেদন ট্র্যাক করতে বলা হবে। এজন্য আপনি এই বাটনে ক্লিক করুন – “আপনার আবেদন ট্র্যাকিং জন্য এখানে ক্লিক করুন” (Please Click Here For Tracking Your Application)। তারপর আপনাকে রিডাইরেক্ট করে নতুন অন্য একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে।

    তৃতীয় ধাপে আপনাকে passtrack.net নামের নতুন আরেকটি ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হবে। এখানে আপনার ভিসা টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। Please select the application type এর নিচে দুটি অপশন রয়েছে –

    • Regular Visa Application
    • Port Endorsement, R.A.P./P.A.P.
    আপনি এখান থেকে Regular Visa Application অপশনে ক্লিক করবেন।

    চতুর্থ ধাপে আপনাকে আপনার ভিসার ফাইল ওয়েব নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা কোড দিয়ে খালিঘর পূরণ করতে হবে। এই পেজে দুটি অপশন দেখতে পাবেন যেমন –Please type above code এবং Web file Number. Please type above code এটি মূলত একটি ক্যাপচা কোড, যা উপরে বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকবে। সেখানে যা লিখা আপনাকে হুবহু তা লিখতে হবে।

    Web file Number মূলত আপনার ভিসার শনাক্তকরণ নম্বর। যেটার মাধ্যমে ভিসার সকল তথ্য খুঁজে বের করা যায়। এই নম্বরটি আপনার ভিসা ফরমের QR Code এর নিচে অথবা ভিসার ফরমের বামপাশে দেখতে পাবেন। Web file Number দেখতে এমন হয় – BGDD32990243, আপনার ভিসা ফরমে খুঁজলেই তা পেয়ে যাবেন। সঠিক তথ্য দিয়ে খালিঘরগুলো পূরণ করার পর Submit বাটনে ক্লিক করুন।

    উপরের ধাপগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করতে পারলে আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা স্ট্যাটাসটি পঞ্চম ধাপে এসে দেখতে পাবেন। আপনার ভিসাটি যদি এপ্রুভ হয়ে থাকে তবে Status এর স্থানে Done লেখা দেখাবে।

    শেষ কথাঃ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম

    ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম বেশ সুসংগঠিত হলেও আবেদনকারীদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করা তুলনামূলক সহজ হলেও নির্দিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে জমা দেওয়া অনেক সময় কষ্টসাধ্য হতে পারে। বিশেষ করে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির প্রমাণপত্র বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক নথির প্রয়োজনীয়তা অনেকের জন্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।

    তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রক্রিয়াটি কিছুটা সহজ হয়েছে। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি বা অতিরিক্ত জটিলতা এড়াতে সঠিক তথ্য ও নথি আগে থেকে প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভিসা নীতি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়, তাই সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুসরণ করা জরুরি। ভারতীয় দূতাবাস বা নির্দিষ্ট ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা বাঞ্ছনীয়।

    সারসংক্ষেপে, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে যথাযথ প্রস্তুতি, ধৈর্য এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। আবেদনকারীদের উচিত সময়মতো এবং সঠিকভাবে আবেদন করা, যাতে তাদের ভিসা দ্রুত অনুমোদিত হয় এবং কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণ করলে সাধারণত ভিসা পাওয়া সহজ হয়। আশা করছি, ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম গুলো জানতে পেরেছেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url