ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন সে সম্পর্কে আলোচনা  করব। দেশের ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডাচ বাংলা ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের বাংলাদেশে ৬৪টি জেলায় সর্বোমোট ২১০ টি শাখা রয়েছে।
ডাচ-বাংলা-ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
যার জন্য আপনি দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে লেনদেন করতে পারবেন। এই লেনদেনের জন্য অবশ্যই আপনার একটি ডাচ বাংলার একাউন্ট লাগবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের একটি লিডিং ব্যাংক। এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলা অনেক সহজ একটি কাজ। যেটা অন্যান্য সকল ব্যাংকের থেকে তুলনামূলক অনেক সহজ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের প্রকারভেদ

ডাচ-বাংলা ব্যাংক (DBBL) গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরণের একাউন্ট অফার করে, যা তাদের আর্থিক প্রয়োজন ও লক্ষ্য অনুযায়ী উপযোগী। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অধীনে কতগুলো একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর কোন কোন একাউন্ট খুলতে পারবেন এই নিয়ে আপনারা বরাবরই দ্বিধাগ্রস্থ থাকেন। এখন আপনারা জানতে পারবেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টের প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে। তো চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপনি সাধারণত ডাচ বাংলা ব্যাংকের অধীনে দুই ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এ দুই ধরনের ব্যাংক একাউন্ট গুলো হলো-(১) ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট। (২) ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট। এই দুটি অ্যাকাউন্ট হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রধান একাউন্ট। তবে এগুলোর আওতায় আরো মোট ৭ ধরনের একাউন্টে ডাচ বাংলা ব্যাংক সেবা প্রদান করে থাকে। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনঃ

১. সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ডঃ আপনি যদি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট টি ডাচ বাংলা ব্যাংকে তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে একাউন্টে ৫০০ টাকা জমা রাখার জন্য দেওয়া লাগবে। এর কম টাকায় এ একাউন্ট আপনি চালু করতে পারবেন না।

২. সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাসঃ সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাস এ ক্যাটাগরিতে যদি আপনি একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে মিনিমাম আপনাকে ৫০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। এর কম টাকা দিয়ে এ ধরনের একাউন্ট আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে চালু করতে পারবেন না। তবে এ টাকা আপনার জমা থাকবে, পরবর্তীতে তুলতে পারবেন।

৩. এক্সেল সেভিংস একাউন্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি এক্সেল সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে একাউন্ট তৈরির জন্য আপনাকে ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা আপনার জমা হিসেবে রাখা হবে এবং পরবর্তীতে তুলতে পারবেন না।

৪. ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট খুলতে চান তাহলে ১০০ টাকা আপনার একাউন্ট চালু করার জন্য রাখতে হবে। এ একাউন্টে একটি বিশেষ সুবিধা হলো, কোনো প্রকার চার্জ প্রদান করতে হয় না।

৫. ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যারা সুদ মুক্ত একাউন্ট খুলে রাখতে চান তাদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট। বিশেষ করে ধর্মপ্রিয় মুসলিম ব্যাক্তিরায় এ ধরনের একাউন্ট খুলতে চায়। এ একাউন্টটি তৈরির জন্য ৫০০০ টাকা প্রদান করতে হয়, যা পরবর্তীতে তুলতে পারবেন না।

৬. কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে ৫০০ টাকা আপনাকে প্রদান করতে হবে। এছারাও প্রতিবছর একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, এটিএম কার্ড, এসএমএস এলার্ট ইত্যাদির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে চার্জ দিতে হবে।

৭. স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট একাউন্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ব্যালেন্সে ২০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। এছারাও প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দেওয়া লাগবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকের জানা নেই কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক এ ৭ টি ক্যাটাগরিতে একাউন্ট আপনি খুলতে পারবেন। সেগুলো হলো-স্ট্যান্ডার্ড, এক্সেল সেভিংস একাউন্ট, সেভিংস ডিপোচিট প্লাস একাউন্ট, ডিবিবিএল স্কুল সেভার একাউন্ট, সুদ মুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট, কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট এবং বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট। 

ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিকটস্থ স্থায়ী শাখা অফিসে যেতে হবে। তারপরে সেখানে গিয়ে কর্মকর্তাগণকে জানাবেন আপনি এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। এরপর তারা আপনাকে একটা আবেদনের জন্য ফরম দিবে। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফরম পূরণ করে তাদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আর তার সাথে ব্যাংকের প্রাথমিক ডিপোজিটের টাকা জমা দিতে হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন কি কি লাগবে জেনে নিনঃ

  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • আপনার একাউন্টের জন্য যিনি নমিনি হবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ২টি ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি সদ্যতোলা রঙিন ছবি এবং নমিনির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্টে রয়েছে এমন একজন রেফারেন্স দরকার হবে।
  • কারেন্ট বিল, গ্যাস বিল, ইউটিলিট বিলের ফটোকপির প্রয়োজন হতে পারে।
  • কোনো ব্যাবসায়ী যদি একাউন্ট খুলতে চায়, তাহলে ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
সাধারনত উপরের বলা কাগজপত্রগুলো ডাচ বাংলা একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন হবে। তবে এগুলো ছাড়াও আপনি কোন ক্যাটাগরিতে একাউন্ট খুলবেন সে অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র ভিন্ন লাগে। তাই আপনি কোন ক্যাটাগরিতে একাউন্ট খুলতে চান, সেটি প্রথমে বাছাই করে নিবেন এবং সে অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর আপনার সকল তথ্যগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে সেই ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আপনার তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করার পরে আপনার জন্য একটি ব্যাংকের হিসাব নম্বর তৈরি করবে।

ব্যাংকের এসব নম্বর তৈরি করে তার একটি রিসিট আপনার হাতে দিবে। তাহলে বুঝে নেবেন আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা কমপ্লিট হয়ে গেছে। তবে অনলাইনের মাধ্যমেও খুব সহজে নির্ভুল একাউন্ট খোলা যায়। অনলাইনে ডাচ ব্যাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করবেন, সেখানে কি কি তথ্য লাগবে বলা আছে। সে অনুযায়ী আপনাকে অনলাইন ফরম পূরন করতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে। এভাবেই উপরের নিয়মগুলো ফলো করে খুলে নিতে পারবেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের একাউন্ট খুলবেন তার উপর। ডাচ বাংলা ব্যাংক বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যাংক তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। আপনি যখন ডাচ বাংলার সেভিংস একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। আর এই ফর্মের সাথে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।  চলুন জেনে নেই কোন কোন ডকুমেন্টেগুলা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রয়োজন হবে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি।
  • আপনাকে অবশ্যই সাবালোক হতে হবে। অর্থাৎ আপনার বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের চার কপি রঙিন ছবি।
  • আপনার একাউন্টে যে ব্যক্তি নমিনি হবে তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনাকে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা রাখতে হবে।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির সুপারিশ লাগবে।
  • আর যদি আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অন্য যে কোনো ব্যাংকের তুলনায় সহজ। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনিয় কিছু ডকুমেন্টস, যেমন: জন্ম নিবন্ধন, স্টুডেন্ট কার্ড, ইত্যাদি নিয়ে আপনার নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংক শাখায় যেতে হবে। এরপর সেখানে গিয়ে আপনি তাদেরকে অবগত করবেন যে, আপনি তাদের এই ব্রাঞ্চে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে চান।
ডাচ-বাংলা-ব্যাংক-স্টুডেন্টএকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
সেখানে তারা আপনাকে স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরির জন্য একটি ফর্ম দেবে। ফর্মটি পূরণ করে ডকুমেন্টস সহ ব্যাংকে জমা দিন। সেই সাথে আপনার প্রাইমারি ডিপোজিট সম্পন্ন করলে আপনার একাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য ফরম জমা দেওয়ার পরেই কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার জন্য একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। ফর্ম, ডকুমেন্টস ও টাকা জমা দেয়ার পর আপনার কাছ থেকে ব্যাংক হয়তো একদিন সময় নিতে পারে।

এরপর আপনাকে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার একাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়েছে কিনা। এখানে স্টুডেন্টদের জন্য প্রচলিত সেভিংস একাউন্টের থেকে ভিন্ন কিছু ডকুমেন্টস দরকার হয়ে থাকে। আপনি যদি চান তাহলে এই স্টুডেন্ট একাউন্ট এর জন্য একটি ইনস্ট্যান্ট ATM কার্ডও নিতে পারবেন। এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা খুলতে পারবে। এছাড়া অন্য কেউ এই স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবে না।

স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট ওপেন করে থাকেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্টের দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটি হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে, যার নাম হচ্ছে DBBL স্কুল সেভার্স অ্যাকাউন্ট এবং অন্যটি ১৮ বছরের উপরে, সাধারণ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
  • আপনি যদি একজন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • আর যদি একজন ভোটার নাগরিক না হয়ে থাকেন তাহলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
  • আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • আপনার একাউন্টের যিনি নমিনি হবেন তার ভোটার আইডি কার্ড।
  • নমিনির দুই কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিম্নেলিখিত কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে, যেমনঃ

  • গার্ডিয়ানের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • গার্ডিয়ানের দুই কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
  • পূর্বে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির সুপারিশ।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।
  • পিএসসি জেএসসি অথবা SSC পরীক্ষার উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট।
আপনি যখন ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন অবশ্যই উপরে দেওয়া সকল তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে তারপরে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন। উক্ত সকল ডকুমেন্টসমূহ সংগ্রহ করে নিয়ে আপনার নিকটস্থ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জমা দিলে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট অনেক সহজেই তৈরি করতে পারবেন। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের বিশেষভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, যার কারনে আমাদের মধ্যে অনেকেই এ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক। তবে যারা একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে নিতে হবে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাধারনত আপনার কোনো খরচ হয় না বললেই চলে। কারণ একাউন্ট খুলতে যে টাকাটা নেওয়া হয় সেটা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যায় যা আপনি পরবর্তীতে উঠাতে পারবেন। তবে কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোতে একাউন্ট খুললে পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে খরচ কত হবে সেটা আপনি কি ধরনের একাউন্ট খুলতে চাইছেন তার উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে যেমনঃ

  • সেভিংস ডিপোজিট স্ট্যান্ডার্ড একাউন্টের ক্ষেত্রে খরচ হবে- ৫০০ টাকা।
  • এক্সেল সেভিংস একাউন্ট যদি খুলতে চান তাহলে খরচ হবে- ৫০০ টাকা।
  • সেভিংস ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট যদি খুলতে চান সক্ষেত্রে খরচ হবে- ৫.০০০ টাকা।
  • ডিবিবিএল স্কুল সেভার একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে- ১০০ টাকা।
  • সুদ মুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে- ৫.০০০ টাকা।
  • কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে- ১.০০০টাকা।
  • বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে- ২.০০০টাকা।
তবে আপনি যখন প্রাথমিক অবস্থায় ডান্স বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে ৫০০ টাকার প্রাথমিক ডিপোজিট দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। এই প্রাথমিক ডিপোজিট ছাড়া আপনার ব্যাংক একাউন্ট সচল হবে না। সেটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায়ই পড়ে থাকবে। আশা করি, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা বুঝতে পেরেছেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ

ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ কত কাটে তা, আপনি যখন ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার জানা উচিত। বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে তবে তার মধ্যে জনপ্রিয় অ্যাকাউন্ট হচ্ছে সেভিংস ও স্টুডেন্ট একাউন্ট। বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার চার্জ রয়েছে, তবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে কি প্রকার চার্জ করতে পারে এবং কত প্রকার চার্জ রয়েছে সেগুলো হলোঃ

সেভিংস একাউন্টে যদি ১০ হাজার টাকা থাকে সেক্ষেত্রে একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি প্রদান করতে হবে না। সেভিং একাউন্টে প্রতি ৬ মাস পর পর নিম্নবর্ণিত হারে একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি প্রদান করতে হবে।

  • ১০,০০০/-টাকার বেশি কিন্তু ২৫,০০০/-টাকা মধ‍্যে গড় আমানত স্থিতির জন‍্য সর্বোচ্চ ১০০/-টাকা + ১৫% সরকারি ভ‍্যাট।
  • ২৫,০০০/-টাকার বেশি কিন্তু ২ (দুই) লক্ষ মধ‍্যে গড় আমানত স্থিতির জন‍্য সর্বোচ্চ ২০০/-টাকা + ১৫% সরকারি ভ‍্যাট।
  • ২ (দুই) লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ১০ (দশ) লক্ষ মধ‍্যে গড় আমানত স্থিতির জন‍্য সর্বোচ্চ ২৫০/-টাকা + ১৫% সরকারি ভ‍্যাট।
  • ১০ লক্ষ টাকার বেশি আমানত স্থিতির জন‍্য সর্বোচ্চ ৩০০/-টাকা + ১৫% সরকারি ভ‍্যাট।
  • কারেন্ট বা ব‍্যবসায়ী একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি প্রতি ছয় মাস পর পর সর্বোচ্চ ৩০০/-টাকা + ১৫% সরকারি ভ‍্যাট মাত্র।
তবে শুধুমাত্র স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে প্রতি বছরে একাউন্টে গড় স্হিতির পরিমাণ ৪৯৯৯ টাকা বা এর কম হলে চার্জ কাটবে না। তবে ২৫ হাজার টাকার উপরে ব‍্যালেন্স থাকলে স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রেও একাউন্ট চার্জ প্রযোজ্য হবে উপরের সেভিং একাউন্ট অনুসারে । আর ডাচ বাংলা ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা খুব সহজে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা যায়। এছাড়াও যারা মেধা তালিকা প্রথম সারির বৃত্তি অর্জন করেন তাদেরও উপবৃত্তির ব্যবস্থা এখান থেকে করা হয়।

ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি

ডাচ বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন সেবা প্রদান করে, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। এছাড়াও এ ব্যাংকের লোনে আরও সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে যখন তখন লোন দেয় ডাচ বাংলা ব্যাংক। তাই অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোন নিতে আগ্রহী। ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোন নিতে চাইলে, লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এ ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

১. পার্সোনাল লোনঃ পার্সোনাল লোন একটি ব্যাক্তিগত ঋন পদ্ধতি। এ লোন পদ্ধতি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যাক্তিগত আর্থিক চাহিদা আপনি সহজেই মিটাতে পারবেন। যেকোনো পেশার মানুষ, নিজস্ব বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়ীরা এ লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন ৮% সুদের হারে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।

২. স্যালারি লোনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্যালারি লোন হলো একটি পার্সোনাল লোন, যা মূলত নিয়মিত চাকরিজীবীদের জন্য দেয়া হয়। এই লোন আপনি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে নিতে পারেন যেমন চিকিৎসা, বিয়ে, সন্তানদের শিক্ষা, বাসা মেরামত ইত্যাদি।ডাচ বাংলা ব্যাংক ৯% সুদে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা এ পদ্ধতিতে লোন নিতে পারবেন।

৩. বাইক লোনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক সাধারণত পার্সোনাল লোন স্কিমের মাধ্যমে বাইক কেনার জন্য লোন দিয়ে থাকে, বিশেষ করে চাকরিজীবী ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য। যাদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা এবং যাদের বয়স ১৮ এর উপরে তাদের এ লোন দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে ৮% সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে থাকে।

৪. ব্যবসা লোনঃ আপনার যদি বড় ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে এবং আর্থিক সমস্যার কারনে সেটা করতে না পারেন তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাক থেকে লোন নিয়ে আপনার ইচ্ছা সহজেই পূরণ করতে পারবেন। বাড়ির মালিক, যাদের মাসিক আয় ২০ হাজার এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা এ ধরনের লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ৮% সুদে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন এ পদ্ধতি পাওয়া যাবে।

৫. শিক্ষা লোনঃ শিক্ষা লোন হলো এমন একটি আর্থিক সহায়তা, যা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার খরচ মেটাতে ব্যাংক থেকে নেওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পেছনে ব্যপক হারে খরচ হয়ে থাকে, যার কারনে পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যায় মা-বাবারা। ডাচ বাংলা ব্যাংকে শিক্ষা লোন নিয়ে খরচের চাপ কমাতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৮% সুদে স্টুডেন্টদের জন্য শিক্ষা লোন সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।

৬. হোম লোনঃ আপনি যদি আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েন, তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিয়ে আর্থিক সমস্যা দূর করতে পারেন। বিভিন্ন পেশাজীবি, যাদের মাসিক আয় ৩০ হাজার এবং নিজস্ব বাড়ির মালিক তারা এ লোন পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন ২ লাখ থেকে শুরু করে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে নতুন লোন নিয়ে থাকেন তাহলে ৭.৫০% সুদের হারে আপনাকে হোম লোন দেওয়া হবে।

৭. প্রবাসী লোনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক সরাসরি প্রবাসী লোন নামে কোনো নির্দিষ্ট প্যাকেজ অফার না করলেও বিভিন্ন স্কিম বা সহযোগিতা মাধ্যমে প্রবাসী ও তাদের পরিবার সদস্যরা ব্যাংক লোন সুবিধা পেতে পারেন। যারা প্রবাসে যেতে চাইছে, প্রবাস থেকে ফিরে অথবা প্রবাসে গিয়ে আর্থিক সমস্যাই পড়ে তাদের প্রবাসী লোন দিচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। ৭% বা ৭.৫% সুদে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা দিয়ে থাকে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম খুবই সহজ। ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনার একাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সেটা খুবই সহজেই বন্ধ করে দিতে পারবেন। কিভাবে কোন সকল কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার সেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন সেই বিষয় নিয়েই এখন আলোচনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে।
ডাচ-বাংলা-ব্যাংক-একাউন্ট-বন্ধ-করার-নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে হলে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় সরাসরি যেতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন-জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স (যা দিয়ে একাউন্ট খুলেছিলেন), একাউন্ট নম্বর ও চেকবই যদি থাকে, ব্যাংক কার্ড (ATM/Debit Card, যদি থাকে সঙ্গে নিন। সেখানে গিয়ে আপনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের বলবেন যে আপনি আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে চান।

তারা একটি ব্যাংকিং ক্লোজিং ফর্ম দেবে সেটি পূরন করে ব্যাংকে জমা দিবেন। একাউন্ট বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হতে পারে, যা আপনার একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। এছাড়াও, ব্যাংক একাউন্ট বন্ধের জন্য আবেদন লিখেও ব্যাংকে জমা দিতে পারেন। আবেদন পত্রের মাধ্যমেও ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করা যায়। ​সাধারণত, একাউন্ট বন্ধ করার প্রক্রিয়া ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এভাবে সহজেই আপনি আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন।

শেষকথাঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা এখন খুবই সহজ এবং দ্রুত করা যায়, বিশেষ করে ডিজিটাল সেবার কারণে। শুধু প্রয়োজন সঠিক কাগজপত্র, একটি বৈধ পরিচয়পত্র, এবং কিছু মৌলিক তথ্য। আপনি যদি নিয়মিত ব্যাংকিং, অনলাইন লেনদেন, অথবা ভবিষ্যতের কোনো আর্থিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি নিরাপদ ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা চান, তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক হতে পারে আপনার জন্য একটি চমৎকার পছন্দ। 

নিজ সুবিধামতো নিকটস্থ শাখায় গিয়ে বা মোবাইল অ্যাপে বসেই আপনি একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলটিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট সেভিং চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url